মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া

বছর ঘুরে আবার এসেছে শীতের মৌসুম। আর শীতের মৌসুম মানে বিয়েরও মৌসুম। পুরো শীতকালে চলে বিয়ের ধুম। এতে নিমন্ত্রণ পাওয়া খুশির বিষয় বটে। তবে সেখানে কি আর খালি হাতে যাওয়া যায়? সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনজনের বিয়েতে নান্দনিক উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।
যা ভাবতে হবে
বিয়েতে কী উপহার দেবেন, সেটা নির্ভর করে কার বিয়ে, তাঁর কী লাগবে আর আপনার বাজেট কত—এই তিন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরের ওপর। একটা সময় উপহার হিসেবে বিয়েতে সোনার গয়না, শাড়ি, কাঠের আসবাব, কাঁসার তৈজসপত্র ইত্যাদি দেওয়ার বেশ প্রচলন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে মানুষের চিন্তাচেতনা ও সৌন্দর্যের ধারণা। এখন মানুষ চিন্তা করে একটি নতুন সংসারের জন্য যেসব উপাদান কমবেশি অপরিহার্য, সেগুলো উপহার হিসেবে দেওয়ার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাজেট এবং রুচি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কয়েকজন মিলে উপহার দিতে তেমন ঝামেলায় না পড়লেও বিপত্তি বাধে একা উপহার দেওয়ার সময়। তখন সাধ ও সাধ্যের সমীকরণ মিলিয়ে নিতে সমস্যায় পড়তে হয়। মনের মধ্যে হাজারো সংশয় তৈরি হয়। সব সংশয় দূরে রেখে ওপরের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।
যা উপহার দিতে পারেন
আমাদের পুরোনো রীতি অনুযায়ী পার্স হতে পারে একটি ভালো উপহার। আর শাড়ি সব সময় জনপ্রিয় উপহারগুলোর ভেতর অন্যতম। তবে বাজেট উপহার হিসেবে রয়েছে ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার ডিনার, স্যুপ, গ্লাস, কফি কিংবা চায়ের কাপের সেট অথবা ছুরি-কাঁটাচামচের সেট। বর্তমানে জুসার, গ্রাইন্ডার, টোস্টার, রাইস কুকার, ননস্টিক হাঁড়িপাতিলের সেট, হটপট, ওয়াটার ফিল্টার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, আয়রন মেশিন, বিছানার চাদর, কুশন কভার, কম্বল, নকশিকাঁথা, পেইন্টিং, হাতের তৈরি ঘরে সাজিয়ে রাখার নানান শৌখিন জিনিস দিতে পারেন উপহার। সিরামিকের মগে বর ও কনের ছবি প্রিন্ট করে দিতে পারেন।
উপহার হিসেবে কনের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন বরের পাঞ্জাবি। সেই সঙ্গে দিতে পারেন ঘড়ি, শার্ট, স্যুটের কাপড়, পারফিউম, ফটোফ্রেম, ঝাড়বাতি, কার্পেট। দুজনকে একই থিমের নকশা করা ঘড়ি, চাদর বা ব্যাগও কিনে দিতে পারেন। তা ছাড়া বর্তমানে নিত্যনতুন প্লাস্টিকের ফুলের টব কিংবা ফুলদানিও বেশ জনপ্রিয়। আবার ছবি ফ্রেম করেও বাঁধিয়ে দিতে পারেন। বাজেট অনুযায়ী মোবাইল ফোন, ট্যাব, আইপ্যাডসহ অন্যান্য গ্যাজেটও আধুনিক উপহার হিসেবে মানানসই। আয়না, ল্যাম্পশেড, মোমদানি, নানা রকম মোম
আর শোপিসও মন্দ হয় না।
আবার বিয়েতে হাজির হয়ে যেতে পারেন একটি নান্দনিক ফুলের তোড়া হাতে।তবে অনেকে মিলে উপহার দিতে চাইলে বেছে নিতে পারেন এলইডি টেলিভিশন, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, পানির ফিল্টার, ওয়াশিং মেশিন, আলমারি, শোকেস, বুকশেলফ, গয়না; এমনকি টাকার অঙ্ক মিলে গেলে গাড়িও দিতে পারেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করে কনেকে দিতে পারেন গয়নার বাক্স, শাড়ি কিংবা গয়না। একটু আধুনিক হলে হানিমুনের টিকিট দিয়ে সারপ্রাইজ দিলে মন্দ হয় না।
বিয়েতে যে উপহারই দেন না কেন, সঙ্গে যদি না থাকে একটি সুন্দর স্মৃতিময় চিরকুট, তবে কি বিয়ের উপহার পরিপূর্ণতা পায়? তাই ছোট চিরকুটে সুন্দর সাবলীল শুভেচ্ছাবাণী হতে পারে উপহারের প্রধান আকর্ষণ।

বছর ঘুরে আবার এসেছে শীতের মৌসুম। আর শীতের মৌসুম মানে বিয়েরও মৌসুম। পুরো শীতকালে চলে বিয়ের ধুম। এতে নিমন্ত্রণ পাওয়া খুশির বিষয় বটে। তবে সেখানে কি আর খালি হাতে যাওয়া যায়? সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনজনের বিয়েতে নান্দনিক উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।
যা ভাবতে হবে
বিয়েতে কী উপহার দেবেন, সেটা নির্ভর করে কার বিয়ে, তাঁর কী লাগবে আর আপনার বাজেট কত—এই তিন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরের ওপর। একটা সময় উপহার হিসেবে বিয়েতে সোনার গয়না, শাড়ি, কাঠের আসবাব, কাঁসার তৈজসপত্র ইত্যাদি দেওয়ার বেশ প্রচলন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে মানুষের চিন্তাচেতনা ও সৌন্দর্যের ধারণা। এখন মানুষ চিন্তা করে একটি নতুন সংসারের জন্য যেসব উপাদান কমবেশি অপরিহার্য, সেগুলো উপহার হিসেবে দেওয়ার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাজেট এবং রুচি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কয়েকজন মিলে উপহার দিতে তেমন ঝামেলায় না পড়লেও বিপত্তি বাধে একা উপহার দেওয়ার সময়। তখন সাধ ও সাধ্যের সমীকরণ মিলিয়ে নিতে সমস্যায় পড়তে হয়। মনের মধ্যে হাজারো সংশয় তৈরি হয়। সব সংশয় দূরে রেখে ওপরের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।
যা উপহার দিতে পারেন
আমাদের পুরোনো রীতি অনুযায়ী পার্স হতে পারে একটি ভালো উপহার। আর শাড়ি সব সময় জনপ্রিয় উপহারগুলোর ভেতর অন্যতম। তবে বাজেট উপহার হিসেবে রয়েছে ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার ডিনার, স্যুপ, গ্লাস, কফি কিংবা চায়ের কাপের সেট অথবা ছুরি-কাঁটাচামচের সেট। বর্তমানে জুসার, গ্রাইন্ডার, টোস্টার, রাইস কুকার, ননস্টিক হাঁড়িপাতিলের সেট, হটপট, ওয়াটার ফিল্টার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, আয়রন মেশিন, বিছানার চাদর, কুশন কভার, কম্বল, নকশিকাঁথা, পেইন্টিং, হাতের তৈরি ঘরে সাজিয়ে রাখার নানান শৌখিন জিনিস দিতে পারেন উপহার। সিরামিকের মগে বর ও কনের ছবি প্রিন্ট করে দিতে পারেন।
উপহার হিসেবে কনের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন বরের পাঞ্জাবি। সেই সঙ্গে দিতে পারেন ঘড়ি, শার্ট, স্যুটের কাপড়, পারফিউম, ফটোফ্রেম, ঝাড়বাতি, কার্পেট। দুজনকে একই থিমের নকশা করা ঘড়ি, চাদর বা ব্যাগও কিনে দিতে পারেন। তা ছাড়া বর্তমানে নিত্যনতুন প্লাস্টিকের ফুলের টব কিংবা ফুলদানিও বেশ জনপ্রিয়। আবার ছবি ফ্রেম করেও বাঁধিয়ে দিতে পারেন। বাজেট অনুযায়ী মোবাইল ফোন, ট্যাব, আইপ্যাডসহ অন্যান্য গ্যাজেটও আধুনিক উপহার হিসেবে মানানসই। আয়না, ল্যাম্পশেড, মোমদানি, নানা রকম মোম
আর শোপিসও মন্দ হয় না।
আবার বিয়েতে হাজির হয়ে যেতে পারেন একটি নান্দনিক ফুলের তোড়া হাতে।তবে অনেকে মিলে উপহার দিতে চাইলে বেছে নিতে পারেন এলইডি টেলিভিশন, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, পানির ফিল্টার, ওয়াশিং মেশিন, আলমারি, শোকেস, বুকশেলফ, গয়না; এমনকি টাকার অঙ্ক মিলে গেলে গাড়িও দিতে পারেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করে কনেকে দিতে পারেন গয়নার বাক্স, শাড়ি কিংবা গয়না। একটু আধুনিক হলে হানিমুনের টিকিট দিয়ে সারপ্রাইজ দিলে মন্দ হয় না।
বিয়েতে যে উপহারই দেন না কেন, সঙ্গে যদি না থাকে একটি সুন্দর স্মৃতিময় চিরকুট, তবে কি বিয়ের উপহার পরিপূর্ণতা পায়? তাই ছোট চিরকুটে সুন্দর সাবলীল শুভেচ্ছাবাণী হতে পারে উপহারের প্রধান আকর্ষণ।

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৪ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
২ ঘণ্টা আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রতি প্রবল উৎসাহের কারণে ব্লগ বা টুইটের মতো শব্দগুলো নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫-এর শব্দগুলো বলছে অন্য কথা। এবারের শব্দগুলোতে কৃত্রিমতা, আবেগীয় কারসাজি এবং অদ্ভুত সব ট্রেন্ডের জয়জয়কার।
২০২৫ সালের নির্বাচিত শব্দগুলোর মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল জীবনের একটি বিবর্তনমূলক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ বছর এই শব্দগুলো একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে একটি বিশেষ মানসিক অবস্থার খোঁজ পাওয়া যায়। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিহিলিজম। ভুল তথ্য, এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্বের এই ভিড়ে মানুষ এখন কাকে বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দিহান। এই অনিশ্চয়তাকে একটি ইমোজি দিয়ে সবচেয়ে ভালো প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো ‘কাঁধ ঝাঁকানো’ ইমোজি। অর্থাৎ, ডিজিটাল জীবনের এই অরাজকতায় মানুষ এখন কিছুটা উদাসীন এবং নিরুপায়।

ইন্টারনেটের নতুন জঞ্জাল এআই স্লপ
অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষার প্রধান নির্দেশিকা ম্যাককুয়ারি ডিকশনারি বছরের সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘এআই স্লপ’ শব্দটিকে। এটি মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি নিম্নমানের কনটেন্ট, যা ইন্টারনেটে না চাইতেই আমাদের সামনে চলে আসে। ত্রুটিপূর্ণ এআই ইমেজ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইনে দেওয়া অদ্ভুত সব ক্যারিয়ার পরামর্শ সবই এই স্লপের অন্তর্ভুক্ত। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইন্টারনেটের অর্থহীন তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়ার লড়াইকে ফুটিয়ে তোলে।
প্যারাসোশ্যাল (Parasocial): কৃত্রিম সম্পর্কের মায়া
‘কেমব্রিজ ডিকশনারি’ নির্বাচন করেছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের মানসিক সম্পর্ক, যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো সেলিব্রিটি, কাল্পনিক চরিত্র, এমনকি এআই চ্যাটবটের প্রতি একতরফা টান অনুভব করেন। ১৯৫৬ সালে সমাজবিজ্ঞানীরা শব্দটি তৈরি করলেও ২০২৫ সালে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গায়িকা টেলর সুইফট ও ট্র্যাভিস কেলসের বাগদান নিয়ে ভক্তদের অতি উৎসাহ কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের চ্যাটবটের প্রেমে পড়া—এই ঘটনাগুলো প্যারাস্যোশাল শব্দটির ব্যবহার বাড়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ এখন রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে স্ক্রিনের ওপারের চরিত্রের সঙ্গে বেশি মানসিক সংযোগ খুঁজছে।
রাগের কারসাজি রেজ বাইট (Rage Bait)
‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি’ এ বছর বেছে নিয়েছে ‘রেজ বাইট’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের কনটেন্টকে বোঝায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে রাগান্বিত বা উত্তেজিত করার জন্য তৈরি করা হয়। মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে ট্রাফিক বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো। ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’ বা মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার এই নোংরা কৌশল রাজনৈতিক মেরুকরণকেও ত্বরান্বিত করছে। ২০২৫ সালে এই শব্দের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার বিষয়টির প্রতি আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
৬-৭ (6-7): অর্থহীনতার জয়জয়কার
এবার সবচেয়ে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত নির্বাচনটি করেছে ‘ডিকশনারি ডট কম’। তারা কোনো শব্দ নয়, বরং সংখ্যাকে বছরের সেরা বলে ঘোষণা করেছে। তারা বেছে নিয়েছে ‘৬-৭’। জেনারেশন আলফার এই স্লাং মূলত অর্থহীন এবং অদ্ভুতুড়ে। র্যাপার স্ক্রিলার এর একটি গান থেকে এটি জনপ্রিয় হয়। এটি ব্যবহারের সময় দুই হাত দিয়ে দাঁড়িপাল্লার মতো একটি ভঙ্গি করা হয়। শুধু র্যাপার নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকেও একটি স্কুল এই সাইন পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হলো, এই শব্দের কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই। মূলত কিশোর-কিশোরীরা বড়দের বিভ্রান্ত করতেই এটি বেশি ব্যবহার করে।
ভাইব কোডিং (Vibe Coding): প্রযুক্তির সহজ পাঠ
‘কোলিন্স ডিকশনারি’ বেছে নিয়েছে ‘ভাইব কোডিং’ শব্দটি। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাধারণ ভাষায় কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার কোড লেখানোর পদ্ধতি। ওপেন এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি শব্দটি জনপ্রিয় করেন। এর ফলে এখন কোডিংয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলেও কেবল ‘ভাইব’ বা অনুভূতির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন, ইভিএন এক্সপ্রেস

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রতি প্রবল উৎসাহের কারণে ব্লগ বা টুইটের মতো শব্দগুলো নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫-এর শব্দগুলো বলছে অন্য কথা। এবারের শব্দগুলোতে কৃত্রিমতা, আবেগীয় কারসাজি এবং অদ্ভুত সব ট্রেন্ডের জয়জয়কার।
২০২৫ সালের নির্বাচিত শব্দগুলোর মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল জীবনের একটি বিবর্তনমূলক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ বছর এই শব্দগুলো একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে একটি বিশেষ মানসিক অবস্থার খোঁজ পাওয়া যায়। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিহিলিজম। ভুল তথ্য, এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্বের এই ভিড়ে মানুষ এখন কাকে বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দিহান। এই অনিশ্চয়তাকে একটি ইমোজি দিয়ে সবচেয়ে ভালো প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো ‘কাঁধ ঝাঁকানো’ ইমোজি। অর্থাৎ, ডিজিটাল জীবনের এই অরাজকতায় মানুষ এখন কিছুটা উদাসীন এবং নিরুপায়।

ইন্টারনেটের নতুন জঞ্জাল এআই স্লপ
অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষার প্রধান নির্দেশিকা ম্যাককুয়ারি ডিকশনারি বছরের সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘এআই স্লপ’ শব্দটিকে। এটি মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি নিম্নমানের কনটেন্ট, যা ইন্টারনেটে না চাইতেই আমাদের সামনে চলে আসে। ত্রুটিপূর্ণ এআই ইমেজ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইনে দেওয়া অদ্ভুত সব ক্যারিয়ার পরামর্শ সবই এই স্লপের অন্তর্ভুক্ত। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইন্টারনেটের অর্থহীন তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়ার লড়াইকে ফুটিয়ে তোলে।
প্যারাসোশ্যাল (Parasocial): কৃত্রিম সম্পর্কের মায়া
‘কেমব্রিজ ডিকশনারি’ নির্বাচন করেছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের মানসিক সম্পর্ক, যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো সেলিব্রিটি, কাল্পনিক চরিত্র, এমনকি এআই চ্যাটবটের প্রতি একতরফা টান অনুভব করেন। ১৯৫৬ সালে সমাজবিজ্ঞানীরা শব্দটি তৈরি করলেও ২০২৫ সালে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গায়িকা টেলর সুইফট ও ট্র্যাভিস কেলসের বাগদান নিয়ে ভক্তদের অতি উৎসাহ কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের চ্যাটবটের প্রেমে পড়া—এই ঘটনাগুলো প্যারাস্যোশাল শব্দটির ব্যবহার বাড়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ এখন রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে স্ক্রিনের ওপারের চরিত্রের সঙ্গে বেশি মানসিক সংযোগ খুঁজছে।
রাগের কারসাজি রেজ বাইট (Rage Bait)
‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি’ এ বছর বেছে নিয়েছে ‘রেজ বাইট’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের কনটেন্টকে বোঝায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে রাগান্বিত বা উত্তেজিত করার জন্য তৈরি করা হয়। মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে ট্রাফিক বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো। ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’ বা মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার এই নোংরা কৌশল রাজনৈতিক মেরুকরণকেও ত্বরান্বিত করছে। ২০২৫ সালে এই শব্দের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার বিষয়টির প্রতি আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
৬-৭ (6-7): অর্থহীনতার জয়জয়কার
এবার সবচেয়ে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত নির্বাচনটি করেছে ‘ডিকশনারি ডট কম’। তারা কোনো শব্দ নয়, বরং সংখ্যাকে বছরের সেরা বলে ঘোষণা করেছে। তারা বেছে নিয়েছে ‘৬-৭’। জেনারেশন আলফার এই স্লাং মূলত অর্থহীন এবং অদ্ভুতুড়ে। র্যাপার স্ক্রিলার এর একটি গান থেকে এটি জনপ্রিয় হয়। এটি ব্যবহারের সময় দুই হাত দিয়ে দাঁড়িপাল্লার মতো একটি ভঙ্গি করা হয়। শুধু র্যাপার নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকেও একটি স্কুল এই সাইন পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হলো, এই শব্দের কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই। মূলত কিশোর-কিশোরীরা বড়দের বিভ্রান্ত করতেই এটি বেশি ব্যবহার করে।
ভাইব কোডিং (Vibe Coding): প্রযুক্তির সহজ পাঠ
‘কোলিন্স ডিকশনারি’ বেছে নিয়েছে ‘ভাইব কোডিং’ শব্দটি। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাধারণ ভাষায় কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার কোড লেখানোর পদ্ধতি। ওপেন এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি শব্দটি জনপ্রিয় করেন। এর ফলে এখন কোডিংয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলেও কেবল ‘ভাইব’ বা অনুভূতির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন, ইভিএন এক্সপ্রেস

বছর ঘুরে আবার এসেছে শীতের মৌসুম। আর শীতের মৌসুম মানে বিয়েরও মৌসুম। পুরো শীতকালে চলে বিয়ের ধুম। এতে নিমন্ত্রণ পাওয়া খুশির বিষয় বটে। তবে সেখানে কি আর খালি হাতে যাওয়া যায়? সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনজনের বিয়েতে নান্দনিক উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
২ ঘণ্টা আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের হাতছানি—সব মিলিয়ে গ্রহরা এখন পার্টি মুডে আছে।
সপ্তাহের শুরুতেই এই রাশির জাতক-জাতিকার ভেতর ‘শার্লক হোমস’ জেগে উঠবে। আশপাশের লোকজন কেন এত খুশি, কেন এত হাসছে, সবাই কেন এত খাতির করছে—এসব কিছুর পেছনে গভীর গোয়েন্দা নজর রাখবেন। তবে এত সতর্কতার কিছু নেই, অতিরিক্ত গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে আবার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে যেতে পারেন!
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ দার্শনিক হয়ে উঠবেন। মনে হবে, ‘জীবনটা আসলে কী?’ তবে সেই উত্তর পাওয়ার আগেই বিরিয়ানির গন্ধ আপনাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনবে।
এই রাশির জাতক-জাতিকারা যাঁরা রাজনীতির ময়দানের খেলোয়াড়, তাঁরা রীতিমতো ফাটিয়ে দেবেন! সপ্তাহটি তাঁদের জন্য দাবা খেলার মতো। জাতক-জাতিকার প্রতিটি চাল প্রতিপক্ষকে ঘাম ছুটিয়ে দেবে।
জনসভায় আপনার ভাষণ আজ জনতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। তবে মাইক চেক করে নেবেন, নতুবা আপনার গোপন কোনো মন্তব্য জনসমক্ষে চলে আসতে পারে। বিরোধী পক্ষ আপনার ছোট কোনো ভুলকে বড় করার জন্য ওত পেতে থাকবে।
এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়বে। তবে ছবি তোলার চেয়ে মানুষের কথা শোনায় বেশি মনোযোগ দিন। ভোটাররা আপনার কাছে এই মাহেন্দ্রক্ষণের গিফট হিসেবে এলাকার উন্নয়ন চাইবে।
তবে দলের ভেতরেই ‘মীরজাফর’ চেনার চেষ্টা করুন। কারও হাসিমুখের পেছনে বিষাক্ত কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বিদ্যুতের গতিতে কাজ করবেন। ডেস্কে কাজের ফাইল পাহাড়ের মতো জমলেও আপনি ইউটিউবে ‘কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়’ তা দেখে সময় কাটাবেন।
আপনার উন্নতি দেখে সহকর্মীদের চোখ টাটাবে। কেউ যদি আপনার কলম বা ফোন চার্জার নিয়ে যায়, বুঝবেন সেটা কেবল চুরি নয়, আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা!
ব্যবসায়ীদের জন্য সময়টা দারুণ। তবে বড় কোনো চুক্তিতে সই করার আগে চশমাটা ভালো করে মুছে নেবেন, যাতে ‘শর্তাবলি’ পরিষ্কার দেখা যায়।
টাকা আসবে ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে গিফট কিনতে গিয়ে আপনি দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটবেন। লটারির টিকিট কাটলে হয়তো ২০ টাকা জিতবেন, কিন্তু সেই খুশিতে বন্ধুদের ১০০ টাকার মিষ্টি খাইয়ে লস করে ফেলবেন।
রাস্তায় পড়ে থাকা টাকা কুড়াতে যাবেন না, ওটা হয়তো কারোর ‘মানত’ করা পয়সা হতে পারে!
প্রেমের বাজারে বৃশ্চিক রাশির গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হবে ঠিকই, কিন্তু সেটা হবে ‘কে রিমোট ধরবে’ বা ‘কে লাইট বন্ধ করবে’ তা নিয়ে। শেষে আপস হবে অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে।
আর সিঙ্গেলদের ক্ষেত্রে, আপনার পুরোনো কোনো ক্রাশ হঠাৎ করে ইনবক্সে ‘হাই’ পাঠাতে পারে। সাবধান! ওটা হয়তো বিয়ের কার্ড পাঠানোর আগের প্রস্তুতি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার গ্রহরা একটু কানামাছি খেলছে। একদিকে আপনার মন বলবে ‘আরেক পিস কেক খাই’, অন্যদিকে লিভার বলবে ‘দোহাই তোমার, থামো!’
জিম যাওয়ার কথা ভেবে সকালে অ্যালার্ম দেবেন ঠিকই, কিন্তু সেই অ্যালার্ম বন্ধ করে আরও দুই ঘণ্টা ঘুমানোটাই হবে আপনার আসল ব্যায়াম।
ঠান্ডায় আইসক্রিম খেয়ে গলার বারোটা বাজাবেন না।
২৫ ডিসেম্বর (বড়দিন): উপহার না জুটলেও বাড়িতে ভালো খাবারের যোগ আছে।
২৮ ডিসেম্বর: অফিসের বস বা রাজনৈতিক হাইকমান্ডের সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন, না হলে নতুন বছরের ছুটিটা ঘরে বসেই কাটাতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর: পার্টিতে নাচতে গিয়ে বা মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে যেন পা মচকে না যায়, খেয়াল রাখবেন।
কারোর ব্যক্তিগত চ্যাটে বা লবিংয়ের গোপন নথিতে উঁকি দেবেন না, স্ক্রিনশট ধরা পড়ে গেলে মান-সম্মান পাড়ায় বিলিয়ে দিতে হবে। নেতিবাচকতা কাটাতে পকেটে একটি কালো রুমাল রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের উদ্দেশে বলুন—‘আমিই জনগণের প্রিয় নেতা!’
আপনার শুভ সংখ্যা: ০৯, ২১, ৭৭। শুভ রং: গাঢ় লাল বা খয়েরি।

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের হাতছানি—সব মিলিয়ে গ্রহরা এখন পার্টি মুডে আছে।
সপ্তাহের শুরুতেই এই রাশির জাতক-জাতিকার ভেতর ‘শার্লক হোমস’ জেগে উঠবে। আশপাশের লোকজন কেন এত খুশি, কেন এত হাসছে, সবাই কেন এত খাতির করছে—এসব কিছুর পেছনে গভীর গোয়েন্দা নজর রাখবেন। তবে এত সতর্কতার কিছু নেই, অতিরিক্ত গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে আবার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে যেতে পারেন!
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ দার্শনিক হয়ে উঠবেন। মনে হবে, ‘জীবনটা আসলে কী?’ তবে সেই উত্তর পাওয়ার আগেই বিরিয়ানির গন্ধ আপনাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনবে।
এই রাশির জাতক-জাতিকারা যাঁরা রাজনীতির ময়দানের খেলোয়াড়, তাঁরা রীতিমতো ফাটিয়ে দেবেন! সপ্তাহটি তাঁদের জন্য দাবা খেলার মতো। জাতক-জাতিকার প্রতিটি চাল প্রতিপক্ষকে ঘাম ছুটিয়ে দেবে।
জনসভায় আপনার ভাষণ আজ জনতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। তবে মাইক চেক করে নেবেন, নতুবা আপনার গোপন কোনো মন্তব্য জনসমক্ষে চলে আসতে পারে। বিরোধী পক্ষ আপনার ছোট কোনো ভুলকে বড় করার জন্য ওত পেতে থাকবে।
এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়বে। তবে ছবি তোলার চেয়ে মানুষের কথা শোনায় বেশি মনোযোগ দিন। ভোটাররা আপনার কাছে এই মাহেন্দ্রক্ষণের গিফট হিসেবে এলাকার উন্নয়ন চাইবে।
তবে দলের ভেতরেই ‘মীরজাফর’ চেনার চেষ্টা করুন। কারও হাসিমুখের পেছনে বিষাক্ত কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বিদ্যুতের গতিতে কাজ করবেন। ডেস্কে কাজের ফাইল পাহাড়ের মতো জমলেও আপনি ইউটিউবে ‘কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়’ তা দেখে সময় কাটাবেন।
আপনার উন্নতি দেখে সহকর্মীদের চোখ টাটাবে। কেউ যদি আপনার কলম বা ফোন চার্জার নিয়ে যায়, বুঝবেন সেটা কেবল চুরি নয়, আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা!
ব্যবসায়ীদের জন্য সময়টা দারুণ। তবে বড় কোনো চুক্তিতে সই করার আগে চশমাটা ভালো করে মুছে নেবেন, যাতে ‘শর্তাবলি’ পরিষ্কার দেখা যায়।
টাকা আসবে ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে গিফট কিনতে গিয়ে আপনি দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটবেন। লটারির টিকিট কাটলে হয়তো ২০ টাকা জিতবেন, কিন্তু সেই খুশিতে বন্ধুদের ১০০ টাকার মিষ্টি খাইয়ে লস করে ফেলবেন।
রাস্তায় পড়ে থাকা টাকা কুড়াতে যাবেন না, ওটা হয়তো কারোর ‘মানত’ করা পয়সা হতে পারে!
প্রেমের বাজারে বৃশ্চিক রাশির গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হবে ঠিকই, কিন্তু সেটা হবে ‘কে রিমোট ধরবে’ বা ‘কে লাইট বন্ধ করবে’ তা নিয়ে। শেষে আপস হবে অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে।
আর সিঙ্গেলদের ক্ষেত্রে, আপনার পুরোনো কোনো ক্রাশ হঠাৎ করে ইনবক্সে ‘হাই’ পাঠাতে পারে। সাবধান! ওটা হয়তো বিয়ের কার্ড পাঠানোর আগের প্রস্তুতি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার গ্রহরা একটু কানামাছি খেলছে। একদিকে আপনার মন বলবে ‘আরেক পিস কেক খাই’, অন্যদিকে লিভার বলবে ‘দোহাই তোমার, থামো!’
জিম যাওয়ার কথা ভেবে সকালে অ্যালার্ম দেবেন ঠিকই, কিন্তু সেই অ্যালার্ম বন্ধ করে আরও দুই ঘণ্টা ঘুমানোটাই হবে আপনার আসল ব্যায়াম।
ঠান্ডায় আইসক্রিম খেয়ে গলার বারোটা বাজাবেন না।
২৫ ডিসেম্বর (বড়দিন): উপহার না জুটলেও বাড়িতে ভালো খাবারের যোগ আছে।
২৮ ডিসেম্বর: অফিসের বস বা রাজনৈতিক হাইকমান্ডের সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন, না হলে নতুন বছরের ছুটিটা ঘরে বসেই কাটাতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর: পার্টিতে নাচতে গিয়ে বা মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে যেন পা মচকে না যায়, খেয়াল রাখবেন।
কারোর ব্যক্তিগত চ্যাটে বা লবিংয়ের গোপন নথিতে উঁকি দেবেন না, স্ক্রিনশট ধরা পড়ে গেলে মান-সম্মান পাড়ায় বিলিয়ে দিতে হবে। নেতিবাচকতা কাটাতে পকেটে একটি কালো রুমাল রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের উদ্দেশে বলুন—‘আমিই জনগণের প্রিয় নেতা!’
আপনার শুভ সংখ্যা: ০৯, ২১, ৭৭। শুভ রং: গাঢ় লাল বা খয়েরি।

বছর ঘুরে আবার এসেছে শীতের মৌসুম। আর শীতের মৌসুম মানে বিয়েরও মৌসুম। পুরো শীতকালে চলে বিয়ের ধুম। এতে নিমন্ত্রণ পাওয়া খুশির বিষয় বটে। তবে সেখানে কি আর খালি হাতে যাওয়া যায়? সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনজনের বিয়েতে নান্দনিক উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৪ মিনিট আগে
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
২ ঘণ্টা আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্ব পর্যটন দিন দিন আরও প্রসার হচ্ছে। পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। সৌদি আরবের মতো দেশ এখন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে পৌঁছাতে অভিনব সব উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশে বসে যখন এসব খবর চোখে পড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে জানতে ইচ্ছা করবে, আমাদের দেশের পর্যটনের অবস্থা কী?
আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম দেশের চারজন পর্যটকের সঙ্গে। তাঁরা নিজেদের সুচিন্তিত মতামত জানিয়েছেন দেশীয় পর্যটন বিষয়ে।

মহুয়া রউফ, পর্যটক ও লেখক
পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংকট বা চ্যালেঞ্জ, সেটি হলো রাষ্ট্র নিজে আসলে কত দূর দেখতে চায়। রাষ্ট্র কি তার পর্যটনকে আকাশের মতো দূর পর্যন্ত কল্পনা করতে পারে, নাকি একটি সেতুর দূরত্বের মতো সীমিত করে দেখে? অর্থাৎ প্রশ্নটি মূলত ভিশনের। রাষ্ট্র নিজেকে কতটা ভিশনারি হিসেবে দেখতে চায়?
এই ভিশন নির্ধারণের প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকেই ঠিক করতে হবে, পর্যটন খাত কত দূর ওপরে উঠবে।
রাষ্ট্র একবার এটি ঠিক করলে স্বাভাবিকভাবেই আইনি জটিলতা, অবকাঠামো এবং নীতিমালার জায়গাগুলো স্পষ্ট হয়। কারণ, পর্যটন নিয়ে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট আইন, বিধি ও নীতিমালা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, পর্যটন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক বাস্তবতার প্রতিফলন। আপনার দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও আপনি হয়তো কঠোর নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারবেন, পরীক্ষা নিতে পারবেন। তবে পর্যটন সে রকম নয়। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে আপনি পুরো পৃথিবীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন। আপনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান, এসে দেখুন আমার ঐতিহ্য, আমার জীবনচর্চা, আমার জীবনবোধ এবং ইতিহাস।
এ কারণে পর্যটনের সঙ্গে একটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের অঞ্চলকে যদি দেখি মুক্তিযুদ্ধের আগে বা পরে, আমরা ঐতিহাসিকভাবেই একটি রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। বিষয়টি নিজেরা হয়তো সব সময় গভীরভাবে অনুধাবন করি না, কিন্তু বিশ্ব তা ঠিকই অনুধাবন করে।

বাবর আলী, পর্বতারোহী
প্রথমত, আমাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়ে পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা কম। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে একটি জায়গা জনপ্রিয় হয়ে গেলে সেখানে পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়। যেমন সাজেক কিংবা টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থা। এর সঙ্গে সেখানে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়। ফলে পর্যটকেরাও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে না। এটি পর্যটনের জন্য ভালো কিছু নয়। বিষয়টি আমাদের দায়িত্বরতদের খেয়াল রাখা জরুরি।
আরেকটা বিষয় চাই, আমাদের ব্যাকপ্যাক ট্যুরিজমের সুযোগটা বাড়ানো দরকার। একজন মানুষ যেন বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। একই সঙ্গে স্থানীয় জেলা প্রশাসক কিংবা অন্য যাঁরা আছেন, তাঁরাও এখানে বেশ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের যা আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমরা সংরক্ষণে আগ্রহী নই। কারণ, আমাদের দক্ষিণ কিংবা পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের প্রসারটা যেমন দেখি, তেমনটা উত্তরবঙ্গে নয়। কিন্তু সেখানে তো আমাদের অসংখ্য হেরিটেজ আছে। সেগুলো নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। সেখানে নতুন কিছু করা এবং বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। পর্যটন শুধু নতুন জায়গা দেখা
নয়, এর সঙ্গে মানুষ দেখা, স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করা বড় অংশ। সেই জায়গায় থেকে উত্তরবঙ্গে অনেক কিছু দেখার আছে। আমি এমন পর্যটন চাই, যেখানে স্থানীয়রা উপকৃত হবে।

এলিজা বিনতে এলাহী, ঐতিহ্য পর্যটক ও শিক্ষক
বাংলাদেশের হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশ নিয়ে আমি কাজ করছি; যার স্লোগান ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ থ্রু হেরিটেজ ট্রাভেল’। এই খাতে বিস্তৃতভাবে কাজ শুরু হয়নি। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু মানুষ সেটা করার চেষ্টা করছেন।
আমার প্রত্যাশা হলো, বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাক এবং বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক।
বাংলাদেশে অসংখ্য ঐতিহাসিক ও প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে, যা আমাদের জন্য এক বিশাল সম্পদ। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, এই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণের পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই, নেই পরিকল্পিত প্রচারের ব্যবস্থা। এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হলে ডিজিটালাইজেশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে খুব সহজে এসব ঐতিহাসিক স্থান দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সঠিক সংরক্ষণ এবং কার্যকর প্রচার-প্রচারণা। এই তিন বিষয় ছাড়া হেরিটেজ ট্যুরিজম টেকসইভাবে বিকশিত হতে পারে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশে উত্তরবঙ্গের বিকল্প নেই। উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাকে সমন্বিতভাবে হেরিটেজ জোন ঘোষণা করা যেতে পারে।
আমরা প্রায়ই স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে দেশের ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারিনি। রাজশাহী বিভাগ বা উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখা, কিংবা সাত গম্বুজ মসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষাসফর আয়োজন, এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খুবই কম দেখা যায়। এসব কার্যক্রম নিয়মিত ও পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

সাইফুল ইসলাম শান্ত, হাইকার ও পর্যটক
পৃথিবীতে প্রায় সব দেশই ট্যুরিজম এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নিরাপত্তা এবং স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতার অভাব। যদিও বলতে খারাপ লাগে, কিন্তু এখনো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ট্যুরিস্ট-ফ্রেন্ডলি না, যা আমি দেশের ৬৪ জেলা হেঁটে ভ্রমণের সময় উপলব্ধি করেছি।
কক্সবাজারকে নিরাপত্তার আওতায় আনা গেলে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবে বলেই আশা করা যায়।
পর্যটন উদ্যোগ নিয়ে ঘাটতির কথা বললে তা বলে শেষ করা যাবে না। প্রথমেই বলব, রাজনৈতিক অস্থিরতা। সব দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এমন অরাজকতা আর কোথাও হয় না। বিভিন্ন দেশের মানুষের ধারণা, বাংলাদেশে যুদ্ধ হচ্ছে, নিরাপদ নয়। তাই তারা ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ এড়িয়ে চলে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খুব কম খরচে হোমস্টে বা হোস্টেলে থাকা যায়, যা বাংলাদেশে এখনো হয়নি। পর্যটনশিল্পে এগিয়ে যেতে হলে নিরাপদ হোমস্টে কালচার বাড়াতে হবে। এর জন্য স্থানীয় মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় গাইডদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই।
এই শ্রেণির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে দেখেছি, একটি দেশ তখনই সত্যিকারের পর্যটনবান্ধব হয়, যখন একজন পর্যটক সেখানে নিরাপদ, সম্মানিত ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাংলাদেশেও আমি সেই মানের পর্যটন দেখতে চাই।

জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিশ্ব পর্যটন দিন দিন আরও প্রসার হচ্ছে। পর্যটনশিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। সৌদি আরবের মতো দেশ এখন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে শীর্ষে পৌঁছাতে অভিনব সব উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশে বসে যখন এসব খবর চোখে পড়বে, তখন স্বাভাবিকভাবে জানতে ইচ্ছা করবে, আমাদের দেশের পর্যটনের অবস্থা কী?
আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম দেশের চারজন পর্যটকের সঙ্গে। তাঁরা নিজেদের সুচিন্তিত মতামত জানিয়েছেন দেশীয় পর্যটন বিষয়ে।

মহুয়া রউফ, পর্যটক ও লেখক
পর্যটনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংকট বা চ্যালেঞ্জ, সেটি হলো রাষ্ট্র নিজে আসলে কত দূর দেখতে চায়। রাষ্ট্র কি তার পর্যটনকে আকাশের মতো দূর পর্যন্ত কল্পনা করতে পারে, নাকি একটি সেতুর দূরত্বের মতো সীমিত করে দেখে? অর্থাৎ প্রশ্নটি মূলত ভিশনের। রাষ্ট্র নিজেকে কতটা ভিশনারি হিসেবে দেখতে চায়?
এই ভিশন নির্ধারণের প্রথম দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রকেই ঠিক করতে হবে, পর্যটন খাত কত দূর ওপরে উঠবে।
রাষ্ট্র একবার এটি ঠিক করলে স্বাভাবিকভাবেই আইনি জটিলতা, অবকাঠামো এবং নীতিমালার জায়গাগুলো স্পষ্ট হয়। কারণ, পর্যটন নিয়ে রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট আইন, বিধি ও নীতিমালা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, পর্যটন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক বাস্তবতার প্রতিফলন। আপনার দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও আপনি হয়তো কঠোর নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারবেন, পরীক্ষা নিতে পারবেন। তবে পর্যটন সে রকম নয়। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে আপনি পুরো পৃথিবীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন। আপনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান, এসে দেখুন আমার ঐতিহ্য, আমার জীবনচর্চা, আমার জীবনবোধ এবং ইতিহাস।
এ কারণে পর্যটনের সঙ্গে একটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আমাদের অঞ্চলকে যদি দেখি মুক্তিযুদ্ধের আগে বা পরে, আমরা ঐতিহাসিকভাবেই একটি রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। বিষয়টি নিজেরা হয়তো সব সময় গভীরভাবে অনুধাবন করি না, কিন্তু বিশ্ব তা ঠিকই অনুধাবন করে।

বাবর আলী, পর্বতারোহী
প্রথমত, আমাদের দেশের জনসংখ্যার চেয়ে পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা কম। অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে একটি জায়গা জনপ্রিয় হয়ে গেলে সেখানে পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়। যেমন সাজেক কিংবা টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থা। এর সঙ্গে সেখানে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়। ফলে পর্যটকেরাও স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে না। এটি পর্যটনের জন্য ভালো কিছু নয়। বিষয়টি আমাদের দায়িত্বরতদের খেয়াল রাখা জরুরি।
আরেকটা বিষয় চাই, আমাদের ব্যাকপ্যাক ট্যুরিজমের সুযোগটা বাড়ানো দরকার। একজন মানুষ যেন বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি। একই সঙ্গে স্থানীয় জেলা প্রশাসক কিংবা অন্য যাঁরা আছেন, তাঁরাও এখানে বেশ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের যা আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমরা সংরক্ষণে আগ্রহী নই। কারণ, আমাদের দক্ষিণ কিংবা পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের প্রসারটা যেমন দেখি, তেমনটা উত্তরবঙ্গে নয়। কিন্তু সেখানে তো আমাদের অসংখ্য হেরিটেজ আছে। সেগুলো নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। সেখানে নতুন কিছু করা এবং বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। পর্যটন শুধু নতুন জায়গা দেখা
নয়, এর সঙ্গে মানুষ দেখা, স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করা বড় অংশ। সেই জায়গায় থেকে উত্তরবঙ্গে অনেক কিছু দেখার আছে। আমি এমন পর্যটন চাই, যেখানে স্থানীয়রা উপকৃত হবে।

এলিজা বিনতে এলাহী, ঐতিহ্য পর্যটক ও শিক্ষক
বাংলাদেশের হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশ নিয়ে আমি কাজ করছি; যার স্লোগান ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ থ্রু হেরিটেজ ট্রাভেল’। এই খাতে বিস্তৃতভাবে কাজ শুরু হয়নি। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু মানুষ সেটা করার চেষ্টা করছেন।
আমার প্রত্যাশা হলো, বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাক এবং বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করুক।
বাংলাদেশে অসংখ্য ঐতিহাসিক ও প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে, যা আমাদের জন্য এক বিশাল সম্পদ। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, এই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণের পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই, নেই পরিকল্পিত প্রচারের ব্যবস্থা। এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হলে ডিজিটালাইজেশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল মাধ্যমের সাহায্যে খুব সহজে এসব ঐতিহাসিক স্থান দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সঠিক সংরক্ষণ এবং কার্যকর প্রচার-প্রচারণা। এই তিন বিষয় ছাড়া হেরিটেজ ট্যুরিজম টেকসইভাবে বিকশিত হতে পারে না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, হেরিটেজ ট্যুরিজম বিকাশে উত্তরবঙ্গের বিকল্প নেই। উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাকে সমন্বিতভাবে হেরিটেজ জোন ঘোষণা করা যেতে পারে।
আমরা প্রায়ই স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে দেশের ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো ঘুরে দেখার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারিনি। রাজশাহী বিভাগ বা উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে দেখা, কিংবা সাত গম্বুজ মসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষাসফর আয়োজন, এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খুবই কম দেখা যায়। এসব কার্যক্রম নিয়মিত ও পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

সাইফুল ইসলাম শান্ত, হাইকার ও পর্যটক
পৃথিবীতে প্রায় সব দেশই ট্যুরিজম এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নিরাপত্তা এবং স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতার অভাব। যদিও বলতে খারাপ লাগে, কিন্তু এখনো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ট্যুরিস্ট-ফ্রেন্ডলি না, যা আমি দেশের ৬৪ জেলা হেঁটে ভ্রমণের সময় উপলব্ধি করেছি।
কক্সবাজারকে নিরাপত্তার আওতায় আনা গেলে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবে বলেই আশা করা যায়।
পর্যটন উদ্যোগ নিয়ে ঘাটতির কথা বললে তা বলে শেষ করা যাবে না। প্রথমেই বলব, রাজনৈতিক অস্থিরতা। সব দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এমন অরাজকতা আর কোথাও হয় না। বিভিন্ন দেশের মানুষের ধারণা, বাংলাদেশে যুদ্ধ হচ্ছে, নিরাপদ নয়। তাই তারা ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ এড়িয়ে চলে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে খুব কম খরচে হোমস্টে বা হোস্টেলে থাকা যায়, যা বাংলাদেশে এখনো হয়নি। পর্যটনশিল্পে এগিয়ে যেতে হলে নিরাপদ হোমস্টে কালচার বাড়াতে হবে। এর জন্য স্থানীয় মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় গাইডদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই।
এই শ্রেণির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে দেখেছি, একটি দেশ তখনই সত্যিকারের পর্যটনবান্ধব হয়, যখন একজন পর্যটক সেখানে নিরাপদ, সম্মানিত ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বাংলাদেশেও আমি সেই মানের পর্যটন দেখতে চাই।

বছর ঘুরে আবার এসেছে শীতের মৌসুম। আর শীতের মৌসুম মানে বিয়েরও মৌসুম। পুরো শীতকালে চলে বিয়ের ধুম। এতে নিমন্ত্রণ পাওয়া খুশির বিষয় বটে। তবে সেখানে কি আর খালি হাতে যাওয়া যায়? সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনজনের বিয়েতে নান্দনিক উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৪ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
২ ঘণ্টা আগে
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে, মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে। মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে। পাড়ার লোকে কটুকথা বললে কানে হেডফোন দিয়ে জাস্ট গান শুনুন। আর হ্যাঁ, সান্তা সেজে কেউ কেক অফার করলে আগে দেখুন সেটা আসল নাকি প্লাস্টিকের শোপিস!
বৃষ
নিজেকে আজ মহাপুরুষ বা মহীয়সী মনে হতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করতে গিয়ে অফিসে যেতে দেরি হতে পারে। কাজের জন্য নিজের পিঠ নিজেই চাপড়াবেন। কারণ, অন্য কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। তবে পকেটের অবস্থা মেরি ক্রিসমাসের মতো খুব একটা ‘মেরি’ নয়। স্ত্রীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, নয়তো ডিনার ছাড়াই খালি পেটে বড়দিন কাটাতে হতে পারে। লটারির টিকিট কাটার ইচ্ছা হলে সংবরণ করুন, ওটা আজ অন্য কোনো ‘গাধা’র ভাগ্য।
মিথুন
আপনার আজ ‘সোশ্যাল বাটারফ্লাই’ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু কাজের চাপে ডানা ঝাপটানোর সময় পাবেন না। বাড়িতে অনাহূত অতিথিরা এসে ফ্রিজ ফাঁকা করে দেওয়ার মিশন নিতে পারে। বন্ধুদের আড্ডায় আপনি আজ মধ্যমণি, তবে বিল দেওয়ার সময় আপনিই উধাও হবেন! টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান থাকলে আজই সেরে ফেলুন, তবে ফেরত দেওয়ার কথা ভুললে কিন্তু আপনার কপালে শনি নাচবে। প্রেমিকার সঙ্গে একটু মেপে কথা বলুন।
কর্কট
কর্মজীবী নারীদের জন্য আজ দিনটা জিম করার চেয়েও কঠিন। অফিসের বসের বকুনি আর বাড়ির ফরমাশ—সব মিলিয়ে মেজাজ সপ্তমে থাকবে। বেশি কথা বললে গলাব্যথা হতে পারে, তাই জাস্ট ইমোজি দিয়ে কাজ চালান। পেটের সমস্যা হওয়ার চান্স প্রবল, কেক দেখে বেশি লোভ করবেন না। সান্তার কাছে নতুন পার্টনার চাইলে পেতেও পারেন, তবে সেটার গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কার্ড গ্রহরা ইস্যু করেনি!
সিংহ
আপনার সম্মান আজ হিমালয়ের চূড়ায়। পাড়ার ছোটরা আপনাকে সম্মান দিয়ে আজ ‘আংকেল’ বা ‘আন্টি’ বলে ডাকতে পারে (যদিও আপনার বয়স মাত্র ২৬!)। গুরুজনদের সঙ্গে বসে আধ্যাত্মিক আলোচনা করলে লাভ হবে। বিবাহিত জীবনে আজ গিফটের বন্যা বয়ে যেতে পারে, যদি আপনি আগে থেকে ঘুষ দিয়ে থাকেন। নীল রঙের পোশাক পরুন, আপনাকে দেখতে অনেকটা জেন-জি যিশুর মতো লাগবে। সম্পত্তি কেনাবেচার জন্য দিনটা ভালো, তবে দলিলে নিজের নাম ঠিক আছে কি না চেক করে নিন।
কন্যা
শেয়ার বাজারে টাকা ঢালতে মন চাইবে, কিন্তু লস খেলে মা-বাবার কাছে গিয়ে ‘হায় হায়’ করতে হবে। প্রেমে আজ বসন্ত আসতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন এই কনকনে শীতে বসন্ত আসা মানেই সর্দি-কাশি আর অ্যান্টিবায়োটিক। অফিসের কাজে আপনার নিখুঁত ভাব আজ সবার কাছে যন্ত্রণার কারণ হবে। মা-বাবার পায়ের ধুলা নিন, অন্তত পকেটমানি হিসেবে কয়েকটা কড়কড়ে নোট পেতে পারেন। ইনভেস্টমেন্টের আগে ১০ বার নয়, ১০০ বার ভাবুন।
তুলা
আজ আপনার লিডারশিপ কোয়ালিটি ফাটিয়ে বেরোবে। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বললেও লোক হাঁ করে শুনবে। শিক্ষার্থীরা আজ পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল গেমসে সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটা বেশ লাকি, তবে কাস্টমারকে বেশি জ্ঞান দিলে তারা পালাবে। লটারির টিকিট কাটলে ছোটখাটো লাভ হতে পারে, তবে সেটা দিয়ে শুধু ফুচকাই হবে, আইফোন প্রো-ম্যাক্স আশা করবেন না।
বৃশ্চিক
সমাজের সেবা করতে গিয়ে নিজের সেবা করার সময় পাবেন না। পাড়ার ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে নিজের জামাই হয়তো নোংরা হয়ে যাবে। মনে শান্তি পাবেন কিন্তু শরীর মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহ করতে পারে। পুরোনো প্রেমিকা/প্রেমিকের হঠাৎ ফোন আপনার আজকের রাতটা মাটি করতে পারে। ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে গেলে জুতার দিকে কড়া নজর রাখবেন। আজকাল জুতার প্রতি চোরদের ভক্তি বেশি।
ধনু
শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আসার এক অদ্ভুত যোগ আছে! (হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন, এটা কোনো স্বপ্ন নয়)। তবে বসের কথা শুনে রাগে মাথা গরম হতে পারে। কোনো দামি গ্যাজেট কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়ার আগে ব্যাংক ব্যালেন্সটা অন্তত একবার দেখে নিন। ভাইদের সঙ্গে বসে খাসির মাংস আর ধোঁয়া ওঠা আড্ডা—এই হলো আপনার আজকের পারফেক্ট বড়দিন। অযথা তর্কে যাবেন না।
মকর
পুরোনো মেমোরিজ রোমন্থন করে আপনার চোখে পানি আসতে পারে, আবার গার্লফ্রেন্ডের দেওয়া গিফটগুলোর দাম হিসাব করে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। উচ্চপদস্থ কারও সঙ্গে মেলামেশা করলে প্রমোশন না হলেও অন্তত এক কাপ ভালো ফিল্টার কফি জুটবে। সন্তানের কথা মন দিয়ে শুনুন, না হলে ওরা আপনার ফোনের ব্রাউজার হিস্ট্রি পাবলিক করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। বাবার শরীর নিয়ে একটু সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ
ব্যবসায় হারানো টাকা ফেরত পেতে পারেন (অবশ্যই যদি কোনো অলৌকিক কাণ্ড ঘটে)। বাড়ির কারও বিয়ের কথা এগোতে পারে। তবে ভ্রমণের সুযোগ এলে ব্যাগ গুছিয়ে নিন, বড়দিনে বাড়ির অশান্তি এড়াতে বাইরে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ। রাস্তায় অচেনা কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন না। কারও সঙ্গে পাঙ্গা নিতে যাবেন না, আজ রাহুর বদনজর আপনার জিভে। যত কম কথা বলবেন, তত কম জুতো খাবেন।
মীন
আবহাওয়া আপনার শরীর নিয়ে ফুটবল খেলবে। সকালে গরম তো বিকেলে ঠান্ডা—সব মিলিয়ে সর্দি-জ্বর থেকে সাবধান। পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে, যে হয়তো আপনার কাছ থেকে ৫ বছর আগে নেওয়া ধারের কথা সগর্বে অস্বীকার করবে। আজ আপনার ভাগ্য কিছুটা ‘অনিশ্চিত’ মেঘে ঢাকা। প্রেম জীবনে টেনশন বাড়লে রিঅ্যাক্ট না করে জাস্ট একটা লম্বা ঘুম দিন। ঘুমই পৃথিবীর সেরা ওষুধ। ভগবানের নাম জপুন আর শান্তিতে থাকুন।

মেষ
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বাঘের মতো গর্জন করবেন ঠিকই, কিন্তু দিন শেষে বাড়িতে ফিরে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করতে হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের একটু অভাব থাকবে। মনে হবে কেউ যেন আপনার পেছনে অকারণে কাঠি করছে। গ্রহ বলছে, আপনার শৌখিনতা আজ তুঙ্গে থাকবে কিন্তু পকেট আপনাকে বারবার ‘না’ বলবে। পাড়ার লোকে কটুকথা বললে কানে হেডফোন দিয়ে জাস্ট গান শুনুন। আর হ্যাঁ, সান্তা সেজে কেউ কেক অফার করলে আগে দেখুন সেটা আসল নাকি প্লাস্টিকের শোপিস!
বৃষ
নিজেকে আজ মহাপুরুষ বা মহীয়সী মনে হতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করতে গিয়ে অফিসে যেতে দেরি হতে পারে। কাজের জন্য নিজের পিঠ নিজেই চাপড়াবেন। কারণ, অন্য কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। তবে পকেটের অবস্থা মেরি ক্রিসমাসের মতো খুব একটা ‘মেরি’ নয়। স্ত্রীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, নয়তো ডিনার ছাড়াই খালি পেটে বড়দিন কাটাতে হতে পারে। লটারির টিকিট কাটার ইচ্ছা হলে সংবরণ করুন, ওটা আজ অন্য কোনো ‘গাধা’র ভাগ্য।
মিথুন
আপনার আজ ‘সোশ্যাল বাটারফ্লাই’ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্তু কাজের চাপে ডানা ঝাপটানোর সময় পাবেন না। বাড়িতে অনাহূত অতিথিরা এসে ফ্রিজ ফাঁকা করে দেওয়ার মিশন নিতে পারে। বন্ধুদের আড্ডায় আপনি আজ মধ্যমণি, তবে বিল দেওয়ার সময় আপনিই উধাও হবেন! টাকা ধার নেওয়ার প্ল্যান থাকলে আজই সেরে ফেলুন, তবে ফেরত দেওয়ার কথা ভুললে কিন্তু আপনার কপালে শনি নাচবে। প্রেমিকার সঙ্গে একটু মেপে কথা বলুন।
কর্কট
কর্মজীবী নারীদের জন্য আজ দিনটা জিম করার চেয়েও কঠিন। অফিসের বসের বকুনি আর বাড়ির ফরমাশ—সব মিলিয়ে মেজাজ সপ্তমে থাকবে। বেশি কথা বললে গলাব্যথা হতে পারে, তাই জাস্ট ইমোজি দিয়ে কাজ চালান। পেটের সমস্যা হওয়ার চান্স প্রবল, কেক দেখে বেশি লোভ করবেন না। সান্তার কাছে নতুন পার্টনার চাইলে পেতেও পারেন, তবে সেটার গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি কার্ড গ্রহরা ইস্যু করেনি!
সিংহ
আপনার সম্মান আজ হিমালয়ের চূড়ায়। পাড়ার ছোটরা আপনাকে সম্মান দিয়ে আজ ‘আংকেল’ বা ‘আন্টি’ বলে ডাকতে পারে (যদিও আপনার বয়স মাত্র ২৬!)। গুরুজনদের সঙ্গে বসে আধ্যাত্মিক আলোচনা করলে লাভ হবে। বিবাহিত জীবনে আজ গিফটের বন্যা বয়ে যেতে পারে, যদি আপনি আগে থেকে ঘুষ দিয়ে থাকেন। নীল রঙের পোশাক পরুন, আপনাকে দেখতে অনেকটা জেন-জি যিশুর মতো লাগবে। সম্পত্তি কেনাবেচার জন্য দিনটা ভালো, তবে দলিলে নিজের নাম ঠিক আছে কি না চেক করে নিন।
কন্যা
শেয়ার বাজারে টাকা ঢালতে মন চাইবে, কিন্তু লস খেলে মা-বাবার কাছে গিয়ে ‘হায় হায়’ করতে হবে। প্রেমে আজ বসন্ত আসতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন এই কনকনে শীতে বসন্ত আসা মানেই সর্দি-কাশি আর অ্যান্টিবায়োটিক। অফিসের কাজে আপনার নিখুঁত ভাব আজ সবার কাছে যন্ত্রণার কারণ হবে। মা-বাবার পায়ের ধুলা নিন, অন্তত পকেটমানি হিসেবে কয়েকটা কড়কড়ে নোট পেতে পারেন। ইনভেস্টমেন্টের আগে ১০ বার নয়, ১০০ বার ভাবুন।
তুলা
আজ আপনার লিডারশিপ কোয়ালিটি ফাটিয়ে বেরোবে। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বললেও লোক হাঁ করে শুনবে। শিক্ষার্থীরা আজ পড়াশোনা বাদ দিয়ে মোবাইল গেমসে সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটা বেশ লাকি, তবে কাস্টমারকে বেশি জ্ঞান দিলে তারা পালাবে। লটারির টিকিট কাটলে ছোটখাটো লাভ হতে পারে, তবে সেটা দিয়ে শুধু ফুচকাই হবে, আইফোন প্রো-ম্যাক্স আশা করবেন না।
বৃশ্চিক
সমাজের সেবা করতে গিয়ে নিজের সেবা করার সময় পাবেন না। পাড়ার ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে নিজের জামাই হয়তো নোংরা হয়ে যাবে। মনে শান্তি পাবেন কিন্তু শরীর মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহ করতে পারে। পুরোনো প্রেমিকা/প্রেমিকের হঠাৎ ফোন আপনার আজকের রাতটা মাটি করতে পারে। ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে গেলে জুতার দিকে কড়া নজর রাখবেন। আজকাল জুতার প্রতি চোরদের ভক্তি বেশি।
ধনু
শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা আসার এক অদ্ভুত যোগ আছে! (হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন, এটা কোনো স্বপ্ন নয়)। তবে বসের কথা শুনে রাগে মাথা গরম হতে পারে। কোনো দামি গ্যাজেট কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়ার আগে ব্যাংক ব্যালেন্সটা অন্তত একবার দেখে নিন। ভাইদের সঙ্গে বসে খাসির মাংস আর ধোঁয়া ওঠা আড্ডা—এই হলো আপনার আজকের পারফেক্ট বড়দিন। অযথা তর্কে যাবেন না।
মকর
পুরোনো মেমোরিজ রোমন্থন করে আপনার চোখে পানি আসতে পারে, আবার গার্লফ্রেন্ডের দেওয়া গিফটগুলোর দাম হিসাব করে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। উচ্চপদস্থ কারও সঙ্গে মেলামেশা করলে প্রমোশন না হলেও অন্তত এক কাপ ভালো ফিল্টার কফি জুটবে। সন্তানের কথা মন দিয়ে শুনুন, না হলে ওরা আপনার ফোনের ব্রাউজার হিস্ট্রি পাবলিক করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে। বাবার শরীর নিয়ে একটু সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ
ব্যবসায় হারানো টাকা ফেরত পেতে পারেন (অবশ্যই যদি কোনো অলৌকিক কাণ্ড ঘটে)। বাড়ির কারও বিয়ের কথা এগোতে পারে। তবে ভ্রমণের সুযোগ এলে ব্যাগ গুছিয়ে নিন, বড়দিনে বাড়ির অশান্তি এড়াতে বাইরে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ। রাস্তায় অচেনা কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন না। কারও সঙ্গে পাঙ্গা নিতে যাবেন না, আজ রাহুর বদনজর আপনার জিভে। যত কম কথা বলবেন, তত কম জুতো খাবেন।
মীন
আবহাওয়া আপনার শরীর নিয়ে ফুটবল খেলবে। সকালে গরম তো বিকেলে ঠান্ডা—সব মিলিয়ে সর্দি-জ্বর থেকে সাবধান। পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে, যে হয়তো আপনার কাছ থেকে ৫ বছর আগে নেওয়া ধারের কথা সগর্বে অস্বীকার করবে। আজ আপনার ভাগ্য কিছুটা ‘অনিশ্চিত’ মেঘে ঢাকা। প্রেম জীবনে টেনশন বাড়লে রিঅ্যাক্ট না করে জাস্ট একটা লম্বা ঘুম দিন। ঘুমই পৃথিবীর সেরা ওষুধ। ভগবানের নাম জপুন আর শান্তিতে থাকুন।

বছর ঘুরে আবার এসেছে শীতের মৌসুম। আর শীতের মৌসুম মানে বিয়েরও মৌসুম। পুরো শীতকালে চলে বিয়ের ধুম। এতে নিমন্ত্রণ পাওয়া খুশির বিষয় বটে। তবে সেখানে কি আর খালি হাতে যাওয়া যায়? সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনজনের বিয়েতে নান্দনিক উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে সবার।
২৭ নভেম্বর ২০২৩
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৪ মিনিট আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
২ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ টিকে আছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপর। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া। গত কয়েক বছরে তালিকায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
২ ঘণ্টা আগে