আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ গ্রহরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এর মানে হলো—গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি লিখতে গিয়ে বারবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে অথবা বস যখন চরম গম্ভীর কথা বলবেন, ঠিক তখনই আপনার পেটে এমন গ্যাস হবে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন হবে। প্রেমজীবনে ভুল-বোঝাবুঝি চরমে থাকবে; সঙ্গী যা বোঝাতে চাচ্ছেন, আপনি উল্টো বুঝবেন যে তিনি আপনার বিরুদ্ধেই গোপন ষড়যন্ত্র করছেন। তর্ক শুরু হওয়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়ুন। কারণ, নীরবতাই আজ আপনার একমাত্র সুরক্ষা।
বৃষ
আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা নেই, কিন্তু অতিরিক্ত খরচের ভূত ঘাড়ে চাপতে পারে। বিশেষ করে, যে জিনিসটি আপনার একদমই দরকার নেই (যেমন: একটা নতুন কফিমগ, যদিও ঘরেই ১০টা আছে), সেটা কেনার জন্য মন ছটফট করবে। আজকে বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা মন দিয়ে শুনুন। তাঁদের পুরোনো ও সাদামাটা পরামর্শই আপনাকে সেই অহেতুক খরচ থেকে বাঁচাবে। রাস্তায় যদি কোনো মুরগিও জ্ঞান দিতে আসে, কান দেবেন। হতে পারে সেটাই আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক টিপস।
মিথুন
নিজের যত্নের জন্য আজ দারুণ দিন। তবে 'নিজের যত্ন' বলতে যদি সোফায় শুয়ে চিপস খেতে খেতে নেটফ্লিক্স দেখাকে বোঝেন, তাহলেও গ্রহরা খুব একটা আপত্তি করবে না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা আছে, তবে সেই বন্ধু হয়তো আপনার কাছে টাকা চাইতে এসে উল্টে আপনাকেই এক কাপ চা খাইয়ে চলে যাবে—তাতেও লাভ বৈকি! হাঁটার জন্য জুতা পরুন। যদি দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে এসে শুয়ে পড়েন, তাহলেও মহাজগৎ আপনাকে ১ পয়েন্ট দেবে।
কর্কট
প্রেমজীবনের সব সমস্যার আজ অবসান হতে চলেছে। অর্থাৎ, সঙ্গী অবশেষে মেনে নেবেন যে রিমোট কন্ট্রোলটা সব সময় আপনার হাতেই থাকা উচিত। দিনের বেশির ভাগ সময় শান্তিপূর্ণ কাটবে। তবে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই বিপদ। যেমন, 'আজ দুপুরের খাবারটা নিজেই বানাব'—এই হঠকারী সিদ্ধান্তটি রান্নাঘরের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। আজ নীরবতার আরাধনা করুন। শান্তি এতটাই প্রবল হবে যে, মশা কামড়ালেও তার আওয়াজ শুনতে পাবেন।
সিংহ
আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে আর তাতে বাড়ির পরিবেশও অনুকূল হবে। আপনি যা বলবেন, সবাই তাতে সম্মতি দেবে—হয়তো ভয় পেয়ে, নয়তো সত্যি সত্যিই আপনার কথা কাজের কথা। অবিবাহিতদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দারুণ দিন। তবে মনে রাখবেন, অতি আত্মবিশ্বাস আর অহংকারের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি সুতা আছে, সেটা যেন ছিঁড়ে না যায়। আজ কাউকে আপনার জীবনের প্ল্যান জিজ্ঞেস করবেন না। উত্তর শুনে আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে, আর এই মুহূর্তে সেটা মোটেও কাম্য নয়।
কন্যা
আজ সন্তানদের নিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা বজায় থাকবে, কারণ, তারা হয়তো প্রথমবার আপনার কথা শুনবে (যদিও সেটা মাত্র ৫ মিনিটের জন্য)। প্রিয়জন থেকে উপহার পাওয়ার যোগ আছে। সাবধান! উপহারটি হয়তো এমন কোনো জিনিস হবে, যেটা আপনি কোনোদিনই ব্যবহার করবেন না, কিন্তু লোকদেখানো হাসি দিয়ে সেটি বরণ করে নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন, কারণ, আপনার দুশ্চিন্তাগুলো বাস্তবে ঘটে না। স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাববেন না। বেশি ভাবলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়, এটা প্রমাণিত!
তুলা
একাধিক উপার্জনের পথ খুলতে পারে, কিন্তু আপনার আলস্য সেই পথে প্রথম এবং প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কাজের চাপ বাড়তে পারে, যার ফলস্বরূপ মাথায় যন্ত্রণা হতে পারে। এই যন্ত্রণা কাজের জন্য নয়, বরং এত উপার্জনের সুযোগ দেখেও আলস্যের কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকার অনুশোচনা থেকে হবে। আজ কফি খেতে ভুলে যাবেন না। কফিই আজ আপনার 'আলস্যনাশক' মহৌষধ। তবে কফিটা বানাবে কে, সেটা আর জিজ্ঞেস করবেন না যেন!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে ব্যবসায় অপ্রত্যাশিত সাফল্য আসতে পারে। আপনার সাফল্যের খবর শুনে পুরোনো শত্রুরা হিংসায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হবে। আপনার শান্তির অভাব হবে, কারণ, সবাই আপনার সাফল্যের রহস্য জানতে চাইবে এবং আপনাকে ক্রমাগত বিরক্ত করবে। আপনার সফলতার রহস্য জানতে চাইলে বলুন, 'ওসব কপালের লিখন, আমার কোনো হাত নেই!' আর সঙ্গে একটা রহস্যময় হাসি দিন।
ধনু
আজকের দিনটি উত্তেজনা ও বিভ্রান্তির মিশ্রণ। হয়তো ঠিক করবেন, আজ সারা দিন খুব মন দিয়ে কাজ করবেন আর পরের মুহূর্তে নিজেকে আবিষ্কার করবেন, ইউটিউবে বিড়ালের ভিডিও দেখছেন। আত্মপর্যালোচনা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হবে। ভ্রমণের যোগ আছে, তবে মনে রাখবেন, সেই ভ্রমণ হয়তো আপনার ঘর থেকে রান্নাঘর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিছুতেই মন বসাতে না পারলে দুই মিনিট চোখ বন্ধ করে ভাবুন—আজ রাতে ডিনারে কী খাবেন? জীবন তার লক্ষ্য খুঁজে পাবে।
মকর
দলের সদস্যদের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হতে পারে। হতে পারে, সহকর্মী আপনার পছন্দের লাঞ্চবক্সটা ভুল করে নিজের মনে করে নিয়ে গেছে আর আপনি তাতেই অগ্নিশর্মা। এ ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখাটা জরুরি। নয়তো একটি ছোট লাঞ্চবক্সের ঝামেলা বড় প্রজেক্টের সর্বনাশ করবে। যদি রাগ সামলাতে না পারেন, তবে ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। আর যদি লাঞ্চবক্স সত্যি সত্যি হারিয়ে গিয়ে থাকে, তবে আজকে নিজে বাইরে থেকে কিছু অর্ডার করে খেয়ে নিন।
কুম্ভ
কর্মজীবনে আজ আপনার রকেট গতি। নতুন প্রজেক্টে সাফল্য ও আত্মবিশ্বাস দুটাই বাড়বে। অন্য দিকে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামান্য সতর্ক থাকুন—আপনার রকেট গতির সঙ্গে সঙ্গীর শান্ত গতির তাল নাও মিলতে পারে। আর্থিক অবস্থা অস্থির থাকবে, বিশেষত রাতে ওয়ালেট আপনাকে হতাশ করতে পারে। পেশাগত সাফল্যে এতটাই মুগ্ধ হবেন না যে নিজের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও ভুলে যাবেন। অর্থভাগ্যকে স্থির রাখতে আজ বড় কোনো কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন।
মীন
আজ প্রেম ও বোঝাপড়ার পরিবেশে সমৃদ্ধ বোধ করবেন। আশপাশের মানুষজন আজ এতটাই মিষ্টি কথা বলবে যে, আপনার দাঁতে ক্যাভিটি হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে দিনটি বেশ আবেগপ্রবণ ও শান্তিময়। তবে অতি আবেগে ভেসে গিয়ে কাউকে সব গোপন কথা বলে দেবেন না, কারণ, গ্রহরা শুধু আজকের জন্যই এই সুখ দিচ্ছে। দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন। আর যখন খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন, তখন একটা অঙ্ক কষতে বসুন। বাস্তবতা ফিরতে বাধ্য।

মেষ
আজ গ্রহরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এর মানে হলো—গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি লিখতে গিয়ে বারবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে অথবা বস যখন চরম গম্ভীর কথা বলবেন, ঠিক তখনই আপনার পেটে এমন গ্যাস হবে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন হবে। প্রেমজীবনে ভুল-বোঝাবুঝি চরমে থাকবে; সঙ্গী যা বোঝাতে চাচ্ছেন, আপনি উল্টো বুঝবেন যে তিনি আপনার বিরুদ্ধেই গোপন ষড়যন্ত্র করছেন। তর্ক শুরু হওয়ার আগেই ঘুমিয়ে পড়ুন। কারণ, নীরবতাই আজ আপনার একমাত্র সুরক্ষা।
বৃষ
আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চিন্তা নেই, কিন্তু অতিরিক্ত খরচের ভূত ঘাড়ে চাপতে পারে। বিশেষ করে, যে জিনিসটি আপনার একদমই দরকার নেই (যেমন: একটা নতুন কফিমগ, যদিও ঘরেই ১০টা আছে), সেটা কেনার জন্য মন ছটফট করবে। আজকে বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা মন দিয়ে শুনুন। তাঁদের পুরোনো ও সাদামাটা পরামর্শই আপনাকে সেই অহেতুক খরচ থেকে বাঁচাবে। রাস্তায় যদি কোনো মুরগিও জ্ঞান দিতে আসে, কান দেবেন। হতে পারে সেটাই আপনার আজকের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক টিপস।
মিথুন
নিজের যত্নের জন্য আজ দারুণ দিন। তবে 'নিজের যত্ন' বলতে যদি সোফায় শুয়ে চিপস খেতে খেতে নেটফ্লিক্স দেখাকে বোঝেন, তাহলেও গ্রহরা খুব একটা আপত্তি করবে না। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা আছে, তবে সেই বন্ধু হয়তো আপনার কাছে টাকা চাইতে এসে উল্টে আপনাকেই এক কাপ চা খাইয়ে চলে যাবে—তাতেও লাভ বৈকি! হাঁটার জন্য জুতা পরুন। যদি দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে এসে শুয়ে পড়েন, তাহলেও মহাজগৎ আপনাকে ১ পয়েন্ট দেবে।
কর্কট
প্রেমজীবনের সব সমস্যার আজ অবসান হতে চলেছে। অর্থাৎ, সঙ্গী অবশেষে মেনে নেবেন যে রিমোট কন্ট্রোলটা সব সময় আপনার হাতেই থাকা উচিত। দিনের বেশির ভাগ সময় শান্তিপূর্ণ কাটবে। তবে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই বিপদ। যেমন, 'আজ দুপুরের খাবারটা নিজেই বানাব'—এই হঠকারী সিদ্ধান্তটি রান্নাঘরের সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। আজ নীরবতার আরাধনা করুন। শান্তি এতটাই প্রবল হবে যে, মশা কামড়ালেও তার আওয়াজ শুনতে পাবেন।
সিংহ
আত্মবিশ্বাস আজ আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে আর তাতে বাড়ির পরিবেশও অনুকূল হবে। আপনি যা বলবেন, সবাই তাতে সম্মতি দেবে—হয়তো ভয় পেয়ে, নয়তো সত্যি সত্যিই আপনার কথা কাজের কথা। অবিবাহিতদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দারুণ দিন। তবে মনে রাখবেন, অতি আত্মবিশ্বাস আর অহংকারের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি সুতা আছে, সেটা যেন ছিঁড়ে না যায়। আজ কাউকে আপনার জীবনের প্ল্যান জিজ্ঞেস করবেন না। উত্তর শুনে আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে, আর এই মুহূর্তে সেটা মোটেও কাম্য নয়।
কন্যা
আজ সন্তানদের নিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা বজায় থাকবে, কারণ, তারা হয়তো প্রথমবার আপনার কথা শুনবে (যদিও সেটা মাত্র ৫ মিনিটের জন্য)। প্রিয়জন থেকে উপহার পাওয়ার যোগ আছে। সাবধান! উপহারটি হয়তো এমন কোনো জিনিস হবে, যেটা আপনি কোনোদিনই ব্যবহার করবেন না, কিন্তু লোকদেখানো হাসি দিয়ে সেটি বরণ করে নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন, কারণ, আপনার দুশ্চিন্তাগুলো বাস্তবে ঘটে না। স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাববেন না। বেশি ভাবলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়, এটা প্রমাণিত!
তুলা
একাধিক উপার্জনের পথ খুলতে পারে, কিন্তু আপনার আলস্য সেই পথে প্রথম এবং প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কাজের চাপ বাড়তে পারে, যার ফলস্বরূপ মাথায় যন্ত্রণা হতে পারে। এই যন্ত্রণা কাজের জন্য নয়, বরং এত উপার্জনের সুযোগ দেখেও আলস্যের কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকার অনুশোচনা থেকে হবে। আজ কফি খেতে ভুলে যাবেন না। কফিই আজ আপনার 'আলস্যনাশক' মহৌষধ। তবে কফিটা বানাবে কে, সেটা আর জিজ্ঞেস করবেন না যেন!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে ব্যবসায় অপ্রত্যাশিত সাফল্য আসতে পারে। আপনার সাফল্যের খবর শুনে পুরোনো শত্রুরা হিংসায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হবে। আপনার শান্তির অভাব হবে, কারণ, সবাই আপনার সাফল্যের রহস্য জানতে চাইবে এবং আপনাকে ক্রমাগত বিরক্ত করবে। আপনার সফলতার রহস্য জানতে চাইলে বলুন, 'ওসব কপালের লিখন, আমার কোনো হাত নেই!' আর সঙ্গে একটা রহস্যময় হাসি দিন।
ধনু
আজকের দিনটি উত্তেজনা ও বিভ্রান্তির মিশ্রণ। হয়তো ঠিক করবেন, আজ সারা দিন খুব মন দিয়ে কাজ করবেন আর পরের মুহূর্তে নিজেকে আবিষ্কার করবেন, ইউটিউবে বিড়ালের ভিডিও দেখছেন। আত্মপর্যালোচনা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হবে। ভ্রমণের যোগ আছে, তবে মনে রাখবেন, সেই ভ্রমণ হয়তো আপনার ঘর থেকে রান্নাঘর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিছুতেই মন বসাতে না পারলে দুই মিনিট চোখ বন্ধ করে ভাবুন—আজ রাতে ডিনারে কী খাবেন? জীবন তার লক্ষ্য খুঁজে পাবে।
মকর
দলের সদস্যদের সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হতে পারে। হতে পারে, সহকর্মী আপনার পছন্দের লাঞ্চবক্সটা ভুল করে নিজের মনে করে নিয়ে গেছে আর আপনি তাতেই অগ্নিশর্মা। এ ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রাখাটা জরুরি। নয়তো একটি ছোট লাঞ্চবক্সের ঝামেলা বড় প্রজেক্টের সর্বনাশ করবে। যদি রাগ সামলাতে না পারেন, তবে ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। আর যদি লাঞ্চবক্স সত্যি সত্যি হারিয়ে গিয়ে থাকে, তবে আজকে নিজে বাইরে থেকে কিছু অর্ডার করে খেয়ে নিন।
কুম্ভ
কর্মজীবনে আজ আপনার রকেট গতি। নতুন প্রজেক্টে সাফল্য ও আত্মবিশ্বাস দুটাই বাড়বে। অন্য দিকে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামান্য সতর্ক থাকুন—আপনার রকেট গতির সঙ্গে সঙ্গীর শান্ত গতির তাল নাও মিলতে পারে। আর্থিক অবস্থা অস্থির থাকবে, বিশেষত রাতে ওয়ালেট আপনাকে হতাশ করতে পারে। পেশাগত সাফল্যে এতটাই মুগ্ধ হবেন না যে নিজের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও ভুলে যাবেন। অর্থভাগ্যকে স্থির রাখতে আজ বড় কোনো কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন।
মীন
আজ প্রেম ও বোঝাপড়ার পরিবেশে সমৃদ্ধ বোধ করবেন। আশপাশের মানুষজন আজ এতটাই মিষ্টি কথা বলবে যে, আপনার দাঁতে ক্যাভিটি হয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে দিনটি বেশ আবেগপ্রবণ ও শান্তিময়। তবে অতি আবেগে ভেসে গিয়ে কাউকে সব গোপন কথা বলে দেবেন না, কারণ, গ্রহরা শুধু আজকের জন্যই এই সুখ দিচ্ছে। দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন। আর যখন খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন, তখন একটা অঙ্ক কষতে বসুন। বাস্তবতা ফিরতে বাধ্য।

সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
১৮ মিনিট আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
৩ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সারা বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন নিজেদের তো বটেই, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে মিলেনিয়ালদের মধ্যেও। যাঁদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ উত্থানের অংশ হয়ে আছেন।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

আজ গ্রহরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এর মানে হলো—গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি লিখতে গিয়ে বারবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে অথবা বস যখন চরম গম্ভীর কথা বলবেন, ঠিক তখনই আপনার পেটে এমন গ্যাস হবে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
৩ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সারা বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন নিজেদের তো বটেই, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে মিলেনিয়ালদের মধ্যেও। যাঁদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ উত্থানের অংশ হয়ে আছেন।
৫ ঘণ্টা আগেসুমন্ত গুপ্ত

বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়। তাই তো রহস্যপিয়াসি পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখর উৎলার পাড়ের পোড়ামাটির পথ।
গ্রামের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে পোড়ামাটির একটি টিলা। স্থানীয়দের কাছে সেটি আগুন পাহাড় নামে পরিচিত। টিলার গায়ে অনেক ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্ত দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই দপ করে আগুন জ্বলে। শোনা গেল, ৭০ বছর ধরে গ্যাস এভাবেই নির্গমন হচ্ছে এই টিলা দিয়ে।
টিলা থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই দেখা মিলবে আরও একটি তাক লাগানো পুকুরের। ৭০ বছর ধরে এই পুকুরের পানি দিয়ে বুদ্বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। বুদ্বুদ থেকে সৃষ্ট ফেনা জমিয়ে আগুন দিলে পুকুরের পানিতেও আগুন জ্বলে ওঠে! সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার উৎলার পাড় গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এই টিলার।
২. ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা। ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাঝে মোবাইল ফোন বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম, আমাদের ভ্রমণের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নক দিচ্ছেন একজন। ক্রমে অন্য ভ্রমণসঙ্গীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় হয়ে উঠলেন। সবাই আশপাশে হলেও ঘুরতে যেতে চান। এরপর মাথায় এল সিলেটের হরিপুরের আগুন পাহাড়ের কথা। ছোটবেলায় অনেক শুনেছি তার গল্প। আমার প্রস্তাবে সবাই একবাক্যে রাজি। ঠিক হলো, দুপুরের পর রওনা দেওয়া হবে।
পরদিন যথাসময়ে ভ্রমণ গ্রুপের সবাই এসে উপস্থিত। নাগরিক পরিবেশ ছেড়ে চার চাকার বাহন এগিয়ে চলল আগুন পাহাড় পানে। সময় যেন ফুরাচ্ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমরা উপস্থিত হলাম কাছাকাছি। সামনে গেলেই আগুন পাহাড়। তার প্রায় আধা কিলোমিটার এগিয়ে গেলে পাওয়া যাবে সেই বিস্ময়কর পুকুরের দেখা, যেখানে পানিতে আগুন জ্বলে।

আমরা গাড়ির থেকে নেমে পদব্রজে এগিয়ে যেতে লাগলাম। বাঁ পাশে সবুজ ধানখেত, তার পাশে আগুন পাহাড়। সূর্যে প্রভায় আগুনের রূপ দেখা যাচ্ছিল না ঠিকমতো। তবে আগুনের উষ্ণতা ঠাহর করা যাচ্ছে। ভ্রমণসঙ্গীরা যে যার মতো ছবি তোলায় মগ্ন হয়ে পড়লেন। আমি আর বাকি থাকি কেন! দিন ছোট, তাই এখনই পুকুরপানে না গেলে রাত হয়ে যাবে। তাই আমরা দৌড় লাগালাম সেদিকে।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পায় তৎকালীন পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)। গ্যাস তোলার জন্য সে বছরেই কূপ খননের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সে জন্য অনুসন্ধানে ব্যবহৃত সব যন্ত্রপাতি এবং নির্মিত ভবন ভূগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভূমিধসে ওই জায়গায় পুকুরের মতো গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে গর্তের পানিতে সব সময় বুদ্বুদ দেখা যায়। সেখানে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই পানিতে আগুন ধরে যায়।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এখানে শাহ আহমদ আলী নামের একজন কামেল পীরের মাজার রয়েছে। গ্যাস কূপ খননের সময় তিনি নিষেধ করে অন্য জায়গা থেকে গ্যাস তোলার কথা বলেন। না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও তিনি সাবধান করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই পীরের কথা না শুনে কূপ খনন করায় সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মাটি উড়ে গিয়ে এবং মাটি ধসে পুকুর আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়। এই পুকুরের গভীরতা আজও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের পর বেশ কিছুদিন পুরো এলাকায় আগুন জ্বলতে থাকে। কোনোভাবে সেই আগুন নেভাতে না পেরে সেই পীরের দ্বারস্থ হয় গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কামেল পীরের ‘ফুঁ’ দেওয়া বালু ছিটানো হলে জ্বলন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে!

গল্প যা-ই হোক। বিস্ফোরণের পর থেকে গর্তে বুদ্বুদ দেখা দেওয়ায় ওই গ্রামের নামকরণ হয় উৎলার পাড়। পানি থেকে গ্যাস উথলে ওঠার কারণে এই নামকরণ। আমরা এগিয়ে চলেছি পুকুরপানে। পথিমধ্যে দোকান থেকে দেশলাই বক্স কিনে নেওয়া হলো পুকুরের পানিতে আগুন জ্বালানোর জন্য। আমি মনে মনে ভাবলাম, পানিতে আবার কীভাবে আগুন জ্বলবে!
পুকুরের কাছে পৌঁছতেই শোঁ শোঁ শব্দ কানে এল। পানিতে দেখা গেল বুদ্বুদ। আমাদের মতো অনেকে এসেছেন এখানে। কেউ কেউ আবার ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে পানিতে ফেলে দেখার চেষ্টা করছেন, আগুন কি ঠিকই জ্বলে পানিতে! সবার মতো আমরাও বেশ চেষ্টা করলাম। কিন্তু অন্য সবার মতো বিফল হলাম।

এর মাঝে দেখা হলো কিশোর মহসিনের সঙ্গে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ঠিকই কি পানিতে আগুন জ্বলে? আমরা তো জ্বালাতে পারলাম না। পানিতে ম্যাচের কাঠি পড়ার আগেই নিভে যায়। এবার মহসিন পানিতে নেমে আমাদের দেখাল কীভাবে পানিতে আগুন জ্বলে। এদিকে সূর্য পাটে যাচ্ছে। মহসিনের ম্যাজিক দেখে আমরা আগুন পাহাড়ের দিকে ফিরে চললাম। সেখানে ধানখেতের পাশে মানুষের জটলা দেখা গেল। আমরা এগিয়ে গেলাম সেদিকে। দেখা গেল, সেখানে মাটিতে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে! আঁধার ঘনিয়ে আসায় আগুনের আলোর ছটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। আগুন পাহাড়ের গর্তগুলোর ভেতরে আগুন জ্বলছে। আমি চেষ্টা করলাম মোবাইল ফোনে ছবি তোলার। এ এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা।
কীভাবে যাবেন
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।

বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়। তাই তো রহস্যপিয়াসি পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখর উৎলার পাড়ের পোড়ামাটির পথ।
গ্রামের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে পোড়ামাটির একটি টিলা। স্থানীয়দের কাছে সেটি আগুন পাহাড় নামে পরিচিত। টিলার গায়ে অনেক ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্ত দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে। দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই দপ করে আগুন জ্বলে। শোনা গেল, ৭০ বছর ধরে গ্যাস এভাবেই নির্গমন হচ্ছে এই টিলা দিয়ে।
টিলা থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই দেখা মিলবে আরও একটি তাক লাগানো পুকুরের। ৭০ বছর ধরে এই পুকুরের পানি দিয়ে বুদ্বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। বুদ্বুদ থেকে সৃষ্ট ফেনা জমিয়ে আগুন দিলে পুকুরের পানিতেও আগুন জ্বলে ওঠে! সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার উৎলার পাড় গ্রামে গেলে দেখা মিলবে এই টিলার।
২. ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা। ঘুমাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাঝে মোবাইল ফোন বেজে উঠল। তাকিয়ে দেখলাম, আমাদের ভ্রমণের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নক দিচ্ছেন একজন। ক্রমে অন্য ভ্রমণসঙ্গীরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় হয়ে উঠলেন। সবাই আশপাশে হলেও ঘুরতে যেতে চান। এরপর মাথায় এল সিলেটের হরিপুরের আগুন পাহাড়ের কথা। ছোটবেলায় অনেক শুনেছি তার গল্প। আমার প্রস্তাবে সবাই একবাক্যে রাজি। ঠিক হলো, দুপুরের পর রওনা দেওয়া হবে।
পরদিন যথাসময়ে ভ্রমণ গ্রুপের সবাই এসে উপস্থিত। নাগরিক পরিবেশ ছেড়ে চার চাকার বাহন এগিয়ে চলল আগুন পাহাড় পানে। সময় যেন ফুরাচ্ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমরা উপস্থিত হলাম কাছাকাছি। সামনে গেলেই আগুন পাহাড়। তার প্রায় আধা কিলোমিটার এগিয়ে গেলে পাওয়া যাবে সেই বিস্ময়কর পুকুরের দেখা, যেখানে পানিতে আগুন জ্বলে।

আমরা গাড়ির থেকে নেমে পদব্রজে এগিয়ে যেতে লাগলাম। বাঁ পাশে সবুজ ধানখেত, তার পাশে আগুন পাহাড়। সূর্যে প্রভায় আগুনের রূপ দেখা যাচ্ছিল না ঠিকমতো। তবে আগুনের উষ্ণতা ঠাহর করা যাচ্ছে। ভ্রমণসঙ্গীরা যে যার মতো ছবি তোলায় মগ্ন হয়ে পড়লেন। আমি আর বাকি থাকি কেন! দিন ছোট, তাই এখনই পুকুরপানে না গেলে রাত হয়ে যাবে। তাই আমরা দৌড় লাগালাম সেদিকে।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পায় তৎকালীন পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)। গ্যাস তোলার জন্য সে বছরেই কূপ খননের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সে জন্য অনুসন্ধানে ব্যবহৃত সব যন্ত্রপাতি এবং নির্মিত ভবন ভূগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভূমিধসে ওই জায়গায় পুকুরের মতো গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে গর্তের পানিতে সব সময় বুদ্বুদ দেখা যায়। সেখানে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেই পানিতে আগুন ধরে যায়।
অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এখানে শাহ আহমদ আলী নামের একজন কামেল পীরের মাজার রয়েছে। গ্যাস কূপ খননের সময় তিনি নিষেধ করে অন্য জায়গা থেকে গ্যাস তোলার কথা বলেন। না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেও তিনি সাবধান করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই পীরের কথা না শুনে কূপ খনন করায় সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মাটি উড়ে গিয়ে এবং মাটি ধসে পুকুর আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়। এই পুকুরের গভীরতা আজও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের পর বেশ কিছুদিন পুরো এলাকায় আগুন জ্বলতে থাকে। কোনোভাবে সেই আগুন নেভাতে না পেরে সেই পীরের দ্বারস্থ হয় গ্যাস কর্তৃপক্ষ। কামেল পীরের ‘ফুঁ’ দেওয়া বালু ছিটানো হলে জ্বলন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে!

গল্প যা-ই হোক। বিস্ফোরণের পর থেকে গর্তে বুদ্বুদ দেখা দেওয়ায় ওই গ্রামের নামকরণ হয় উৎলার পাড়। পানি থেকে গ্যাস উথলে ওঠার কারণে এই নামকরণ। আমরা এগিয়ে চলেছি পুকুরপানে। পথিমধ্যে দোকান থেকে দেশলাই বক্স কিনে নেওয়া হলো পুকুরের পানিতে আগুন জ্বালানোর জন্য। আমি মনে মনে ভাবলাম, পানিতে আবার কীভাবে আগুন জ্বলবে!
পুকুরের কাছে পৌঁছতেই শোঁ শোঁ শব্দ কানে এল। পানিতে দেখা গেল বুদ্বুদ। আমাদের মতো অনেকে এসেছেন এখানে। কেউ কেউ আবার ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে পানিতে ফেলে দেখার চেষ্টা করছেন, আগুন কি ঠিকই জ্বলে পানিতে! সবার মতো আমরাও বেশ চেষ্টা করলাম। কিন্তু অন্য সবার মতো বিফল হলাম।

এর মাঝে দেখা হলো কিশোর মহসিনের সঙ্গে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ঠিকই কি পানিতে আগুন জ্বলে? আমরা তো জ্বালাতে পারলাম না। পানিতে ম্যাচের কাঠি পড়ার আগেই নিভে যায়। এবার মহসিন পানিতে নেমে আমাদের দেখাল কীভাবে পানিতে আগুন জ্বলে। এদিকে সূর্য পাটে যাচ্ছে। মহসিনের ম্যাজিক দেখে আমরা আগুন পাহাড়ের দিকে ফিরে চললাম। সেখানে ধানখেতের পাশে মানুষের জটলা দেখা গেল। আমরা এগিয়ে গেলাম সেদিকে। দেখা গেল, সেখানে মাটিতে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে! আঁধার ঘনিয়ে আসায় আগুনের আলোর ছটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। আগুন পাহাড়ের গর্তগুলোর ভেতরে আগুন জ্বলছে। আমি চেষ্টা করলাম মোবাইল ফোনে ছবি তোলার। এ এক অন্য রকমের অভিজ্ঞতা।
কীভাবে যাবেন
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।
সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট কিংবা ধোপাদীঘির পাড় থেকে জাফলং অভিমুখী বাস, অটোরিকশা ও লেগুনায় উঠে নামতে হবে হরিপুর বাজারে। সময় লাগবে ৫০-৫৫ মিনিট। এরপর হরিপুর বাজারে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যেতে হবে উৎলার পাড়ে। জাফলং বা লালাখাল ঘুরতে গেলে হরিপুর হয়েই যেতে হয়। চাইলে খুব অল্প সময়ে জাফলং ভ্রমণের সঙ্গে আগুন পাহাড় ঘুরে দেখতে পারবেন সহজে।

আজ গ্রহরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এর মানে হলো—গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি লিখতে গিয়ে বারবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে অথবা বস যখন চরম গম্ভীর কথা বলবেন, ঠিক তখনই আপনার পেটে এমন গ্যাস হবে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
১৮ মিনিট আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সারা বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন নিজেদের তো বটেই, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে মিলেনিয়ালদের মধ্যেও। যাঁদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ উত্থানের অংশ হয়ে আছেন।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে। তবে স্যাভিলস হোটেলস এবং আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ওয়াটসন ফারলে অ্যান্ড উইলিয়ামস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশটির পর্যটন পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, নিজ দেশে ভিয়েতনামের অধিবাসীদের ভ্রমণ এবং দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন বন্যা-পরবর্তী বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে।
পর্যটকদের আগমন ও প্রবৃদ্ধির চিত্র
২০২৪ সালে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে ১৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। এর ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক দেশটি ঘুরে গেছে। বছর শেষে ২৫ মিলিয়ন পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে ভিয়েতনাম। তবে গত এক দশকে ভিয়েতনামের মিডস্কেল থেকে বিলাসবহুল হোটেলের কক্ষের সংখ্যা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হারে উন্নীত হয়েছে। এই সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। দেশটিতে মোট হোটেল কক্ষের প্রায় ৬০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত, যা রিসোর্টভিত্তিক পর্যটনকে বেশ শক্তিশালী করেছে। এদিকে দেশটির মূল গন্তব্যগুলোতে হোটেলের কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
দা নাং এবং নাহা ট্রাং-এর রিসোর্টগুলোতে নিয়মিতভাবে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের বেশি বুকিং হচ্ছে। এ ছাড়া ফু কোওক-এ বার্ষিক বুকিং বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
বিনিয়োগের সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের আকর্ষণ
ভিয়েতনামে পর্যটনের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন, নতুন সরবরাহের ধীরগতি এবং প্রিমিয়াম অফারগুলোর দিকে চাহিদা স্থানান্তরিত হওয়ায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে স্যাভিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনামের দেশীয় ডেভেলপাররা এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ স্টক নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় ৬৮ শতাংশ হোটেলমালিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি সংস্কার, পুনঃস্থাপন কিংবা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্থাপনের জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভিয়েতনামে প্রায় ৯০টি আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড কাজ করছে। আগামী তিন বছরে এই সংখ্যা ১৩০টির বেশি হতে পারে। স্থানীয় এবং বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীই উপকূলীয় জমি, পুনর্নির্মাণের সম্ভাবনাসহ সম্পদ কেনার দিকে ঝুঁকছেন।
অবকাঠামো উন্নয়ন
ভিয়েতনামের পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিকে সাহায্য করছে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো। এসব প্রকল্প আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে সহায়তা করছে। লং থান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নোই বাই এর সম্প্রসারণ এবং নতুন গিয়া বিন বিমানবন্দরের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিয়েতনামে। নর্থ-সাউথ এক্সপ্রেসওয়ের মতো প্রকল্পগুলো দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও সহজ করে তুলছে। স্যাভিলস হোটেলস এশিয়া প্যাসিফিকের সিনিয়র ডিরেক্টর মাউরো গ্যাসপারোত্তি বলেছেন, ‘চাহিদার মৌলিক উন্নতি এবং হো চি মিন সিটি ও হ্যানয়ের মতো শহরগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় ভিয়েতনাম এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ রিটার্ন সুযোগ সন্ধানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য।’

কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে। তবে স্যাভিলস হোটেলস এবং আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ওয়াটসন ফারলে অ্যান্ড উইলিয়ামস প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেশটির পর্যটন পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, নিজ দেশে ভিয়েতনামের অধিবাসীদের ভ্রমণ এবং দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমন বন্যা-পরবর্তী বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে।
পর্যটকদের আগমন ও প্রবৃদ্ধির চিত্র
২০২৪ সালে ভিয়েতনাম ভ্রমণ করেছে ১৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক। এর ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ১৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক দেশটি ঘুরে গেছে। বছর শেষে ২৫ মিলিয়ন পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে ভিয়েতনাম। তবে গত এক দশকে ভিয়েতনামের মিডস্কেল থেকে বিলাসবহুল হোটেলের কক্ষের সংখ্যা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির হারে উন্নীত হয়েছে। এই সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ। দেশটিতে মোট হোটেল কক্ষের প্রায় ৬০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত, যা রিসোর্টভিত্তিক পর্যটনকে বেশ শক্তিশালী করেছে। এদিকে দেশটির মূল গন্তব্যগুলোতে হোটেলের কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
দা নাং এবং নাহা ট্রাং-এর রিসোর্টগুলোতে নিয়মিতভাবে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের বেশি বুকিং হচ্ছে। এ ছাড়া ফু কোওক-এ বার্ষিক বুকিং বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
বিনিয়োগের সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের আকর্ষণ
ভিয়েতনামে পর্যটনের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন, নতুন সরবরাহের ধীরগতি এবং প্রিমিয়াম অফারগুলোর দিকে চাহিদা স্থানান্তরিত হওয়ায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে স্যাভিলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ভিয়েতনামের দেশীয় ডেভেলপাররা এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ স্টক নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় ৬৮ শতাংশ হোটেলমালিকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি সংস্কার, পুনঃস্থাপন কিংবা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্থাপনের জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভিয়েতনামে প্রায় ৯০টি আন্তর্জাতিক হোটেল ব্র্যান্ড কাজ করছে। আগামী তিন বছরে এই সংখ্যা ১৩০টির বেশি হতে পারে। স্থানীয় এবং বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীই উপকূলীয় জমি, পুনর্নির্মাণের সম্ভাবনাসহ সম্পদ কেনার দিকে ঝুঁকছেন।
অবকাঠামো উন্নয়ন
ভিয়েতনামের পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিকে সাহায্য করছে বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো। এসব প্রকল্প আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে সহায়তা করছে। লং থান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নোই বাই এর সম্প্রসারণ এবং নতুন গিয়া বিন বিমানবন্দরের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিয়েতনামে। নর্থ-সাউথ এক্সপ্রেসওয়ের মতো প্রকল্পগুলো দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও সহজ করে তুলছে। স্যাভিলস হোটেলস এশিয়া প্যাসিফিকের সিনিয়র ডিরেক্টর মাউরো গ্যাসপারোত্তি বলেছেন, ‘চাহিদার মৌলিক উন্নতি এবং হো চি মিন সিটি ও হ্যানয়ের মতো শহরগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় ভিয়েতনাম এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উচ্চ রিটার্ন সুযোগ সন্ধানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য।’

আজ গ্রহরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এর মানে হলো—গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি লিখতে গিয়ে বারবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে অথবা বস যখন চরম গম্ভীর কথা বলবেন, ঠিক তখনই আপনার পেটে এমন গ্যাস হবে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
১৮ মিনিট আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন নিজেদের তো বটেই, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে মিলেনিয়ালদের মধ্যেও। যাঁদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ উত্থানের অংশ হয়ে আছেন।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন নিজেদের তো বটেই, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে মিলেনিয়ালদের মধ্যেও।
যাঁদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ উত্থানের অংশ হয়ে আছেন। এই বয়সী জনসংখ্যার একটা বড় অংশ কাজ শুরু করার আগে ভ্রমণের বিরতি নেওয়ার পক্ষে। এ ছাড়া তাঁরা পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরুর আগে নিজেদের সম্পর্কে আরও জানতে ব্যাক প্যাকিং ট্রিপ ব্যবহারের পথ বেছে নিচ্ছেন।
ভ্রমণের এই উত্থানের ফলে নির্দিষ্ট কিছু খাত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজমে আগ্রহ প্রকাশকারী মানুষের সংখ্যা বাড়া। ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজম মানে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ করা। চীনে এটি একটি বড় অর্থকরী খাতে পরিণত হয়েছে।
ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজম কী
ঘোড়ার পিঠে চড়ে একটি নতুন দেশ বা জায়গা দেখাই হলো ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজম। এটি পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এলাকায় দুঃসাহসিক ট্রেক সহজ করে দেয়। চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া ও তিব্বত মালভূমি এলাকায় এটি বেশ জনপ্রিয়। অনেকে এখন বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো শহরগুলোতেও ঘোড়ায় চড়তে পছন্দ করছে।
চীনে পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়িয়ে এমন সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেগুলো গাড়ি অথবা উড়োজাহাজে ভ্রমণের সময় এড়িয়ে যায় পর্যটকেরা।
তিব্বত মালভূমি
এই অঞ্চলে ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজমের প্রবণতা বেশি। এখানে পর্যটকেরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে গহিন জায়গাগুলোয় ঘুরে বেড়ায়। ভ্রমণের সময় আন্দো ও খাম অঞ্চলের মতো স্থানে স্থানীয় যাযাবরদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় পর্যটকদের। জানা যায় তাদের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে।
ইনার মঙ্গোলিয়া
ইনার মঙ্গোলিয়া চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোলিয়ার ঘোড়সওয়ার সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের সন্ধান এখানে পাওয়া যায়। চীনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই বিস্তীর্ণ জায়গায় আছে তৃণভূমি, গোবি মরুভূমি, হ্রদ, অর্ডোস মালভূমি ও জাঙ্গার বেসিন। তবে এসব জায়গা ঘোড়ায় চড়ার জন্য আদর্শ।
শহুরে এলাকা
ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের জন্য শুধু গ্রামীণ এলাকাই আকর্ষণ করছে না; এতে আছে শহুরে এলাকাও। এ সময়ে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের কারণে চীনের ইকুয়েস্ট্রিয়ান রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন স্থানেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভ্রমণকারী দেখা গেছে।
কেন ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ জনপ্রিয়
সোশ্যাল মিডিয়া
ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের জনপ্রিয়তা বাড়ার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। প্রথমত, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ঘোড়ায় চড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছে চিত্তাকর্ষকভাবে। এসব ভিডিও কনটেন্ট মানুষকে আকর্ষণ ও উদ্বুদ্ধ করছে।
কোভিড-১৯
আরেকটি কারণ মহামারি-পরবর্তী ভ্রমণের প্রবণতা। কোভিড-১৯ ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পর থেকে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই নতুন ভ্রমণকারীরা প্রথাগত ভ্রমণের বাইরে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আনছে। ফলে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের মতো কর্মকাণ্ডগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
খাঁটি রোমাঞ্চের অভিজ্ঞতা
ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ মিলেনিয়ালদের জন্য এতটা উপযোগী হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, এই জনগোষ্ঠী আসলে খাঁটি রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে।
মননশীল ভ্রমণ
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওপর জোর দেওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী ২১ শতাংশ ভ্রমণকারী স্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রয়োজনে ভ্রমণ করেন। এটি সরাসরি ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের সঙ্গে সংযুক্ত। কারণ, ঘোড়া মানসিক সুস্থতায় সাহায্য করার জন্য বিখ্যাত।

সারা বিশ্বের বিপুলসংখ্যক মানুষ এখন নিজেদের তো বটেই, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে মিলেনিয়ালদের মধ্যেও।
যাঁদের বয়স ২৯ থেকে ৪৪ বছর, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ উত্থানের অংশ হয়ে আছেন। এই বয়সী জনসংখ্যার একটা বড় অংশ কাজ শুরু করার আগে ভ্রমণের বিরতি নেওয়ার পক্ষে। এ ছাড়া তাঁরা পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরুর আগে নিজেদের সম্পর্কে আরও জানতে ব্যাক প্যাকিং ট্রিপ ব্যবহারের পথ বেছে নিচ্ছেন।
ভ্রমণের এই উত্থানের ফলে নির্দিষ্ট কিছু খাত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজমে আগ্রহ প্রকাশকারী মানুষের সংখ্যা বাড়া। ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজম মানে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ করা। চীনে এটি একটি বড় অর্থকরী খাতে পরিণত হয়েছে।
ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজম কী
ঘোড়ার পিঠে চড়ে একটি নতুন দেশ বা জায়গা দেখাই হলো ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজম। এটি পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এলাকায় দুঃসাহসিক ট্রেক সহজ করে দেয়। চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া ও তিব্বত মালভূমি এলাকায় এটি বেশ জনপ্রিয়। অনেকে এখন বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো শহরগুলোতেও ঘোড়ায় চড়তে পছন্দ করছে।
চীনে পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়িয়ে এমন সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেগুলো গাড়ি অথবা উড়োজাহাজে ভ্রমণের সময় এড়িয়ে যায় পর্যটকেরা।
তিব্বত মালভূমি
এই অঞ্চলে ইকুয়েস্ট্রিয়ান ট্যুরিজমের প্রবণতা বেশি। এখানে পর্যটকেরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে গহিন জায়গাগুলোয় ঘুরে বেড়ায়। ভ্রমণের সময় আন্দো ও খাম অঞ্চলের মতো স্থানে স্থানীয় যাযাবরদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় পর্যটকদের। জানা যায় তাদের জীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে।
ইনার মঙ্গোলিয়া
ইনার মঙ্গোলিয়া চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোলিয়ার ঘোড়সওয়ার সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের সন্ধান এখানে পাওয়া যায়। চীনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই বিস্তীর্ণ জায়গায় আছে তৃণভূমি, গোবি মরুভূমি, হ্রদ, অর্ডোস মালভূমি ও জাঙ্গার বেসিন। তবে এসব জায়গা ঘোড়ায় চড়ার জন্য আদর্শ।
শহুরে এলাকা
ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের জন্য শুধু গ্রামীণ এলাকাই আকর্ষণ করছে না; এতে আছে শহুরে এলাকাও। এ সময়ে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের কারণে চীনের ইকুয়েস্ট্রিয়ান রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন স্থানেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভ্রমণকারী দেখা গেছে।
কেন ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ জনপ্রিয়
সোশ্যাল মিডিয়া
ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের জনপ্রিয়তা বাড়ার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। প্রথমত, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ঘোড়ায় চড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরছে চিত্তাকর্ষকভাবে। এসব ভিডিও কনটেন্ট মানুষকে আকর্ষণ ও উদ্বুদ্ধ করছে।
কোভিড-১৯
আরেকটি কারণ মহামারি-পরবর্তী ভ্রমণের প্রবণতা। কোভিড-১৯ ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পর থেকে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এই নতুন ভ্রমণকারীরা প্রথাগত ভ্রমণের বাইরে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আনছে। ফলে ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের মতো কর্মকাণ্ডগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
খাঁটি রোমাঞ্চের অভিজ্ঞতা
ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণ মিলেনিয়ালদের জন্য এতটা উপযোগী হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, এই জনগোষ্ঠী আসলে খাঁটি রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে।
মননশীল ভ্রমণ
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ওপর জোর দেওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী ২১ শতাংশ ভ্রমণকারী স্বাস্থ্য ও সুস্থতার প্রয়োজনে ভ্রমণ করেন। এটি সরাসরি ঘোড়ায় চড়ে ভ্রমণের সঙ্গে সংযুক্ত। কারণ, ঘোড়া মানসিক সুস্থতায় সাহায্য করার জন্য বিখ্যাত।

আজ গ্রহরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। এর মানে হলো—গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি লিখতে গিয়ে বারবার ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে অথবা বস যখন চরম গম্ভীর কথা বলবেন, ঠিক তখনই আপনার পেটে এমন গ্যাস হবে যে হাসি চেপে রাখা কঠিন হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
১৮ মিনিট আগে
বন-পাহাড়ে ঘেরা জলের মঞ্চে আগুনের উৎসব! পোড়া পাহাড়ের বুকে অসংখ্য আগুনের চুল্লি থেকে সাপের মতো জিহ্বা নাড়ছে লেলিহান আগুন। সিলেটের পথে পথে সৌন্দর্যের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করে যেন রহস্যপুরী হয়ে উঠেছে উৎলার পাড়।
৩ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে ভিয়েতনামে হয়ে গেল ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা ভিয়েতনামের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় এই দেশের পর্যটনশিল্পে এর বড় প্রভাব পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে