তুষার মিয়া

আপনি খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নেয়—আহ্ মানুষটা কী ভালো! খুব মিশুক।
কিন্তু ভেতরে-ভেতরে আপনি আসলে উপলব্ধি করেন—মানুষ যা ভাবে তা আপনি নন। মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন। কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয়। আপনি নিজের সীমিত সার্কেল কিংবা নিজস্ব ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
আবার এমনও দেখা যায়, মানুষ আপনাকে যতটা চাপা স্বভাবের ভাবে, ততটা চাপা আপনি নন। জুতসই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন।
এই যে দ্বৈত স্বভাব নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে এটাকে কী বলে? এমনটা কেন হয়? এই ধরনের মানুষগুলো আসলে না চাপা স্বভাবের, না মিশুক। তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকেন।
মজার বিষয় হলো-প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাপা স্বভাব কিংবা ইনট্রোভার্ট মানুষেরা নিজের সঙ্গই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন। কিছুটা স্বার্থপরের মতো নিজেকে খুশি করেই তাঁরা বেছে থাকতে পছন্দ করেন। কোনো যানবাহনে চড়লে তাঁদের বেশির ভাগই জানালার পাশের সিটে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গাড়ি জোরে চলছে নাকি ধীরে, স্পিকারে কোন গান বাজছে কিংবা যাত্রীরা কি নিয়ে কথা বলছেন—এসব বিষয় জানার চেয়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্যে মন দেওয়াটাই তাঁরা বেশি উপভোগ করেন। এ ধরনের মানুষ শ্রোতা হিসেবে বেশ ভালো। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। সাধারণত চুপচাপ, লাজুক এবং স্বল্পভাষী হন। বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। তবে বন্ধুর জন্য এরা বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত থাকেন। কোনো কাজ করার আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।
এরা সামাজিক অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে চলেন। বেশির ভাগই পড়ুয়া স্বভাবের হন। খুব সহজে নিজের বিষয়ে কথা বলেন না। তবে মন মতো কাউকে পেলে তাঁর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেই কাটিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে যারা এক্সট্রোভার্ট বা মিশুক স্বভাবের—তাঁরা একদম অপরিচিত কারও সঙ্গেও প্রথম দেখায়ই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিতে পারেন। রাজনীতি, ক্রিকেট, বাজারের হালচাল—আলাপের বিষয় যা-ই হোক না কেন কথা চালিয়ে যেতে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। এমনকি সামনের লোকটি মনোযোগ দিয়ে কথা না শুনলেও তাঁদের কিছু যায় আসে না।
এ ধরনের ব্যক্তিরা মিশুক স্বভাবের হয়। ফলে সবার সঙ্গেই খুব সহজেই মিশতে পারেন। হুজুগে এরা নানা কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে ফেলেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন হুট হাট। এ জন্য অবশ্য তাঁরা অনেক সময় ঝামেলায়ও পড়েন। এরা একা থাকতে পারেন না মোটেও। এমনকি প্রয়োজনে কোথাও একা যেতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সব সময় সঙ্গী হিসেবে তাঁদের কাউকে না কাউকে লাগবেই।
তবে মিশুক মানুষের নেতৃত্বগুণ অনেক বেশি হয়। আগ বাড়িয়ে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়াও তাঁদের স্বভাব। সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে বিপদে পড়েন। কোনো কথা পেটের ভেতর রাখতে পারে না।
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক্সট্রোভার্টদের উপস্থিতি খুব বেশি হয়। এরা নিজেদের প্রতিভাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করতে ভালোবাসেন। এক্সট্রোভার্ট এবং ইনট্রোভার্টের বাইরের আর এক প্রজাতির মানুষ আছে যাদের বলা হয় অ্যাম্বিভার্ট।
এরা নতুন মানুষের সঙ্গে সহজেই পরিচিত হতে পারে তবে সহজেই কাউকে ঘনিষ্ঠ বানায় না। বাইরে যেতে এদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ঘরে ফেরাটা তাঁদের কাছে অনেক স্বস্তিদায়ক। অ্যাম্বিভার্টেরা খুব দ্রুত পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং ভেতরে যেমনই হোক দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। পেশাদার জীবনে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে নিজের রং বদলে ফেলতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না। তবে নিজের বন্ধুদের সামনে তারা আবার একদম রিয়েল।
আবার ধরুন একজন মানুষ অনলাইনে খুব অ্যাকটিভ। একের পর এক ফেসবুক পোস্ট দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি দারুণ জনপ্রিয়। সেই লোকটা বাস্তব জীবনে হয়তো ভীষণ চাপা স্বভাবের। ফেসবুক ফ্রেন্ড বা অনুসারীদের সঙ্গে কোথাও দেখা হলে নিজের পরিচয়টাও দেন না। কেউ চিনে ফেললে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চান।
এসব বিষয় চিন্তা করলে মানসিকতার দিক দিয়ে আপনি চাপা স্বভাব, নাকি মিশুক, নাকি দুটিরই সংমিশ্রণে অ্যাম্বিভার্ট—এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। কেউ হয় তো কোনো একটি অংশে নিজেকে কল্পনা করে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার অনুভূতি নিচ্ছেন। তাঁদের উত্তেজনায় পানি ঢেলে বলতে হচ্ছে, এই তিন ধরনের মানুষের মধ্যে আসলে কেউই সেরা নয়। কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নয়। প্রত্যেকটা মানুষ আসলে ভিন্ন রকম।
আপনি যদি ইনট্রোভার্ট হন, তারপরও আপনার জন্য কোনো অনুপ্রেরণা কিংবা মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার ব্যক্তিত্বই চাপা স্বভাবের। এটা কোনো অস্বাভাবিকতা নয়। তাই নিজেকে বদলানোর মোটিভেশন না নিলেও তাঁদের দিব্যি চলে যায়।

আপনি খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নেয়—আহ্ মানুষটা কী ভালো! খুব মিশুক।
কিন্তু ভেতরে-ভেতরে আপনি আসলে উপলব্ধি করেন—মানুষ যা ভাবে তা আপনি নন। মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন। কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয়। আপনি নিজের সীমিত সার্কেল কিংবা নিজস্ব ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
আবার এমনও দেখা যায়, মানুষ আপনাকে যতটা চাপা স্বভাবের ভাবে, ততটা চাপা আপনি নন। জুতসই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন।
এই যে দ্বৈত স্বভাব নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে এটাকে কী বলে? এমনটা কেন হয়? এই ধরনের মানুষগুলো আসলে না চাপা স্বভাবের, না মিশুক। তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকেন।
মজার বিষয় হলো-প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাপা স্বভাব কিংবা ইনট্রোভার্ট মানুষেরা নিজের সঙ্গই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন। কিছুটা স্বার্থপরের মতো নিজেকে খুশি করেই তাঁরা বেছে থাকতে পছন্দ করেন। কোনো যানবাহনে চড়লে তাঁদের বেশির ভাগই জানালার পাশের সিটে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গাড়ি জোরে চলছে নাকি ধীরে, স্পিকারে কোন গান বাজছে কিংবা যাত্রীরা কি নিয়ে কথা বলছেন—এসব বিষয় জানার চেয়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্যে মন দেওয়াটাই তাঁরা বেশি উপভোগ করেন। এ ধরনের মানুষ শ্রোতা হিসেবে বেশ ভালো। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। সাধারণত চুপচাপ, লাজুক এবং স্বল্পভাষী হন। বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। তবে বন্ধুর জন্য এরা বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত থাকেন। কোনো কাজ করার আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।
এরা সামাজিক অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে চলেন। বেশির ভাগই পড়ুয়া স্বভাবের হন। খুব সহজে নিজের বিষয়ে কথা বলেন না। তবে মন মতো কাউকে পেলে তাঁর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেই কাটিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে যারা এক্সট্রোভার্ট বা মিশুক স্বভাবের—তাঁরা একদম অপরিচিত কারও সঙ্গেও প্রথম দেখায়ই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিতে পারেন। রাজনীতি, ক্রিকেট, বাজারের হালচাল—আলাপের বিষয় যা-ই হোক না কেন কথা চালিয়ে যেতে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। এমনকি সামনের লোকটি মনোযোগ দিয়ে কথা না শুনলেও তাঁদের কিছু যায় আসে না।
এ ধরনের ব্যক্তিরা মিশুক স্বভাবের হয়। ফলে সবার সঙ্গেই খুব সহজেই মিশতে পারেন। হুজুগে এরা নানা কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে ফেলেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন হুট হাট। এ জন্য অবশ্য তাঁরা অনেক সময় ঝামেলায়ও পড়েন। এরা একা থাকতে পারেন না মোটেও। এমনকি প্রয়োজনে কোথাও একা যেতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সব সময় সঙ্গী হিসেবে তাঁদের কাউকে না কাউকে লাগবেই।
তবে মিশুক মানুষের নেতৃত্বগুণ অনেক বেশি হয়। আগ বাড়িয়ে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়াও তাঁদের স্বভাব। সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে বিপদে পড়েন। কোনো কথা পেটের ভেতর রাখতে পারে না।
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক্সট্রোভার্টদের উপস্থিতি খুব বেশি হয়। এরা নিজেদের প্রতিভাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করতে ভালোবাসেন। এক্সট্রোভার্ট এবং ইনট্রোভার্টের বাইরের আর এক প্রজাতির মানুষ আছে যাদের বলা হয় অ্যাম্বিভার্ট।
এরা নতুন মানুষের সঙ্গে সহজেই পরিচিত হতে পারে তবে সহজেই কাউকে ঘনিষ্ঠ বানায় না। বাইরে যেতে এদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ঘরে ফেরাটা তাঁদের কাছে অনেক স্বস্তিদায়ক। অ্যাম্বিভার্টেরা খুব দ্রুত পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং ভেতরে যেমনই হোক দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। পেশাদার জীবনে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে নিজের রং বদলে ফেলতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না। তবে নিজের বন্ধুদের সামনে তারা আবার একদম রিয়েল।
আবার ধরুন একজন মানুষ অনলাইনে খুব অ্যাকটিভ। একের পর এক ফেসবুক পোস্ট দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি দারুণ জনপ্রিয়। সেই লোকটা বাস্তব জীবনে হয়তো ভীষণ চাপা স্বভাবের। ফেসবুক ফ্রেন্ড বা অনুসারীদের সঙ্গে কোথাও দেখা হলে নিজের পরিচয়টাও দেন না। কেউ চিনে ফেললে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চান।
এসব বিষয় চিন্তা করলে মানসিকতার দিক দিয়ে আপনি চাপা স্বভাব, নাকি মিশুক, নাকি দুটিরই সংমিশ্রণে অ্যাম্বিভার্ট—এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। কেউ হয় তো কোনো একটি অংশে নিজেকে কল্পনা করে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার অনুভূতি নিচ্ছেন। তাঁদের উত্তেজনায় পানি ঢেলে বলতে হচ্ছে, এই তিন ধরনের মানুষের মধ্যে আসলে কেউই সেরা নয়। কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নয়। প্রত্যেকটা মানুষ আসলে ভিন্ন রকম।
আপনি যদি ইনট্রোভার্ট হন, তারপরও আপনার জন্য কোনো অনুপ্রেরণা কিংবা মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার ব্যক্তিত্বই চাপা স্বভাবের। এটা কোনো অস্বাভাবিকতা নয়। তাই নিজেকে বদলানোর মোটিভেশন না নিলেও তাঁদের দিব্যি চলে যায়।
তুষার মিয়া

আপনি খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নেয়—আহ্ মানুষটা কী ভালো! খুব মিশুক।
কিন্তু ভেতরে-ভেতরে আপনি আসলে উপলব্ধি করেন—মানুষ যা ভাবে তা আপনি নন। মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন। কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয়। আপনি নিজের সীমিত সার্কেল কিংবা নিজস্ব ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
আবার এমনও দেখা যায়, মানুষ আপনাকে যতটা চাপা স্বভাবের ভাবে, ততটা চাপা আপনি নন। জুতসই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন।
এই যে দ্বৈত স্বভাব নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে এটাকে কী বলে? এমনটা কেন হয়? এই ধরনের মানুষগুলো আসলে না চাপা স্বভাবের, না মিশুক। তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকেন।
মজার বিষয় হলো-প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাপা স্বভাব কিংবা ইনট্রোভার্ট মানুষেরা নিজের সঙ্গই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন। কিছুটা স্বার্থপরের মতো নিজেকে খুশি করেই তাঁরা বেছে থাকতে পছন্দ করেন। কোনো যানবাহনে চড়লে তাঁদের বেশির ভাগই জানালার পাশের সিটে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গাড়ি জোরে চলছে নাকি ধীরে, স্পিকারে কোন গান বাজছে কিংবা যাত্রীরা কি নিয়ে কথা বলছেন—এসব বিষয় জানার চেয়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্যে মন দেওয়াটাই তাঁরা বেশি উপভোগ করেন। এ ধরনের মানুষ শ্রোতা হিসেবে বেশ ভালো। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। সাধারণত চুপচাপ, লাজুক এবং স্বল্পভাষী হন। বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। তবে বন্ধুর জন্য এরা বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত থাকেন। কোনো কাজ করার আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।
এরা সামাজিক অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে চলেন। বেশির ভাগই পড়ুয়া স্বভাবের হন। খুব সহজে নিজের বিষয়ে কথা বলেন না। তবে মন মতো কাউকে পেলে তাঁর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেই কাটিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে যারা এক্সট্রোভার্ট বা মিশুক স্বভাবের—তাঁরা একদম অপরিচিত কারও সঙ্গেও প্রথম দেখায়ই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিতে পারেন। রাজনীতি, ক্রিকেট, বাজারের হালচাল—আলাপের বিষয় যা-ই হোক না কেন কথা চালিয়ে যেতে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। এমনকি সামনের লোকটি মনোযোগ দিয়ে কথা না শুনলেও তাঁদের কিছু যায় আসে না।
এ ধরনের ব্যক্তিরা মিশুক স্বভাবের হয়। ফলে সবার সঙ্গেই খুব সহজেই মিশতে পারেন। হুজুগে এরা নানা কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে ফেলেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন হুট হাট। এ জন্য অবশ্য তাঁরা অনেক সময় ঝামেলায়ও পড়েন। এরা একা থাকতে পারেন না মোটেও। এমনকি প্রয়োজনে কোথাও একা যেতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সব সময় সঙ্গী হিসেবে তাঁদের কাউকে না কাউকে লাগবেই।
তবে মিশুক মানুষের নেতৃত্বগুণ অনেক বেশি হয়। আগ বাড়িয়ে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়াও তাঁদের স্বভাব। সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে বিপদে পড়েন। কোনো কথা পেটের ভেতর রাখতে পারে না।
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক্সট্রোভার্টদের উপস্থিতি খুব বেশি হয়। এরা নিজেদের প্রতিভাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করতে ভালোবাসেন। এক্সট্রোভার্ট এবং ইনট্রোভার্টের বাইরের আর এক প্রজাতির মানুষ আছে যাদের বলা হয় অ্যাম্বিভার্ট।
এরা নতুন মানুষের সঙ্গে সহজেই পরিচিত হতে পারে তবে সহজেই কাউকে ঘনিষ্ঠ বানায় না। বাইরে যেতে এদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ঘরে ফেরাটা তাঁদের কাছে অনেক স্বস্তিদায়ক। অ্যাম্বিভার্টেরা খুব দ্রুত পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং ভেতরে যেমনই হোক দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। পেশাদার জীবনে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে নিজের রং বদলে ফেলতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না। তবে নিজের বন্ধুদের সামনে তারা আবার একদম রিয়েল।
আবার ধরুন একজন মানুষ অনলাইনে খুব অ্যাকটিভ। একের পর এক ফেসবুক পোস্ট দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি দারুণ জনপ্রিয়। সেই লোকটা বাস্তব জীবনে হয়তো ভীষণ চাপা স্বভাবের। ফেসবুক ফ্রেন্ড বা অনুসারীদের সঙ্গে কোথাও দেখা হলে নিজের পরিচয়টাও দেন না। কেউ চিনে ফেললে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চান।
এসব বিষয় চিন্তা করলে মানসিকতার দিক দিয়ে আপনি চাপা স্বভাব, নাকি মিশুক, নাকি দুটিরই সংমিশ্রণে অ্যাম্বিভার্ট—এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। কেউ হয় তো কোনো একটি অংশে নিজেকে কল্পনা করে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার অনুভূতি নিচ্ছেন। তাঁদের উত্তেজনায় পানি ঢেলে বলতে হচ্ছে, এই তিন ধরনের মানুষের মধ্যে আসলে কেউই সেরা নয়। কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নয়। প্রত্যেকটা মানুষ আসলে ভিন্ন রকম।
আপনি যদি ইনট্রোভার্ট হন, তারপরও আপনার জন্য কোনো অনুপ্রেরণা কিংবা মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার ব্যক্তিত্বই চাপা স্বভাবের। এটা কোনো অস্বাভাবিকতা নয়। তাই নিজেকে বদলানোর মোটিভেশন না নিলেও তাঁদের দিব্যি চলে যায়।

আপনি খুব হাসিখুশি থাকেন বলেই মানুষ আপনাকে ভেবে নেয়—আহ্ মানুষটা কী ভালো! খুব মিশুক।
কিন্তু ভেতরে-ভেতরে আপনি আসলে উপলব্ধি করেন—মানুষ যা ভাবে তা আপনি নন। মানুষের সামনে হয়তো কোনোরকমে মানিয়ে নেন। কিন্তু এত হাঙ্গামা আসলে আপনার পছন্দ নয়। আপনি নিজের সীমিত সার্কেল কিংবা নিজস্ব ভুবনে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।
আবার এমনও দেখা যায়, মানুষ আপনাকে যতটা চাপা স্বভাবের ভাবে, ততটা চাপা আপনি নন। জুতসই জায়গা পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন।
এই যে দ্বৈত স্বভাব নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে এটাকে কী বলে? এমনটা কেন হয়? এই ধরনের মানুষগুলো আসলে না চাপা স্বভাবের, না মিশুক। তারা মাঝামাঝি একটা অবস্থানে থাকেন।
মজার বিষয় হলো-প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাপা স্বভাব কিংবা ইনট্রোভার্ট মানুষেরা নিজের সঙ্গই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন। কিছুটা স্বার্থপরের মতো নিজেকে খুশি করেই তাঁরা বেছে থাকতে পছন্দ করেন। কোনো যানবাহনে চড়লে তাঁদের বেশির ভাগই জানালার পাশের সিটে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গাড়ি জোরে চলছে নাকি ধীরে, স্পিকারে কোন গান বাজছে কিংবা যাত্রীরা কি নিয়ে কথা বলছেন—এসব বিষয় জানার চেয়ে বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্যে মন দেওয়াটাই তাঁরা বেশি উপভোগ করেন। এ ধরনের মানুষ শ্রোতা হিসেবে বেশ ভালো। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। সাধারণত চুপচাপ, লাজুক এবং স্বল্পভাষী হন। বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। তবে বন্ধুর জন্য এরা বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত থাকেন। কোনো কাজ করার আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।
এরা সামাজিক অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে চলেন। বেশির ভাগই পড়ুয়া স্বভাবের হন। খুব সহজে নিজের বিষয়ে কথা বলেন না। তবে মন মতো কাউকে পেলে তাঁর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেই কাটিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে যারা এক্সট্রোভার্ট বা মিশুক স্বভাবের—তাঁরা একদম অপরিচিত কারও সঙ্গেও প্রথম দেখায়ই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিতে পারেন। রাজনীতি, ক্রিকেট, বাজারের হালচাল—আলাপের বিষয় যা-ই হোক না কেন কথা চালিয়ে যেতে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। এমনকি সামনের লোকটি মনোযোগ দিয়ে কথা না শুনলেও তাঁদের কিছু যায় আসে না।
এ ধরনের ব্যক্তিরা মিশুক স্বভাবের হয়। ফলে সবার সঙ্গেই খুব সহজেই মিশতে পারেন। হুজুগে এরা নানা কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে ফেলেন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন হুট হাট। এ জন্য অবশ্য তাঁরা অনেক সময় ঝামেলায়ও পড়েন। এরা একা থাকতে পারেন না মোটেও। এমনকি প্রয়োজনে কোথাও একা যেতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সব সময় সঙ্গী হিসেবে তাঁদের কাউকে না কাউকে লাগবেই।
তবে মিশুক মানুষের নেতৃত্বগুণ অনেক বেশি হয়। আগ বাড়িয়ে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়াও তাঁদের স্বভাব। সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে বিপদে পড়েন। কোনো কথা পেটের ভেতর রাখতে পারে না।
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এক্সট্রোভার্টদের উপস্থিতি খুব বেশি হয়। এরা নিজেদের প্রতিভাকে মানুষের সামনে প্রকাশ করতে ভালোবাসেন। এক্সট্রোভার্ট এবং ইনট্রোভার্টের বাইরের আর এক প্রজাতির মানুষ আছে যাদের বলা হয় অ্যাম্বিভার্ট।
এরা নতুন মানুষের সঙ্গে সহজেই পরিচিত হতে পারে তবে সহজেই কাউকে ঘনিষ্ঠ বানায় না। বাইরে যেতে এদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ঘরে ফেরাটা তাঁদের কাছে অনেক স্বস্তিদায়ক। অ্যাম্বিভার্টেরা খুব দ্রুত পরিস্থিতি বুঝতে পারেন এবং ভেতরে যেমনই হোক দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন। পেশাদার জীবনে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে নিজের রং বদলে ফেলতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না। তবে নিজের বন্ধুদের সামনে তারা আবার একদম রিয়েল।
আবার ধরুন একজন মানুষ অনলাইনে খুব অ্যাকটিভ। একের পর এক ফেসবুক পোস্ট দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি দারুণ জনপ্রিয়। সেই লোকটা বাস্তব জীবনে হয়তো ভীষণ চাপা স্বভাবের। ফেসবুক ফ্রেন্ড বা অনুসারীদের সঙ্গে কোথাও দেখা হলে নিজের পরিচয়টাও দেন না। কেউ চিনে ফেললে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে চান।
এসব বিষয় চিন্তা করলে মানসিকতার দিক দিয়ে আপনি চাপা স্বভাব, নাকি মিশুক, নাকি দুটিরই সংমিশ্রণে অ্যাম্বিভার্ট—এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। কেউ হয় তো কোনো একটি অংশে নিজেকে কল্পনা করে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকার অনুভূতি নিচ্ছেন। তাঁদের উত্তেজনায় পানি ঢেলে বলতে হচ্ছে, এই তিন ধরনের মানুষের মধ্যে আসলে কেউই সেরা নয়। কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে নয়। প্রত্যেকটা মানুষ আসলে ভিন্ন রকম।
আপনি যদি ইনট্রোভার্ট হন, তারপরও আপনার জন্য কোনো অনুপ্রেরণা কিংবা মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার ব্যক্তিত্বই চাপা স্বভাবের। এটা কোনো অস্বাভাবিকতা নয়। তাই নিজেকে বদলানোর মোটিভেশন না নিলেও তাঁদের দিব্যি চলে যায়।

আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
২১ মিনিট আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
২ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৬ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
বৃষ
আজকের মূল মনোযোগ থাকবে পেটের দিকে। বিদেশের কোনো কাজ বা দূরে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু মন পড়ে থাকবে বিরিয়ানির হাঁড়িতে। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, তবে খরচ কমাতে আজ বন্ধুর পকেটের দিকে নজর রাখুন! মনে রাখবেন, বাজেট মানে শুধুই ডায়েরির পাতা নয়, মানিব্যাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।
মিথুন
আজ মনে হবে আপনি একই সঙ্গে পঞ্চগড় আর লালপুরে আছেন। পরস্পরবিরোধী আবেগ আপনাকে ভোগাবে। একদিকে মনে হবে খুব কাজ করি, অন্যদিকে লেপ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করবে না। বিবাহিতদের জন্য দিনটি ‘জি হুজুর’ বলে কাটানোই নিরাপদ। সাতটি বিষাদ ও বিচ্ছেদের গান শুনুন, আর না হলে অন্তত সাতবার দীর্ঘশ্বাস ফেলুন।
কর্কট
আজ আপনার আবেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়বে। তুচ্ছ কারণে চোখে পানি আসতে পারে। ব্যবসায় বড় বিনিয়োগের প্ল্যান আজ ড্রয়ারেই থাক, কারণ আপনার বিচারবুদ্ধি আজ আবেগের বন্যায় ভাসছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, কিন্তু ঝগড়া করবেন না। ফেসবুক বা ইনস্টায় ইমোশনাল স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সিংহ
আজ যেখানেই যাবেন, লাইমলাইট আপনার ওপর থাকবে। গ্রহ বলছে আপনি প্রচুর আত্মবিশ্বাসী। তবে অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটু ‘ভলিউম’ কমিয়ে রাখুন, নতুবা তারা আপনার রাজকীয় গর্জনে ভয় পেয়ে ছুটি নিয়ে নিতে পারে! বড়দের সম্মান দিন, আর ছোটদের চকলেট খাইয়ে শান্ত রাখুন।
কন্যা
পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আপনাকে আজ একটু খিটখিটে করে তুলতে পারে। চাইবেন সবকিছু একদম নিখুঁত হোক, কিন্তু পৃথিবীটা তো আপনার নোটবই নয়! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন, সঙ্গীর ভুল ধরাটা আজকের মতো অফ রাখুন। ঘর গোছাতে গিয়ে নিজের মাথাটা বেশি অগোছালো করবেন না।
তুলা
শরীর আজ বেশ চনমনে থাকবে। অনেক দিন ধরে আটকে থাকা কাজ ঝটপট শেষ করে ফেলবেন। তবে সাবধান, সংসারের বিবাদ আজ আপনার শান্তির রাজ্যে হানা দিতে পারে। টাকা-পয়সার যোগ ভালো হলেও পকেটে ফুটো যেন না হয় খেয়াল রাখুন। অহেতুক তর্কে ‘মৌনতাই শ্রেয়’।
বৃশ্চিক
আজ আপনি চারমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে কনফিউজড বোধ করবেন—ডানে যাব না বাঁয়ে? রিয়েল এস্টেট বা জমিজমা সংক্রান্ত কাজে লাভের মুখ দেখতে পারেন। প্রেমে আজ রসপিঠার মতো মিষ্টি সম্পর্ক থাকবে, যদি না আপনি পুরোনো কোনো ঝগড়া টেনে আনেন। মনের কথা শুনুন, কিন্তু গুগল ম্যাপকেও একটু বিশ্বাস করুন।
ধনু
আজ আপনার রাশিতে গ্রহের মেলা বসেছে! আজ গোল্ডেন টাইম এনজয় করবেন। সৃজনশীল কাজে ফাটিয়ে দেবেন। টাকা পয়সা আসার প্রবল যোগ, কিন্তু সেই খুশিতে সবাইকে অকাতরে খাওয়াতে গিয়ে যেন নিজেকে উপাস করতে না হয়! মাজারে একটু শিরনি দিয়ে আসুন, মাথা ঠান্ডা থাকবে।
মকর
আজ আপনাকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হতে পারে। তবে ফল হবে মিষ্টি। টাকা একদিকে পকেটে ঢুকবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে যাবে। বিদেশি কোম্পানি বা দূরপাল্লার যোগাযোগ থেকে লাভের খবর আসতে পারে। উপার্জনের খাতাটা একটু আড়াল করে রাখুন।
কুম্ভ
আজ নতুন লোকজনের সঙ্গে আলাপ হবে, যা জীবনের মানে বদলে দিতে পারে। সাধারণ কাজও আপনি অসাধারণভাবে করবেন। তবে অতিরিক্ত উৎসাহে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা অন্তত আজকের জন্য ট্রাই করুন।
মীন
মীন রাশির জাতকেরা আজ কল্পনার জগতে ভাসবেন। ক্যারিয়ারে বড় কিছু করার সুযোগ আসবে। তবে বাস্তবে পা রাখাটা জরুরি। আর্থিক হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারেন। বন্ধুর সাহায্য নিলে কাজ সহজ হবে। আকাশকুসুম চিন্তা না করে হাতের কাজটা আগে শেষ করুন।

মেষ
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
বৃষ
আজকের মূল মনোযোগ থাকবে পেটের দিকে। বিদেশের কোনো কাজ বা দূরে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু মন পড়ে থাকবে বিরিয়ানির হাঁড়িতে। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, তবে খরচ কমাতে আজ বন্ধুর পকেটের দিকে নজর রাখুন! মনে রাখবেন, বাজেট মানে শুধুই ডায়েরির পাতা নয়, মানিব্যাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।
মিথুন
আজ মনে হবে আপনি একই সঙ্গে পঞ্চগড় আর লালপুরে আছেন। পরস্পরবিরোধী আবেগ আপনাকে ভোগাবে। একদিকে মনে হবে খুব কাজ করি, অন্যদিকে লেপ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করবে না। বিবাহিতদের জন্য দিনটি ‘জি হুজুর’ বলে কাটানোই নিরাপদ। সাতটি বিষাদ ও বিচ্ছেদের গান শুনুন, আর না হলে অন্তত সাতবার দীর্ঘশ্বাস ফেলুন।
কর্কট
আজ আপনার আবেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়বে। তুচ্ছ কারণে চোখে পানি আসতে পারে। ব্যবসায় বড় বিনিয়োগের প্ল্যান আজ ড্রয়ারেই থাক, কারণ আপনার বিচারবুদ্ধি আজ আবেগের বন্যায় ভাসছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, কিন্তু ঝগড়া করবেন না। ফেসবুক বা ইনস্টায় ইমোশনাল স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সিংহ
আজ যেখানেই যাবেন, লাইমলাইট আপনার ওপর থাকবে। গ্রহ বলছে আপনি প্রচুর আত্মবিশ্বাসী। তবে অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটু ‘ভলিউম’ কমিয়ে রাখুন, নতুবা তারা আপনার রাজকীয় গর্জনে ভয় পেয়ে ছুটি নিয়ে নিতে পারে! বড়দের সম্মান দিন, আর ছোটদের চকলেট খাইয়ে শান্ত রাখুন।
কন্যা
পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আপনাকে আজ একটু খিটখিটে করে তুলতে পারে। চাইবেন সবকিছু একদম নিখুঁত হোক, কিন্তু পৃথিবীটা তো আপনার নোটবই নয়! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন, সঙ্গীর ভুল ধরাটা আজকের মতো অফ রাখুন। ঘর গোছাতে গিয়ে নিজের মাথাটা বেশি অগোছালো করবেন না।
তুলা
শরীর আজ বেশ চনমনে থাকবে। অনেক দিন ধরে আটকে থাকা কাজ ঝটপট শেষ করে ফেলবেন। তবে সাবধান, সংসারের বিবাদ আজ আপনার শান্তির রাজ্যে হানা দিতে পারে। টাকা-পয়সার যোগ ভালো হলেও পকেটে ফুটো যেন না হয় খেয়াল রাখুন। অহেতুক তর্কে ‘মৌনতাই শ্রেয়’।
বৃশ্চিক
আজ আপনি চারমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে কনফিউজড বোধ করবেন—ডানে যাব না বাঁয়ে? রিয়েল এস্টেট বা জমিজমা সংক্রান্ত কাজে লাভের মুখ দেখতে পারেন। প্রেমে আজ রসপিঠার মতো মিষ্টি সম্পর্ক থাকবে, যদি না আপনি পুরোনো কোনো ঝগড়া টেনে আনেন। মনের কথা শুনুন, কিন্তু গুগল ম্যাপকেও একটু বিশ্বাস করুন।
ধনু
আজ আপনার রাশিতে গ্রহের মেলা বসেছে! আজ গোল্ডেন টাইম এনজয় করবেন। সৃজনশীল কাজে ফাটিয়ে দেবেন। টাকা পয়সা আসার প্রবল যোগ, কিন্তু সেই খুশিতে সবাইকে অকাতরে খাওয়াতে গিয়ে যেন নিজেকে উপাস করতে না হয়! মাজারে একটু শিরনি দিয়ে আসুন, মাথা ঠান্ডা থাকবে।
মকর
আজ আপনাকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হতে পারে। তবে ফল হবে মিষ্টি। টাকা একদিকে পকেটে ঢুকবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে যাবে। বিদেশি কোম্পানি বা দূরপাল্লার যোগাযোগ থেকে লাভের খবর আসতে পারে। উপার্জনের খাতাটা একটু আড়াল করে রাখুন।
কুম্ভ
আজ নতুন লোকজনের সঙ্গে আলাপ হবে, যা জীবনের মানে বদলে দিতে পারে। সাধারণ কাজও আপনি অসাধারণভাবে করবেন। তবে অতিরিক্ত উৎসাহে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা অন্তত আজকের জন্য ট্রাই করুন।
মীন
মীন রাশির জাতকেরা আজ কল্পনার জগতে ভাসবেন। ক্যারিয়ারে বড় কিছু করার সুযোগ আসবে। তবে বাস্তবে পা রাখাটা জরুরি। আর্থিক হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারেন। বন্ধুর সাহায্য নিলে কাজ সহজ হবে। আকাশকুসুম চিন্তা না করে হাতের কাজটা আগে শেষ করুন।

প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
১১ আগস্ট ২০২৩
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
২ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৬ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূলমন্ত্র।
ত্বকের ধরন কেন আলাদা হয়
আপনার ত্বক তৈলাক্ত হবে, নাকি শুষ্ক; তা মূলত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো বংশগতি বা জিন। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ধরন বদলাতে পারে। হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম এবং পরিবেশগত উপাদানও আপনার ত্বকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। শরীরের বৃহত্তম এই অঙ্গের সঠিক যত্ন নিতে এর ধরন চেনা তাই অপরিহার্য। নিজের ত্বককে আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ চেনে না। তাই কোনো নতুন পরামর্শ বা পণ্য ব্যবহারের আগে আপনার ত্বকের প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।
আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি অনুসারে ত্বকের পাঁচটি ধরন
শুষ্ক ত্বক
সিবাম একধরনের তৈলাক্ত উপাদান। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে যখন পর্যাপ্ত সিবাম উৎপন্ন হয় না, তখন শুষ্ক হয়। আর একেই বলে শুষ্ক ত্বক। এমন ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুব মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ময়শ্চারাইজার হিসেবে এমন কিছু বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় শুষ্ক ত্বকে নাক বা ভ্রুর আশপাশে ছত্রাকজনিত লালচে র্যাশ দেখা দিতে পারে, যাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়; এর জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বক
যখন ত্বক অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন করে, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকে লোমকূপ বড় দেখায় এবং মুখ সব সময় চকচকে বা তেলতেলে থাকে। সিবাম বেশি হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, যা থেকে প্রায়ই ব্রণ হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত ক্লিনজার এবং ‘নন-কমেডোজেনিক’ (যা লোমকূপ বন্ধ করে না) পণ্য ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পরপরই মুখ ধুয়ে ফেলা জরুরি।
কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বক
এই ধরনের ত্বকে মুখের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখায়। সাধারণত টি-জোন কপাল, নাক ও চিবুক তৈলাক্ত হয় এবং গাল শুষ্ক থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখের প্রতিটি অংশকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়।
নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক
একে ত্বকের আদর্শ অবস্থা বলা যেতে পারে। এই ত্বক খুব বেশি শুষ্কও নয়, আবার তৈলাক্তও নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বা সংবেদনশীলতা খুব একটা দেখা যায় না। সাধারণ ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া এবং রাতে ও দিনে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই এই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।

সংবেদনশীল ত্বক
সংবেদনশীল ত্বক চেনার উপায় তেলের পরিমাণ নয়, বরং এর প্রতিক্রিয়া। এই ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক; যা-ই হোক না কেন, প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় একজিমা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যাও থাকতে পারে। এমন ত্বকে রং, সুগন্ধি, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত কড়া পণ্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বকের ধরন
আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণের জন্য কোনো ল্যাবরেটরি টেস্টের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়ে এটি বুঝতে পারেন। মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ করুন, ত্বক কেমন অনুভব করছে। এটি কি খুব তেলতেলে লাগছে, নাকি টান টান ও শুষ্ক মনে হচ্ছে? এভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক শুষ্ক নাকি তৈলাক্ত। মুখ ধুয়ে শুকানোর ৩০ মিনিট পর একটি ব্লটিং পেপার নিয়ে গাল এবং টি-জোনে হালকা চাপ দিন। পেপারে তেলের পরিমাণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক।
কেন নিজের ত্বককে জানা জরুরি
দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। আপনি অকালবার্ধক্য রোধ করতে চান, নাকি ব্রণ ও মেছতা দূর করতে চান। এটা আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া মেকআপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক মেকআপ আপনার ত্বককে যেমন নিখুঁত দেখাবে, তেমনি ভুল পণ্য আপনার লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর আপনার ঘুমের মান, পানি পানের পরিমাণ এবং শরীরচর্চার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মনে রাখবেন, আপনার ত্বকের ধরন ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন শীতে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে এবং গরমে তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার রূপচর্চার রুটিনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সূত্র: আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি

আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূলমন্ত্র।
ত্বকের ধরন কেন আলাদা হয়
আপনার ত্বক তৈলাক্ত হবে, নাকি শুষ্ক; তা মূলত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো বংশগতি বা জিন। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ধরন বদলাতে পারে। হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম এবং পরিবেশগত উপাদানও আপনার ত্বকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। শরীরের বৃহত্তম এই অঙ্গের সঠিক যত্ন নিতে এর ধরন চেনা তাই অপরিহার্য। নিজের ত্বককে আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ চেনে না। তাই কোনো নতুন পরামর্শ বা পণ্য ব্যবহারের আগে আপনার ত্বকের প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।
আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি অনুসারে ত্বকের পাঁচটি ধরন
শুষ্ক ত্বক
সিবাম একধরনের তৈলাক্ত উপাদান। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে যখন পর্যাপ্ত সিবাম উৎপন্ন হয় না, তখন শুষ্ক হয়। আর একেই বলে শুষ্ক ত্বক। এমন ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুব মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ময়শ্চারাইজার হিসেবে এমন কিছু বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় শুষ্ক ত্বকে নাক বা ভ্রুর আশপাশে ছত্রাকজনিত লালচে র্যাশ দেখা দিতে পারে, যাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়; এর জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বক
যখন ত্বক অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন করে, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকে লোমকূপ বড় দেখায় এবং মুখ সব সময় চকচকে বা তেলতেলে থাকে। সিবাম বেশি হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, যা থেকে প্রায়ই ব্রণ হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত ক্লিনজার এবং ‘নন-কমেডোজেনিক’ (যা লোমকূপ বন্ধ করে না) পণ্য ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পরপরই মুখ ধুয়ে ফেলা জরুরি।
কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বক
এই ধরনের ত্বকে মুখের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখায়। সাধারণত টি-জোন কপাল, নাক ও চিবুক তৈলাক্ত হয় এবং গাল শুষ্ক থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখের প্রতিটি অংশকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়।
নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক
একে ত্বকের আদর্শ অবস্থা বলা যেতে পারে। এই ত্বক খুব বেশি শুষ্কও নয়, আবার তৈলাক্তও নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বা সংবেদনশীলতা খুব একটা দেখা যায় না। সাধারণ ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া এবং রাতে ও দিনে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই এই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।

সংবেদনশীল ত্বক
সংবেদনশীল ত্বক চেনার উপায় তেলের পরিমাণ নয়, বরং এর প্রতিক্রিয়া। এই ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক; যা-ই হোক না কেন, প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় একজিমা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যাও থাকতে পারে। এমন ত্বকে রং, সুগন্ধি, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত কড়া পণ্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বকের ধরন
আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণের জন্য কোনো ল্যাবরেটরি টেস্টের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়ে এটি বুঝতে পারেন। মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ করুন, ত্বক কেমন অনুভব করছে। এটি কি খুব তেলতেলে লাগছে, নাকি টান টান ও শুষ্ক মনে হচ্ছে? এভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক শুষ্ক নাকি তৈলাক্ত। মুখ ধুয়ে শুকানোর ৩০ মিনিট পর একটি ব্লটিং পেপার নিয়ে গাল এবং টি-জোনে হালকা চাপ দিন। পেপারে তেলের পরিমাণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক।
কেন নিজের ত্বককে জানা জরুরি
দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। আপনি অকালবার্ধক্য রোধ করতে চান, নাকি ব্রণ ও মেছতা দূর করতে চান। এটা আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া মেকআপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক মেকআপ আপনার ত্বককে যেমন নিখুঁত দেখাবে, তেমনি ভুল পণ্য আপনার লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর আপনার ঘুমের মান, পানি পানের পরিমাণ এবং শরীরচর্চার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মনে রাখবেন, আপনার ত্বকের ধরন ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন শীতে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে এবং গরমে তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার রূপচর্চার রুটিনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সূত্র: আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি

প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
১১ আগস্ট ২০২৩
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
২১ মিনিট আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৬ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
১১ আগস্ট ২০২৩
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
২১ মিনিট আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
২ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, মিশুক বা এক্সট্রোভার্টেরা যোগাযোগ স্থাপনে খুব ভালো হন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। তিন শ বিক্রয়কর্মীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে, যারা ইনট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন তারাই প্রতিষ্ঠানের সেরা।
১১ আগস্ট ২০২৩
আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।
২১ মিনিট আগে
আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো
২ ঘণ্টা আগে
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
১৬ ঘণ্টা আগে