রিক্তা রিচি

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
পৃথিবীতে এত এত শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক, এত এত দৃশ্য, এত কিছু থাকতে সাদিয়া সুলতানা ফ্রিদা কাহলোকেই কেন আঁকলেন? জানতে চাইলে সাদিয়া জানান, ফ্রিদা তাঁর প্রিয় শিল্পী।
সাদিয়া বলেন, একবার একটা লেখার প্রয়োজনে হাইপেশিয়া আর ফ্রিদা কাহলোকে নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ার সুযোগ হয়। তখন ফ্রিদাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করি। পোলিও আক্রান্ত ফ্রিদার শৈশব, তারুণ্য, দুর্ঘটনা, প্রেম, শিল্পী জীবন—সব আমাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। জীবনের অগুনতি সংকটের পরও ফ্রিদা উঠে দাঁড়িয়েছেন বারবার। হতাশায় ভুগেও জীবনের মুখোমুখি হয়েছেন। রং-তুলিতে নিজেকে, নিজের অন্তর্জগৎ এঁকেছেন। ফ্রিদার আঁকা আত্ম-প্রকৃতিতে যে পরাবাস্তবতা আর বাস্তবতার যন্ত্রণা উঠে আসে, তা যেন আমাকেও আয়নার সামনে দাঁড় করায়। এই অনুভূতি নিজের ভেতরের বিষাদকে ঘায়েল করে, স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। আসলে ফ্রিদা নিজেকে ভালোবাসতে শেখায়। তাই ফ্রিদাকেও ভালোবাসতে হয়। সেই ভালোবাসার একটা চিহ্ন হুপআর্ট হয়ে রইল আমার ঘরে।
কিন্তু এই নিখুঁত কাজটি তিনি কীভাবে করলেন? তিনিও কি ফ্রিদার মতো নিজের অন্তর্গত সমস্ত দুঃখ-বিষাদকে ঘায়েল করতে চান? এ জন্যই কি বেছে নিয়েছেন হুপ আর্ট? উত্তরে সাদিয়া জানান, গত বছর করোনার কারণে যখন সাধারণ ছুটি চলছিল, তখন গৃহবন্দী জীবন বেশ একঘেয়ে লাগছিল তাঁর। মানসিক অবসাদ ও একঘেয়েমি দূর করতে ছোট বেলায় শিখে রাখা সুঁই-সুতার কাজকে বেছে নেন। পেশাগত কাজ, সংসার সবকিছু সামলে সুঁই-সুতার কাজ প্রায় ভুলতে বসেছিলেন তিনি। সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের দিনগুলোতে তাঁর মনে হতো যে সময় চলে যাচ্ছে, তা আর ফিরে আসবে না। একটা সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসবে, সাধ থাকলেও সাধ্য থাকবে না। তাই তিনি সুঁই-সুতা দিয়ে নকশা আঁকতে শুরু করলেন। এর পর একদিন ফ্রিদার শিল্পকর্ম সুঁই-সুতা দিয়ে আঁকার ভাবনা এল তাঁর মাথায়।
‘একদিন সাহস করে কাপড়ে পেনসিল দিয়ে ফ্রিদা কাহলোর ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ এঁকে সেলাই করতে শুরু করলাম। ভরাট, ডাল ফোঁড় ইত্যাদি সেলাই দিয়ে বিড়াল, পাতা ফুল সেলাই করে আস্তে আস্তে যখন ফ্রিদার মুখাবয়ব আনার চেষ্টা করছিলাম, তখন প্রথমে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এত সূক্ষ্ম কাজ ফ্রিদার! তবু ভালোবেসে কাজটা করার চেষ্টা করেছি। যতক্ষণ না নিজে সন্তুষ্ট হয়েছি, ততক্ষণ ফোঁড় খুলেছি, নতুন করে ফোঁড় তুলেছি’—জানান সাদিয়া।
সাদিয়া সুলতানা সেলাইয়ের কাজ শেখেন ছোটবেলায়। দেখতেন মা ও বোনদের সেলাইয়ের কাজ। স্কুলেও শেখানো হতো কিছুটা। পরীক্ষার সময় রুমাল, টেবিল ক্লথ ইত্যাদি তৈরি করে জমাও দিতে হতো। সেলাইকাজ জমা দিতে গিয়ে সেলাইয়ের প্রথম হাতেখড়ি হয় তাঁর। এ ছাড়া তিনি তাঁর মা ও বড় বোনকে দেখেছেন সুঁই-সুতার কাজ করতে। তাঁরা সুঁই-সুতার নকশা থেকে শুরু করে কুশি-কাঁটা, উলের কাজ, সেলাই মেশিনে জামা-কাপড় তৈরি করতেন।
সাদিয়া সুলতানারা চার বোন ও এক ভাই। মধ্যবিত্ত জীবনে বেড়ে উঠেছেন তাঁরা। সে সময় ঘরে সেলাই করা সাদামাটা কামিজকে আকর্ষণীয় আর মূল্যবান করতে তাঁরা চার বোনই সুঁই-সুতার কাজ করতেন।
এর পর অনেক সময় গড়িয়েছে, সাদিয়া সুলতানার বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। কিন্তু সেলাইয়ের অভ্যাস যায়নি। বরং শিশুদের জন্মের পর নতুন করে আনন্দ আয়োজন শুরু হলো। ওদের জন্য সেলাই মেশিনে তৈরি করতে লাগলেন ফ্রক ও ফতুয়া। সেসবে সুঁই-সুতার নকশা করতেন তিনি। সংসার সাজানোর জন্য অনেক ওয়ালম্যাটও সেলাই করেছেন। এর পর কাজের চাপে অনেক বছর শৌখিন কিছু সেলাই করেননি তিনি।
করোনার কারণে সঙ্গ নিরোধকালে তাঁর মনে হলো, যান্ত্রিক জীবন বিশেষ করে মোবাইল আসক্তি শখ, স্বপ্ন সব খেয়ে ফেলছে। মায়ের ঐতিহ্যটুকু ধরে রাখা যেন নিজের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার মতোই। এসব ভাবনা থেকে আবার কুশন কভার, জামা আর ওয়ালম্যাট সেলাইয়ে হাত দিলেন শৌখিন সাদিয়া। ফেসবুক গ্রুপ ‘শখের সেলাইয়ে’ নিজের সেলাইয়ের ছবি শেয়ার দিতে থাকেন তিনি। ব্যাপক সাড়াও পান। সেখান থেকেই প্রথম হুপআর্টের ধারণা পান তিনি।
এই মহামারিকালে মানসিকভাবে সাদিয়াও মাঝেমধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। হতাশও হন। তবে হতাশা বা আত্মসংকট বাড়তে দেন না মোটেই। মনে নেতিবাচক চিন্তা শেকড় গাড়ার আগেই উপড়ে ফেলেন। সুঁই-সুতা, ফ্রেম নিয়ে বসেন। ‘সেলাই করলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। এ ছাড়া দিনে কিছু না কিছু পড়ি, হয় এক বা একাধিক গল্প, নয়তো কোনো উপন্যাসের কয়েক পাতা। এসব ছাড়া আমার গাছের সবুজও আমাকে প্রফুল্ল রাখে। আসলে ব্যস্ততাই জীবন। আর তাই একঘেয়ে দিনলিপিকে বৈচিত্র্যময় করতে নিজের শখের কাজে ব্যস্ত থাকি’, বলেন সাদিয়া সুলতানা।
সেলাই নিয়ে আপনার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কি? জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘আসলে প্রথমে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ঐতিহ্যকে ধরে রাখছি, আনন্দ পাচ্ছি—এই দুই অনুভবই কাজ করতে উৎসাহিত করত। ইদানীং ফেসবুকে সূচিকর্মের ছবি শেয়ারের পর অনেকের কাছ থেকে এত সাড়া পেয়েছি যে, আমি নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেকে আমাকে ম্যাসেজ করেন, নিজের কাজ দেখান, আমার কাজ কিনতে চান। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। আবার তাঁরা নিজে বা তাঁদের সন্তানেরা যে আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেলাই করে, সেসবের ছবিও পাঠান। এসব দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এমনকি আমার কয়েকজন বন্ধু আমার সূচিকর্মের একটা প্রদর্শনী আয়োজনও করতে চাইছেন। তবে আমি মনে করি, এখনো সেই সময় আসেনি। দৃষ্টিশক্তি নাজুক হওয়ার আগেই আমি আমার দেশ, প্রকৃতি নিয়ে আরও কিছু কাজ করতে চাই। আর চাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সূচিশিল্প আবার ঘরে ঘরে আমাদের অবসরের অনুষঙ্গ হয়ে উঠুক।’
সেলাই ছাড়াও অবসরে বাগান করতে ভালোবাসেন সাদিয়া সুলতানা। ছাদে ও বারান্দায় বাগান করেন তিনি। পেশাগত জীবনে বিচারক হলেও তিনি তাঁর এই পরিচয়কে লুকিয়েই রাখেন। বর্তমানে তিনি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত। তবে তিনি মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন সহজ ও সাধারণ হিসেবে। পেশাগত কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পান, সে সময়ে লেখালেখি করেন।
গল্প-উপন্যাস পড়তে ও লিখতে বেশি ভালোবাসেন। সাদিয়ার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চক্র’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), ‘ন আকারে না’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৭), ‘আমি আঁধারে থাকি’ (উপন্যাস, ২০১৮), ‘ঘুম ঘরের সুখ-অসুখ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯), ‘মেনকি ফান্দার অপরাধ কিংবা পাপ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০২০) এবং ‘আজু মাইয়ের পৈতানের সুখ’ (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাসিকা, ২০২০)।
ছোট থেকে লেখালেখির আগ্রহ বলেই পড়ার অভ্যাসটাও তখন থেকেই গড়ে ওঠে সাদিয়ার। প্রিয় লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহবুবুল হক, হাসান আজিজুল হক, নাসরীন জাহান, কুলদা রায় প্রমুখ। প্রিয় বইয়ের সংখ্যাও অসংখ্য। তবে বারবার পড়েন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাহবুবুল হকের কিছু ছোট গল্প, নাসরীন জাহানের ‘উড়ুক্কু’, ‘কমলা সুন্দরী আর এক সন্ধ্যার কাহিনি’, কুলদা রায়ের ‘বৃষ্টিচিহ্নিত জল’, জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ডা. এম এ হাসানের ‘যুদ্ধ ও নারী’।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘পরিকল্পনা করে তেমন কিছু লিখতে পারি না। আমার অভিজ্ঞতা আর যাতনা আমাকে লেখায়। তাই সামনে কী অপেক্ষা করছে আমি জানি না। কেবল কর্মজীবনের ব্যস্ততা বাঁচিয়ে যতটুকু সময় পাই লিখে যেতে চাই। বিশেষ করে নারী ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু লিখতে চাই।’
পড়াশোনা, লেখালেখি বা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী হিসেবে কোনো বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কি? সাদিয়া বললেন, ‘বাধার সম্মুখীন তো হয়েছি, হচ্ছি প্রতিনিয়ত। বাধা ডিঙাতেও শিখেছি। নারী হিসেবে যাঁরা আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর বক্রোক্তি করেছে, তাঁদের জবাব দিতেও শিখেছি। আর পড়াশোনা, লেখালেখি আর পেশাগত দায়িত্ব, তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তর। তাই বাধা বা সমস্যার গল্পগুলোও ভিন্নতর। সেসব নিয়ে সবিস্তারে বলার সময় এখনো আসেনি বলে মনে করি। শুধু বলব, একটা সময় বাবাহীন মধ্যবিত্ত পরিবারে যত ধরনের সংকট আসতে পারে, সবই এসেছে। তবে আমার মা কখনোই আমাদের পাঁচ ভাইবোনকে পড়াশোনা ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবতে শেখাননি। ছেলেমেয়ে হিসেবে আমাদের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও করেননি। এসবই ছিল জীবনের প্রথম ইতিবাচকতা। আর তাই মগজে গেঁথে নিয়েছিলাম মায়ের শিক্ষা, নিজেকে তৈরি করতে হবে। স্বাবলম্বী হতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া ব্যক্তি স্বাধীনতা, আর স্বাতন্ত্র্য যে থাকবে না, তা উপলব্ধি করেছিলাম বলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছি।

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
পৃথিবীতে এত এত শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক, এত এত দৃশ্য, এত কিছু থাকতে সাদিয়া সুলতানা ফ্রিদা কাহলোকেই কেন আঁকলেন? জানতে চাইলে সাদিয়া জানান, ফ্রিদা তাঁর প্রিয় শিল্পী।
সাদিয়া বলেন, একবার একটা লেখার প্রয়োজনে হাইপেশিয়া আর ফ্রিদা কাহলোকে নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ার সুযোগ হয়। তখন ফ্রিদাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করি। পোলিও আক্রান্ত ফ্রিদার শৈশব, তারুণ্য, দুর্ঘটনা, প্রেম, শিল্পী জীবন—সব আমাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। জীবনের অগুনতি সংকটের পরও ফ্রিদা উঠে দাঁড়িয়েছেন বারবার। হতাশায় ভুগেও জীবনের মুখোমুখি হয়েছেন। রং-তুলিতে নিজেকে, নিজের অন্তর্জগৎ এঁকেছেন। ফ্রিদার আঁকা আত্ম-প্রকৃতিতে যে পরাবাস্তবতা আর বাস্তবতার যন্ত্রণা উঠে আসে, তা যেন আমাকেও আয়নার সামনে দাঁড় করায়। এই অনুভূতি নিজের ভেতরের বিষাদকে ঘায়েল করে, স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। আসলে ফ্রিদা নিজেকে ভালোবাসতে শেখায়। তাই ফ্রিদাকেও ভালোবাসতে হয়। সেই ভালোবাসার একটা চিহ্ন হুপআর্ট হয়ে রইল আমার ঘরে।
কিন্তু এই নিখুঁত কাজটি তিনি কীভাবে করলেন? তিনিও কি ফ্রিদার মতো নিজের অন্তর্গত সমস্ত দুঃখ-বিষাদকে ঘায়েল করতে চান? এ জন্যই কি বেছে নিয়েছেন হুপ আর্ট? উত্তরে সাদিয়া জানান, গত বছর করোনার কারণে যখন সাধারণ ছুটি চলছিল, তখন গৃহবন্দী জীবন বেশ একঘেয়ে লাগছিল তাঁর। মানসিক অবসাদ ও একঘেয়েমি দূর করতে ছোট বেলায় শিখে রাখা সুঁই-সুতার কাজকে বেছে নেন। পেশাগত কাজ, সংসার সবকিছু সামলে সুঁই-সুতার কাজ প্রায় ভুলতে বসেছিলেন তিনি। সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের দিনগুলোতে তাঁর মনে হতো যে সময় চলে যাচ্ছে, তা আর ফিরে আসবে না। একটা সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসবে, সাধ থাকলেও সাধ্য থাকবে না। তাই তিনি সুঁই-সুতা দিয়ে নকশা আঁকতে শুরু করলেন। এর পর একদিন ফ্রিদার শিল্পকর্ম সুঁই-সুতা দিয়ে আঁকার ভাবনা এল তাঁর মাথায়।
‘একদিন সাহস করে কাপড়ে পেনসিল দিয়ে ফ্রিদা কাহলোর ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ এঁকে সেলাই করতে শুরু করলাম। ভরাট, ডাল ফোঁড় ইত্যাদি সেলাই দিয়ে বিড়াল, পাতা ফুল সেলাই করে আস্তে আস্তে যখন ফ্রিদার মুখাবয়ব আনার চেষ্টা করছিলাম, তখন প্রথমে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এত সূক্ষ্ম কাজ ফ্রিদার! তবু ভালোবেসে কাজটা করার চেষ্টা করেছি। যতক্ষণ না নিজে সন্তুষ্ট হয়েছি, ততক্ষণ ফোঁড় খুলেছি, নতুন করে ফোঁড় তুলেছি’—জানান সাদিয়া।
সাদিয়া সুলতানা সেলাইয়ের কাজ শেখেন ছোটবেলায়। দেখতেন মা ও বোনদের সেলাইয়ের কাজ। স্কুলেও শেখানো হতো কিছুটা। পরীক্ষার সময় রুমাল, টেবিল ক্লথ ইত্যাদি তৈরি করে জমাও দিতে হতো। সেলাইকাজ জমা দিতে গিয়ে সেলাইয়ের প্রথম হাতেখড়ি হয় তাঁর। এ ছাড়া তিনি তাঁর মা ও বড় বোনকে দেখেছেন সুঁই-সুতার কাজ করতে। তাঁরা সুঁই-সুতার নকশা থেকে শুরু করে কুশি-কাঁটা, উলের কাজ, সেলাই মেশিনে জামা-কাপড় তৈরি করতেন।
সাদিয়া সুলতানারা চার বোন ও এক ভাই। মধ্যবিত্ত জীবনে বেড়ে উঠেছেন তাঁরা। সে সময় ঘরে সেলাই করা সাদামাটা কামিজকে আকর্ষণীয় আর মূল্যবান করতে তাঁরা চার বোনই সুঁই-সুতার কাজ করতেন।
এর পর অনেক সময় গড়িয়েছে, সাদিয়া সুলতানার বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। কিন্তু সেলাইয়ের অভ্যাস যায়নি। বরং শিশুদের জন্মের পর নতুন করে আনন্দ আয়োজন শুরু হলো। ওদের জন্য সেলাই মেশিনে তৈরি করতে লাগলেন ফ্রক ও ফতুয়া। সেসবে সুঁই-সুতার নকশা করতেন তিনি। সংসার সাজানোর জন্য অনেক ওয়ালম্যাটও সেলাই করেছেন। এর পর কাজের চাপে অনেক বছর শৌখিন কিছু সেলাই করেননি তিনি।
করোনার কারণে সঙ্গ নিরোধকালে তাঁর মনে হলো, যান্ত্রিক জীবন বিশেষ করে মোবাইল আসক্তি শখ, স্বপ্ন সব খেয়ে ফেলছে। মায়ের ঐতিহ্যটুকু ধরে রাখা যেন নিজের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার মতোই। এসব ভাবনা থেকে আবার কুশন কভার, জামা আর ওয়ালম্যাট সেলাইয়ে হাত দিলেন শৌখিন সাদিয়া। ফেসবুক গ্রুপ ‘শখের সেলাইয়ে’ নিজের সেলাইয়ের ছবি শেয়ার দিতে থাকেন তিনি। ব্যাপক সাড়াও পান। সেখান থেকেই প্রথম হুপআর্টের ধারণা পান তিনি।
এই মহামারিকালে মানসিকভাবে সাদিয়াও মাঝেমধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। হতাশও হন। তবে হতাশা বা আত্মসংকট বাড়তে দেন না মোটেই। মনে নেতিবাচক চিন্তা শেকড় গাড়ার আগেই উপড়ে ফেলেন। সুঁই-সুতা, ফ্রেম নিয়ে বসেন। ‘সেলাই করলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। এ ছাড়া দিনে কিছু না কিছু পড়ি, হয় এক বা একাধিক গল্প, নয়তো কোনো উপন্যাসের কয়েক পাতা। এসব ছাড়া আমার গাছের সবুজও আমাকে প্রফুল্ল রাখে। আসলে ব্যস্ততাই জীবন। আর তাই একঘেয়ে দিনলিপিকে বৈচিত্র্যময় করতে নিজের শখের কাজে ব্যস্ত থাকি’, বলেন সাদিয়া সুলতানা।
সেলাই নিয়ে আপনার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কি? জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘আসলে প্রথমে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ঐতিহ্যকে ধরে রাখছি, আনন্দ পাচ্ছি—এই দুই অনুভবই কাজ করতে উৎসাহিত করত। ইদানীং ফেসবুকে সূচিকর্মের ছবি শেয়ারের পর অনেকের কাছ থেকে এত সাড়া পেয়েছি যে, আমি নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেকে আমাকে ম্যাসেজ করেন, নিজের কাজ দেখান, আমার কাজ কিনতে চান। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। আবার তাঁরা নিজে বা তাঁদের সন্তানেরা যে আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেলাই করে, সেসবের ছবিও পাঠান। এসব দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এমনকি আমার কয়েকজন বন্ধু আমার সূচিকর্মের একটা প্রদর্শনী আয়োজনও করতে চাইছেন। তবে আমি মনে করি, এখনো সেই সময় আসেনি। দৃষ্টিশক্তি নাজুক হওয়ার আগেই আমি আমার দেশ, প্রকৃতি নিয়ে আরও কিছু কাজ করতে চাই। আর চাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সূচিশিল্প আবার ঘরে ঘরে আমাদের অবসরের অনুষঙ্গ হয়ে উঠুক।’
সেলাই ছাড়াও অবসরে বাগান করতে ভালোবাসেন সাদিয়া সুলতানা। ছাদে ও বারান্দায় বাগান করেন তিনি। পেশাগত জীবনে বিচারক হলেও তিনি তাঁর এই পরিচয়কে লুকিয়েই রাখেন। বর্তমানে তিনি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত। তবে তিনি মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন সহজ ও সাধারণ হিসেবে। পেশাগত কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পান, সে সময়ে লেখালেখি করেন।
গল্প-উপন্যাস পড়তে ও লিখতে বেশি ভালোবাসেন। সাদিয়ার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চক্র’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), ‘ন আকারে না’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৭), ‘আমি আঁধারে থাকি’ (উপন্যাস, ২০১৮), ‘ঘুম ঘরের সুখ-অসুখ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯), ‘মেনকি ফান্দার অপরাধ কিংবা পাপ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০২০) এবং ‘আজু মাইয়ের পৈতানের সুখ’ (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাসিকা, ২০২০)।
ছোট থেকে লেখালেখির আগ্রহ বলেই পড়ার অভ্যাসটাও তখন থেকেই গড়ে ওঠে সাদিয়ার। প্রিয় লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহবুবুল হক, হাসান আজিজুল হক, নাসরীন জাহান, কুলদা রায় প্রমুখ। প্রিয় বইয়ের সংখ্যাও অসংখ্য। তবে বারবার পড়েন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাহবুবুল হকের কিছু ছোট গল্প, নাসরীন জাহানের ‘উড়ুক্কু’, ‘কমলা সুন্দরী আর এক সন্ধ্যার কাহিনি’, কুলদা রায়ের ‘বৃষ্টিচিহ্নিত জল’, জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ডা. এম এ হাসানের ‘যুদ্ধ ও নারী’।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘পরিকল্পনা করে তেমন কিছু লিখতে পারি না। আমার অভিজ্ঞতা আর যাতনা আমাকে লেখায়। তাই সামনে কী অপেক্ষা করছে আমি জানি না। কেবল কর্মজীবনের ব্যস্ততা বাঁচিয়ে যতটুকু সময় পাই লিখে যেতে চাই। বিশেষ করে নারী ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু লিখতে চাই।’
পড়াশোনা, লেখালেখি বা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী হিসেবে কোনো বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কি? সাদিয়া বললেন, ‘বাধার সম্মুখীন তো হয়েছি, হচ্ছি প্রতিনিয়ত। বাধা ডিঙাতেও শিখেছি। নারী হিসেবে যাঁরা আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর বক্রোক্তি করেছে, তাঁদের জবাব দিতেও শিখেছি। আর পড়াশোনা, লেখালেখি আর পেশাগত দায়িত্ব, তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তর। তাই বাধা বা সমস্যার গল্পগুলোও ভিন্নতর। সেসব নিয়ে সবিস্তারে বলার সময় এখনো আসেনি বলে মনে করি। শুধু বলব, একটা সময় বাবাহীন মধ্যবিত্ত পরিবারে যত ধরনের সংকট আসতে পারে, সবই এসেছে। তবে আমার মা কখনোই আমাদের পাঁচ ভাইবোনকে পড়াশোনা ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবতে শেখাননি। ছেলেমেয়ে হিসেবে আমাদের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও করেননি। এসবই ছিল জীবনের প্রথম ইতিবাচকতা। আর তাই মগজে গেঁথে নিয়েছিলাম মায়ের শিক্ষা, নিজেকে তৈরি করতে হবে। স্বাবলম্বী হতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া ব্যক্তি স্বাধীনতা, আর স্বাতন্ত্র্য যে থাকবে না, তা উপলব্ধি করেছিলাম বলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছি।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৫ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৫ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৫ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৮ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে