ফাতিমা জাহান

ভোরবেলায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে কে যেন একমুঠো শিউলি ফুলের নৈবেদ্য দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরে শিউলি ফুল দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছি। দেশি একটা আমেজ দোল দিয়ে গেল।
জায়গাটা বরোবুদুর—ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে অবস্থিত। আমি বড় হয়েছি ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন জায়গার গল্প শুনে। বাবা কর্মসূত্রে একটা সময় ছিলেন সে দেশে, আর ঘুরে দেখেছেন দেশটা। ছোটবেলা থেকে তাই খুব শখ ছিল, আর কোথাও না যেতে পারলেও বরোবুদুর আমি ঠিকই যাব। বরোবুদুরের ভিউকার্ড দেখে আমার মন উড়ে বেড়াত কখনো মন্দিরে, কখনো এখানকার সবগুলো আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে বা কখনো শান্ত একেকটা পাহাড়ের গায়ে মেঘের ডুবে যাওয়ার সময়।
বরোবুদুর মন্দির নির্মিত হয় অষ্টম শতকে শৈলেন্দ্র রাজবংশের শাসনকালে। এর কিছুদিন পর রাজবংশ পূর্ব জাভায় স্থানান্তরিত হলে মন্দিরটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ব্রিটিশ আমলে এই বিশালাকার মন্দিরটি পর্বতশ্রেণি আর জঙ্গলের মধ্য থেকে আবিষ্কার করেন কয়েকজন ব্রিটিশ অফিসার। এর পর এর সংস্কার করে মন্দিরটিকে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে উপযুক্ত করে তোলা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, এই সুবিস্তীর্ণ মন্দিরটির ইতিহাস খুব অল্পই জানা গেছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা অতি নগণ্য, দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তাই উপাসনার জন্যও ভক্তরা এত দূরে এই অজপাড়াগাঁয়ে আসেন না।
বরোবুদুরের সবচেয়ে কাছের শহর যোগজাকার্তা। সেখানেই আমি আস্তানা গেড়েছি আপাতত। সেখান থেকে শুনে এসেছি বরোবুদুরে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে হয়। ঘণ্টাখানেকের পথ, তাই রাত থাকতে থাকতে ট্যাক্সি নিয়ে রওনা দিয়েছি। পথ প্রায় ৪০ কিলোমিটার। যোগজাকার্তা এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ইন্দোনেশিয়ায় গরমকাল হলেও গাড়ির জানালা গলে হিম হিম ভাব উড়ে যাচ্ছে, পাহাড়ি এলাকা, এমনটাই স্বাভাবিক।
বরোবুদুর টেম্পল কমপ্লেক্সে এসে হাঁ হয়ে গেলাম। আধো অন্ধকারে বিশাল এক পিরামিড আকারের ধূসর পাথরে খোদাই করা মন্দির চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সামনে তার চেয়েও বড় উদ্যান, দৌড়ে পার হতে কম করে হলেও আধঘণ্টা লাগবে। তারপর সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে নয়তলা অবধি উঠতে হবে। কিন্তু প্রতি তলায় দেয়ালে আছে অসামান্য সুন্দর সব খোদাই করা চিত্রকর্ম। এগুলোর কোনোটিই আমার অপরিচিত নয়, আমি এদের ছবি দেখেছি অনেকবার।
মন্দিরে ঢোকার আগে একটা র্যাপার মতো দেওয়া হলো কোমরে বেঁধে নেওয়ার জন্য। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মন্দিরে ঢোকার নিয়মানুযায়ী আমার পোশাক বেশ ভদ্রই, লম্বা জামা পরে এসেছি। তবু কেন এই গরমে বাড়তি বস্ত্রখণ্ড বিজড়িত হয়ে চারণ করতে হবে জানতে চাইলে বলা হলো, ‘এটা মন্দিরে রাখা গৌতম বুদ্ধের মূর্তিকে সম্মান জানানোর জন্য।’
নিচের কয়েক তলায় একদম বাইরে দেয়াল নেই। ছাদের কোণজুড়ে হয় তোরণের মতো ডিজাইন করা অথবা গৌতম বুদ্ধের আসন গ্রহণ করে বসে আছেন, প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থেকে। প্রতিটি মূর্তি একইভাবে, একই নয়ন নিবদ্ধ করে আছে। পার্থক্য শুধু তাদের হাতের মুদ্রার ভঙ্গিমায়। কয়েকটি মূর্তির মাথা বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছে। মাথাগুলো বিভিন্ন সময়ে চুরি করে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বাকি মস্তকে কুঞ্চিত কুন্তল।
এই বুদ্ধরাজির ঠিক পেছনের দেয়ালে আছে সেই সব পাথরে খোদাই করা চিত্রকর্ম, যা তখনকার সময়ের সাধারণ মানুষের গল্প বলে। কিছু কিছু চিত্রকর্মে আবার গৌতম বুদ্ধ ও তাঁর অনুসারীদের গল্পও আছে। কিছু দেয়ালের ছাদে রাক্ষসের হাঁ করে বড় বড় দাঁত দেখানো মাথা খোদাই করা।
স্থানীয় আদিবাসী স্থাপত্যকলা ও ভারতীয় গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়ের স্থাপত্যশিল্প অনুসরণ করে নির্মিত হয়েছে উপাসনালয়টি। দেয়ালে খোদাই শিল্পকর্মের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭২, কিছু খোদাইচিত্র আছে লুকোনো, বাইরে থেকে দেখা যায় না। একেক তলা সিঁড়ি দিয়ে পার হলে একেকজন আরও আলোকিত মানুষ হবেন বলে আমার ধারণা। কারণ, প্রতি তলা প্রদক্ষিণ করে বুদ্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারপরই ওপরের তলায় উঠতে হয়। একেকটি তলাকে তাই ‘এনলাইটেনমেন্ট’ বলা হয়। এই উপাসনালয়ে বুদ্ধের মূর্তি আছে মোট ৫০৪টি।
একে একে সাততলা ওপরে উঠলে নিচের জগৎ হয়ে গেল মায়াময়। নিচে সবুজ পাহাড় আর জঙ্গলের ওপরে এক পশলা মেঘ জমেছে। এরই মাঝে অল্প অল্প আলো ছড়িয়ে সূর্য মহাশয়ের আগমন ঘটে গেল। কিন্তু সেদিকে আমার মন নেই। আমি দেখছি একেক খণ্ড মেঘ কখনো এক বুদ্ধকে ছুঁয়ে যায় তো অন্যকে ঢেকে ফেলে। বহুকাল পরিত্যক্ত, বাইরের জগতের কাছে প্রায় অজানা এই মূর্তিগুলোর সবচেয়ে কাছের বন্ধু এই মেঘদূতেরা। বুদ্ধের পুজো দিতে আসা ভক্ত কেউ নেই; তবে কে যেন কয়েকটা শিউলি ফুল রেখে গিয়ে আমাকে দেশের ভোরবেলার কথা জানিয়ে দিয়ে গেল। এখানেই দেখা হলো আমার সঙ্গে সেই পরিচিত মেঘেদের, যারা জায়গা বদলায় কিন্তু মন বদলায় না।
পরের তলায় অনেকগুলো স্তূপ সারি সারি সাজানো আছে। স্তূপের গায়ে বরফি কাটা ফোকর। স্তূপ হলো উল্টো করে রাখা ঘণ্টার মতো বিশালাকার স্থাপনা, যা সাধারণত উপাসনার জন্য নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি স্তূপের ভেতরে গৌতম বুদ্ধ আসন করে বসে ধ্যানে মগ্ন, ফোকরে চোখ দিয়ে তাঁকে দেখা যায়। হয়তো–বা বাইরের আবরণ বা স্তূপ করাই হয়েছে, যাতে অত উঁচুতে বুদ্ধের ধ্যান না ভাঙে।
সবশেষ তলাকে বলা হয় নির্ভানা বা নির্বাণ। যেহেতু উপাসনালয়টি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানার সুযোগ নেই, তাই ধরে নেওয়াই যায় এই চূড়াটি দাঁড়িয়ে আছে নির্বাণ লাভের প্রতীক হিসেবে। আকার স্তূপের মতো। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরের অজানা কথা প্রায় কিছুই জানা হলো না। কিছু কিছু ব্যাপার অজানা থাকলে তার প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়। যেমন, আমি গভীর ভালোবাসা পুষে রেখেছি সেই ছোটবেলা থেকে বরোবুদুরের প্রতি।
ওপর থেকে নিচে দেখলে মনে হবে, আকাশের কোনো এক দেশে ভেসে এসেছি। এক স্তর নিচে কাশফুলের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ, কোথাও আলাদা আলাদা, কোথাও পুরু গদি বানিয়ে আটকে আছে ঠিক পায়ের নিচে। আর তার নিচে সবুজ পাহাড়, আরও নিচে টিয়ে সবুজ ঘাসের বিছানা।
এখানেই বসে ভক্তরা ধ্যান করে গেছেন। নির্জনে ধ্যান করার জন্য এর চেয়ে অসাধারণ জায়গা আর নেই। এখানে বসে থাকা যায় মেঘের মুখোমুখি, কিছু না বলেও অনেক কথা বলে ফেলা যায় পাহাড়ের সঙ্গে, চোখে সূর্যের সোনালি রং মেখে পার করে দেওয়া যায় কয়েকটা দিন।

ভোরবেলায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে কে যেন একমুঠো শিউলি ফুলের নৈবেদ্য দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরে শিউলি ফুল দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছি। দেশি একটা আমেজ দোল দিয়ে গেল।
জায়গাটা বরোবুদুর—ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে অবস্থিত। আমি বড় হয়েছি ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন জায়গার গল্প শুনে। বাবা কর্মসূত্রে একটা সময় ছিলেন সে দেশে, আর ঘুরে দেখেছেন দেশটা। ছোটবেলা থেকে তাই খুব শখ ছিল, আর কোথাও না যেতে পারলেও বরোবুদুর আমি ঠিকই যাব। বরোবুদুরের ভিউকার্ড দেখে আমার মন উড়ে বেড়াত কখনো মন্দিরে, কখনো এখানকার সবগুলো আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে বা কখনো শান্ত একেকটা পাহাড়ের গায়ে মেঘের ডুবে যাওয়ার সময়।
বরোবুদুর মন্দির নির্মিত হয় অষ্টম শতকে শৈলেন্দ্র রাজবংশের শাসনকালে। এর কিছুদিন পর রাজবংশ পূর্ব জাভায় স্থানান্তরিত হলে মন্দিরটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ব্রিটিশ আমলে এই বিশালাকার মন্দিরটি পর্বতশ্রেণি আর জঙ্গলের মধ্য থেকে আবিষ্কার করেন কয়েকজন ব্রিটিশ অফিসার। এর পর এর সংস্কার করে মন্দিরটিকে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে উপযুক্ত করে তোলা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, এই সুবিস্তীর্ণ মন্দিরটির ইতিহাস খুব অল্পই জানা গেছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা অতি নগণ্য, দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তাই উপাসনার জন্যও ভক্তরা এত দূরে এই অজপাড়াগাঁয়ে আসেন না।
বরোবুদুরের সবচেয়ে কাছের শহর যোগজাকার্তা। সেখানেই আমি আস্তানা গেড়েছি আপাতত। সেখান থেকে শুনে এসেছি বরোবুদুরে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে হয়। ঘণ্টাখানেকের পথ, তাই রাত থাকতে থাকতে ট্যাক্সি নিয়ে রওনা দিয়েছি। পথ প্রায় ৪০ কিলোমিটার। যোগজাকার্তা এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ইন্দোনেশিয়ায় গরমকাল হলেও গাড়ির জানালা গলে হিম হিম ভাব উড়ে যাচ্ছে, পাহাড়ি এলাকা, এমনটাই স্বাভাবিক।
বরোবুদুর টেম্পল কমপ্লেক্সে এসে হাঁ হয়ে গেলাম। আধো অন্ধকারে বিশাল এক পিরামিড আকারের ধূসর পাথরে খোদাই করা মন্দির চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সামনে তার চেয়েও বড় উদ্যান, দৌড়ে পার হতে কম করে হলেও আধঘণ্টা লাগবে। তারপর সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে নয়তলা অবধি উঠতে হবে। কিন্তু প্রতি তলায় দেয়ালে আছে অসামান্য সুন্দর সব খোদাই করা চিত্রকর্ম। এগুলোর কোনোটিই আমার অপরিচিত নয়, আমি এদের ছবি দেখেছি অনেকবার।
মন্দিরে ঢোকার আগে একটা র্যাপার মতো দেওয়া হলো কোমরে বেঁধে নেওয়ার জন্য। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মন্দিরে ঢোকার নিয়মানুযায়ী আমার পোশাক বেশ ভদ্রই, লম্বা জামা পরে এসেছি। তবু কেন এই গরমে বাড়তি বস্ত্রখণ্ড বিজড়িত হয়ে চারণ করতে হবে জানতে চাইলে বলা হলো, ‘এটা মন্দিরে রাখা গৌতম বুদ্ধের মূর্তিকে সম্মান জানানোর জন্য।’
নিচের কয়েক তলায় একদম বাইরে দেয়াল নেই। ছাদের কোণজুড়ে হয় তোরণের মতো ডিজাইন করা অথবা গৌতম বুদ্ধের আসন গ্রহণ করে বসে আছেন, প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থেকে। প্রতিটি মূর্তি একইভাবে, একই নয়ন নিবদ্ধ করে আছে। পার্থক্য শুধু তাদের হাতের মুদ্রার ভঙ্গিমায়। কয়েকটি মূর্তির মাথা বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছে। মাথাগুলো বিভিন্ন সময়ে চুরি করে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বাকি মস্তকে কুঞ্চিত কুন্তল।
এই বুদ্ধরাজির ঠিক পেছনের দেয়ালে আছে সেই সব পাথরে খোদাই করা চিত্রকর্ম, যা তখনকার সময়ের সাধারণ মানুষের গল্প বলে। কিছু কিছু চিত্রকর্মে আবার গৌতম বুদ্ধ ও তাঁর অনুসারীদের গল্পও আছে। কিছু দেয়ালের ছাদে রাক্ষসের হাঁ করে বড় বড় দাঁত দেখানো মাথা খোদাই করা।
স্থানীয় আদিবাসী স্থাপত্যকলা ও ভারতীয় গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়ের স্থাপত্যশিল্প অনুসরণ করে নির্মিত হয়েছে উপাসনালয়টি। দেয়ালে খোদাই শিল্পকর্মের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭২, কিছু খোদাইচিত্র আছে লুকোনো, বাইরে থেকে দেখা যায় না। একেক তলা সিঁড়ি দিয়ে পার হলে একেকজন আরও আলোকিত মানুষ হবেন বলে আমার ধারণা। কারণ, প্রতি তলা প্রদক্ষিণ করে বুদ্ধের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারপরই ওপরের তলায় উঠতে হয়। একেকটি তলাকে তাই ‘এনলাইটেনমেন্ট’ বলা হয়। এই উপাসনালয়ে বুদ্ধের মূর্তি আছে মোট ৫০৪টি।
একে একে সাততলা ওপরে উঠলে নিচের জগৎ হয়ে গেল মায়াময়। নিচে সবুজ পাহাড় আর জঙ্গলের ওপরে এক পশলা মেঘ জমেছে। এরই মাঝে অল্প অল্প আলো ছড়িয়ে সূর্য মহাশয়ের আগমন ঘটে গেল। কিন্তু সেদিকে আমার মন নেই। আমি দেখছি একেক খণ্ড মেঘ কখনো এক বুদ্ধকে ছুঁয়ে যায় তো অন্যকে ঢেকে ফেলে। বহুকাল পরিত্যক্ত, বাইরের জগতের কাছে প্রায় অজানা এই মূর্তিগুলোর সবচেয়ে কাছের বন্ধু এই মেঘদূতেরা। বুদ্ধের পুজো দিতে আসা ভক্ত কেউ নেই; তবে কে যেন কয়েকটা শিউলি ফুল রেখে গিয়ে আমাকে দেশের ভোরবেলার কথা জানিয়ে দিয়ে গেল। এখানেই দেখা হলো আমার সঙ্গে সেই পরিচিত মেঘেদের, যারা জায়গা বদলায় কিন্তু মন বদলায় না।
পরের তলায় অনেকগুলো স্তূপ সারি সারি সাজানো আছে। স্তূপের গায়ে বরফি কাটা ফোকর। স্তূপ হলো উল্টো করে রাখা ঘণ্টার মতো বিশালাকার স্থাপনা, যা সাধারণত উপাসনার জন্য নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি স্তূপের ভেতরে গৌতম বুদ্ধ আসন করে বসে ধ্যানে মগ্ন, ফোকরে চোখ দিয়ে তাঁকে দেখা যায়। হয়তো–বা বাইরের আবরণ বা স্তূপ করাই হয়েছে, যাতে অত উঁচুতে বুদ্ধের ধ্যান না ভাঙে।
সবশেষ তলাকে বলা হয় নির্ভানা বা নির্বাণ। যেহেতু উপাসনালয়টি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানার সুযোগ নেই, তাই ধরে নেওয়াই যায় এই চূড়াটি দাঁড়িয়ে আছে নির্বাণ লাভের প্রতীক হিসেবে। আকার স্তূপের মতো। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরের অজানা কথা প্রায় কিছুই জানা হলো না। কিছু কিছু ব্যাপার অজানা থাকলে তার প্রতি ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়। যেমন, আমি গভীর ভালোবাসা পুষে রেখেছি সেই ছোটবেলা থেকে বরোবুদুরের প্রতি।
ওপর থেকে নিচে দেখলে মনে হবে, আকাশের কোনো এক দেশে ভেসে এসেছি। এক স্তর নিচে কাশফুলের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ, কোথাও আলাদা আলাদা, কোথাও পুরু গদি বানিয়ে আটকে আছে ঠিক পায়ের নিচে। আর তার নিচে সবুজ পাহাড়, আরও নিচে টিয়ে সবুজ ঘাসের বিছানা।
এখানেই বসে ভক্তরা ধ্যান করে গেছেন। নির্জনে ধ্যান করার জন্য এর চেয়ে অসাধারণ জায়গা আর নেই। এখানে বসে থাকা যায় মেঘের মুখোমুখি, কিছু না বলেও অনেক কথা বলে ফেলা যায় পাহাড়ের সঙ্গে, চোখে সূর্যের সোনালি রং মেখে পার করে দেওয়া যায় কয়েকটা দিন।

বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
৩৪ মিনিট আগে
বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের নিয়মনীতি ও সংস্কার মেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পোল্যান্ডে উইগিলিয়া নামের ক্রিসমাস ইভের ভোজ তেমনই একটি প্রথা। ২৪ ডিসেম্বর এই ভোজ হয়। সেই ভোজে ১২টি খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ১২টি খাবারের রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় প্রতীক।...
৩৪ মিনিট আগে
এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পর্যটন শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল। তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। সাম্প্রতিক টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাংকক বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা শহরের শিরোপা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছু শহরে পা রাখলেই মনে হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পুরো ফাঁকা হয়ে যাবে!
এক কাপ কফি থেকে শুরু করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যয় শহর ভেদে ভিন্ন। তবে এই ব্যয় বিশ্লেষণ করলে জানা যায় শহরটি থাকার জন্য ব্যয়বহুল নাকি সাশ্রয়ী। ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘টাইম আউট’ ১০০টির বেশি শহরের ১৮ হাজারের বেশি স্থানীয় অধিবাসীর কাছে জানতে চেয়েছিল তাঁদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ব্যয়ের মাত্রা। সেসবের মধ্যে ছিল রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সিনেমা দেখা, কফি পান, শিল্প প্রদর্শনী বা গ্যালারি দর্শন, থিয়েটার বা কমেডি শো, লাইভ মিউজিক, বারে গিয়ে পান করা এবং রাতে বাইরে সময় কাটানোর তথ্য। কত শতাংশ মানুষ এসব কাজকে সস্তা বা সাশ্রয়ী বলেছেন তার ওপর ভিত্তি করে ম্যাগাজিনটি তালিকা তৈরি করেছে।
সে তালিকা অনুসারে ব্যয়বহুল শহরের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল। শহরটির মাত্র ৩০ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন সেখানে রেস্তোরাঁয় খাওয়া সাশ্রয়ী। মাত্র ২১ শতাংশ মনে করেন বাইরে রাত কাটানো সাশ্রয়ী এবং ২৭ শতাংশ মনে করেন পানীয়র দাম কম। তালিকায় থাকা প্রথম ১৫টি দেশের মধ্যে এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো জাপানের কিয়োটো ও সিঙ্গাপুর। তালিকায় থাকা সিঙ্গাপুর কেবল পর্যটক নয়, প্রবাসীদের জন্যও এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর বলে বিবেচিত হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি। বিশ্বের ৪৫টি শহরের আবাসন, পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটির ফলাফল। দেখা গেছে, প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় সিঙ্গাপুরের অবস্থান চতুর্থ।
যাঁরা খরচ কমাতে চান তাঁদের জন্য অবশ্য ভয়ের কিছু নেই। তাঁদের জন্যও ‘টাইম আউট’ প্রকাশ করেছে সাশ্রয়ী দেশের তালিকা। ব্যয়বহুল শহরের তালিকা শুরু হয়েছে এশিয়ার দেশ দিয়ে। চীনের দুটি বড় শহর বেইজিং ও সাংহাই বিস্ময়করভাবে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা থিয়েটারে যাওয়াকে বেশ সাশ্রয়ী মনে করেন। এশিয়ার দিকে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় আরও আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি।
তাই ব্যয়ের কথা ভেবে ভ্রমণতালিকা থেকে সিঙ্গাপুর, সিউল বাদ পড়লে সেখানে যোগ করুন তালিকায় থাকা ভিয়েতনাম, চীন কিংবা ইন্দোনেশিয়ার শহরগুলোর নাম।
সূত্র: টাইম আউট

বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছু শহরে পা রাখলেই মনে হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পুরো ফাঁকা হয়ে যাবে!
এক কাপ কফি থেকে শুরু করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যয় শহর ভেদে ভিন্ন। তবে এই ব্যয় বিশ্লেষণ করলে জানা যায় শহরটি থাকার জন্য ব্যয়বহুল নাকি সাশ্রয়ী। ট্রাভেল ম্যাগাজিন ‘টাইম আউট’ ১০০টির বেশি শহরের ১৮ হাজারের বেশি স্থানীয় অধিবাসীর কাছে জানতে চেয়েছিল তাঁদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের ব্যয়ের মাত্রা। সেসবের মধ্যে ছিল রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সিনেমা দেখা, কফি পান, শিল্প প্রদর্শনী বা গ্যালারি দর্শন, থিয়েটার বা কমেডি শো, লাইভ মিউজিক, বারে গিয়ে পান করা এবং রাতে বাইরে সময় কাটানোর তথ্য। কত শতাংশ মানুষ এসব কাজকে সস্তা বা সাশ্রয়ী বলেছেন তার ওপর ভিত্তি করে ম্যাগাজিনটি তালিকা তৈরি করেছে।
সে তালিকা অনুসারে ব্যয়বহুল শহরের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল। শহরটির মাত্র ৩০ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন সেখানে রেস্তোরাঁয় খাওয়া সাশ্রয়ী। মাত্র ২১ শতাংশ মনে করেন বাইরে রাত কাটানো সাশ্রয়ী এবং ২৭ শতাংশ মনে করেন পানীয়র দাম কম। তালিকায় থাকা প্রথম ১৫টি দেশের মধ্যে এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো জাপানের কিয়োটো ও সিঙ্গাপুর। তালিকায় থাকা সিঙ্গাপুর কেবল পর্যটক নয়, প্রবাসীদের জন্যও এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর বলে বিবেচিত হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি। বিশ্বের ৪৫টি শহরের আবাসন, পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাটির ফলাফল। দেখা গেছে, প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় সিঙ্গাপুরের অবস্থান চতুর্থ।
যাঁরা খরচ কমাতে চান তাঁদের জন্য অবশ্য ভয়ের কিছু নেই। তাঁদের জন্যও ‘টাইম আউট’ প্রকাশ করেছে সাশ্রয়ী দেশের তালিকা। ব্যয়বহুল শহরের তালিকা শুরু হয়েছে এশিয়ার দেশ দিয়ে। চীনের দুটি বড় শহর বেইজিং ও সাংহাই বিস্ময়করভাবে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা থিয়েটারে যাওয়াকে বেশ সাশ্রয়ী মনে করেন। এশিয়ার দিকে সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় আরও আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি।
তাই ব্যয়ের কথা ভেবে ভ্রমণতালিকা থেকে সিঙ্গাপুর, সিউল বাদ পড়লে সেখানে যোগ করুন তালিকায় থাকা ভিয়েতনাম, চীন কিংবা ইন্দোনেশিয়ার শহরগুলোর নাম।
সূত্র: টাইম আউট

ভোরবেলায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে কে যেন একমুঠো শিউলি ফুলের নৈবেদ্য দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরে শিউলি ফুল দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছি। দেশি একটা আমেজ দোল দিয়ে গেল।
২৭ জুন ২০২১
বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের নিয়মনীতি ও সংস্কার মেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পোল্যান্ডে উইগিলিয়া নামের ক্রিসমাস ইভের ভোজ তেমনই একটি প্রথা। ২৪ ডিসেম্বর এই ভোজ হয়। সেই ভোজে ১২টি খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ১২টি খাবারের রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় প্রতীক।...
৩৪ মিনিট আগে
এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পর্যটন শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল। তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। সাম্প্রতিক টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাংকক বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা শহরের শিরোপা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আমাদের দেশে একটি ধারণা আছে, বড়দিনে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা কেক খেয়ে থাকে এবং সেদিন সেটাই তাদের প্রধান খাবার। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি কেক খাওয়া হয় অবশ্যই। তবে তা প্রধান বা একমাত্র নয়।
খাবারের সঙ্গে ধর্ম ও সংস্কৃতির যোগ অত্যন্ত নিবিড়। প্রতিটি সংস্কৃতিতে আলাদা খাবারের ধরন ও উপলক্ষ রয়েছে। রয়েছে ধর্মবিশেষে বিভিন্ন সংস্কার ও প্রথা। বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের নিয়মনীতি ও সংস্কার মেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পোল্যান্ডে উইগিলিয়া নামের ক্রিসমাস ইভের ভোজ তেমনই একটি প্রথা। ২৪ ডিসেম্বর এই ভোজ হয়। সেই ভোজে ১২টি খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ১২টি খাবারের রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় প্রতীক।
১২টি খাবারের তালিকা

১. বার্শট: এটি লাল বিটের স্যুপ। এতে প্রায়ই উশকা নামের ছোট মাশরুমের স্টাফ ডাম্পলিংসহ পরিবেশন করা হয়।
২. কার্প মাছ: ভাজা, জেলি আচ্ছাদিত বা অ্যাগার জেলাটিনে রাখা কার্প মাছ। ক্রিসমাসের সবচেয়ে প্রতীকী মাছ এটি।
৩. হারিং মাছ: স্থানীয়ভাবে একে স্লাজিয়া বলা হয়। তেলে, ক্রিম বা মাশরুম সসে নানাভাবে রান্না করা হারিং মাছ।
৪. পিয়েরোগি: কাপুস্তা (বাঁধাকপি ও মাশরুম) বা সির (পনির) ভর্তি ডাম্পলিং।
৫. কুতিয়া: গম, পপি বীজ, মধু, বাদাম ও শুকনো ফল দিয়ে তৈরি মিষ্টি পুডিং। এটি প্রাচীন স্লাভিক খাবার।

৬. মাশরুম স্যুপ: স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় জুপাকজি বভা। শুকনো বন-মাশরুমের স্যুপ। এটি প্রায়ই নুডলসসহ খাওয়া হয়।
৭. নুডলসসহ পপি বীজ: স্থানীয়ভাবে একে মাকোভিয়েৎস বলা হয়। পপি বীজ দিয়ে তৈরি রোল বা নুডলস। এটি সমৃদ্ধির প্রতীক।
৮. বাঁধাকপি রোল: স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় গোলমবকি। টমেটো সসে সেদ্ধ করা মাংস ও ভাত ভর্তি বাঁধাকপির রোল।
৯. শাকসবজি সালাদ: স্থানীয় নাম সালাটকা ইয়াজিনোভা। আলু, গাজর, মটরশুঁটি, আপেল ও মেয়োনিজ দিয়ে তৈরি সালাদ।
১০. শুকনো ফলে তৈরি পানীয় কম্পোট: স্থানীয় নাম কমপোতস সুসু। শুকনো আপেল, নাশপাতি, প্লাম ও চেরির তৈরি ঠান্ডা পানীয়।
১১. প্লাম সসে নুডলস: স্থানীয় নাম ক্লুসটিস জামাকিয়াম। পপি সিড, প্লাম সসসহ নুডলস।
১২. পপি সিড রোল কেক: স্থানীয় নাম স্ত্রোসলাস জামাকিয়াম। এটি মাকোভিয়েক নামেও পরিচিত। পপি বীজ ভর্তি মিষ্টি রোল কেক।
এই ১২টি খাবারের আছে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণ
১২ জন প্রেরিত পুরুষের প্রতীক: এই ১২টি খাবার যিশুখ্রিষ্টের ১২ জন প্রেরিত শিষ্যর প্রতীক। যিশুর এই ১২ জন শিষ্য হলেন শিমোন পিতর, আন্দ্রিয়, যাকোব, যোহন, ফিলিপ, বর্থলময়, মথি, থোমা, যাকোব, থদ্দেয়, শিমোন এবং যিহূদা ইস্করিয়োত। বড়দিনে এই ১২ জন প্রধানতম শিষ্যকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। কারণ, এই ১২ শিষ্যই যিশুর শেষ নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন।

নিরামিষ ভোজের ঐতিহ্য: ঐতিহ্যগতভাবে, ক্রিসমাস ইভে কোনো লাল মাংস অর্থাৎ গরু বা শূকরের মাংস খাওয়া হতো না। কারণ, এটি উপবাসের দিন হিসেবে গণ্য হতো। যদিও এখন অনেকে এই নিয়মকে শিথিলভাবে গ্রহণ করেছেন। সেই প্রথা মেনে মাছ, বিশেষত কার্প ও হেরিং মাছ খাওয়া হয়।
প্রাচীন স্লাভিক ও কৃষি প্রতীক
পপি বীজ: এটি প্রাচীন স্লাভিক সংস্কৃতিতে ঘুম, মৃত্যু ও পুনরুজ্জীবন, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক।
মধু: মিষ্টি জীবন ও প্রাচুর্যের প্রতীক।
গম বা শস্য: অমরত্ব ও প্রফুল্লতার প্রতীক।
মাশরুম: বন থেকে পাওয়া উপহার এবং পুরোনো বিশ্বাস অনুসারে জাদুকরি শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।
ভাগ্য ও সুস্বাস্থ্যের রীতিনীতি
ঐতিহ্য ও পূর্বপুরুষের সঙ্গে সংযোগ
খাবারের একটি অংশ বা প্লেট বা কিছু খড় টেবিলের নিচে রাখা হয় মৃত পূর্বপুরুষদের স্মরণ এবং তাঁদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
প্রথম তারার উদয় পর্যন্ত উপবাস রাখা হয় যিশুর জন্মের প্রতীকী প্রতীক্ষা বোঝাতে।
আধুনিক প্রেক্ষাপট
পোল্যান্ডে বড়দিনে ১২টি খাবারই খাওয়া হয় এখনো। তবে অনেক পরিবার ১২টি খাবারের ঐতিহ্য বজায় রেখে স্থান ও পারিবারিক রীতিভেদে মেনু ভিন্ন করে নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে কিছু অঞ্চলে খাবারে শনি বা পাইক মাছ অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানা যায়। তবে বার্শট, কার্প, পিয়েরোগি, কুতিয়া ও মাকোভিয়েৎস প্রায় সর্বজনীন খাবার।
পোল্যান্ডে বড়দিনের এই ভোজ শুধু উদ্যাপনের জন্য খাওয়া হয় না; বরং এই খাবারগুলো পরিবার, বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং নতুন বছরের জন্য আশার একটি গভীর সম্মিলন।
সূত্র: ‘দ্য পোলিশ ক্রিসমাস ইভ ফেস্ট’, কালচার ডট পিএল এবং ‘ক্রিসমাস ইন পোল্যান্ড’, পোলিশ টুরিজম অরগানাইজেশন

আমাদের দেশে একটি ধারণা আছে, বড়দিনে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা কেক খেয়ে থাকে এবং সেদিন সেটাই তাদের প্রধান খাবার। কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি কেক খাওয়া হয় অবশ্যই। তবে তা প্রধান বা একমাত্র নয়।
খাবারের সঙ্গে ধর্ম ও সংস্কৃতির যোগ অত্যন্ত নিবিড়। প্রতিটি সংস্কৃতিতে আলাদা খাবারের ধরন ও উপলক্ষ রয়েছে। রয়েছে ধর্মবিশেষে বিভিন্ন সংস্কার ও প্রথা। বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের নিয়মনীতি ও সংস্কার মেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পোল্যান্ডে উইগিলিয়া নামের ক্রিসমাস ইভের ভোজ তেমনই একটি প্রথা। ২৪ ডিসেম্বর এই ভোজ হয়। সেই ভোজে ১২টি খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ১২টি খাবারের রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় প্রতীক।
১২টি খাবারের তালিকা

১. বার্শট: এটি লাল বিটের স্যুপ। এতে প্রায়ই উশকা নামের ছোট মাশরুমের স্টাফ ডাম্পলিংসহ পরিবেশন করা হয়।
২. কার্প মাছ: ভাজা, জেলি আচ্ছাদিত বা অ্যাগার জেলাটিনে রাখা কার্প মাছ। ক্রিসমাসের সবচেয়ে প্রতীকী মাছ এটি।
৩. হারিং মাছ: স্থানীয়ভাবে একে স্লাজিয়া বলা হয়। তেলে, ক্রিম বা মাশরুম সসে নানাভাবে রান্না করা হারিং মাছ।
৪. পিয়েরোগি: কাপুস্তা (বাঁধাকপি ও মাশরুম) বা সির (পনির) ভর্তি ডাম্পলিং।
৫. কুতিয়া: গম, পপি বীজ, মধু, বাদাম ও শুকনো ফল দিয়ে তৈরি মিষ্টি পুডিং। এটি প্রাচীন স্লাভিক খাবার।

৬. মাশরুম স্যুপ: স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় জুপাকজি বভা। শুকনো বন-মাশরুমের স্যুপ। এটি প্রায়ই নুডলসসহ খাওয়া হয়।
৭. নুডলসসহ পপি বীজ: স্থানীয়ভাবে একে মাকোভিয়েৎস বলা হয়। পপি বীজ দিয়ে তৈরি রোল বা নুডলস। এটি সমৃদ্ধির প্রতীক।
৮. বাঁধাকপি রোল: স্থানীয়ভাবে একে বলা হয় গোলমবকি। টমেটো সসে সেদ্ধ করা মাংস ও ভাত ভর্তি বাঁধাকপির রোল।
৯. শাকসবজি সালাদ: স্থানীয় নাম সালাটকা ইয়াজিনোভা। আলু, গাজর, মটরশুঁটি, আপেল ও মেয়োনিজ দিয়ে তৈরি সালাদ।
১০. শুকনো ফলে তৈরি পানীয় কম্পোট: স্থানীয় নাম কমপোতস সুসু। শুকনো আপেল, নাশপাতি, প্লাম ও চেরির তৈরি ঠান্ডা পানীয়।
১১. প্লাম সসে নুডলস: স্থানীয় নাম ক্লুসটিস জামাকিয়াম। পপি সিড, প্লাম সসসহ নুডলস।
১২. পপি সিড রোল কেক: স্থানীয় নাম স্ত্রোসলাস জামাকিয়াম। এটি মাকোভিয়েক নামেও পরিচিত। পপি বীজ ভর্তি মিষ্টি রোল কেক।
এই ১২টি খাবারের আছে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণ
১২ জন প্রেরিত পুরুষের প্রতীক: এই ১২টি খাবার যিশুখ্রিষ্টের ১২ জন প্রেরিত শিষ্যর প্রতীক। যিশুর এই ১২ জন শিষ্য হলেন শিমোন পিতর, আন্দ্রিয়, যাকোব, যোহন, ফিলিপ, বর্থলময়, মথি, থোমা, যাকোব, থদ্দেয়, শিমোন এবং যিহূদা ইস্করিয়োত। বড়দিনে এই ১২ জন প্রধানতম শিষ্যকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। কারণ, এই ১২ শিষ্যই যিশুর শেষ নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন।

নিরামিষ ভোজের ঐতিহ্য: ঐতিহ্যগতভাবে, ক্রিসমাস ইভে কোনো লাল মাংস অর্থাৎ গরু বা শূকরের মাংস খাওয়া হতো না। কারণ, এটি উপবাসের দিন হিসেবে গণ্য হতো। যদিও এখন অনেকে এই নিয়মকে শিথিলভাবে গ্রহণ করেছেন। সেই প্রথা মেনে মাছ, বিশেষত কার্প ও হেরিং মাছ খাওয়া হয়।
প্রাচীন স্লাভিক ও কৃষি প্রতীক
পপি বীজ: এটি প্রাচীন স্লাভিক সংস্কৃতিতে ঘুম, মৃত্যু ও পুনরুজ্জীবন, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক।
মধু: মিষ্টি জীবন ও প্রাচুর্যের প্রতীক।
গম বা শস্য: অমরত্ব ও প্রফুল্লতার প্রতীক।
মাশরুম: বন থেকে পাওয়া উপহার এবং পুরোনো বিশ্বাস অনুসারে জাদুকরি শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।
ভাগ্য ও সুস্বাস্থ্যের রীতিনীতি
ঐতিহ্য ও পূর্বপুরুষের সঙ্গে সংযোগ
খাবারের একটি অংশ বা প্লেট বা কিছু খড় টেবিলের নিচে রাখা হয় মৃত পূর্বপুরুষদের স্মরণ এবং তাঁদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
প্রথম তারার উদয় পর্যন্ত উপবাস রাখা হয় যিশুর জন্মের প্রতীকী প্রতীক্ষা বোঝাতে।
আধুনিক প্রেক্ষাপট
পোল্যান্ডে বড়দিনে ১২টি খাবারই খাওয়া হয় এখনো। তবে অনেক পরিবার ১২টি খাবারের ঐতিহ্য বজায় রেখে স্থান ও পারিবারিক রীতিভেদে মেনু ভিন্ন করে নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে কিছু অঞ্চলে খাবারে শনি বা পাইক মাছ অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানা যায়। তবে বার্শট, কার্প, পিয়েরোগি, কুতিয়া ও মাকোভিয়েৎস প্রায় সর্বজনীন খাবার।
পোল্যান্ডে বড়দিনের এই ভোজ শুধু উদ্যাপনের জন্য খাওয়া হয় না; বরং এই খাবারগুলো পরিবার, বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং নতুন বছরের জন্য আশার একটি গভীর সম্মিলন।
সূত্র: ‘দ্য পোলিশ ক্রিসমাস ইভ ফেস্ট’, কালচার ডট পিএল এবং ‘ক্রিসমাস ইন পোল্যান্ড’, পোলিশ টুরিজম অরগানাইজেশন

ভোরবেলায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে কে যেন একমুঠো শিউলি ফুলের নৈবেদ্য দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরে শিউলি ফুল দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছি। দেশি একটা আমেজ দোল দিয়ে গেল।
২৭ জুন ২০২১
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
৩৪ মিনিট আগে
এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পর্যটন শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল। তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। সাম্প্রতিক টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাংকক বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা শহরের শিরোপা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পর্যটন শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল। তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। সাম্প্রতিক টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাংকক বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা শহরের শিরোপা জিতেছে। এ বছর রেকর্ড ৩ কোটি ৩ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক কেবল ব্যাংককেই পা রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাংককের এই একক সাফল্য সত্ত্বেও পুরো থাইল্যান্ডের পর্যটন খাতের সামগ্রিক গতি কিছুটা ধীর।
২৩ দশমিক ২ মিলিয়ন পর্যটক নিয়ে তালিকায় হংকংয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। এর পরেই আছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, চীনের ম্যাকাও, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, সৌদি আরবের মক্কা, তুরস্কের আনাতোলিয়া, ফ্রান্সের প্যারিস ও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। একদিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক বিশ্বজয়ের মুকুট পরেছে, অন্যদিকে সামগ্রিক পর্যটন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে কিছুটা ভাটার টান। ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর মোট বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছাতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছর থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছিলেন ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি পর্যটক।
পর্যটন শক্তি হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ডকে এ বছর একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। চীনা অভিনেতা জিং জিং-এর আলোচিত অপহরণের ঘটনা, প্রাণঘাতী ভূমিকম্প, কম্বোডিয়া সঙ্গে দফায় দফায় সীমান্ত সংঘর্ষ তাদের পর্যটনের গতি কিছুটা ধীর করেছিল। ব্যাংকক পোস্টের তথ্যমতে, পর্যটন খাতকে চাঙা করতে থাইল্যান্ড সরকার এখন বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন

এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পর্যটন শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল। তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। সাম্প্রতিক টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাংকক বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা শহরের শিরোপা জিতেছে। এ বছর রেকর্ড ৩ কোটি ৩ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক কেবল ব্যাংককেই পা রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাংককের এই একক সাফল্য সত্ত্বেও পুরো থাইল্যান্ডের পর্যটন খাতের সামগ্রিক গতি কিছুটা ধীর।
২৩ দশমিক ২ মিলিয়ন পর্যটক নিয়ে তালিকায় হংকংয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। এর পরেই আছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, চীনের ম্যাকাও, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, সৌদি আরবের মক্কা, তুরস্কের আনাতোলিয়া, ফ্রান্সের প্যারিস ও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। একদিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক বিশ্বজয়ের মুকুট পরেছে, অন্যদিকে সামগ্রিক পর্যটন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে কিছুটা ভাটার টান। ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর মোট বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছাতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছর থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছিলেন ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি পর্যটক।
পর্যটন শক্তি হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ডকে এ বছর একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। চীনা অভিনেতা জিং জিং-এর আলোচিত অপহরণের ঘটনা, প্রাণঘাতী ভূমিকম্প, কম্বোডিয়া সঙ্গে দফায় দফায় সীমান্ত সংঘর্ষ তাদের পর্যটনের গতি কিছুটা ধীর করেছিল। ব্যাংকক পোস্টের তথ্যমতে, পর্যটন খাতকে চাঙা করতে থাইল্যান্ড সরকার এখন বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন

ভোরবেলায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে কে যেন একমুঠো শিউলি ফুলের নৈবেদ্য দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরে শিউলি ফুল দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছি। দেশি একটা আমেজ দোল দিয়ে গেল।
২৭ জুন ২০২১
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
৩৪ মিনিট আগে
বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের নিয়মনীতি ও সংস্কার মেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পোল্যান্ডে উইগিলিয়া নামের ক্রিসমাস ইভের ভোজ তেমনই একটি প্রথা। ২৪ ডিসেম্বর এই ভোজ হয়। সেই ভোজে ১২টি খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ১২টি খাবারের রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় প্রতীক।...
৩৪ মিনিট আগে
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম বিয়ার রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তাদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় দেশের বাইরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ‘নোচে বুয়েনা’ (Noche Buena) নামের এই বিশেষ বিয়ারটি কেবল মেক্সিকোর ভেতরেই পাওয়া যায় এবং তাও বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য। বড়দিনের আমেজ নিয়ে আসা এই পানীয়টি মেক্সিকানদের কাছে উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাধারণ হালকা বিয়ারগুলোর তুলনায় নোচে বুয়েনা বেশ আলাদা। এটি মূলত জার্মান ‘বক-স্টাইল’ (Bock-style) বিয়ার। এতে রয়েছে পোড়া কফি, ক্যারামেল এবং চকোলেটের স্বাদ। ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ এই বিয়ারটির অম্ল-মিষ্টি স্বাদ মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস ডিশ যেমন—টার্কি, রোমেরিতোস (মোল সসে ভেজানো ভেষজ) বা নোনতা কড মাছের (Bacalao) সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
১৯২৪ সালে জার্মান মাস্টার ব্রুয়ার অটো নিউমায়ার প্রথম ভেরাক্রুজে নিজের বন্ধুদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা হয় এবং তখন থেকেই এটি মৌসুমি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোর বিয়ার শিল্পের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত বিয়ার নির্মাতারা মেক্সিকোতে এসে ছোট ছোট ব্রুয়ারি গড়ে তোলেন। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের সান্তিয়াগো গ্রাফ প্রথম মেক্সিকোতে ‘ল্যাগার’ বিয়ারের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ‘সারভেসেরিয়া মোক্তেজুমা’ (Cervecería Moctezuma) নামক কারখানায় নোচে বুয়েনার যাত্রা শুরু হয়।
কেন এটি মেক্সিকোর বাইরে পাওয়া যায় না
মেক্সিকো বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিয়ার রপ্তানি করে, যা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারক দেশের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি। তাসত্ত্বেও নোচে বুয়েনা কেন বিদেশে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
২০১১ সালে হাইনেকেন (Heineken) এই বিয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুরু করলেও চাহিদার অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়। মেক্সিকান প্রবাসীরা বড়দিনের সময় এই বিয়ারটির অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেন। অনেক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে এর বিকল্প হিসেবে ‘নোচে এস্পেশাল’ খুঁজে নেন, কিন্তু আসল নোচে বুয়েনার স্বাদ মেক্সিকোর বাইরে মেলা ভার।
বর্তমানে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিয়ারটি মেক্সিকোর বিভিন্ন বার, ক্যান্টিনা এবং সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। মেক্সিকানদের কাছে এটি কেবল একটি পানীয় নয়, বরং বড়দিনের আনন্দ আর বন্ধুত্বের এক বিশেষ প্রতীক।

মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম বিয়ার রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তাদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় দেশের বাইরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ‘নোচে বুয়েনা’ (Noche Buena) নামের এই বিশেষ বিয়ারটি কেবল মেক্সিকোর ভেতরেই পাওয়া যায় এবং তাও বছরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য। বড়দিনের আমেজ নিয়ে আসা এই পানীয়টি মেক্সিকানদের কাছে উৎসবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘নোচে বুয়েনা’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র রাত’ বা ‘বড়দিনের আগের রাত’। মেক্সিকোতে যখনই সুপারমার্কেটের তাকে গাঢ় লাল রঙের নোচে বুয়েনার বাক্সগুলো দেখা যায়, তখনই সাধারণ মানুষ বুঝে নেয় যে ছুটির মৌসুম বা বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাধারণ হালকা বিয়ারগুলোর তুলনায় নোচে বুয়েনা বেশ আলাদা। এটি মূলত জার্মান ‘বক-স্টাইল’ (Bock-style) বিয়ার। এতে রয়েছে পোড়া কফি, ক্যারামেল এবং চকোলেটের স্বাদ। ৫ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ এই বিয়ারটির অম্ল-মিষ্টি স্বাদ মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী ক্রিসমাস ডিশ যেমন—টার্কি, রোমেরিতোস (মোল সসে ভেজানো ভেষজ) বা নোনতা কড মাছের (Bacalao) সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
১৯২৪ সালে জার্মান মাস্টার ব্রুয়ার অটো নিউমায়ার প্রথম ভেরাক্রুজে নিজের বন্ধুদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি তৈরি করেন। ১৯৩৮ সালে এটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনা হয় এবং তখন থেকেই এটি মৌসুমি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোর বিয়ার শিল্পের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগে এবং ২০শ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত বিয়ার নির্মাতারা মেক্সিকোতে এসে ছোট ছোট ব্রুয়ারি গড়ে তোলেন। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের সান্তিয়াগো গ্রাফ প্রথম মেক্সিকোতে ‘ল্যাগার’ বিয়ারের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ‘সারভেসেরিয়া মোক্তেজুমা’ (Cervecería Moctezuma) নামক কারখানায় নোচে বুয়েনার যাত্রা শুরু হয়।
কেন এটি মেক্সিকোর বাইরে পাওয়া যায় না
মেক্সিকো বছরে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিয়ার রপ্তানি করে, যা বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারক দেশের সম্মিলিত আয়ের চেয়েও বেশি। তাসত্ত্বেও নোচে বুয়েনা কেন বিদেশে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
২০১১ সালে হাইনেকেন (Heineken) এই বিয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি শুরু করলেও চাহিদার অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেয়। মেক্সিকান প্রবাসীরা বড়দিনের সময় এই বিয়ারটির অভাব তীব্রভাবে অনুভব করেন। অনেক সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে এর বিকল্প হিসেবে ‘নোচে এস্পেশাল’ খুঁজে নেন, কিন্তু আসল নোচে বুয়েনার স্বাদ মেক্সিকোর বাইরে মেলা ভার।
বর্তমানে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত এই বিয়ারটি মেক্সিকোর বিভিন্ন বার, ক্যান্টিনা এবং সুপারমার্কেটে পাওয়া যায়। মেক্সিকানদের কাছে এটি কেবল একটি পানীয় নয়, বরং বড়দিনের আনন্দ আর বন্ধুত্বের এক বিশেষ প্রতীক।

ভোরবেলায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে কে যেন একমুঠো শিউলি ফুলের নৈবেদ্য দিয়ে গিয়েছে। জায়গাটা ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই বিদেশ বিভুঁইয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দিরে শিউলি ফুল দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে গিয়েছি। দেশি একটা আমেজ দোল দিয়ে গেল।
২৭ জুন ২০২১
বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশচুম্বী দালান আর পরিচ্ছন্ন নগরী। এই জৌলুশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে খরচের এক বিশাল পাহাড়। সাধারণত ছোট শহর বা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়; বিশেষ করে বাড়ি ভাড়া এবং আবাসন ব্যয়ের ক্ষেত্রে।
৩৪ মিনিট আগে
বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বড়দিনের নিয়মনীতি ও সংস্কার মেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। পোল্যান্ডে উইগিলিয়া নামের ক্রিসমাস ইভের ভোজ তেমনই একটি প্রথা। ২৪ ডিসেম্বর এই ভোজ হয়। সেই ভোজে ১২টি খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ১২টি খাবারের রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় প্রতীক।...
৩৪ মিনিট আগে
এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পর্যটন শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনাল। তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। সাম্প্রতিক টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ব্যাংকক বিশ্বের বেশি ভ্রমণ করা শহরের শিরোপা জিতেছে।
১ ঘণ্টা আগে