জিন্নাত আরা ঋতু

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। সুরক্ষার জন্য হলেও অন্যান্য পরিধেয়ের মতো জুতাও এখন ফ্যাশন। কালের বিবর্তনের জুতার স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। পরনের পোশাকের মতো জুতাও মানানসই হওয়া চাই। ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। কারণ, উপযুক্ত জুতার মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। মানানসই জুতা মানুষকে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নারীদের জুতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। অফিসে হোক বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে হোক-মানুষ পায়ের জুতাজোড়ার দিকেই তাকাবেই। পোশাকের সঙ্গে জুতা কতটা মানাচ্ছে তা বড় বিবেচনার বিষয়। কিন্তু পছন্দের জুতা নির্বাচনে অনেকে বিপাকে পড়েন। কোন স্টাইল আর রঙের জুতা মানাবে তা নিয়ে ছেলেরা দ্বিধায় থাকেন। জেনেশুনে জুতা বাছাই এনে দেবে ফ্যাশনেবল আউটলুক। সে জন্য গঠন ও নকশাভেদে জুতার ধরন জানা জরুরি। অনেক জুতাই পরা হলেও তার নাম হয়তো অজানা।
অক্সফোর্ড
পুরুষদের জনপ্রিয় জুতার নাম অক্সফোর্ড। ফর্মালওয়্যারে সবচেয়ে মার্জিত ধরনের জুতার অন্যতম এটি। এ জুতার বৈশিষ্ট্য হলো-এটিতে থাকে ক্লোজিং লেসিং (বন্ধ ফিতা) অর্থাৎ জুতার ওপরের অংশে সাধারণ স্লিট থাকে; উভয় পাশে ফিতার সঙ্গে আইলেট যুক্ত থাকে। পাতলা সোল্ডের সামান্য উঁচু টো-ক্যাপ, সামনের দিকে সরু গড়নের কারণে এই জুতা পেয়েছে নান্দনিক রূপ। প্লেন কাট বা সাধা সিধা গড়নের এই জুতায় বৈচিত্র্যময় নকশাতেও তৈরি হয়।
অক্সফোর্ড শু কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে দুটি গল্প আছে। ইংল্যান্ডের জুতাপ্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান বডিলিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উনিশ শতকের শুরুতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটুসমান বুট পরত। ১৮২৫ সালের কোনো এক সময়ে জুতার আকার ছোট হয়ে যায়। অক্সোনিয়ানা নামে মাঝারি আকারের একধরনের বুট তৈরি হয় তখন। এসব বুটে এখনকার অক্সফোর্ড শুর চেয়ে উঁচু হিল ছিল; সঙ্গে ছিল ফিতার ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় পরিবর্তন আসে।
তবে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড শুর আনুষ্ঠানিক উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। চেলসিয়া বুটের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত যোশেফ স্পার্কস হল নিউ মান্থলি ম্যাগাজিনে অক্সফোর্ড শু নিয়ে লিখেছিলেন। তার ভাষ্য হলো-এই জুতা হাঁটার জন্য সবে চেয়ে উপযোগী।
অক্সফোর্ড জুতার উৎপত্তি নিয়ে অপর একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, এই জুতার উৎস বালমোরাল ক্যাসেল। প্রিন্স অ্যালবার্ট এই জুতার উদ্ভাবক। শিকার ও হাঁটার জন্য ফিতাওয়ালা বুট পরতেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড শুর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস যা হোক না কেন, ১৯ শতকজুড়ে জুতার এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন হয়।
মংক
মংক শুর সামনের দিকটা সরু অক্সফোর্ড শুর মতোই। কিন্তু এতে কোনো ফিতার ব্যবহার নেই। ফিতার পরিবর্তে এক বা একাধিক স্ট্র্যাপ থাকে। নান্দনিক নকশার কারণে এই জুতা অন্য সব ধরনের চেয়ে করেছে ব্যতিক্রমী। মোনক জুতোর উৎপত্তি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফ্যাশন ওয়েবসাইট হেরিং সুজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় সন্ন্যাসীদের থেকে এর উৎপত্তি।
গল্পটি হলো-ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল পরে মাঠে কাজ করতেন। কিন্তু সেটা পুরো উপযুক্ত না হওয়ায় নিজেরা পায়ের পাতা ঢাকা এক ধরনের স্যান্ডেল তৈরি করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক। তিনি ওই স্যান্ডেল দেখে এতই মোহিত হন, সঙ্গে করে এক জোড়া বাড়িতে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ঢাকা সেই স্যান্ডেল থেকে আধুনিক মংক জুতার জন্ম। এই গল্প সত্য কিনা তা প্রমাণের বিষয়। তবে মংক জুতার আধুনিক সংস্করণটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ও ২০ শতকের শুরুর দিকে এসেছে।
ডার্বি
আমেরিকান ইংরেজিতে ডার্বি জুতাকে ‘ব্লুচার’ও বলা হয়। আকারে অক্সফোর্ড ও মংক জুতার সঙ্গে এর মিল আছে। পেছনে হালকা উঁচু হিল, সামনের দিকে সরু। তবে এটির বৈশিষ্ট্য ওপেন লেস অর্থাৎ জুতার দুই দিক ফিতা দিয়ে বাঁধলেও মাঝে ফাঁকা থাকবে। এই জুতার উপরিভাগে সেলাই থাকে। এটি জুতাকে মজবুত চেহারা দেয়। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড থেকে আলাদা করে। ডার্বি জুতার গোড়াপত্তন স্পষ্ট নয়। ১৮৫০ এর দশকে জনপ্রিয় খেলা ডার্বি। শিকারের বুট হিসেবে ২০ শতকের শুরুতে ডার্বি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে বডিলিস ডটকম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
বোল্ড ডার্বি
ডার্বির আধুনিকতম ধরন বোল্ড ডার্বি। ডার্বি জুতার আদলে তৈরি হলেও এতে অনেক নতুনত্ব আছে। ডার্বির মতো এটির বৈশিষ্ট্যও ওপেন লেসিং এবং উপরিভাগে সেলাই। তবে এর বিশেষত্ব হল-পুরু ও বাড়তি উচ্চতার সোল্ড।
ব্রৌগেস
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে আইকনিক জুতার নকশাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রৌগেস জুতা। এ জুতার উপরিভাগ দেখে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অনন্য শৈলীর এ জুতা পুরুষদের অন্যান্য জুতার চেয়ে ব্যতিক্রম। ‘ব্রোগ’ শব্দটি চামড়ার মধ্যে খোঁচা ছিদ্রকে বোঝায়। মূলত ছিদ্রযুক্ত জুতাই ব্রৌগেস। সকল ব্রৌগস অক্সফোর্ড, তবে সকল অক্সফোর্ড ব্রৌগস নয়।
এ জুতার উৎস নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ১৬ শতকের মাঝ সময় শেষের দিকের কোনো এক সময়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই জুতার উৎপত্তি হয়েছে বলে ফ্যাশন ওয়েবসাইট ট্রিকার্সে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভূখণ্ড পার হওয়ার উপযোগী জুতা হিসেবে এই নকশা করা হয়েছিল, যাতে জুতার মধ্যে পানি ঢুকলে তা দ্রুত সরতে ও শুকাতে পারে।
লোফার
১৯৩০ এর দশকে স্লিপ-অন বা ফিতাবিহীন জুতার বর্ণনা দিতে ‘লোফার’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই স্টাইলের জুতায় ফিতা বা অন্য কোনো বাঁধন থাকে না। লোফার জুতায় হিল পাতলা বা নেই বললেই চলে। পাতলা সোল্ড হওয়ায় এটি আরামদায়ক এবং হালকা ভাব এনে দেয়। জুতার ওপরের অংশটি সাধারণত নরম।
লোফারের উৎপত্তি কিছুটা বিতর্কিত। পোর্ট ম্যাগাজিন ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, লোফার জুতার গোড়াপত্তনের পেছনে নরওয়েজিয়ান কৃষকদের ভূমিকার কথা বলেন কেউ কেউ। কাজের জন্য উপযোগী হিসেবে স্লিপ-অন জুতা পরতেন নরওয়েজিয়ানরা। আবার কেউ কেউ বলেন, নেটিভ আমেরিকান মোকাসিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই জুতার নকশা করা হয়।

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। সুরক্ষার জন্য হলেও অন্যান্য পরিধেয়ের মতো জুতাও এখন ফ্যাশন। কালের বিবর্তনের জুতার স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। পরনের পোশাকের মতো জুতাও মানানসই হওয়া চাই। ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। কারণ, উপযুক্ত জুতার মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। মানানসই জুতা মানুষকে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নারীদের জুতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। অফিসে হোক বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে হোক-মানুষ পায়ের জুতাজোড়ার দিকেই তাকাবেই। পোশাকের সঙ্গে জুতা কতটা মানাচ্ছে তা বড় বিবেচনার বিষয়। কিন্তু পছন্দের জুতা নির্বাচনে অনেকে বিপাকে পড়েন। কোন স্টাইল আর রঙের জুতা মানাবে তা নিয়ে ছেলেরা দ্বিধায় থাকেন। জেনেশুনে জুতা বাছাই এনে দেবে ফ্যাশনেবল আউটলুক। সে জন্য গঠন ও নকশাভেদে জুতার ধরন জানা জরুরি। অনেক জুতাই পরা হলেও তার নাম হয়তো অজানা।
অক্সফোর্ড
পুরুষদের জনপ্রিয় জুতার নাম অক্সফোর্ড। ফর্মালওয়্যারে সবচেয়ে মার্জিত ধরনের জুতার অন্যতম এটি। এ জুতার বৈশিষ্ট্য হলো-এটিতে থাকে ক্লোজিং লেসিং (বন্ধ ফিতা) অর্থাৎ জুতার ওপরের অংশে সাধারণ স্লিট থাকে; উভয় পাশে ফিতার সঙ্গে আইলেট যুক্ত থাকে। পাতলা সোল্ডের সামান্য উঁচু টো-ক্যাপ, সামনের দিকে সরু গড়নের কারণে এই জুতা পেয়েছে নান্দনিক রূপ। প্লেন কাট বা সাধা সিধা গড়নের এই জুতায় বৈচিত্র্যময় নকশাতেও তৈরি হয়।
অক্সফোর্ড শু কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে দুটি গল্প আছে। ইংল্যান্ডের জুতাপ্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান বডিলিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উনিশ শতকের শুরুতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটুসমান বুট পরত। ১৮২৫ সালের কোনো এক সময়ে জুতার আকার ছোট হয়ে যায়। অক্সোনিয়ানা নামে মাঝারি আকারের একধরনের বুট তৈরি হয় তখন। এসব বুটে এখনকার অক্সফোর্ড শুর চেয়ে উঁচু হিল ছিল; সঙ্গে ছিল ফিতার ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় পরিবর্তন আসে।
তবে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড শুর আনুষ্ঠানিক উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। চেলসিয়া বুটের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত যোশেফ স্পার্কস হল নিউ মান্থলি ম্যাগাজিনে অক্সফোর্ড শু নিয়ে লিখেছিলেন। তার ভাষ্য হলো-এই জুতা হাঁটার জন্য সবে চেয়ে উপযোগী।
অক্সফোর্ড জুতার উৎপত্তি নিয়ে অপর একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, এই জুতার উৎস বালমোরাল ক্যাসেল। প্রিন্স অ্যালবার্ট এই জুতার উদ্ভাবক। শিকার ও হাঁটার জন্য ফিতাওয়ালা বুট পরতেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড শুর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস যা হোক না কেন, ১৯ শতকজুড়ে জুতার এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন হয়।
মংক
মংক শুর সামনের দিকটা সরু অক্সফোর্ড শুর মতোই। কিন্তু এতে কোনো ফিতার ব্যবহার নেই। ফিতার পরিবর্তে এক বা একাধিক স্ট্র্যাপ থাকে। নান্দনিক নকশার কারণে এই জুতা অন্য সব ধরনের চেয়ে করেছে ব্যতিক্রমী। মোনক জুতোর উৎপত্তি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফ্যাশন ওয়েবসাইট হেরিং সুজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় সন্ন্যাসীদের থেকে এর উৎপত্তি।
গল্পটি হলো-ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল পরে মাঠে কাজ করতেন। কিন্তু সেটা পুরো উপযুক্ত না হওয়ায় নিজেরা পায়ের পাতা ঢাকা এক ধরনের স্যান্ডেল তৈরি করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক। তিনি ওই স্যান্ডেল দেখে এতই মোহিত হন, সঙ্গে করে এক জোড়া বাড়িতে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ঢাকা সেই স্যান্ডেল থেকে আধুনিক মংক জুতার জন্ম। এই গল্প সত্য কিনা তা প্রমাণের বিষয়। তবে মংক জুতার আধুনিক সংস্করণটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ও ২০ শতকের শুরুর দিকে এসেছে।
ডার্বি
আমেরিকান ইংরেজিতে ডার্বি জুতাকে ‘ব্লুচার’ও বলা হয়। আকারে অক্সফোর্ড ও মংক জুতার সঙ্গে এর মিল আছে। পেছনে হালকা উঁচু হিল, সামনের দিকে সরু। তবে এটির বৈশিষ্ট্য ওপেন লেস অর্থাৎ জুতার দুই দিক ফিতা দিয়ে বাঁধলেও মাঝে ফাঁকা থাকবে। এই জুতার উপরিভাগে সেলাই থাকে। এটি জুতাকে মজবুত চেহারা দেয়। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড থেকে আলাদা করে। ডার্বি জুতার গোড়াপত্তন স্পষ্ট নয়। ১৮৫০ এর দশকে জনপ্রিয় খেলা ডার্বি। শিকারের বুট হিসেবে ২০ শতকের শুরুতে ডার্বি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে বডিলিস ডটকম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
বোল্ড ডার্বি
ডার্বির আধুনিকতম ধরন বোল্ড ডার্বি। ডার্বি জুতার আদলে তৈরি হলেও এতে অনেক নতুনত্ব আছে। ডার্বির মতো এটির বৈশিষ্ট্যও ওপেন লেসিং এবং উপরিভাগে সেলাই। তবে এর বিশেষত্ব হল-পুরু ও বাড়তি উচ্চতার সোল্ড।
ব্রৌগেস
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে আইকনিক জুতার নকশাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রৌগেস জুতা। এ জুতার উপরিভাগ দেখে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অনন্য শৈলীর এ জুতা পুরুষদের অন্যান্য জুতার চেয়ে ব্যতিক্রম। ‘ব্রোগ’ শব্দটি চামড়ার মধ্যে খোঁচা ছিদ্রকে বোঝায়। মূলত ছিদ্রযুক্ত জুতাই ব্রৌগেস। সকল ব্রৌগস অক্সফোর্ড, তবে সকল অক্সফোর্ড ব্রৌগস নয়।
এ জুতার উৎস নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ১৬ শতকের মাঝ সময় শেষের দিকের কোনো এক সময়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই জুতার উৎপত্তি হয়েছে বলে ফ্যাশন ওয়েবসাইট ট্রিকার্সে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভূখণ্ড পার হওয়ার উপযোগী জুতা হিসেবে এই নকশা করা হয়েছিল, যাতে জুতার মধ্যে পানি ঢুকলে তা দ্রুত সরতে ও শুকাতে পারে।
লোফার
১৯৩০ এর দশকে স্লিপ-অন বা ফিতাবিহীন জুতার বর্ণনা দিতে ‘লোফার’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই স্টাইলের জুতায় ফিতা বা অন্য কোনো বাঁধন থাকে না। লোফার জুতায় হিল পাতলা বা নেই বললেই চলে। পাতলা সোল্ড হওয়ায় এটি আরামদায়ক এবং হালকা ভাব এনে দেয়। জুতার ওপরের অংশটি সাধারণত নরম।
লোফারের উৎপত্তি কিছুটা বিতর্কিত। পোর্ট ম্যাগাজিন ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, লোফার জুতার গোড়াপত্তনের পেছনে নরওয়েজিয়ান কৃষকদের ভূমিকার কথা বলেন কেউ কেউ। কাজের জন্য উপযোগী হিসেবে স্লিপ-অন জুতা পরতেন নরওয়েজিয়ানরা। আবার কেউ কেউ বলেন, নেটিভ আমেরিকান মোকাসিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই জুতার নকশা করা হয়।
জিন্নাত আরা ঋতু

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। সুরক্ষার জন্য হলেও অন্যান্য পরিধেয়ের মতো জুতাও এখন ফ্যাশন। কালের বিবর্তনের জুতার স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। পরনের পোশাকের মতো জুতাও মানানসই হওয়া চাই। ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। কারণ, উপযুক্ত জুতার মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। মানানসই জুতা মানুষকে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নারীদের জুতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। অফিসে হোক বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে হোক-মানুষ পায়ের জুতাজোড়ার দিকেই তাকাবেই। পোশাকের সঙ্গে জুতা কতটা মানাচ্ছে তা বড় বিবেচনার বিষয়। কিন্তু পছন্দের জুতা নির্বাচনে অনেকে বিপাকে পড়েন। কোন স্টাইল আর রঙের জুতা মানাবে তা নিয়ে ছেলেরা দ্বিধায় থাকেন। জেনেশুনে জুতা বাছাই এনে দেবে ফ্যাশনেবল আউটলুক। সে জন্য গঠন ও নকশাভেদে জুতার ধরন জানা জরুরি। অনেক জুতাই পরা হলেও তার নাম হয়তো অজানা।
অক্সফোর্ড
পুরুষদের জনপ্রিয় জুতার নাম অক্সফোর্ড। ফর্মালওয়্যারে সবচেয়ে মার্জিত ধরনের জুতার অন্যতম এটি। এ জুতার বৈশিষ্ট্য হলো-এটিতে থাকে ক্লোজিং লেসিং (বন্ধ ফিতা) অর্থাৎ জুতার ওপরের অংশে সাধারণ স্লিট থাকে; উভয় পাশে ফিতার সঙ্গে আইলেট যুক্ত থাকে। পাতলা সোল্ডের সামান্য উঁচু টো-ক্যাপ, সামনের দিকে সরু গড়নের কারণে এই জুতা পেয়েছে নান্দনিক রূপ। প্লেন কাট বা সাধা সিধা গড়নের এই জুতায় বৈচিত্র্যময় নকশাতেও তৈরি হয়।
অক্সফোর্ড শু কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে দুটি গল্প আছে। ইংল্যান্ডের জুতাপ্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান বডিলিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উনিশ শতকের শুরুতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটুসমান বুট পরত। ১৮২৫ সালের কোনো এক সময়ে জুতার আকার ছোট হয়ে যায়। অক্সোনিয়ানা নামে মাঝারি আকারের একধরনের বুট তৈরি হয় তখন। এসব বুটে এখনকার অক্সফোর্ড শুর চেয়ে উঁচু হিল ছিল; সঙ্গে ছিল ফিতার ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় পরিবর্তন আসে।
তবে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড শুর আনুষ্ঠানিক উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। চেলসিয়া বুটের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত যোশেফ স্পার্কস হল নিউ মান্থলি ম্যাগাজিনে অক্সফোর্ড শু নিয়ে লিখেছিলেন। তার ভাষ্য হলো-এই জুতা হাঁটার জন্য সবে চেয়ে উপযোগী।
অক্সফোর্ড জুতার উৎপত্তি নিয়ে অপর একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, এই জুতার উৎস বালমোরাল ক্যাসেল। প্রিন্স অ্যালবার্ট এই জুতার উদ্ভাবক। শিকার ও হাঁটার জন্য ফিতাওয়ালা বুট পরতেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড শুর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস যা হোক না কেন, ১৯ শতকজুড়ে জুতার এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন হয়।
মংক
মংক শুর সামনের দিকটা সরু অক্সফোর্ড শুর মতোই। কিন্তু এতে কোনো ফিতার ব্যবহার নেই। ফিতার পরিবর্তে এক বা একাধিক স্ট্র্যাপ থাকে। নান্দনিক নকশার কারণে এই জুতা অন্য সব ধরনের চেয়ে করেছে ব্যতিক্রমী। মোনক জুতোর উৎপত্তি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফ্যাশন ওয়েবসাইট হেরিং সুজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় সন্ন্যাসীদের থেকে এর উৎপত্তি।
গল্পটি হলো-ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল পরে মাঠে কাজ করতেন। কিন্তু সেটা পুরো উপযুক্ত না হওয়ায় নিজেরা পায়ের পাতা ঢাকা এক ধরনের স্যান্ডেল তৈরি করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক। তিনি ওই স্যান্ডেল দেখে এতই মোহিত হন, সঙ্গে করে এক জোড়া বাড়িতে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ঢাকা সেই স্যান্ডেল থেকে আধুনিক মংক জুতার জন্ম। এই গল্প সত্য কিনা তা প্রমাণের বিষয়। তবে মংক জুতার আধুনিক সংস্করণটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ও ২০ শতকের শুরুর দিকে এসেছে।
ডার্বি
আমেরিকান ইংরেজিতে ডার্বি জুতাকে ‘ব্লুচার’ও বলা হয়। আকারে অক্সফোর্ড ও মংক জুতার সঙ্গে এর মিল আছে। পেছনে হালকা উঁচু হিল, সামনের দিকে সরু। তবে এটির বৈশিষ্ট্য ওপেন লেস অর্থাৎ জুতার দুই দিক ফিতা দিয়ে বাঁধলেও মাঝে ফাঁকা থাকবে। এই জুতার উপরিভাগে সেলাই থাকে। এটি জুতাকে মজবুত চেহারা দেয়। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড থেকে আলাদা করে। ডার্বি জুতার গোড়াপত্তন স্পষ্ট নয়। ১৮৫০ এর দশকে জনপ্রিয় খেলা ডার্বি। শিকারের বুট হিসেবে ২০ শতকের শুরুতে ডার্বি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে বডিলিস ডটকম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
বোল্ড ডার্বি
ডার্বির আধুনিকতম ধরন বোল্ড ডার্বি। ডার্বি জুতার আদলে তৈরি হলেও এতে অনেক নতুনত্ব আছে। ডার্বির মতো এটির বৈশিষ্ট্যও ওপেন লেসিং এবং উপরিভাগে সেলাই। তবে এর বিশেষত্ব হল-পুরু ও বাড়তি উচ্চতার সোল্ড।
ব্রৌগেস
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে আইকনিক জুতার নকশাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রৌগেস জুতা। এ জুতার উপরিভাগ দেখে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অনন্য শৈলীর এ জুতা পুরুষদের অন্যান্য জুতার চেয়ে ব্যতিক্রম। ‘ব্রোগ’ শব্দটি চামড়ার মধ্যে খোঁচা ছিদ্রকে বোঝায়। মূলত ছিদ্রযুক্ত জুতাই ব্রৌগেস। সকল ব্রৌগস অক্সফোর্ড, তবে সকল অক্সফোর্ড ব্রৌগস নয়।
এ জুতার উৎস নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ১৬ শতকের মাঝ সময় শেষের দিকের কোনো এক সময়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই জুতার উৎপত্তি হয়েছে বলে ফ্যাশন ওয়েবসাইট ট্রিকার্সে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভূখণ্ড পার হওয়ার উপযোগী জুতা হিসেবে এই নকশা করা হয়েছিল, যাতে জুতার মধ্যে পানি ঢুকলে তা দ্রুত সরতে ও শুকাতে পারে।
লোফার
১৯৩০ এর দশকে স্লিপ-অন বা ফিতাবিহীন জুতার বর্ণনা দিতে ‘লোফার’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই স্টাইলের জুতায় ফিতা বা অন্য কোনো বাঁধন থাকে না। লোফার জুতায় হিল পাতলা বা নেই বললেই চলে। পাতলা সোল্ড হওয়ায় এটি আরামদায়ক এবং হালকা ভাব এনে দেয়। জুতার ওপরের অংশটি সাধারণত নরম।
লোফারের উৎপত্তি কিছুটা বিতর্কিত। পোর্ট ম্যাগাজিন ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, লোফার জুতার গোড়াপত্তনের পেছনে নরওয়েজিয়ান কৃষকদের ভূমিকার কথা বলেন কেউ কেউ। কাজের জন্য উপযোগী হিসেবে স্লিপ-অন জুতা পরতেন নরওয়েজিয়ানরা। আবার কেউ কেউ বলেন, নেটিভ আমেরিকান মোকাসিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই জুতার নকশা করা হয়।

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। সুরক্ষার জন্য হলেও অন্যান্য পরিধেয়ের মতো জুতাও এখন ফ্যাশন। কালের বিবর্তনের জুতার স্টাইলে এসেছে পরিবর্তন। পরনের পোশাকের মতো জুতাও মানানসই হওয়া চাই। ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। কারণ, উপযুক্ত জুতার মধ্যে ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত হয়। মানানসই জুতা মানুষকে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নারীদের জুতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। অফিসে হোক বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে হোক-মানুষ পায়ের জুতাজোড়ার দিকেই তাকাবেই। পোশাকের সঙ্গে জুতা কতটা মানাচ্ছে তা বড় বিবেচনার বিষয়। কিন্তু পছন্দের জুতা নির্বাচনে অনেকে বিপাকে পড়েন। কোন স্টাইল আর রঙের জুতা মানাবে তা নিয়ে ছেলেরা দ্বিধায় থাকেন। জেনেশুনে জুতা বাছাই এনে দেবে ফ্যাশনেবল আউটলুক। সে জন্য গঠন ও নকশাভেদে জুতার ধরন জানা জরুরি। অনেক জুতাই পরা হলেও তার নাম হয়তো অজানা।
অক্সফোর্ড
পুরুষদের জনপ্রিয় জুতার নাম অক্সফোর্ড। ফর্মালওয়্যারে সবচেয়ে মার্জিত ধরনের জুতার অন্যতম এটি। এ জুতার বৈশিষ্ট্য হলো-এটিতে থাকে ক্লোজিং লেসিং (বন্ধ ফিতা) অর্থাৎ জুতার ওপরের অংশে সাধারণ স্লিট থাকে; উভয় পাশে ফিতার সঙ্গে আইলেট যুক্ত থাকে। পাতলা সোল্ডের সামান্য উঁচু টো-ক্যাপ, সামনের দিকে সরু গড়নের কারণে এই জুতা পেয়েছে নান্দনিক রূপ। প্লেন কাট বা সাধা সিধা গড়নের এই জুতায় বৈচিত্র্যময় নকশাতেও তৈরি হয়।
অক্সফোর্ড শু কোথা থেকে এসেছে তা নিয়ে দুটি গল্প আছে। ইংল্যান্ডের জুতাপ্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান বডিলিসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উনিশ শতকের শুরুতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হাঁটুসমান বুট পরত। ১৮২৫ সালের কোনো এক সময়ে জুতার আকার ছোট হয়ে যায়। অক্সোনিয়ানা নামে মাঝারি আকারের একধরনের বুট তৈরি হয় তখন। এসব বুটে এখনকার অক্সফোর্ড শুর চেয়ে উঁচু হিল ছিল; সঙ্গে ছিল ফিতার ব্যবহার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নকশায় পরিবর্তন আসে।
তবে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড শুর আনুষ্ঠানিক উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। চেলসিয়া বুটের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত যোশেফ স্পার্কস হল নিউ মান্থলি ম্যাগাজিনে অক্সফোর্ড শু নিয়ে লিখেছিলেন। তার ভাষ্য হলো-এই জুতা হাঁটার জন্য সবে চেয়ে উপযোগী।
অক্সফোর্ড জুতার উৎপত্তি নিয়ে অপর একটি গল্প প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, এই জুতার উৎস বালমোরাল ক্যাসেল। প্রিন্স অ্যালবার্ট এই জুতার উদ্ভাবক। শিকার ও হাঁটার জন্য ফিতাওয়ালা বুট পরতেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড শুর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাস যা হোক না কেন, ১৯ শতকজুড়ে জুতার এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন হয়।
মংক
মংক শুর সামনের দিকটা সরু অক্সফোর্ড শুর মতোই। কিন্তু এতে কোনো ফিতার ব্যবহার নেই। ফিতার পরিবর্তে এক বা একাধিক স্ট্র্যাপ থাকে। নান্দনিক নকশার কারণে এই জুতা অন্য সব ধরনের চেয়ে করেছে ব্যতিক্রমী। মোনক জুতোর উৎপত্তি নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফ্যাশন ওয়েবসাইট হেরিং সুজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় সন্ন্যাসীদের থেকে এর উৎপত্তি।
গল্পটি হলো-ইউরোপীয় সন্ন্যাসীরা ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল পরে মাঠে কাজ করতেন। কিন্তু সেটা পুরো উপযুক্ত না হওয়ায় নিজেরা পায়ের পাতা ঢাকা এক ধরনের স্যান্ডেল তৈরি করেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করতেন এক ইংরেজ ভদ্রলোক। তিনি ওই স্যান্ডেল দেখে এতই মোহিত হন, সঙ্গে করে এক জোড়া বাড়িতে নিয়ে যান। পায়ের পাতা ঢাকা সেই স্যান্ডেল থেকে আধুনিক মংক জুতার জন্ম। এই গল্প সত্য কিনা তা প্রমাণের বিষয়। তবে মংক জুতার আধুনিক সংস্করণটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ও ২০ শতকের শুরুর দিকে এসেছে।
ডার্বি
আমেরিকান ইংরেজিতে ডার্বি জুতাকে ‘ব্লুচার’ও বলা হয়। আকারে অক্সফোর্ড ও মংক জুতার সঙ্গে এর মিল আছে। পেছনে হালকা উঁচু হিল, সামনের দিকে সরু। তবে এটির বৈশিষ্ট্য ওপেন লেস অর্থাৎ জুতার দুই দিক ফিতা দিয়ে বাঁধলেও মাঝে ফাঁকা থাকবে। এই জুতার উপরিভাগে সেলাই থাকে। এটি জুতাকে মজবুত চেহারা দেয়। একই সঙ্গে অক্সফোর্ড থেকে আলাদা করে। ডার্বি জুতার গোড়াপত্তন স্পষ্ট নয়। ১৮৫০ এর দশকে জনপ্রিয় খেলা ডার্বি। শিকারের বুট হিসেবে ২০ শতকের শুরুতে ডার্বি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বলে বডিলিস ডটকম ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়।
বোল্ড ডার্বি
ডার্বির আধুনিকতম ধরন বোল্ড ডার্বি। ডার্বি জুতার আদলে তৈরি হলেও এতে অনেক নতুনত্ব আছে। ডার্বির মতো এটির বৈশিষ্ট্যও ওপেন লেসিং এবং উপরিভাগে সেলাই। তবে এর বিশেষত্ব হল-পুরু ও বাড়তি উচ্চতার সোল্ড।
ব্রৌগেস
পুরুষদের জন্য সবচেয়ে আইকনিক জুতার নকশাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রৌগেস জুতা। এ জুতার উপরিভাগ দেখে সহজেই শনাক্ত করা যায়। অনন্য শৈলীর এ জুতা পুরুষদের অন্যান্য জুতার চেয়ে ব্যতিক্রম। ‘ব্রোগ’ শব্দটি চামড়ার মধ্যে খোঁচা ছিদ্রকে বোঝায়। মূলত ছিদ্রযুক্ত জুতাই ব্রৌগেস। সকল ব্রৌগস অক্সফোর্ড, তবে সকল অক্সফোর্ড ব্রৌগস নয়।
এ জুতার উৎস নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। ১৬ শতকের মাঝ সময় শেষের দিকের কোনো এক সময়ে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে এই জুতার উৎপত্তি হয়েছে বলে ফ্যাশন ওয়েবসাইট ট্রিকার্সে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধ বা স্যাঁতসেঁতে ভূখণ্ড পার হওয়ার উপযোগী জুতা হিসেবে এই নকশা করা হয়েছিল, যাতে জুতার মধ্যে পানি ঢুকলে তা দ্রুত সরতে ও শুকাতে পারে।
লোফার
১৯৩০ এর দশকে স্লিপ-অন বা ফিতাবিহীন জুতার বর্ণনা দিতে ‘লোফার’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই স্টাইলের জুতায় ফিতা বা অন্য কোনো বাঁধন থাকে না। লোফার জুতায় হিল পাতলা বা নেই বললেই চলে। পাতলা সোল্ড হওয়ায় এটি আরামদায়ক এবং হালকা ভাব এনে দেয়। জুতার ওপরের অংশটি সাধারণত নরম।
লোফারের উৎপত্তি কিছুটা বিতর্কিত। পোর্ট ম্যাগাজিন ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, লোফার জুতার গোড়াপত্তনের পেছনে নরওয়েজিয়ান কৃষকদের ভূমিকার কথা বলেন কেউ কেউ। কাজের জন্য উপযোগী হিসেবে স্লিপ-অন জুতা পরতেন নরওয়েজিয়ানরা। আবার কেউ কেউ বলেন, নেটিভ আমেরিকান মোকাসিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই জুতার নকশা করা হয়।

চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১২ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।
উপকরণ
মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।
উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

ম্যারিনেশন প্রণালি
মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।
টিপস
ব্যাটার তৈরি
ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

কোটিং
ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।
টিপস
ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।
ভাজা
যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
পরিবেশন

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।
উপকরণ
মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।
উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

ম্যারিনেশন প্রণালি
মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।
টিপস
ব্যাটার তৈরি
ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

কোটিং
ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।
টিপস
ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।
ভাজা
যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
পরিবেশন

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। কালেভদ্রে হয়েছে সংযোজন, নকশার পরিবর্তন। সুরক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ফ্যাশনে। পরনের পোশাকের মতো জুতাও হওয়া চায় মানানসই। আর ফ্যাশন সচেতন পুরুষেরা বরাবরই জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। সঠিক জুতা নির্বাচন আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী।
০৫ জুন ২০২৪
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১২ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।
ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।
ফুট স্ক্রাব জরুরি
ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২০ মিনিটের পুটবাথ
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল
অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।
প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।
সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।
ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।
ফুট স্ক্রাব জরুরি
ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২০ মিনিটের পুটবাথ
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল
অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।
প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।
সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। কালেভদ্রে হয়েছে সংযোজন, নকশার পরিবর্তন। সুরক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ফ্যাশনে। পরনের পোশাকের মতো জুতাও হওয়া চায় মানানসই। আর ফ্যাশন সচেতন পুরুষেরা বরাবরই জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। সঠিক জুতা নির্বাচন আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী।
০৫ জুন ২০২৪
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
২ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১২ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।
পাকা কলার প্যাক
কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।
দইয়ের জাদুকরি প্যাক

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।
সহজ সমাধান নারকেল তেল
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।
পাকা কলার প্যাক
কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।
দইয়ের জাদুকরি প্যাক

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।
সহজ সমাধান নারকেল তেল
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। কালেভদ্রে হয়েছে সংযোজন, নকশার পরিবর্তন। সুরক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ফ্যাশনে। পরনের পোশাকের মতো জুতাও হওয়া চায় মানানসই। আর ফ্যাশন সচেতন পুরুষেরা বরাবরই জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। সঠিক জুতা নির্বাচন আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী।
০৫ জুন ২০২৪
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।
বৃষ
স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।
মিথুন
মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।
কর্কট
কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।
সিংহ
বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।
কন্যা
বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।
তুলা
হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।
বৃশ্চিক
পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।
ধনু
আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।
মকর
আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।
কুম্ভ
দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।
মীন
আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

মেষ
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।
বৃষ
স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।
মিথুন
মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।
কর্কট
কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।
সিংহ
বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।
কন্যা
বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।
তুলা
হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।
বৃশ্চিক
পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।
ধনু
আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।
মকর
আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।
কুম্ভ
দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।
মীন
আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

পায়ের সুরক্ষায় জুতার ব্যবহার সেই আদি কাল থেকে। কালেভদ্রে হয়েছে সংযোজন, নকশার পরিবর্তন। সুরক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ফ্যাশনে। পরনের পোশাকের মতো জুতাও হওয়া চায় মানানসই। আর ফ্যাশন সচেতন পুরুষেরা বরাবরই জুতা নির্বাচনে গুরুত্ব দেন। সঠিক জুতা নির্বাচন আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী।
০৫ জুন ২০২৪
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১২ ঘণ্টা আগে