Ajker Patrika

বিজেএস পরীক্ষা: দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন প্রস্তুতি কৌশল

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
ছবি: মাহতাব হোসেন
ছবি: মাহতাব হোসেন

বিচারক হতে চাইলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে যে দুটি আইন, তা হলো দেওয়ানি আইন ও ফৌজদারি আইন। এই দুটি আইন কেবল পরীক্ষার জন্য নয়, বাস্তব জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেও পথপ্রদর্শক। সামনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮তম বিচার বিভাগীয় (বিজেএস) পরীক্ষা। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন। এই সময়টাই দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন পুনরায় ঝালিয়ে নেওয়ার সেরা সুযোগ। ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত শান্ত দেব রায় অর্ণ তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। লিখেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার

কেন পড়া জরুরি

আইন কেবল একটি পেশাগত শিক্ষা নয়; এটি সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী হাতিয়ার। একজন আইন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া থেকে আদালতের মঞ্চে নিজের অবস্থান তৈরি করার প্রতিটি ধাপে সবচেয়ে বেশি মুখোমুখি হন দেওয়ানি আইন ও ফৌজদারি আইনের। দেওয়ানি আইন শেখায় জমি, চুক্তি এবং সম্পত্তিসংক্রান্ত জটিলতার সমাধান। ফৌজদারি আইন নির্দেশ করে অপরাধ ও তার শাস্তির কাঠামো। এই দুই আইন একজন আইনজীবী, বিচারক বা আইন-সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীর সারা জীবনের সহযাত্রী। বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পরীক্ষা এবং বার কাউন্সিল পরীক্ষায় এই দুই আইনের গুরুত্ব অপরিসীম।

মান বণ্টন

জুডিশিয়ারি প্রিলিমিনারি: দেওয়ানি আইন ১০ নম্বর, ফৌজদারি আইন ১০ নম্বর

লিখিত পরীক্ষা: দেওয়ানি আইন ১০০ নম্বর, ফৌজদারি আইন ১০০ নম্বর (মোট ২০০ নম্বর)

ভালো করার কার্যকর টিপস

আইনের শিক্ষার্থীদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো বিপুল পরিমাণ আইন মুখস্থ রাখা এবং সময়মতো মনে রাখা। এর জন্য দরকার সুসংগঠিত অধ্যয়ন পদ্ধতি:

১. একাডেমিক কোর্সে গুরুত্ব দিন

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিন। যারা বিজেএস বা বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য বেয়ার অ্যাক্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ধারা ও অনুচ্ছেদ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। পাশাপাশি একটি ভালো গাইড বই বিষয়গুলো বোঝার সহায়ক হবে।

২. পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন সমাধান করুন

পুরোনো প্রশ্নপত্র অধ্যয়ন অত্যন্ত জরুরি। এতে বোঝা যায়, কোন ধারা থেকে কীভাবে প্রশ্ন আসতে পারে। প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে আইনগুলোর গঠন ও মূল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়।

৩. বারবার রিভিশন দিন

একবার পড়ে রাখা সহজে ভুলে যাওয়া যায়। নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করলে তথ্য স্মৃতিতে স্থায়ী হয়। প্রতিদিন অল্প করে পড়া ও কয়েক দিন বিরতির পর পুনরায় রিভিশন করা কার্যকর।

৪. নিজের হাতে নোট তৈরি করুন

নিজের লেখা নোট পরীক্ষার সময় সবচেয়ে বড় সহায়ক। এতে বিষয়গুলো স্পষ্ট থাকে এবং আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। নোট করার আগে অবশ্যই বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা প্রয়োজন। একাধিক বই থেকে তুলনামূলকভাবে পড়লে বোঝাপড়া আরও গভীর হয়।

শান্ত যেভাবে পড়তেন

শান্তর কাছে রুটিন একটি বড় শক্তি। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা শুধু দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন পড়তেন। একটানা না পড়ে, অল্প অল্প করে মনোযোগ দিয়ে পড়তেন। কঠিন অংশ বা মনে না রাখা অংশ স্টিকি নোটে লিখে টেবিলের সামনে রাখতেন, ফলে প্রতিদিন চোখে পড়ে স্মৃতিতে গেঁথে যেত।

দেওয়ানি আইন অধ্যয়নের পদ্ধতি

  • Civil Procedure Code (CPC): ৫ দিনে শেষ; প্রথম ২ দিন ধারাগুলো, পরের ৩ দিন অর্ডার।
  • pecific Relief Act: ২–৩ দিনে ভাগ করে পড়া।
  • Limitation Act: একদিনে শেষ।
  • এক সপ্তাহে দেওয়ানি আইনের বড় অংশ শেষ করা যেত।

ফৌজদারি আইন অধ্যয়নের পদ্ধতি

  • Criminal Procedure Code (CrPC): ৫ দিনে
  • Evidence Act: ২–৩ দিনে
  • Penal Code: ৩–৪ দিনে শেষ শাস্তিসংক্রান্ত ধারা মনে রাখার জন্য একটি ছোট নোটবই রাখা। এতে পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভিশন সম্ভব।

অন্যান্য পরামর্শ

শান্ত শিক্ষার্থীদের বলেন, আইনের পথচলা সহজ নয়। প্রচুর পরিশ্রম, ধৈর্য ও আত্মত্যাগ প্রয়োজন। কখনো মনে হবে এত আইন মুখস্থ করা অসম্ভব, কখনো মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন। তবে অধ্যবসায়ে অবিচল থাকলেই সাফল্য আসে। মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা অপরিহার্য। সুস্থ দেহে সুস্থ মন নিয়ে পড়াশোনা করলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। সবশেষে, সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখুন এবং এগিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ আছে জাপানে

আমিমুল এহসান খান। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন আমিমুল এহসান খান। সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’-এ বিশ্বের ৫০ তরুণের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা, চাকরি ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান

টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এককথায় দুর্দান্ত এবং বৈচিত্র্যময়। প্রথম দুই বছর করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে। তবে বাকি সময়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করার সুযোগ পেয়েছি।

উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা জাপানকে কেন বেছে নিচ্ছেন?

নিরাপত্তা ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা জাপান উচ্চশিক্ষার জন্য আকর্ষণীয়। এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের। আর শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক। অর্থনৈতিকভাবে জাপান স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর বৃত্তি দেয়। মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাপানি ভাষা জানা থাকলে জীবনযাপন ও কর্মজীবনে সফল হওয়া অনেক সহজ হয়।

জাপান ও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখছেন?

জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত গবেষণাকেন্দ্রিক, প্রয়োগমুখী এবং লক্ষ্যভিত্তিক। এখানে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, শিক্ষার্থীর মতামত, নিয়মিত প্রেজেন্টেশন এবং গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্মুক্ত, প্রশ্ন করা এবং আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অনেক ক্ষেত্রে মুখস্থনির্ভর এবং গতানুগতিক। তবে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ অসীম। জাপানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, আত্মযত্ন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই জীবনমুখী শিক্ষা শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এভাবে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা দেশের প্রচলিত ব্যবস্থার থেকে ভিন্নতা সৃষ্টি করে।

জাপানের ভর্তিপ্রক্রিয়া কেমন এবং কতটা সময় লাগে?

জাপানে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সাধারণত এটি ৬-৭ মাস সময় নেয়। প্রথমে শিক্ষার্থীকে পছন্দের মেজর ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে পার্টটাইম কাজের সুযোগের একটা বিষয় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডাকযোগে পাঠাতে হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেয়, আবার কিছুতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। অফার লেটার এবং বৃত্তি নিশ্চিত হলে এক বছরের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। এরপর সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটির (সিওই) জন্য আবেদন করতে হয়। এতে প্রায় আড়াই মাস সময় নেয়। সিওই হাতে পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং জাপানে যাত্রা করা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের বৃত্তি আছে, নির্বাচনের মাপকাঠি কী?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে বৃত্তির সুযোগ ব্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় দিতে পারে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও বৃত্তি দেয়। যেমন: অনেক শিক্ষার্থী জেএএসএসও থেকে মাসিক ৪৮ হাজার ইয়েন অনুদান পান। এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন সাধারণত হলিস্টিক বা সামগ্রিক পদ্ধতিতে হয়। এখানে শুধু একাডেমিক ফল বা ভাষার স্কোর দেখা হয় না; বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ ও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবর্ষের বাইরের কার্যক্রম এবং বহুমুখী প্রতিভাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।

জাপানে পড়তে গেলে আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপের প্রক্রিয়া কেমন?

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা ও ভর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপ। আবেদনকারীর কাছে প্রমাণ দেখাতে হবে, তিনি পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করতে সক্ষম। স্পনসর হতে পারেন মা-বাবা, চাচা-মামা, খালা-ফুফু বা একাধিক ব্যক্তি। তাঁদের অর্থের উৎস এবং সম্পর্ক যথাযথ নথিপত্রের মাধ্যমে দেখাতে হয়। সাধারণত প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বা সমমানের অর্থ দেখাতে হয়।

জাপানে একই সঙ্গে পড়াশোনা ও কাজ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। তবে এটি অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতির অধীনে সাধারণ সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। সেমিস্টার বিরতির সময় এ সময়সীমা বেড়ে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পূর্ণ সময়ের কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। নিয়ম মেনে চললে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত খরচ উভয়ই সামলাতে পারেন।

পড়াশোনার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এসএসসি ও এইচএসসির মূল সনদপত্র এবং মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আইইএলটিএস বা ডুয়োলিংগোর মতো ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রও লাগবে। ব্যক্তিগত নথিপত্রের মধ্যে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং আর্থিক নিশ্চয়তাকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের সনদপত্রও জমা দিতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো নোটারাইজড কপি হিসেবে জমা দিতে হয়।

পড়াশোনা শেষে জাপানে চাকরির সুযোগ কেমন?

জাপানে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ অনেক। দেশে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র আইটি সেক্টর; অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং; রিক্রুটমেন্ট; ই-কমার্স; আইটি সাপোর্ট; ওভারসিজ সেলস। ভালো চাকরি ও দ্রুত উন্নতির জন্য জাপানি ভাষা দক্ষতা অপরিহার্য। এটি কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং সংস্কৃতি বোঝার চাবিকাঠি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্পারসোর একটি পদের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) টেকনিশিয়ান-১ বা সায়েন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৯ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ১০ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত স্পারসোর অফিসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

মৌখিক পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক ও সব ধরনের প্রশিক্ষণের সনদ, পূরণ করা আবেদনপত্র, প্রবেশপত্রসহ সব কাগজপত্রের ১ সেট সত্যায়িত ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটায় আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ মৌখিক পরীক্ষার সময় উপস্থাপন করতে হবে। উল্লিখিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার শুরুর ৩০ মিনিট আগে স্পারসোতে উপস্থিত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মী নেবে এনআরবিসি ব্যাংক, আবেদন শেষ ২০ ডিসেম্বর

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। বাণিজ্যিক ব্যাংকটিতে ম্যানেজার অপারেশন পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদের নাম: ম্যানেজার অপারেশন।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: শাখা পরিচালনা, সাধারণ ব্যাংকিং, নগদ ও টেলার অপারেশন, ক্লিয়ারিং, অ্যাকাউন্ট পরিষেবায় দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: ২–৮ বছর।

চাকরির ধরন: পূর্ণকালীন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই।

কর্মস্থল: যেকোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রোডাকশন বিভাগে কর্মী নেবে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৭
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাকশন বিভাগে এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: এক্সিকিউটিভ, (প্রোডাকশন)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফার্মেসিতে স্নাতকোত্তর (এম. ফার্ম) ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল দক্ষতা। ফার্মাসিউটিক্যালস সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর,তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

কর্মস্থল: গাজীপুর (টঙ্গী)।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বছরে ৩টি উৎসব বোনাস, আর্ন লিভ এনক্যাশমেন্ট, লিভ ফেয়ার সহায়তা, লাভ বোনাস, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন, পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবারের সুবিধা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত