Ajker Patrika

বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ড্রাফটিং প্রস্তুতি যেভাবে

মুহাম্মদ রবিন
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট ও ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। গত বছরের পরীক্ষায় ড্রাফটিং অংশের গুরুত্ব বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় ভালো করতে হলে শুধু আইনি জ্ঞানই নয়; বরং সেই জ্ঞানকে সঠিকভাবে প্রয়োগ এবং পরীক্ষার পরিবেশে কার্যকরভাবে উপস্থাপনার দক্ষতা থাকা জরুরি।

পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রস্তুতি কৌশল

১. সিলেবাস ও প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ পরীক্ষার সিলেবাস পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করুন। কোন কোন বিষয় থেকে প্রশ্ন আসছে, নম্বর বণ্টন কেমন এবং কোন বিষয়ে বেশি জোর দিতে হবে—তা চিহ্নিত করুন। সাধারণত ড্রাফটিং অংশ মূল আইনি প্রশ্নের সঙ্গে উপপ্রশ্ন হিসেবে আসে। বিগত ৫-১০ বছরের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করুন। যেমন: আরজি, নিষেধাজ্ঞার আবেদন বা জামিনের আবেদন। প্রতিটি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন এবং সহজে মনে রাখার জন্য ডায়াগ্রাম, ফ্লোচার্ট বা টেবিল ব্যবহার করুন।

২. আইনের মৌলিক ধারণা ও সাম্প্রতিক জ্ঞান

দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, তামাদি আইনসহ প্রতিটি আইনের মৌলিক নীতি, উদ্দেশ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো গভীরভাবে বুঝুন। শুধু মুখস্থ নয়, এর অন্তর্নিহিত অর্থ এবং বাস্তব প্রয়োগ অনুধাবন করুন। এতে আপনি আইনি সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং আইন প্রয়োগে সক্ষম হবেন। এ ছাড়া, সাম্প্রতিক আইন ও সংশোধনী সম্পর্কে জেনে নিন। সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ কেস আইন ও রায়গুলো পড়ুন।

ড্রাফটিং দক্ষতা বৃদ্ধি ও লেখার অনুশীলন

১. নিয়মিত লেখার অনুশীলন

পরীক্ষার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো নির্ধারিত সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর লেখা। তাই নিয়মিত লেখার অনুশীলন করুন। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় বরাদ্দ করে লেখার অভ্যাস করুন, যাতে পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনায় কোনো সমস্যা না হয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে উত্তর লেখার অভ্যাস করলে ৪ ঘণ্টার পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনায় আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন।

২. ড্রাফটিং অংশে দক্ষতা অর্জন

আরজি, হলফনামা, লিখিত জবাব, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন, ফৌজদারি নালিশ, জামিনের আবেদন এবং পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ—এই সবকিছুর ফরম্যাট শিখুন এবং নিয়মিত ড্রাফটিং অনুশীলন করুন।

৩. পরিষ্কার উপস্থাপনা ও নির্ভুল ভাষা

পরিষ্কার হাতের লেখা, শিরোনাম, অনুচ্ছেদ এবং যৌক্তিক গঠন ব্যবহার করুন। ড্রাফটিংয়ে শিরোনাম, পক্ষগণ, তফসিল, মূল্যায়ন, সত্যায়ন এবং প্রার্থনা স্পষ্টভাবে লিখুন। আইনি দলিল বা উত্তর লেখার সময় স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং নির্ভুল আইনি পরিভাষা ব্যবহার করুন। ভুল শব্দ বা অস্পষ্ট বাক্য পরিহার করুন। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই আপনার আইনি শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করুন। উত্তর লেখার সময় প্রাসঙ্গিক আইন ও ধারার রেফারেন্স দিন।

৪. সাধারণ ভুল এড়ানো

পরীক্ষার খাতায় অযথা ভুল করা থেকে বিরত থাকুন। যেমন: বানান ভুল, ব্যাকরণগত ভুল, হাতের লেখা অস্পষ্ট হওয়া, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া বা প্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দেওয়া। ড্রাফটিংয়ে তফসিল, মূল্যায়ন, সত্যায়ন বা প্রার্থনা বাদ দেবেন না। ভুল ফোরাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকুন। (যেমন: দেওয়ানি মামলার জন্য হাইকোর্ট)। উত্তর লেখা শেষে ৫-১০ মিনিট সংশোধনের জন্য রাখুন।

৫. ড্রাফটিংয়ে ব্যবহৃত সাধারণ দাবি ও প্রতিরক্ষার ভিত্তিআরজি, লিখিত জবাব, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন, জামিনের আবেদন, ফৌজদারি নালিশ এবং পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগে ব্যবহৃত সাধারণ দাবি ও প্রতিরক্ষার ভিত্তি সম্পর্কে ধারণা রাখুন।

আরজিতে: বাদীকে স্বত্বের দাবি, জালিয়াতি, অবৈধ দখলচ্যুতি, জাল দলিল বাতিল এবং কারণ উদ্ভবের তারিখ উল্লেখ করে আদালতের এখতিয়ার নিশ্চিত করতে হয়।

লিখিত জবাবে: বিবাদীকে অভিযোগ অস্বীকার, মামলার অগ্রহণযোগ্যতা, তামাদি, এস্টপেল, বৈধ মালিকানা বা প্রমাণের অভাব উত্থাপন করতে হয়।

অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞায়: আপাতদৃষ্ট প্রতীয়মান মামলা, সুবিধা-অসুবিধার ভারসাম্য, অপূরণীয় ক্ষতি এবং জরুরি প্রয়োজন উল্লেখ করা হয়।

জামিনের আবেদনে: আসামির নির্দোষতা, প্রমাণের অভাব, অ্যালিবাই এবং পলায়নের ঝুঁকির অভাব উত্থাপিত হয়।

অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

১. প্রস্তুতির সংস্থান ও মক টেস্ট

নিয়মিত রিভিশন দিন এবং সম্ভব হলে মক টেস্টে অংশগ্রহণ করুন। এটি পরীক্ষার পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে এবং আপনার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে সহায়ক। ড্রাফটিংয়ের জন্য বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান রচিত ‘লিগ্যাল ড্রাফটিং, কনভেয়্যান্সিং এবং প্রফেশনাল এথিকস্’ এবং Mogha’s Law of Pleadings in India with Precedents বইগুলো সহায়ক হতে পারে।

২. ফিডব্যাক গ্রহণ

শিক্ষক, অভিজ্ঞ আইনজীবী বা সহপাঠীদের কাছ থেকে আপনার উত্তরপত্র বা ড্রাফটিংয়ের ফিডব্যাক নিন। ফিডব্যাকের ভিত্তিতে ফরম্যাট, ভাষা বা আইনি যুক্তির উন্নতি করুন।

৩. শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা

পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। পরীক্ষার আগে টেনশন না করে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। ইতিবাচক মানসিকতা, ধৈর্য ও অধ্যবসায় সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।

৪. আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায়

নিয়মিত প্রস্তুতি এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। পরীক্ষার দিন নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিন। কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক প্রস্তুতি আপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। প্রতিদিন ছোট লক্ষ্য পূরণে মনোযোগ দিন এবং ব্যর্থতার ভয় এড়ান।

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ আছে জাপানে

আমিমুল এহসান খান। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন আমিমুল এহসান খান। সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’-এ বিশ্বের ৫০ তরুণের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা, চাকরি ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান

টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এককথায় দুর্দান্ত এবং বৈচিত্র্যময়। প্রথম দুই বছর করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে। তবে বাকি সময়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করার সুযোগ পেয়েছি।

উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা জাপানকে কেন বেছে নিচ্ছেন?

নিরাপত্তা ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা জাপান উচ্চশিক্ষার জন্য আকর্ষণীয়। এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের। আর শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক। অর্থনৈতিকভাবে জাপান স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর বৃত্তি দেয়। মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাপানি ভাষা জানা থাকলে জীবনযাপন ও কর্মজীবনে সফল হওয়া অনেক সহজ হয়।

জাপান ও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখছেন?

জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত গবেষণাকেন্দ্রিক, প্রয়োগমুখী এবং লক্ষ্যভিত্তিক। এখানে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, শিক্ষার্থীর মতামত, নিয়মিত প্রেজেন্টেশন এবং গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্মুক্ত, প্রশ্ন করা এবং আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অনেক ক্ষেত্রে মুখস্থনির্ভর এবং গতানুগতিক। তবে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ অসীম। জাপানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, আত্মযত্ন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই জীবনমুখী শিক্ষা শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এভাবে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা দেশের প্রচলিত ব্যবস্থার থেকে ভিন্নতা সৃষ্টি করে।

জাপানের ভর্তিপ্রক্রিয়া কেমন এবং কতটা সময় লাগে?

জাপানে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সাধারণত এটি ৬-৭ মাস সময় নেয়। প্রথমে শিক্ষার্থীকে পছন্দের মেজর ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে পার্টটাইম কাজের সুযোগের একটা বিষয় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডাকযোগে পাঠাতে হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেয়, আবার কিছুতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। অফার লেটার এবং বৃত্তি নিশ্চিত হলে এক বছরের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। এরপর সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটির (সিওই) জন্য আবেদন করতে হয়। এতে প্রায় আড়াই মাস সময় নেয়। সিওই হাতে পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং জাপানে যাত্রা করা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের বৃত্তি আছে, নির্বাচনের মাপকাঠি কী?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে বৃত্তির সুযোগ ব্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় দিতে পারে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও বৃত্তি দেয়। যেমন: অনেক শিক্ষার্থী জেএএসএসও থেকে মাসিক ৪৮ হাজার ইয়েন অনুদান পান। এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন সাধারণত হলিস্টিক বা সামগ্রিক পদ্ধতিতে হয়। এখানে শুধু একাডেমিক ফল বা ভাষার স্কোর দেখা হয় না; বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ ও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবর্ষের বাইরের কার্যক্রম এবং বহুমুখী প্রতিভাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।

জাপানে পড়তে গেলে আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপের প্রক্রিয়া কেমন?

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা ও ভর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপ। আবেদনকারীর কাছে প্রমাণ দেখাতে হবে, তিনি পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করতে সক্ষম। স্পনসর হতে পারেন মা-বাবা, চাচা-মামা, খালা-ফুফু বা একাধিক ব্যক্তি। তাঁদের অর্থের উৎস এবং সম্পর্ক যথাযথ নথিপত্রের মাধ্যমে দেখাতে হয়। সাধারণত প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বা সমমানের অর্থ দেখাতে হয়।

জাপানে একই সঙ্গে পড়াশোনা ও কাজ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। তবে এটি অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতির অধীনে সাধারণ সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। সেমিস্টার বিরতির সময় এ সময়সীমা বেড়ে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পূর্ণ সময়ের কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। নিয়ম মেনে চললে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত খরচ উভয়ই সামলাতে পারেন।

পড়াশোনার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এসএসসি ও এইচএসসির মূল সনদপত্র এবং মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আইইএলটিএস বা ডুয়োলিংগোর মতো ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রও লাগবে। ব্যক্তিগত নথিপত্রের মধ্যে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং আর্থিক নিশ্চয়তাকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের সনদপত্রও জমা দিতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো নোটারাইজড কপি হিসেবে জমা দিতে হয়।

পড়াশোনা শেষে জাপানে চাকরির সুযোগ কেমন?

জাপানে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ অনেক। দেশে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র আইটি সেক্টর; অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং; রিক্রুটমেন্ট; ই-কমার্স; আইটি সাপোর্ট; ওভারসিজ সেলস। ভালো চাকরি ও দ্রুত উন্নতির জন্য জাপানি ভাষা দক্ষতা অপরিহার্য। এটি কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং সংস্কৃতি বোঝার চাবিকাঠি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্পারসোর একটি পদের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) টেকনিশিয়ান-১ বা সায়েন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৯ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ১০ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত স্পারসোর অফিসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

মৌখিক পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক ও সব ধরনের প্রশিক্ষণের সনদ, পূরণ করা আবেদনপত্র, প্রবেশপত্রসহ সব কাগজপত্রের ১ সেট সত্যায়িত ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটায় আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ মৌখিক পরীক্ষার সময় উপস্থাপন করতে হবে। উল্লিখিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার শুরুর ৩০ মিনিট আগে স্পারসোতে উপস্থিত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মী নেবে এনআরবিসি ব্যাংক, আবেদন শেষ ২০ ডিসেম্বর

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। বাণিজ্যিক ব্যাংকটিতে ম্যানেজার অপারেশন পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদের নাম: ম্যানেজার অপারেশন।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: শাখা পরিচালনা, সাধারণ ব্যাংকিং, নগদ ও টেলার অপারেশন, ক্লিয়ারিং, অ্যাকাউন্ট পরিষেবায় দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: ২–৮ বছর।

চাকরির ধরন: পূর্ণকালীন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই।

কর্মস্থল: যেকোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রোডাকশন বিভাগে কর্মী নেবে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৭
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস
পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাকশন বিভাগে এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: এক্সিকিউটিভ, (প্রোডাকশন)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফার্মেসিতে স্নাতকোত্তর (এম. ফার্ম) ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল দক্ষতা। ফার্মাসিউটিক্যালস সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর,তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

কর্মস্থল: গাজীপুর (টঙ্গী)।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বছরে ৩টি উৎসব বোনাস, আর্ন লিভ এনক্যাশমেন্ট, লিভ ফেয়ার সহায়তা, লাভ বোনাস, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন, পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবারের সুবিধা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত