ইজাজুল হক

দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের প্রভাবশালী আলেম শায়খ আবু বকর আহমদ ইসলামের সেবায় বহুমাত্রিক অবদান রেখে চলেছেন। স্থানীয়রা তাঁকে আবু বকর মুসালিয়ার হিসেবেই বেশি চেনে। শাফেয়ি মাজহাবের অনুসারী এই আলেমকে তাঁর অনুসারীরা ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি ঘোষণা করেন। বেরলভি চিন্তাধারার এই ইসলামি চিন্তাবিদের কিছু মতামত নিয়ে সমালোচনা থাকলেও তাঁর একটি উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। তা হলো, কেরালা রাজ্যের কালিকটে একটি অত্যাধুনিক শিক্ষানগরী গড়ে তুলেছেন তিনি। এর নাম মারকাজ নলেজ সিটি। নগরীর কেন্দ্রে স্থাপন করেছেন একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
মারকাজ নলেজ সিটি
শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও আবাসন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম ১৮টি স্বতন্ত্র অবকাঠামো নিয়ে মারকাজ নলেজ সিটি গড়ে তোলা হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ সামনে রেখে আগামীর নিরাপদ পৃথিবী নির্মাণের অংশ হিসেবে এই শহরের যাত্রা। ইসলামের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে এই শহরের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২৩ সালকে শহরটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের বছর ঘোষণা করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কেরালার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। পুরো শহরটি মারকাজ সোসাইটি নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আবু বকর আহমদ। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন শায়খ আবদুল হাকিম আজহারি। তাঁদের তত্ত্বাবধানে শহরটি উদার ইসলামি ভাবধারায় পরিচালিত হচ্ছে।
দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ
মারকাজ নলেজ সিটির অবকাঠামোগুলো উঁচু-নিচু পাহাড়ের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে শহরের মধ্যভাগে উঁচু স্থানে নির্মিত নান্দনিক স্থাপত্যের জামিউল ফুতুহ বা দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ সবার নজর কাড়ে। একে সাম্প্রতিককালে নির্মিত ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ বলে মনে করা হচ্ছে। পারসিক ও অটোমান স্থাপত্যের মিশেলে মসজিদটির নকশা করা হয়। ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের বৃত্তাকার বেসমেন্টের ওপর নির্মিত সাততলা উচ্চতার এই মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট হলো, এর চারপাশেই সমান সম্মুখভাগ রয়েছে। অর্থাৎ, চারপাশেই দরজা এবং সমান জায়গা রয়েছে। বাইরের দিকে চারপাশের নকশাও একই। চার কোনায় চারটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। এক পাশে ৩টি করে মোট ১২টি ছোট গম্বুজ এবং ঠিক মাঝখানে ১টি বড় গম্বুজ রয়েছে।
মসজিদের ভেতরে ২৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বাইরে আরও ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। ভেতরের অংশে দামি কাঠ দিয়ে চমৎকার সব নকশা করা হয়েছে। প্রাচীন আরবি লিপিকলা ব্যবহার করে মসজিদের স্তম্ভগুলো কোরআনের আয়াতে সাজানো হয়েছে। ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেছেন তুরস্ক ও ইরানের বিখ্যাত শিল্পীরা। মসজিদের বেসমেন্টের নিচে রয়েছে ৪ হাজার গাড়ি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পার্কিং জোন।
শহরের কেন্দ্রবিন্দু জামিউল ফুতুহ
জামিউল ফুতুহই যেন মারকাজ নলেজ সিটির সব কর্মতৎপরতার মূল কেন্দ্র। জামিয়া মারকাজুস সাকাফাহ আস-সুন্নিয়া আল-ইসলামিয়া এর প্রধানতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ইসলামি জ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিল্লিয়াসহ তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান ও ইয়েমেনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা চুক্তি রয়েছে।
এ ছাড়া জামিউল ফুতুহ মসজিদের চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে আরও ১০টি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে—মারকাজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, মারকাজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মারকাজ ল কলেজ, আলিফ গ্লোবাল স্কুল (কেমব্রিজ সিলেবাস), আভান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, হিলসিনাই সেন্টার অব এক্সিলেন্স, হিলসিনাই ফিনিশিং স্কুল, ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী জ্ঞান আহরণ করছে। এতে আরও রয়েছে—নারীদের জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দৃষ্টিনন্দন বাণিজ্যিক ভবন, হাসপাতাল, চার তারকা হোটেল ও পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা।

দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের প্রভাবশালী আলেম শায়খ আবু বকর আহমদ ইসলামের সেবায় বহুমাত্রিক অবদান রেখে চলেছেন। স্থানীয়রা তাঁকে আবু বকর মুসালিয়ার হিসেবেই বেশি চেনে। শাফেয়ি মাজহাবের অনুসারী এই আলেমকে তাঁর অনুসারীরা ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি ঘোষণা করেন। বেরলভি চিন্তাধারার এই ইসলামি চিন্তাবিদের কিছু মতামত নিয়ে সমালোচনা থাকলেও তাঁর একটি উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। তা হলো, কেরালা রাজ্যের কালিকটে একটি অত্যাধুনিক শিক্ষানগরী গড়ে তুলেছেন তিনি। এর নাম মারকাজ নলেজ সিটি। নগরীর কেন্দ্রে স্থাপন করেছেন একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
মারকাজ নলেজ সিটি
শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও আবাসন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম ১৮টি স্বতন্ত্র অবকাঠামো নিয়ে মারকাজ নলেজ সিটি গড়ে তোলা হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ সামনে রেখে আগামীর নিরাপদ পৃথিবী নির্মাণের অংশ হিসেবে এই শহরের যাত্রা। ইসলামের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে এই শহরের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২৩ সালকে শহরটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনের বছর ঘোষণা করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কেরালার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। পুরো শহরটি মারকাজ সোসাইটি নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আবু বকর আহমদ। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন শায়খ আবদুল হাকিম আজহারি। তাঁদের তত্ত্বাবধানে শহরটি উদার ইসলামি ভাবধারায় পরিচালিত হচ্ছে।
দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ
মারকাজ নলেজ সিটির অবকাঠামোগুলো উঁচু-নিচু পাহাড়ের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। তবে শহরের মধ্যভাগে উঁচু স্থানে নির্মিত নান্দনিক স্থাপত্যের জামিউল ফুতুহ বা দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ সবার নজর কাড়ে। একে সাম্প্রতিককালে নির্মিত ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ বলে মনে করা হচ্ছে। পারসিক ও অটোমান স্থাপত্যের মিশেলে মসজিদটির নকশা করা হয়। ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের বৃত্তাকার বেসমেন্টের ওপর নির্মিত সাততলা উচ্চতার এই মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট হলো, এর চারপাশেই সমান সম্মুখভাগ রয়েছে। অর্থাৎ, চারপাশেই দরজা এবং সমান জায়গা রয়েছে। বাইরের দিকে চারপাশের নকশাও একই। চার কোনায় চারটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। এক পাশে ৩টি করে মোট ১২টি ছোট গম্বুজ এবং ঠিক মাঝখানে ১টি বড় গম্বুজ রয়েছে।
মসজিদের ভেতরে ২৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বাইরে আরও ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। ভেতরের অংশে দামি কাঠ দিয়ে চমৎকার সব নকশা করা হয়েছে। প্রাচীন আরবি লিপিকলা ব্যবহার করে মসজিদের স্তম্ভগুলো কোরআনের আয়াতে সাজানো হয়েছে। ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেছেন তুরস্ক ও ইরানের বিখ্যাত শিল্পীরা। মসজিদের বেসমেন্টের নিচে রয়েছে ৪ হাজার গাড়ি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পার্কিং জোন।
শহরের কেন্দ্রবিন্দু জামিউল ফুতুহ
জামিউল ফুতুহই যেন মারকাজ নলেজ সিটির সব কর্মতৎপরতার মূল কেন্দ্র। জামিয়া মারকাজুস সাকাফাহ আস-সুন্নিয়া আল-ইসলামিয়া এর প্রধানতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ইসলামি জ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিল্লিয়াসহ তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান ও ইয়েমেনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা চুক্তি রয়েছে।
এ ছাড়া জামিউল ফুতুহ মসজিদের চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে আরও ১০টি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে—মারকাজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, মারকাজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মারকাজ ল কলেজ, আলিফ গ্লোবাল স্কুল (কেমব্রিজ সিলেবাস), আভান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, হিলসিনাই সেন্টার অব এক্সিলেন্স, হিলসিনাই ফিনিশিং স্কুল, ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার শিক্ষার্থী জ্ঞান আহরণ করছে। এতে আরও রয়েছে—নারীদের জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দৃষ্টিনন্দন বাণিজ্যিক ভবন, হাসপাতাল, চার তারকা হোটেল ও পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ভারতের কেরালায় একটি মসজিদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক এক শিক্ষানগরী। ১২৫ একরের এই পরিকল্পিত শহরে রয়েছে ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার ডজনখানেক বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। রয়েছে আধুনিক নগরব্যবস্থার সব অত্যাবশ্যক উপাদানও। শহরের মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জামিউল ফুতুহ—দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ
২৪ মে ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ভারতের কেরালায় একটি মসজিদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক এক শিক্ষানগরী। ১২৫ একরের এই পরিকল্পিত শহরে রয়েছে ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার ডজনখানেক বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। রয়েছে আধুনিক নগরব্যবস্থার সব অত্যাবশ্যক উপাদানও। শহরের মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জামিউল ফুতুহ—দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ
২৪ মে ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ভারতের কেরালায় একটি মসজিদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক এক শিক্ষানগরী। ১২৫ একরের এই পরিকল্পিত শহরে রয়েছে ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার ডজনখানেক বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। রয়েছে আধুনিক নগরব্যবস্থার সব অত্যাবশ্যক উপাদানও। শহরের মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জামিউল ফুতুহ—দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ
২৪ মে ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ভারতের কেরালায় একটি মসজিদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক এক শিক্ষানগরী। ১২৫ একরের এই পরিকল্পিত শহরে রয়েছে ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষার ডজনখানেক বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান। রয়েছে আধুনিক নগরব্যবস্থার সব অত্যাবশ্যক উপাদানও। শহরের মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জামিউল ফুতুহ—দ্য ইন্ডিয়ান গ্র্যান্ড মসজিদ
২৪ মে ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে