আবদুল আযীয কাসেমি

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।
আবদুল আযীয কাসেমি

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৮ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৮ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৮ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৯ ঘণ্টা আগে