আবদুল আযীয কাসেমি

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।
আবদুল আযীয কাসেমি

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’। তিনি ইসলামের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব রেখেছেন।
বেড়ে ওঠা
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৫৬৪ সালে (হিজরি ৯৭১) ভারতের সিরহিন্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ ছিলেন একজন বড় আলেম ও সুফিসাধক। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই লাভ করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামি জ্ঞান, ফিকহ, হাদিস, তাফসির এবং তাসাউফে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন।
আধ্যাত্মিকতা
আধ্যাত্মিক ধারায় আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে চারটি বিখ্যাত তরিকা রয়েছে। সোহরাওয়ার্দীয়া, কাদেরিয়া, নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন বিশিষ্ট পীর শায়খ বাকি বিল্লাহ (রহ.)–এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি নকশবন্দি তরিকার শিক্ষা ও আদর্শকে নতুনভাবে প্রাণবন্ত করেন এবং এর মাধ্যমে সমাজে সংস্কার আনার চেষ্টা করেন। তিনি ‘মুজাদ্দিদি’ তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, যা নকশবন্দি তরিকার একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।
মুজাদ্দিদে আলফে সানি উপাধি
নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি শতাব্দীর শুরুতে আল্লাহ তাআলা একজন মুজাদ্দিদ (পুনর্জাগরণকারী বা সংস্কারক) প্রেরণ করেন, যিনি ইসলামের মূল শিক্ষাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি দ্বিতীয় হিজরি সহস্রাব্দের (১০০০ হিজরি) মুজাদ্দিদ হিসেবে স্বীকৃত হন। তাঁর কাজ ছিল বিদআত ও নানা কুসংস্কার সমাজ থেকে মিটিয়ে দিয়ে সুন্নাহ তথা বিশুদ্ধ দীনচর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজীবন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বিশুদ্ধ দীনের প্রতি আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি কারও পরোয়া করেননি। কোনো নিন্দুকের নিন্দার তোয়াক্কা করেননি। এমনকি প্রয়োজনে সময়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান মানুষটির সামনেও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
সম্রাট আকবরের বিরোধিতা
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বিখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর (১৫৪২–১৬০৫) তাঁর রাজত্বকালে ‘দীন-ই-ইলাহি’ নামে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন। এটি ছিল মূলত ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্মের সমন্বয়ে একটি জগাখিচুড়ি দর্শন। যেখানে প্রবৃত্তির ওপর কোনো লাগাম ছিল না। আবার বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি ছিল অন্যায় পক্ষপাত। বলাবাহুল্য, এটি ছিল ইসলামের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিদ্রোহ। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি এ ধর্মদ্রোহিতার মোকাবিলায় কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নিজের আধ্যাত্মিক অবস্থান ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এ ফিতনার মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকেন। অবশেষে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ফলপ্রসূ হয়, যিনি ইসলামের প্রতি অধিক অনুরাগী ছিলেন।
রচনাবলী
শায়খ আহমদ সিরহিন্দির চিন্তাধারা ও শিক্ষা ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ নামে চিঠির সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এগুলো তৎকালীন সরকারি ভাষা হিসেবে ফারসি ভাষায় লেখা হয়। এ সংকলনটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আজও আধ্যাত্মিক জগতের মানুষদের কাছে এ সংকলনটি বিপুলভাবে সমাদৃত। এই চিঠিগুলো তাঁর শিষ্যদের কাছে লেখা হয়েছিল এবং এগুলোতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, ফিকহ, সমাজসংস্কার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের বিষয়ে গভীর আলোচনা রয়েছে। ‘মাকতুবাত-ই-ইমাম রব্বানি’ ইসলামি সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) ১৬২৪ সালে (হিজরি ১০৩৪) মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মাজার ভারতের সিরহিন্দে অবস্থিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ আজও মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তাঁর সংস্কারমূলক প্রচেষ্টা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণাদায়ক।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৩৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৩৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা এই দুনিয়াবি জীবনকে শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে প্রেরণ করেছেন, যেখানে মৃত্যুই হচ্ছে এই পরীক্ষার অবসান এবং পরকালীন জীবনের সূচনা।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমান: ১৮৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা নিন্দা: ৭৮)
মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত
প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছেদ-কষ্টে ব্যথিত মন থেকে তাদের জন্য কল্যাণ কামনার অনুভূতি জাগা স্বাভাবিক। মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সাধারণ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে—সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতদের জন্য যে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়া আকরিম নুজুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়ামিন আজাবিন নার।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন—যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন। হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং কবর ও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা এই দুনিয়াবি জীবনকে শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে প্রেরণ করেছেন, যেখানে মৃত্যুই হচ্ছে এই পরীক্ষার অবসান এবং পরকালীন জীবনের সূচনা।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমান: ১৮৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা নিন্দা: ৭৮)
মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত
প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছেদ-কষ্টে ব্যথিত মন থেকে তাদের জন্য কল্যাণ কামনার অনুভূতি জাগা স্বাভাবিক। মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সাধারণ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে—সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতদের জন্য যে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়া আকরিম নুজুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়ামিন আজাবিন নার।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন—যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন। হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং কবর ও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৭ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
০৫ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৯ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে