ইজাজুল হক, ঢাকা

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা আবরণ থাকত, যাকে কিসওয়া বা সিতর বলা হতো। ১৩ শতক থেকে ২০ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই ঐতিহ্যের প্রচলন ছিল।
আরবি মাহমাল শব্দের অর্থ বহনকৃত। উটের পিঠে বহনযোগ্য কাঠের ফ্রেমে এটি তৈরি করা হতো। ওপরের দিকে চাঁদ খচিত একটি শীর্ষ বিন্দু থাকত। সবচেয়ে পুরোনো (মামলুক আমল) মাহমালগুলোর কিসওয়ার রং হলুদ ছিল; পরে লাল ও সবুজ সেই স্থান দখলে নেয়। কিসওয়ার কারুকাজে কোরআনের আয়াত এবং সুলতানদের মনোগ্রাম আঁকা থাকত। তবে যাত্রাপথের ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে আসল কিসওয়ার ওপর একটি সাধারণ নকল কিসওয়া পরিয়ে দেওয়া হতো।
লিখিত দলিত মতে, মামলুক আমলের মিসরীয় শাসক সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স কায়রো থেকে প্রথম মাহমাল পাঠান। এরপর দামেস্ক, ইয়েমেন, দারফুর, হায়দরাবাদ ও ইরানের তিমুরিদ সাম্রাজ্য থেকেও বিভিন্ন সময়ে মাহমাল পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৪ শতকের শেষের দিকে মিসরের আসয়ুত থেকেও স্বতন্ত্র একটি কাফেলার সঙ্গে মাহমাল পাঠানো হয়। ১৯২৬ সালে মক্কায় মাহমাল পাঠানোর এই ঐতিহ্যের ইতি ঘটলেও কায়রোতে তা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সাড়ম্বরে প্রদর্শন করা হয়।
বিভিন্ন স্থান থেকে মাহমাল পৌঁছালে মক্কায় উৎসবের আমেজ দেখা যেত। স্থানীয় লোকজন ও হাজিরা তা দেখতে পথের দুই পাশে ভিড় করতেন। শহরে প্রবেশের আগমুহূর্তে ওপরের সাধারণ ধুলোময় কিসওয়াটি খুলে ভেতরের সুন্দর কারুকাজে শোভিত আসলটি উন্মোচন করা হতো। পবিত্র কাবাঘরের সামনে জুতসই জায়গা পেতে বিভিন্ন দেশের মাহমালগুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত। হজ শেষে যখন মাহমালগুলো নিজ নিজ দেশে ফেরত নেওয়া হতো, তখন মানুষ তা স্পর্শ করে বরকত নিত। কাফেলা শহরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে তা স্পর্শ করতে বেরিয়ে পড়তেন। অনেকে মাহমালের ভেতরে রুমাল রেখে বরকত নিতেন।
কখন থেকে মাহমালের প্রচলন শুরু হয়েছিল, তা ঠিক জানা যায় না। তবে তুর্কি পরিব্রাজক ইভলিয়া চেলেবি লিখেছেন, সবচেয়ে প্রাচীন মাহমালটিতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জুতা, জামা, বাটিসহ বিভিন্ন পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন বহন করা হয়েছিল এবং এ কারণে এটিকে মহানবীর রওজার প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হয়েছিল। আরেকটি সূত্রমতে, মিসরের সুলতানাখ্যাত নারী শাসক সাজার আল-দুর হজে যেতে একটি রঙিন পালকি বানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে নেতারা খালি পালকিটি প্রতিবছর হজে নিয়ে যেতেন। এভাবে মাহমালের প্রচলন হয়।
কেউ কেউ বলেন, মাহমালের ভেতর কিছুই থাকত না। তবে অনেকে পবিত্র কোরআন থাকার কথা বলেছেন। ১৫৭৫ সালের একটি ঐতিহাসিক দলিলে বড় সোনার অক্ষরে লেখা কোরআন বহন করা একটি মাহমালের কথা বলা হয়েছে। আনিসুল হুজ্জাজ বইয়ে ১৬৭৭ সালের হজের বিবরণে দামেস্কের মাহমালকে কোরআনসহ চিত্রিত করা হয়েছে। সুইস পর্যটক জন লুইস বার্কহার্ট ১৮১৪ সালে মিসরের একটি হজ কাফেলা পর্যবেক্ষণ করে লেখেন, মাহমালে একটি ধর্মীয় বই ছিল, সেটি কোরআন নয়। মক্কা থেকে ফেরার সময় লোকজন সেই বইয়ে চুমু খেয়ে এবং হাত লাগিয়ে বরকত নিত। ১৮৩০ সালে ব্রিটিশ পর্যটক অ্যাডওয়ার্ড উইলিয়াম লেইন একটি মাহমাল সম্পর্কে লিখেছেন, মাহমালটি খালি ছিল, তবে বাইরের দিকে ওপরে রুপার খাপে দুটি কোরআন ছিল—একটি খোলা এবং আরেকটি গোটানো।
সূত্র: ইউরোপিয়ানা ডট ইইউ, নুনপোস্ট ডটকম, খলিলি কালেকশনস, দ্য হজ: কালেক্টেড এসেজ, হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম।

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা আবরণ থাকত, যাকে কিসওয়া বা সিতর বলা হতো। ১৩ শতক থেকে ২০ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই ঐতিহ্যের প্রচলন ছিল।
আরবি মাহমাল শব্দের অর্থ বহনকৃত। উটের পিঠে বহনযোগ্য কাঠের ফ্রেমে এটি তৈরি করা হতো। ওপরের দিকে চাঁদ খচিত একটি শীর্ষ বিন্দু থাকত। সবচেয়ে পুরোনো (মামলুক আমল) মাহমালগুলোর কিসওয়ার রং হলুদ ছিল; পরে লাল ও সবুজ সেই স্থান দখলে নেয়। কিসওয়ার কারুকাজে কোরআনের আয়াত এবং সুলতানদের মনোগ্রাম আঁকা থাকত। তবে যাত্রাপথের ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে আসল কিসওয়ার ওপর একটি সাধারণ নকল কিসওয়া পরিয়ে দেওয়া হতো।
লিখিত দলিত মতে, মামলুক আমলের মিসরীয় শাসক সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স কায়রো থেকে প্রথম মাহমাল পাঠান। এরপর দামেস্ক, ইয়েমেন, দারফুর, হায়দরাবাদ ও ইরানের তিমুরিদ সাম্রাজ্য থেকেও বিভিন্ন সময়ে মাহমাল পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৪ শতকের শেষের দিকে মিসরের আসয়ুত থেকেও স্বতন্ত্র একটি কাফেলার সঙ্গে মাহমাল পাঠানো হয়। ১৯২৬ সালে মক্কায় মাহমাল পাঠানোর এই ঐতিহ্যের ইতি ঘটলেও কায়রোতে তা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সাড়ম্বরে প্রদর্শন করা হয়।
বিভিন্ন স্থান থেকে মাহমাল পৌঁছালে মক্কায় উৎসবের আমেজ দেখা যেত। স্থানীয় লোকজন ও হাজিরা তা দেখতে পথের দুই পাশে ভিড় করতেন। শহরে প্রবেশের আগমুহূর্তে ওপরের সাধারণ ধুলোময় কিসওয়াটি খুলে ভেতরের সুন্দর কারুকাজে শোভিত আসলটি উন্মোচন করা হতো। পবিত্র কাবাঘরের সামনে জুতসই জায়গা পেতে বিভিন্ন দেশের মাহমালগুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত। হজ শেষে যখন মাহমালগুলো নিজ নিজ দেশে ফেরত নেওয়া হতো, তখন মানুষ তা স্পর্শ করে বরকত নিত। কাফেলা শহরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে তা স্পর্শ করতে বেরিয়ে পড়তেন। অনেকে মাহমালের ভেতরে রুমাল রেখে বরকত নিতেন।
কখন থেকে মাহমালের প্রচলন শুরু হয়েছিল, তা ঠিক জানা যায় না। তবে তুর্কি পরিব্রাজক ইভলিয়া চেলেবি লিখেছেন, সবচেয়ে প্রাচীন মাহমালটিতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জুতা, জামা, বাটিসহ বিভিন্ন পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন বহন করা হয়েছিল এবং এ কারণে এটিকে মহানবীর রওজার প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হয়েছিল। আরেকটি সূত্রমতে, মিসরের সুলতানাখ্যাত নারী শাসক সাজার আল-দুর হজে যেতে একটি রঙিন পালকি বানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে নেতারা খালি পালকিটি প্রতিবছর হজে নিয়ে যেতেন। এভাবে মাহমালের প্রচলন হয়।
কেউ কেউ বলেন, মাহমালের ভেতর কিছুই থাকত না। তবে অনেকে পবিত্র কোরআন থাকার কথা বলেছেন। ১৫৭৫ সালের একটি ঐতিহাসিক দলিলে বড় সোনার অক্ষরে লেখা কোরআন বহন করা একটি মাহমালের কথা বলা হয়েছে। আনিসুল হুজ্জাজ বইয়ে ১৬৭৭ সালের হজের বিবরণে দামেস্কের মাহমালকে কোরআনসহ চিত্রিত করা হয়েছে। সুইস পর্যটক জন লুইস বার্কহার্ট ১৮১৪ সালে মিসরের একটি হজ কাফেলা পর্যবেক্ষণ করে লেখেন, মাহমালে একটি ধর্মীয় বই ছিল, সেটি কোরআন নয়। মক্কা থেকে ফেরার সময় লোকজন সেই বইয়ে চুমু খেয়ে এবং হাত লাগিয়ে বরকত নিত। ১৮৩০ সালে ব্রিটিশ পর্যটক অ্যাডওয়ার্ড উইলিয়াম লেইন একটি মাহমাল সম্পর্কে লিখেছেন, মাহমালটি খালি ছিল, তবে বাইরের দিকে ওপরে রুপার খাপে দুটি কোরআন ছিল—একটি খোলা এবং আরেকটি গোটানো।
সূত্র: ইউরোপিয়ানা ডট ইইউ, নুনপোস্ট ডটকম, খলিলি কালেকশনস, দ্য হজ: কালেক্টেড এসেজ, হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম।
ইজাজুল হক, ঢাকা

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা আবরণ থাকত, যাকে কিসওয়া বা সিতর বলা হতো। ১৩ শতক থেকে ২০ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই ঐতিহ্যের প্রচলন ছিল।
আরবি মাহমাল শব্দের অর্থ বহনকৃত। উটের পিঠে বহনযোগ্য কাঠের ফ্রেমে এটি তৈরি করা হতো। ওপরের দিকে চাঁদ খচিত একটি শীর্ষ বিন্দু থাকত। সবচেয়ে পুরোনো (মামলুক আমল) মাহমালগুলোর কিসওয়ার রং হলুদ ছিল; পরে লাল ও সবুজ সেই স্থান দখলে নেয়। কিসওয়ার কারুকাজে কোরআনের আয়াত এবং সুলতানদের মনোগ্রাম আঁকা থাকত। তবে যাত্রাপথের ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে আসল কিসওয়ার ওপর একটি সাধারণ নকল কিসওয়া পরিয়ে দেওয়া হতো।
লিখিত দলিত মতে, মামলুক আমলের মিসরীয় শাসক সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স কায়রো থেকে প্রথম মাহমাল পাঠান। এরপর দামেস্ক, ইয়েমেন, দারফুর, হায়দরাবাদ ও ইরানের তিমুরিদ সাম্রাজ্য থেকেও বিভিন্ন সময়ে মাহমাল পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৪ শতকের শেষের দিকে মিসরের আসয়ুত থেকেও স্বতন্ত্র একটি কাফেলার সঙ্গে মাহমাল পাঠানো হয়। ১৯২৬ সালে মক্কায় মাহমাল পাঠানোর এই ঐতিহ্যের ইতি ঘটলেও কায়রোতে তা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সাড়ম্বরে প্রদর্শন করা হয়।
বিভিন্ন স্থান থেকে মাহমাল পৌঁছালে মক্কায় উৎসবের আমেজ দেখা যেত। স্থানীয় লোকজন ও হাজিরা তা দেখতে পথের দুই পাশে ভিড় করতেন। শহরে প্রবেশের আগমুহূর্তে ওপরের সাধারণ ধুলোময় কিসওয়াটি খুলে ভেতরের সুন্দর কারুকাজে শোভিত আসলটি উন্মোচন করা হতো। পবিত্র কাবাঘরের সামনে জুতসই জায়গা পেতে বিভিন্ন দেশের মাহমালগুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত। হজ শেষে যখন মাহমালগুলো নিজ নিজ দেশে ফেরত নেওয়া হতো, তখন মানুষ তা স্পর্শ করে বরকত নিত। কাফেলা শহরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে তা স্পর্শ করতে বেরিয়ে পড়তেন। অনেকে মাহমালের ভেতরে রুমাল রেখে বরকত নিতেন।
কখন থেকে মাহমালের প্রচলন শুরু হয়েছিল, তা ঠিক জানা যায় না। তবে তুর্কি পরিব্রাজক ইভলিয়া চেলেবি লিখেছেন, সবচেয়ে প্রাচীন মাহমালটিতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জুতা, জামা, বাটিসহ বিভিন্ন পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন বহন করা হয়েছিল এবং এ কারণে এটিকে মহানবীর রওজার প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হয়েছিল। আরেকটি সূত্রমতে, মিসরের সুলতানাখ্যাত নারী শাসক সাজার আল-দুর হজে যেতে একটি রঙিন পালকি বানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে নেতারা খালি পালকিটি প্রতিবছর হজে নিয়ে যেতেন। এভাবে মাহমালের প্রচলন হয়।
কেউ কেউ বলেন, মাহমালের ভেতর কিছুই থাকত না। তবে অনেকে পবিত্র কোরআন থাকার কথা বলেছেন। ১৫৭৫ সালের একটি ঐতিহাসিক দলিলে বড় সোনার অক্ষরে লেখা কোরআন বহন করা একটি মাহমালের কথা বলা হয়েছে। আনিসুল হুজ্জাজ বইয়ে ১৬৭৭ সালের হজের বিবরণে দামেস্কের মাহমালকে কোরআনসহ চিত্রিত করা হয়েছে। সুইস পর্যটক জন লুইস বার্কহার্ট ১৮১৪ সালে মিসরের একটি হজ কাফেলা পর্যবেক্ষণ করে লেখেন, মাহমালে একটি ধর্মীয় বই ছিল, সেটি কোরআন নয়। মক্কা থেকে ফেরার সময় লোকজন সেই বইয়ে চুমু খেয়ে এবং হাত লাগিয়ে বরকত নিত। ১৮৩০ সালে ব্রিটিশ পর্যটক অ্যাডওয়ার্ড উইলিয়াম লেইন একটি মাহমাল সম্পর্কে লিখেছেন, মাহমালটি খালি ছিল, তবে বাইরের দিকে ওপরে রুপার খাপে দুটি কোরআন ছিল—একটি খোলা এবং আরেকটি গোটানো।
সূত্র: ইউরোপিয়ানা ডট ইইউ, নুনপোস্ট ডটকম, খলিলি কালেকশনস, দ্য হজ: কালেক্টেড এসেজ, হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম।

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা আবরণ থাকত, যাকে কিসওয়া বা সিতর বলা হতো। ১৩ শতক থেকে ২০ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই ঐতিহ্যের প্রচলন ছিল।
আরবি মাহমাল শব্দের অর্থ বহনকৃত। উটের পিঠে বহনযোগ্য কাঠের ফ্রেমে এটি তৈরি করা হতো। ওপরের দিকে চাঁদ খচিত একটি শীর্ষ বিন্দু থাকত। সবচেয়ে পুরোনো (মামলুক আমল) মাহমালগুলোর কিসওয়ার রং হলুদ ছিল; পরে লাল ও সবুজ সেই স্থান দখলে নেয়। কিসওয়ার কারুকাজে কোরআনের আয়াত এবং সুলতানদের মনোগ্রাম আঁকা থাকত। তবে যাত্রাপথের ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে আসল কিসওয়ার ওপর একটি সাধারণ নকল কিসওয়া পরিয়ে দেওয়া হতো।
লিখিত দলিত মতে, মামলুক আমলের মিসরীয় শাসক সুলতান রুকুনুদ্দিন বাইবার্স কায়রো থেকে প্রথম মাহমাল পাঠান। এরপর দামেস্ক, ইয়েমেন, দারফুর, হায়দরাবাদ ও ইরানের তিমুরিদ সাম্রাজ্য থেকেও বিভিন্ন সময়ে মাহমাল পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৪ শতকের শেষের দিকে মিসরের আসয়ুত থেকেও স্বতন্ত্র একটি কাফেলার সঙ্গে মাহমাল পাঠানো হয়। ১৯২৬ সালে মক্কায় মাহমাল পাঠানোর এই ঐতিহ্যের ইতি ঘটলেও কায়রোতে তা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সাড়ম্বরে প্রদর্শন করা হয়।
বিভিন্ন স্থান থেকে মাহমাল পৌঁছালে মক্কায় উৎসবের আমেজ দেখা যেত। স্থানীয় লোকজন ও হাজিরা তা দেখতে পথের দুই পাশে ভিড় করতেন। শহরে প্রবেশের আগমুহূর্তে ওপরের সাধারণ ধুলোময় কিসওয়াটি খুলে ভেতরের সুন্দর কারুকাজে শোভিত আসলটি উন্মোচন করা হতো। পবিত্র কাবাঘরের সামনে জুতসই জায়গা পেতে বিভিন্ন দেশের মাহমালগুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলত। হজ শেষে যখন মাহমালগুলো নিজ নিজ দেশে ফেরত নেওয়া হতো, তখন মানুষ তা স্পর্শ করে বরকত নিত। কাফেলা শহরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে তা স্পর্শ করতে বেরিয়ে পড়তেন। অনেকে মাহমালের ভেতরে রুমাল রেখে বরকত নিতেন।
কখন থেকে মাহমালের প্রচলন শুরু হয়েছিল, তা ঠিক জানা যায় না। তবে তুর্কি পরিব্রাজক ইভলিয়া চেলেবি লিখেছেন, সবচেয়ে প্রাচীন মাহমালটিতে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জুতা, জামা, বাটিসহ বিভিন্ন পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন বহন করা হয়েছিল এবং এ কারণে এটিকে মহানবীর রওজার প্রতিনিধি হিসেবে দেখা হয়েছিল। আরেকটি সূত্রমতে, মিসরের সুলতানাখ্যাত নারী শাসক সাজার আল-দুর হজে যেতে একটি রঙিন পালকি বানিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে নেতারা খালি পালকিটি প্রতিবছর হজে নিয়ে যেতেন। এভাবে মাহমালের প্রচলন হয়।
কেউ কেউ বলেন, মাহমালের ভেতর কিছুই থাকত না। তবে অনেকে পবিত্র কোরআন থাকার কথা বলেছেন। ১৫৭৫ সালের একটি ঐতিহাসিক দলিলে বড় সোনার অক্ষরে লেখা কোরআন বহন করা একটি মাহমালের কথা বলা হয়েছে। আনিসুল হুজ্জাজ বইয়ে ১৬৭৭ সালের হজের বিবরণে দামেস্কের মাহমালকে কোরআনসহ চিত্রিত করা হয়েছে। সুইস পর্যটক জন লুইস বার্কহার্ট ১৮১৪ সালে মিসরের একটি হজ কাফেলা পর্যবেক্ষণ করে লেখেন, মাহমালে একটি ধর্মীয় বই ছিল, সেটি কোরআন নয়। মক্কা থেকে ফেরার সময় লোকজন সেই বইয়ে চুমু খেয়ে এবং হাত লাগিয়ে বরকত নিত। ১৮৩০ সালে ব্রিটিশ পর্যটক অ্যাডওয়ার্ড উইলিয়াম লেইন একটি মাহমাল সম্পর্কে লিখেছেন, মাহমালটি খালি ছিল, তবে বাইরের দিকে ওপরে রুপার খাপে দুটি কোরআন ছিল—একটি খোলা এবং আরেকটি গোটানো।
সূত্র: ইউরোপিয়ানা ডট ইইউ, নুনপোস্ট ডটকম, খলিলি কালেকশনস, দ্য হজ: কালেক্টেড এসেজ, হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা
১৯ মে ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা
১৯ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা
১৯ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

হজ আদায় করতে মক্কায় যাওয়ার সময় হাজিদের কাফেলায় উটের পিঠে করে একটি যাত্রীহীন সাজানো পালকি নিয়ে যাওয়া হতো, একেই মাহমাল বলা হয়। ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর প্রতি সুলতানদের দায়বদ্ধতা প্রকাশের জন্য তাঁদের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে হাজিদের সঙ্গে মাহমাল পাঠাতেন তাঁরা। সব মাহমালেরই একটি গাম্ভীর্যপূর্ণ কারুকাজ করা
১৯ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে