Ajker Patrika

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ২০
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন। 

আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে। 

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ। 

মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮) 

তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫) 

মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন। 

শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। 

আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্‌যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাবলিগ জামাতের খুরুজের জোড় শুরু ২ জানুয়ারি

ইসলাম ডেস্ক 
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।

এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আকাশপথে মুসলিম যাত্রীদের জন্য এমিরেটসের বিশেষ ব্যবস্থা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের টুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
ছবি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি
ছবি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?

ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।

কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।

শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।

তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত