ইজাজুল হক, ঢাকা

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন।
আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮)
তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়।

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন।
আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮)
তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়।
ইজাজুল হক, ঢাকা

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন।
আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮)
তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়।

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন।
আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮)
তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়।

প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১১ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১১ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১১ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে