ইসলাম ডেস্ক

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন তিনি। সেই গল্পের শেষাংশের বর্ণনা অনুযায়ী, কয়েকজন খ্রিষ্টান পাদ্রির কথা শুনে সালমান ফারসি মদিনায় আসেন।
সালমান ফারসির মদিনায় আগমন
দীর্ঘ হাদিসের শেষে সালমান ফারসি (রা.) কীভাবে মদিনায় এলেন তা বর্ণনা করে বলেন, ‘এরপর আমার পাশ দিয়ে কালব গোত্রের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা যাচ্ছিল। আমি তাদের বললাম, তোমরা আমাকে আরবে নিয়ে চল। (বিনিময়ে) আমি তোমাদের এই গাভি ও বকরিগুলো দিয়ে দেব। তারা বলল, ঠিক আছে। এরপর আমি তাদের সেগুলো দিয়ে দিলাম আর তারা আমাকে নিয়ে চলল। যখন তারা আমাকে নিয়ে ওয়াদিউল কুরায় পৌঁছাল, তখন আমাকে অত্যাচার করল এবং দাস হিসেবে এক ইহুদির কাছে বিক্রি করে দিল। ফলে আমি সেই ইহুদির কাছে থাকতে বাধ্য হলাম এবং তার খেজুরগাছ দেখাশোনা করতে লাগলাম।’
হজরত সালমান আরও বলেন, ‘এরপর আমার মনিবের চাচাতো ভাই, যে মদিনায় থাকত, আমাকে কিনে মদিনায় নিয়ে গেল। আল্লাহর কসম, মদিনা দেখামাত্রই আমার বন্ধুর (পাদ্রি) বর্ণনামতো আমি তা চিনে ফেললাম। আমি এখানে অবস্থান করতে লাগলাম।’
মহানবী (সা.)-এর সন্ধান
সালমান ফারসি (রা.)-এর বর্ণনাটি এমন—এরপর ইসলামের নবী হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)কে পৃথিবীতে পাঠানো হলো। তিনি মক্কায় যত দিন থাকার থাকলেন। আমি গোলামির জীবনে ব্যস্ত থাকায় তাঁর কোনো খবর পেলাম না। এরপর একদিন তিনি মদিনায় হিজরত করলেন। আল্লাহর কসম, আমি আমার মালিকের খেজুরগাছের মাথায় কাজ করছিলাম। আর আমার মনিব বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁর চাচাতো ভাই এলেন এবং বললেন, ‘হে অমুক, আল্লাহ বনী কায়লাদের (মদিনাবাসী) ধ্বংস করুন। আল্লাহর কসম, তারা কুবায় মক্কা থেকে আজকে আগত এক ব্যক্তির কাছে সমবেত হয়েছে। তারা তাকে নবী বলে ধারণা করছে।’
এ কথা শুনে আমার দেহে কম্পন শুরু হয়ে গেল। একপর্যায়ে আমি ধারণা করলাম, আমি আমার মনিবের ওপর পড়ে যাব। এরপর আমি খেজুরগাছ থেকে নেমে এলাম এবং তাঁর চাচাতো ভাইকে বলতে লাগলাম, আপনি কী বলছিলেন? আপনি কী বলছিলেন? এ কথা শুনে আমার মনিব চটে গেলেন এবং আমাকে খুব জোরে আঘাত করলেন এবং বললেন, ‘এ ব্যাপারে তোমার নাক গলাতে হবে না। তুমি তোমার কাজে যাও।’ আমি বললাম, কিছুই না। আমি শুধু তিনি যা বলেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছি।
মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, আমার কাছে কিছু সম্পদ ছিল, যা আমি সঞ্চয় করে রেখেছিলাম। যখন সন্ধ্যা হলো, তখন আমি তা নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি কুবায় ছিলেন। তাঁকে বললাম, আমরা জানতে পেরেছি, আপনি একজন সৎ ব্যক্তি। আপনার সঙ্গে আপনার দরিদ্র সাথিরা রয়েছেন। এগুলো (সারা জীবনের সঞ্চিত সম্পদ) আমার পক্ষ থেকে সদকা করছি। এগুলোর ব্যাপারে আপনারাই অধিক হকদার বলে আমি মনে করি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাথিদের বললেন, ‘তোমরা খাও।’ নবী (সা.) নিজে হাত সংযত করলেন এবং কিছুই খেলেন না।
নবী হওয়ার প্রমাণ পেলেন
সালমান ফারসি বলেন, আমি ধরে নিলাম, এটি (নবী হওয়ার) প্রথম আলামত। এরপর আমি তাঁর কাছ থেকে চলে এলাম এবং আরও কিছু পণ্য সঞ্চয় করলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় চলে এলেন। এরপর আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং বললাম, আমি আপনাকে সদকার সম্পদ খেতে দেখিনি আর এগুলো আপনার জন্য হাদিয়া, যা দিয়ে আপনার মেহমানদারি করছি। এবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এগুলো থেকে খেলেন এবং সাহাবিদের আদেশ করলে তাঁরাও তাঁর সঙ্গে আহার করলেন।
এবার বুঝতে পারলাম, এটি হলো (নবী হওয়ার) দ্বিতীয় আলামত। এরপর ‘বাকিউল গারকাদ নামক স্থানে আমি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। তখন তিনি এক সাহাবির জানাজার পেছন-পেছন যাচ্ছিলেন। তাঁর পরিধানে দুটি চাদর ছিল। তিনি তাঁর সাথিদের সঙ্গে বসা ছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। এরপর আমি তাঁর পিঠের দিকে ঘুরে দেখতে লাগলাম। যেন আমার বন্ধুর (খ্রিষ্টান পাদ্রি) বর্ণনা মোতাবেক নবুওয়াতের মোহরটি দেখতে পাই।
যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে দেখলেন যে আমি তাঁর পেছনে পেছনে ঘুরছি, তখন তিনি বুঝতে পারলেন, আমি কোনো কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছি, যা আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে। তখন তিনি পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে ফেললেন। আমি মোহর দেখতে পেলাম এবং তাঁকে চিনতে পারলাম (যে ইনিই নবী)। আমি তাঁর ওপর ঝুঁকে পড়লাম এবং তাকে চুমু দিয়ে কাঁদতে লাগলাম।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘এদিকে এসো।’ আমি এলাম এবং তাঁর কাছে আমার (অতীতের) সব ঘটনা বর্ণনা করলাম (যা হাদিসের শুরুর অংশে বিবৃত হয়েছে)। এ ঘটনা সাহাবিদেরও শোনাতে চাইলেন রাসুল (সা.)। এরপর আমি আবার দাসত্বে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ফলে বদর ও উহুদ যুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি।
৩০০ খেজুরগাছ রোপণ
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে সালমান, তুমি (তোমার মালিকের সঙ্গে দাসত্ব মুক্তির ব্যাপারে) চুক্তি করো।’ আমি তাঁর সঙ্গে ৩০০ খেজুরগাছের চারা ফলদায়ক হওয়া পর্যন্ত গর্তে পানি দেওয়া এবং চল্লিশ উকিয়া আদায় করার বিনিময়ে চুক্তি করলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইকে সাহায্য করো।’
সাহাবিরা আমাকে খেজুরগাছ (চারা) দিয়ে সাহায্য করলেন। এক ব্যক্তি ৩০টি চারা দিলেন, আরেকজন ২০টি। অন্যজন ১৫টি, আরেকজন ১০টি চারা দিলেন। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে সাহায্য করলেন। একপর্যায়ে আমার ৩০০ চারা হয়ে গেল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে সালমান, তুমি যাও এবং এগুলো রোপণ করার জন্য গর্ত খনন করো। যখন শেষ করবে, তখন আমার কাছে আসবে। আমি নিজ হাতে তা রোপণ করব।’
আমি গর্ত খনন করলাম। এ কাজে সাহাবিরা আমাকে সাহায্য করলেন। যখন আমি কাজ শেষ করলাম, তখন তাঁর কাছে গিয়ে সেই সংবাদ দিলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার সঙ্গে বাগানের দিকে চললেন। আমরা তাঁকে গাছের চারা দেওয়া শুরু করলাম আর তিনি নিজ হাতে তা রোপণ করতে লাগলেন। ওই সত্তার কসম, যাঁর হাতে সালমানের প্রাণ! ওই চারাগুলোর একটিও মারা যায়নি। আমি গাছের চুক্তি পূর্ণ করেছি।
৪০ উকিয়া স্বর্ণ যেভাবে আদায় করেন
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, বাকি ছিল ৪০ উকিয়া স্বর্ণের চুক্তি। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কোনো এক যুদ্ধের গনিমত থেকে মুরগির ডিমের সমান স্বর্ণের একটি টুকরা এল। তিনি বললেন, ‘সালমান তার চুক্তির ব্যাপারে কী করেছে?’ এরপর আমাকে ডাকা হলো। নবী (সা.) বললেন, ‘সালমান এটি নাও এবং তোমার যে ঋণ আছে, তা আদায় করো।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার ওপর যে ঋণ আছে, এটি কীভাবে তার বরাবর হবে?’ তিনি বললেন, ‘এটা নাও। কারণ আল্লাহ তাআলা এটি দিয়েই তোমার ঋণ আদায় করে দেবেন।’ আমি তা নিলাম এবং মাপলাম। ওই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে সালমানের প্রাণ! তা চল্লিশ উকিয়া হলো। আমি মনিবের চুক্তি পূর্ণভাবে আদায় করলাম এবং মুক্তি লাভ করলাম। এরপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম। তারপর তাঁর সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধেই আমি অনুপস্থিত থাকিনি।
সূত্র: মুসনাদে আহমাদ: ২৩৭৮৮; সিলসিলা সহিহাহ: ৮৯৪

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন তিনি। সেই গল্পের শেষাংশের বর্ণনা অনুযায়ী, কয়েকজন খ্রিষ্টান পাদ্রির কথা শুনে সালমান ফারসি মদিনায় আসেন।
সালমান ফারসির মদিনায় আগমন
দীর্ঘ হাদিসের শেষে সালমান ফারসি (রা.) কীভাবে মদিনায় এলেন তা বর্ণনা করে বলেন, ‘এরপর আমার পাশ দিয়ে কালব গোত্রের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা যাচ্ছিল। আমি তাদের বললাম, তোমরা আমাকে আরবে নিয়ে চল। (বিনিময়ে) আমি তোমাদের এই গাভি ও বকরিগুলো দিয়ে দেব। তারা বলল, ঠিক আছে। এরপর আমি তাদের সেগুলো দিয়ে দিলাম আর তারা আমাকে নিয়ে চলল। যখন তারা আমাকে নিয়ে ওয়াদিউল কুরায় পৌঁছাল, তখন আমাকে অত্যাচার করল এবং দাস হিসেবে এক ইহুদির কাছে বিক্রি করে দিল। ফলে আমি সেই ইহুদির কাছে থাকতে বাধ্য হলাম এবং তার খেজুরগাছ দেখাশোনা করতে লাগলাম।’
হজরত সালমান আরও বলেন, ‘এরপর আমার মনিবের চাচাতো ভাই, যে মদিনায় থাকত, আমাকে কিনে মদিনায় নিয়ে গেল। আল্লাহর কসম, মদিনা দেখামাত্রই আমার বন্ধুর (পাদ্রি) বর্ণনামতো আমি তা চিনে ফেললাম। আমি এখানে অবস্থান করতে লাগলাম।’
মহানবী (সা.)-এর সন্ধান
সালমান ফারসি (রা.)-এর বর্ণনাটি এমন—এরপর ইসলামের নবী হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)কে পৃথিবীতে পাঠানো হলো। তিনি মক্কায় যত দিন থাকার থাকলেন। আমি গোলামির জীবনে ব্যস্ত থাকায় তাঁর কোনো খবর পেলাম না। এরপর একদিন তিনি মদিনায় হিজরত করলেন। আল্লাহর কসম, আমি আমার মালিকের খেজুরগাছের মাথায় কাজ করছিলাম। আর আমার মনিব বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁর চাচাতো ভাই এলেন এবং বললেন, ‘হে অমুক, আল্লাহ বনী কায়লাদের (মদিনাবাসী) ধ্বংস করুন। আল্লাহর কসম, তারা কুবায় মক্কা থেকে আজকে আগত এক ব্যক্তির কাছে সমবেত হয়েছে। তারা তাকে নবী বলে ধারণা করছে।’
এ কথা শুনে আমার দেহে কম্পন শুরু হয়ে গেল। একপর্যায়ে আমি ধারণা করলাম, আমি আমার মনিবের ওপর পড়ে যাব। এরপর আমি খেজুরগাছ থেকে নেমে এলাম এবং তাঁর চাচাতো ভাইকে বলতে লাগলাম, আপনি কী বলছিলেন? আপনি কী বলছিলেন? এ কথা শুনে আমার মনিব চটে গেলেন এবং আমাকে খুব জোরে আঘাত করলেন এবং বললেন, ‘এ ব্যাপারে তোমার নাক গলাতে হবে না। তুমি তোমার কাজে যাও।’ আমি বললাম, কিছুই না। আমি শুধু তিনি যা বলেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছি।
মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, আমার কাছে কিছু সম্পদ ছিল, যা আমি সঞ্চয় করে রেখেছিলাম। যখন সন্ধ্যা হলো, তখন আমি তা নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি কুবায় ছিলেন। তাঁকে বললাম, আমরা জানতে পেরেছি, আপনি একজন সৎ ব্যক্তি। আপনার সঙ্গে আপনার দরিদ্র সাথিরা রয়েছেন। এগুলো (সারা জীবনের সঞ্চিত সম্পদ) আমার পক্ষ থেকে সদকা করছি। এগুলোর ব্যাপারে আপনারাই অধিক হকদার বলে আমি মনে করি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাথিদের বললেন, ‘তোমরা খাও।’ নবী (সা.) নিজে হাত সংযত করলেন এবং কিছুই খেলেন না।
নবী হওয়ার প্রমাণ পেলেন
সালমান ফারসি বলেন, আমি ধরে নিলাম, এটি (নবী হওয়ার) প্রথম আলামত। এরপর আমি তাঁর কাছ থেকে চলে এলাম এবং আরও কিছু পণ্য সঞ্চয় করলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় চলে এলেন। এরপর আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং বললাম, আমি আপনাকে সদকার সম্পদ খেতে দেখিনি আর এগুলো আপনার জন্য হাদিয়া, যা দিয়ে আপনার মেহমানদারি করছি। এবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এগুলো থেকে খেলেন এবং সাহাবিদের আদেশ করলে তাঁরাও তাঁর সঙ্গে আহার করলেন।
এবার বুঝতে পারলাম, এটি হলো (নবী হওয়ার) দ্বিতীয় আলামত। এরপর ‘বাকিউল গারকাদ নামক স্থানে আমি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। তখন তিনি এক সাহাবির জানাজার পেছন-পেছন যাচ্ছিলেন। তাঁর পরিধানে দুটি চাদর ছিল। তিনি তাঁর সাথিদের সঙ্গে বসা ছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। এরপর আমি তাঁর পিঠের দিকে ঘুরে দেখতে লাগলাম। যেন আমার বন্ধুর (খ্রিষ্টান পাদ্রি) বর্ণনা মোতাবেক নবুওয়াতের মোহরটি দেখতে পাই।
যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে দেখলেন যে আমি তাঁর পেছনে পেছনে ঘুরছি, তখন তিনি বুঝতে পারলেন, আমি কোনো কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছি, যা আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে। তখন তিনি পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে ফেললেন। আমি মোহর দেখতে পেলাম এবং তাঁকে চিনতে পারলাম (যে ইনিই নবী)। আমি তাঁর ওপর ঝুঁকে পড়লাম এবং তাকে চুমু দিয়ে কাঁদতে লাগলাম।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘এদিকে এসো।’ আমি এলাম এবং তাঁর কাছে আমার (অতীতের) সব ঘটনা বর্ণনা করলাম (যা হাদিসের শুরুর অংশে বিবৃত হয়েছে)। এ ঘটনা সাহাবিদেরও শোনাতে চাইলেন রাসুল (সা.)। এরপর আমি আবার দাসত্বে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ফলে বদর ও উহুদ যুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি।
৩০০ খেজুরগাছ রোপণ
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে সালমান, তুমি (তোমার মালিকের সঙ্গে দাসত্ব মুক্তির ব্যাপারে) চুক্তি করো।’ আমি তাঁর সঙ্গে ৩০০ খেজুরগাছের চারা ফলদায়ক হওয়া পর্যন্ত গর্তে পানি দেওয়া এবং চল্লিশ উকিয়া আদায় করার বিনিময়ে চুক্তি করলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইকে সাহায্য করো।’
সাহাবিরা আমাকে খেজুরগাছ (চারা) দিয়ে সাহায্য করলেন। এক ব্যক্তি ৩০টি চারা দিলেন, আরেকজন ২০টি। অন্যজন ১৫টি, আরেকজন ১০টি চারা দিলেন। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে সাহায্য করলেন। একপর্যায়ে আমার ৩০০ চারা হয়ে গেল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে সালমান, তুমি যাও এবং এগুলো রোপণ করার জন্য গর্ত খনন করো। যখন শেষ করবে, তখন আমার কাছে আসবে। আমি নিজ হাতে তা রোপণ করব।’
আমি গর্ত খনন করলাম। এ কাজে সাহাবিরা আমাকে সাহায্য করলেন। যখন আমি কাজ শেষ করলাম, তখন তাঁর কাছে গিয়ে সেই সংবাদ দিলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার সঙ্গে বাগানের দিকে চললেন। আমরা তাঁকে গাছের চারা দেওয়া শুরু করলাম আর তিনি নিজ হাতে তা রোপণ করতে লাগলেন। ওই সত্তার কসম, যাঁর হাতে সালমানের প্রাণ! ওই চারাগুলোর একটিও মারা যায়নি। আমি গাছের চুক্তি পূর্ণ করেছি।
৪০ উকিয়া স্বর্ণ যেভাবে আদায় করেন
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, বাকি ছিল ৪০ উকিয়া স্বর্ণের চুক্তি। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কোনো এক যুদ্ধের গনিমত থেকে মুরগির ডিমের সমান স্বর্ণের একটি টুকরা এল। তিনি বললেন, ‘সালমান তার চুক্তির ব্যাপারে কী করেছে?’ এরপর আমাকে ডাকা হলো। নবী (সা.) বললেন, ‘সালমান এটি নাও এবং তোমার যে ঋণ আছে, তা আদায় করো।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার ওপর যে ঋণ আছে, এটি কীভাবে তার বরাবর হবে?’ তিনি বললেন, ‘এটা নাও। কারণ আল্লাহ তাআলা এটি দিয়েই তোমার ঋণ আদায় করে দেবেন।’ আমি তা নিলাম এবং মাপলাম। ওই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে সালমানের প্রাণ! তা চল্লিশ উকিয়া হলো। আমি মনিবের চুক্তি পূর্ণভাবে আদায় করলাম এবং মুক্তি লাভ করলাম। এরপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম। তারপর তাঁর সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধেই আমি অনুপস্থিত থাকিনি।
সূত্র: মুসনাদে আহমাদ: ২৩৭৮৮; সিলসিলা সহিহাহ: ৮৯৪

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন
৩১ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন
৩১ মার্চ ২০২৩
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন
৩১ মার্চ ২০২৩
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন
৩১ মার্চ ২০২৩
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২১ ঘণ্টা আগে