Ajker Patrika

যে সাহাবির জন্য নিজ হাতে ৩০০ খেজুরগাছ লাগিয়েছিলেন মহানবী (সা.) 

ইসলাম ডেস্ক
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩, ২০: ০৬
যে সাহাবির জন্য নিজ হাতে ৩০০ খেজুরগাছ লাগিয়েছিলেন মহানবী (সা.) 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এক দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-এর জবানিতেই তাঁর ইসলাম গ্রহণের বিস্ময়কর অভিযাত্রার ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। পারস্য থেকে বিভিন্ন দেশ, জনপদ ও ধর্মগুরুদের কাছে হেদায়াতের খোঁজ করতে করতে কীভাবে মদিনায় এসে পৌঁছালেন, সেই গল্প একনাগাড়ে বলে গেছেন তিনি। সেই গল্পের শেষাংশের বর্ণনা অনুযায়ী, কয়েকজন খ্রিষ্টান পাদ্রির কথা শুনে সালমান ফারসি মদিনায় আসেন। 

সালমান ফারসির মদিনায় আগমন
দীর্ঘ হাদিসের শেষে সালমান ফারসি (রা.) কীভাবে মদিনায় এলেন তা বর্ণনা করে বলেন, ‘এরপর আমার পাশ দিয়ে কালব গোত্রের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা যাচ্ছিল। আমি তাদের বললাম, তোমরা আমাকে আরবে নিয়ে চল। (বিনিময়ে) আমি তোমাদের এই গাভি ও বকরিগুলো দিয়ে দেব। তারা বলল, ঠিক আছে। এরপর আমি তাদের সেগুলো দিয়ে দিলাম আর তারা আমাকে নিয়ে চলল। যখন তারা আমাকে নিয়ে ওয়াদিউল কুরায় পৌঁছাল, তখন আমাকে অত্যাচার করল এবং দাস হিসেবে এক ইহুদির কাছে বিক্রি করে দিল। ফলে আমি সেই ইহুদির কাছে থাকতে বাধ্য হলাম এবং তার খেজুরগাছ দেখাশোনা করতে লাগলাম।’ 

হজরত সালমান আরও বলেন, ‘এরপর আমার মনিবের চাচাতো ভাই, যে মদিনায় থাকত, আমাকে কিনে মদিনায় নিয়ে গেল। আল্লাহর কসম, মদিনা দেখামাত্রই আমার বন্ধুর (পাদ্রি) বর্ণনামতো আমি তা চিনে ফেললাম। আমি এখানে অবস্থান করতে লাগলাম।’ 

মহানবী (সা.)-এর সন্ধান
সালমান ফারসি (রা.)-এর বর্ণনাটি এমন—এরপর ইসলামের নবী হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)কে পৃথিবীতে পাঠানো হলো। তিনি মক্কায় যত দিন থাকার থাকলেন। আমি গোলামির জীবনে ব্যস্ত থাকায় তাঁর কোনো খবর পেলাম না। এরপর একদিন তিনি মদিনায় হিজরত করলেন। আল্লাহর কসম, আমি আমার মালিকের খেজুরগাছের মাথায় কাজ করছিলাম। আর আমার মনিব বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁর চাচাতো ভাই এলেন এবং বললেন, ‘হে অমুক, আল্লাহ বনী কায়লাদের (মদিনাবাসী) ধ্বংস করুন। আল্লাহর কসম, তারা কুবায় মক্কা থেকে আজকে আগত এক ব্যক্তির কাছে সমবেত হয়েছে। তারা তাকে নবী বলে ধারণা করছে।’

এ কথা শুনে আমার দেহে কম্পন শুরু হয়ে গেল। একপর্যায়ে আমি ধারণা করলাম, আমি আমার মনিবের ওপর পড়ে যাব। এরপর আমি খেজুরগাছ থেকে নেমে এলাম এবং তাঁর চাচাতো ভাইকে বলতে লাগলাম, আপনি কী বলছিলেন? আপনি কী বলছিলেন? এ কথা শুনে আমার মনিব চটে গেলেন এবং আমাকে খুব জোরে আঘাত করলেন এবং বললেন, ‘এ ব্যাপারে তোমার নাক গলাতে হবে না। তুমি তোমার কাজে যাও।’ আমি বললাম, কিছুই না। আমি শুধু তিনি যা বলেছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছি। 

মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্য
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, আমার কাছে কিছু সম্পদ ছিল, যা আমি সঞ্চয় করে রেখেছিলাম। যখন সন্ধ্যা হলো, তখন আমি তা নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি কুবায় ছিলেন। তাঁকে বললাম, আমরা জানতে পেরেছি, আপনি একজন সৎ ব্যক্তি। আপনার সঙ্গে আপনার দরিদ্র সাথিরা রয়েছেন। এগুলো (সারা জীবনের সঞ্চিত সম্পদ) আমার পক্ষ থেকে সদকা করছি। এগুলোর ব্যাপারে আপনারাই অধিক হকদার বলে আমি মনে করি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাথিদের বললেন, ‘তোমরা খাও।’ নবী (সা.) নিজে হাত সংযত করলেন এবং কিছুই খেলেন না। 

নবী হওয়ার প্রমাণ পেলেন
সালমান ফারসি বলেন, আমি ধরে নিলাম, এটি (নবী হওয়ার) প্রথম আলামত। এরপর আমি তাঁর কাছ থেকে চলে এলাম এবং আরও কিছু পণ্য সঞ্চয় করলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় চলে এলেন। এরপর আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং বললাম, আমি আপনাকে সদকার সম্পদ খেতে দেখিনি আর এগুলো আপনার জন্য হাদিয়া, যা দিয়ে আপনার মেহমানদারি করছি। এবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এগুলো থেকে খেলেন এবং সাহাবিদের আদেশ করলে তাঁরাও তাঁর সঙ্গে আহার করলেন। 

এবার বুঝতে পারলাম, এটি হলো (নবী হওয়ার) দ্বিতীয় আলামত। এরপর ‘বাকিউল গারকাদ নামক স্থানে আমি নবী (সা.)-এর কাছে এলাম। তখন তিনি এক সাহাবির জানাজার পেছন-পেছন যাচ্ছিলেন। তাঁর পরিধানে দুটি চাদর ছিল। তিনি তাঁর সাথিদের সঙ্গে বসা ছিলেন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। এরপর আমি তাঁর পিঠের দিকে ঘুরে দেখতে লাগলাম। যেন আমার বন্ধুর (খ্রিষ্টান পাদ্রি) বর্ণনা মোতাবেক নবুওয়াতের মোহরটি দেখতে পাই। 

যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে দেখলেন যে আমি তাঁর পেছনে পেছনে ঘুরছি, তখন তিনি বুঝতে পারলেন, আমি কোনো কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছি, যা আমার কাছে বর্ণনা করা হয়েছে। তখন তিনি পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে ফেললেন। আমি মোহর দেখতে পেলাম এবং তাঁকে চিনতে পারলাম (যে ইনিই নবী)। আমি তাঁর ওপর ঝুঁকে পড়লাম এবং তাকে চুমু দিয়ে কাঁদতে লাগলাম। 

এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘এদিকে এসো।’ আমি এলাম এবং তাঁর কাছে আমার (অতীতের) সব ঘটনা বর্ণনা করলাম (যা হাদিসের শুরুর অংশে বিবৃত হয়েছে)। এ ঘটনা সাহাবিদেরও শোনাতে চাইলেন রাসুল (সা.)। এরপর আমি আবার দাসত্বে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ফলে বদর ও উহুদ যুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি। 

৩০০ খেজুরগাছ রোপণ
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে সালমান, তুমি (তোমার মালিকের সঙ্গে দাসত্ব মুক্তির ব্যাপারে) চুক্তি করো।’ আমি তাঁর সঙ্গে ৩০০ খেজুরগাছের চারা ফলদায়ক হওয়া পর্যন্ত গর্তে পানি দেওয়া এবং চল্লিশ উকিয়া আদায় করার বিনিময়ে চুক্তি করলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইকে সাহায্য করো।’ 

সাহাবিরা আমাকে খেজুরগাছ (চারা) দিয়ে সাহায্য করলেন। এক ব্যক্তি ৩০টি চারা দিলেন, আরেকজন ২০টি। অন্যজন ১৫টি, আরেকজন ১০টি চারা দিলেন। অর্থাৎ, প্রত্যেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে সাহায্য করলেন। একপর্যায়ে আমার ৩০০ চারা হয়ে গেল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে সালমান, তুমি যাও এবং এগুলো রোপণ করার জন্য গর্ত খনন করো। যখন শেষ করবে, তখন আমার কাছে আসবে। আমি নিজ হাতে তা রোপণ করব।’ 

আমি গর্ত খনন করলাম। এ কাজে সাহাবিরা আমাকে সাহায্য করলেন। যখন আমি কাজ শেষ করলাম, তখন তাঁর কাছে গিয়ে সেই সংবাদ দিলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার সঙ্গে বাগানের দিকে চললেন। আমরা তাঁকে গাছের চারা দেওয়া শুরু করলাম আর তিনি নিজ হাতে তা রোপণ করতে লাগলেন। ওই সত্তার কসম, যাঁর হাতে সালমানের প্রাণ! ওই চারাগুলোর একটিও মারা যায়নি। আমি গাছের চুক্তি পূর্ণ করেছি। 

৪০ উকিয়া স্বর্ণ যেভাবে আদায় করেন
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, বাকি ছিল ৪০ উকিয়া স্বর্ণের চুক্তি। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কোনো এক যুদ্ধের গনিমত থেকে মুরগির ডিমের সমান স্বর্ণের একটি টুকরা এল। তিনি বললেন, ‘সালমান তার চুক্তির ব্যাপারে কী করেছে?’ এরপর আমাকে ডাকা হলো। নবী (সা.) বললেন, ‘সালমান এটি নাও এবং তোমার যে ঋণ আছে, তা আদায় করো।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার ওপর যে ঋণ আছে, এটি কীভাবে তার বরাবর হবে?’ তিনি বললেন, ‘এটা নাও। কারণ আল্লাহ তাআলা এটি দিয়েই তোমার ঋণ আদায় করে দেবেন।’ আমি তা নিলাম এবং মাপলাম। ওই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে সালমানের প্রাণ! তা চল্লিশ উকিয়া হলো। আমি মনিবের চুক্তি পূর্ণভাবে আদায় করলাম এবং মুক্তি লাভ করলাম। এরপর আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম। তারপর তাঁর সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধেই আমি অনুপস্থিত থাকিনি। 

সূত্র: মুসনাদে আহমাদ: ২৩৭৮৮; সিলসিলা সহিহাহ: ৮৯৪

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাবলিগ জামাতের খুরুজের জোড় শুরু ২ জানুয়ারি

ইসলাম ডেস্ক 
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের জোড় ইজতেমা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।

এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আকাশপথে মুসলিম যাত্রীদের জন্য এমিরেটসের বিশেষ ব্যবস্থা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

‘তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু, দাফন-কাফনের জন্য তৈরি হ’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত