আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন। যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, ইসলামের প্রতি অযথা বিদ্বেষ পোষণ করে, কেবল তারাই কোরআন অবমাননার মতো ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা দেখায়। কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
ধর্মগ্রন্থের অবমাননা; তা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেন, অত্যন্ত ঘৃণিত ও নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন কোনো মানুষের পক্ষে এমন কাজ কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। ধর্মগ্রন্থ অবমাননাকারী সর্বকালেই নিন্দিত ও সর্বজন-ঘৃণিত।
পবিত্র কোরআন একটি সর্বজনীন ধর্মগ্রন্থ, যেখানে সমগ্র মানবজাতির জন্য সফলতার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, কোরআন অবমাননার মতো ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা যারা দেখায়, তারা প্রকারান্তরে পুরো মানবজাতিরই শত্রু। তারা অসভ্যতা ও বর্বরতার ধারক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী হলেও সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের বিচারে তারা সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে পড়ে থাকবে।
পবিত্র কোরআন বিশ্বজাহানের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। এটি আল্লাহ তাআলার নাজিল করা সর্বশেষ গ্রন্থ, যা কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুক্তির মহা পয়গাম। সুতরাং, যারা কোরআন অবমাননার স্পর্ধা দেখায়, তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তিলাওয়াত শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে—যেন সে তা শোনেনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
যারা কোরআন অবজ্ঞা করে বা কোরআন অবমাননার দুঃসাহস দেখায়, কিয়ামতের দিন সেই দুরাচার পাপীদের কোরআন হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
কোরআন: সুপারিশকারী ও পথপ্রদর্শক
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে, অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
যারা কোরআন সম্মান করবে, মর্যাদার আসনে স্থান দেবে, তারা উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে এবং সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হবে, নিঃসন্দেহে। পক্ষান্তরে, যারা কোরআন অবমূল্যায়ন করবে, কথায়-আচরণে ও কাজে-কর্মে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, এমনকি কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, তারা সফলতার নির্মল পথ থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। অপদস্থের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। হাজার বছরের ইতিহাসে এটি এক জাজ্বল্যমান বাস্তবতা। এই সত্যটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মানুষের পবিত্র কণ্ঠে। আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ: ১ / ২৭৪-২৭৫)
কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজীবন অর্থহীন। কোরআন মানবতার সবক দেয়, মানবাধিকারের কথা বলে, আদর্শ সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, একজন সভ্য, ভদ্র ও উন্নত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। ভদ্র ও আলোকিত জীবনবোধে উদ্দীপ্তকারী এই কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী জাতিগোষ্ঠী বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শীর্ষে পৌঁছালেও মনুষ্যত্বের বিচারে শূন্যেই রয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে।
একজন ভদ্র ও সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আলোর পথে অগ্রগামী হবেন, কমপক্ষে আলোকরেখার প্রতি ভালোবাসা লালন করবেন। তিনি কোরআন অবমাননার ভয়ংকর অন্ধকারে পা বাড়ানোর দুঃসাহস দেখানোর কল্পনাও করবেন না।
আসুন, কোরআনের সংস্পর্শে। কোরআন ভালোবাসুন, কোরআন পড়ুন এবং হৃদয়ে ধারণ করুন। দেখুন—কী সর্বজনীন তার নির্দেশনাগুলো! কী অসাধারণ তার কথামালা!
আপনার যাপিত জীবনে কোরআনের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। দেখুন, কী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। চিন্তাচেতনা ও মননের সবটুকুজুড়ে ধারণ করুন কোরআনের অনিন্দ্যসুন্দর মনকাড়া সৌরভ। আপনার মানবজনম সার্থক হবে। অনাবিল ও অনির্বচনীয় আনন্দে ভরে উঠবে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন। যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, ইসলামের প্রতি অযথা বিদ্বেষ পোষণ করে, কেবল তারাই কোরআন অবমাননার মতো ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা দেখায়। কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
ধর্মগ্রন্থের অবমাননা; তা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেন, অত্যন্ত ঘৃণিত ও নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন কোনো মানুষের পক্ষে এমন কাজ কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। ধর্মগ্রন্থ অবমাননাকারী সর্বকালেই নিন্দিত ও সর্বজন-ঘৃণিত।
পবিত্র কোরআন একটি সর্বজনীন ধর্মগ্রন্থ, যেখানে সমগ্র মানবজাতির জন্য সফলতার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, কোরআন অবমাননার মতো ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা যারা দেখায়, তারা প্রকারান্তরে পুরো মানবজাতিরই শত্রু। তারা অসভ্যতা ও বর্বরতার ধারক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী হলেও সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের বিচারে তারা সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে পড়ে থাকবে।
পবিত্র কোরআন বিশ্বজাহানের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। এটি আল্লাহ তাআলার নাজিল করা সর্বশেষ গ্রন্থ, যা কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুক্তির মহা পয়গাম। সুতরাং, যারা কোরআন অবমাননার স্পর্ধা দেখায়, তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তিলাওয়াত শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে—যেন সে তা শোনেনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
যারা কোরআন অবজ্ঞা করে বা কোরআন অবমাননার দুঃসাহস দেখায়, কিয়ামতের দিন সেই দুরাচার পাপীদের কোরআন হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
কোরআন: সুপারিশকারী ও পথপ্রদর্শক
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে, অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
যারা কোরআন সম্মান করবে, মর্যাদার আসনে স্থান দেবে, তারা উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে এবং সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হবে, নিঃসন্দেহে। পক্ষান্তরে, যারা কোরআন অবমূল্যায়ন করবে, কথায়-আচরণে ও কাজে-কর্মে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, এমনকি কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, তারা সফলতার নির্মল পথ থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। অপদস্থের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। হাজার বছরের ইতিহাসে এটি এক জাজ্বল্যমান বাস্তবতা। এই সত্যটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মানুষের পবিত্র কণ্ঠে। আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ: ১ / ২৭৪-২৭৫)
কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজীবন অর্থহীন। কোরআন মানবতার সবক দেয়, মানবাধিকারের কথা বলে, আদর্শ সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, একজন সভ্য, ভদ্র ও উন্নত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। ভদ্র ও আলোকিত জীবনবোধে উদ্দীপ্তকারী এই কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী জাতিগোষ্ঠী বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শীর্ষে পৌঁছালেও মনুষ্যত্বের বিচারে শূন্যেই রয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে।
একজন ভদ্র ও সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আলোর পথে অগ্রগামী হবেন, কমপক্ষে আলোকরেখার প্রতি ভালোবাসা লালন করবেন। তিনি কোরআন অবমাননার ভয়ংকর অন্ধকারে পা বাড়ানোর দুঃসাহস দেখানোর কল্পনাও করবেন না।
আসুন, কোরআনের সংস্পর্শে। কোরআন ভালোবাসুন, কোরআন পড়ুন এবং হৃদয়ে ধারণ করুন। দেখুন—কী সর্বজনীন তার নির্দেশনাগুলো! কী অসাধারণ তার কথামালা!
আপনার যাপিত জীবনে কোরআনের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। দেখুন, কী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। চিন্তাচেতনা ও মননের সবটুকুজুড়ে ধারণ করুন কোরআনের অনিন্দ্যসুন্দর মনকাড়া সৌরভ। আপনার মানবজনম সার্থক হবে। অনাবিল ও অনির্বচনীয় আনন্দে ভরে উঠবে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব
আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন। যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, ইসলামের প্রতি অযথা বিদ্বেষ পোষণ করে, কেবল তারাই কোরআন অবমাননার মতো ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা দেখায়। কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
ধর্মগ্রন্থের অবমাননা; তা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেন, অত্যন্ত ঘৃণিত ও নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন কোনো মানুষের পক্ষে এমন কাজ কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। ধর্মগ্রন্থ অবমাননাকারী সর্বকালেই নিন্দিত ও সর্বজন-ঘৃণিত।
পবিত্র কোরআন একটি সর্বজনীন ধর্মগ্রন্থ, যেখানে সমগ্র মানবজাতির জন্য সফলতার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, কোরআন অবমাননার মতো ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা যারা দেখায়, তারা প্রকারান্তরে পুরো মানবজাতিরই শত্রু। তারা অসভ্যতা ও বর্বরতার ধারক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী হলেও সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের বিচারে তারা সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে পড়ে থাকবে।
পবিত্র কোরআন বিশ্বজাহানের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। এটি আল্লাহ তাআলার নাজিল করা সর্বশেষ গ্রন্থ, যা কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুক্তির মহা পয়গাম। সুতরাং, যারা কোরআন অবমাননার স্পর্ধা দেখায়, তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তিলাওয়াত শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে—যেন সে তা শোনেনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
যারা কোরআন অবজ্ঞা করে বা কোরআন অবমাননার দুঃসাহস দেখায়, কিয়ামতের দিন সেই দুরাচার পাপীদের কোরআন হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
কোরআন: সুপারিশকারী ও পথপ্রদর্শক
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে, অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
যারা কোরআন সম্মান করবে, মর্যাদার আসনে স্থান দেবে, তারা উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে এবং সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হবে, নিঃসন্দেহে। পক্ষান্তরে, যারা কোরআন অবমূল্যায়ন করবে, কথায়-আচরণে ও কাজে-কর্মে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, এমনকি কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, তারা সফলতার নির্মল পথ থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। অপদস্থের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। হাজার বছরের ইতিহাসে এটি এক জাজ্বল্যমান বাস্তবতা। এই সত্যটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মানুষের পবিত্র কণ্ঠে। আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ: ১ / ২৭৪-২৭৫)
কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজীবন অর্থহীন। কোরআন মানবতার সবক দেয়, মানবাধিকারের কথা বলে, আদর্শ সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, একজন সভ্য, ভদ্র ও উন্নত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। ভদ্র ও আলোকিত জীবনবোধে উদ্দীপ্তকারী এই কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী জাতিগোষ্ঠী বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শীর্ষে পৌঁছালেও মনুষ্যত্বের বিচারে শূন্যেই রয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে।
একজন ভদ্র ও সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আলোর পথে অগ্রগামী হবেন, কমপক্ষে আলোকরেখার প্রতি ভালোবাসা লালন করবেন। তিনি কোরআন অবমাননার ভয়ংকর অন্ধকারে পা বাড়ানোর দুঃসাহস দেখানোর কল্পনাও করবেন না।
আসুন, কোরআনের সংস্পর্শে। কোরআন ভালোবাসুন, কোরআন পড়ুন এবং হৃদয়ে ধারণ করুন। দেখুন—কী সর্বজনীন তার নির্দেশনাগুলো! কী অসাধারণ তার কথামালা!
আপনার যাপিত জীবনে কোরআনের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। দেখুন, কী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। চিন্তাচেতনা ও মননের সবটুকুজুড়ে ধারণ করুন কোরআনের অনিন্দ্যসুন্দর মনকাড়া সৌরভ। আপনার মানবজনম সার্থক হবে। অনাবিল ও অনির্বচনীয় আনন্দে ভরে উঠবে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন। যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, ইসলামের প্রতি অযথা বিদ্বেষ পোষণ করে, কেবল তারাই কোরআন অবমাননার মতো ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা দেখায়। কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
ধর্মগ্রন্থের অবমাননা; তা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেন, অত্যন্ত ঘৃণিত ও নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন কোনো মানুষের পক্ষে এমন কাজ কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। ধর্মগ্রন্থ অবমাননাকারী সর্বকালেই নিন্দিত ও সর্বজন-ঘৃণিত।
পবিত্র কোরআন একটি সর্বজনীন ধর্মগ্রন্থ, যেখানে সমগ্র মানবজাতির জন্য সফলতার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, কোরআন অবমাননার মতো ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা যারা দেখায়, তারা প্রকারান্তরে পুরো মানবজাতিরই শত্রু। তারা অসভ্যতা ও বর্বরতার ধারক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী হলেও সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের বিচারে তারা সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে পড়ে থাকবে।
পবিত্র কোরআন বিশ্বজাহানের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। এটি আল্লাহ তাআলার নাজিল করা সর্বশেষ গ্রন্থ, যা কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুক্তির মহা পয়গাম। সুতরাং, যারা কোরআন অবমাননার স্পর্ধা দেখায়, তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তিলাওয়াত শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে—যেন সে তা শোনেনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
যারা কোরআন অবজ্ঞা করে বা কোরআন অবমাননার দুঃসাহস দেখায়, কিয়ামতের দিন সেই দুরাচার পাপীদের কোরআন হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
কোরআন: সুপারিশকারী ও পথপ্রদর্শক
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে, অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
যারা কোরআন সম্মান করবে, মর্যাদার আসনে স্থান দেবে, তারা উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে এবং সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হবে, নিঃসন্দেহে। পক্ষান্তরে, যারা কোরআন অবমূল্যায়ন করবে, কথায়-আচরণে ও কাজে-কর্মে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, এমনকি কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, তারা সফলতার নির্মল পথ থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। অপদস্থের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। হাজার বছরের ইতিহাসে এটি এক জাজ্বল্যমান বাস্তবতা। এই সত্যটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মানুষের পবিত্র কণ্ঠে। আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ: ১ / ২৭৪-২৭৫)
কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজীবন অর্থহীন। কোরআন মানবতার সবক দেয়, মানবাধিকারের কথা বলে, আদর্শ সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, একজন সভ্য, ভদ্র ও উন্নত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। ভদ্র ও আলোকিত জীবনবোধে উদ্দীপ্তকারী এই কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী জাতিগোষ্ঠী বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শীর্ষে পৌঁছালেও মনুষ্যত্বের বিচারে শূন্যেই রয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে।
একজন ভদ্র ও সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আলোর পথে অগ্রগামী হবেন, কমপক্ষে আলোকরেখার প্রতি ভালোবাসা লালন করবেন। তিনি কোরআন অবমাননার ভয়ংকর অন্ধকারে পা বাড়ানোর দুঃসাহস দেখানোর কল্পনাও করবেন না।
আসুন, কোরআনের সংস্পর্শে। কোরআন ভালোবাসুন, কোরআন পড়ুন এবং হৃদয়ে ধারণ করুন। দেখুন—কী সর্বজনীন তার নির্দেশনাগুলো! কী অসাধারণ তার কথামালা!
আপনার যাপিত জীবনে কোরআনের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। দেখুন, কী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। চিন্তাচেতনা ও মননের সবটুকুজুড়ে ধারণ করুন কোরআনের অনিন্দ্যসুন্দর মনকাড়া সৌরভ। আপনার মানবজনম সার্থক হবে। অনাবিল ও অনির্বচনীয় আনন্দে ভরে উঠবে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
হজের মতো এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জীবনে একবার ওমরাহ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নাহ)। হজের নির্দিষ্ট সময় (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ) ব্যতীত বছরের যেকোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করার অনুমতি আছে।
৮ ঘণ্টা আগে
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৪ মিনিট | ০৬: ১১ মিনিট |
| জুমা | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৪ মিনিট | ০৬: ১১ মিনিট |
| জুমা | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন।
১০ অক্টোবর ২০২৫
হজের মতো এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জীবনে একবার ওমরাহ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নাহ)। হজের নির্দিষ্ট সময় (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ) ব্যতীত বছরের যেকোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করার অনুমতি আছে।
৮ ঘণ্টা আগে
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ করা বা জনবহুল স্থানে ভ্রমণ করা। ইসলামি পরিভাষায়, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে, ইহরাম বাঁধা অবস্থায় কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সায়ি করাকে ওমরাহ বলে।
ওমরাহ পরিচিতি
নির্দিষ্ট স্থান (মিকাত) থেকে ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে ওমরাহ শুরু হয়। এরপর ওমরাহর মধ্যে রয়েছে কাবা ঘরকে সাতবার প্রদক্ষিণ করা, সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো বা হাঁটা, তাওয়াফ ও সায়ি শেষে মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা।
ওমরাহর গুরুত্ব ও সময়
হজের মতো এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জীবনে একবার ওমরাহ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নাহ)। হজের নির্দিষ্ট সময় (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ) ব্যতীত বছরের যেকোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করার অনুমতি আছে।
ওমরাহর ফজিলত
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ধারাবাহিকভাবে একের পর এক হজ ও ওমরাহ করতে থাকো। কেননা, হজ ও ওমরাহ এমনভাবে অভাব মোচন করে এবং গুনাহ দূর করে, যেমনভাবে কামারের হাঁপর লোহা ও সোনা-রুপার মরিচা দূর করে।’ (জামে তিরমিজি: ৮১০)
হজরত জাবের (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হজ আদায়কারী ব্যক্তি কখনোই একেবারে নিঃস্ব হয় না।’ (তাবারানি ফিল আওসাত: ৫২০৯)
অন্যত্র হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহর পর আরেকটি ওমরাহ আদায় করা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের জন্য কাফফারা।’ (সহিহ মুসলিম: ১৩৪৯)
এ ছাড়া ওমরাহ আদায়ে প্রয়োজনে ১ টাকা খরচ করলে ৭০০ টাকা সদকা করার সওয়াব পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হজ ও ওমরাহ হলো আল্লাহর রাস্তা। আর আল্লাহর রাস্তায় ১ দিরহাম খরচের সওয়াব ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।’ (তাবারানি ফিল আওসাত: ৫৬৯০)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর পথের মুজাহিদ এবং হজ-ওমরাহ আদায়কারী আল্লাহর প্রতিনিধি। তাঁরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাঁদের প্রার্থনা কবুল করেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯৩)
আবু হুরাইরা (রা.) মহানবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘এক ওমরাহ অন্য ওমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সকল কিছুর কাফফারা।’ (সহিহ বুখারি: ১৭২৩)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে একটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পায়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৯৫৬)
আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) নসিহত করেন, ‘হে আয়েশা, তুমি ব্যয় করতে সংকোচ কোরো না। কারণ, তোমার ব্যয় অনুপাতে ওমরাহর প্রতিদান দেওয়া হবে।’ (তারগিব: ১৬৮১)
হাজরে আসওয়াদ ইসতেলামের ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এই পাথর কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে তার দুটি চোখ থাকবে, যা দ্বারা সে দেখবে। জিহ্বা থাকবে যা দ্বারা সে কথা বলবে। সে ওই ব্যক্তির পক্ষে সাক্ষ্য দেবে যে তাকে সঠিক পন্থায় ইসতেলাম করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ২৯৪৪)। হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেওয়া, স্পর্শ করা বা দূর থেকে চুমুর ইঙ্গিত করাকে বলে ইসতেলাম। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
সাফা-মারওয়া সায়ি করার ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা সাফা-মারওয়া সায়ি করো। কেননা, তা ৭০ জন দাস মুক্ত করার সমতুল্য।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৮৮৭)
হলক বা চুল কাটার ফজিলত
আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, যারা চুল কাটবে তাদের?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন।’ সাহাবায়ে কেরাম আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘যারা চুল কাটবে তাদের?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন।’ তৃতীয়বার আবার আরজ করলে নবীজি (সা.) বললেন, যারা চুল কাটবে তাদেরকেও।’ (সহিহ বুখারি: ১৭২৮)
ওমরাহ পালনের উপকারিতা
লেখক: হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক, কলামিস্ট ও মাদ্রাসাশিক্ষক।

ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ করা বা জনবহুল স্থানে ভ্রমণ করা। ইসলামি পরিভাষায়, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে, ইহরাম বাঁধা অবস্থায় কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সায়ি করাকে ওমরাহ বলে।
ওমরাহ পরিচিতি
নির্দিষ্ট স্থান (মিকাত) থেকে ইহরাম বাঁধার মাধ্যমে ওমরাহ শুরু হয়। এরপর ওমরাহর মধ্যে রয়েছে কাবা ঘরকে সাতবার প্রদক্ষিণ করা, সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো বা হাঁটা, তাওয়াফ ও সায়ি শেষে মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা।
ওমরাহর গুরুত্ব ও সময়
হজের মতো এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জীবনে একবার ওমরাহ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নাহ)। হজের নির্দিষ্ট সময় (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ) ব্যতীত বছরের যেকোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করার অনুমতি আছে।
ওমরাহর ফজিলত
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ধারাবাহিকভাবে একের পর এক হজ ও ওমরাহ করতে থাকো। কেননা, হজ ও ওমরাহ এমনভাবে অভাব মোচন করে এবং গুনাহ দূর করে, যেমনভাবে কামারের হাঁপর লোহা ও সোনা-রুপার মরিচা দূর করে।’ (জামে তিরমিজি: ৮১০)
হজরত জাবের (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হজ আদায়কারী ব্যক্তি কখনোই একেবারে নিঃস্ব হয় না।’ (তাবারানি ফিল আওসাত: ৫২০৯)
অন্যত্র হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহর পর আরেকটি ওমরাহ আদায় করা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের জন্য কাফফারা।’ (সহিহ মুসলিম: ১৩৪৯)
এ ছাড়া ওমরাহ আদায়ে প্রয়োজনে ১ টাকা খরচ করলে ৭০০ টাকা সদকা করার সওয়াব পাওয়া যায়। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হজ ও ওমরাহ হলো আল্লাহর রাস্তা। আর আল্লাহর রাস্তায় ১ দিরহাম খরচের সওয়াব ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।’ (তাবারানি ফিল আওসাত: ৫৬৯০)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর পথের মুজাহিদ এবং হজ-ওমরাহ আদায়কারী আল্লাহর প্রতিনিধি। তাঁরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেন আর আল্লাহও তাঁদের প্রার্থনা কবুল করেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯৩)
আবু হুরাইরা (রা.) মহানবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘এক ওমরাহ অন্য ওমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সকল কিছুর কাফফারা।’ (সহিহ বুখারি: ১৭২৩)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে একটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পায়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৯৫৬)
আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) নসিহত করেন, ‘হে আয়েশা, তুমি ব্যয় করতে সংকোচ কোরো না। কারণ, তোমার ব্যয় অনুপাতে ওমরাহর প্রতিদান দেওয়া হবে।’ (তারগিব: ১৬৮১)
হাজরে আসওয়াদ ইসতেলামের ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এই পাথর কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে তার দুটি চোখ থাকবে, যা দ্বারা সে দেখবে। জিহ্বা থাকবে যা দ্বারা সে কথা বলবে। সে ওই ব্যক্তির পক্ষে সাক্ষ্য দেবে যে তাকে সঠিক পন্থায় ইসতেলাম করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ২৯৪৪)। হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেওয়া, স্পর্শ করা বা দূর থেকে চুমুর ইঙ্গিত করাকে বলে ইসতেলাম। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
সাফা-মারওয়া সায়ি করার ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা সাফা-মারওয়া সায়ি করো। কেননা, তা ৭০ জন দাস মুক্ত করার সমতুল্য।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৮৮৭)
হলক বা চুল কাটার ফজিলত
আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, যারা চুল কাটবে তাদের?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন।’ সাহাবায়ে কেরাম আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘যারা চুল কাটবে তাদের?’ তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি হলককারীকে ক্ষমা করুন।’ তৃতীয়বার আবার আরজ করলে নবীজি (সা.) বললেন, যারা চুল কাটবে তাদেরকেও।’ (সহিহ বুখারি: ১৭২৮)
ওমরাহ পালনের উপকারিতা
লেখক: হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক, কলামিস্ট ও মাদ্রাসাশিক্ষক।

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন।
১০ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১ দিন আগেকাউসার লাবীব

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল।

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল।

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন।
১০ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
হজের মতো এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জীবনে একবার ওমরাহ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নাহ)। হজের নির্দিষ্ট সময় (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ) ব্যতীত বছরের যেকোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করার অনুমতি আছে।
৮ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন।
১০ অক্টোবর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
হজের মতো এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। জীবনে একবার ওমরাহ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (জরুরি সুন্নাহ)। হজের নির্দিষ্ট সময় (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ) ব্যতীত বছরের যেকোনো সময়ই ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করার অনুমতি আছে।
৮ ঘণ্টা আগে
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১৩ ঘণ্টা আগে