ইসলাম ডেস্ক

প্রশ্ন: সম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত জানতে চাই।
শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা
প্রশ্ন: সাবালক মুসলমানের সামর্থ্য থাকলে হজ করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তারা যেন এই ঘরের হজ সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭) আয়াতে ‘পৌঁছানোর সামর্থ্য’ বলতে কী উদ্দেশ্য, তা চার মাজহাবের ফকিহগণ ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে স্পষ্ট করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মত অনুসারে ‘সামর্থ্য’ হচ্ছে, ব্যক্তি ও তার পরিবারের মৌলিক প্রয়োজনীয় খরচ ও ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে বাকি সম্পদ দিয়ে ‘জাদ ও রাহিলা’র সামর্থ্য অর্জন করা। ‘জাদ’ অর্থ হজে যাওয়া-আসা ও অবস্থানকালীন খানাপিনা, আবাসন, পোশাক, চিকিৎসা, ভিসা প্রসেসিং, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদির খরচ। আর ‘রাহিলা’ অর্থ যথোপযুক্ত বাহন তথা নিজের দেশ থেকে সাধারণত যে বাহন দিয়ে হাজিগণ হজ করতে যান, তাতে আরোহণের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য অর্জন করা। তবে মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বা তার চেয়ে কম, তাঁদের জন্য বাহন শর্ত নয়। হাঁটতে পারলেই তাঁদের ওপর হজ ফরজ হবে। (আল ফিকহু আলাল মাজাহিবিল আরবাআহ)
সুতরাং মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বেশি, তাঁদের জন্য বাহনে আরোহণের সামর্থ্য না থাকলে হেঁটে হজে যাওয়া ফরজ নয়। তা সত্ত্বেও কেউ যদি পায়ে হেঁটে হজে যান, তাঁর হজ আদায় হবে এবং অন্তরে নিষ্ঠা থাকলে পরিপূর্ণ সওয়াবও অর্জিত হবে। এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। তবে শরিয়ত কর্তৃক আবশ্যক না করা সত্ত্বেও এভাবে নিজেকে কষ্ট ও ঝুঁকির মুখে ফেলে হেঁটে হজে যাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমের মতে উত্তম কাজ নয়। কেননা, বিদায় হজে রাসুল (সা.) বাহনে চড়ে হজে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া বাহনে চড়ে হজে গেলে হজের কাজগুলো ক্লান্তিহীনভাবে যথাযথভাবে আদায় করতে সহায়ক হয়। (আল মাজমু শরহুল মুহাজ্জাব)
তবে ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াই ও ইমাম দাউদ প্রমুখ আলিমের মতে, হেঁটে হজে যাওয়া উত্তম। তাঁদের দলিল হলো, বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) আয়েশা (রা.)কে বলেছেন, ‘তোমার কষ্ট অনুপাতে তোমার সওয়াব বৃদ্ধি পাবে।’ বায়হাকির একটি হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘যৌবনে আমি হেঁটে হজে যাইনি, এর জন্য আমার আফসোস হয়।’ হজরত হাসান (রা.)-এর ব্যাপারেও বর্ণিত আছে যে তিনি অনেক বার হেঁটে হজে গিয়েছিলেন।
অবশ্য ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে বিশ্লেষণ করলে এসব দলিলের আলোকে হেঁটে হজে যাওয়াকে জায়েজ বলা যায় এবং যাঁরা এভাবে হজে যাচ্ছেন, তাঁদের তিরস্কার করা যাবে না। এগুলোর আলোকে কোনোভাবেই হেঁটে হজে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা কিংবা তাতে অধিক সওয়াব অর্জিত হবে মনে করার সুযোগ নেই। কারণ—প্রথমত, এতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট, যা ইসলামের মূলনীতি ‘আল্লাহ কারও ওপর স্বাভাবিক সামর্থ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)-এর বিপরীত।
দ্বিতীয়ত, এতে রয়েছে কৃত্রিমতা ও রিয়ার প্রবল সম্ভাবনা, যা ‘ইখলাস ছাড়া কোনো আমল কবুল হয় না’—মূলনীতির বিপরীত। তৃতীয়ত, এতে রয়েছে পদে পদে বিপদের আশঙ্কা, ইমিগ্রেশন জটিলতায় পড়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়, যা ‘তোমরা নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ফেলো না’ (সুরা বাকারা: ১৯৫) এবং ‘ইসলামে অন্যের ক্ষতি করা এবং নিজেকে ক্ষতির সম্মুখীন করা বৈধ নয়’ (মুসনাদে আহমদ) এই মূলনীতিদ্বয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ ছাড়া আবু দাউদ শরিফের একটি হাদিসে দেখা যায়, এক নারী হেঁটে হজে যাওয়ার মানত করলে রাসুল (সা.) তাকে বাহনে চড়ে হজে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং মানত ভঙ্গের কাফফারা দিতে বলেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: সম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত জানতে চাই।
শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা
প্রশ্ন: সাবালক মুসলমানের সামর্থ্য থাকলে হজ করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তারা যেন এই ঘরের হজ সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭) আয়াতে ‘পৌঁছানোর সামর্থ্য’ বলতে কী উদ্দেশ্য, তা চার মাজহাবের ফকিহগণ ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে স্পষ্ট করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মত অনুসারে ‘সামর্থ্য’ হচ্ছে, ব্যক্তি ও তার পরিবারের মৌলিক প্রয়োজনীয় খরচ ও ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে বাকি সম্পদ দিয়ে ‘জাদ ও রাহিলা’র সামর্থ্য অর্জন করা। ‘জাদ’ অর্থ হজে যাওয়া-আসা ও অবস্থানকালীন খানাপিনা, আবাসন, পোশাক, চিকিৎসা, ভিসা প্রসেসিং, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদির খরচ। আর ‘রাহিলা’ অর্থ যথোপযুক্ত বাহন তথা নিজের দেশ থেকে সাধারণত যে বাহন দিয়ে হাজিগণ হজ করতে যান, তাতে আরোহণের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য অর্জন করা। তবে মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বা তার চেয়ে কম, তাঁদের জন্য বাহন শর্ত নয়। হাঁটতে পারলেই তাঁদের ওপর হজ ফরজ হবে। (আল ফিকহু আলাল মাজাহিবিল আরবাআহ)
সুতরাং মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বেশি, তাঁদের জন্য বাহনে আরোহণের সামর্থ্য না থাকলে হেঁটে হজে যাওয়া ফরজ নয়। তা সত্ত্বেও কেউ যদি পায়ে হেঁটে হজে যান, তাঁর হজ আদায় হবে এবং অন্তরে নিষ্ঠা থাকলে পরিপূর্ণ সওয়াবও অর্জিত হবে। এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। তবে শরিয়ত কর্তৃক আবশ্যক না করা সত্ত্বেও এভাবে নিজেকে কষ্ট ও ঝুঁকির মুখে ফেলে হেঁটে হজে যাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমের মতে উত্তম কাজ নয়। কেননা, বিদায় হজে রাসুল (সা.) বাহনে চড়ে হজে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া বাহনে চড়ে হজে গেলে হজের কাজগুলো ক্লান্তিহীনভাবে যথাযথভাবে আদায় করতে সহায়ক হয়। (আল মাজমু শরহুল মুহাজ্জাব)
তবে ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াই ও ইমাম দাউদ প্রমুখ আলিমের মতে, হেঁটে হজে যাওয়া উত্তম। তাঁদের দলিল হলো, বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) আয়েশা (রা.)কে বলেছেন, ‘তোমার কষ্ট অনুপাতে তোমার সওয়াব বৃদ্ধি পাবে।’ বায়হাকির একটি হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘যৌবনে আমি হেঁটে হজে যাইনি, এর জন্য আমার আফসোস হয়।’ হজরত হাসান (রা.)-এর ব্যাপারেও বর্ণিত আছে যে তিনি অনেক বার হেঁটে হজে গিয়েছিলেন।
অবশ্য ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে বিশ্লেষণ করলে এসব দলিলের আলোকে হেঁটে হজে যাওয়াকে জায়েজ বলা যায় এবং যাঁরা এভাবে হজে যাচ্ছেন, তাঁদের তিরস্কার করা যাবে না। এগুলোর আলোকে কোনোভাবেই হেঁটে হজে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা কিংবা তাতে অধিক সওয়াব অর্জিত হবে মনে করার সুযোগ নেই। কারণ—প্রথমত, এতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট, যা ইসলামের মূলনীতি ‘আল্লাহ কারও ওপর স্বাভাবিক সামর্থ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)-এর বিপরীত।
দ্বিতীয়ত, এতে রয়েছে কৃত্রিমতা ও রিয়ার প্রবল সম্ভাবনা, যা ‘ইখলাস ছাড়া কোনো আমল কবুল হয় না’—মূলনীতির বিপরীত। তৃতীয়ত, এতে রয়েছে পদে পদে বিপদের আশঙ্কা, ইমিগ্রেশন জটিলতায় পড়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়, যা ‘তোমরা নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ফেলো না’ (সুরা বাকারা: ১৯৫) এবং ‘ইসলামে অন্যের ক্ষতি করা এবং নিজেকে ক্ষতির সম্মুখীন করা বৈধ নয়’ (মুসনাদে আহমদ) এই মূলনীতিদ্বয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ ছাড়া আবু দাউদ শরিফের একটি হাদিসে দেখা যায়, এক নারী হেঁটে হজে যাওয়ার মানত করলে রাসুল (সা.) তাকে বাহনে চড়ে হজে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং মানত ভঙ্গের কাফফারা দিতে বলেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

প্রশ্ন: সম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত জানতে চাই।
শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা
প্রশ্ন: সাবালক মুসলমানের সামর্থ্য থাকলে হজ করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তারা যেন এই ঘরের হজ সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭) আয়াতে ‘পৌঁছানোর সামর্থ্য’ বলতে কী উদ্দেশ্য, তা চার মাজহাবের ফকিহগণ ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে স্পষ্ট করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মত অনুসারে ‘সামর্থ্য’ হচ্ছে, ব্যক্তি ও তার পরিবারের মৌলিক প্রয়োজনীয় খরচ ও ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে বাকি সম্পদ দিয়ে ‘জাদ ও রাহিলা’র সামর্থ্য অর্জন করা। ‘জাদ’ অর্থ হজে যাওয়া-আসা ও অবস্থানকালীন খানাপিনা, আবাসন, পোশাক, চিকিৎসা, ভিসা প্রসেসিং, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদির খরচ। আর ‘রাহিলা’ অর্থ যথোপযুক্ত বাহন তথা নিজের দেশ থেকে সাধারণত যে বাহন দিয়ে হাজিগণ হজ করতে যান, তাতে আরোহণের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য অর্জন করা। তবে মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বা তার চেয়ে কম, তাঁদের জন্য বাহন শর্ত নয়। হাঁটতে পারলেই তাঁদের ওপর হজ ফরজ হবে। (আল ফিকহু আলাল মাজাহিবিল আরবাআহ)
সুতরাং মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বেশি, তাঁদের জন্য বাহনে আরোহণের সামর্থ্য না থাকলে হেঁটে হজে যাওয়া ফরজ নয়। তা সত্ত্বেও কেউ যদি পায়ে হেঁটে হজে যান, তাঁর হজ আদায় হবে এবং অন্তরে নিষ্ঠা থাকলে পরিপূর্ণ সওয়াবও অর্জিত হবে। এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। তবে শরিয়ত কর্তৃক আবশ্যক না করা সত্ত্বেও এভাবে নিজেকে কষ্ট ও ঝুঁকির মুখে ফেলে হেঁটে হজে যাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমের মতে উত্তম কাজ নয়। কেননা, বিদায় হজে রাসুল (সা.) বাহনে চড়ে হজে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া বাহনে চড়ে হজে গেলে হজের কাজগুলো ক্লান্তিহীনভাবে যথাযথভাবে আদায় করতে সহায়ক হয়। (আল মাজমু শরহুল মুহাজ্জাব)
তবে ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াই ও ইমাম দাউদ প্রমুখ আলিমের মতে, হেঁটে হজে যাওয়া উত্তম। তাঁদের দলিল হলো, বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) আয়েশা (রা.)কে বলেছেন, ‘তোমার কষ্ট অনুপাতে তোমার সওয়াব বৃদ্ধি পাবে।’ বায়হাকির একটি হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘যৌবনে আমি হেঁটে হজে যাইনি, এর জন্য আমার আফসোস হয়।’ হজরত হাসান (রা.)-এর ব্যাপারেও বর্ণিত আছে যে তিনি অনেক বার হেঁটে হজে গিয়েছিলেন।
অবশ্য ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে বিশ্লেষণ করলে এসব দলিলের আলোকে হেঁটে হজে যাওয়াকে জায়েজ বলা যায় এবং যাঁরা এভাবে হজে যাচ্ছেন, তাঁদের তিরস্কার করা যাবে না। এগুলোর আলোকে কোনোভাবেই হেঁটে হজে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা কিংবা তাতে অধিক সওয়াব অর্জিত হবে মনে করার সুযোগ নেই। কারণ—প্রথমত, এতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট, যা ইসলামের মূলনীতি ‘আল্লাহ কারও ওপর স্বাভাবিক সামর্থ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)-এর বিপরীত।
দ্বিতীয়ত, এতে রয়েছে কৃত্রিমতা ও রিয়ার প্রবল সম্ভাবনা, যা ‘ইখলাস ছাড়া কোনো আমল কবুল হয় না’—মূলনীতির বিপরীত। তৃতীয়ত, এতে রয়েছে পদে পদে বিপদের আশঙ্কা, ইমিগ্রেশন জটিলতায় পড়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়, যা ‘তোমরা নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ফেলো না’ (সুরা বাকারা: ১৯৫) এবং ‘ইসলামে অন্যের ক্ষতি করা এবং নিজেকে ক্ষতির সম্মুখীন করা বৈধ নয়’ (মুসনাদে আহমদ) এই মূলনীতিদ্বয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ ছাড়া আবু দাউদ শরিফের একটি হাদিসে দেখা যায়, এক নারী হেঁটে হজে যাওয়ার মানত করলে রাসুল (সা.) তাকে বাহনে চড়ে হজে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং মানত ভঙ্গের কাফফারা দিতে বলেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: সম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত জানতে চাই।
শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা
প্রশ্ন: সাবালক মুসলমানের সামর্থ্য থাকলে হজ করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তারা যেন এই ঘরের হজ সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭) আয়াতে ‘পৌঁছানোর সামর্থ্য’ বলতে কী উদ্দেশ্য, তা চার মাজহাবের ফকিহগণ ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে স্পষ্ট করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মত অনুসারে ‘সামর্থ্য’ হচ্ছে, ব্যক্তি ও তার পরিবারের মৌলিক প্রয়োজনীয় খরচ ও ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে বাকি সম্পদ দিয়ে ‘জাদ ও রাহিলা’র সামর্থ্য অর্জন করা। ‘জাদ’ অর্থ হজে যাওয়া-আসা ও অবস্থানকালীন খানাপিনা, আবাসন, পোশাক, চিকিৎসা, ভিসা প্রসেসিং, রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদির খরচ। আর ‘রাহিলা’ অর্থ যথোপযুক্ত বাহন তথা নিজের দেশ থেকে সাধারণত যে বাহন দিয়ে হাজিগণ হজ করতে যান, তাতে আরোহণের আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য অর্জন করা। তবে মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বা তার চেয়ে কম, তাঁদের জন্য বাহন শর্ত নয়। হাঁটতে পারলেই তাঁদের ওপর হজ ফরজ হবে। (আল ফিকহু আলাল মাজাহিবিল আরবাআহ)
সুতরাং মক্কা থেকে যাঁদের দূরত্ব তিন দিনের বেশি, তাঁদের জন্য বাহনে আরোহণের সামর্থ্য না থাকলে হেঁটে হজে যাওয়া ফরজ নয়। তা সত্ত্বেও কেউ যদি পায়ে হেঁটে হজে যান, তাঁর হজ আদায় হবে এবং অন্তরে নিষ্ঠা থাকলে পরিপূর্ণ সওয়াবও অর্জিত হবে। এ নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। তবে শরিয়ত কর্তৃক আবশ্যক না করা সত্ত্বেও এভাবে নিজেকে কষ্ট ও ঝুঁকির মুখে ফেলে হেঁটে হজে যাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমের মতে উত্তম কাজ নয়। কেননা, বিদায় হজে রাসুল (সা.) বাহনে চড়ে হজে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া বাহনে চড়ে হজে গেলে হজের কাজগুলো ক্লান্তিহীনভাবে যথাযথভাবে আদায় করতে সহায়ক হয়। (আল মাজমু শরহুল মুহাজ্জাব)
তবে ইমাম ইসহাক ইবনে রাহওয়াই ও ইমাম দাউদ প্রমুখ আলিমের মতে, হেঁটে হজে যাওয়া উত্তম। তাঁদের দলিল হলো, বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) আয়েশা (রা.)কে বলেছেন, ‘তোমার কষ্ট অনুপাতে তোমার সওয়াব বৃদ্ধি পাবে।’ বায়হাকির একটি হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘যৌবনে আমি হেঁটে হজে যাইনি, এর জন্য আমার আফসোস হয়।’ হজরত হাসান (রা.)-এর ব্যাপারেও বর্ণিত আছে যে তিনি অনেক বার হেঁটে হজে গিয়েছিলেন।
অবশ্য ইসলামি শরিয়তের মূলনীতির আলোকে বিশ্লেষণ করলে এসব দলিলের আলোকে হেঁটে হজে যাওয়াকে জায়েজ বলা যায় এবং যাঁরা এভাবে হজে যাচ্ছেন, তাঁদের তিরস্কার করা যাবে না। এগুলোর আলোকে কোনোভাবেই হেঁটে হজে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা কিংবা তাতে অধিক সওয়াব অর্জিত হবে মনে করার সুযোগ নেই। কারণ—প্রথমত, এতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত কষ্ট, যা ইসলামের মূলনীতি ‘আল্লাহ কারও ওপর স্বাভাবিক সামর্থ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না’ (সুরা বাকারা: ২৮৬)-এর বিপরীত।
দ্বিতীয়ত, এতে রয়েছে কৃত্রিমতা ও রিয়ার প্রবল সম্ভাবনা, যা ‘ইখলাস ছাড়া কোনো আমল কবুল হয় না’—মূলনীতির বিপরীত। তৃতীয়ত, এতে রয়েছে পদে পদে বিপদের আশঙ্কা, ইমিগ্রেশন জটিলতায় পড়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়, যা ‘তোমরা নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ফেলো না’ (সুরা বাকারা: ১৯৫) এবং ‘ইসলামে অন্যের ক্ষতি করা এবং নিজেকে ক্ষতির সম্মুখীন করা বৈধ নয়’ (মুসনাদে আহমদ) এই মূলনীতিদ্বয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ ছাড়া আবু দাউদ শরিফের একটি হাদিসে দেখা যায়, এক নারী হেঁটে হজে যাওয়ার মানত করলে রাসুল (সা.) তাকে বাহনে চড়ে হজে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং মানত ভঙ্গের কাফফারা দিতে বলেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন।
২১ জুলাই ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন।
২১ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন।
২১ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ম্প্রতি হেঁটে হজে যাওয়ার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন; কেউ ইসলামের দৃষ্টিতে অপছন্দের কাজ বলে অভিহিত করছেন।
২১ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে