ড. মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাকওয়ার প্রমাণ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে তা তো তার হৃদয়ের তাকওয়া-সঞ্জাত।’ (সুরা হজ: ৩২)
ইসলামের যেসব আমলে হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার চাষ হয়, তার মধ্যে ঈদুল আজহা উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রে ‘কোরবানি’ শব্দটিও বহুল প্রচলিত। ঈদুল আজহাকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। ‘কোরবান’ মানে নৈকট্য। যে বস্তু কারও নৈকট্যলাভের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তা-ই কোরবানি। তবে পরিভাষায় জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে যে আচার পালন করা হয়, তা-ই কোরবানি। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছাকাছি আসে, প্রিয় থেকে প্রিয়তর হয়। এতে মানুষের নৈতিক জীবন সবচেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট হয়।
প্রাণের বদলে পশু কোরবানির বিধান দিয়ে আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি রহম করেছেন। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার নামে দেওয়া কোরবানি মানবপ্রাণের জন্য ফিদইয়া বা কাফফারাস্বরূপ। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন—আমি প্রতিটি উম্মতের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ পশু জবাই করার সময় তাঁর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪) তাই কোরবানির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহ তাআলার আদেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। পৃথিবীর আদি মানব হজরত আদম (আ.)-এর পুত্রদ্বয়ের কোরবানির ঘটনা সুবিদিত। সেখানেও তাকওয়া ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাঁর শেষ নবীকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আপনি তাদের আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত যথাযথভাবে পাঠ করে শোনান। যখন তারা উভয়েই কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব। অপরজন বলল, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
বোঝা গেল, তাকওয়াহীন কোরবানি আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত। অন্যভাবে বললে, কোরবানি কেবল রক্ত ঝরানো বা গোশত ভক্ষণের নাম নয়; বরং তাকওয়াই এখানে মুখ্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলোর গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানি মুসলিম উম্মাহর পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কর্মপন্থা। তাঁর ইমান ছিল অনন্য উচ্চতায় উন্নীত। আল্লাহ তাআলার প্রতি গভীর আনুগত্য ও তাঁর রাহে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের যে নজির তিনি স্থাপন করেছেন, ঈদুল আজহা তারই স্মারক। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবরাহিম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সন্তানের জবাবও ছিল কত চমৎকার—‘আব্বাজান, আপনি যে বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে আদিষ্ট হয়েছেন, তা পূর্ণ করুন। ইনশা আল্লাহ আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২)
কোরবানি এমনই হওয়া চাই। শুধু কোরবানিই কেন, আল্লাহ জীবনের যে স্তরে যে নির্দেশ দেন, সেখানে কোনো কারণ না খুঁজে বিনা বাক্যব্যয়ে তা পালনে রাজি হয়ে যাওয়াই ইমান ও তাকওয়া। ইসলাম নির্দেশিত পথে মানবতার কল্যাণে নিজের জানমাল উৎসর্গ করারই শিক্ষা দেয় কোরবানি। তাই আমাদের কোরবানি যেন হয় তাকওয়াচর্চার উত্তম উপলক্ষ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করা নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনেরও শিক্ষা দেয়। কারণ নৈতিকতা না থাকলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়। নিজের ভেতরের পশুত্ব বিনাশে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে হুঁশিয়ারি এসেছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম)।
কোরবানির ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, মানবিক নানা কল্যাণকর দিক রয়েছে। কোরবানির গোশতের অংশ আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রের মধ্যে বিতরণ করা সুন্নত, যাতে তারাও ঈদের আনন্দ সমভাবে ভোগ করতে পারে। এটি সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানোর দারুণ মাধ্যমও। তাই সামর্থ্য অনুসারে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দসওগাত পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া তাকওয়ার দাবি। এটিই ঈদুল আজহার মূল প্রাণ। এ জন্য কোরবানির এত বেশি সওয়াব। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিন বনি আদমের কাজসমূহের মধ্যে আল্লাহর নামে কোরবানি করার চেয়ে প্রিয় কাজ আর নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু শিং, চুল খুরসহ উপস্থিত হবে। আর কোরবানির পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। কাজেই তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
লেখক: সৌদিপ্রবাসী ইসলামি চিন্তাবিদ

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাকওয়ার প্রমাণ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে তা তো তার হৃদয়ের তাকওয়া-সঞ্জাত।’ (সুরা হজ: ৩২)
ইসলামের যেসব আমলে হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার চাষ হয়, তার মধ্যে ঈদুল আজহা উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রে ‘কোরবানি’ শব্দটিও বহুল প্রচলিত। ঈদুল আজহাকে কোরবানির ঈদ বলা হয়। ‘কোরবান’ মানে নৈকট্য। যে বস্তু কারও নৈকট্যলাভের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তা-ই কোরবানি। তবে পরিভাষায় জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে যে আচার পালন করা হয়, তা-ই কোরবানি। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছাকাছি আসে, প্রিয় থেকে প্রিয়তর হয়। এতে মানুষের নৈতিক জীবন সবচেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট হয়।
প্রাণের বদলে পশু কোরবানির বিধান দিয়ে আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি রহম করেছেন। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার নামে দেওয়া কোরবানি মানবপ্রাণের জন্য ফিদইয়া বা কাফফারাস্বরূপ। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন—আমি প্রতিটি উম্মতের জন্য কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ পশু জবাই করার সময় তাঁর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪) তাই কোরবানির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহ তাআলার আদেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
কোরবানির ইতিহাস সুপ্রাচীন। পৃথিবীর আদি মানব হজরত আদম (আ.)-এর পুত্রদ্বয়ের কোরবানির ঘটনা সুবিদিত। সেখানেও তাকওয়া ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাঁর শেষ নবীকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আপনি তাদের আদমের দুই পুত্রের বৃত্তান্ত যথাযথভাবে পাঠ করে শোনান। যখন তারা উভয়েই কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না। সে বলল, আমি তোমাকে হত্যা করব। অপরজন বলল, অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
বোঝা গেল, তাকওয়াহীন কোরবানি আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত। অন্যভাবে বললে, কোরবানি কেবল রক্ত ঝরানো বা গোশত ভক্ষণের নাম নয়; বরং তাকওয়াই এখানে মুখ্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এগুলোর গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানি মুসলিম উম্মাহর পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কর্মপন্থা। তাঁর ইমান ছিল অনন্য উচ্চতায় উন্নীত। আল্লাহ তাআলার প্রতি গভীর আনুগত্য ও তাঁর রাহে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের যে নজির তিনি স্থাপন করেছেন, ঈদুল আজহা তারই স্মারক। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবরাহিম (আ.) প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সন্তানের জবাবও ছিল কত চমৎকার—‘আব্বাজান, আপনি যে বিষয়ে আল্লাহর তরফ থেকে আদিষ্ট হয়েছেন, তা পূর্ণ করুন। ইনশা আল্লাহ আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সাফফাত: ১০২)
কোরবানি এমনই হওয়া চাই। শুধু কোরবানিই কেন, আল্লাহ জীবনের যে স্তরে যে নির্দেশ দেন, সেখানে কোনো কারণ না খুঁজে বিনা বাক্যব্যয়ে তা পালনে রাজি হয়ে যাওয়াই ইমান ও তাকওয়া। ইসলাম নির্দেশিত পথে মানবতার কল্যাণে নিজের জানমাল উৎসর্গ করারই শিক্ষা দেয় কোরবানি। তাই আমাদের কোরবানি যেন হয় তাকওয়াচর্চার উত্তম উপলক্ষ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করা নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনেরও শিক্ষা দেয়। কারণ নৈতিকতা না থাকলে মানুষ পশুতে পরিণত হয়। নিজের ভেতরের পশুত্ব বিনাশে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে হুঁশিয়ারি এসেছে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম)।
কোরবানির ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, মানবিক নানা কল্যাণকর দিক রয়েছে। কোরবানির গোশতের অংশ আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রের মধ্যে বিতরণ করা সুন্নত, যাতে তারাও ঈদের আনন্দ সমভাবে ভোগ করতে পারে। এটি সামাজিক সম্প্রীতি বাড়ানোর দারুণ মাধ্যমও। তাই সামর্থ্য অনুসারে গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দসওগাত পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
সমাজের সব স্তরের মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া তাকওয়ার দাবি। এটিই ঈদুল আজহার মূল প্রাণ। এ জন্য কোরবানির এত বেশি সওয়াব। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কোরবানির দিন বনি আদমের কাজসমূহের মধ্যে আল্লাহর নামে কোরবানি করার চেয়ে প্রিয় কাজ আর নেই। কিয়ামতের দিন কোরবানির পশু শিং, চুল খুরসহ উপস্থিত হবে। আর কোরবানির পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। কাজেই তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
লেখক: সৌদিপ্রবাসী ইসলামি চিন্তাবিদ

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

ঈদুল আজহা ইসলামের দ্বিতীয় বড় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির চর্চা। লোকদেখানো বা ব্যক্তিগত অহমিকা প্রদর্শন নয়; আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে প্রিয়তম বস্তুটি আল্লাহর পথে বিসর্জন দেওয়াই কোরবানি। আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে কোরবানি দেওয়াই তাক
১৪ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৬ ঘণ্টা আগে