কাউসার লাবীব

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়।
কালের সাক্ষী বেলাব জামে মসজিদ
বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রায় ৩০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদটির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা ছিলেন বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদ ব্যাপারী।
প্রথম নির্মাণের সময় মসজিদটির ছিল সাতটি গম্বুজ, যা একে অত্র এলাকার অন্যান্য মসজিদ থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছিল। লোকমুখে প্রচলিত আছে—প্রতিষ্ঠার শুরুর সময় মসজিদের ভেতর কোরআন তিলাওয়াতের গায়েবি আওয়াজ শোনা যেত। এই কারণেই মসজিদটি ‘ফজিলতের মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জুমার নামাজে এখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির সমাগম হতো, যা ধীরে ধীরে মসজিদের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়। মুসল্লির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মসজিদটি আধুনিক অবকাঠামোতে নির্মাণ করা হয়। তিনতলাবিশিষ্ট এই বিশাল মসজিদটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, বরং দর্শনার্থীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। মসজিদের ভেতরে ঝাড়বাতির দৃষ্টিনন্দন সাজ, সুউচ্চ মিনার ও গম্বুজ এবং পশ্চিম পাশে অবস্থিত পুকুর—সব মিলিয়ে এটি এক অপূর্ব সৌন্দর্য ধারণ করে। রাতে বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত হয়ে পুরো এলাকা এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা যেকোনো দর্শনার্থীর মন কাড়ে।

৩০০ বছরের পুরোনো দেওয়ান শরিফ মসজিদ
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার নিবিড় পল্লি পারুলিয়া গ্রামে শান্ত পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে ৩০০ বছর পুরোনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মোগল আমলের এই নিদর্শনটি মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলি খাঁর কন্যা ও ঈশা খাঁর পঞ্চম অধস্তন বংশধর দেওয়ান শরিফ খাঁর স্ত্রী—জয়নব বিবি। মসজিদটির আওতায় রয়েছে প্রায় ১২ বিঘা জমি। রয়েছে চারটি শানবাঁধানো পুকুরঘাট। প্রায় ৫ ফুট প্রস্থ দেয়ালে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে রয়েছে মজবুত পাথরের খিলান এবং শিল্পসুষমামণ্ডিত কারুকাজ। মসজিদে রয়েছে একটি প্রধান গেট, পূর্বদিকে তিনটি দরজা এবং উত্তর ও দক্ষিণ পাশে একটি করে দরজা। প্রাঙ্গণের উত্তর-পূর্ব কোণে দাঁড়িয়ে আছে দুটি সুউচ্চ মিনার। প্রাচীরবেষ্টিত প্রশস্ত প্রাঙ্গণজুড়ে মসজিদটির পরিবেশ এক অনন্য পবিত্রতা সৃষ্টি করে।
মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্মাণকালে ইরান, বাগদাদ ও ইয়েমেন থেকে আনা হয়েছিল দক্ষ কারিগরদের, যা এর শিল্পনির্মাণে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। মসজিদের পাশেই, পশ্চিম দিকের পুকুরঘাটের পূর্ব তীরে রয়েছে এক গম্বুজবিশিষ্ট সৌধ। এখানে রয়েছে দেওয়ান শরিফ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী জয়নব বিবির যুগল সমাধি।

তাজমহলের আদলে আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদ
রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের আটকান্দি গ্রামে অবস্থিত আটকান্দি নীলকুঠি জামে মসজিদ। এটির নির্মাতা মৌলভি আলিম উদ্দিন, যিনি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মাওলানা পাস করেছিলেন। মেঘনার শাখা নদীর পাড়ে, ছায়ানিবিড় পরিবেশে স্থাপিত এ মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী মোগল আমলের নিদর্শন বহন করে। সুদূর মহীশূর থেকে আনা কারিগরদের দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। অনেকে এর গম্বুজগুলোর সঙ্গে আগ্রার তাজমহলের গম্বুজের তুলনা করেন। মসজিদটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এর আটটি গম্বুজ—মূল মসজিদে তিনটি। এর মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়; এবং বারান্দায় রয়েছে আরও পাঁচটি গম্বুজ। এই আটটি গম্বুজ থেকে গ্রামেরও নামকরণ হয় ‘আটকান্দি।’
মসজিদটির প্রবেশপথ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। বারান্দায় প্রবেশের জন্য সাতটি এবং ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে দুটি দরজা। বারান্দা ও দেয়ালের গায়ে রয়েছে ৩৪টি খিলান, প্রতিটির দেয়ালের ওপর রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ। দেয়ালগুলো দুই ফুট পুরু। মসজিদের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়েছে বাহারি রঙের মোজাইক, মার্বেল এবং দুর্লভ পুঁথি পাথর। মিহরাবে রয়েছে নানা ফুল ও পাতার চিত্রকর্ম।

আশ্রাবপুর গায়েবি মসজিদ
আশরাফপুর গ্রামটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জনপদেই বিস্ময় জাগানো গায়েবি মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি ১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের স্বাধীন নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন আবুল মুজাফফর নসর শাহর শাসনামলে দিলওয়ার খান নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল সুলতানি স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এক গম্বুজবিশিষ্ট ছোট মসজিদ।
তবে ১৮৯৭ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মসজিদটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে। ঘন জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় এটি একরকম হারিয়েই গিয়েছিল ইতিহাসের পাতায়! পরে ১৯৪০ সালে মাওলানা সৈয়দ আলীর নেতৃত্বে জঙ্গল পরিষ্কার করে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হয়। অনেকেই তখন একে ‘গায়েবি মসজিদ’ নামে অভিহিত করতেন। সে সময়ও মিহরাব এবং পশ্চিম দেয়ালের কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। বর্তমানে ওই স্থানেই একটি আধুনিক তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ নির্মিত হয়েছে।
মসজিদটির উত্তরে একসময় ছিল বৃহৎ দিঘি, যার অস্তিত্ব আজ আর দৃশ্যমান নয়। কিন্তু তার নিঃশব্দ চিহ্ন আজও মাটি ও স্মৃতিতে বিদ্যমান। দিঘির পাশেই রয়েছে পাথর দিয়ে বাঁধানো চারটি কবর, যা নির্মাতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমাধি বলে ধারণা করা হয়।

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়।
কালের সাক্ষী বেলাব জামে মসজিদ
বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রায় ৩০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদটির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা ছিলেন বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদ ব্যাপারী।
প্রথম নির্মাণের সময় মসজিদটির ছিল সাতটি গম্বুজ, যা একে অত্র এলাকার অন্যান্য মসজিদ থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছিল। লোকমুখে প্রচলিত আছে—প্রতিষ্ঠার শুরুর সময় মসজিদের ভেতর কোরআন তিলাওয়াতের গায়েবি আওয়াজ শোনা যেত। এই কারণেই মসজিদটি ‘ফজিলতের মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জুমার নামাজে এখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির সমাগম হতো, যা ধীরে ধীরে মসজিদের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়। মুসল্লির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মসজিদটি আধুনিক অবকাঠামোতে নির্মাণ করা হয়। তিনতলাবিশিষ্ট এই বিশাল মসজিদটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, বরং দর্শনার্থীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। মসজিদের ভেতরে ঝাড়বাতির দৃষ্টিনন্দন সাজ, সুউচ্চ মিনার ও গম্বুজ এবং পশ্চিম পাশে অবস্থিত পুকুর—সব মিলিয়ে এটি এক অপূর্ব সৌন্দর্য ধারণ করে। রাতে বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত হয়ে পুরো এলাকা এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা যেকোনো দর্শনার্থীর মন কাড়ে।

৩০০ বছরের পুরোনো দেওয়ান শরিফ মসজিদ
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার নিবিড় পল্লি পারুলিয়া গ্রামে শান্ত পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে ৩০০ বছর পুরোনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মোগল আমলের এই নিদর্শনটি মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলি খাঁর কন্যা ও ঈশা খাঁর পঞ্চম অধস্তন বংশধর দেওয়ান শরিফ খাঁর স্ত্রী—জয়নব বিবি। মসজিদটির আওতায় রয়েছে প্রায় ১২ বিঘা জমি। রয়েছে চারটি শানবাঁধানো পুকুরঘাট। প্রায় ৫ ফুট প্রস্থ দেয়ালে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে রয়েছে মজবুত পাথরের খিলান এবং শিল্পসুষমামণ্ডিত কারুকাজ। মসজিদে রয়েছে একটি প্রধান গেট, পূর্বদিকে তিনটি দরজা এবং উত্তর ও দক্ষিণ পাশে একটি করে দরজা। প্রাঙ্গণের উত্তর-পূর্ব কোণে দাঁড়িয়ে আছে দুটি সুউচ্চ মিনার। প্রাচীরবেষ্টিত প্রশস্ত প্রাঙ্গণজুড়ে মসজিদটির পরিবেশ এক অনন্য পবিত্রতা সৃষ্টি করে।
মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্মাণকালে ইরান, বাগদাদ ও ইয়েমেন থেকে আনা হয়েছিল দক্ষ কারিগরদের, যা এর শিল্পনির্মাণে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। মসজিদের পাশেই, পশ্চিম দিকের পুকুরঘাটের পূর্ব তীরে রয়েছে এক গম্বুজবিশিষ্ট সৌধ। এখানে রয়েছে দেওয়ান শরিফ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী জয়নব বিবির যুগল সমাধি।

তাজমহলের আদলে আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদ
রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের আটকান্দি গ্রামে অবস্থিত আটকান্দি নীলকুঠি জামে মসজিদ। এটির নির্মাতা মৌলভি আলিম উদ্দিন, যিনি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মাওলানা পাস করেছিলেন। মেঘনার শাখা নদীর পাড়ে, ছায়ানিবিড় পরিবেশে স্থাপিত এ মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী মোগল আমলের নিদর্শন বহন করে। সুদূর মহীশূর থেকে আনা কারিগরদের দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। অনেকে এর গম্বুজগুলোর সঙ্গে আগ্রার তাজমহলের গম্বুজের তুলনা করেন। মসজিদটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এর আটটি গম্বুজ—মূল মসজিদে তিনটি। এর মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়; এবং বারান্দায় রয়েছে আরও পাঁচটি গম্বুজ। এই আটটি গম্বুজ থেকে গ্রামেরও নামকরণ হয় ‘আটকান্দি।’
মসজিদটির প্রবেশপথ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। বারান্দায় প্রবেশের জন্য সাতটি এবং ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে দুটি দরজা। বারান্দা ও দেয়ালের গায়ে রয়েছে ৩৪টি খিলান, প্রতিটির দেয়ালের ওপর রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ। দেয়ালগুলো দুই ফুট পুরু। মসজিদের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়েছে বাহারি রঙের মোজাইক, মার্বেল এবং দুর্লভ পুঁথি পাথর। মিহরাবে রয়েছে নানা ফুল ও পাতার চিত্রকর্ম।

আশ্রাবপুর গায়েবি মসজিদ
আশরাফপুর গ্রামটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জনপদেই বিস্ময় জাগানো গায়েবি মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি ১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের স্বাধীন নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন আবুল মুজাফফর নসর শাহর শাসনামলে দিলওয়ার খান নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল সুলতানি স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এক গম্বুজবিশিষ্ট ছোট মসজিদ।
তবে ১৮৯৭ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মসজিদটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে। ঘন জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় এটি একরকম হারিয়েই গিয়েছিল ইতিহাসের পাতায়! পরে ১৯৪০ সালে মাওলানা সৈয়দ আলীর নেতৃত্বে জঙ্গল পরিষ্কার করে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হয়। অনেকেই তখন একে ‘গায়েবি মসজিদ’ নামে অভিহিত করতেন। সে সময়ও মিহরাব এবং পশ্চিম দেয়ালের কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। বর্তমানে ওই স্থানেই একটি আধুনিক তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ নির্মিত হয়েছে।
মসজিদটির উত্তরে একসময় ছিল বৃহৎ দিঘি, যার অস্তিত্ব আজ আর দৃশ্যমান নয়। কিন্তু তার নিঃশব্দ চিহ্ন আজও মাটি ও স্মৃতিতে বিদ্যমান। দিঘির পাশেই রয়েছে পাথর দিয়ে বাঁধানো চারটি কবর, যা নির্মাতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমাধি বলে ধারণা করা হয়।
কাউসার লাবীব

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়।
কালের সাক্ষী বেলাব জামে মসজিদ
বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রায় ৩০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদটির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা ছিলেন বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদ ব্যাপারী।
প্রথম নির্মাণের সময় মসজিদটির ছিল সাতটি গম্বুজ, যা একে অত্র এলাকার অন্যান্য মসজিদ থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছিল। লোকমুখে প্রচলিত আছে—প্রতিষ্ঠার শুরুর সময় মসজিদের ভেতর কোরআন তিলাওয়াতের গায়েবি আওয়াজ শোনা যেত। এই কারণেই মসজিদটি ‘ফজিলতের মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জুমার নামাজে এখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির সমাগম হতো, যা ধীরে ধীরে মসজিদের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়। মুসল্লির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মসজিদটি আধুনিক অবকাঠামোতে নির্মাণ করা হয়। তিনতলাবিশিষ্ট এই বিশাল মসজিদটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, বরং দর্শনার্থীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। মসজিদের ভেতরে ঝাড়বাতির দৃষ্টিনন্দন সাজ, সুউচ্চ মিনার ও গম্বুজ এবং পশ্চিম পাশে অবস্থিত পুকুর—সব মিলিয়ে এটি এক অপূর্ব সৌন্দর্য ধারণ করে। রাতে বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত হয়ে পুরো এলাকা এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা যেকোনো দর্শনার্থীর মন কাড়ে।

৩০০ বছরের পুরোনো দেওয়ান শরিফ মসজিদ
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার নিবিড় পল্লি পারুলিয়া গ্রামে শান্ত পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে ৩০০ বছর পুরোনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মোগল আমলের এই নিদর্শনটি মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলি খাঁর কন্যা ও ঈশা খাঁর পঞ্চম অধস্তন বংশধর দেওয়ান শরিফ খাঁর স্ত্রী—জয়নব বিবি। মসজিদটির আওতায় রয়েছে প্রায় ১২ বিঘা জমি। রয়েছে চারটি শানবাঁধানো পুকুরঘাট। প্রায় ৫ ফুট প্রস্থ দেয়ালে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে রয়েছে মজবুত পাথরের খিলান এবং শিল্পসুষমামণ্ডিত কারুকাজ। মসজিদে রয়েছে একটি প্রধান গেট, পূর্বদিকে তিনটি দরজা এবং উত্তর ও দক্ষিণ পাশে একটি করে দরজা। প্রাঙ্গণের উত্তর-পূর্ব কোণে দাঁড়িয়ে আছে দুটি সুউচ্চ মিনার। প্রাচীরবেষ্টিত প্রশস্ত প্রাঙ্গণজুড়ে মসজিদটির পরিবেশ এক অনন্য পবিত্রতা সৃষ্টি করে।
মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্মাণকালে ইরান, বাগদাদ ও ইয়েমেন থেকে আনা হয়েছিল দক্ষ কারিগরদের, যা এর শিল্পনির্মাণে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। মসজিদের পাশেই, পশ্চিম দিকের পুকুরঘাটের পূর্ব তীরে রয়েছে এক গম্বুজবিশিষ্ট সৌধ। এখানে রয়েছে দেওয়ান শরিফ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী জয়নব বিবির যুগল সমাধি।

তাজমহলের আদলে আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদ
রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের আটকান্দি গ্রামে অবস্থিত আটকান্দি নীলকুঠি জামে মসজিদ। এটির নির্মাতা মৌলভি আলিম উদ্দিন, যিনি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মাওলানা পাস করেছিলেন। মেঘনার শাখা নদীর পাড়ে, ছায়ানিবিড় পরিবেশে স্থাপিত এ মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী মোগল আমলের নিদর্শন বহন করে। সুদূর মহীশূর থেকে আনা কারিগরদের দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। অনেকে এর গম্বুজগুলোর সঙ্গে আগ্রার তাজমহলের গম্বুজের তুলনা করেন। মসজিদটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এর আটটি গম্বুজ—মূল মসজিদে তিনটি। এর মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়; এবং বারান্দায় রয়েছে আরও পাঁচটি গম্বুজ। এই আটটি গম্বুজ থেকে গ্রামেরও নামকরণ হয় ‘আটকান্দি।’
মসজিদটির প্রবেশপথ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। বারান্দায় প্রবেশের জন্য সাতটি এবং ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে দুটি দরজা। বারান্দা ও দেয়ালের গায়ে রয়েছে ৩৪টি খিলান, প্রতিটির দেয়ালের ওপর রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ। দেয়ালগুলো দুই ফুট পুরু। মসজিদের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়েছে বাহারি রঙের মোজাইক, মার্বেল এবং দুর্লভ পুঁথি পাথর। মিহরাবে রয়েছে নানা ফুল ও পাতার চিত্রকর্ম।

আশ্রাবপুর গায়েবি মসজিদ
আশরাফপুর গ্রামটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জনপদেই বিস্ময় জাগানো গায়েবি মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি ১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের স্বাধীন নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন আবুল মুজাফফর নসর শাহর শাসনামলে দিলওয়ার খান নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল সুলতানি স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এক গম্বুজবিশিষ্ট ছোট মসজিদ।
তবে ১৮৯৭ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মসজিদটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে। ঘন জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় এটি একরকম হারিয়েই গিয়েছিল ইতিহাসের পাতায়! পরে ১৯৪০ সালে মাওলানা সৈয়দ আলীর নেতৃত্বে জঙ্গল পরিষ্কার করে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হয়। অনেকেই তখন একে ‘গায়েবি মসজিদ’ নামে অভিহিত করতেন। সে সময়ও মিহরাব এবং পশ্চিম দেয়ালের কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। বর্তমানে ওই স্থানেই একটি আধুনিক তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ নির্মিত হয়েছে।
মসজিদটির উত্তরে একসময় ছিল বৃহৎ দিঘি, যার অস্তিত্ব আজ আর দৃশ্যমান নয়। কিন্তু তার নিঃশব্দ চিহ্ন আজও মাটি ও স্মৃতিতে বিদ্যমান। দিঘির পাশেই রয়েছে পাথর দিয়ে বাঁধানো চারটি কবর, যা নির্মাতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমাধি বলে ধারণা করা হয়।

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়।
কালের সাক্ষী বেলাব জামে মসজিদ
বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রায় ৩০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদটির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা ছিলেন বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদ ব্যাপারী।
প্রথম নির্মাণের সময় মসজিদটির ছিল সাতটি গম্বুজ, যা একে অত্র এলাকার অন্যান্য মসজিদ থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেছিল। লোকমুখে প্রচলিত আছে—প্রতিষ্ঠার শুরুর সময় মসজিদের ভেতর কোরআন তিলাওয়াতের গায়েবি আওয়াজ শোনা যেত। এই কারণেই মসজিদটি ‘ফজিলতের মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জুমার নামাজে এখানে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির সমাগম হতো, যা ধীরে ধীরে মসজিদের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়। মুসল্লির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মসজিদটি আধুনিক অবকাঠামোতে নির্মাণ করা হয়। তিনতলাবিশিষ্ট এই বিশাল মসজিদটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, বরং দর্শনার্থীদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। মসজিদের ভেতরে ঝাড়বাতির দৃষ্টিনন্দন সাজ, সুউচ্চ মিনার ও গম্বুজ এবং পশ্চিম পাশে অবস্থিত পুকুর—সব মিলিয়ে এটি এক অপূর্ব সৌন্দর্য ধারণ করে। রাতে বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত হয়ে পুরো এলাকা এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা যেকোনো দর্শনার্থীর মন কাড়ে।

৩০০ বছরের পুরোনো দেওয়ান শরিফ মসজিদ
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার নিবিড় পল্লি পারুলিয়া গ্রামে শান্ত পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছে ৩০০ বছর পুরোনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মোগল আমলের এই নিদর্শনটি মুসলিম স্থাপত্য ও ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলি খাঁর কন্যা ও ঈশা খাঁর পঞ্চম অধস্তন বংশধর দেওয়ান শরিফ খাঁর স্ত্রী—জয়নব বিবি। মসজিদটির আওতায় রয়েছে প্রায় ১২ বিঘা জমি। রয়েছে চারটি শানবাঁধানো পুকুরঘাট। প্রায় ৫ ফুট প্রস্থ দেয়ালে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে রয়েছে মজবুত পাথরের খিলান এবং শিল্পসুষমামণ্ডিত কারুকাজ। মসজিদে রয়েছে একটি প্রধান গেট, পূর্বদিকে তিনটি দরজা এবং উত্তর ও দক্ষিণ পাশে একটি করে দরজা। প্রাঙ্গণের উত্তর-পূর্ব কোণে দাঁড়িয়ে আছে দুটি সুউচ্চ মিনার। প্রাচীরবেষ্টিত প্রশস্ত প্রাঙ্গণজুড়ে মসজিদটির পরিবেশ এক অনন্য পবিত্রতা সৃষ্টি করে।
মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্মাণকালে ইরান, বাগদাদ ও ইয়েমেন থেকে আনা হয়েছিল দক্ষ কারিগরদের, যা এর শিল্পনির্মাণে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত। মসজিদের পাশেই, পশ্চিম দিকের পুকুরঘাটের পূর্ব তীরে রয়েছে এক গম্বুজবিশিষ্ট সৌধ। এখানে রয়েছে দেওয়ান শরিফ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী জয়নব বিবির যুগল সমাধি।

তাজমহলের আদলে আটকান্দি নীলকুঠি মসজিদ
রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের আটকান্দি গ্রামে অবস্থিত আটকান্দি নীলকুঠি জামে মসজিদ। এটির নির্মাতা মৌলভি আলিম উদ্দিন, যিনি দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে মাওলানা পাস করেছিলেন। মেঘনার শাখা নদীর পাড়ে, ছায়ানিবিড় পরিবেশে স্থাপিত এ মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে।
মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী মোগল আমলের নিদর্শন বহন করে। সুদূর মহীশূর থেকে আনা কারিগরদের দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। অনেকে এর গম্বুজগুলোর সঙ্গে আগ্রার তাজমহলের গম্বুজের তুলনা করেন। মসজিদটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এর আটটি গম্বুজ—মূল মসজিদে তিনটি। এর মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়; এবং বারান্দায় রয়েছে আরও পাঁচটি গম্বুজ। এই আটটি গম্বুজ থেকে গ্রামেরও নামকরণ হয় ‘আটকান্দি।’
মসজিদটির প্রবেশপথ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। বারান্দায় প্রবেশের জন্য সাতটি এবং ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে দুটি দরজা। বারান্দা ও দেয়ালের গায়ে রয়েছে ৩৪টি খিলান, প্রতিটির দেয়ালের ওপর রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ। দেয়ালগুলো দুই ফুট পুরু। মসজিদের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়েছে বাহারি রঙের মোজাইক, মার্বেল এবং দুর্লভ পুঁথি পাথর। মিহরাবে রয়েছে নানা ফুল ও পাতার চিত্রকর্ম।

আশ্রাবপুর গায়েবি মসজিদ
আশরাফপুর গ্রামটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জনপদেই বিস্ময় জাগানো গায়েবি মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি ১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের স্বাধীন নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন আবুল মুজাফফর নসর শাহর শাসনামলে দিলওয়ার খান নির্মাণ করেছিলেন। এটি ছিল সুলতানি স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এক গম্বুজবিশিষ্ট ছোট মসজিদ।
তবে ১৮৯৭ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মসজিদটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী সময়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে। ঘন জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় এটি একরকম হারিয়েই গিয়েছিল ইতিহাসের পাতায়! পরে ১৯৪০ সালে মাওলানা সৈয়দ আলীর নেতৃত্বে জঙ্গল পরিষ্কার করে মসজিদটি পুনরুদ্ধার করা হয়। অনেকেই তখন একে ‘গায়েবি মসজিদ’ নামে অভিহিত করতেন। সে সময়ও মিহরাব এবং পশ্চিম দেয়ালের কিছু অংশ অবশিষ্ট ছিল। বর্তমানে ওই স্থানেই একটি আধুনিক তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ নির্মিত হয়েছে।
মসজিদটির উত্তরে একসময় ছিল বৃহৎ দিঘি, যার অস্তিত্ব আজ আর দৃশ্যমান নয়। কিন্তু তার নিঃশব্দ চিহ্ন আজও মাটি ও স্মৃতিতে বিদ্যমান। দিঘির পাশেই রয়েছে পাথর দিয়ে বাঁধানো চারটি কবর, যা নির্মাতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমাধি বলে ধারণা করা হয়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১২ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১২ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১২ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের তীরবিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলার নাম নরসিংদী। এ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্য। আছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ। এই স্থাপনাগুলো যেমনি প্রাচীন স্থাপত্যরীতির সাক্ষ্য দেয়, তেমনি তুলে ধরে মুসলিম ইতিহাসের
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১২ ঘণ্টা আগে