
পরিচিতি
কিতাবটির পূর্ণ নাম আল-জামি আল-মুসনাদ আস-সহিহ আল-মুখতাসার মিন উমুরি রাসুলিল্লাহি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম) ওয়া সুনানিনিহি ওয়া আইয়ামিহি। এর অর্থ হলো, রাসুল (সা.)-এর আদর্শ ও জীবনের সব দিক সম্পর্কে বর্ণিত বিশুদ্ধ সনদযুক্ত হাদিসসমূহের সংক্ষিপ্ত সংকলন। অধিকাংশ হাদিস গবেষকের মতে, এটিই প্রথম শতভাগ বিশুদ্ধ হাদিসের সংকলন। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের কাছে পবিত্র কোরআনের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য কিতাব এটিই।
বৈশিষ্ট্য
হাদিস গবেষকগণ এই কিতাবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ শিরোনাম: ইমাম বুখারি (রহ.) বিষয়ভিত্তিক সূচিতে হাদিসগুলো সংকলন করেছেন এবং প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি গভীর অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ শিরোনাম লিখেছেন।
সনদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা: আবুল ফজল আল-মাকদিসি বলেন, ‘সহিহুল বুখারিতে শুধু সেই সব হাদিস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যেগুলো প্রসিদ্ধ সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং সব স্তরের বর্ণনাকারীগণ রিজাল গবেষকদের সর্বসম্মতিক্রমে নির্ভরযোগ্য।’ ইবনে হাজার আসকালানি বলেন, ‘যে হাদিসের বর্ণনাকারীদের পারস্পরিক সাক্ষাৎ প্রমাণিত নয়, সমসাময়িক হওয়ার দরুন তাদের মধ্যে সাক্ষাতের সম্ভাবনা থাকলেও সহিহ আল-বুখারিতে সেই হাদিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
রচনার পটভূমি
ইতিপূর্বে যত হাদিসের কিতাব রচিত হয়েছিল, তাতে বিশুদ্ধ হাদিসের পাশাপাশি কিছু দুর্বল ও বানোয়াট হাদিসও ছিল। তাই নিরেট বিশুদ্ধ হাদিসের একটা কিতাব রচনা করা সময়ের দাবি ছিল। ইমাম বুখারির শিক্ষক ইমাম ইসহাক বিন রাহওয়াইহ একদিন তাঁকে কাজটি করার পরামর্শ দিলেন। শিক্ষকের পরামর্শ ইমাম বুখারি গুরুত্বসহকারে নিয়ে সহিহ আল-বুখারি রচনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তিনি স্বপ্নে দেখলেন, তিনি রাসুল (সা.)-এর পাশে দাঁড়িয়ে একটি পাখা দিয়ে তাঁর আশপাশ থেকে পোকামাকড় তাড়িয়ে দিচ্ছেন। স্বপ্ন ব্যাখ্যাকারেরা এর ব্যাখ্যায় বললেন, ‘আপনি রাসুলের নামে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যাসমূহ বিতাড়িত করবেন। এতে তিনি সহিহ আল-বুখারি রচনা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাঁর কাছে থাকা প্রায় ৬ লাখ হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে কালজয়ী এই গ্রন্থ রচনা করেন।
এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর তা সম্পন্ন হয়। প্রতিটি হাদিস লেখার আগে ইস্তেখারা করতেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। রচনা সম্পন্ন হওয়ার পর একাধিকবার সম্পাদনা করেছেন। এরপর তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাদিসবিশারদ ইমাম আলী ইবনুল মাদিনি, ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাইন ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর কাছে তা উপস্থাপন করেন। তাঁরা গভীরভাবে অধ্যয়নের পর এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বিশুদ্ধতার সাক্ষ্য দেন।
হাদিসের সংখ্যা
ইমাম ইবনে সালাহ ও ইমাম নববি বলেন, সহিহুল বুখারিতে মোট হাদিস আছে ৭ হাজার ২৭৫টি। পুনরুক্তিকৃত হাদিস বাদ দিয়ে ধরলে ৪ হাজার। ইবনে হাজার আসকালানি বলেন, তালিকাত, মুতাবিআত, পুনরুক্তি—সব মিলিয়ে হাদিস আছে ৯ হাজার ৮২টি। পুনরুক্তি ও অন্যান্য অমৌলিক হাদিস না ধরলে এর সংখ্যা ২ হাজার ৬০২।
মুদ্রণ
লেখকের জীবদ্দশায়ই কিতাবটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। বর্ণিত আছে, ৭০ হাজারের বেশি মানুষ সরাসরি তাঁর থেকে কিতাবটি শুনেছেন এবং অসংখ্য মানুষ তা লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করেছেন। তন্মধ্যে মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ আল ফেরেব্রির সূত্রে মারুজির বর্ণনায় লিখিত কপিটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্যতা পায়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আধুনিক ছাপাখানা থেকে তা মুদ্রিত হয়।
সূত্র: ফাতহুল বারি, আল হাদিসু ওয়াল মুহাদ্দিসুন, তাদরিবুর রাবি, তাহজিবুত তাহজিব।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

পরিচিতি
কিতাবটির পূর্ণ নাম আল-জামি আল-মুসনাদ আস-সহিহ আল-মুখতাসার মিন উমুরি রাসুলিল্লাহি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম) ওয়া সুনানিনিহি ওয়া আইয়ামিহি। এর অর্থ হলো, রাসুল (সা.)-এর আদর্শ ও জীবনের সব দিক সম্পর্কে বর্ণিত বিশুদ্ধ সনদযুক্ত হাদিসসমূহের সংক্ষিপ্ত সংকলন। অধিকাংশ হাদিস গবেষকের মতে, এটিই প্রথম শতভাগ বিশুদ্ধ হাদিসের সংকলন। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের কাছে পবিত্র কোরআনের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য কিতাব এটিই।
বৈশিষ্ট্য
হাদিস গবেষকগণ এই কিতাবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ শিরোনাম: ইমাম বুখারি (রহ.) বিষয়ভিত্তিক সূচিতে হাদিসগুলো সংকলন করেছেন এবং প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি গভীর অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ শিরোনাম লিখেছেন।
সনদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা: আবুল ফজল আল-মাকদিসি বলেন, ‘সহিহুল বুখারিতে শুধু সেই সব হাদিস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যেগুলো প্রসিদ্ধ সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং সব স্তরের বর্ণনাকারীগণ রিজাল গবেষকদের সর্বসম্মতিক্রমে নির্ভরযোগ্য।’ ইবনে হাজার আসকালানি বলেন, ‘যে হাদিসের বর্ণনাকারীদের পারস্পরিক সাক্ষাৎ প্রমাণিত নয়, সমসাময়িক হওয়ার দরুন তাদের মধ্যে সাক্ষাতের সম্ভাবনা থাকলেও সহিহ আল-বুখারিতে সেই হাদিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
রচনার পটভূমি
ইতিপূর্বে যত হাদিসের কিতাব রচিত হয়েছিল, তাতে বিশুদ্ধ হাদিসের পাশাপাশি কিছু দুর্বল ও বানোয়াট হাদিসও ছিল। তাই নিরেট বিশুদ্ধ হাদিসের একটা কিতাব রচনা করা সময়ের দাবি ছিল। ইমাম বুখারির শিক্ষক ইমাম ইসহাক বিন রাহওয়াইহ একদিন তাঁকে কাজটি করার পরামর্শ দিলেন। শিক্ষকের পরামর্শ ইমাম বুখারি গুরুত্বসহকারে নিয়ে সহিহ আল-বুখারি রচনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তিনি স্বপ্নে দেখলেন, তিনি রাসুল (সা.)-এর পাশে দাঁড়িয়ে একটি পাখা দিয়ে তাঁর আশপাশ থেকে পোকামাকড় তাড়িয়ে দিচ্ছেন। স্বপ্ন ব্যাখ্যাকারেরা এর ব্যাখ্যায় বললেন, ‘আপনি রাসুলের নামে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যাসমূহ বিতাড়িত করবেন। এতে তিনি সহিহ আল-বুখারি রচনা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাঁর কাছে থাকা প্রায় ৬ লাখ হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে কালজয়ী এই গ্রন্থ রচনা করেন।
এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর তা সম্পন্ন হয়। প্রতিটি হাদিস লেখার আগে ইস্তেখারা করতেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। রচনা সম্পন্ন হওয়ার পর একাধিকবার সম্পাদনা করেছেন। এরপর তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাদিসবিশারদ ইমাম আলী ইবনুল মাদিনি, ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাইন ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর কাছে তা উপস্থাপন করেন। তাঁরা গভীরভাবে অধ্যয়নের পর এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বিশুদ্ধতার সাক্ষ্য দেন।
হাদিসের সংখ্যা
ইমাম ইবনে সালাহ ও ইমাম নববি বলেন, সহিহুল বুখারিতে মোট হাদিস আছে ৭ হাজার ২৭৫টি। পুনরুক্তিকৃত হাদিস বাদ দিয়ে ধরলে ৪ হাজার। ইবনে হাজার আসকালানি বলেন, তালিকাত, মুতাবিআত, পুনরুক্তি—সব মিলিয়ে হাদিস আছে ৯ হাজার ৮২টি। পুনরুক্তি ও অন্যান্য অমৌলিক হাদিস না ধরলে এর সংখ্যা ২ হাজার ৬০২।
মুদ্রণ
লেখকের জীবদ্দশায়ই কিতাবটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। বর্ণিত আছে, ৭০ হাজারের বেশি মানুষ সরাসরি তাঁর থেকে কিতাবটি শুনেছেন এবং অসংখ্য মানুষ তা লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করেছেন। তন্মধ্যে মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ আল ফেরেব্রির সূত্রে মারুজির বর্ণনায় লিখিত কপিটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্যতা পায়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আধুনিক ছাপাখানা থেকে তা মুদ্রিত হয়।
সূত্র: ফাতহুল বারি, আল হাদিসু ওয়াল মুহাদ্দিসুন, তাদরিবুর রাবি, তাহজিবুত তাহজিব।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

পবিত্র কোরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর হাদিস। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মহানবীর শাশ্বত বাণীসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুসলিম মনীষীরা অসংখ্য হাদিস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে হিজরি তৃতীয় শতকের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বুখারি (রহ.) রচিত
১৮ অক্টোবর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর হাদিস। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মহানবীর শাশ্বত বাণীসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুসলিম মনীষীরা অসংখ্য হাদিস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে হিজরি তৃতীয় শতকের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বুখারি (রহ.) রচিত
১৮ অক্টোবর ২০২৪
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১৬ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

পবিত্র কোরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর হাদিস। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মহানবীর শাশ্বত বাণীসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুসলিম মনীষীরা অসংখ্য হাদিস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে হিজরি তৃতীয় শতকের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বুখারি (রহ.) রচিত
১৮ অক্টোবর ২০২৪
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর হাদিস। তাই প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মহানবীর শাশ্বত বাণীসমূহ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুসলিম মনীষীরা অসংখ্য হাদিস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে হিজরি তৃতীয় শতকের প্রথিতযশা হাদিসবিশারদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বুখারি (রহ.) রচিত
১৮ অক্টোবর ২০২৪
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগে