কাউসার লাবীব

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু
কাউসার লাবীব

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে