মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জুয়ার পরিচয়
জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে। যে পক্ষ হেরে যায়, সে পক্ষ অপর পক্ষকে পূর্বনির্ধারিত অর্থ বা বস্তু প্রদান করে। জুয়া খেলায় তিনটি উপাদান থাকা প্রয়োজন—বিবেচনা (বাজির পরিমাণ), ঝুঁকি (সুযোগ) ও পুরস্কার।
জুয়ার আরবি প্রতিশব্দ মাইসির ও কিমার। মাইসির মানে সহজলভ্যতা। জুয়ার মাধ্যমে খুব সহজে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা যায় বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। কিমার মানে হার-জিতের খেলা, বাজি ধরা, ঝুঁকি নেওয়া। কিমার মূলত কমর ধাতু থেকে উদগত, যার অর্থ চাঁদ। জুয়া খেলায় সম্পদ চাঁদের মতো বাড়ে-কমে বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। (আল বাহরুর রায়েক)
ইসলামে এমন প্রতিটি বিষয়কে জুয়া বলা হয়, যার ফলাফল হয়তো লাভ নয়তো ক্ষতি। (জাওয়াহিরুল ফিকহ) অর্থাৎ প্রতিটি এমন প্রতিযোগিতা বা খেলা, যেখানে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে অংশগ্রহণকারী লাভবান হবে, আর বিপক্ষে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা জুয়া হবে। যদি এমন হয় যে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে লাভবান হবে, কিন্তু বিপক্ষে গেলে কোনো ক্ষতি হবে না, সেটা জুয়া নয়। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)
জুয়ার শরিয়া বিধান
ইসলামে জুয়া এবং তা থেকে অর্জিত টাকাপয়সা সম্পূর্ণরূপে হারাম। পবিত্র কোরআনে একে শয়তানি কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমার বেদি ও জুয়ার তিরসমূহ অপবিত্র, শয়তানি কাজ। সুতরাং এসব পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা মায়িদা: ৯০)
জুয়ায় অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা নিসা: ২৯)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে বলে, এসো জুয়া খেলি, তখন তার ওপর সদকা করা আবশ্যক।’ (বুখারি) শুধু খেলার আমন্ত্রণ জানালেই যেখানে কাফফারা দিতে হচ্ছে, সেখানে খেললে কী পরিমাণ গুনাহ হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
জুয়া কেন হারাম
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুয়া হারাম হওয়ার দুটি হিকমত উল্লেখ করেছেন। এক. জুয়া মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে। দুই. আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজ বপন করতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে চায়। সুতরাং তোমরা কি এসব থেকে নিবৃত্ত হবে?’ (সুরা মায়িদা: ৯১)
এ ছাড়া আলিমগণ জুয়া হারাম হওয়ার পেছনে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। যেমন—
একালে জুয়ার ধরন
ক্যাসিনো: ক্যাসিনো হলো আধুনিক কালে বিভিন্ন ধরনের জুয়ার একটি নির্দিষ্ট স্থান, যাকে বাংলায় জুয়ার আসর বলা যায়। তবে সেটা হয় বিশাল পরিসরে। সাধারণত ক্যাসিনো এমনভাবে বানানো হয়, যেখানে পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, আনন্দভ্রমণ জাহাজ এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ থাকে। কিছু কিছু ক্যাসিনোয় সরাসরি বিনোদন দেওয়া হয়। যেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডি, কনসার্ট, খেলাধুলা ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকে। খরিদ্দারেরা ক্যাসিনো গেমস দ্বারা জুয়া খেলে থাকে। স্লট মেশিন বা ভিডিও লটারি মেশিন ক্যাসিনোর জনপ্রিয় জুয়া খেলা।
লটারি: কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি মোটা অঙ্কের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ব্যাপক আকারে নির্ধারিত মূল্যে কুপন বিক্রি করে। এরপর কুপন বিক্রির টাকা দিয়ে লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে নগদ টাকা কিংবা মূল্যবান সামগ্রী প্রদান করে। বাকিরা কিছুই পায় না। গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন উৎসবের সময় ছোট পরিসরে এভাবে লটারির নামে জুয়া খেলা চলে।
বাজি ধরা: ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলার ফলাফলের ওপর অনলাইনে-অফলাইনে বাজি ধরা হয়। এমনকি নির্দিষ্ট খেলোয়াড় গোল করবে কি না, কত রান করবে, কত উইকেট পাবে—এসব নিয়েও জুয়াড়িরা বাজি ধরে।
জুয়ার অ্যাপস: আজকাল কিছু অ্যাপস বের হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট টাকা বিনিয়োগ করে জুয়া খেলা যায়।
কিছু অ্যাপে কেবল স্পিন করে খেলা যায়, আর কিছু অ্যাপে লুডু, ঘর মেলানো ইত্যাদি বিভিন্ন গেম খেলে জুয়া খেলা হয়।
ইসলামের মূলনীতি অনুসারে উল্লিখিত প্রতিটি বিষয় স্পষ্ট জুয়া ও হারাম। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)

জুয়ার পরিচয়
জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে। যে পক্ষ হেরে যায়, সে পক্ষ অপর পক্ষকে পূর্বনির্ধারিত অর্থ বা বস্তু প্রদান করে। জুয়া খেলায় তিনটি উপাদান থাকা প্রয়োজন—বিবেচনা (বাজির পরিমাণ), ঝুঁকি (সুযোগ) ও পুরস্কার।
জুয়ার আরবি প্রতিশব্দ মাইসির ও কিমার। মাইসির মানে সহজলভ্যতা। জুয়ার মাধ্যমে খুব সহজে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা যায় বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। কিমার মানে হার-জিতের খেলা, বাজি ধরা, ঝুঁকি নেওয়া। কিমার মূলত কমর ধাতু থেকে উদগত, যার অর্থ চাঁদ। জুয়া খেলায় সম্পদ চাঁদের মতো বাড়ে-কমে বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। (আল বাহরুর রায়েক)
ইসলামে এমন প্রতিটি বিষয়কে জুয়া বলা হয়, যার ফলাফল হয়তো লাভ নয়তো ক্ষতি। (জাওয়াহিরুল ফিকহ) অর্থাৎ প্রতিটি এমন প্রতিযোগিতা বা খেলা, যেখানে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে অংশগ্রহণকারী লাভবান হবে, আর বিপক্ষে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা জুয়া হবে। যদি এমন হয় যে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে লাভবান হবে, কিন্তু বিপক্ষে গেলে কোনো ক্ষতি হবে না, সেটা জুয়া নয়। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)
জুয়ার শরিয়া বিধান
ইসলামে জুয়া এবং তা থেকে অর্জিত টাকাপয়সা সম্পূর্ণরূপে হারাম। পবিত্র কোরআনে একে শয়তানি কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমার বেদি ও জুয়ার তিরসমূহ অপবিত্র, শয়তানি কাজ। সুতরাং এসব পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা মায়িদা: ৯০)
জুয়ায় অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা নিসা: ২৯)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে বলে, এসো জুয়া খেলি, তখন তার ওপর সদকা করা আবশ্যক।’ (বুখারি) শুধু খেলার আমন্ত্রণ জানালেই যেখানে কাফফারা দিতে হচ্ছে, সেখানে খেললে কী পরিমাণ গুনাহ হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
জুয়া কেন হারাম
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুয়া হারাম হওয়ার দুটি হিকমত উল্লেখ করেছেন। এক. জুয়া মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে। দুই. আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজ বপন করতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে চায়। সুতরাং তোমরা কি এসব থেকে নিবৃত্ত হবে?’ (সুরা মায়িদা: ৯১)
এ ছাড়া আলিমগণ জুয়া হারাম হওয়ার পেছনে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। যেমন—
একালে জুয়ার ধরন
ক্যাসিনো: ক্যাসিনো হলো আধুনিক কালে বিভিন্ন ধরনের জুয়ার একটি নির্দিষ্ট স্থান, যাকে বাংলায় জুয়ার আসর বলা যায়। তবে সেটা হয় বিশাল পরিসরে। সাধারণত ক্যাসিনো এমনভাবে বানানো হয়, যেখানে পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, আনন্দভ্রমণ জাহাজ এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ থাকে। কিছু কিছু ক্যাসিনোয় সরাসরি বিনোদন দেওয়া হয়। যেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডি, কনসার্ট, খেলাধুলা ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকে। খরিদ্দারেরা ক্যাসিনো গেমস দ্বারা জুয়া খেলে থাকে। স্লট মেশিন বা ভিডিও লটারি মেশিন ক্যাসিনোর জনপ্রিয় জুয়া খেলা।
লটারি: কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি মোটা অঙ্কের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ব্যাপক আকারে নির্ধারিত মূল্যে কুপন বিক্রি করে। এরপর কুপন বিক্রির টাকা দিয়ে লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে নগদ টাকা কিংবা মূল্যবান সামগ্রী প্রদান করে। বাকিরা কিছুই পায় না। গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন উৎসবের সময় ছোট পরিসরে এভাবে লটারির নামে জুয়া খেলা চলে।
বাজি ধরা: ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলার ফলাফলের ওপর অনলাইনে-অফলাইনে বাজি ধরা হয়। এমনকি নির্দিষ্ট খেলোয়াড় গোল করবে কি না, কত রান করবে, কত উইকেট পাবে—এসব নিয়েও জুয়াড়িরা বাজি ধরে।
জুয়ার অ্যাপস: আজকাল কিছু অ্যাপস বের হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট টাকা বিনিয়োগ করে জুয়া খেলা যায়।
কিছু অ্যাপে কেবল স্পিন করে খেলা যায়, আর কিছু অ্যাপে লুডু, ঘর মেলানো ইত্যাদি বিভিন্ন গেম খেলে জুয়া খেলা হয়।
ইসলামের মূলনীতি অনুসারে উল্লিখিত প্রতিটি বিষয় স্পষ্ট জুয়া ও হারাম। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

জুয়ার পরিচয়
জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে। যে পক্ষ হেরে যায়, সে পক্ষ অপর পক্ষকে পূর্বনির্ধারিত অর্থ বা বস্তু প্রদান করে। জুয়া খেলায় তিনটি উপাদান থাকা প্রয়োজন—বিবেচনা (বাজির পরিমাণ), ঝুঁকি (সুযোগ) ও পুরস্কার।
জুয়ার আরবি প্রতিশব্দ মাইসির ও কিমার। মাইসির মানে সহজলভ্যতা। জুয়ার মাধ্যমে খুব সহজে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা যায় বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। কিমার মানে হার-জিতের খেলা, বাজি ধরা, ঝুঁকি নেওয়া। কিমার মূলত কমর ধাতু থেকে উদগত, যার অর্থ চাঁদ। জুয়া খেলায় সম্পদ চাঁদের মতো বাড়ে-কমে বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। (আল বাহরুর রায়েক)
ইসলামে এমন প্রতিটি বিষয়কে জুয়া বলা হয়, যার ফলাফল হয়তো লাভ নয়তো ক্ষতি। (জাওয়াহিরুল ফিকহ) অর্থাৎ প্রতিটি এমন প্রতিযোগিতা বা খেলা, যেখানে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে অংশগ্রহণকারী লাভবান হবে, আর বিপক্ষে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা জুয়া হবে। যদি এমন হয় যে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে লাভবান হবে, কিন্তু বিপক্ষে গেলে কোনো ক্ষতি হবে না, সেটা জুয়া নয়। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)
জুয়ার শরিয়া বিধান
ইসলামে জুয়া এবং তা থেকে অর্জিত টাকাপয়সা সম্পূর্ণরূপে হারাম। পবিত্র কোরআনে একে শয়তানি কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমার বেদি ও জুয়ার তিরসমূহ অপবিত্র, শয়তানি কাজ। সুতরাং এসব পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা মায়িদা: ৯০)
জুয়ায় অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা নিসা: ২৯)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে বলে, এসো জুয়া খেলি, তখন তার ওপর সদকা করা আবশ্যক।’ (বুখারি) শুধু খেলার আমন্ত্রণ জানালেই যেখানে কাফফারা দিতে হচ্ছে, সেখানে খেললে কী পরিমাণ গুনাহ হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
জুয়া কেন হারাম
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুয়া হারাম হওয়ার দুটি হিকমত উল্লেখ করেছেন। এক. জুয়া মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে। দুই. আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজ বপন করতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে চায়। সুতরাং তোমরা কি এসব থেকে নিবৃত্ত হবে?’ (সুরা মায়িদা: ৯১)
এ ছাড়া আলিমগণ জুয়া হারাম হওয়ার পেছনে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। যেমন—
একালে জুয়ার ধরন
ক্যাসিনো: ক্যাসিনো হলো আধুনিক কালে বিভিন্ন ধরনের জুয়ার একটি নির্দিষ্ট স্থান, যাকে বাংলায় জুয়ার আসর বলা যায়। তবে সেটা হয় বিশাল পরিসরে। সাধারণত ক্যাসিনো এমনভাবে বানানো হয়, যেখানে পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, আনন্দভ্রমণ জাহাজ এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ থাকে। কিছু কিছু ক্যাসিনোয় সরাসরি বিনোদন দেওয়া হয়। যেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডি, কনসার্ট, খেলাধুলা ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকে। খরিদ্দারেরা ক্যাসিনো গেমস দ্বারা জুয়া খেলে থাকে। স্লট মেশিন বা ভিডিও লটারি মেশিন ক্যাসিনোর জনপ্রিয় জুয়া খেলা।
লটারি: কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি মোটা অঙ্কের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ব্যাপক আকারে নির্ধারিত মূল্যে কুপন বিক্রি করে। এরপর কুপন বিক্রির টাকা দিয়ে লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে নগদ টাকা কিংবা মূল্যবান সামগ্রী প্রদান করে। বাকিরা কিছুই পায় না। গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন উৎসবের সময় ছোট পরিসরে এভাবে লটারির নামে জুয়া খেলা চলে।
বাজি ধরা: ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলার ফলাফলের ওপর অনলাইনে-অফলাইনে বাজি ধরা হয়। এমনকি নির্দিষ্ট খেলোয়াড় গোল করবে কি না, কত রান করবে, কত উইকেট পাবে—এসব নিয়েও জুয়াড়িরা বাজি ধরে।
জুয়ার অ্যাপস: আজকাল কিছু অ্যাপস বের হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট টাকা বিনিয়োগ করে জুয়া খেলা যায়।
কিছু অ্যাপে কেবল স্পিন করে খেলা যায়, আর কিছু অ্যাপে লুডু, ঘর মেলানো ইত্যাদি বিভিন্ন গেম খেলে জুয়া খেলা হয়।
ইসলামের মূলনীতি অনুসারে উল্লিখিত প্রতিটি বিষয় স্পষ্ট জুয়া ও হারাম। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)

জুয়ার পরিচয়
জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে। যে পক্ষ হেরে যায়, সে পক্ষ অপর পক্ষকে পূর্বনির্ধারিত অর্থ বা বস্তু প্রদান করে। জুয়া খেলায় তিনটি উপাদান থাকা প্রয়োজন—বিবেচনা (বাজির পরিমাণ), ঝুঁকি (সুযোগ) ও পুরস্কার।
জুয়ার আরবি প্রতিশব্দ মাইসির ও কিমার। মাইসির মানে সহজলভ্যতা। জুয়ার মাধ্যমে খুব সহজে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা যায় বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। কিমার মানে হার-জিতের খেলা, বাজি ধরা, ঝুঁকি নেওয়া। কিমার মূলত কমর ধাতু থেকে উদগত, যার অর্থ চাঁদ। জুয়া খেলায় সম্পদ চাঁদের মতো বাড়ে-কমে বলে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। (আল বাহরুর রায়েক)
ইসলামে এমন প্রতিটি বিষয়কে জুয়া বলা হয়, যার ফলাফল হয়তো লাভ নয়তো ক্ষতি। (জাওয়াহিরুল ফিকহ) অর্থাৎ প্রতিটি এমন প্রতিযোগিতা বা খেলা, যেখানে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে অংশগ্রহণকারী লাভবান হবে, আর বিপক্ষে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা জুয়া হবে। যদি এমন হয় যে ফলাফল নিজের পক্ষে এলে লাভবান হবে, কিন্তু বিপক্ষে গেলে কোনো ক্ষতি হবে না, সেটা জুয়া নয়। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)
জুয়ার শরিয়া বিধান
ইসলামে জুয়া এবং তা থেকে অর্জিত টাকাপয়সা সম্পূর্ণরূপে হারাম। পবিত্র কোরআনে একে শয়তানি কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমার বেদি ও জুয়ার তিরসমূহ অপবিত্র, শয়তানি কাজ। সুতরাং এসব পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা মায়িদা: ৯০)
জুয়ায় অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা নিসা: ২৯)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি কাউকে বলে, এসো জুয়া খেলি, তখন তার ওপর সদকা করা আবশ্যক।’ (বুখারি) শুধু খেলার আমন্ত্রণ জানালেই যেখানে কাফফারা দিতে হচ্ছে, সেখানে খেললে কী পরিমাণ গুনাহ হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
জুয়া কেন হারাম
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জুয়া হারাম হওয়ার দুটি হিকমত উল্লেখ করেছেন। এক. জুয়া মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা সৃষ্টি করে। দুই. আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শয়তান তো মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজ বপন করতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে চায়। সুতরাং তোমরা কি এসব থেকে নিবৃত্ত হবে?’ (সুরা মায়িদা: ৯১)
এ ছাড়া আলিমগণ জুয়া হারাম হওয়ার পেছনে আরও কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। যেমন—
একালে জুয়ার ধরন
ক্যাসিনো: ক্যাসিনো হলো আধুনিক কালে বিভিন্ন ধরনের জুয়ার একটি নির্দিষ্ট স্থান, যাকে বাংলায় জুয়ার আসর বলা যায়। তবে সেটা হয় বিশাল পরিসরে। সাধারণত ক্যাসিনো এমনভাবে বানানো হয়, যেখানে পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, আনন্দভ্রমণ জাহাজ এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ থাকে। কিছু কিছু ক্যাসিনোয় সরাসরি বিনোদন দেওয়া হয়। যেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডি, কনসার্ট, খেলাধুলা ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকে। খরিদ্দারেরা ক্যাসিনো গেমস দ্বারা জুয়া খেলে থাকে। স্লট মেশিন বা ভিডিও লটারি মেশিন ক্যাসিনোর জনপ্রিয় জুয়া খেলা।
লটারি: কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি মোটা অঙ্কের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ব্যাপক আকারে নির্ধারিত মূল্যে কুপন বিক্রি করে। এরপর কুপন বিক্রির টাকা দিয়ে লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে নগদ টাকা কিংবা মূল্যবান সামগ্রী প্রদান করে। বাকিরা কিছুই পায় না। গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন উৎসবের সময় ছোট পরিসরে এভাবে লটারির নামে জুয়া খেলা চলে।
বাজি ধরা: ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলার ফলাফলের ওপর অনলাইনে-অফলাইনে বাজি ধরা হয়। এমনকি নির্দিষ্ট খেলোয়াড় গোল করবে কি না, কত রান করবে, কত উইকেট পাবে—এসব নিয়েও জুয়াড়িরা বাজি ধরে।
জুয়ার অ্যাপস: আজকাল কিছু অ্যাপস বের হয়েছে, যেখানে নির্দিষ্ট টাকা বিনিয়োগ করে জুয়া খেলা যায়।
কিছু অ্যাপে কেবল স্পিন করে খেলা যায়, আর কিছু অ্যাপে লুডু, ঘর মেলানো ইত্যাদি বিভিন্ন গেম খেলে জুয়া খেলা হয়।
ইসলামের মূলনীতি অনুসারে উল্লিখিত প্রতিটি বিষয় স্পষ্ট জুয়া ও হারাম। (আল কিমার ওয়া সোয়ারুহুল মুহাররামাহ)

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৯ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১১ ঘণ্টা আগেশায়খ আহমাদুল্লাহ

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা হলো, মানুষের জীবন ও সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই ব্যয় হওয়া উচিত। পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের সময়গুলোকে এমন সব আচার-অনুষ্ঠান ও বিজাতীয় উৎসবে খরচ করছি, যার ভেতর না আছে দুনিয়ার কল্যাণ, না আছে পরকালের মুক্তি। তেমনই একটি অনর্থক ও শরিয়ত বিবর্জিত উৎসবের নাম ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের গোড়ার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এর সঙ্গে পৌত্তলিকতা ও কুসংস্কারের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। প্রাচীন পারস্যের সম্রাট জামশিদ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে এবং পরবর্তী সময়ে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে নববর্ষের প্রচলন করেন। মূলত এটি ইংরেজি নববর্ষ নয়, খ্রিষ্টীয় বা গ্রেগরিয়ান নববর্ষ, যা পোপ গ্রেগরির নামানুসারে প্রবর্তিত। প্রাচীনকালে পারস্যের প্রকৃতি পূজারিরা বিশ্বাস করত, বছরের প্রথম দিন আনন্দ-ফুর্তিতে কাটালে সারা বছর ভালো থাকা যাবে। সেই কুসংস্কার আজও আধুনিক সমাজের তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মধ্যে গেঁথে আছে। অথচ বছরের প্রথম দিন উল্লাস করলে সারা বছর ভালো যাবে—এর চেয়ে অযৌক্তিক ও হাস্যকর বিশ্বাস আর কী হতে পারে!
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো উৎসব পালন করতে হলে কোরআন-সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের আমলের প্রামাণ্যতা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সপক্ষে ইসলামে কোনো দলিল নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। কোনো জাগতিক কাজ তখনই বৈধ হয়, যখন তা শরিয়তের বিধান লঙ্ঘন করে না এবং সৃষ্টির হক নষ্ট করে না। কিন্তু থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনে এই দুটি শর্তই চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। এটি একদিকে যেমন বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ, অন্যদিকে এর মাধ্যমে নাগরিক শান্তি ও মানুষের অধিকার ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়।
এই উৎসবের সামাজিক ও নৈতিক ক্ষতির দিকগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রথমত, এতে বিপুল অর্থের অপচয় হয়। যে রাতে আতশবাজি, ফানুস ও ডিজে পার্টির নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, সেই হাড়কাঁপানো শীতের রাতেই দেশের লাখো গরিব মানুষ এক টুকরো গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পায়। অপচয়কারীকে পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত বিকট শব্দে আতশবাজি ও সাউন্ডবক্স ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটে। শহরের ফ্ল্যাটে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ রোগীরা এই শব্দদূষণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ে। এমনকি পটকার শব্দে শিশুর মৃত্যু কিংবা ফানুসের আগুনে দগ্ধ হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও প্রতিবছর আমাদের দেখতে হয়।
তদুপরি এই বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এক ভোগবাদী ও নৈতিকতাহীন পথে ঠেলে দিচ্ছে। মাদক, গান-বাজনা এবং নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটছে, যা ইসলামের সুমহান দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসলাম আমাদের ত্যাগের উৎসব শিখিয়েছে, যেখানে ভোগের চেয়ে অপরের কল্যাণ ও গরিবের হক বেশি গুরুত্ব পায়। অথচ থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো উৎসবে আত্মকেন্দ্রিক ভোগবাদ ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থাকতে কেন আমরা অন্যের দেউলিয়া সংস্কৃতির দ্বারস্থ হচ্ছি, সেটি আজ এক বড় প্রশ্ন।
প্রকৃতপক্ষে নতুন বছর আসা মানেই নতুনের আগমন নয়, বরং জীবন থেকে একটি বছরের পাতা ঝরে যাওয়া। জীবনের বরফ প্রতিনিয়ত গলে যাচ্ছে। আমরা কি একবারও ভাবি, কবরের দিকে আমাদের পা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল! একজন ফাঁসির আসামির কাছে যেমন প্রতিটি সূর্যোদয় মৃত্যুর নিকটবর্তী হওয়ার সংকেত, আমাদের জীবনও ঠিক তেমনি ফুরিয়ে আসছে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে নেশা ও উন্মাদনায় মত্ত না হয়ে বিগত জীবনের গুনাহের জন্য তওবা করা এবং আগামীর জন্য নেক পরিকল্পনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সন্তান, পরিবার ও সমাজকে এই ভ্রান্ত সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করা আমাদের ইমানি ও নাগরিক দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করে ইসলামি জীবনাদর্শ গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন।
জুমার মিম্বর থেকে গ্রন্থনা: সাব্বির জাদিদ

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা হলো, মানুষের জীবন ও সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথেই ব্যয় হওয়া উচিত। পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের সময়গুলোকে এমন সব আচার-অনুষ্ঠান ও বিজাতীয় উৎসবে খরচ করছি, যার ভেতর না আছে দুনিয়ার কল্যাণ, না আছে পরকালের মুক্তি। তেমনই একটি অনর্থক ও শরিয়ত বিবর্জিত উৎসবের নাম ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের গোড়ার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এর সঙ্গে পৌত্তলিকতা ও কুসংস্কারের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। প্রাচীন পারস্যের সম্রাট জামশিদ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে এবং পরবর্তী সময়ে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে নববর্ষের প্রচলন করেন। মূলত এটি ইংরেজি নববর্ষ নয়, খ্রিষ্টীয় বা গ্রেগরিয়ান নববর্ষ, যা পোপ গ্রেগরির নামানুসারে প্রবর্তিত। প্রাচীনকালে পারস্যের প্রকৃতি পূজারিরা বিশ্বাস করত, বছরের প্রথম দিন আনন্দ-ফুর্তিতে কাটালে সারা বছর ভালো থাকা যাবে। সেই কুসংস্কার আজও আধুনিক সমাজের তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মধ্যে গেঁথে আছে। অথচ বছরের প্রথম দিন উল্লাস করলে সারা বছর ভালো যাবে—এর চেয়ে অযৌক্তিক ও হাস্যকর বিশ্বাস আর কী হতে পারে!
ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো উৎসব পালন করতে হলে কোরআন-সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের আমলের প্রামাণ্যতা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সপক্ষে ইসলামে কোনো দলিল নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)। কোনো জাগতিক কাজ তখনই বৈধ হয়, যখন তা শরিয়তের বিধান লঙ্ঘন করে না এবং সৃষ্টির হক নষ্ট করে না। কিন্তু থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনে এই দুটি শর্তই চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। এটি একদিকে যেমন বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ, অন্যদিকে এর মাধ্যমে নাগরিক শান্তি ও মানুষের অধিকার ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়।
এই উৎসবের সামাজিক ও নৈতিক ক্ষতির দিকগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রথমত, এতে বিপুল অর্থের অপচয় হয়। যে রাতে আতশবাজি, ফানুস ও ডিজে পার্টির নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, সেই হাড়কাঁপানো শীতের রাতেই দেশের লাখো গরিব মানুষ এক টুকরো গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পায়। অপচয়কারীকে পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত বিকট শব্দে আতশবাজি ও সাউন্ডবক্স ব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটে। শহরের ফ্ল্যাটে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ রোগীরা এই শব্দদূষণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ে। এমনকি পটকার শব্দে শিশুর মৃত্যু কিংবা ফানুসের আগুনে দগ্ধ হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও প্রতিবছর আমাদের দেখতে হয়।
তদুপরি এই বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এক ভোগবাদী ও নৈতিকতাহীন পথে ঠেলে দিচ্ছে। মাদক, গান-বাজনা এবং নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে অশ্লীলতার বিস্তার ঘটছে, যা ইসলামের সুমহান দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসলাম আমাদের ত্যাগের উৎসব শিখিয়েছে, যেখানে ভোগের চেয়ে অপরের কল্যাণ ও গরিবের হক বেশি গুরুত্ব পায়। অথচ থার্টি ফার্স্ট নাইটের মতো উৎসবে আত্মকেন্দ্রিক ভোগবাদ ছাড়া আর কিছুই নেই। আমাদের নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থাকতে কেন আমরা অন্যের দেউলিয়া সংস্কৃতির দ্বারস্থ হচ্ছি, সেটি আজ এক বড় প্রশ্ন।
প্রকৃতপক্ষে নতুন বছর আসা মানেই নতুনের আগমন নয়, বরং জীবন থেকে একটি বছরের পাতা ঝরে যাওয়া। জীবনের বরফ প্রতিনিয়ত গলে যাচ্ছে। আমরা কি একবারও ভাবি, কবরের দিকে আমাদের পা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল! একজন ফাঁসির আসামির কাছে যেমন প্রতিটি সূর্যোদয় মৃত্যুর নিকটবর্তী হওয়ার সংকেত, আমাদের জীবনও ঠিক তেমনি ফুরিয়ে আসছে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে নেশা ও উন্মাদনায় মত্ত না হয়ে বিগত জীবনের গুনাহের জন্য তওবা করা এবং আগামীর জন্য নেক পরিকল্পনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সন্তান, পরিবার ও সমাজকে এই ভ্রান্ত সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করা আমাদের ইমানি ও নাগরিক দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করে ইসলামি জীবনাদর্শ গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন।
জুমার মিম্বর থেকে গ্রন্থনা: সাব্বির জাদিদ

জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৯ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৯ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১১ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৭ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

জুয়া এমন এক খেলা, যা লাভ-লোকসানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। জুয়া খেলায় মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা বস্তু (যা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয়) নির্ধারণ করা হয়। এরপর কোনো একটি বিষয়ে দুই পক্ষ চুক্তি করে হার-জিত নির্ধারণ করে।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৯ ঘণ্টা আগে