মুনীরুল ইসলাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম
মুনীরুল ইসলাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে