মুনীরুল ইসলাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম
মুনীরুল ইসলাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদিনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ইমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে। আর মুহাজিরদের যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৮-৯)
তাঁদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ: ৮)
সাহাবিদের প্রশংসায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সবচেয়ে নেক লোক, যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে সেরা মানুষ আমার সাহাবিরা।’ আরেক বর্ণনায় সাহাবিদের প্রতি ভালোবাসাকে ইমানের আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবিদের গালাগাল করো না। কেননা, তাঁদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬২)
সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই জীবিতাবস্থায় মহানবী (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছিলেন। আশারায়ে মুবাশশারা খ্যাত জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত প্রসিদ্ধ দশজন সাহাবি হলেন—
হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.), হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.), হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা.), হজরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা.), হজরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.), হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.), হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.), হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.), হজরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) ও হজরত সাঈদ বিন যাইদ (রা.)।
এই মহান দশ সাহাবি ছাড়া আরও বহু সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার বললেন, ‘আজ রাতে একজন ফেরেশতা অবতরণ করেছে, যে আর কখনো আসেনি। সে আমাকে সুসংবাদ শুনিয়েছে, ফাতেমা হবে জান্নাতি নারীদের সর্দার আর হাসান-হুসাইন হবে জান্নাতের যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাহাবিদের সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘বদরি সাহাবিদের জন্য জাহান্নাম হারাম।’ (মুসলিম: ২৪৯৫) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তাআলা তাঁদের আগে-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (মুস্তাদরাক: ৪ / ৮৭)
বদর যুদ্ধের শহীদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একদিন জিবরাইল (আ.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ওই যে খাদিজা (রা.) একটি পাত্রে তরকারি অথবা খাবার বা পানি নিয়ে আপনার কাছে আসছেন। যখন তিনি আপনার কাছে আসবেন, আপনি তাঁকে তাঁর রবের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতে একটি মুক্তার তৈরি প্রাসাদের সুখবর দেবেন; যেখানে না আছে কোনো শোরগোল, না আছে কষ্ট-ক্লান্তি।’ (বুখারি: ৩৮২০)
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) ইহুদি পণ্ডিত ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতি।’ (মুসলিম: ২৪৮৩)
আরও যেসব সাহাবি বিভিন্নভাবে জান্নাতের সুখবর পেয়েছেন তাঁরা হলেন—শহীদদের সর্দার হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.), জাফর ইবনে আবি তালেব (রা.), যাইদ ইবনে হারেসা (রা.), যাইদ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রা.) এবং আবুদ-দাহদাহ (রা.)। (মুসতাদরাকে হাকেম ও তিরমিজি)
সাহাবায়ে কেরামের সবাই এক স্তরের নন। কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাঁদের নিজেদের মধ্যে মর্যাদার দিক থেকে শ্রেণি ও স্তর রয়েছে। আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের এক মজলিসে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাঁরা প্রথম সারির সাহাবি। তাই তাঁদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে।
দুনিয়ায় থাকতেই সাহাবায়ে কেরাম পেয়েছিলেন জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে আমরাও ক্ষমাপ্রাপ্তির মাধ্যমে পরকালে জান্নাত পেতে পারি। আর সে জন্য পবিত্র মাহে রমজান একটি সুবর্ণ সুযোগ।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

সাহাবায়ে কেরাম হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সরাসরি সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সফল মানুষ। নবী-রাসুলদের পর তাঁরাই আল্লাহ তাআলার প্রিয় মানুষ। সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়। আল্লাহ তাআলা তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরদের জন্য ও যাদের নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধনসম্পত্তি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এরা
১৫ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে