তানবিরুল হক আবিদ

প্রকৃতির সৌন্দর্য ও কল্যাণের অন্যতম নিদর্শন হলো বৃষ্টি। এটি শুধু মাটিকে সিক্ত করে না, বরং মানবজীবনেও বহুমাত্রিক উপকার বয়ে আনে। গ্রামীণ জনজীবনে বৃষ্টির জল মানে—স্নিগ্ধতা, উর্বরতা এবং মাঝে মাঝে তা হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ গোসলের উৎস।
অনেকেই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে শরীর ধুয়ে নেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এ পানি কি ফরজ গোসলের জন্য যথেষ্ট? শরিয়তের দৃষ্টিতে কি বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে ফরজ গোসল আদায় হবে? আসুন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিষয়টি জেনে নিই।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা শুরা: ২৮)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর আমি বায়ুকে উর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি। অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। কিন্তু তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।’ (সুরা হিজর: ২২)
বর্ণিত আয়াত থেকে বোঝা যায়, আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি পবিত্র। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ফরজ গোসল করতে চাইলে তার অনুমতি রয়েছে।
তবে মনে রাখতে হবে, গোসলের ফরজ তিনটি—
তাই যিনি বৃষ্টিতে ভিজে ফরজ গোসল করতে চান, তাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে—কুলি, নাকে পানি, নাক-কানের ছিদ্র, নাভির ভেতর সহ সমস্ত শরীরে অবশ্যই পানি পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় ফরজ গোসল আদায় হবে না।
মোটকথা হলো, আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি প্রকৃতি যেমন গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে, তেমনি একজন মুমিনকেও গ্রহণ করতে হয় সচেতনতা ও শরিয়তের বিধান মেনে। বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের প্রতীক। এটি দিয়ে ফরজ গোসল করা জায়েজ, তবে ফরজ গোসলের যে তিনটি শর্ত—তা ঠিকভাবে পূরণ করলেই কেবল তা শুদ্ধ হবে।
বৃষ্টিকে শুধু প্রাকৃতিক উৎস ভাবলে চলবে না, বরং এটিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত এক পবিত্র নিয়ামত হিসেবেও দেখতে হবে। পরিশুদ্ধতা ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার যথাযথ ব্যবহারই একজন সচেতন মুমিনের পরিচয়।
তথ্যসূত্র-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ২৭৭, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৬৪, দুররুল মুখতার: ১ / ৩২৩, হাসিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকিল ফালাহ: ২১, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ: ১ / ১৯৫)

প্রকৃতির সৌন্দর্য ও কল্যাণের অন্যতম নিদর্শন হলো বৃষ্টি। এটি শুধু মাটিকে সিক্ত করে না, বরং মানবজীবনেও বহুমাত্রিক উপকার বয়ে আনে। গ্রামীণ জনজীবনে বৃষ্টির জল মানে—স্নিগ্ধতা, উর্বরতা এবং মাঝে মাঝে তা হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ গোসলের উৎস।
অনেকেই বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে শরীর ধুয়ে নেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এ পানি কি ফরজ গোসলের জন্য যথেষ্ট? শরিয়তের দৃষ্টিতে কি বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে ফরজ গোসল আদায় হবে? আসুন, কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিষয়টি জেনে নিই।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।’ (সুরা শুরা: ২৮)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর আমি বায়ুকে উর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি। অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। কিন্তু তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।’ (সুরা হিজর: ২২)
বর্ণিত আয়াত থেকে বোঝা যায়, আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি পবিত্র। কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ফরজ গোসল করতে চাইলে তার অনুমতি রয়েছে।
তবে মনে রাখতে হবে, গোসলের ফরজ তিনটি—
তাই যিনি বৃষ্টিতে ভিজে ফরজ গোসল করতে চান, তাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে—কুলি, নাকে পানি, নাক-কানের ছিদ্র, নাভির ভেতর সহ সমস্ত শরীরে অবশ্যই পানি পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় ফরজ গোসল আদায় হবে না।
মোটকথা হলো, আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি প্রকৃতি যেমন গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে, তেমনি একজন মুমিনকেও গ্রহণ করতে হয় সচেতনতা ও শরিয়তের বিধান মেনে। বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের প্রতীক। এটি দিয়ে ফরজ গোসল করা জায়েজ, তবে ফরজ গোসলের যে তিনটি শর্ত—তা ঠিকভাবে পূরণ করলেই কেবল তা শুদ্ধ হবে।
বৃষ্টিকে শুধু প্রাকৃতিক উৎস ভাবলে চলবে না, বরং এটিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত এক পবিত্র নিয়ামত হিসেবেও দেখতে হবে। পরিশুদ্ধতা ও ইবাদতের ক্ষেত্রে তার যথাযথ ব্যবহারই একজন সচেতন মুমিনের পরিচয়।
তথ্যসূত্র-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ২৭৭, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ৬৪, দুররুল মুখতার: ১ / ৩২৩, হাসিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকিল ফালাহ: ২১, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ: ১ / ১৯৫)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৭ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১২ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৪ ঘণ্টা আগে