Ajker Patrika

ইবনুল আরাবি: যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও আধ্যাত্মিকতার পথিকৃৎ

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ 
দামেস্কে ইবনে আরাবির মাজার। ছবি: সংগৃহীত
দামেস্কে ইবনে আরাবির মাজার। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের ইতিহাসে মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (১১৬৫–১২৪০ খ্রিষ্টাব্দ) এমন এক মহান ব্যক্তি, যাঁর চিন্তা ও দর্শন পরবর্তী সুফিবাদ এবং ইসলামি আধ্যাত্মিক চেতনায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁকে ‘শাইখুল আকবার’ বা ‘মহান শিক্ষক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ছিলেন একাধারে সুফি সাধক, দার্শনিক, কবি ও লেখক। তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ (অস্তিত্বের একত্ব) তত্ত্ব মুসলিম দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করলে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার এক উজ্জ্বল অধ্যায় ফুটে ওঠে।

প্রাথমিক জীবন

মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ২৮ জুলাই ১১৬৫ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (বর্তমান স্পেন) মুর্সিয়া নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ছিল আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আলি ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আরাবি। তাঁর পরিবার ছিল ধর্মপরায়ণ ও শিক্ষিত। তাঁর পিতা আলি ইবনে মুহাম্মদ আন্দালুসিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

শৈশব থেকেই ইবনুল আরাবি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, আরবি ব্যাকরণ এবং ইসলামি দর্শন অধ্যয়নে মনোযোগী হন। তিনি আন্দালুসিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে সফর করে ইসলামি জ্ঞান ও সুফিতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন এবং আত্মশুদ্ধির পথে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা

কৈশোরেই ইবনুল আরাবি আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন। তিনি বিভিন্ন সুফি সাধকদের সংস্পর্শে আসেন এবং আত্মশুদ্ধি, ধ্যান ও সাধনার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুদের মধ্যে ছিলেন—আবু মদিয়ান (রহ.), ইবনে বাশকুয়াল (রহ.) এবং ইবন হাজম (রহ.)। এই সময়ে তিনি আত্মার বিশুদ্ধতা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি নিয়ে গভীর গবেষণা শুরু করেন।

সুফি দর্শন ও ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব

ইবনুল আরাবি সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেন তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ (অস্তিত্বের একত্ব) তত্ত্বের জন্য। এই তত্ত্বে তিনি বলেন যে, আল্লাহই একমাত্র প্রকৃত অস্তিত্ব, আর সমগ্র সৃষ্টি জগৎ তাঁরই বিভিন্ন রূপ বা প্রকাশ। তাঁর মতে, আল্লাহর সঙ্গে সৃষ্টির কোনো প্রকৃত পার্থক্য নেই; বরং সবকিছুই আল্লাহর সত্তার বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ, আমাদের দেখা জগৎ ও সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর একত্বের প্রতিফলন মাত্র। এ তত্ত্বের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আল্লাহর অস্তিত্বই একমাত্র সত্য, আর সমস্ত সৃষ্টি জগৎ আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতিফলন মাত্র। তাঁর এই দার্শনিক চিন্তাধারা পরবর্তী যুগের সুফি সাধকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।

রচনা ও অবদান

ইবনুল আরাবি অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা আজও সুফিবাদ ও ইসলামি দর্শনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। তাঁর প্রধান রচনাগুলো হলো—

আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়া: এটি তাঁর সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এতে তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞান, সুফিতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং জ্ঞানের উৎস নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ফুসুস আল-হিকাম: এটি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বই, যেখানে তিনি বিভিন্ন নবীর জীবনের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ও জ্ঞান বিশ্লেষণ করেছেন।

তরজুমান আল-আশওয়াক: এটি তাঁর কাব্যগ্রন্থ, যেখানে আধ্যাত্মিক প্রেম ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

ইবনুল আরাবির প্রভাব

ইবনুল আরাবির চিন্তাধারা পরবর্তী বহু সুফি সাধক, কবি ও দার্শনিকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। যেমন, মাওলানা রুমি (রহ.), আল্লামা ইকবাল (রহ.), মোল্লা সাদরা (রহ.) প্রমুখ। ইবনুল আরাবির দর্শন ইসলামের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক পরিমণ্ডলে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে।

মৃত্যু ও উত্তরাধিকার

১২৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ নভেম্বর সিরিয়ার দামেস্ক নগরীতে ইবনুল আরাবি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কবর দামেস্কের সালেহিয়া এলাকায় অবস্থিত। মৃত্যুর পরও তাঁর রচনাবলি ও সুফিতত্ত্ব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইসলামি দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ছিলেন এক অনন্য সুফি সাধক, যাঁর চিন্তাধারা ও দর্শন আজও ইসলামি দুনিয়ায় আলোচিত হয়। তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব আধ্যাত্মিক জগতে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে। তাঁর রচনা দর্শন ও জীবনচরিত আমাদের আত্মার বিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

তথ্যসূত্র:

আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়া, ইসলামি লাইব্রেরি

ইবনুল আরাবির দর্শন, ইসলামিক রিসার্চ জার্নাল

অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত