মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামের ইতিহাসে মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (১১৬৫–১২৪০ খ্রিষ্টাব্দ) এমন এক মহান ব্যক্তি, যাঁর চিন্তা ও দর্শন পরবর্তী সুফিবাদ এবং ইসলামি আধ্যাত্মিক চেতনায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁকে ‘শাইখুল আকবার’ বা ‘মহান শিক্ষক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ছিলেন একাধারে সুফি সাধক, দার্শনিক, কবি ও লেখক। তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ (অস্তিত্বের একত্ব) তত্ত্ব মুসলিম দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করলে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার এক উজ্জ্বল অধ্যায় ফুটে ওঠে।
প্রাথমিক জীবন
মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ২৮ জুলাই ১১৬৫ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (বর্তমান স্পেন) মুর্সিয়া নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ছিল আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আলি ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আরাবি। তাঁর পরিবার ছিল ধর্মপরায়ণ ও শিক্ষিত। তাঁর পিতা আলি ইবনে মুহাম্মদ আন্দালুসিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শৈশব থেকেই ইবনুল আরাবি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, আরবি ব্যাকরণ এবং ইসলামি দর্শন অধ্যয়নে মনোযোগী হন। তিনি আন্দালুসিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে সফর করে ইসলামি জ্ঞান ও সুফিতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন এবং আত্মশুদ্ধির পথে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা
কৈশোরেই ইবনুল আরাবি আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন। তিনি বিভিন্ন সুফি সাধকদের সংস্পর্শে আসেন এবং আত্মশুদ্ধি, ধ্যান ও সাধনার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুদের মধ্যে ছিলেন—আবু মদিয়ান (রহ.), ইবনে বাশকুয়াল (রহ.) এবং ইবন হাজম (রহ.)। এই সময়ে তিনি আত্মার বিশুদ্ধতা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি নিয়ে গভীর গবেষণা শুরু করেন।
সুফি দর্শন ও ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব
ইবনুল আরাবি সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেন তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ (অস্তিত্বের একত্ব) তত্ত্বের জন্য। এই তত্ত্বে তিনি বলেন যে, আল্লাহই একমাত্র প্রকৃত অস্তিত্ব, আর সমগ্র সৃষ্টি জগৎ তাঁরই বিভিন্ন রূপ বা প্রকাশ। তাঁর মতে, আল্লাহর সঙ্গে সৃষ্টির কোনো প্রকৃত পার্থক্য নেই; বরং সবকিছুই আল্লাহর সত্তার বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ, আমাদের দেখা জগৎ ও সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর একত্বের প্রতিফলন মাত্র। এ তত্ত্বের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আল্লাহর অস্তিত্বই একমাত্র সত্য, আর সমস্ত সৃষ্টি জগৎ আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতিফলন মাত্র। তাঁর এই দার্শনিক চিন্তাধারা পরবর্তী যুগের সুফি সাধকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।
রচনা ও অবদান
ইবনুল আরাবি অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা আজও সুফিবাদ ও ইসলামি দর্শনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। তাঁর প্রধান রচনাগুলো হলো—
আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়া: এটি তাঁর সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এতে তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞান, সুফিতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং জ্ঞানের উৎস নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ফুসুস আল-হিকাম: এটি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বই, যেখানে তিনি বিভিন্ন নবীর জীবনের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ও জ্ঞান বিশ্লেষণ করেছেন।
তরজুমান আল-আশওয়াক: এটি তাঁর কাব্যগ্রন্থ, যেখানে আধ্যাত্মিক প্রেম ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ইবনুল আরাবির প্রভাব
ইবনুল আরাবির চিন্তাধারা পরবর্তী বহু সুফি সাধক, কবি ও দার্শনিকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। যেমন, মাওলানা রুমি (রহ.), আল্লামা ইকবাল (রহ.), মোল্লা সাদরা (রহ.) প্রমুখ। ইবনুল আরাবির দর্শন ইসলামের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক পরিমণ্ডলে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
১২৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ নভেম্বর সিরিয়ার দামেস্ক নগরীতে ইবনুল আরাবি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কবর দামেস্কের সালেহিয়া এলাকায় অবস্থিত। মৃত্যুর পরও তাঁর রচনাবলি ও সুফিতত্ত্ব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইসলামি দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ছিলেন এক অনন্য সুফি সাধক, যাঁর চিন্তাধারা ও দর্শন আজও ইসলামি দুনিয়ায় আলোচিত হয়। তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব আধ্যাত্মিক জগতে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে। তাঁর রচনা দর্শন ও জীবনচরিত আমাদের আত্মার বিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
তথ্যসূত্র:
আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়া, ইসলামি লাইব্রেরি
ইবনুল আরাবির দর্শন, ইসলামিক রিসার্চ জার্নাল
অন্যান্য

ইসলামের ইতিহাসে মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি (১১৬৫–১২৪০ খ্রিষ্টাব্দ) এমন এক মহান ব্যক্তি, যাঁর চিন্তা ও দর্শন পরবর্তী সুফিবাদ এবং ইসলামি আধ্যাত্মিক চেতনায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁকে ‘শাইখুল আকবার’ বা ‘মহান শিক্ষক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি ছিলেন একাধারে সুফি সাধক, দার্শনিক, কবি ও লেখক। তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ (অস্তিত্বের একত্ব) তত্ত্ব মুসলিম দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করলে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার এক উজ্জ্বল অধ্যায় ফুটে ওঠে।
প্রাথমিক জীবন
মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ২৮ জুলাই ১১৬৫ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (বর্তমান স্পেন) মুর্সিয়া নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ছিল আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আলি ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আরাবি। তাঁর পরিবার ছিল ধর্মপরায়ণ ও শিক্ষিত। তাঁর পিতা আলি ইবনে মুহাম্মদ আন্দালুসিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
শৈশব থেকেই ইবনুল আরাবি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, আরবি ব্যাকরণ এবং ইসলামি দর্শন অধ্যয়নে মনোযোগী হন। তিনি আন্দালুসিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন শহরে সফর করে ইসলামি জ্ঞান ও সুফিতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন এবং আত্মশুদ্ধির পথে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
আধ্যাত্মিক অভিযাত্রা
কৈশোরেই ইবনুল আরাবি আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন। তিনি বিভিন্ন সুফি সাধকদের সংস্পর্শে আসেন এবং আত্মশুদ্ধি, ধ্যান ও সাধনার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করেন। তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুদের মধ্যে ছিলেন—আবু মদিয়ান (রহ.), ইবনে বাশকুয়াল (রহ.) এবং ইবন হাজম (রহ.)। এই সময়ে তিনি আত্মার বিশুদ্ধতা ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি নিয়ে গভীর গবেষণা শুরু করেন।
সুফি দর্শন ও ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব
ইবনুল আরাবি সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেন তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ (অস্তিত্বের একত্ব) তত্ত্বের জন্য। এই তত্ত্বে তিনি বলেন যে, আল্লাহই একমাত্র প্রকৃত অস্তিত্ব, আর সমগ্র সৃষ্টি জগৎ তাঁরই বিভিন্ন রূপ বা প্রকাশ। তাঁর মতে, আল্লাহর সঙ্গে সৃষ্টির কোনো প্রকৃত পার্থক্য নেই; বরং সবকিছুই আল্লাহর সত্তার বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ, আমাদের দেখা জগৎ ও সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর একত্বের প্রতিফলন মাত্র। এ তত্ত্বের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আল্লাহর অস্তিত্বই একমাত্র সত্য, আর সমস্ত সৃষ্টি জগৎ আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতিফলন মাত্র। তাঁর এই দার্শনিক চিন্তাধারা পরবর্তী যুগের সুফি সাধকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।
রচনা ও অবদান
ইবনুল আরাবি অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা আজও সুফিবাদ ও ইসলামি দর্শনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। তাঁর প্রধান রচনাগুলো হলো—
আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়া: এটি তাঁর সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ রচনা। এতে তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞান, সুফিতত্ত্ব, ধর্মতত্ত্ব, দর্শন এবং জ্ঞানের উৎস নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ফুসুস আল-হিকাম: এটি তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বই, যেখানে তিনি বিভিন্ন নবীর জীবনের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ও জ্ঞান বিশ্লেষণ করেছেন।
তরজুমান আল-আশওয়াক: এটি তাঁর কাব্যগ্রন্থ, যেখানে আধ্যাত্মিক প্রেম ও আল্লাহর প্রতি অনুরাগের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ইবনুল আরাবির প্রভাব
ইবনুল আরাবির চিন্তাধারা পরবর্তী বহু সুফি সাধক, কবি ও দার্শনিকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। যেমন, মাওলানা রুমি (রহ.), আল্লামা ইকবাল (রহ.), মোল্লা সাদরা (রহ.) প্রমুখ। ইবনুল আরাবির দর্শন ইসলামের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক পরিমণ্ডলে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
১২৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ নভেম্বর সিরিয়ার দামেস্ক নগরীতে ইবনুল আরাবি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কবর দামেস্কের সালেহিয়া এলাকায় অবস্থিত। মৃত্যুর পরও তাঁর রচনাবলি ও সুফিতত্ত্ব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইসলামি দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি ছিলেন এক অনন্য সুফি সাধক, যাঁর চিন্তাধারা ও দর্শন আজও ইসলামি দুনিয়ায় আলোচিত হয়। তাঁর ‘ওয়াহদাতুল উজুদ’ তত্ত্ব আধ্যাত্মিক জগতে এক নতুন ভাবধারা সৃষ্টি করেছে। তাঁর রচনা দর্শন ও জীবনচরিত আমাদের আত্মার বিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের প্রতি অনুপ্রাণিত করে।
তথ্যসূত্র:
আল-ফুতুহাত আল-মাক্কিয়া, ইসলামি লাইব্রেরি
ইবনুল আরাবির দর্শন, ইসলামিক রিসার্চ জার্নাল
অন্যান্য

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে
১১ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে
১১ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে
১১ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

ইবনুল আরাবির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল জ্ঞানার্জনের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং আধ্যাত্মিক সত্য অনুসন্ধানের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সাধনা। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ ও তত্ত্ব শুধু সুফি দর্শনের ভিত্তি গঠনে সহায়তা করেনি, বরং সমগ্র ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তাঁর জীবন, দর্শন, শিক্ষা ও অবদান সম্পর্কে
১১ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে