ইজাজুল হক

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’
ইজাজুল হক

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৪০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৭ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৪০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৬ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৭ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০০ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি:
শীতের কাপড়ের কারণে অনেকে হাতা ঠিকমতো না গুটিয়েই হাত ধুয়ে নেন, ফলে কনুই শুকনো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, কনুই বা পায়ের টাখনুর কোনো অংশ সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৪৬)
তাড়াহুড়ো করে অজু করতে গিয়ে অনেকে পায়ের গোড়ালি ঠিকমতো ভেজান না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুনের কঠিন শাস্তি সেই গোড়ালিগুলোর জন্য (যা অজুর সময় শুকনো থাকে)! তোমরা খুব ভালোভাবে অজু করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪১)
ঠান্ডার ভয়ে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে আগের অজু দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দের। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের উপস্থিতিতে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় কোনো নামাজ নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৬০)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য মল-মূত্রের বেগ নিয়ে নামাজ পড়া বৈধ নয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)
শীতের কষ্টকে উপেক্ষা করে যথাযথভাবে অজু সম্পন্ন করা মুমিনের ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত, তাড়াহুড়ো না করে অজুর প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করা এবং পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের পর আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া।

শীতকালে ঠান্ডার কারণে অনেকে অজু করতে অলসতা করেন অথবা তাড়াহুড়ো করে অজুর অঙ্গগুলো ঠিকমতো না ভিজিয়েই ইবাদতে লিপ্ত হন। অথচ অজুর কোনো অংশ শুকনো থাকলে নামাজ ও ইবাদত কবুল হয় না। শীতের এ প্রতিকূল সময়ে ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি:
শীতের কাপড়ের কারণে অনেকে হাতা ঠিকমতো না গুটিয়েই হাত ধুয়ে নেন, ফলে কনুই শুকনো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, কনুই বা পায়ের টাখনুর কোনো অংশ সামান্য শুকনো থাকলেও অজু হবে না। (সহিহ্ মুসলিম: ২৪৬)
তাড়াহুড়ো করে অজু করতে গিয়ে অনেকে পায়ের গোড়ালি ঠিকমতো ভেজান না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুল (সা.) এ ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুনের কঠিন শাস্তি সেই গোড়ালিগুলোর জন্য (যা অজুর সময় শুকনো থাকে)! তোমরা খুব ভালোভাবে অজু করো।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৪১)
ঠান্ডার ভয়ে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে আগের অজু দিয়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দের। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের উপস্থিতিতে এবং মল-মূত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় কোনো নামাজ নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৬০)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য মল-মূত্রের বেগ নিয়ে নামাজ পড়া বৈধ নয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)
শীতের কষ্টকে উপেক্ষা করে যথাযথভাবে অজু সম্পন্ন করা মুমিনের ইমানি দৃঢ়তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত, তাড়াহুড়ো না করে অজুর প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করা এবং পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের পর আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে