ইজাজুল হক

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’
ইজাজুল হক

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’

একজন প্রভাবশালী নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করেন। তাঁর নেতৃত্বের কৌশলে মানুষের সাহায্য ও প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টাই মুখ্য থাকে। তিনি জনগণকে বিশ্বাস করেন। সেই বিশ্বাস তাঁকে তাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। তিনি গণমানুষের কাছে আসেন। তারাও সহজেই তাঁর কাছে ভিড়তে পারে। তিনি মানুষের ক্ষমতায়ন করেন, অংশগ্রহণ বাড়ান, পরামর্শ নেন, সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং জ্ঞানের কথা বলেন। (বোলম্যান অ্যান্ড ডিল, ১৯৯১)
ফরাসি দার্শনিক মন্টেস্কু বলেছেন, ‘সত্যিকারের মহান নেতা হতে চাইলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, ওপরে নয়।’ অর্থাৎ, তিনিই প্রকৃত নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের প্রতি বিনীত থাকেন, পদের দম্ভ দেখান না এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। অবশ্য আজকাল এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর। বিনয়, জ্ঞান ও কারিশমার সমন্বয় ঘটেছে—এমন নেতা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
তবে এসব গুণের সমন্বয় ঘটেছে—এমন এক মহান নেতার কথা আজ পাঠককে জানাব, যিনি পৃথিবীতে একটি নতুন জীবনধারার সূচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ এখনো তাঁকে অনুসরণ করে চলেছে। সফলতার শীর্ষ চূড়ায় আরোহণ করেও তিনি সর্বোচ্চ স্তরের বিনয় দেখিয়েছেন। তাঁর জ্ঞান-প্রজ্ঞা ছিল ঐশ্বরিক। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেও তিনি নিঃসংকোচে ঘোষণা করেছেন, ‘আমি একজন সাধারণ মানুষই’।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সেই মহান নেতা, যিনি নিজেকে কখনোই রাজা-বাদশাহ মনে করেননি; বরং জনগণের একনিষ্ঠ সেবক মনে করেছেন। হিজরতের বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় আসার পরপরই তিনি মসজিদে নববির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। সাহাবিরা যখন ভারী ইট-পাথর বহন করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) নিজেও তাতে অংশ নেন এবং একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই কাজ করেন। এভাবেই তিনি মদিনায় একটি মানবিক ও সাম্যপূর্ণ সমাজের গোড়াপত্তন করেন।
মহানবী (সা.) জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। জনগণের সঙ্গেই খেয়েছেন। নিজের রুটি ভাগ করে নিয়েছেন সাহাবিদের সঙ্গে। একই পাত্র থেকে পানি পান করেছেন। তাঁরা ভুখা থাকলে তিনিও ভুখা থেকেছেন। সাহাবিদের মধ্যে তাঁদের একজন হয়েই ছিলেন তিনি। তাঁদের সমস্যাকে মনে করতেন নিজের সমস্যা। তাঁরা খুশি হলে একসঙ্গে হাসতেন এবং তাঁরা দুঃখী হলে একসঙ্গে কাঁদতেন।
যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গ দিয়েছেন স্ত্রীদের ঘরের কাজেও। তিনি চাইলেই আরাম-আয়েশের জীবন গড়তে পারতেন। বিলাসিতার উপকরণে ডুবে থাকতে পারতেন। তবে তিনি সেই পথে হাঁটেননি। নিতান্ত সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। খড়ের মাদুরে শুয়েছেন। তাঁর পিঠে মাদুরের দাগ পড়ে গিয়েছিল। মাটির জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন, যা তাঁর কপালে দাগ তৈরি করেছিল। একাধিক জায়গায় ছেঁড়া ও তালি দেওয়া কাপড় তিনি পরেছেন। নিজের ছেঁড়া কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। (বুখারি)
মহানবী (সা.) একদিন সাহাবিদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছিলেন। বিশ্রাম ও রান্নার বিরতি দেওয়া হলো। সবাইকে কাজ ভাগ করে দেওয়া হলো। মহানবী (সা.) বললেন, তাঁকেও কাজ দেওয়া হোক। তবে সাহাবিরা রাজি হলেন না। মহান আল্লাহর রাসুলকে কীভাবে তাঁরা কাজ দেবেন! কিন্তু তিনি নিজের কথায় অটল রইলেন। বললেন, আমিও সফরের একজন সদস্য; আমারও দায়িত্ব আছে। আল্লাহর রাসুল হওয়ার সুবিধা নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। নিরুপায় হয়ে সাহাবিরা তাঁকে কাঠ সংগ্রহের কাজ দিলেন। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
সাহাবিদের কাছে তো মহানবী (সা.)-এর মর্যাদা ছিল প্রশ্নাতীত, তবে তাঁর শত্রু ও নিন্দুকেরাও এক বাক্যে তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তো দেখা যায়, মক্কা থেকে যখন তিনি বিতাড়িত হচ্ছিলেন, তখনো তাঁর ঘরে মক্কার অবিশ্বাসীদের অনেক আমানত জমা ছিল। সেগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতেই হজরত আলি (রা.)-কে মক্কায় রেখে যেতে হয়েছিল।
মহানবী পৃথিবীতে এমন লক্ষাধিক অনুসারী রেখে যেতে পেরেছেন, যাঁরা ইসলামের মহান বার্তা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তাঁদের পার্থিব জীবনেরই কেবল নেতা ছিলেন না, পরকালীন জীবনের দিশাও দিয়ে গেছেন। নবী ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁদের বাবা, ভাই, স্বামী ও বন্ধু ছিলেন। একবার তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলেন। কথা বললেন। ভয়ে কাঁপছিলেন। মহানবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো মহান রাজা-বাদশাহ নই। আমি শুকনো মাংস খাওয়া একজন নারীরই সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ)
হুদায়বিয়ার চুক্তির সময় মক্কার কাফিরেরা অনেক অযৌক্তিক দাবি করে বসে। মহানবী (সা.) আল্লাহর আদেশে তাদের দাবি মেনে নেন। সাহাবিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাঁদের অনেকেই চুক্তির অবমাননামূলক ধারাগুলো মানতে পারছেন না। এমন কঠিন মুহূর্তে চুক্তিনামা লেখা হচ্ছিল। হজরত আলি (রা.) ছিলেন দলিল লেখক। ‘আল্লাহর রাসুল’ এই শব্দদ্বয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হলে কুরাইশের এক নেতা আপত্তি জানালেন। বললেন, ‘তাঁকে রাসুল মেনে নিলে এই চুক্তিই তো করতে হয় না।’ হজরত আলি (রা.) এই শব্দগুলো মুছতে অস্বীকৃতি জানালেন। তবে মহানবী (সা.) অত্যন্ত ধৈর্য, বিনয়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রজ্ঞার সঙ্গে সেই শব্দগুলো নিজ হাতে মুছে দেন এবং সেখানে তাঁর বাবার নাম লিখতে বলেন। (মোবারকপুরি, ১৯৭৯)
মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বের মূল কারিশমাই ছিল বিনয়, প্রজ্ঞা ও সহমর্মিতার সমন্বয়। সাদাসিধে জীবন তাঁকে গণমুখী করে তুলেছিল। মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, ‘আমি এমন এক মহান নেতার জীবনী জানতে চেয়েছি, যিনি আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছেন। তাঁর জীবনী পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, তলোয়ারের জোরে তিনি এই অবস্থান অর্জন করেননি। তাঁর অসামান্য সরলতা, বিনয়, আত্মনিবেদন, অঙ্গীকার রক্ষা, বিচক্ষণতা, বন্ধুত্ব, সাহস, ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং নিজের দায়িত্বের প্রতি সচেতনতাই তাঁকে এই স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।’

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

নেতা হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফলতা প্রশ্নাতীত। তাঁর অনুসারীদের কাছে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দেড় হাজার বছর পর, আজকের পৃথিবীতেও কোটি মানুষ তাঁকেই অনুসরণ করে চলেছে। কোন কোন বৈশিষ্ট্য তাঁকে এমন ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছে, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের সফলতার রহস্য কী
১১ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৯ ঘণ্টা আগে