মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে। তবে ইসলামে যেহেতু মুসলিম-অমুসলিম সবার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য অনুমোদিত, তাই কেউ কেউ দাবি করে থাকেন, ইসলামে বাণিজ্যিক বয়কটের কোনো ভিত্তি নেই; এটা ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে যায় না। ফলে বিষয়টি নিয়ে কারও কারও মনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই কি ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই? ইসলামের নীতিমালা এবং ইতিহাস কী বলে এ ব্যাপারে, আলোচ্য নিবন্ধে তা-ই আলোকপাত করা হয়েছে।
অমুসলিমদের সঙ্গে (স্বদেশি হোক বা ভিনদেশি) সব ধরনের বৈধ বেচাকেনা ইসলামে অনুমোদিত। রাসুল (সা.) মদিনার ইহুদিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতেন। একইভাবে বাইরে থেকে আসা জনৈক পৌত্তলিক বণিকের কাছ থেকে ছাগল কিনেছেন এমন বর্ণনাও এসেছে হাদিসে। (বুখারি ও মুসলিম) তবে যুদ্ধাস্ত্র, যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কাঁচামাল এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাজে আসে এমন সব বস্তু অমুসলিমদের কাছে বিক্রি করা হারাম। ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘কাফিরদের সঙ্গে সব ধরনের বৈধ বেচাকেনা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েজ, তবে যুদ্ধের অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবং তাদের ধর্ম ও মতবাদ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে এমন বস্তু বিক্রি করা জায়েজ নয়।’ (শরহে সহিহ মুসলিম) আল মাজমু গ্রন্থে তিনি একে সব মতের ফকিহগণের সর্বসম্মত মত বলে উল্লেখ করেছেন।
উল্লিখিত মাসআলা থেকে ইসলামি শরিয়তের একটি মূলনীতি স্পষ্ট হয়। তা হচ্ছে, যে ব্যবসায়িক লেনদেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফির গোষ্ঠীকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে, তা জায়েজ নয়। সুতরাং যেসব কোম্পানি ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে অর্থ সরবরাহ করে অথবা মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনে সহযোগিতা করে, প্রতিবাদস্বরূপ তাদের পণ্য বর্জন করা শুধু বৈধই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে মুসলমানদের ইমানের দাবিও বটে। ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘যত পন্থা ও পদক্ষেপ (অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ), যা মুসলমানদের উপকারে আসে, ইসলাম ও শরিয়তের ওপর আগত যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করে, মজলুম ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করে এবং সত্যবিরোধী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে, তা উত্তম ও উপকারী।’ (ইগাসাতুল লাহফান)
অমুসলিমদের সঙ্গে (স্বদেশি হোক বা ভিনদেশি) সব ধরনের বৈধ বেচাকেনা ইসলামে অনুমোদিত। রাসুল (সা.) মদিনার ইহুদিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতেন। একইভাবে বাইরে থেকে আসা জনৈক পৌত্তলিক বণিকের কাছ থেকে ছাগল কিনেছেন এমন বর্ণনাও
এসেছে হাদিসে।
মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.) বলেন, ‘বয়কট ও অসহযোগ আন্দোলন মৌলিকভাবে যুদ্ধ নয়, তবে তা শত্রুকে দুর্বল করার একটি কৌশল, যা মুবাহ তথা বৈধ।’ (হাকিমুল উম্মত কি সিয়াসি আফকার) মাওলানা জফর আহমদ উসমানি (রহ.) বলেন, ‘যদি কোনো বৃহৎ স্বার্থের কারণে শত্রুরাষ্ট্রের পণ্য ছেড়ে দেশি পণ্য ব্যবহার করা হয়, তবে সেটা বৈধ। বরং বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনায় এমনটি করা উত্তমও বটে। (ইমদাদুল আহকাম) সমকালীন আরব আলিমদের মধ্যে শায়েখ আবদুর রহমান ইবনে নাসির আস-সাদি (রহ.), শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহ.), আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে জিবরিন, ইউসুফ আল-কারজাভি (রহ.), শায়েখ হামুদ ইবনে উকালা আশ-শাবিসহ আরও অনেকে উপরিউক্ত ফতোয়া প্রদান করেছেন। (আল-মুকালামাতুল ইকতিসাদিয়্যাহ)
শত্রুপক্ষকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য বাণিজ্যিক বয়কটের একাধিক ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে পাওয়া যায়। নিচে দুটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
এক. সহিহ বুখারির এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, এক অভিযানে ইয়ামামাবাসীদের সরদার সুমামা ইবনে উসাল (রা.)কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার কয়েক দিন পর রাসুল (সা.) তাঁকে মুক্ত করে দিলে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর ওমরাহ আদায়ের জন্য মক্কায় গেলে মক্কার কাফিররা ইসলাম গ্রহণ করার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। এর জবাবে তিনি তাদের উদ্দেশে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, যতক্ষণ পর্যন্ত নবী (সা.) অনুমতি না দেবেন, ইয়ামামা থেকে একটা শস্যদানাও তোমাদের কাছে আসবে না।’ এরপর সুমামা (রা.) নিজ শহরে ফিরে গেলেন এবং মক্কায় শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিলেন। এতে মক্কাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে। উপায় না পেয়ে তারা রাসুল (সা.)-এর কাছে অনুরোধ করলে তিনি সুমামাকে বয়কট তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনা থেকে কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়। প্রথমত, ইসলামের প্রাথমিক যুগে অর্থনৈতিক বয়কটের প্রমাণ। দ্বিতীয়ত, শত্রুর অনিষ্টতার বিলোপ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক বয়কটের বৈধতা। তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক বয়কট শত্রুপক্ষকে নমনীয় করে তুলতে ভূমিকা পালন করে। শায়েখ হুসামুদ্দিন আফফানা বলেন, ‘সুমামা (রা.) যা করেছেন, তা ছিল অর্থনৈতিক বয়কট। রাসুল (সা.) তাঁর এই পদক্ষেপে বাধা দেননি। কোনো আপত্তি করেননি। এই বয়কট অব্যাহত ছিল রাসুল (সা.) উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি লেখা পর্যন্ত।’ (ফাতাওয়া ইয়াসআলুনাক)
দুই. খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মরওয়ানের যুগে রোম থেকে দিনার-দিরহাম আমদানি করা হতো। এর বিনিময়ে মুসলমানরা তাদের কাছে কাগজ রপ্তানি করত। মুসলমানরা যে কার্টনে করে কাগজ পাঠাত, তার গায়ে লেখা থাকত—‘মাসিহ (ইসা আ.) কখনো আল্লাহর বান্দা হওয়াতে লজ্জাবোধ করেন না; অনুরূপ নৈকট্যশীল ফেরেশতারাও না।’ (সুরা নিসা: ১৭২) একবার রোম সম্রাট লেখাটি দেখে ভীষণ রেগে যান। কারণ তাঁরা ইসা (আ.)কে আল্লাহর পুত্র বলে ধারণা করতেন। তিনি খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের কাছে চিঠি লিখলেন—যদি লেখাটি বাদ দেওয়া না হয়, তাহলে আমি দিনার-দিরহামের ওপর আপনাদের নবীর ব্যাপারে কটাক্ষমূলক কথা লিখে দেব। চিঠি পেয়ে আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান চিন্তায় পড়ে গেলেন। ইত্যবসরে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ (রহ.) উপস্থিত হলেন। তিনি খলিফার চিন্তার কারণ জানতে পেরে বললেন, ‘চিন্তা করবেন না, নিজেরা দিনার বানানো শুরু করুন এবং রোমে কাগজ রপ্তানি বন্ধ করে দিন। তাদের কাগজের প্রয়োজন হলে আপনি যেভাবে চান তারা সেভাবেই নিতে বাধ্য হবে।’ খলিফা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। (বুগইয়াতুত তলব ফি তারিখি হালাব)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে। তবে ইসলামে যেহেতু মুসলিম-অমুসলিম সবার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য অনুমোদিত, তাই কেউ কেউ দাবি করে থাকেন, ইসলামে বাণিজ্যিক বয়কটের কোনো ভিত্তি নেই; এটা ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে যায় না। ফলে বিষয়টি নিয়ে কারও কারও মনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই কি ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই? ইসলামের নীতিমালা এবং ইতিহাস কী বলে এ ব্যাপারে, আলোচ্য নিবন্ধে তা-ই আলোকপাত করা হয়েছে।
অমুসলিমদের সঙ্গে (স্বদেশি হোক বা ভিনদেশি) সব ধরনের বৈধ বেচাকেনা ইসলামে অনুমোদিত। রাসুল (সা.) মদিনার ইহুদিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতেন। একইভাবে বাইরে থেকে আসা জনৈক পৌত্তলিক বণিকের কাছ থেকে ছাগল কিনেছেন এমন বর্ণনাও এসেছে হাদিসে। (বুখারি ও মুসলিম) তবে যুদ্ধাস্ত্র, যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কাঁচামাল এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাজে আসে এমন সব বস্তু অমুসলিমদের কাছে বিক্রি করা হারাম। ইমাম নববি (রহ.) বলেন, ‘কাফিরদের সঙ্গে সব ধরনের বৈধ বেচাকেনা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েজ, তবে যুদ্ধের অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবং তাদের ধর্ম ও মতবাদ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে এমন বস্তু বিক্রি করা জায়েজ নয়।’ (শরহে সহিহ মুসলিম) আল মাজমু গ্রন্থে তিনি একে সব মতের ফকিহগণের সর্বসম্মত মত বলে উল্লেখ করেছেন।
উল্লিখিত মাসআলা থেকে ইসলামি শরিয়তের একটি মূলনীতি স্পষ্ট হয়। তা হচ্ছে, যে ব্যবসায়িক লেনদেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফির গোষ্ঠীকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে, তা জায়েজ নয়। সুতরাং যেসব কোম্পানি ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে অর্থ সরবরাহ করে অথবা মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনে সহযোগিতা করে, প্রতিবাদস্বরূপ তাদের পণ্য বর্জন করা শুধু বৈধই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে মুসলমানদের ইমানের দাবিও বটে। ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘যত পন্থা ও পদক্ষেপ (অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ), যা মুসলমানদের উপকারে আসে, ইসলাম ও শরিয়তের ওপর আগত যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করে, মজলুম ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করে এবং সত্যবিরোধী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে, তা উত্তম ও উপকারী।’ (ইগাসাতুল লাহফান)
অমুসলিমদের সঙ্গে (স্বদেশি হোক বা ভিনদেশি) সব ধরনের বৈধ বেচাকেনা ইসলামে অনুমোদিত। রাসুল (সা.) মদিনার ইহুদিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতেন। একইভাবে বাইরে থেকে আসা জনৈক পৌত্তলিক বণিকের কাছ থেকে ছাগল কিনেছেন এমন বর্ণনাও
এসেছে হাদিসে।
মাওলানা আশরাফ আলি থানভি (রহ.) বলেন, ‘বয়কট ও অসহযোগ আন্দোলন মৌলিকভাবে যুদ্ধ নয়, তবে তা শত্রুকে দুর্বল করার একটি কৌশল, যা মুবাহ তথা বৈধ।’ (হাকিমুল উম্মত কি সিয়াসি আফকার) মাওলানা জফর আহমদ উসমানি (রহ.) বলেন, ‘যদি কোনো বৃহৎ স্বার্থের কারণে শত্রুরাষ্ট্রের পণ্য ছেড়ে দেশি পণ্য ব্যবহার করা হয়, তবে সেটা বৈধ। বরং বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনায় এমনটি করা উত্তমও বটে। (ইমদাদুল আহকাম) সমকালীন আরব আলিমদের মধ্যে শায়েখ আবদুর রহমান ইবনে নাসির আস-সাদি (রহ.), শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহ.), আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে জিবরিন, ইউসুফ আল-কারজাভি (রহ.), শায়েখ হামুদ ইবনে উকালা আশ-শাবিসহ আরও অনেকে উপরিউক্ত ফতোয়া প্রদান করেছেন। (আল-মুকালামাতুল ইকতিসাদিয়্যাহ)
শত্রুপক্ষকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য বাণিজ্যিক বয়কটের একাধিক ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে পাওয়া যায়। নিচে দুটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
এক. সহিহ বুখারির এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, এক অভিযানে ইয়ামামাবাসীদের সরদার সুমামা ইবনে উসাল (রা.)কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার কয়েক দিন পর রাসুল (সা.) তাঁকে মুক্ত করে দিলে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর ওমরাহ আদায়ের জন্য মক্কায় গেলে মক্কার কাফিররা ইসলাম গ্রহণ করার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করে। এর জবাবে তিনি তাদের উদ্দেশে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, যতক্ষণ পর্যন্ত নবী (সা.) অনুমতি না দেবেন, ইয়ামামা থেকে একটা শস্যদানাও তোমাদের কাছে আসবে না।’ এরপর সুমামা (রা.) নিজ শহরে ফিরে গেলেন এবং মক্কায় শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিলেন। এতে মক্কাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে। উপায় না পেয়ে তারা রাসুল (সা.)-এর কাছে অনুরোধ করলে তিনি সুমামাকে বয়কট তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনা থেকে কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়। প্রথমত, ইসলামের প্রাথমিক যুগে অর্থনৈতিক বয়কটের প্রমাণ। দ্বিতীয়ত, শত্রুর অনিষ্টতার বিলোপ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক বয়কটের বৈধতা। তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক বয়কট শত্রুপক্ষকে নমনীয় করে তুলতে ভূমিকা পালন করে। শায়েখ হুসামুদ্দিন আফফানা বলেন, ‘সুমামা (রা.) যা করেছেন, তা ছিল অর্থনৈতিক বয়কট। রাসুল (সা.) তাঁর এই পদক্ষেপে বাধা দেননি। কোনো আপত্তি করেননি। এই বয়কট অব্যাহত ছিল রাসুল (সা.) উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি লেখা পর্যন্ত।’ (ফাতাওয়া ইয়াসআলুনাক)
দুই. খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মরওয়ানের যুগে রোম থেকে দিনার-দিরহাম আমদানি করা হতো। এর বিনিময়ে মুসলমানরা তাদের কাছে কাগজ রপ্তানি করত। মুসলমানরা যে কার্টনে করে কাগজ পাঠাত, তার গায়ে লেখা থাকত—‘মাসিহ (ইসা আ.) কখনো আল্লাহর বান্দা হওয়াতে লজ্জাবোধ করেন না; অনুরূপ নৈকট্যশীল ফেরেশতারাও না।’ (সুরা নিসা: ১৭২) একবার রোম সম্রাট লেখাটি দেখে ভীষণ রেগে যান। কারণ তাঁরা ইসা (আ.)কে আল্লাহর পুত্র বলে ধারণা করতেন। তিনি খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের কাছে চিঠি লিখলেন—যদি লেখাটি বাদ দেওয়া না হয়, তাহলে আমি দিনার-দিরহামের ওপর আপনাদের নবীর ব্যাপারে কটাক্ষমূলক কথা লিখে দেব। চিঠি পেয়ে আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান চিন্তায় পড়ে গেলেন। ইত্যবসরে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ (রহ.) উপস্থিত হলেন। তিনি খলিফার চিন্তার কারণ জানতে পেরে বললেন, ‘চিন্তা করবেন না, নিজেরা দিনার বানানো শুরু করুন এবং রোমে কাগজ রপ্তানি বন্ধ করে দিন। তাদের কাগজের প্রয়োজন হলে আপনি যেভাবে চান তারা সেভাবেই নিতে বাধ্য হবে।’ খলিফা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। (বুগইয়াতুত তলব ফি তারিখি হালাব)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

যখন কোনো গোষ্ঠী ইসলাম, কোরআন, মহানবী (সা.) ও ইসলামের অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপহাস করে অথবা কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়, তখন মুসলিম বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার অথবা তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বর্জন করার দাবি তোলে।
২২ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে