কাউসার লাবীব
হজরত আইয়ুব (আ.)–এর নাম শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে ধৈর্যশীল এক মহামানবের কথা। ধৈর্যের মাধ্যমে যে প্রকৃতভাবে জীবনের সাফল্য অর্জন কর যায়, তার অনন্য উদাহরণ তিনি। বছরের পর বছর শারীরিক ও আর্থিক নানা কষ্টের মুখোমুখি হয়ে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন। তাঁর ধৈর্যের প্রশংসা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসা, সুরা আনআম, সুরা সাদ ও সুরা আম্বিয়ায় এসেছে। ধৈর্যের মাধ্যমে তিনি কষ্টের দিনগুলো পার করে মহান প্রভুর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আল্লাহর নবী হজরত আইয়ুব (আ.) ছিলেন ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধর। তিনি প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন। তাঁর কোনো অভাব ছিল না। আল্লাহর অনুগ্রহে ভরপুর ছিল তাঁর জীবন।
আল্লাহ তাআলা নানা সময়ে বিভিন্নভাবে বান্দার পরীক্ষা নেন। এটাই তাঁর কুদরতি ইচ্ছা। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)।
একবার তিনি নবী আইয়ুব (আ.)–এর পরীক্ষা নিতে চাইলেন। তাঁকে দুরারোগ্য এক রোগ দিলেন। তাঁর ধন–সম্পদ কেড়ে নিলেন। হারিয়ে গেল সন্তান-সন্ততি ও বন্ধু-বান্ধব। সবাইকে হারিয়ে তিনি একা হয়ে গেলেন।
তাঁর পুণ্যবতী স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত স্বামীভক্ত। সারাক্ষণ তিনি স্বামীর সেবা করতেন। শেষে পরিবারের খরচ মেটাতে তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। এদিকে ধীরে ধীরে আইয়ুব (আ.)-এর রোগ-ব্যাধি, দুঃখ-কষ্ট বাড়তে থাকে। এভাবে কেটে যায় ১৮ বছর।
কঠিন এই সময়ে তিনি সর্বদা আল্লাহকে ডাকতেন। তাঁর জিকির করতেন। তার কাছে প্রার্থনা করতেন। প্রার্থনায় তিনি কোনো অভিযোগ–অনুযোগ করতেন না। ধৈর্যশক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার দোয়া করতেন। তাঁর দোয়ার ভাষ্য কোরআনে এভাবে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো আইয়ুবকে, যখন সে তার রবকে ডেকেছিল, (বলেছিল) আমি তো দুঃখ-কষ্টে পড়েছি (দুঃখ-কষ্ট আমাকে স্পর্শ করেছে), আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
তিনি হজরত আইয়ুব (আ.)–এর ধৈর্য দেখে খুশি হন। পবিত্র কোরআনে সে কথা এসেছে এভাবে, ‘আমি (আল্লাহ) তাকে ধৈর্যশীল হিসেবে পেয়েছি।’ (সুরা সাদ: ৪৪)
দিন, সপ্তাহ, মাস যায়। সময়ের পরিবর্তন হয়। কিন্তু আইয়ুব (আ.)–এর ধৈর্যের বাধ ভাঙে না। রবের প্রতি তাঁর বিশ্বাসে চিড় ধরে না। এক সময় আল্লাহ তাআলার পরীক্ষা নেওয়া শেষ হয়। তাঁর দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম। আর তার যত দুঃখ-কষ্ট ছিল তা দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজন তাকে দিয়ে দিলাম। তাদের সঙ্গে তাদের মতো আরো দিলাম আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ (আমি তাকে বললাম,) তুমি তোমার পা দিয়ে (ভূমিতে) আঘাত করো। (ফলে পানি নির্গত হলো এবং দেখা গেল যে) এটি গোসলের জন্য ঠাণ্ডা পানি ও (পানের জন্য উত্তম) পানীয়।’ (সুরা সাদ: ৪২)
ওই বরকতের পানি দিয়ে আইয়ুব (আ.) গোসল করে সুস্থ হয়ে যান। একে একে সম্পদ ফিরে পান এবং সন্তান লাভ করেন।
হজরত আইয়ুব (আ.)–এর ঘটনায় আমাদের জন্য রয়েছে বিপদাপদে ধৈর্য ধরে অবিচল থাকার শিক্ষা।
হজরত আইয়ুব (আ.)–এর নাম শুনলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে ধৈর্যশীল এক মহামানবের কথা। ধৈর্যের মাধ্যমে যে প্রকৃতভাবে জীবনের সাফল্য অর্জন কর যায়, তার অনন্য উদাহরণ তিনি। বছরের পর বছর শারীরিক ও আর্থিক নানা কষ্টের মুখোমুখি হয়ে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন। তাঁর ধৈর্যের প্রশংসা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসা, সুরা আনআম, সুরা সাদ ও সুরা আম্বিয়ায় এসেছে। ধৈর্যের মাধ্যমে তিনি কষ্টের দিনগুলো পার করে মহান প্রভুর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আল্লাহর নবী হজরত আইয়ুব (আ.) ছিলেন ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধর। তিনি প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিলেন। তাঁর কোনো অভাব ছিল না। আল্লাহর অনুগ্রহে ভরপুর ছিল তাঁর জীবন।
আল্লাহ তাআলা নানা সময়ে বিভিন্নভাবে বান্দার পরীক্ষা নেন। এটাই তাঁর কুদরতি ইচ্ছা। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)।
একবার তিনি নবী আইয়ুব (আ.)–এর পরীক্ষা নিতে চাইলেন। তাঁকে দুরারোগ্য এক রোগ দিলেন। তাঁর ধন–সম্পদ কেড়ে নিলেন। হারিয়ে গেল সন্তান-সন্ততি ও বন্ধু-বান্ধব। সবাইকে হারিয়ে তিনি একা হয়ে গেলেন।
তাঁর পুণ্যবতী স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত স্বামীভক্ত। সারাক্ষণ তিনি স্বামীর সেবা করতেন। শেষে পরিবারের খরচ মেটাতে তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। এদিকে ধীরে ধীরে আইয়ুব (আ.)-এর রোগ-ব্যাধি, দুঃখ-কষ্ট বাড়তে থাকে। এভাবে কেটে যায় ১৮ বছর।
কঠিন এই সময়ে তিনি সর্বদা আল্লাহকে ডাকতেন। তাঁর জিকির করতেন। তার কাছে প্রার্থনা করতেন। প্রার্থনায় তিনি কোনো অভিযোগ–অনুযোগ করতেন না। ধৈর্যশক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার দোয়া করতেন। তাঁর দোয়ার ভাষ্য কোরআনে এভাবে এসেছে, ‘আর স্মরণ করো আইয়ুবকে, যখন সে তার রবকে ডেকেছিল, (বলেছিল) আমি তো দুঃখ-কষ্টে পড়েছি (দুঃখ-কষ্ট আমাকে স্পর্শ করেছে), আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
তিনি হজরত আইয়ুব (আ.)–এর ধৈর্য দেখে খুশি হন। পবিত্র কোরআনে সে কথা এসেছে এভাবে, ‘আমি (আল্লাহ) তাকে ধৈর্যশীল হিসেবে পেয়েছি।’ (সুরা সাদ: ৪৪)
দিন, সপ্তাহ, মাস যায়। সময়ের পরিবর্তন হয়। কিন্তু আইয়ুব (আ.)–এর ধৈর্যের বাধ ভাঙে না। রবের প্রতি তাঁর বিশ্বাসে চিড় ধরে না। এক সময় আল্লাহ তাআলার পরীক্ষা নেওয়া শেষ হয়। তাঁর দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম। আর তার যত দুঃখ-কষ্ট ছিল তা দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজন তাকে দিয়ে দিলাম। তাদের সঙ্গে তাদের মতো আরো দিলাম আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ (আমি তাকে বললাম,) তুমি তোমার পা দিয়ে (ভূমিতে) আঘাত করো। (ফলে পানি নির্গত হলো এবং দেখা গেল যে) এটি গোসলের জন্য ঠাণ্ডা পানি ও (পানের জন্য উত্তম) পানীয়।’ (সুরা সাদ: ৪২)
ওই বরকতের পানি দিয়ে আইয়ুব (আ.) গোসল করে সুস্থ হয়ে যান। একে একে সম্পদ ফিরে পান এবং সন্তান লাভ করেন।
হজরত আইয়ুব (আ.)–এর ঘটনায় আমাদের জন্য রয়েছে বিপদাপদে ধৈর্য ধরে অবিচল থাকার শিক্ষা।
মানবতার এক মহান কাজ ক্ষুধার্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া । ইসলামে একে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে । এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ ( সা . ) - কে প্রশ্ন করলেন , ‘ ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ ? ” তিনি বললেন , ‘ ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো । ' ( সহিহ্ বুখারি : ১২ ,
৮ ঘণ্টা আগেরমজান মাস এবং ফরজ রোজা শেষ হলেও বছরজুড়ে বিভিন্ন রোজা রয়েছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সেসব রোজার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক আমাদের মাঝে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১ দিন আগেমহান আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন, যার মধ্যে বিপদ-আপদ অন্যতম এক মাধ্যম। দুঃখ-কষ্ট, রোগ-বালাই, অভাব-অনটন, বিরহ-টেনশন বা প্রিয়জনের বিয়োগ—এসবই হতে পারে একেকটি পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন, ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি...
১ দিন আগে