ইজাজুল হক

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৮ ঘণ্টা আগে