ইজাজুল হক

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই খুশি ঐশ্বরিক। এই খুশি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের এক পবিত্র আনন্দমেলা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে আসমানি জীবনবিধান আমাদের দিয়ে গেছেন, এর মূলমন্ত্রই হলো আল্লাহর আনুগত্য ও রাসুলের অনুসরণে সমৃদ্ধ এক পরিমার্জিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার মাধ্যমে পরকালের অনন্ত সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া। তাই দেখা যায়, ইসলামে সব ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, যাতে বান্দা আল্লাহর আনুগত্যের চৌহদ্দি পেরিয়ে তাঁর অসন্তুষ্টির দিকে ধাবিত না হয়। ঈদের খুশি ও আনন্দের বিষয়টিও তেমনই।
একজন বিশ্বাসী বান্দা যখন এক মাসের সিয়াম সাধনা পূর্ণ করেন, তখন আল্লাহ তাঁকে নিজের মেহমান হিসেবে নিমন্ত্রণ জানান। স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মাসজুড়ে সংযমের পুরস্কার এটি। এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা মুমিনের কর্তব্য। তাই ঈদের দিনে রোজা রাখা বা উপোস থাকার কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত নফল ইবাদতেরও তাগাদা নেই। এই দিন জরুরি কয়েকটি ইবাদত আর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করার দিন। মাসজুড়ে রোজাদার যে কষ্ট-মোজাহাদা-আমল করেছেন, তার প্রতিদান পাওয়ার দিন।
তাই তো ঈদের দিনে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয়, তা হলো সাধ্যমতো সদকাতুল ফিতর আদায় করা। বান্দার রোজা পালনে কোনো ধরনের খুঁত থেকে গেলে তার যেন ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়, সে জন্যই এই আয়োজন। এ ছাড়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন এক কাতারে এসে ঈদের আনন্দে অংশ নিতে পারে, তার জন্য এই সদাকার ব্যবস্থা। এরপর সবাই মিলে মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে করতে ঈদগাহের ময়দানে হাজির হয় এবং ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একে অপরকে বলে—আল্লাহ আপনার-আমার নেক আমল কবুল করুন। সে এক অপূর্ব দৃশ্য! এই দৃশ্য আল্লাহর অত্যন্ত পছন্দের।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে রোজাদারদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, ‘হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক পরিপূর্ণ কাজ করেছে তার পুরস্কার কী?’ ফেরেশতারা বলেন, ‘তার পুরস্কার পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা আবশ্যক।’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, তারা উচ্চ স্বরে তাকবির দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হয়েছে। আমার সম্মান ও গাম্ভীর্যের কসম, আমি তাদের ডাকে সাড়া দেব।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম।’ (মিশকাত)
মহানবী (সা.)-এর বড়ই আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতেন। ভোরেই গোসল করে উত্তম কাপড় পরতেন, সুগন্ধি মাখতেন। ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছুটা মিষ্টান্ন খেতেন। ঈদগাহে
যেতেন এক পথ দিয়ে, আসতেন অন্য পথ দিয়ে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। নামাজ শেষ করে খুতবা দিতেন। খুতবায় ঈদের করণীয় কাজ এবং গুরুত্ব বর্ণনা করতেন। সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করতেন। তাঁরা একটি বাক্যের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। তা হলো—‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।
ঈদের দিনে গরিব-দুঃখীদের খোঁজ নেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এক ঈদের দিনের কথা। তিনি রাস্তার পাশে একটি ছেলেকে কাঁদতে দেখেন। চিন্তিত হয়ে তাঁর কাছে যান। ছেলেটি জানাল, তার মা ও বাবা কেউই নেই। মহানবী (সা.) তাকে বাড়িতে নিয়ে এলেন। বললেন, ‘আমি তোমার বাবা আর আয়েশা তোমার মা, ফাতেমা তোমার বোন আর হাসান-হোসাইন তোমার খেলার সঙ্গী।’ তিনি এতিম ছেলেটিকে সন্তানের মর্যাদা দেন। এভাবে মহানবী (সা.) ঈদের দিনটি উদ্যাপন করতেন। আমরাও কি পারি না এভাবে ঈদের খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
ঈদের দিনে খুশির কোনো সীমানা নেই। মজার মজার সব খাবার খাওয়া, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া, গরিব-দুঃখী মানুষের খোঁজখবর নেওয়া এবং পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এই দিনে কারও প্রতি কোনো শত্রুতা, বিদ্বেষ ও হিংসা রাখা বারণ। শত্রুকে আলিঙ্গন করার চেয়ে বড় ঈদ আনন্দ আর কী হতে পারে! অমুসলিমদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেও ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বরং ঈদের খুশিতে তাদেরও শামিল করার মাধ্যমে এই উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন।
তবে ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া ফরজ বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই ঈদ হয়ে উঠবে আসমানি আনন্দ উৎসব ও আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে খুশি যেমন থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। নজরুল কত চমৎকারভাবেই না ঈদের মহান বার্তা তুলে ধরেছেন নিজের কালজয়ী এই গানে—
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই খুশি ঐশ্বরিক। এই খুশি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের এক পবিত্র আনন্দমেলা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে আসমানি জীবনবিধান আমাদের দিয়ে গেছেন, এর মূলমন্ত্রই হলো আল্লাহর আনুগত্য ও রাসুলের অনুসরণে সমৃদ্ধ এক পরিমার্জিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার মাধ্যমে পরকালের অনন্ত সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া। তাই দেখা যায়, ইসলামে সব ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, যাতে বান্দা আল্লাহর আনুগত্যের চৌহদ্দি পেরিয়ে তাঁর অসন্তুষ্টির দিকে ধাবিত না হয়। ঈদের খুশি ও আনন্দের বিষয়টিও তেমনই।
একজন বিশ্বাসী বান্দা যখন এক মাসের সিয়াম সাধনা পূর্ণ করেন, তখন আল্লাহ তাঁকে নিজের মেহমান হিসেবে নিমন্ত্রণ জানান। স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মাসজুড়ে সংযমের পুরস্কার এটি। এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা মুমিনের কর্তব্য। তাই ঈদের দিনে রোজা রাখা বা উপোস থাকার কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত নফল ইবাদতেরও তাগাদা নেই। এই দিন জরুরি কয়েকটি ইবাদত আর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করার দিন। মাসজুড়ে রোজাদার যে কষ্ট-মোজাহাদা-আমল করেছেন, তার প্রতিদান পাওয়ার দিন।
তাই তো ঈদের দিনে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয়, তা হলো সাধ্যমতো সদকাতুল ফিতর আদায় করা। বান্দার রোজা পালনে কোনো ধরনের খুঁত থেকে গেলে তার যেন ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়, সে জন্যই এই আয়োজন। এ ছাড়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন এক কাতারে এসে ঈদের আনন্দে অংশ নিতে পারে, তার জন্য এই সদাকার ব্যবস্থা। এরপর সবাই মিলে মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে করতে ঈদগাহের ময়দানে হাজির হয় এবং ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একে অপরকে বলে—আল্লাহ আপনার-আমার নেক আমল কবুল করুন। সে এক অপূর্ব দৃশ্য! এই দৃশ্য আল্লাহর অত্যন্ত পছন্দের।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে রোজাদারদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, ‘হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক পরিপূর্ণ কাজ করেছে তার পুরস্কার কী?’ ফেরেশতারা বলেন, ‘তার পুরস্কার পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা আবশ্যক।’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, তারা উচ্চ স্বরে তাকবির দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হয়েছে। আমার সম্মান ও গাম্ভীর্যের কসম, আমি তাদের ডাকে সাড়া দেব।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম।’ (মিশকাত)
মহানবী (সা.)-এর বড়ই আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতেন। ভোরেই গোসল করে উত্তম কাপড় পরতেন, সুগন্ধি মাখতেন। ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছুটা মিষ্টান্ন খেতেন। ঈদগাহে
যেতেন এক পথ দিয়ে, আসতেন অন্য পথ দিয়ে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। নামাজ শেষ করে খুতবা দিতেন। খুতবায় ঈদের করণীয় কাজ এবং গুরুত্ব বর্ণনা করতেন। সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করতেন। তাঁরা একটি বাক্যের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। তা হলো—‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।
ঈদের দিনে গরিব-দুঃখীদের খোঁজ নেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এক ঈদের দিনের কথা। তিনি রাস্তার পাশে একটি ছেলেকে কাঁদতে দেখেন। চিন্তিত হয়ে তাঁর কাছে যান। ছেলেটি জানাল, তার মা ও বাবা কেউই নেই। মহানবী (সা.) তাকে বাড়িতে নিয়ে এলেন। বললেন, ‘আমি তোমার বাবা আর আয়েশা তোমার মা, ফাতেমা তোমার বোন আর হাসান-হোসাইন তোমার খেলার সঙ্গী।’ তিনি এতিম ছেলেটিকে সন্তানের মর্যাদা দেন। এভাবে মহানবী (সা.) ঈদের দিনটি উদ্যাপন করতেন। আমরাও কি পারি না এভাবে ঈদের খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
ঈদের দিনে খুশির কোনো সীমানা নেই। মজার মজার সব খাবার খাওয়া, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া, গরিব-দুঃখী মানুষের খোঁজখবর নেওয়া এবং পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এই দিনে কারও প্রতি কোনো শত্রুতা, বিদ্বেষ ও হিংসা রাখা বারণ। শত্রুকে আলিঙ্গন করার চেয়ে বড় ঈদ আনন্দ আর কী হতে পারে! অমুসলিমদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেও ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বরং ঈদের খুশিতে তাদেরও শামিল করার মাধ্যমে এই উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন।
তবে ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া ফরজ বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই ঈদ হয়ে উঠবে আসমানি আনন্দ উৎসব ও আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে খুশি যেমন থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। নজরুল কত চমৎকারভাবেই না ঈদের মহান বার্তা তুলে ধরেছেন নিজের কালজয়ী এই গানে—
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই
০৫ এপ্রিল ২০২৪
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই
০৫ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই
০৫ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই
০৫ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৫ ঘণ্টা আগে