আমজাদ ইউনুস
আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন যুগে কয়েকজন মৃত লোকতে জীবিত করেছিলেন। নবী মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলের নিহত ব্যক্তিকে জীবিত করেছিলেন। জীবিত হয়ে সে তার হত্যাকারীর পরিচয় প্রকাশ করে। কোরআনে সুরা বাকারায় ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, তারপর সে সম্পর্কে পরস্পরকে দোষারোপ করতে লাগলে, অথচ আল্লাহ তা গোপন করছিলেন যা তোমরা গোপন করছিলে। এরপর আমি বললাম, তোমরা এ (গরুর) অংশ দিয়ে তাকে আঘাত করো। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদের তাঁর নিদর্শন দেখিয়ে থাকেন, যাতে তোমরা অনুধাবন করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৭২-৭৩)
উজাইর (আ.) ছিলেন এক পুণ্যবান ব্যক্তি। যিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদে কিছু হাড় দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন যে কীভাবে আল্লাহ তা পুনরুজ্জীবিত করবেন। তখন আল্লাহ তাঁকে ও তাঁর গাধাকে একশ বছর মৃত্যুর ঘুমে রেখে দেন এবং পরে পুনরুজ্জীবিত করেন, যাতে তিনি দেখেন কীভাবে আল্লাহ মৃত হাড়গুলো পুনরায় গঠন করেন এবং মাংসে রূপ দেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—অথবা সেই ব্যক্তির মতো, যে কোনো জনপদ অতিক্রম করছিল, যা তার ছাদের ওপর বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, আল্লাহ একে কীভাবে জীবিত করবেন মরে যাওয়ার পর? এরপর আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত রাখলেন। এরপর তাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন। বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ? সে বলল, ‘আমি একদিন অথবা দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘বরং তুমি একশ বছর অবস্থান করেছ। সুতরাং তুমি তোমার খাবার ও পানীয়ের দিকে তাকাও, সেটি পরিবর্তিত হয়নি এবং তুমি তাকাও তোমরা গাধার দিকে, আর যাতে আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে পারি এবং তুমি তাকাও হাড়গুলোর দিকে, কীভাবে আমি তা সংযুক্ত করি, এরপর তাকে আবৃত করি গোশ্ত দ্বারা। পরে যখন তার কাছে স্পষ্ট হলো, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান’। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৬৯)
বনি ইসরাইলের যুগে এমন আরেকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। বনি ইসরাইলের একটি দলের মৃত্যুর প্রকৃতি ও তার কঠোরতা সম্পর্কে জানার ইচ্ছে হয়েছিল। এ জন্য তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করে, যাতে তিনি তাদের জন্য কোনো মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেন। এতে তারা তার কাছ থেকে মৃত্যুর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারে। আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন এবং এক ব্যক্তিকে জীবিত করেন। রাসুল (সা.) সাহাবিদের এ বিস্ময়কর ঘটনাটি শুনিয়েছিলেন। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি বর্ণনা করা হলো—
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাইলের একটি দল তাদের একটি কবরস্থানে গিয়ে বলল, ‘চলো, আমরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি আমাদের জন্য কোনো মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেন, যাতে আমরা তার কাছে মৃত্যুর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি।’ তারা তাই করল। এরপর হঠাৎ এক ব্যক্তি তার মাথা কবর থেকে বের করল। সে ছিল গাঢ় বর্ণের, কপালে ছিল সিজদার চিহ্ন। সে বলল, ‘হে লোকসকল, তোমরা আমার কাছে কী চাও? আমি একশ বছর আগে মারা গিয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত মৃত্যুর তীব্রতা আমার থেকে দূর হয়নি। তোমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি আমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।’ (মুসান্নাফে আবি শায়বা ৯ / ৬২)
হাদিসের শিক্ষা
মৃত পুনর্জীবিত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর: এসব ঘটনায় দেখা যায়, আল্লাহ চাইলেই মৃতদের পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। শেষোক্ত ঘটনায় তিনি একজন ব্যক্তিকে জীবিত করেছিলেন, যাতে সে মৃত্যুর অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পারে।
নেক বান্দাদের প্রতি আল্লাহর সম্মান: শেষোক্ত ঘটনায় একজন সৎ ব্যক্তি পুনরুজ্জীবিত হয়েছিলেন, যার কপালে সিজদার চিহ্ন ছিল। এটি প্রমাণ করে যে আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের সম্মানিত করেন এবং তাদের মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ দেন।
নেককার বান্দাদের দোয়ার গ্রহণযোগ্যতা: যদিও মৃতদের জীবিত করা মানুষের জন্য অস্বাভাবিক ঘটনা, তবু আল্লাহ নেককার মানুষের দোয়া কবুল করে এমন কিছু ঘটাতে পারেন, যা সাধারণ মানুষের বোধ-বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার বাইরে।
ভালো কাজের আগে নামাজ আদায়: কোনো ভালো কাজ করার আগে নামাজ আদায় করা উত্তম।
আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন যুগে কয়েকজন মৃত লোকতে জীবিত করেছিলেন। নবী মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলের নিহত ব্যক্তিকে জীবিত করেছিলেন। জীবিত হয়ে সে তার হত্যাকারীর পরিচয় প্রকাশ করে। কোরআনে সুরা বাকারায় ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, তারপর সে সম্পর্কে পরস্পরকে দোষারোপ করতে লাগলে, অথচ আল্লাহ তা গোপন করছিলেন যা তোমরা গোপন করছিলে। এরপর আমি বললাম, তোমরা এ (গরুর) অংশ দিয়ে তাকে আঘাত করো। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তোমাদের তাঁর নিদর্শন দেখিয়ে থাকেন, যাতে তোমরা অনুধাবন করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৭২-৭৩)
উজাইর (আ.) ছিলেন এক পুণ্যবান ব্যক্তি। যিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদে কিছু হাড় দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন যে কীভাবে আল্লাহ তা পুনরুজ্জীবিত করবেন। তখন আল্লাহ তাঁকে ও তাঁর গাধাকে একশ বছর মৃত্যুর ঘুমে রেখে দেন এবং পরে পুনরুজ্জীবিত করেন, যাতে তিনি দেখেন কীভাবে আল্লাহ মৃত হাড়গুলো পুনরায় গঠন করেন এবং মাংসে রূপ দেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—অথবা সেই ব্যক্তির মতো, যে কোনো জনপদ অতিক্রম করছিল, যা তার ছাদের ওপর বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, আল্লাহ একে কীভাবে জীবিত করবেন মরে যাওয়ার পর? এরপর আল্লাহ তাকে একশ বছর মৃত রাখলেন। এরপর তাকে পুনরুজ্জীবিত করলেন। বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ? সে বলল, ‘আমি একদিন অথবা দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘বরং তুমি একশ বছর অবস্থান করেছ। সুতরাং তুমি তোমার খাবার ও পানীয়ের দিকে তাকাও, সেটি পরিবর্তিত হয়নি এবং তুমি তাকাও তোমরা গাধার দিকে, আর যাতে আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে পারি এবং তুমি তাকাও হাড়গুলোর দিকে, কীভাবে আমি তা সংযুক্ত করি, এরপর তাকে আবৃত করি গোশ্ত দ্বারা। পরে যখন তার কাছে স্পষ্ট হলো, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান’। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৬৯)
বনি ইসরাইলের যুগে এমন আরেকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। বনি ইসরাইলের একটি দলের মৃত্যুর প্রকৃতি ও তার কঠোরতা সম্পর্কে জানার ইচ্ছে হয়েছিল। এ জন্য তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করে, যাতে তিনি তাদের জন্য কোনো মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেন। এতে তারা তার কাছ থেকে মৃত্যুর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারে। আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন এবং এক ব্যক্তিকে জীবিত করেন। রাসুল (সা.) সাহাবিদের এ বিস্ময়কর ঘটনাটি শুনিয়েছিলেন। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি বর্ণনা করা হলো—
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাইলের একটি দল তাদের একটি কবরস্থানে গিয়ে বলল, ‘চলো, আমরা দুই রাকাত নামাজ আদায় করি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি আমাদের জন্য কোনো মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেন, যাতে আমরা তার কাছে মৃত্যুর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি।’ তারা তাই করল। এরপর হঠাৎ এক ব্যক্তি তার মাথা কবর থেকে বের করল। সে ছিল গাঢ় বর্ণের, কপালে ছিল সিজদার চিহ্ন। সে বলল, ‘হে লোকসকল, তোমরা আমার কাছে কী চাও? আমি একশ বছর আগে মারা গিয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত মৃত্যুর তীব্রতা আমার থেকে দূর হয়নি। তোমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি আমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।’ (মুসান্নাফে আবি শায়বা ৯ / ৬২)
হাদিসের শিক্ষা
মৃত পুনর্জীবিত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর: এসব ঘটনায় দেখা যায়, আল্লাহ চাইলেই মৃতদের পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। শেষোক্ত ঘটনায় তিনি একজন ব্যক্তিকে জীবিত করেছিলেন, যাতে সে মৃত্যুর অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পারে।
নেক বান্দাদের প্রতি আল্লাহর সম্মান: শেষোক্ত ঘটনায় একজন সৎ ব্যক্তি পুনরুজ্জীবিত হয়েছিলেন, যার কপালে সিজদার চিহ্ন ছিল। এটি প্রমাণ করে যে আল্লাহ তাঁর নেক বান্দাদের সম্মানিত করেন এবং তাদের মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ দেন।
নেককার বান্দাদের দোয়ার গ্রহণযোগ্যতা: যদিও মৃতদের জীবিত করা মানুষের জন্য অস্বাভাবিক ঘটনা, তবু আল্লাহ নেককার মানুষের দোয়া কবুল করে এমন কিছু ঘটাতে পারেন, যা সাধারণ মানুষের বোধ-বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার বাইরে।
ভালো কাজের আগে নামাজ আদায়: কোনো ভালো কাজ করার আগে নামাজ আদায় করা উত্তম।
সহিহ হাদিসে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনার কথা বলা আছে, যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কারণ তা আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (আ.) সাহাবিদের কাছে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি কখনো নিজ থেকে বানিয়ে কথা বলেন না, বরং আল্লাহর কাছ থেকে অহির ভিত্তিতেই বলেন।
৯ ঘণ্টা আগেআবু আলি আল-হুসাইন ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) (পশ্চিমে ‘অ্যাভিসেনা’ নামে পরিচিত) ছিলেন ইসলামের সোনালি যুগের অন্যতম প্রতিভাধর ব্যক্তি। চিকিৎসা, দর্শন, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইসলামি চিন্তায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেইসলামের বিধানমতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ বা জরুরি নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, দুই. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’
১ দিন আগেপৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়।
১ দিন আগে