ইসলাম ডেস্ক

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
আশিকুর রহমান, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা
কোরআন মাজিদ, হাদিস শরিফ ও ইসলামি আইনশাস্ত্র অধ্যয়নে প্রতীয়মান হয় যে তালগাছ, তুলাগাছ, বাঁশগাছের সঙ্গে জিন বসবাসের কোনো সম্পর্ক নেই; এটি একটি কুসংস্কার। কোরআন ও হাদিসে জিনদের বসবাসের নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা স্থান উল্লেখ করা হয়নি। জিনেরা সাধারণত মানুষের বসতি থেকে দূরে থাকে। তাই এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই
নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা যেকোনো বস্তুকে অলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা একটি অবান্তর ও ভিত্তিহীন চিন্তা। ইসলাম এ জাতীয় ভিত্তিহীন চিন্তা বা বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়। কোনো গাছ বা বস্তুর মধ্যে সত্তাগতভাবে ভালো-মন্দের প্রভাব সৃষ্টির কোনো ক্ষমতা নেই। নবীজি (সা.) এ জাতীয় অমূলক ভিত্তিহীন আকিদা বা বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোগে সংক্রমণ নেই; শুভ-অশুভ আলামত বলে কিছু নেই। পেঁচায় অশুভ আলামত নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭৫৭)
কোনো জিনিসকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা শিরক। হাদিস শরিফে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে। তাই কোনো গাছ বা বস্তুকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করার কোনো সুযোগ নেই। এ জাতীয় ভ্রান্ত ও অমূলক চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। আমাদের কারও মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক; তবে আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯১০)
বৃক্ষরোপণ সওয়াবের কাজ
তালগাছ, তুলাগাছ তথা যেকোনো গাছই প্রকৃতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। মহানবী (সা.) নিজেও একাধিক হাদিসে বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। বৃক্ষরোপণের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। যেমন হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায়, আর তা থেকে পাখি, মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু আহার গ্রহণ করে, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (সহিহ বুখারি: ২৩২০)
এ ছাড়া হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ মুসনাদে আহমাদের ২৩৫২০ নম্বর হাদিসেও বৃক্ষরোপণের ফজিলত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন গাছ লাগায়, ওই গাছে যত ফল হবে, তার আমলনামায় সেই ফল পরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।’
প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের তাৎপর্য অত্যধিক। কেননা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বৃক্ষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য নবী (সা.) বিনা কারণে বৃক্ষনিধনে নিষেধ করেছেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি (অপ্রয়োজনে) কোনো বরইগাছ কাটবে, আল্লাহ তাকে মাথা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৩৯)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আশরাফী, মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম, টঙ্গী, গাজীপুর।

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
আশিকুর রহমান, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা
কোরআন মাজিদ, হাদিস শরিফ ও ইসলামি আইনশাস্ত্র অধ্যয়নে প্রতীয়মান হয় যে তালগাছ, তুলাগাছ, বাঁশগাছের সঙ্গে জিন বসবাসের কোনো সম্পর্ক নেই; এটি একটি কুসংস্কার। কোরআন ও হাদিসে জিনদের বসবাসের নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা স্থান উল্লেখ করা হয়নি। জিনেরা সাধারণত মানুষের বসতি থেকে দূরে থাকে। তাই এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই
নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা যেকোনো বস্তুকে অলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা একটি অবান্তর ও ভিত্তিহীন চিন্তা। ইসলাম এ জাতীয় ভিত্তিহীন চিন্তা বা বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়। কোনো গাছ বা বস্তুর মধ্যে সত্তাগতভাবে ভালো-মন্দের প্রভাব সৃষ্টির কোনো ক্ষমতা নেই। নবীজি (সা.) এ জাতীয় অমূলক ভিত্তিহীন আকিদা বা বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোগে সংক্রমণ নেই; শুভ-অশুভ আলামত বলে কিছু নেই। পেঁচায় অশুভ আলামত নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭৫৭)
কোনো জিনিসকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা শিরক। হাদিস শরিফে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে। তাই কোনো গাছ বা বস্তুকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করার কোনো সুযোগ নেই। এ জাতীয় ভ্রান্ত ও অমূলক চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। আমাদের কারও মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক; তবে আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯১০)
বৃক্ষরোপণ সওয়াবের কাজ
তালগাছ, তুলাগাছ তথা যেকোনো গাছই প্রকৃতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। মহানবী (সা.) নিজেও একাধিক হাদিসে বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। বৃক্ষরোপণের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। যেমন হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায়, আর তা থেকে পাখি, মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু আহার গ্রহণ করে, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (সহিহ বুখারি: ২৩২০)
এ ছাড়া হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ মুসনাদে আহমাদের ২৩৫২০ নম্বর হাদিসেও বৃক্ষরোপণের ফজিলত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন গাছ লাগায়, ওই গাছে যত ফল হবে, তার আমলনামায় সেই ফল পরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।’
প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের তাৎপর্য অত্যধিক। কেননা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বৃক্ষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য নবী (সা.) বিনা কারণে বৃক্ষনিধনে নিষেধ করেছেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি (অপ্রয়োজনে) কোনো বরইগাছ কাটবে, আল্লাহ তাকে মাথা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৩৯)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আশরাফী, মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম, টঙ্গী, গাজীপুর।
ইসলাম ডেস্ক

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
আশিকুর রহমান, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা
কোরআন মাজিদ, হাদিস শরিফ ও ইসলামি আইনশাস্ত্র অধ্যয়নে প্রতীয়মান হয় যে তালগাছ, তুলাগাছ, বাঁশগাছের সঙ্গে জিন বসবাসের কোনো সম্পর্ক নেই; এটি একটি কুসংস্কার। কোরআন ও হাদিসে জিনদের বসবাসের নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা স্থান উল্লেখ করা হয়নি। জিনেরা সাধারণত মানুষের বসতি থেকে দূরে থাকে। তাই এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই
নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা যেকোনো বস্তুকে অলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা একটি অবান্তর ও ভিত্তিহীন চিন্তা। ইসলাম এ জাতীয় ভিত্তিহীন চিন্তা বা বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়। কোনো গাছ বা বস্তুর মধ্যে সত্তাগতভাবে ভালো-মন্দের প্রভাব সৃষ্টির কোনো ক্ষমতা নেই। নবীজি (সা.) এ জাতীয় অমূলক ভিত্তিহীন আকিদা বা বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোগে সংক্রমণ নেই; শুভ-অশুভ আলামত বলে কিছু নেই। পেঁচায় অশুভ আলামত নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭৫৭)
কোনো জিনিসকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা শিরক। হাদিস শরিফে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে। তাই কোনো গাছ বা বস্তুকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করার কোনো সুযোগ নেই। এ জাতীয় ভ্রান্ত ও অমূলক চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। আমাদের কারও মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক; তবে আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯১০)
বৃক্ষরোপণ সওয়াবের কাজ
তালগাছ, তুলাগাছ তথা যেকোনো গাছই প্রকৃতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। মহানবী (সা.) নিজেও একাধিক হাদিসে বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। বৃক্ষরোপণের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। যেমন হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায়, আর তা থেকে পাখি, মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু আহার গ্রহণ করে, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (সহিহ বুখারি: ২৩২০)
এ ছাড়া হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ মুসনাদে আহমাদের ২৩৫২০ নম্বর হাদিসেও বৃক্ষরোপণের ফজিলত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন গাছ লাগায়, ওই গাছে যত ফল হবে, তার আমলনামায় সেই ফল পরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।’
প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের তাৎপর্য অত্যধিক। কেননা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বৃক্ষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য নবী (সা.) বিনা কারণে বৃক্ষনিধনে নিষেধ করেছেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি (অপ্রয়োজনে) কোনো বরইগাছ কাটবে, আল্লাহ তাকে মাথা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৩৯)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আশরাফী, মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম, টঙ্গী, গাজীপুর।

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
আশিকুর রহমান, বাগিচাগাঁও, কুমিল্লা
কোরআন মাজিদ, হাদিস শরিফ ও ইসলামি আইনশাস্ত্র অধ্যয়নে প্রতীয়মান হয় যে তালগাছ, তুলাগাছ, বাঁশগাছের সঙ্গে জিন বসবাসের কোনো সম্পর্ক নেই; এটি একটি কুসংস্কার। কোরআন ও হাদিসে জিনদের বসবাসের নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা স্থান উল্লেখ করা হয়নি। জিনেরা সাধারণত মানুষের বসতি থেকে দূরে থাকে। তাই এসব কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকাই বাঞ্ছনীয়।
কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই
নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা যেকোনো বস্তুকে অলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা একটি অবান্তর ও ভিত্তিহীন চিন্তা। ইসলাম এ জাতীয় ভিত্তিহীন চিন্তা বা বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়। কোনো গাছ বা বস্তুর মধ্যে সত্তাগতভাবে ভালো-মন্দের প্রভাব সৃষ্টির কোনো ক্ষমতা নেই। নবীজি (সা.) এ জাতীয় অমূলক ভিত্তিহীন আকিদা বা বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘রোগে সংক্রমণ নেই; শুভ-অশুভ আলামত বলে কিছু নেই। পেঁচায় অশুভ আলামত নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭৫৭)
কোনো জিনিসকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করা শিরক। হাদিস শরিফে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে। তাই কোনো গাছ বা বস্তুকে কুলক্ষুনে বা অশুভ মনে করার কোনো সুযোগ নেই। এ জাতীয় ভ্রান্ত ও অমূলক চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য বিষয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। আমাদের কারও মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক; তবে আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯১০)
বৃক্ষরোপণ সওয়াবের কাজ
তালগাছ, তুলাগাছ তথা যেকোনো গাছই প্রকৃতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। মহানবী (সা.) নিজেও একাধিক হাদিসে বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। বৃক্ষরোপণের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। যেমন হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোনো ফসল ফলায়, আর তা থেকে পাখি, মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু আহার গ্রহণ করে, তবে তা তার পক্ষ থেকে সদকা বলে গণ্য হবে।’ (সহিহ বুখারি: ২৩২০)
এ ছাড়া হাদিসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ মুসনাদে আহমাদের ২৩৫২০ নম্বর হাদিসেও বৃক্ষরোপণের ফজিলত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন গাছ লাগায়, ওই গাছে যত ফল হবে, তার আমলনামায় সেই ফল পরিমাণ সওয়াব লিপিবদ্ধ হবে।’
প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষরোপণের তাৎপর্য অত্যধিক। কেননা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকতে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে বৃক্ষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ জন্য নবী (সা.) বিনা কারণে বৃক্ষনিধনে নিষেধ করেছেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি (অপ্রয়োজনে) কোনো বরইগাছ কাটবে, আল্লাহ তাকে মাথা উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৩৯)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আশরাফী, মুফতি ও মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম, টঙ্গী, গাজীপুর।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
১৪ নভেম্বর ২০২৫
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
১৪ নভেম্বর ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
১৪ নভেম্বর ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আমাদের দেশের কিছু মানুষের ধারণা, বাড়ির আশপাশে তালগাছ, তুলাগাছ ও বাঁশগাছ লাগালে সেগুলোর মাধ্যমে বাড়িতে খারাপ জিনের প্রভাব পড়তে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই ধারণার কি কোনো ভিত্তি আছে?
১৪ নভেম্বর ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে