মাহমুদ হাসান ফাহিম

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুটি ফলের শপথ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমিতে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন এবং একাধিক নবী-রাসুল এই ভূমিতে আশ্রয়ও নিয়েছেন। এখানে ফিলিস্তিনে যেসব নবীর সমাধি রয়েছে, তাঁদের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
হজরত ইবরাহিম (আ.)
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হেবরন শহর। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। এটি পশ্চিম তীরের সর্ববৃহৎ শহর এবং গাজার পর ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে শায়িত আছেন হজরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২১২; কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫২; ইবনে কাসির, পৃ. ২৩৮-২৩৯)
হজরত ইসহাক (আ.)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বড় ছেলে ইসহাক। কেনানেই তিনি বসবাস করতেন। কেনানের বাইরে তিনি কোথাও যাননি। ১৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ওল্ড সিটির প্যাট্রিয়ার্কস গুহায় পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইয়াকুব (আ.)
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে হেবরনে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ সমাহিত হয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইউসুফ (আ.)
হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে যান, যখন তারা মিসর ত্যাগ করবে, তখন তাদের সঙ্গে তাঁকেও যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মিসরে একটি কফিনে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাঁর অসিয়ত মোতাবেক ফিলিস্তিনের পুণ্যভূমিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ফিলিস্তিনের হেবরনে তাঁর সমাধি রয়েছে। (কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫৩) ইসলামি বিশ্বকোষের বর্ণনামতে, তাঁর সমাধি ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২২/ ১২০-১২১)
হজরত মুসা (আ.)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হজরত মুসা (আ.)-এর সমাধি অবস্থিত। বুখারি শরিফের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর আগে হজরত মুসা (আ.) একটি পাথর নিক্ষেপ করে যত দূর যায়, বায়তুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আরজ করেন। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর সমাধি তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ এই হাদিসে ‘কাসিবুল আহমার’ নামক স্থানের কথা বলা হয়েছে, আর এর ব্যাখ্যায়ও ফিলিস্তিন ভূমির উল্লেখ করা হয়। (বুখারি: ১৩৩৯; মুসলিম: ২৩৭৫) ভিন্ন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত মুসা (আ.) সিনাই পর্বতের কাছে ইন্তেকাল করেন। মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিনাই পর্বতও প্রাচীন ফিলিস্তিনেরই অন্তর্ভুক্ত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২১/ ২৪৪)
হজরত দাউদ (আ.)
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি রয়েছে বলে জানা যায়। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের মতো মুসলমানরাও বেথলহেমে দাউদ (আ.)-এর সমাধি আছে বলে ধারণা করতেন। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জেরুজালেমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাহাড়ে যে সমাধি পাওয়া গেছে, তা হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি বলে অভিহিত করা হয়। (ইসলামি বিশ্বকোষ, ১৩/ ৫৯)
হজরত সোলায়মান (আ.)
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর সমাধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যতটুকু ধারণা করা হয়, তাঁর সমাধিও হারাম শরিফ তথা আকসা মসজিদের আশপাশেই রয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে এই পুণ্যভূমির কোনো এক স্থানেই শায়িত আছেন হজরত সোলায়মান (আ.)। (উইকিপিডিয়া)
হজরত ইয়াহইয়া (আ.)
নাবলুসের পার্শ্ববর্তী শহর সেবাসতিয়ার ফিলিস্তিনি একটি গ্রামে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মসজিদ ও সমাধি অবস্থিত। (উইকিপিডিয়া)

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুটি ফলের শপথ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমিতে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন এবং একাধিক নবী-রাসুল এই ভূমিতে আশ্রয়ও নিয়েছেন। এখানে ফিলিস্তিনে যেসব নবীর সমাধি রয়েছে, তাঁদের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
হজরত ইবরাহিম (আ.)
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হেবরন শহর। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। এটি পশ্চিম তীরের সর্ববৃহৎ শহর এবং গাজার পর ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে শায়িত আছেন হজরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২১২; কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫২; ইবনে কাসির, পৃ. ২৩৮-২৩৯)
হজরত ইসহাক (আ.)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বড় ছেলে ইসহাক। কেনানেই তিনি বসবাস করতেন। কেনানের বাইরে তিনি কোথাও যাননি। ১৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ওল্ড সিটির প্যাট্রিয়ার্কস গুহায় পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইয়াকুব (আ.)
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে হেবরনে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ সমাহিত হয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইউসুফ (আ.)
হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে যান, যখন তারা মিসর ত্যাগ করবে, তখন তাদের সঙ্গে তাঁকেও যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মিসরে একটি কফিনে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাঁর অসিয়ত মোতাবেক ফিলিস্তিনের পুণ্যভূমিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ফিলিস্তিনের হেবরনে তাঁর সমাধি রয়েছে। (কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫৩) ইসলামি বিশ্বকোষের বর্ণনামতে, তাঁর সমাধি ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২২/ ১২০-১২১)
হজরত মুসা (আ.)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হজরত মুসা (আ.)-এর সমাধি অবস্থিত। বুখারি শরিফের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর আগে হজরত মুসা (আ.) একটি পাথর নিক্ষেপ করে যত দূর যায়, বায়তুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আরজ করেন। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর সমাধি তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ এই হাদিসে ‘কাসিবুল আহমার’ নামক স্থানের কথা বলা হয়েছে, আর এর ব্যাখ্যায়ও ফিলিস্তিন ভূমির উল্লেখ করা হয়। (বুখারি: ১৩৩৯; মুসলিম: ২৩৭৫) ভিন্ন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত মুসা (আ.) সিনাই পর্বতের কাছে ইন্তেকাল করেন। মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিনাই পর্বতও প্রাচীন ফিলিস্তিনেরই অন্তর্ভুক্ত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২১/ ২৪৪)
হজরত দাউদ (আ.)
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি রয়েছে বলে জানা যায়। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের মতো মুসলমানরাও বেথলহেমে দাউদ (আ.)-এর সমাধি আছে বলে ধারণা করতেন। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জেরুজালেমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাহাড়ে যে সমাধি পাওয়া গেছে, তা হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি বলে অভিহিত করা হয়। (ইসলামি বিশ্বকোষ, ১৩/ ৫৯)
হজরত সোলায়মান (আ.)
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর সমাধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যতটুকু ধারণা করা হয়, তাঁর সমাধিও হারাম শরিফ তথা আকসা মসজিদের আশপাশেই রয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে এই পুণ্যভূমির কোনো এক স্থানেই শায়িত আছেন হজরত সোলায়মান (আ.)। (উইকিপিডিয়া)
হজরত ইয়াহইয়া (আ.)
নাবলুসের পার্শ্ববর্তী শহর সেবাসতিয়ার ফিলিস্তিনি একটি গ্রামে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মসজিদ ও সমাধি অবস্থিত। (উইকিপিডিয়া)
মাহমুদ হাসান ফাহিম

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুটি ফলের শপথ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমিতে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন এবং একাধিক নবী-রাসুল এই ভূমিতে আশ্রয়ও নিয়েছেন। এখানে ফিলিস্তিনে যেসব নবীর সমাধি রয়েছে, তাঁদের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
হজরত ইবরাহিম (আ.)
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হেবরন শহর। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। এটি পশ্চিম তীরের সর্ববৃহৎ শহর এবং গাজার পর ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে শায়িত আছেন হজরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২১২; কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫২; ইবনে কাসির, পৃ. ২৩৮-২৩৯)
হজরত ইসহাক (আ.)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বড় ছেলে ইসহাক। কেনানেই তিনি বসবাস করতেন। কেনানের বাইরে তিনি কোথাও যাননি। ১৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ওল্ড সিটির প্যাট্রিয়ার্কস গুহায় পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইয়াকুব (আ.)
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে হেবরনে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ সমাহিত হয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইউসুফ (আ.)
হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে যান, যখন তারা মিসর ত্যাগ করবে, তখন তাদের সঙ্গে তাঁকেও যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মিসরে একটি কফিনে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাঁর অসিয়ত মোতাবেক ফিলিস্তিনের পুণ্যভূমিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ফিলিস্তিনের হেবরনে তাঁর সমাধি রয়েছে। (কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫৩) ইসলামি বিশ্বকোষের বর্ণনামতে, তাঁর সমাধি ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২২/ ১২০-১২১)
হজরত মুসা (আ.)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হজরত মুসা (আ.)-এর সমাধি অবস্থিত। বুখারি শরিফের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর আগে হজরত মুসা (আ.) একটি পাথর নিক্ষেপ করে যত দূর যায়, বায়তুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আরজ করেন। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর সমাধি তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ এই হাদিসে ‘কাসিবুল আহমার’ নামক স্থানের কথা বলা হয়েছে, আর এর ব্যাখ্যায়ও ফিলিস্তিন ভূমির উল্লেখ করা হয়। (বুখারি: ১৩৩৯; মুসলিম: ২৩৭৫) ভিন্ন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত মুসা (আ.) সিনাই পর্বতের কাছে ইন্তেকাল করেন। মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিনাই পর্বতও প্রাচীন ফিলিস্তিনেরই অন্তর্ভুক্ত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২১/ ২৪৪)
হজরত দাউদ (আ.)
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি রয়েছে বলে জানা যায়। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের মতো মুসলমানরাও বেথলহেমে দাউদ (আ.)-এর সমাধি আছে বলে ধারণা করতেন। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জেরুজালেমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাহাড়ে যে সমাধি পাওয়া গেছে, তা হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি বলে অভিহিত করা হয়। (ইসলামি বিশ্বকোষ, ১৩/ ৫৯)
হজরত সোলায়মান (আ.)
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর সমাধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যতটুকু ধারণা করা হয়, তাঁর সমাধিও হারাম শরিফ তথা আকসা মসজিদের আশপাশেই রয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে এই পুণ্যভূমির কোনো এক স্থানেই শায়িত আছেন হজরত সোলায়মান (আ.)। (উইকিপিডিয়া)
হজরত ইয়াহইয়া (আ.)
নাবলুসের পার্শ্ববর্তী শহর সেবাসতিয়ার ফিলিস্তিনি একটি গ্রামে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মসজিদ ও সমাধি অবস্থিত। (উইকিপিডিয়া)

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুটি ফলের শপথ করেছেন। আল্লাহ তাআলা এই পবিত্র ভূমিতে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন এবং একাধিক নবী-রাসুল এই ভূমিতে আশ্রয়ও নিয়েছেন। এখানে ফিলিস্তিনে যেসব নবীর সমাধি রয়েছে, তাঁদের আলোচনা তুলে ধরা হলো—
হজরত ইবরাহিম (আ.)
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হেবরন শহর। জেরুজালেম থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। এটি পশ্চিম তীরের সর্ববৃহৎ শহর এবং গাজার পর ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এখানে শায়িত আছেন হজরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ (আ.)। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১ / ২১২; কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫২; ইবনে কাসির, পৃ. ২৩৮-২৩৯)
হজরত ইসহাক (আ.)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বড় ছেলে ইসহাক। কেনানেই তিনি বসবাস করতেন। কেনানের বাইরে তিনি কোথাও যাননি। ১৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ওল্ড সিটির প্যাট্রিয়ার্কস গুহায় পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইয়াকুব (আ.)
হজরত ইয়াকুব (আ.) তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে হেবরনে পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ সমাহিত হয়েছেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/ ২১২)
হজরত ইউসুফ (আ.)
হজরত ইউসুফ (আ.) মিসরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি অসিয়ত করে যান, যখন তারা মিসর ত্যাগ করবে, তখন তাদের সঙ্গে তাঁকেও যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ মিসরে একটি কফিনে সংরক্ষণ করা হয় এবং তাঁর অসিয়ত মোতাবেক ফিলিস্তিনের পুণ্যভূমিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ফিলিস্তিনের হেবরনে তাঁর সমাধি রয়েছে। (কাসাসুল আম্বিয়া, পৃ. ১৫৩) ইসলামি বিশ্বকোষের বর্ণনামতে, তাঁর সমাধি ফিলিস্তিনের নাবলুস শহরে অবস্থিত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২২/ ১২০-১২১)
হজরত মুসা (আ.)
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হজরত মুসা (আ.)-এর সমাধি অবস্থিত। বুখারি শরিফের এক দীর্ঘ হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর আগে হজরত মুসা (আ.) একটি পাথর নিক্ষেপ করে যত দূর যায়, বায়তুল মুকাদ্দাসের ততটুকু নিকটবর্তী স্থানে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আরজ করেন। এরপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এখন আমি সেখানে থাকলে অবশ্যই পাথরের পাশে লাল বালুর টিলার কাছে তাঁর সমাধি তোমাদের দেখিয়ে দিতাম।’ এই হাদিসে ‘কাসিবুল আহমার’ নামক স্থানের কথা বলা হয়েছে, আর এর ব্যাখ্যায়ও ফিলিস্তিন ভূমির উল্লেখ করা হয়। (বুখারি: ১৩৩৯; মুসলিম: ২৩৭৫) ভিন্ন এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত মুসা (আ.) সিনাই পর্বতের কাছে ইন্তেকাল করেন। মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিনাই পর্বতও প্রাচীন ফিলিস্তিনেরই অন্তর্ভুক্ত। (ইসলামি বিশ্বকোষ ২১/ ২৪৪)
হজরত দাউদ (আ.)
জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাইরে হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি রয়েছে বলে জানা যায়। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত খ্রিষ্টানদের মতো মুসলমানরাও বেথলহেমে দাউদ (আ.)-এর সমাধি আছে বলে ধারণা করতেন। ক্রুসেড যুদ্ধের সময় জেরুজালেমের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পাহাড়ে যে সমাধি পাওয়া গেছে, তা হজরত দাউদ (আ.)-এর সমাধি বলে অভিহিত করা হয়। (ইসলামি বিশ্বকোষ, ১৩/ ৫৯)
হজরত সোলায়মান (আ.)
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর সমাধি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। যতটুকু ধারণা করা হয়, তাঁর সমাধিও হারাম শরিফ তথা আকসা মসজিদের আশপাশেই রয়েছে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে এই পুণ্যভূমির কোনো এক স্থানেই শায়িত আছেন হজরত সোলায়মান (আ.)। (উইকিপিডিয়া)
হজরত ইয়াহইয়া (আ.)
নাবলুসের পার্শ্ববর্তী শহর সেবাসতিয়ার ফিলিস্তিনি একটি গ্রামে হজরত ইয়াহইয়া (আ.)-এর মসজিদ ও সমাধি অবস্থিত। (উইকিপিডিয়া)

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

পৃথিবীর পবিত্রতম ভূখণ্ড ফিলিস্তিন। বায়তুল মোকাদ্দাস এর প্রাণকেন্দ্র। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিন ইবনে সাম ইবনে আরম ইবনে সাম ইবনে নুহের নামানুসারেই ফিলিস্তিনের নামকরণ করা হয়। (মুজামুল বুলদান: ৪৪৪) পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বিনে আল্লাহ তাআলা প্রাচীন ফিলিস্তিনের অন্তর্গত ‘সিনাই পর্বত’ ও ফিলিস্তিনের দুট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে