আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’
শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।
এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।
ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’
শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।
এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।
ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’
শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।
এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।
ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’
শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।
এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।
ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
১৬ মিনিট আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস বা ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ দেওয়া ঘোষণা দেন। ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা লাভের ঐতিহাসিক বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অঙ্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বোনাস প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এই অর্থের সংস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত তাঁর প্রশাসনের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত ব্যাপক শুল্ক নীতি এবং গত ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ‘ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল’ থেকে আসবে। ভাষণে ট্রাম্প অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর চেয়ে এই সম্মানের দাবিদার আর কেউ নেই। চেকগুলো ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে এবং বড়দিনের উৎসবের আগেই তা আমাদের বীরদের হাতে পৌঁছাবে।’
মাত্র ১৮ মিনিটের এই ভাষণে ট্রাম্প তাঁর গত ১১ মাসের অর্থনৈতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের মতে, পেট্রল এবং ডিমের দাম কমেছে।
তিনি বর্তমান দ্রব্যমূল্যের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন, ভাষণে সাতবার বাইডেনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা মুদি পণ্যের দাম আকাশে তুলেছিলেন, কিন্তু আমরা তা সমাধান করছি।’
যদিও সরকারি তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। সেপ্টেম্বরের অর্থনৈতিক উপাত্ত অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশ ছুঁয়েছে। যদিও কিছু পণ্যের দাম কমেছে, তবে সাধারণ আমেরিকানদের বড় অংশই এখনো আবাসন খরচ, শিশু যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট।
ট্রাম্পের এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল যখন বিভিন্ন স্বাধীন জনমত জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ভাষণে তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকলেও পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
পলিটিকো-এর জরিপ অনুযায়ী, অর্ধেক ভোটার এবং এমনকি ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া ১০ জনের মধ্যে ৪ জন মনে করেন জীবনযাত্রার ব্যয় তাঁদের জীবদ্দশায় এখন সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে আছে।
সিবিএস নিউজ/ইউগভ-এর নভেম্বর মাসের জরিপ বলছে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ট্রাম্পের ওপর জনসমর্থন গত মার্চের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে মাত্র ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক সিটি, এমনকি মিয়ামি এবং জর্জিয়ার নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আশানুরূপ ফল না হওয়াকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হিসেবে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।
২০২৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার ২৫০ তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। সেই মাইলফলককে সামনে রেখে ট্রাম্প এক দেশপ্রেমমূলক আহ্বানের মাধ্যমে তাঁর ভাষণ শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর বিশ্ব যখন আমাদের দিকে তাকাবে, তারা দেখবে এমন এক জাতি যারা তাদের নাগরিকদের প্রতি অনুগত এবং শ্রমিকদের প্রতি বিশ্বস্ত। আমরা আবার আগের মতো সম্মান পাচ্ছি।’
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সমর্থন ধরে রাখতেই এই ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গত ১১ মাসে সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না আসায়, এই সংক্ষিপ্ত ভাষণ বা এককালীন বোনাস ভোটারদের দীর্ঘমেয়াদি অসন্তোষ কমাতে কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস বা ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ দেওয়া ঘোষণা দেন। ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা লাভের ঐতিহাসিক বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে এই অঙ্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বোনাস প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এই অর্থের সংস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত তাঁর প্রশাসনের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত ব্যাপক শুল্ক নীতি এবং গত ৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ‘ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল’ থেকে আসবে। ভাষণে ট্রাম্প অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর চেয়ে এই সম্মানের দাবিদার আর কেউ নেই। চেকগুলো ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে এবং বড়দিনের উৎসবের আগেই তা আমাদের বীরদের হাতে পৌঁছাবে।’
মাত্র ১৮ মিনিটের এই ভাষণে ট্রাম্প তাঁর গত ১১ মাসের অর্থনৈতিক সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের মতে, পেট্রল এবং ডিমের দাম কমেছে।
তিনি বর্তমান দ্রব্যমূল্যের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করেন, ভাষণে সাতবার বাইডেনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা মুদি পণ্যের দাম আকাশে তুলেছিলেন, কিন্তু আমরা তা সমাধান করছি।’
যদিও সরকারি তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। সেপ্টেম্বরের অর্থনৈতিক উপাত্ত অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশ ছুঁয়েছে। যদিও কিছু পণ্যের দাম কমেছে, তবে সাধারণ আমেরিকানদের বড় অংশই এখনো আবাসন খরচ, শিশু যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট।
ট্রাম্পের এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল যখন বিভিন্ন স্বাধীন জনমত জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ভাষণে তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকলেও পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
পলিটিকো-এর জরিপ অনুযায়ী, অর্ধেক ভোটার এবং এমনকি ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া ১০ জনের মধ্যে ৪ জন মনে করেন জীবনযাত্রার ব্যয় তাঁদের জীবদ্দশায় এখন সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে আছে।
সিবিএস নিউজ/ইউগভ-এর নভেম্বর মাসের জরিপ বলছে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ট্রাম্পের ওপর জনসমর্থন গত মার্চের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে মাত্র ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক সিটি, এমনকি মিয়ামি এবং জর্জিয়ার নির্বাচনে রিপাবলিকানদের আশানুরূপ ফল না হওয়াকে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হিসেবে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।
২০২৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার ২৫০ তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। সেই মাইলফলককে সামনে রেখে ট্রাম্প এক দেশপ্রেমমূলক আহ্বানের মাধ্যমে তাঁর ভাষণ শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর বিশ্ব যখন আমাদের দিকে তাকাবে, তারা দেখবে এমন এক জাতি যারা তাদের নাগরিকদের প্রতি অনুগত এবং শ্রমিকদের প্রতি বিশ্বস্ত। আমরা আবার আগের মতো সম্মান পাচ্ছি।’
বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সমর্থন ধরে রাখতেই এই ‘ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গত ১১ মাসে সাধারণ মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না আসায়, এই সংক্ষিপ্ত ভাষণ বা এককালীন বোনাস ভোটারদের দীর্ঘমেয়াদি অসন্তোষ কমাতে কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
০২ নভেম্বর ২০২৫
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মিলারের এই মন্তব্য ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ঘিরে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা ট্রাম্প প্রশাসন এত দিন দাবি করে আসছে, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মূল কারণ মাদক পাচার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে স্টিফেন মিলার লেখেন, ‘ভেনেজুয়েলার তেলশিল্প গড়ে উঠেছে আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই স্বৈরাচারী দখলদারি মার্কিন সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসে নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় চুরি। পরে এই লুণ্ঠিত সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থ জোগাতে এবং খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক দিয়ে আমাদের সড়কগুলো প্লাবিত করতে।’
তবে আন্তর্জাতিক আইন বলছে, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতির আওতায় ভেনেজুয়েলার তেল ওই দেশটিরই সম্পদ।
যদিও ভেনেজুয়েলায় তেল অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো যুক্ত ছিল। ১৯৭৬ সালে তেল খাত জাতীয়করণ করে ভেনেজুয়েলা। এরপর খাতটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএর হাতে।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে প্রয়াত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ ভেনেজুয়েলার অবশিষ্ট বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টদের কার্যত ওই দেশ থেকে সরে আসতে হয়।
এ সময় তেল খাত জাতীয়করণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো আইনি লড়াই শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সালিসি ট্রাইব্যুনাল এক্সন মোবিলকে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ভেনেজুয়েলাকে নির্দেশ দেয়। তবে এ-সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিজের তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি আরও জোরদার করেন ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলোর ওপর অবরোধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আর এই অবরোধ ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্রমেই কঠোর ও সংঘাতমুখী নীতির অংশ। আর ট্রাম্পের এই নীতির লক্ষ্য দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আবারও স্টিফেন মিলারের বক্তব্যের সুরে বলেন, ভেনেজুয়েলাবাসী যুক্তরাষ্ট্রের তেল চুরি করেছে।
ট্রাম্প লেখেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠা সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি আরও বড় আকার নেবে। তাদের জন্য যে ধাক্কা আসবে, তা তারা আগে কখনো দেখেনি। যত দিন না তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগে চুরি করা সব তেল, ভূমি ও অন্যান্য সম্পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে, তত দিন এটা চলবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধেও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত নভেম্বরে প্রশাসন ‘কার্টেল দে লস সোলেস’-কে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। যদিও এই নামটি কোনো সংগঠিত গোষ্ঠীকে নির্দেশ করে না।
বরং এটি ভেনেজুয়েলার সরকার ও সামরিক বাহিনীর ভেতরে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ বোঝাতে ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেনেজুয়েলার শাসনব্যবস্থাকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর পেছনে তিনি যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে।
তবে গত বুধবার অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ব্যক্তিগত তেল কোম্পানিগুলোর কাছে যোগাযোগ করেছে। তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে তারা ভেনেজুয়েলায় আবার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কি না।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মারিয়া করোনা মাচাদো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, দেশের তেল খাত বেসরকারীকরণ করা হবে এবং বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তিনি এ বছরের শুরুতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মিলারের এই মন্তব্য ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ঘিরে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা ট্রাম্প প্রশাসন এত দিন দাবি করে আসছে, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনার মূল কারণ মাদক পাচার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে স্টিফেন মিলার লেখেন, ‘ভেনেজুয়েলার তেলশিল্প গড়ে উঠেছে আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবনী শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এই স্বৈরাচারী দখলদারি মার্কিন সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসে নথিভুক্ত সবচেয়ে বড় চুরি। পরে এই লুণ্ঠিত সম্পদ ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসে অর্থ জোগাতে এবং খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক দিয়ে আমাদের সড়কগুলো প্লাবিত করতে।’
তবে আন্তর্জাতিক আইন বলছে, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতির আওতায় ভেনেজুয়েলার তেল ওই দেশটিরই সম্পদ।
যদিও ভেনেজুয়েলায় তেল অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো যুক্ত ছিল। ১৯৭৬ সালে তেল খাত জাতীয়করণ করে ভেনেজুয়েলা। এরপর খাতটির নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিডিভিএসএর হাতে।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালে প্রয়াত বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ ভেনেজুয়েলার অবশিষ্ট বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টদের কার্যত ওই দেশ থেকে সরে আসতে হয়।
এ সময় তেল খাত জাতীয়করণের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো আইনি লড়াই শুরু করে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সালিসি ট্রাইব্যুনাল এক্সন মোবিলকে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ভেনেজুয়েলাকে নির্দেশ দেয়। তবে এ-সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিজের তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি আরও জোরদার করেন ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভেনেজুয়েলার তেলবাহী জাহাজগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে এগুলোর ওপর অবরোধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। আর এই অবরোধ ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্রমেই কঠোর ও সংঘাতমুখী নীতির অংশ। আর ট্রাম্পের এই নীতির লক্ষ্য দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আবারও স্টিফেন মিলারের বক্তব্যের সুরে বলেন, ভেনেজুয়েলাবাসী যুক্তরাষ্ট্রের তেল চুরি করেছে।
ট্রাম্প লেখেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠা সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এটি আরও বড় আকার নেবে। তাদের জন্য যে ধাক্কা আসবে, তা তারা আগে কখনো দেখেনি। যত দিন না তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগে চুরি করা সব তেল, ভূমি ও অন্যান্য সম্পদ ফিরিয়ে দিচ্ছে, তত দিন এটা চলবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধেও একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত নভেম্বরে প্রশাসন ‘কার্টেল দে লস সোলেস’-কে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। যদিও এই নামটি কোনো সংগঠিত গোষ্ঠীকে নির্দেশ করে না।
বরং এটি ভেনেজুয়েলার সরকার ও সামরিক বাহিনীর ভেতরে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ বোঝাতে ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেনেজুয়েলার শাসনব্যবস্থাকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করবেন। এর পেছনে তিনি যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করেছে।
তবে গত বুধবার অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ব্যক্তিগত তেল কোম্পানিগুলোর কাছে যোগাযোগ করেছে। তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে তারা ভেনেজুয়েলায় আবার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কি না।
এদিকে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মারিয়া করোনা মাচাদো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদি মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হন, দেশের তেল খাত বেসরকারীকরণ করা হবে এবং বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তিনি এ বছরের শুরুতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
০২ নভেম্বর ২০২৫
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
১৬ মিনিট আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
০২ নভেম্বর ২০২৫
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
১৬ মিনিট আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শ
০২ নভেম্বর ২০২৫
বড়দিনের ঠিক আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য বড় ধরনের উপহার ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ টেলিভিশন ভাষণে তিনি সাড়ে ১৪ লাখ সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনার প্রত্যেকের জন্য ১ হাজার ৭৭৬ ডলারের একটি বিশেষ বোনাস...
১৬ মিনিট আগে
ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির তেলশিল্প জাতীয়করণকে ‘চুরি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার মিলার এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৪ ঘণ্টা আগে