আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই প্রতিরক্ষা বিভাগকে নাড়িয়ে দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হেগসেথ দীর্ঘদিন ধরে মনে করে আসছেন, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সংখ্যা অতিরিক্ত। এ বিষয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে দ্রুত পুনর্গঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের বরখাস্ত করেছেন। তিনি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর বৈষম্যমূলক উদ্যোগগুলো নির্মূল করতেও সচেষ্ট।
হেগসেথ একটি মেমোতে বলেন, ন্যাশনাল গার্ডে জেনারেল অফিসারের সংখ্যাতেও ন্যূনতম ২০ শতাংশ কমানো হবে। সামরিকবাহিনী জুড়ে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারদের মধ্যে আরও ১০ শতাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে।
হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘বেশি বেশি জেনারেল ও অ্যাডমিরাল মানেই বেশি সাফল্য নয়। এটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনো ছাঁটাই নয়।’ তিনি আরও বলেন, তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করেছেন। লক্ষ্য ছিল ‘কৌশলগত প্রস্তুতি সর্বাধিক করা।’
কংগ্রেসে নিয়োগের শুনানির সময় হেগসেথ বলেছিলেন, ‘কর্মী সংখ্যা ও যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে।’ সে সময় তিনি বলেছিলেন, সামরিক বাহিনীতে ৪৪টি চার তারকা পদ আছে। তারপর থেকে তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড এই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি হেগসেথের বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই সামরিক নেতাদের বরখাস্ত করার অভিযোগ এনেছেন। সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রিড বলেন, ‘আমি সব সময় প্রতিরক্ষা বিভাগে দক্ষতার পক্ষে কথা বলেছি। কিন্তু কঠিন কর্মীদের সিদ্ধান্তগুলো তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, খেয়ালখুশি মতো শতাংশের ভিত্তিতে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক কারণ ছাড়াই আমাদের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদগুলো সরিয়ে দেওয়া সামরিক বাহিনীতে দক্ষতা তৈরি করবে না। এটি এটিকে পঙ্গু করে দিতে পারে।’
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ভিডিওতে হেগসেথ বলেছেন, ছাঁটাইগুলো সাবধানে তবে ‘দ্রুতই’ করা হবে। কোন পদগুলো কাটা হবে তা স্পষ্ট নয়। পেন্টাগন তার বিশ্বব্যাপী উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা করছে। হেগসেথ কিছু কম্ব্যাটেন্ট কমান্ডকে একীভূত করার কথা বিবেচনা করছেন। এই কমান্ডগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এগুলোর নেতৃত্ব দেন চার তারকা অফিসাররা।
এর মধ্যে, ইউএস আফ্রিকান কমান্ডের সঙ্গে ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ডকে একীভূত করা অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এর ফলে, চার তারকা জেনারেলের একটি পদ কমিয়ে দেবে। এর অর্থ সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ আমেরিকার অভিযানের দায়িত্বে থাকা ইউএস সাউদার্ন কমান্ডকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ডের সঙ্গে একত্র করাও হতে পারে।
হেগসেথ অন্যান্য চার তারকা পদগুলোর দিকেও নজর দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন সেনা প্রধান এবং কোরিয়ার মার্কিন সেনা কমান্ডের প্রধান। গত কয়েক মাসে পেন্টাগনে শুধু ইউনিফর্ম পরা কর্মকর্তারাই নন, বেসামরিক কর্মকর্তারাও ব্যাপক পরিবর্তনের শিকার হয়েছেন। হেগসেথের চিফ অব স্টাফের ২১ মার্চের একটি ফাঁস তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর সম্প্রতি তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই প্রতিরক্ষা বিভাগকে নাড়িয়ে দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হেগসেথ দীর্ঘদিন ধরে মনে করে আসছেন, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সংখ্যা অতিরিক্ত। এ বিষয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে দ্রুত পুনর্গঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের বরখাস্ত করেছেন। তিনি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর বৈষম্যমূলক উদ্যোগগুলো নির্মূল করতেও সচেষ্ট।
হেগসেথ একটি মেমোতে বলেন, ন্যাশনাল গার্ডে জেনারেল অফিসারের সংখ্যাতেও ন্যূনতম ২০ শতাংশ কমানো হবে। সামরিকবাহিনী জুড়ে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারদের মধ্যে আরও ১০ শতাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে।
হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘বেশি বেশি জেনারেল ও অ্যাডমিরাল মানেই বেশি সাফল্য নয়। এটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনো ছাঁটাই নয়।’ তিনি আরও বলেন, তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করেছেন। লক্ষ্য ছিল ‘কৌশলগত প্রস্তুতি সর্বাধিক করা।’
কংগ্রেসে নিয়োগের শুনানির সময় হেগসেথ বলেছিলেন, ‘কর্মী সংখ্যা ও যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে।’ সে সময় তিনি বলেছিলেন, সামরিক বাহিনীতে ৪৪টি চার তারকা পদ আছে। তারপর থেকে তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড এই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি হেগসেথের বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই সামরিক নেতাদের বরখাস্ত করার অভিযোগ এনেছেন। সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রিড বলেন, ‘আমি সব সময় প্রতিরক্ষা বিভাগে দক্ষতার পক্ষে কথা বলেছি। কিন্তু কঠিন কর্মীদের সিদ্ধান্তগুলো তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, খেয়ালখুশি মতো শতাংশের ভিত্তিতে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক কারণ ছাড়াই আমাদের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদগুলো সরিয়ে দেওয়া সামরিক বাহিনীতে দক্ষতা তৈরি করবে না। এটি এটিকে পঙ্গু করে দিতে পারে।’
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ভিডিওতে হেগসেথ বলেছেন, ছাঁটাইগুলো সাবধানে তবে ‘দ্রুতই’ করা হবে। কোন পদগুলো কাটা হবে তা স্পষ্ট নয়। পেন্টাগন তার বিশ্বব্যাপী উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা করছে। হেগসেথ কিছু কম্ব্যাটেন্ট কমান্ডকে একীভূত করার কথা বিবেচনা করছেন। এই কমান্ডগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এগুলোর নেতৃত্ব দেন চার তারকা অফিসাররা।
এর মধ্যে, ইউএস আফ্রিকান কমান্ডের সঙ্গে ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ডকে একীভূত করা অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এর ফলে, চার তারকা জেনারেলের একটি পদ কমিয়ে দেবে। এর অর্থ সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ আমেরিকার অভিযানের দায়িত্বে থাকা ইউএস সাউদার্ন কমান্ডকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ডের সঙ্গে একত্র করাও হতে পারে।
হেগসেথ অন্যান্য চার তারকা পদগুলোর দিকেও নজর দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন সেনা প্রধান এবং কোরিয়ার মার্কিন সেনা কমান্ডের প্রধান। গত কয়েক মাসে পেন্টাগনে শুধু ইউনিফর্ম পরা কর্মকর্তারাই নন, বেসামরিক কর্মকর্তারাও ব্যাপক পরিবর্তনের শিকার হয়েছেন। হেগসেথের চিফ অব স্টাফের ২১ মার্চের একটি ফাঁস তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর সম্প্রতি তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই প্রতিরক্ষা বিভাগকে নাড়িয়ে দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হেগসেথ দীর্ঘদিন ধরে মনে করে আসছেন, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সংখ্যা অতিরিক্ত। এ বিষয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে দ্রুত পুনর্গঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের বরখাস্ত করেছেন। তিনি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর বৈষম্যমূলক উদ্যোগগুলো নির্মূল করতেও সচেষ্ট।
হেগসেথ একটি মেমোতে বলেন, ন্যাশনাল গার্ডে জেনারেল অফিসারের সংখ্যাতেও ন্যূনতম ২০ শতাংশ কমানো হবে। সামরিকবাহিনী জুড়ে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারদের মধ্যে আরও ১০ শতাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে।
হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘বেশি বেশি জেনারেল ও অ্যাডমিরাল মানেই বেশি সাফল্য নয়। এটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনো ছাঁটাই নয়।’ তিনি আরও বলেন, তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করেছেন। লক্ষ্য ছিল ‘কৌশলগত প্রস্তুতি সর্বাধিক করা।’
কংগ্রেসে নিয়োগের শুনানির সময় হেগসেথ বলেছিলেন, ‘কর্মী সংখ্যা ও যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে।’ সে সময় তিনি বলেছিলেন, সামরিক বাহিনীতে ৪৪টি চার তারকা পদ আছে। তারপর থেকে তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড এই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি হেগসেথের বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই সামরিক নেতাদের বরখাস্ত করার অভিযোগ এনেছেন। সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রিড বলেন, ‘আমি সব সময় প্রতিরক্ষা বিভাগে দক্ষতার পক্ষে কথা বলেছি। কিন্তু কঠিন কর্মীদের সিদ্ধান্তগুলো তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, খেয়ালখুশি মতো শতাংশের ভিত্তিতে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক কারণ ছাড়াই আমাদের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদগুলো সরিয়ে দেওয়া সামরিক বাহিনীতে দক্ষতা তৈরি করবে না। এটি এটিকে পঙ্গু করে দিতে পারে।’
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ভিডিওতে হেগসেথ বলেছেন, ছাঁটাইগুলো সাবধানে তবে ‘দ্রুতই’ করা হবে। কোন পদগুলো কাটা হবে তা স্পষ্ট নয়। পেন্টাগন তার বিশ্বব্যাপী উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা করছে। হেগসেথ কিছু কম্ব্যাটেন্ট কমান্ডকে একীভূত করার কথা বিবেচনা করছেন। এই কমান্ডগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এগুলোর নেতৃত্ব দেন চার তারকা অফিসাররা।
এর মধ্যে, ইউএস আফ্রিকান কমান্ডের সঙ্গে ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ডকে একীভূত করা অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এর ফলে, চার তারকা জেনারেলের একটি পদ কমিয়ে দেবে। এর অর্থ সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ আমেরিকার অভিযানের দায়িত্বে থাকা ইউএস সাউদার্ন কমান্ডকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ডের সঙ্গে একত্র করাও হতে পারে।
হেগসেথ অন্যান্য চার তারকা পদগুলোর দিকেও নজর দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন সেনা প্রধান এবং কোরিয়ার মার্কিন সেনা কমান্ডের প্রধান। গত কয়েক মাসে পেন্টাগনে শুধু ইউনিফর্ম পরা কর্মকর্তারাই নন, বেসামরিক কর্মকর্তারাও ব্যাপক পরিবর্তনের শিকার হয়েছেন। হেগসেথের চিফ অব স্টাফের ২১ মার্চের একটি ফাঁস তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর সম্প্রতি তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই প্রতিরক্ষা বিভাগকে নাড়িয়ে দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হেগসেথ দীর্ঘদিন ধরে মনে করে আসছেন, মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সংখ্যা অতিরিক্ত। এ বিষয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে দ্রুত পুনর্গঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি শীর্ষ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের বরখাস্ত করেছেন। তিনি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন। একই সঙ্গে তিনি মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীর বৈষম্যমূলক উদ্যোগগুলো নির্মূল করতেও সচেষ্ট।
হেগসেথ একটি মেমোতে বলেন, ন্যাশনাল গার্ডে জেনারেল অফিসারের সংখ্যাতেও ন্যূনতম ২০ শতাংশ কমানো হবে। সামরিকবাহিনী জুড়ে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারদের মধ্যে আরও ১০ শতাংশকে ছেঁটে ফেলা হবে।
হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘বেশি বেশি জেনারেল ও অ্যাডমিরাল মানেই বেশি সাফল্য নয়। এটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনো ছাঁটাই নয়।’ তিনি আরও বলেন, তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সঙ্গে এই বিষয়ে কাজ করেছেন। লক্ষ্য ছিল ‘কৌশলগত প্রস্তুতি সর্বাধিক করা।’
কংগ্রেসে নিয়োগের শুনানির সময় হেগসেথ বলেছিলেন, ‘কর্মী সংখ্যা ও যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে।’ সে সময় তিনি বলেছিলেন, সামরিক বাহিনীতে ৪৪টি চার তারকা পদ আছে। তারপর থেকে তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড এই পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি হেগসেথের বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই সামরিক নেতাদের বরখাস্ত করার অভিযোগ এনেছেন। সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট রিড বলেন, ‘আমি সব সময় প্রতিরক্ষা বিভাগে দক্ষতার পক্ষে কথা বলেছি। কিন্তু কঠিন কর্মীদের সিদ্ধান্তগুলো তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, খেয়ালখুশি মতো শতাংশের ভিত্তিতে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক কারণ ছাড়াই আমাদের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদগুলো সরিয়ে দেওয়া সামরিক বাহিনীতে দক্ষতা তৈরি করবে না। এটি এটিকে পঙ্গু করে দিতে পারে।’
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ভিডিওতে হেগসেথ বলেছেন, ছাঁটাইগুলো সাবধানে তবে ‘দ্রুতই’ করা হবে। কোন পদগুলো কাটা হবে তা স্পষ্ট নয়। পেন্টাগন তার বিশ্বব্যাপী উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা করছে। হেগসেথ কিছু কম্ব্যাটেন্ট কমান্ডকে একীভূত করার কথা বিবেচনা করছেন। এই কমান্ডগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করে। এগুলোর নেতৃত্ব দেন চার তারকা অফিসাররা।
এর মধ্যে, ইউএস আফ্রিকান কমান্ডের সঙ্গে ইউএস ইউরোপিয়ান কমান্ডকে একীভূত করা অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এর ফলে, চার তারকা জেনারেলের একটি পদ কমিয়ে দেবে। এর অর্থ সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ আমেরিকার অভিযানের দায়িত্বে থাকা ইউএস সাউদার্ন কমান্ডকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ডের সঙ্গে একত্র করাও হতে পারে।
হেগসেথ অন্যান্য চার তারকা পদগুলোর দিকেও নজর দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন সেনা প্রধান এবং কোরিয়ার মার্কিন সেনা কমান্ডের প্রধান। গত কয়েক মাসে পেন্টাগনে শুধু ইউনিফর্ম পরা কর্মকর্তারাই নন, বেসামরিক কর্মকর্তারাও ব্যাপক পরিবর্তনের শিকার হয়েছেন। হেগসেথের চিফ অব স্টাফের ২১ মার্চের একটি ফাঁস তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর সম্প্রতি তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে
০৬ মে ২০২৫
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে
০৬ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৫ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে
০৬ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্রবাহিনী থেকে পূর্ণাঙ্গ জেনারেল বা চার তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার চার তারকা জেনারেলদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্রবাহিনীতে এই ব্যাপক কাটছাঁটের মাধ্যমে
০৬ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে