Ajker Patrika

স্বাধীনতার আড়াই শ বছরেও বর্ণবাদ থেকে মুক্তি মেলেনি

ইমরান খান
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২১, ১৯: ৫৫
স্বাধীনতার আড়াই শ বছরেও বর্ণবাদ থেকে মুক্তি মেলেনি

এই করোনা মহামারির মধ্যেই আজ ৪ জুলাই উদ্‌যাপন করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশটি যে পথচলা শুরু করেছিল, তা গত প্রায় আড়াই শ বছরে শুধু স্থিতিই পায়নি, গোটা বিশ্বের মোড়লের খ্যাতিও তাকে এনে দিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে যে যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বকে আশার আলো দেখিয়েছিল, ঐক্যের ভবিষ্যতের, সেই যুক্তরাষ্ট্রের নামই ২৪৫ বছর পর আজ নানা কারণে উঠে আসে বিভাজনের উদ্গাতা হিসেবে। দেশে দেশে বৈরিতা বা দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার কারিগর হিসেবে যেমন, তেমনি নিজ দেশেও বিভাজনের রেখাটি গত কয়েক বছরে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 

 ১৭৭৬ সালে প্রধান সেনাপতি জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী বিতাড়িত করার পর ওই বছরের ৪ জুলাই টমাস জেফারসন রচিত ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়। আর এর মধ্য দিয়ে ১৩টি আমেরিকান উপনিবেশ একসঙ্গে স্বাধীন হয়। সেই স্বাধীন উপনিবেশগুলোই আজকের ‘যুক্তরাষ্ট্র’। সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম ভাগেই সুস্পষ্টভাবে প্রত্যেক মানুষের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা কেড়ে নেওয়া যায় না। এই অধিকারের তালিকায় কী কী আছে? আছে বেঁচে থাকার অধিকার, আছে সুখান্বেষণ ও স্বাধীনতার অধিকার। এই এক স্বাধীনতার প্রশ্নেই সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় আড়াই শতাব্দী পরও এর অনেক কিছুই কাগুজে থেকে গেল। এত দিন এটি খোলসের নিচে চাপা ছিল। কিন্তু গত বছর করোনাকালে জর্জ ফ্লয়েড যখন পুলিশি নির্যাতনে নিহত হলেন, তখনই বোঝা গেল কত অসংগতি এখনো রয়ে গেছে সবাইকে আধুনিকতা, সমানাধিকার ও গণতন্ত্র শেখানো রাষ্ট্রটির ভেতরে। 

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে এখনো নানা মোড়কে বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ, লিঙ্গবৈষম্যের নমুনা দেখা যায়। ১৯৬০–এর দশক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশটির বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট জাতিগত বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। এ তালিকায় রিচার্ড নিক্সন যেমন আছেন, তেমনি আছেন সদ্য সাবেক হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রোনাল্ড রিগানও মনে করতেন—দারিদ্র্য একটি আফ্রিকান–আমেরিকান সমস্যা। আর ট্রাম্পের কথা বলতে গেলে আঙুল ব্যথা (যেহেতু কালি ফুরোনোর কালও বিগত) হয়ে যাবে। এখানে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া এবং এই নিয়ে ‘গেল গেল’ রব ওঠার বিষয়টিও স্মরণ করা যেতে পারে। 

তারপরও দু–একটি উদাহরণ তুলে দিতেই হয়। প্রথমেই এ ক্ষেত্রে দগদগে ঘা হিসেবে জর্জ ফ্লয়েডের কথা আসতে হবে। ২০২০ সালের ২৫ মে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। মিনিয়াপোলিস শহরে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শোভিনের হাঁটুর চাপে নিথর হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে বারবার তিনি বলেছিলেন একটি কথা—‘আই কান্ট ব্রিদ’। এই তিনটি শব্দ সে সময় গোটা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। গোটা দুনিয়া সে সময় আক্ষরিক অর্থেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে দেখছিল জর্জ ফ্লয়েডের মরে যাওয়া। দেখছিল মহাশক্তিধর ও ‘অগ্রসর’ একটি দেশের পাঁজরের গহিনে লুকিয়ে থাকা বর্ণবাদের মঞ্চায়ন। এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। হ্যাঁ, শোভিনের বিচার হয়েছে। বিচারে তাঁকে সাড়ে ২২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শার্লোৎসভিল? 

হয়তো এত দিনে অনেকেই ভুলে গেছেন শার্লোৎসভিলের ঘটনা। সেখানে বর্ণবাদের অভিযোগ থাকা মার্কিন জাতীয় এক নেতার ভাস্কর্য অপসারণের জন্য আন্দোলন করছিলেন কিছু মানুষ। তাদের ওপর তখন হামলা করেছিল রণসাজে সেজে আসা শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীরা। ঘটনা এখানে থামলে চলত। এই ঘটনায় শুরুতে পুরোপুরি নীরব থাকা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মুখ খুললেন, তখন তিনি প্রকারান্তরে পক্ষ নিলেন উগ্র শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীটিরই। 

এটা না হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো শপথ নিতেই পারতেন না, যদি মার্কিন সমাজের গহিনে এই বর্ণবাদ ও জাতিবিদ্বেষ লুকিয়ে না থাকত। ট্রাম্প সরাসরি বর্ণবাদী নানা মন্তব্য ও বিতর্কিত সব প্রতিশ্রুতি করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। ফলে তাঁর নির্বাচিত হওয়াটাই বলে দেয় মার্কিন সমাজে এখনো কী পরিমাণ বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ রয়েছে। 

কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ ছাড়াও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিভিন্ন দেশের অভিবাসী জনগোষ্ঠী ও মুসলমানদের সম্পর্কে উসকানিমূলক বক্তব্য, অভিবাসন নিষিদ্ধকরণ, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিতর্কিত নির্বাসন নীতি গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠিন করে তোলেন। ট্রাম্পের বর্ণবাদী নীতিগুলোর বেশির ভাগই তাঁর প্রাক্তন উপদেষ্টা বর্ণবাদে অভিযুক্ত রাজনীতিক স্টিফেন ব্যাননের পরিকল্পনা। 

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায়, করোনা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়দের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ প্রায় দেড় শ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় আটলান্টার তিনটি স্পা সেন্টারে হামলা করে আট নারীকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ছয়জনই এশিয়ার। এই সময় পথে–ঘাটে এশীয় লোক দেখলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা হেনস্তা করছে বলেও গণমাধ্যমে বহু খবর এসেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এশীয় মার্কিনরা বর্ণবিদ্বেষের মতো ভীতিকর অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন। করোনাকাল ছাড়াও মধ্য এশীয়-আমেরিকানদের প্রায়ই জাতিগত বিদ্বেষ, সহিংসতা ও ঘৃণামূলক কথাবার্তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। 

নাগরিক অধিকার নিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বক্তব্য রাখছেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৬৩এখন পর্যন্ত ৪৬ জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি বা নির্বাচিতও হননি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে কয়েকজন অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। গেল দুবার হিলারি ক্লিনটন ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ নির্বাচনে কমলা হ্যারিস, এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো প্রার্থীরা ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেউই জায়গাটি নিতে পারেননি। হিলারি ছাড়া আর কেউ এমনকি দলীয় মনোনয়নই পাননি। এ ক্ষেত্রে ‘নারীকে ছোট করে দেখার’ অভিযোগটি বেশ জোরেশোরে উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিও বেশ শক্ত। যে কারণে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিভিন্ন পদে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি বেশ জোরের সঙ্গে ঘোষণা করতে দেখা যায়। শুধু প্রেসিডেন্ট কেন, একজন বাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৪৪ বছর। 

কথা হলো এত উন্নয়ন, এত প্রাযুক্তিক সামর্থ্য, বিজ্ঞান ও গবেষণায় এত অগ্রগতি সত্ত্বেও একটি দেশ কেন বর্ণবাদের মতো বিষ সযত্নে পুষে রাখে। একটু উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নানা সমস্যার পেছনে অভিবাসীদের দায়ী করার প্রবণতা বেশ পুরোনো। অথচ এই অভিবাসীরা প্রতি বছর বিরাট অঙ্কের অর্থ কর হিসেবে পরিশোধ করে। দেশটির উৎপাদন সক্ষমতা, উচ্চশিক্ষাসহ বহু ক্ষেত্রেই অভিবাসীরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে। এক সিলিকন ভ্যালির দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তাহলে যেকোনো সামাজিক বা অর্থনৈতিক সংকটে অভিবাসীদের দিকে আঙুল তোলার প্রবণতাটি কেন? উত্তর সহজ, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে না চাপলে উদো দায়মুক্ত হবে কী করে? ঠিক, প্রশাসনই সুকৌশলে এই কাজটি করে। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বরাবরই একটি বলির পাঁঠা খুঁজে বের করে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরাই এই বলির পাঁঠা। 

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়ে গেছেন নোবেলজয়ী আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী মার্টিন লুথার কিং। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতা ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ তাঁকে অমর করে রেখেছে। মার্টিনের আন্দোলনের মূল কথাই ছিল বর্ণ, গোত্রের কারণে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন। সবাই যেন সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার পান। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মহান এই নেতাকেও প্রাণ দিতে হয়েছে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী আততায়ীর গুলিতে। প্রতি বছর কিংয়ের জন্য আলাদা একটি দিন রয়েছে। সেই দিনটিতে কিংকে স্মরণ করা হয়। নেতারা বক্তৃতা করেন। কিন্তু কিংয়ের যে স্বপ্ন, তা আজও অধরা থেকে গেছে। এমনকি এই করোনাকালে টিকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও উঠেছে বর্ণবাদের অভিযোগ। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। বহু বর্ণের মানুষের সম্মিলনে গড়ে ওঠা দেশটির হওয়ার কথা ছিল সত্যিকারের উদার এক দেশ। বাইডেন অনেক আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনি সফল হোন—এটাই সবাই চায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইয়েমেন সংঘাতে মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি ও আরব আমিরাত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আমিরাত সমর্থিত ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’-এর সৈন্যরা। ছবি: দ্য টাইমস
আমিরাত সমর্থিত ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’-এর সৈন্যরা। ছবি: দ্য টাইমস

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।

অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘২০২৫’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করা আমেরিকানদের ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু মিলেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৭
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।

এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।

একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।

তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।

তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।

গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার অভিযোগ—‘মিথ্যা’ বলছে ইউক্রেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৭
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’

জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।

এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।

রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত