Ajker Patrika

মাদুরো সরকার উৎখাতে সিআইএ ভেনেজুয়েলায় গুপ্ত অভিযান চালায়, নিশ্চিত করলেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৪৮
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার ভেতরেই সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করছেন—যা হবে এক চরম পদক্ষেপ। এর আগে ক্যারিবীয় সাগরে নৌকায় প্রাণঘাতী হামলার একাধিক ঘটনায় জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব হামলা অবৈধ।

ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সিআইএ-এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র চলছে।’

তিনি এক ভাষণে বলেন, ‘ক্যারিবীয় সাগরে যুদ্ধ নয়… সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র নয়… সিআইএ-এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থান নয়।’ ওই ভাষণটি তিনি দেন এমন এক কমিটির বৈঠকে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর গঠিত হয়েছিল। ওয়াশিংটন দাবি করেছে, ওই অভিযান ছিল ‘মাদকবিরোধী।’

ট্রাম্পের সিআইএ-কে নিয়ে মন্তব্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে। আগেই পত্রিকাটি ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন অভিযানের বিষয়ে শ্রেণিবদ্ধ এক ক্লাসিফাইড নথির ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করেছিল।

ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডেও হামলা চালানোর বিষয়টিও ভাবছে।’ তবে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাসা করেন সিআইএ কি মাদুরোকে হত্যার অনুমোদন পেয়েছে, তখন তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় ভেনেজুয়েলা এখন চাপে আছে।’

ট্রাম্প দাবি করেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিদের ছেড়ে দিচ্ছে, এমনকি মানসিক হাসপাতালের রোগীদেরও পাঠাচ্ছে। এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন, ভেনেজুয়েলা সমুদ্রপথে বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করছে। তবে এই দাবিগুলোর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমন হুমকি আসছে—ট্রাম্পের এই দাবি ভিত্তিহীন।

এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা এখন মাদকচক্রের সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ রয়েছে। মাদক প্রবাহ ঠেকানোর অজুহাতে এই সামরিক পদক্ষেপকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এ নিয়ে কংগ্রেসে দুই দল থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ট্রাম্প কার্যত যুদ্ধ শুরু করেছেন।

বুধবার সিনেটের পররাষ্ট্র কমিটির ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিন শাহিন বলেন, তিনি মাদক পাচার দমনের পক্ষে হলেও প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সীমা ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিআইএ-কে গোপন অভিযান চালানোর অনুমোদন দেওয়া, নৌযানে প্রাণঘাতী হামলা চালানো এবং ভূমিতে অভিযানের ইঙ্গিত দেওয়া—এসবের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে এক সরাসরি সংঘাতে টেনে নিচ্ছে, যেখানে কোনো স্বচ্ছতা, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ নেই। আমেরিকান জনগণের জানার অধিকার আছে—প্রশাসন কি আরেকটি যুদ্ধে দেশকে জড়িয়ে ফেলছে, সেনাদের ঝুঁকিতে ফেলছে, নাকি শাসন পরিবর্তনের অপারেশন চালাচ্ছে।’

এ পর্যন্ত ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এই হামলাগুলোতে।

বুধবার আরও একটি নৌকা লক্ষ্য করে হামলার পর মাদুরো রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে সামরিক মহড়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, দেশের পাহাড়, উপকূল, স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা ও বাজার রক্ষায় সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক মিলিশিয়াদের মোতায়েন করা হবে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, এরা ‘নার্কোটেররিস্ট’—যদিও কোনো প্রমাণ দেননি। তিনি আরও বলেন, এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামের এক গ্যাং সদস্যদের নির্মূল করা। কিন্তু হোয়াইট হাউস এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নৌযানে এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানও মন্তব্য করেন, ‘এসব অবৈধ হত্যাকাণ্ড—যা কোনো আদালতেই টিকবে না।’

এ বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে অনেক ভেনেজুয়েলানকে দ্রুত নির্বাসিত করে মধ্য আমেরিকার কুখ্যাত এক জেলে পাঠায়। এছাড়া ট্রাম্প শত শত হাজার ভেনেজুয়েলান অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ মর্যাদা বাতিলেরও চেষ্টা করছেন।

ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, মাদুরো নিজেই মাদকচক্রের প্রধান। মাদুরো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ধরিয়ে দেওয়ার তথ্যের জন্য পুরস্কার বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে।

মাদুরোকে নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি গত বছরের নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্বের দিকে বড় অগ্রগতি: আন্তর্জাতিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ইসরায়েল–হামাসের মতভেদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

ইসরায়েলের গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর (আইএসএফ) ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে মতভেদ ঘনীভূত হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছেও হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম রোববার বলেছেন, মার্কিন খসড়ায় যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন এবং আইএসএফের ভূমিকার বিষয় তার ‘বিশদ ব্যাখ্যা’ প্রয়োজন। তিনি জানান, চলমান যুদ্ধবিরতির সময় অস্ত্র ‘বিরতি বা সংবরণ’ নিয়ে আলোচনা করতে তার গোষ্ঠী প্রস্তুত। তবে তিনি বলেন, হামাস আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী হামাসের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার দায়িত্ব পাবে, এটি মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি (জাতিসংঘ) বাহিনীকে সীমান্তের কাছাকাছি থাকতে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি তদারকি করতে, লঙ্ঘন সম্পর্কে রিপোর্ট করতে, যেকোনো ধরনের উত্তেজনা রোধ করতে স্বাগত জানাচ্ছি’। তবে তিনি যোগ করেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বাহিনীটির ‘কোনো ধরনের ম্যান্ডেট’ থাকাকে হামাস মেনে নেবে না।

বাসেম নাঈমের এই মন্তব্যের আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল দিনের শুরুতে বলেছিলেন, তিনি মাসের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনার একটি নতুন পর্বে প্রবেশ নিয়ে আলোচনা করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করবেন। তিনি বলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসন শেষ করা এবং ছিটমহলটিতে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো পরিকল্পনাটির প্রতি তাদের ‘প্রতিশ্রুতি’ পূরণ নিশ্চিত করা।

ইসরায়েল সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্তসের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের একটি দ্বিতীয় ধাপ রয়েছে, যা কোনো অংশেই কম কঠিন নয়, আর তা হলো হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার সামরিকীকরণ দূর করা।’

হামাসের অস্ত্র ত্যাগ বা সংরক্ষণ করার মন্তব্য ইসরায়েলের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের দাবি পূরণ করবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। হামাস কর্মকর্তা বলেছেন যে, গোষ্ঠীটি তার ‘প্রতিরোধের অধিকার’ রাখে এবং অস্ত্র ত্যাগ একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে ঘটতে পারে, যেখানে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি পাঁচ থেকে দশ বছর স্থায়ী হতে পারে।

গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্র-প্রণীত পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার পথ খোলা রেখেছে, কিন্তু নেতানিয়াহু এটিকে দীর্ঘকাল ধরে প্রত্যাখ্যান করে আসছেন, এই জোর দিয়ে যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করা হামাসকে পুরস্কৃত করবে।

ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনাটি স্থিতিশীলতা বাহিনী প্রতিষ্ঠা এবং একটি আন্তর্জাতিক ‘শান্তি পরিষদের’ অধীনে পরিচালিত একটি টেকনোক্র্যাটিক ফিলিস্তিনি সরকার গঠনের মতো পরিকল্পনাগুলির জন্য একটি সাধারণ পথ নির্দেশ করে, তবে এতে কোনো সুনির্দিষ্ট বিবরণ বা সময়সূচি দেওয়া হয়নি।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা আগামী বছরের শুরুতে ‘মাঠে সৈন্য’ প্রত্যাশা করছেন, তবে ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি সৈন্য পাঠাতে রাজি হলেও, বাহিনীটি গঠনের কোনো রোডম্যাপ নেই এবং এর সঠিক বিন্যাস, কমান্ড কাঠামো এবং দায়িত্বগুলি সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।

নেতানিয়াহুকে পরিকল্পনাটির অস্পষ্টতা স্বীকার করতে দেখা যায়। তিনি রোববার বলেন, ‘সময়রেখা কী হবে? কী কী বাহিনী আসছে? আমাদের কি আন্তর্জাতিক বাহিনী থাকবে? না থাকলে বিকল্প কী? এই সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ, যা হামাস শেষ ইসরায়েলি বন্দীকে (৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত একজন পুলিশ) ফিরিয়ে দিলেই কার্যকর হবে, তা ‘আরও কঠিন’ হবে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, পরিকল্পনার প্রথম ধাপটিও চ্যালেঞ্জিং প্রমাণিত হয়েছে, কারণ যুদ্ধবিরতি চলাকালীনও ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে, এতে ৩৭৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে, ইসরায়েল হামাসকে বন্দী প্রত্যাবর্তনে দেরি করার অভিযোগ করেছে।

পরিকল্পনার প্রাথমিক পদক্ষেপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় তথাকথিত হলুদ রেখার পিছনে নিজেদের অবস্থানে সরে আসে, যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অঞ্চলটির ৫৩ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার বলেছে যে এই সীমানা রেখাটি একটি ‘নতুন সীমান্ত।’

ইসরায়েলি সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির বলেন, ‘গাজা স্ট্রিপের বিস্তৃত অংশে আমাদের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং আমরা সেই প্রতিরক্ষা রেখাগুলিতে থাকব। হলুদ রেখাটি একটি নতুন সীমান্ত রেখা, যা আমাদের সম্প্রদায়গুলির জন্য একটি সামনের রক্ষণাত্মক রেখা এবং অপারেশনাল কার্যকলাপের একটি রেখা হিসাবে কাজ করছে।’

শনিবার দোহা ফোরামে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল–থানি সতর্ক করে দেন যে যুদ্ধবিরতিটি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে’ রয়েছে এবং স্থায়ী চুক্তির দিকে দ্রুত অগ্রসর না হলে তা ভেঙে যেতে পারে।

তিনি বলেন যে সত্যিকারের যুদ্ধবিরতি ‘ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’ এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য পুনরুদ্ধারকৃত স্থিতিশীলতা ও চলাচলের স্বাধীনতা ছাড়া ‘সম্পূর্ণ হতে পারে না’, যা পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অধীনে এখনও ঘটেনি। তিনি তার মন্তব্যে হলুদ রেখার কোনো উল্লেখ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত আগস্টে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
গত আগস্টে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য প্রকাশিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, ৩৩ পৃষ্ঠার এই নথির অনেক দিকই রাশিয়ার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’।

আজ রোবাবর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘যে সমন্বয়গুলো আমরা দেখছি, সেগুলোর সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির যথেষ্ট মিল আছে। আমরা এটিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।’ তিনি জানান, নথিটি আরও বিশ্লেষণ করে তারপর চূড়ান্ত মন্তব্য জানাবে মস্কো।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রকাশিত নতুন এই নিরাপত্তা কৌশলে ইউরোপকে ‘সভ্যতা বিলুপ্তি’র ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, নথিতে রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি, যা ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের উদ্বিগ্ন করেছে।

এ ছাড়া বিদেশি প্রভাব মোকাবিলা, ব্যাপক অভিবাসন বন্ধ করা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কথিত ‘সেন্সরশিপ’ নীতির বিরোধিতা—এসব বিষয়কে নতুন কৌশলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

ইইউর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক এই কৌশলের ভাষাশৈলীর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি, এতে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রায়ই ক্রেমলিনের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়।

নথিতে রাশিয়া সম্পর্কে তুলনামূলক নরম অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের কর্মকর্তাদের মতে, এটি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর প্রতি পশ্চিমা অবস্থান দুর্বল করতে পারে। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এতে বাধা দিচ্ছে ইইউ। যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা ‘ইউরোপের অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করবে’।

এমনকি ইউরোপের বর্তমান নীতিকে প্রভাবিত করার ইঙ্গিতও রয়েছে নথিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউএস নীতির অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ‘ইউরোপের বর্তমান গতিপথকে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ শক্তিগুলোর মাধ্যমে প্রতিরোধ করা’।

নতুন কৌশলে ‘পশ্চিমা পরিচয়’ (Western identity) পুনরুদ্ধারের কথা দেওয়া হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে ইউরোপ একটি ‘অপরিচিত রূপ ধারণ করবে’ এবং তাদের অর্থনৈতিক সংকটের তুলনায় ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’র ঝুঁকি আরও বেশি।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের অর্থনীতি ও সেনাবাহিনী ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত শক্তিশালী থাকবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপের কিছু দেশে ‘জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর’ প্রভাব বৃদ্ধির প্রশংসা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই চেতনার পুনরুজ্জীবনে ইউএস তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের উৎসাহিত করে।

বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক চলছে। এই প্রেক্ষাপটে কয়েকজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কথা তুলে ধরলেও নতুন নথির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভেদেফুল বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তারা ইউরোপীয় জোটের নিরাপত্তা নীতির বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করে। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা আমাদের সমাজব্যবস্থা কেমন হবে, এসব বিষয় কৌশলগত নথিতে থাকা উচিত কি না, বিশেষত জার্মানির ক্ষেত্রে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সামাজিক মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বলেন, ‘ইউরোপ আপনার ঘনিষ্ঠতম মিত্র, আপনার সমস্যা নয়। আপনার আর আমাদের শত্রু একই।’ অন্যদিকে সুইডেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ট মন্তব্য করেন, ‘নথিটি চরম ডানপন্থী অবস্থানেরও ডান দিকে অবস্থান করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বলেছেন, এই নথি দেশের বৈদেশিক সম্পর্ককে ধ্বংস করে দিতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত কমিটিতে থাকা কলোরাডোর প্রতিনিধি জেসন ক্রো বলেন, এটি ‘বিশ্বে আমেরিকার অবস্থানকে বিপর্যস্ত করবে’। নিউইয়র্কের প্রতিনিধি গ্রেগরি মিকস বলেন, কৌশলটি ‘মূল্যভিত্তিক মার্কিন নেতৃত্বের কয়েক দশকের ধারা নষ্ট করে দিয়েছে’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হিজাব ছাড়াই ম্যারাথনে দৌড়ালেন নারীরা—ইরানে ২ আয়োজক গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে দৌড় প্রতিযোগিতায় হিজাব ছাড়া নারীরা অংশ নেওয়ায় দুই ম্যারাথন আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ইরানের কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতার অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন নারী হিজাববিহীন অবস্থায় দৌড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে।

ইরানের মিজান নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার দুই প্রধান আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কিশ ফ্রি জোনের কর্মকর্তা এবং অন্যজন দৌড়ের আয়োজন করা একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মী।

মামলার বিষয়ে স্থানীয় প্রসিকিউটর বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান আইন, ধর্মীয় এবং প্রথাগত নিয়মাবলি মানার বিষয়ে পূর্বে সতর্কতা দেওয়ার পরও প্রতিযোগিতাটি জনসাধারণের মর্যাদা লঙ্ঘন করে আয়োজন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

কিশ দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। দেশটির রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম তাসনিম ও ফার্স ইতিমধ্যে এই ম্যারাথনকে অসভ্য এবং ইসলামি আইন লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করেছে।

ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তবে ২০২২ সালে মাহসা আমিনির মৃত্যুর জের ধরে আন্দোলনের পর থেকে দেশটিতে ‘হিজাব পরার নীতি’ অনেকখানি দুর্বল হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নারীদের পোশাক বিধি পূর্বের অবস্থানে নিয়ে যেতে সরকারি চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি ইরানের সংসদের বেশির ভাগ সদস্য বিচার বিভাগের ওপর হিজাব আইন যথাযথভাবে কার্যকর না করার অভিযোগ তুলেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলামহোসেইন মোসেনি এজেই তাৎক্ষণিকভাবে এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিরুদ্ধে জাপানের গুরুতর নিরাপত্তা অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করছে একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স
চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করছে একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স

জাপানের অভিযোগ, দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনায় তাদের সামরিক বিমানের দিকে রাডার তাক করেছে চীনের যুদ্ধবিমান। এই ঘটনাটি শনিবার ওকিনাওয়া দ্বীপপুঞ্জের কাছে ঘটেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সাংবাদিকদের বলেন—

রাডার তাক করা এমন এক ধরনের বিপজ্জনক কার্যকলাপ যা বিমানের নিরাপদ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। জাপান ইতিমধ্যেই চীনের কাছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

জাপান জানিয়েছে, তাদের আত্মরক্ষামূলক এফ-১৫ বিমানে রাডার তাক করা যুদ্ধবিমান দুটি মূলত চীনের তৈরি জে-১৫ মডেলের। এগুলো চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে রাডার তাক করার অভিযোগ করেছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ় ও শান্তভাবে চীনের আচরণের মোকাবিলা করব, যাতে আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকে।’ তবে চীনা নৌবাহিনী এক প্রতিরোধমূলক মন্তব্যে জানিয়েছে, জাপানের ওই বিমানগুলো বারবার তাদের কাছাকাছি গিয়ে বিব্রত করেছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, চীন ও জাপান

উভয় দেশই দাবি করে এমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে এই ঘটনাটিকে দেশ দুটির সামরিক সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুতর সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাপানের প্রধান মন্ত্রী তাকাইচি এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছিলেন, চীনের সম্ভাব্য সামরিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে পারে জাপান। এর পর থেকে চীনের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

কোনো বিমানের দিকে রাডার তাক করা মানে সম্ভাব্য আক্রমণের ইঙ্গিত দেওয়া। এমন পরিস্থিতিতে ওই বিমানটিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে চীনা নৌবাহিনীর মুখপাত্র ওয়াং শুয়েমেং বলেছেন, ‘জাপানের বিবৃতি ভুল এবং তাদের কার্যকলাপ বিমান চলাচলের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে বিপন্ন করেছে। আমরা দাবি করছি, জাপান অবিলম্বে এ রকম বিবৃতি বন্ধ করবে এবং কার্যকলাপে সংযম দেখাবে।’

এদিকে চীনের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস জাপানের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা চীনের গত ২৪ ঘণ্টার কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা জাপানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় জাপানের পাশে দাঁড়াব।’

চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেইজিং তাদের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত