আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
হুলিওর জন্ম মেক্সিকোয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। গন্তব্য ছিল পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ শহর। কারণ, সেখানেই তাঁর বাবা-মা আগে থেকে বাস করছিলেন।
প্রথমবার পিটসবার্গ শহরটির উঁচু ভবনগুলো দেখে হুলিওর মনে হয়েছিল—এই তো সেই স্বপ্ন, যেটির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তাঁর চোখে এটি ছিল ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর মূর্ত রূপ।
কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে হুলিওর নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর কাছে কোনো বৈধ কাগজ নেই—তাঁর উপস্থিতি এই দেশে অবৈধ। কৈশোরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে স্কুলে ভর্তি হতে গেলে তাঁর পরিচয়-সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাধ্য হন সেই পথ ত্যাগ করতে। এরপর তিনি নির্মাণশিল্পে কাজ শুরু করেন। তবে পিটসবার্গের প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল। তিনি স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে শুরু করেন, কিনে আনেন ‘পিটসবার্গিয়ান ভাষা’ শেখার বই। স্থানীয় স্টিলার্স ফুটবল টিমের বড় ভক্ত হয়ে ওঠেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ম্যাক্সিকান ইনজার’।
২০১৮ সালে হুলিওর জীবনে আসেন ২৩ বছর বয়সী সাশা। এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁদের দেখা হয়। হুলিওকে দেখে সাশার মনে হয়েছিল—তাঁর মধ্যে আলাদা কিছু একটা আছে। জমে ওঠে প্রেম। প্রথম ডেটেই স্টিলার্সের জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন হুলিও। সাশা হাসতে হাসতে বলেন, ‘ও যেন পুরোপুরি পিটসবার্গিয়ান। তার পরিচয় নিয়ে তখনো খোলাখুলি কোনো আলোচনা করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝে গিয়েছিলাম—ও এখানে অবৈধ!’
প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন, বিয়ে করেন এবং তিনটি সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানদের বয়স এখন যথাক্রমে ৮, ৫ ও ৪ বছর। তাঁদের দাম্পত্যজীবন ছিল ভালোবাসা ও সংগ্রামের এক মিশ্র রূপ। যুক্তরাষ্ট্রে একটি ‘মিশ্র জাতীয়তার’ পরিবার হিসেবে বেঁচে থাকা সহজ ছিল না। কারণ, সাশা ও সন্তানেরা মার্কিন নাগরিক হলেও হুলিও ছিলেন অনিবন্ধিত অভিবাসী।

তাঁরা অনেক অভিবাসন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু হুলিওর নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
তবে এই কঠিন বাস্তবতার সঙ্গেই তাঁরা মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। সাশা বলেন, ‘এটা এখন আর শুধু বিতাড়নের ভয় নয়। ভয়টা হলো, ও (হুলিও) কাজ থেকে ফিরে আসবে কি না, পুলিশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাবে কি না, আমাদের সন্তানদের স্কুল থেকে কে নিয়ে যাবে! কিংবা যদি ওকে ধরা হয়, তাহলে হয়তো আমরা জানতেই পারব না কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এদিকে হুলিওর ভয়টাও আরও বড় হয়ে দাঁড়ায়, যখন তিনি কিলমার গার্সিয়ার ঘটনাটি শুনলেন। যুক্তরাষ্ট্রে কিলমার একজন সালভাদরের অভিবাসী ছিলেন। তাঁকে ভুলবশত এক কুখ্যাত কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হুলিওর মতো কিলমারের স্ত্রীও একজন মার্কিন। হুলিও বলেন, ‘ওর (কিলমার) জায়গায় আমি নিজেকে দেখি।’
এমন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যেই সাশা এক দিন হুলিওকে বলেন, ‘চলো, আমরা মেক্সিকো চলে যাই।’ সাশার কথা শুনে হুলিও জবাব দেন—‘হ্যাঁ, এবার সময় হয়েছে।’
পরবর্তী ছয় মাসে তাঁরা পিটসবার্গে বাড়িঘর গুছিয়ে ফেলেন, ছোট ব্যবসাটি বন্ধ করেন, ইন্টারনেট ঘেঁটে মেক্সিকোয় বসবাসের খুঁটিনাটি শিখে নেন। সাশা বলেন, ‘টিকটকে আমি এমন এক দলের খোঁজ পেয়েছি, যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছে। তারা শেয়ার করেছে—কীভাবে ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হয়, বাসা খুঁজতে হয়, এমনকি মেক্সিকোয় বাসিন্দা হিসেবে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।’
গত ২৮ জুন, মেনডোজা পরিবার ওয়ান-ওয়ে টিকিটে মেক্সিকো সিটির পথে রওনা হয়। পেছনে রেখে যায় জীবনের এক বড় অধ্যায়—বন্ধুবান্ধব, স্মৃতি, ও আমেরিকান ড্রিমের এক অপূর্ণ গল্প।
হুলিও বলেন, ‘এখানে থেকে যাওয়াটা জুয়া খেলার মতো হতো। আমার, আমার স্ত্রীর, আমার সন্তানদের জীবনের সঙ্গে খেলা। আমি আমার শিকড়ে ফিরে যাচ্ছি, আমার পরিবারের কাছে। এবার নিজের গল্পটা নিজে লিখব।’

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
হুলিওর জন্ম মেক্সিকোয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। গন্তব্য ছিল পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ শহর। কারণ, সেখানেই তাঁর বাবা-মা আগে থেকে বাস করছিলেন।
প্রথমবার পিটসবার্গ শহরটির উঁচু ভবনগুলো দেখে হুলিওর মনে হয়েছিল—এই তো সেই স্বপ্ন, যেটির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তাঁর চোখে এটি ছিল ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর মূর্ত রূপ।
কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে হুলিওর নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর কাছে কোনো বৈধ কাগজ নেই—তাঁর উপস্থিতি এই দেশে অবৈধ। কৈশোরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে স্কুলে ভর্তি হতে গেলে তাঁর পরিচয়-সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাধ্য হন সেই পথ ত্যাগ করতে। এরপর তিনি নির্মাণশিল্পে কাজ শুরু করেন। তবে পিটসবার্গের প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল। তিনি স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে শুরু করেন, কিনে আনেন ‘পিটসবার্গিয়ান ভাষা’ শেখার বই। স্থানীয় স্টিলার্স ফুটবল টিমের বড় ভক্ত হয়ে ওঠেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ম্যাক্সিকান ইনজার’।
২০১৮ সালে হুলিওর জীবনে আসেন ২৩ বছর বয়সী সাশা। এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁদের দেখা হয়। হুলিওকে দেখে সাশার মনে হয়েছিল—তাঁর মধ্যে আলাদা কিছু একটা আছে। জমে ওঠে প্রেম। প্রথম ডেটেই স্টিলার্সের জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন হুলিও। সাশা হাসতে হাসতে বলেন, ‘ও যেন পুরোপুরি পিটসবার্গিয়ান। তার পরিচয় নিয়ে তখনো খোলাখুলি কোনো আলোচনা করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝে গিয়েছিলাম—ও এখানে অবৈধ!’
প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন, বিয়ে করেন এবং তিনটি সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানদের বয়স এখন যথাক্রমে ৮, ৫ ও ৪ বছর। তাঁদের দাম্পত্যজীবন ছিল ভালোবাসা ও সংগ্রামের এক মিশ্র রূপ। যুক্তরাষ্ট্রে একটি ‘মিশ্র জাতীয়তার’ পরিবার হিসেবে বেঁচে থাকা সহজ ছিল না। কারণ, সাশা ও সন্তানেরা মার্কিন নাগরিক হলেও হুলিও ছিলেন অনিবন্ধিত অভিবাসী।

তাঁরা অনেক অভিবাসন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু হুলিওর নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
তবে এই কঠিন বাস্তবতার সঙ্গেই তাঁরা মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। সাশা বলেন, ‘এটা এখন আর শুধু বিতাড়নের ভয় নয়। ভয়টা হলো, ও (হুলিও) কাজ থেকে ফিরে আসবে কি না, পুলিশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাবে কি না, আমাদের সন্তানদের স্কুল থেকে কে নিয়ে যাবে! কিংবা যদি ওকে ধরা হয়, তাহলে হয়তো আমরা জানতেই পারব না কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এদিকে হুলিওর ভয়টাও আরও বড় হয়ে দাঁড়ায়, যখন তিনি কিলমার গার্সিয়ার ঘটনাটি শুনলেন। যুক্তরাষ্ট্রে কিলমার একজন সালভাদরের অভিবাসী ছিলেন। তাঁকে ভুলবশত এক কুখ্যাত কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হুলিওর মতো কিলমারের স্ত্রীও একজন মার্কিন। হুলিও বলেন, ‘ওর (কিলমার) জায়গায় আমি নিজেকে দেখি।’
এমন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যেই সাশা এক দিন হুলিওকে বলেন, ‘চলো, আমরা মেক্সিকো চলে যাই।’ সাশার কথা শুনে হুলিও জবাব দেন—‘হ্যাঁ, এবার সময় হয়েছে।’
পরবর্তী ছয় মাসে তাঁরা পিটসবার্গে বাড়িঘর গুছিয়ে ফেলেন, ছোট ব্যবসাটি বন্ধ করেন, ইন্টারনেট ঘেঁটে মেক্সিকোয় বসবাসের খুঁটিনাটি শিখে নেন। সাশা বলেন, ‘টিকটকে আমি এমন এক দলের খোঁজ পেয়েছি, যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছে। তারা শেয়ার করেছে—কীভাবে ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হয়, বাসা খুঁজতে হয়, এমনকি মেক্সিকোয় বাসিন্দা হিসেবে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।’
গত ২৮ জুন, মেনডোজা পরিবার ওয়ান-ওয়ে টিকিটে মেক্সিকো সিটির পথে রওনা হয়। পেছনে রেখে যায় জীবনের এক বড় অধ্যায়—বন্ধুবান্ধব, স্মৃতি, ও আমেরিকান ড্রিমের এক অপূর্ণ গল্প।
হুলিও বলেন, ‘এখানে থেকে যাওয়াটা জুয়া খেলার মতো হতো। আমার, আমার স্ত্রীর, আমার সন্তানদের জীবনের সঙ্গে খেলা। আমি আমার শিকড়ে ফিরে যাচ্ছি, আমার পরিবারের কাছে। এবার নিজের গল্পটা নিজে লিখব।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
হুলিওর জন্ম মেক্সিকোয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। গন্তব্য ছিল পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ শহর। কারণ, সেখানেই তাঁর বাবা-মা আগে থেকে বাস করছিলেন।
প্রথমবার পিটসবার্গ শহরটির উঁচু ভবনগুলো দেখে হুলিওর মনে হয়েছিল—এই তো সেই স্বপ্ন, যেটির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তাঁর চোখে এটি ছিল ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর মূর্ত রূপ।
কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে হুলিওর নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর কাছে কোনো বৈধ কাগজ নেই—তাঁর উপস্থিতি এই দেশে অবৈধ। কৈশোরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে স্কুলে ভর্তি হতে গেলে তাঁর পরিচয়-সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাধ্য হন সেই পথ ত্যাগ করতে। এরপর তিনি নির্মাণশিল্পে কাজ শুরু করেন। তবে পিটসবার্গের প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল। তিনি স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে শুরু করেন, কিনে আনেন ‘পিটসবার্গিয়ান ভাষা’ শেখার বই। স্থানীয় স্টিলার্স ফুটবল টিমের বড় ভক্ত হয়ে ওঠেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ম্যাক্সিকান ইনজার’।
২০১৮ সালে হুলিওর জীবনে আসেন ২৩ বছর বয়সী সাশা। এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁদের দেখা হয়। হুলিওকে দেখে সাশার মনে হয়েছিল—তাঁর মধ্যে আলাদা কিছু একটা আছে। জমে ওঠে প্রেম। প্রথম ডেটেই স্টিলার্সের জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন হুলিও। সাশা হাসতে হাসতে বলেন, ‘ও যেন পুরোপুরি পিটসবার্গিয়ান। তার পরিচয় নিয়ে তখনো খোলাখুলি কোনো আলোচনা করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝে গিয়েছিলাম—ও এখানে অবৈধ!’
প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন, বিয়ে করেন এবং তিনটি সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানদের বয়স এখন যথাক্রমে ৮, ৫ ও ৪ বছর। তাঁদের দাম্পত্যজীবন ছিল ভালোবাসা ও সংগ্রামের এক মিশ্র রূপ। যুক্তরাষ্ট্রে একটি ‘মিশ্র জাতীয়তার’ পরিবার হিসেবে বেঁচে থাকা সহজ ছিল না। কারণ, সাশা ও সন্তানেরা মার্কিন নাগরিক হলেও হুলিও ছিলেন অনিবন্ধিত অভিবাসী।

তাঁরা অনেক অভিবাসন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু হুলিওর নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
তবে এই কঠিন বাস্তবতার সঙ্গেই তাঁরা মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। সাশা বলেন, ‘এটা এখন আর শুধু বিতাড়নের ভয় নয়। ভয়টা হলো, ও (হুলিও) কাজ থেকে ফিরে আসবে কি না, পুলিশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাবে কি না, আমাদের সন্তানদের স্কুল থেকে কে নিয়ে যাবে! কিংবা যদি ওকে ধরা হয়, তাহলে হয়তো আমরা জানতেই পারব না কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এদিকে হুলিওর ভয়টাও আরও বড় হয়ে দাঁড়ায়, যখন তিনি কিলমার গার্সিয়ার ঘটনাটি শুনলেন। যুক্তরাষ্ট্রে কিলমার একজন সালভাদরের অভিবাসী ছিলেন। তাঁকে ভুলবশত এক কুখ্যাত কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হুলিওর মতো কিলমারের স্ত্রীও একজন মার্কিন। হুলিও বলেন, ‘ওর (কিলমার) জায়গায় আমি নিজেকে দেখি।’
এমন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যেই সাশা এক দিন হুলিওকে বলেন, ‘চলো, আমরা মেক্সিকো চলে যাই।’ সাশার কথা শুনে হুলিও জবাব দেন—‘হ্যাঁ, এবার সময় হয়েছে।’
পরবর্তী ছয় মাসে তাঁরা পিটসবার্গে বাড়িঘর গুছিয়ে ফেলেন, ছোট ব্যবসাটি বন্ধ করেন, ইন্টারনেট ঘেঁটে মেক্সিকোয় বসবাসের খুঁটিনাটি শিখে নেন। সাশা বলেন, ‘টিকটকে আমি এমন এক দলের খোঁজ পেয়েছি, যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছে। তারা শেয়ার করেছে—কীভাবে ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হয়, বাসা খুঁজতে হয়, এমনকি মেক্সিকোয় বাসিন্দা হিসেবে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।’
গত ২৮ জুন, মেনডোজা পরিবার ওয়ান-ওয়ে টিকিটে মেক্সিকো সিটির পথে রওনা হয়। পেছনে রেখে যায় জীবনের এক বড় অধ্যায়—বন্ধুবান্ধব, স্মৃতি, ও আমেরিকান ড্রিমের এক অপূর্ণ গল্প।
হুলিও বলেন, ‘এখানে থেকে যাওয়াটা জুয়া খেলার মতো হতো। আমার, আমার স্ত্রীর, আমার সন্তানদের জীবনের সঙ্গে খেলা। আমি আমার শিকড়ে ফিরে যাচ্ছি, আমার পরিবারের কাছে। এবার নিজের গল্পটা নিজে লিখব।’

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
হুলিওর জন্ম মেক্সিকোয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। গন্তব্য ছিল পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ শহর। কারণ, সেখানেই তাঁর বাবা-মা আগে থেকে বাস করছিলেন।
প্রথমবার পিটসবার্গ শহরটির উঁচু ভবনগুলো দেখে হুলিওর মনে হয়েছিল—এই তো সেই স্বপ্ন, যেটির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তাঁর চোখে এটি ছিল ‘আমেরিকান ড্রিম’-এর মূর্ত রূপ।
কিন্তু সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে হুলিওর নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর কাছে কোনো বৈধ কাগজ নেই—তাঁর উপস্থিতি এই দেশে অবৈধ। কৈশোরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে স্কুলে ভর্তি হতে গেলে তাঁর পরিচয়-সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। তিনি চিকিৎসা নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাধ্য হন সেই পথ ত্যাগ করতে। এরপর তিনি নির্মাণশিল্পে কাজ শুরু করেন। তবে পিটসবার্গের প্রতি ভালোবাসা তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল। তিনি স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে শুরু করেন, কিনে আনেন ‘পিটসবার্গিয়ান ভাষা’ শেখার বই। স্থানীয় স্টিলার্স ফুটবল টিমের বড় ভক্ত হয়ে ওঠেন। তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ম্যাক্সিকান ইনজার’।
২০১৮ সালে হুলিওর জীবনে আসেন ২৩ বছর বয়সী সাশা। এক বন্ধুর মাধ্যমে তাঁদের দেখা হয়। হুলিওকে দেখে সাশার মনে হয়েছিল—তাঁর মধ্যে আলাদা কিছু একটা আছে। জমে ওঠে প্রেম। প্রথম ডেটেই স্টিলার্সের জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন হুলিও। সাশা হাসতে হাসতে বলেন, ‘ও যেন পুরোপুরি পিটসবার্গিয়ান। তার পরিচয় নিয়ে তখনো খোলাখুলি কোনো আলোচনা করিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝে গিয়েছিলাম—ও এখানে অবৈধ!’
প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হতে থাকে। তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন, বিয়ে করেন এবং তিনটি সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানদের বয়স এখন যথাক্রমে ৮, ৫ ও ৪ বছর। তাঁদের দাম্পত্যজীবন ছিল ভালোবাসা ও সংগ্রামের এক মিশ্র রূপ। যুক্তরাষ্ট্রে একটি ‘মিশ্র জাতীয়তার’ পরিবার হিসেবে বেঁচে থাকা সহজ ছিল না। কারণ, সাশা ও সন্তানেরা মার্কিন নাগরিক হলেও হুলিও ছিলেন অনিবন্ধিত অভিবাসী।

তাঁরা অনেক অভিবাসন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু হুলিওর নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
তবে এই কঠিন বাস্তবতার সঙ্গেই তাঁরা মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। সাশা বলেন, ‘এটা এখন আর শুধু বিতাড়নের ভয় নয়। ভয়টা হলো, ও (হুলিও) কাজ থেকে ফিরে আসবে কি না, পুলিশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাবে কি না, আমাদের সন্তানদের স্কুল থেকে কে নিয়ে যাবে! কিংবা যদি ওকে ধরা হয়, তাহলে হয়তো আমরা জানতেই পারব না কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এদিকে হুলিওর ভয়টাও আরও বড় হয়ে দাঁড়ায়, যখন তিনি কিলমার গার্সিয়ার ঘটনাটি শুনলেন। যুক্তরাষ্ট্রে কিলমার একজন সালভাদরের অভিবাসী ছিলেন। তাঁকে ভুলবশত এক কুখ্যাত কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হুলিওর মতো কিলমারের স্ত্রীও একজন মার্কিন। হুলিও বলেন, ‘ওর (কিলমার) জায়গায় আমি নিজেকে দেখি।’
এমন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির মধ্যেই সাশা এক দিন হুলিওকে বলেন, ‘চলো, আমরা মেক্সিকো চলে যাই।’ সাশার কথা শুনে হুলিও জবাব দেন—‘হ্যাঁ, এবার সময় হয়েছে।’
পরবর্তী ছয় মাসে তাঁরা পিটসবার্গে বাড়িঘর গুছিয়ে ফেলেন, ছোট ব্যবসাটি বন্ধ করেন, ইন্টারনেট ঘেঁটে মেক্সিকোয় বসবাসের খুঁটিনাটি শিখে নেন। সাশা বলেন, ‘টিকটকে আমি এমন এক দলের খোঁজ পেয়েছি, যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছে। তারা শেয়ার করেছে—কীভাবে ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হয়, বাসা খুঁজতে হয়, এমনকি মেক্সিকোয় বাসিন্দা হিসেবে কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।’
গত ২৮ জুন, মেনডোজা পরিবার ওয়ান-ওয়ে টিকিটে মেক্সিকো সিটির পথে রওনা হয়। পেছনে রেখে যায় জীবনের এক বড় অধ্যায়—বন্ধুবান্ধব, স্মৃতি, ও আমেরিকান ড্রিমের এক অপূর্ণ গল্প।
হুলিও বলেন, ‘এখানে থেকে যাওয়াটা জুয়া খেলার মতো হতো। আমার, আমার স্ত্রীর, আমার সন্তানদের জীবনের সঙ্গে খেলা। আমি আমার শিকড়ে ফিরে যাচ্ছি, আমার পরিবারের কাছে। এবার নিজের গল্পটা নিজে লিখব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। তবে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন—তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে ‘খুব দীর্ঘ এবং খুব ভালো আলোচনা’ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাচ্ছি। তারাও এটি (যুদ্ধ) শেষ করতে চান।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি এবং আমার মনে হয়—আমরা এখন আগের চেয়ে, যেকোনো সময়ের চেয়ে, কাছাকাছি আছি এবং আমরা কী করতে পারি তা দেখব।’ এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন—মার্কিন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ ছিল।
বার্লিনে দুই দিন ধরে চলা এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন স্টিভ উইটকফ। এতে অংশ নেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতারা অংশ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসানের জন্য কিয়েভের ওপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মস্কোর কাছে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার পর এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, তারা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইউরোপ-নেতৃত্বাধীন একটি ‘বহুজাতিক বাহিনী’ও অন্তর্ভুক্ত।
তারা বলেন, এই বাহিনীর কাজের মধ্যে ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কাজ করা’ এবং ইউক্রেনের বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা, এর আকাশ সুরক্ষিত করা এবং নিরাপদ সমুদ্রকে সমর্থন করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর শান্তিকালীন সদস্য সংখ্যা ৮ লাখে থাকা উচিত। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এই প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলোকে ‘আর্টিকেল ৫-এর মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা ন্যাটোর আর্টিকেল ৫-এর পারস্পরিক প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির একটি ইঙ্গিত।
ইউক্রেন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, দৃঢ় পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে তারা ন্যাটো জোটে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে প্রস্তুত। বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অধীনে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিয়েভের জন্য দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তাগুলোর একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। তিনি যোগ করেন, যেকোনো নিশ্চয়তার মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমন নিশ্চয়তাগুলোর কী রূপ হতে পারে সে সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সমর্থনযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ২০১৪ এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে পারেনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস বলেছেন, বার্লিন আলোচনায় ওয়াশিংটন ‘উল্লেখযোগ্য’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আইনি ও বস্তুগত নিশ্চয়তার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে বার্লিনে যা টেবিলে রেখেছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একটি সত্যিকারের শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তবে যোগ করেন, আঞ্চলিক ব্যবস্থা এখনো একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর মতে, ‘আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনো কিন্তু বা যদি নেই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। তবে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন—তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে ‘খুব দীর্ঘ এবং খুব ভালো আলোচনা’ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাচ্ছি। তারাও এটি (যুদ্ধ) শেষ করতে চান।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি এবং আমার মনে হয়—আমরা এখন আগের চেয়ে, যেকোনো সময়ের চেয়ে, কাছাকাছি আছি এবং আমরা কী করতে পারি তা দেখব।’ এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন—মার্কিন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ ছিল।
বার্লিনে দুই দিন ধরে চলা এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন স্টিভ উইটকফ। এতে অংশ নেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতারা অংশ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসানের জন্য কিয়েভের ওপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মস্কোর কাছে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার পর এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, তারা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইউরোপ-নেতৃত্বাধীন একটি ‘বহুজাতিক বাহিনী’ও অন্তর্ভুক্ত।
তারা বলেন, এই বাহিনীর কাজের মধ্যে ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কাজ করা’ এবং ইউক্রেনের বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা, এর আকাশ সুরক্ষিত করা এবং নিরাপদ সমুদ্রকে সমর্থন করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর শান্তিকালীন সদস্য সংখ্যা ৮ লাখে থাকা উচিত। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এই প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলোকে ‘আর্টিকেল ৫-এর মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা ন্যাটোর আর্টিকেল ৫-এর পারস্পরিক প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির একটি ইঙ্গিত।
ইউক্রেন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, দৃঢ় পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে তারা ন্যাটো জোটে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে প্রস্তুত। বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অধীনে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিয়েভের জন্য দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তাগুলোর একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। তিনি যোগ করেন, যেকোনো নিশ্চয়তার মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমন নিশ্চয়তাগুলোর কী রূপ হতে পারে সে সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সমর্থনযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ২০১৪ এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে পারেনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস বলেছেন, বার্লিন আলোচনায় ওয়াশিংটন ‘উল্লেখযোগ্য’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আইনি ও বস্তুগত নিশ্চয়তার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে বার্লিনে যা টেবিলে রেখেছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একটি সত্যিকারের শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তবে যোগ করেন, আঞ্চলিক ব্যবস্থা এখনো একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর মতে, ‘আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনো কিন্তু বা যদি নেই।’

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
১০ জুলাই ২০২৫
ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত ঘন কুয়াশার কারণে, দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক গাড়ির এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়, যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মথুরার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) শ্লোক কুমার দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষের দিকে এবং অবরুদ্ধ হাইওয়ে পরিষ্কার করা ও আটকে পড়া যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকালে মথুরায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যেমন দেখতে পাচ্ছেন, এখানে এখনো কুয়াশা রয়েছে। এই দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে ৭টি বাস এবং ৩টি ছোট গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার ফলে গাড়িগুলোতে আগুনও ধরে যায়।’
উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এসএসপি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দলগুলোকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষ। আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছি যে, চারজন মারা গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত নন। তারা বর্তমানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া, আমরা এখানে উপস্থিত বাকি মানুষদের সরকারি গাড়ির মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মথুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) চন্দ্র প্রকাশ সিং ঘটনাটিকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং উদ্ধার তৎপরতার বিষয়ে আপডেট দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এই সংঘর্ষের কারণ পরে তদন্ত করা হবে। তবে বর্তমান অগ্রাধিকার উদ্ধারকাজ এবং আহতরা যাতে সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা পান তা নিশ্চিত করা।
চন্দ্র প্রকাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন এবং ১৪ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছিল। আহতদের সিএইচসি বলদেব এবং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করছি, তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত নন এবং তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জীবিত যাত্রীদের বাসযোগে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। উদ্ধারকাজ মসৃণভাবে চলছে এবং পুরো সরকারি প্রক্রিয়া অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে তারা সেরা চিকিৎসা পান। আবারও বলছি, ত্রাণ কাজ চলছে। এই ঘটনাটি মর্মান্তিক।’
মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই সংঘর্ষের ঠিক একদিন আগেই সোমবার ভোরে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার ফলে প্রায় ২০টি গাড়ির মধ্যে এক মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টার দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ অফিসারসহ চারজনের মৃত্যু হয় এবং আরও আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ জন গুরুতর আহত হন। ব্যাপক কুয়াশার কারণে সৃষ্ট অত্যন্ত কম দৃষ্টিসীমাকেই মূলত এই ব্যাপক সংঘর্ষের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছিল।

ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত ঘন কুয়াশার কারণে, দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক গাড়ির এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়, যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মথুরার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) শ্লোক কুমার দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষের দিকে এবং অবরুদ্ধ হাইওয়ে পরিষ্কার করা ও আটকে পড়া যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকালে মথুরায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যেমন দেখতে পাচ্ছেন, এখানে এখনো কুয়াশা রয়েছে। এই দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে ৭টি বাস এবং ৩টি ছোট গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার ফলে গাড়িগুলোতে আগুনও ধরে যায়।’
উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এসএসপি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের দলগুলোকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষ। আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারছি যে, চারজন মারা গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত নন। তারা বর্তমানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া, আমরা এখানে উপস্থিত বাকি মানুষদের সরকারি গাড়ির মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মথুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) চন্দ্র প্রকাশ সিং ঘটনাটিকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং উদ্ধার তৎপরতার বিষয়ে আপডেট দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এই সংঘর্ষের কারণ পরে তদন্ত করা হবে। তবে বর্তমান অগ্রাধিকার উদ্ধারকাজ এবং আহতরা যাতে সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা পান তা নিশ্চিত করা।
চন্দ্র প্রকাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন এবং ১৪ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছিল। আহতদের সিএইচসি বলদেব এবং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করছি, তাদের কেউই গুরুতরভাবে আহত নন এবং তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জীবিত যাত্রীদের বাসযোগে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। উদ্ধারকাজ মসৃণভাবে চলছে এবং পুরো সরকারি প্রক্রিয়া অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে তারা সেরা চিকিৎসা পান। আবারও বলছি, ত্রাণ কাজ চলছে। এই ঘটনাটি মর্মান্তিক।’
মথুরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের এই সংঘর্ষের ঠিক একদিন আগেই সোমবার ভোরে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার ফলে প্রায় ২০টি গাড়ির মধ্যে এক মারাত্মক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টার দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ অফিসারসহ চারজনের মৃত্যু হয় এবং আরও আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ জন গুরুতর আহত হন। ব্যাপক কুয়াশার কারণে সৃষ্ট অত্যন্ত কম দৃষ্টিসীমাকেই মূলত এই ব্যাপক সংঘর্ষের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছিল।

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
১০ জুলাই ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
১০ জুলাই ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

সাশা ও হুলিও মেনডোজা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন না। তিনটি ছোট সন্তানসহ পরিবার নিয়ে তাঁরা স্থায়ীভাবে মেক্সিকো চলে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
১০ জুলাই ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের মথুরায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে