
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে।
গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ কথা বলেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির প্রধান। আল আরাবিয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য গাজার শহীদেরা জীবন দিয়ে চুকিয়েছেন বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করা, বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করা, গাজাকে দখলমুক্ত করা এবং আল আকসা মসজিদে হামলা প্রতিরোধ করতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করতে প্রস্তুত আছে হামাস।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দোহায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে যুদ্ধবিরতিকে রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন ইসমাইল হানিয়া। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ হানিয়াকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ফিলিস্তিনের শত্রুরা নারী, শিশু ও অন্য বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে। তারপরও তারা লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানানোয় লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক ও সিরিয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন হামাসপ্রধান। ইরানের নেতৃত্ব, রাষ্ট্রপতি, সরকার এবং ইরানের জনগণের দৃঢ় সমর্থনের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইসমাইল হানিয়া।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাতে থাকে। গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায়ও মারা যায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি।
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল হামাস প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি নাগরিক, থাইল্যান্ডের ১০ নাগরিক ও ১ জন ফিলিপাইনের। ইসরায়েলও তাদের কারাগারে বন্দী থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে। চুক্তির আওতায় জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি চার দিন লড়াই বন্ধ রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তা-ও মানা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে।
গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ কথা বলেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির প্রধান। আল আরাবিয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
মুক্তি ও স্বাধীনতার মূল্য গাজার শহীদেরা জীবন দিয়ে চুকিয়েছেন বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ইসমাইল হানিয়া। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করা, বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করা, গাজাকে দখলমুক্ত করা এবং আল আকসা মসজিদে হামলা প্রতিরোধ করতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করতে প্রস্তুত আছে হামাস।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দোহায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে যুদ্ধবিরতিকে রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করেন ইসমাইল হানিয়া। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ হানিয়াকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ফিলিস্তিনের শত্রুরা নারী, শিশু ও অন্য বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে। তারপরও তারা লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানানোয় লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক ও সিরিয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন হামাসপ্রধান। ইরানের নেতৃত্ব, রাষ্ট্রপতি, সরকার এবং ইরানের জনগণের দৃঢ় সমর্থনের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইসমাইল হানিয়া।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাতে থাকে। গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায়ও মারা যায় ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি।
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল হামাস প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে ২৪ জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি নাগরিক, থাইল্যান্ডের ১০ নাগরিক ও ১ জন ফিলিপাইনের। ইসরায়েলও তাদের কারাগারে বন্দী থাকা ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে। চুক্তির আওতায় জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি চার দিন লড়াই বন্ধ রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তা-ও মানা হচ্ছে।

প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২৭ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ কথা বলেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির প্রধান।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ কথা বলেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির প্রধান।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২৭ মিনিট আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ কথা বলেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির প্রধান।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২৭ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল যত দিন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় মেনে চলবে হামাসও তত দিন তা অনুসরণ করবে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ কথা বলেন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির প্রধান।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২৭ মিনিট আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
২ ঘণ্টা আগে