Ajker Patrika

ইসরায়েলের জন্য আকাশসীমা উন্মুক্ত করল সৌদি আরব 

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২২, ১৯: ২৯
ইসরায়েলের জন্য আকাশসীমা উন্মুক্ত করল সৌদি আরব 

ইসরায়েলি বিমানের জন্য আকাশসীমা উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরব। ইসরায়েল থেকে আসা এবং ইসরায়েল অভিমুখী যেকোনো বেসামরিক ফ্লাইট এখন থেকে সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সফরের প্রথম ধাপে তিনি ইসরায়েলের সরকারপ্রধান, বিরোধীদলীয় নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইসরায়েল সফর শেষে বাইডেনের সরাসরি একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।

ইসরায়েল থেকে বাইডেনকে বহনকারী বিমান সৌদি আরবের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাইডেন সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি এই সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলের একীভূত হয়ে কাজ করার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।’ 

এর আগে বাইডেন প্রশাসন গত কয়েক মাস ধরেই কাজ করে যাচ্ছিল সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক স্থাপনে। যাতে করে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যায়। 

অনেক আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। তবে কোনো দেশই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এর আগে ২০২০ সালে ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকবার সৌদি আরবে যান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে সে সময় রিয়াদ বিষয়টি স্বীকার করেনি।

 এর আগে সৌদি আরব দেশটির আকাশসীমা ব্যবহার করে কেবল ইসরায়েল থেকে আরব আমিরাত ও বাইরাইনগামী ইসরায়েলি বেসামরিক বিমান চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে যেকোনো ইসরায়েলি বেসামরিক বিমান সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করে যেকোনো গন্তব্যে যেতে পারবে। 

গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের জেনারেল অথোরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন–জিএসিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাঁরা ১৯৪৪ সালের শিকাগো কনভেনশনের চুক্তির বাধ্যবাধকতা পূরণে তাদের আকাশসীমা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সৌদি আরব ও ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ।’ সৌদি আরব এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লাপিদ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুল, প্রশংসা আর ডলারে ভাসছেন বন্ডাই বিচের ‘নায়ক’ আল-আহমেদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহমেদ আল-আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহমেদ আল-আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।

৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।

ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’

আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।

হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।

রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

আহমেদ আল-আহমেদের ধস্তাধস্তির সেই মুহূর্তটি। ছবি: সংগৃহীত
আহমেদ আল-আহমেদের ধস্তাধস্তির সেই মুহূর্তটি। ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’

আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’

এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।

এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রায় মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন তাঁরা, বাগড়া দিলেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। ছবি: এএফপি
ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। ছবি: এএফপি

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।

সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’

সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।

চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?

নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।

ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’

জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।

সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’

প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৩
পেন্টাগনের গোপন নথি বলছে, কোনো যুদ্ধ শুরু হলে চীনের সঙ্গে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
পেন্টাগনের গোপন নথি বলছে, কোনো যুদ্ধ শুরু হলে চীনের সঙ্গে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’

পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।

ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’

চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।

যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।

এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।

প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।

পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত