আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। আজ রোববার সকালে ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছে ২০০ জনের বেশি, যাদের অনেকের অবস্থাই সংকটাপন্ন। এর আগে গত ২৮-২৯ মে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ১০ জন। আহত হয় অন্তত ৬২ জন।
ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও কিছু চিকিৎসাকর্মী সরেজমিনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শহরটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ বোমাবর্ষণে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, সহায়তার নামে এই অপমানজনক ব্যবস্থার ফলে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ও অসহায় মানুষকে বহু মাইল হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়েছে ওই ধ্বংসস্তূপে। আবার সেখানে গিয়ে ত্রাণের পরিবর্তে বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে বুলেটে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ নিরাপদ ও বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত না হলে গণদুর্ভিক্ষ অনিবার্য। ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং জাতিসংঘকে বাধাহীন ও নিরাপদভাবে ত্রাণ প্রবেশ ও বিতরণের অনুমতি দিতে হবে। এই সংকট মোকাবিলায় একমাত্র ইউএনআরডব্লিউএই সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গণদুর্ভিক্ষ রোধ করার এখনই সময়, নইলে গাজার অন্তত ১০ লাখ শিশু প্রাণ হারাতে পারে।
ইউএনআরডব্লিউএ অভিযোগ করেছে, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে এখন বিভিন্ন পক্ষ থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উচিত, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং স্বাধীনভাবে চলমান বর্বরতার প্রতিবেদন করার সুযোগ দেওয়া।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল গাজায় ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর থেকে উপত্যকাটিতে ত্রাণ বিতরণের কাজ করছে নতুন মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। তবে, জিএইচএফ আগে থেকেই বিতর্কিত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিবন্ধিত হয় এটি। তবে সংস্থাটি প্রথমবারের মতো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে গত ২৬ মে। এর আগের দিন, ২৫ মে জিএইচএফের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জেক উড পদত্যাগ করেন। সংস্থাটি মানবিক সহায়তায় নিরপেক্ষতা, মানবতা ও স্বাধীনতার নীতিমালা অনুসরণ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। আজ রোববার সকালে ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছে ২০০ জনের বেশি, যাদের অনেকের অবস্থাই সংকটাপন্ন। এর আগে গত ২৮-২৯ মে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ১০ জন। আহত হয় অন্তত ৬২ জন।
ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও কিছু চিকিৎসাকর্মী সরেজমিনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শহরটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ বোমাবর্ষণে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, সহায়তার নামে এই অপমানজনক ব্যবস্থার ফলে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ও অসহায় মানুষকে বহু মাইল হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়েছে ওই ধ্বংসস্তূপে। আবার সেখানে গিয়ে ত্রাণের পরিবর্তে বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে বুলেটে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ নিরাপদ ও বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত না হলে গণদুর্ভিক্ষ অনিবার্য। ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং জাতিসংঘকে বাধাহীন ও নিরাপদভাবে ত্রাণ প্রবেশ ও বিতরণের অনুমতি দিতে হবে। এই সংকট মোকাবিলায় একমাত্র ইউএনআরডব্লিউএই সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, গণদুর্ভিক্ষ রোধ করার এখনই সময়, নইলে গাজার অন্তত ১০ লাখ শিশু প্রাণ হারাতে পারে।
ইউএনআরডব্লিউএ অভিযোগ করেছে, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে এখন বিভিন্ন পক্ষ থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উচিত, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং স্বাধীনভাবে চলমান বর্বরতার প্রতিবেদন করার সুযোগ দেওয়া।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল গাজায় ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর থেকে উপত্যকাটিতে ত্রাণ বিতরণের কাজ করছে নতুন মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। তবে, জিএইচএফ আগে থেকেই বিতর্কিত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নিবন্ধিত হয় এটি। তবে সংস্থাটি প্রথমবারের মতো খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে গত ২৬ মে। এর আগের দিন, ২৫ মে জিএইচএফের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জেক উড পদত্যাগ করেন। সংস্থাটি মানবিক সহায়তায় নিরপেক্ষতা, মানবতা ও স্বাধীনতার নীতিমালা অনুসরণ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
২ ঘণ্টা আগে
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-সংশ্লিষ্ট এবং ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব হামলার অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী অর্থবছরের জন্য আজ শুক্রবার অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার জন্য যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তার চতুর্থ বছরের বরাদ্দ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহুল আলোচিত ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের ২১টি, ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটিসহ ২৫টি অভিযোগের সবকটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে অবৈধভাবে ২২০ কোটি রিঙ্গিত (প্রায় ৫৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এর আগে নাজিব দাবি করেছিলেন, তিনি পলাতক অর্থদাতা জো লোর প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বিচারক স্পষ্ট করেছেন, জো লো ও নাজিবের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং জো লো নাজিবের ছায়া বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
এদিকে আত্মসাৎ করা অর্থ সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে ‘অনুদান’ হিসেবে পাওয়ার যে প্রমাণ নাজিব দিয়েছিলেন, তা-ও আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি অভিযোগের জন্য নাজিবের ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সাজা কত বছর হবে, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এ রায় মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জোট সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম শরিক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নাজিবের সব অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া ইউএমএনওর কট্টর সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করতে পারে, যা সরকারের স্থায়িত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেমস চাই আল-জাজিরাকে বলেন, এ রায় মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার এক বড় প্রমাণ। তবে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ইতিহাস
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজাব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়।
সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় ৭৬ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। যদিও নাজিব রাজাক গত বছর এই কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনি লড়াইয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাজিবের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

বহুল আলোচিত ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের ২১টি, ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটিসহ ২৫টি অভিযোগের সবকটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে অবৈধভাবে ২২০ কোটি রিঙ্গিত (প্রায় ৫৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আদালত।
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এর আগে নাজিব দাবি করেছিলেন, তিনি পলাতক অর্থদাতা জো লোর প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বিচারক স্পষ্ট করেছেন, জো লো ও নাজিবের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং জো লো নাজিবের ছায়া বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন।
এদিকে আত্মসাৎ করা অর্থ সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে ‘অনুদান’ হিসেবে পাওয়ার যে প্রমাণ নাজিব দিয়েছিলেন, তা-ও আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি অভিযোগের জন্য নাজিবের ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সাজা কত বছর হবে, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এ রায় মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জোট সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম শরিক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নাজিবের সব অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া ইউএমএনওর কট্টর সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করতে পারে, যা সরকারের স্থায়িত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেমস চাই আল-জাজিরাকে বলেন, এ রায় মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার এক বড় প্রমাণ। তবে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ইতিহাস
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজাব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়।
সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় ৭৬ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। যদিও নাজিব রাজাক গত বছর এই কেলেঙ্কারির জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনি লড়াইয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাজিবের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। রোববার সকালেই ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
০২ জুন ২০২৫
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-সংশ্লিষ্ট এবং ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব হামলার অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী অর্থবছরের জন্য আজ শুক্রবার অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার জন্য যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তার চতুর্থ বছরের বরাদ্দ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে এবার বড়দিনের আমেজ ম্লান করে দিয়েছে আতঙ্ক আর উত্তেজনা। গত কয়েক দিনে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সভা ও বড়দিনের সাজসজ্জায় হামলা, হুমকি ও বাধা দেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-সংশ্লিষ্ট এবং ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব হামলার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করেছে। অন্য দিকে ধর্মীয় নেতারা এই হুমকির বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের একটি শপিং মলে ডানপন্থী দলের সদস্যরা বড়দিনের সাজসজ্জা ভাঙচুর করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মলের এক কর্মচারী বলেন, ‘৮০-৯০ জন মানুষ সেখানে ঢুকে পড়ে। ১৬ বছর ধরে আমরা এখানে কার্যক্রম চালাচ্ছি, কিন্তু এমন আচরণ কখনো দেখিনি। দলটি আমাদের হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ ও সহিংসতা চালায়।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) হিন্দুদের বড়দিন পালন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকাশ্য আহ্বান জানিয়েছে। এই উৎসবে অংশগ্রহণকে তারা ‘সাংস্কৃতিক সচেতনতার’ জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে।
সমালোচকদের মতে, এ ধরনের আহ্বান একটি বর্জনমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে এবং উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে বিক্রেতাদের হয়রানি করতে, উৎসবের অনুষ্ঠানে বাধা দিতে এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করতে উৎসাহিত করেছে।
কেরালা থেকে দ্য নিউজ মিনিট জানিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর বড়দিনের ক্যারল গাওয়ার সময় ১৫ বছরের কম বয়সী একদল শিশুর ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাদের বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলা হয়। এ হামলায় স্থানীয়ভাবে আরএসএস-সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কেরালার বিজেপি নেতা সি কৃষ্ণকুমার দাবি করেছেন, শিশুদের দলটি ছিল ‘মদ্যপ অপরাধী চক্র’ এবং এই ক্যারল গাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। শিশুদের নিয়ে এমন মন্তব্যে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি শোন জর্জও একই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ক্যারল গায়কেরা যদি অসভ্যতা করে, তবে তারা নিশ্চিতভাবেই মার খাবে।
বিজেপি নেতাদের এমন বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবার ও মানবাধিকারকর্মীরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। অভিভাবকদের একাংশ তাঁদের সন্তানদের ওপর মানসিক আঘাতের অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদী ক্যারল মিছিলের আয়োজন করেছে ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া।
তথ্যসূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

ভারতে এবার বড়দিনের আমেজ ম্লান করে দিয়েছে আতঙ্ক আর উত্তেজনা। গত কয়েক দিনে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সভা ও বড়দিনের সাজসজ্জায় হামলা, হুমকি ও বাধা দেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-সংশ্লিষ্ট এবং ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব হামলার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করেছে। অন্য দিকে ধর্মীয় নেতারা এই হুমকির বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের একটি শপিং মলে ডানপন্থী দলের সদস্যরা বড়দিনের সাজসজ্জা ভাঙচুর করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মলের এক কর্মচারী বলেন, ‘৮০-৯০ জন মানুষ সেখানে ঢুকে পড়ে। ১৬ বছর ধরে আমরা এখানে কার্যক্রম চালাচ্ছি, কিন্তু এমন আচরণ কখনো দেখিনি। দলটি আমাদের হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ ও সহিংসতা চালায়।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) হিন্দুদের বড়দিন পালন থেকে বিরত থাকার জন্য প্রকাশ্য আহ্বান জানিয়েছে। এই উৎসবে অংশগ্রহণকে তারা ‘সাংস্কৃতিক সচেতনতার’ জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছে।
সমালোচকদের মতে, এ ধরনের আহ্বান একটি বর্জনমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে এবং উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে বিক্রেতাদের হয়রানি করতে, উৎসবের অনুষ্ঠানে বাধা দিতে এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করতে উৎসাহিত করেছে।
কেরালা থেকে দ্য নিউজ মিনিট জানিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর বড়দিনের ক্যারল গাওয়ার সময় ১৫ বছরের কম বয়সী একদল শিশুর ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাদের বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলা হয়। এ হামলায় স্থানীয়ভাবে আরএসএস-সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আইনে মামলা করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় কেরালার বিজেপি নেতা সি কৃষ্ণকুমার দাবি করেছেন, শিশুদের দলটি ছিল ‘মদ্যপ অপরাধী চক্র’ এবং এই ক্যারল গাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। শিশুদের নিয়ে এমন মন্তব্যে অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি শোন জর্জও একই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ক্যারল গায়কেরা যদি অসভ্যতা করে, তবে তারা নিশ্চিতভাবেই মার খাবে।
বিজেপি নেতাদের এমন বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবার ও মানবাধিকারকর্মীরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। অভিভাবকদের একাংশ তাঁদের সন্তানদের ওপর মানসিক আঘাতের অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদী ক্যারল মিছিলের আয়োজন করেছে ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া।
তথ্যসূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। রোববার সকালেই ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
০২ জুন ২০২৫
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী অর্থবছরের জন্য আজ শুক্রবার অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার জন্য যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তার চতুর্থ বছরের বরাদ্দ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়া দাবি করেছে, তারা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে স্বদেশের মাটিতে সামরিক সাফল্য প্রচার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেন ভূখণ্ডের ওপর নিজেদের দাবির বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। গত শুক্রবার বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্কের সিভারস্ক এবং উত্তরের খারকিভ অঞ্চলের ভভচানস্ক দখল করে নিয়েছে।
এ ছাড়া পুতিনের দাবি—রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এখন দোনেৎস্কের লিমান ও কস্ত্যন্তিনিভকা এবং দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল শহরের অন্তত অর্ধেক এলাকা। উল্লেখ্য, এই শহরগুলো যুদ্ধের সম্মুখভাগ হিসেবে পরিচিত। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারীরা পুতিনের এই দাবির সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছে, স্যাটেলাইট চিত্র ও উন্মুক্ত উৎসের ভিজ্যুয়াল তথ্য-প্রমাণ পুতিনের দাবির উল্টো কথা বলছে।
আইএসডব্লিউ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘পুতিন যেসব এলাকা দখল বা ব্যাপক অগ্রগতির দাবি করেছেন, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, হুলিয়াপোলের মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং লিমানে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এলাকায় রুশ বাহিনীর উপস্থিতি (অনুপ্রবেশ বা হামলার মাধ্যমে) রয়েছে।’ সংস্থাটির হিসাবমতে, কস্ত্যন্তিনিভকা শহরে রুশ অগ্রগতির পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি নয়।
এমনকি রাশিয়ার যুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা মিলব্লগারদের দাবিও পুতিনের বক্তব্যের সঙ্গে মিলছে না। আইএসডব্লিউ বলছে, ওই মিলব্লগারদের মতে—রুশ বাহিনী বড়জোর লিমানে ৭ শতাংশ এবং কস্ত্যন্তিনিভকায় ১১ শতাংশ এলাকা কবজায় নিতে পেরেছে।
ক্রেমলিন আরও দাবি করেছে, তারা খারকিভের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্কের পোকরোভস্ক শহর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে আইএসডব্লিউ-এর অনুমান, খারকিভের মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার হাতে রয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, পোকরোভস্কের ১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে বছরের শেষ প্রতিবেদনে রুশ সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ দাবি করেন, এ বছর রাশিয়া ইউক্রেনের ৬ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। এর এক সপ্তাহ আগে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ এই পরিমাণ ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু আইএসডব্লিউ-এর হিসাবে এই দখলিকৃত ভূমির পরিমাণ ৪ হাজার ৯৮৪ বর্গকিলোমিটারের বেশি নয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের দাবি করা ৩০০টি জনপদের বদলে সেখানে জনপদ রয়েছে মাত্র ১৯৬ টি।
রাশিয়ার এই দাবিগুলো এমন এক সময়ে এল, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের আলোচকেরা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে নিবিড় আলোচনা চালাচ্ছেন। ফ্লোরিডায় তিন দিনের আলোচনার পর গত সোমবার এই প্রক্রিয়ার ইতি ঘটে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা অনুভব করছি, আমেরিকা একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় এবং আমাদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে।’ তবে বুধবার সকালে তাঁর প্রকাশ করা ২০ দফার পরিকল্পনায় দেখা গেছে, ভূখণ্ডের মালিকানার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো ঐকমত্য হয়নি।
রাশিয়া দাবি করছে, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিতে হবে। ইউক্রেন এতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো প্রস্তাব দিয়েছে, ভূখণ্ড নিয়ে আলোচনা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির পর শুরু করা যেতে পারে। জেলেনস্কি ভূখণ্ডগত সমন্বয় নিয়ে একটি যৌথ অবস্থানে পৌঁছাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটোর সমপর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে রাশিয়া যদি আবারও আক্রমণ চালায়, তবে ন্যাটো সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধে নামতে পারবে। আলাদাভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে যে তারা অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেবে, যা তাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সুবিধা পাওয়ার অধিকার দেবে।
সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই পরিকল্পনায় ইউক্রেন তাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ শক্তি বজায় রাখার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া সাবেক দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দিতেও তাদের বাধ্য করা হয়নি। অথচ মস্কো এসব বিষয়ে জোর দিয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রস্তাবেও এগুলো ছিল। ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়া এই ২০ দফার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত থাকার কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া তাদের অবস্থান ‘তৈরি’ করবে এবং বিদ্যমান চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুতই যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।

রাশিয়া দাবি করেছে, তারা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে স্বদেশের মাটিতে সামরিক সাফল্য প্রচার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেন ভূখণ্ডের ওপর নিজেদের দাবির বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। গত শুক্রবার বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্কের সিভারস্ক এবং উত্তরের খারকিভ অঞ্চলের ভভচানস্ক দখল করে নিয়েছে।
এ ছাড়া পুতিনের দাবি—রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এখন দোনেৎস্কের লিমান ও কস্ত্যন্তিনিভকা এবং দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোল শহরের অন্তত অর্ধেক এলাকা। উল্লেখ্য, এই শহরগুলো যুদ্ধের সম্মুখভাগ হিসেবে পরিচিত। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারীরা পুতিনের এই দাবির সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছে, স্যাটেলাইট চিত্র ও উন্মুক্ত উৎসের ভিজ্যুয়াল তথ্য-প্রমাণ পুতিনের দাবির উল্টো কথা বলছে।
আইএসডব্লিউ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘পুতিন যেসব এলাকা দখল বা ব্যাপক অগ্রগতির দাবি করেছেন, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, হুলিয়াপোলের মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং লিমানে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এলাকায় রুশ বাহিনীর উপস্থিতি (অনুপ্রবেশ বা হামলার মাধ্যমে) রয়েছে।’ সংস্থাটির হিসাবমতে, কস্ত্যন্তিনিভকা শহরে রুশ অগ্রগতির পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি নয়।
এমনকি রাশিয়ার যুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা মিলব্লগারদের দাবিও পুতিনের বক্তব্যের সঙ্গে মিলছে না। আইএসডব্লিউ বলছে, ওই মিলব্লগারদের মতে—রুশ বাহিনী বড়জোর লিমানে ৭ শতাংশ এবং কস্ত্যন্তিনিভকায় ১১ শতাংশ এলাকা কবজায় নিতে পেরেছে।
ক্রেমলিন আরও দাবি করেছে, তারা খারকিভের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্কের পোকরোভস্ক শহর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে আইএসডব্লিউ-এর অনুমান, খারকিভের মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার হাতে রয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, পোকরোভস্কের ১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে বছরের শেষ প্রতিবেদনে রুশ সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ দাবি করেন, এ বছর রাশিয়া ইউক্রেনের ৬ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। এর এক সপ্তাহ আগে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ এই পরিমাণ ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু আইএসডব্লিউ-এর হিসাবে এই দখলিকৃত ভূমির পরিমাণ ৪ হাজার ৯৮৪ বর্গকিলোমিটারের বেশি নয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের দাবি করা ৩০০টি জনপদের বদলে সেখানে জনপদ রয়েছে মাত্র ১৯৬ টি।
রাশিয়ার এই দাবিগুলো এমন এক সময়ে এল, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের আলোচকেরা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে নিবিড় আলোচনা চালাচ্ছেন। ফ্লোরিডায় তিন দিনের আলোচনার পর গত সোমবার এই প্রক্রিয়ার ইতি ঘটে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা অনুভব করছি, আমেরিকা একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় এবং আমাদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে।’ তবে বুধবার সকালে তাঁর প্রকাশ করা ২০ দফার পরিকল্পনায় দেখা গেছে, ভূখণ্ডের মালিকানার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো ঐকমত্য হয়নি।
রাশিয়া দাবি করছে, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিতে হবে। ইউক্রেন এতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো প্রস্তাব দিয়েছে, ভূখণ্ড নিয়ে আলোচনা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির পর শুরু করা যেতে পারে। জেলেনস্কি ভূখণ্ডগত সমন্বয় নিয়ে একটি যৌথ অবস্থানে পৌঁছাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটোর সমপর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে রাশিয়া যদি আবারও আক্রমণ চালায়, তবে ন্যাটো সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধে নামতে পারবে। আলাদাভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে যে তারা অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেবে, যা তাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সুবিধা পাওয়ার অধিকার দেবে।
সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই পরিকল্পনায় ইউক্রেন তাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ শক্তি বজায় রাখার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া সাবেক দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার বলে স্বীকৃতি দিতেও তাদের বাধ্য করা হয়নি। অথচ মস্কো এসব বিষয়ে জোর দিয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল প্রস্তাবেও এগুলো ছিল। ওয়াশিংটন ও কিয়েভের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়া এই ২০ দফার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত থাকার কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া তাদের অবস্থান ‘তৈরি’ করবে এবং বিদ্যমান চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুতই যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।

গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। রোববার সকালেই ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
০২ জুন ২০২৫
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
২ ঘণ্টা আগে
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-সংশ্লিষ্ট এবং ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব হামলার অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী অর্থবছরের জন্য আজ শুক্রবার অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার জন্য যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তার চতুর্থ বছরের বরাদ্দ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই জাপানের মন্ত্রিসভা ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্কের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেছে। চলতি সপ্তাহে বেইজিং টোকিওর বিরুদ্ধে ‘মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত এল।
আগামী অর্থবছরের জন্য আজ শুক্রবার অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার জন্য যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তার চতুর্থ বছরের বরাদ্দ।
বাজেট পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাল্টা আঘাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় প্রতিরক্ষা জোরদার করার ওপর। এ জন্য ভূমি থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং চালকহীন সমরাস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে শিল্ড নামের একটি প্রকল্পের আওতায় সমুদ্র উপকূল রক্ষায় নজরদারি ও প্রতিরক্ষার জন্য বড় আকারের চালকহীন আকাশযান, জাহাজ এবং পানির নিচে ড্রোন মোতায়েন করতে ১০০ বিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করবে জাপান।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীন ও জাপান সরকারের মধ্যে বাড়তে থাকা বৈরিতার মধ্যেই এই বাজেট বৃদ্ধির ঘোষণা এল। জাপান নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার যেকোনো উদ্যোগ নিলেই বেইজিং তার বিরোধিতা করে আসছে।
গত নভেম্বরে এই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়, যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি মন্তব্য করেন, চীন যদি তাইওয়ান দখল করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়, তাহলে জাপান সম্ভবত সামরিকভাবে তাতে জড়িয়ে পড়বে।
তাকাইচির এই বক্তব্যে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
চীনা কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে টোকিওর সমালোচনা করে আসছেন এবং জাপানের যেকোনো সামরিক ঘোষণা পেলে তার বিরোধিতা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, জাপানের সাম্প্রতিক মহাকাশ প্রযুক্তি উন্নয়ন, যার কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় হচ্ছে, মহাকাশকে ‘অস্ত্রসজ্জিত ও সামরিকীকরণ করছে এবং সেখানে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ইন্ধন দিচ্ছে।’
জাপানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে টোকিও বেশ কয়েকটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে মহাকাশে পণ্যবাহী যান, জিপিএস সিস্টেম এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাং শিয়াওগাং গত রোববার বলেন, অতীতে জাপানি সমরবিদেরা যেভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল এবং দেশটি বর্তমানে যেভাবে আক্রমণাত্মক মহাকাশ নীতি গ্রহণ করছে, তাতে আরও একটি পার্ল হারবার পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হওয়াটা অবাক করার মতো কিছু নয়।

চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই জাপানের মন্ত্রিসভা ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্কের প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করেছে। চলতি সপ্তাহে বেইজিং টোকিওর বিরুদ্ধে ‘মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত এল।
আগামী অর্থবছরের জন্য আজ শুক্রবার অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত এই প্রতিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এটি বর্তমান বাজেটের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার জন্য যে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, এটি তার চতুর্থ বছরের বরাদ্দ।
বাজেট পরিকল্পনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাল্টা আঘাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় প্রতিরক্ষা জোরদার করার ওপর। এ জন্য ভূমি থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং চালকহীন সমরাস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে শিল্ড নামের একটি প্রকল্পের আওতায় সমুদ্র উপকূল রক্ষায় নজরদারি ও প্রতিরক্ষার জন্য বড় আকারের চালকহীন আকাশযান, জাহাজ এবং পানির নিচে ড্রোন মোতায়েন করতে ১০০ বিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করবে জাপান।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীন ও জাপান সরকারের মধ্যে বাড়তে থাকা বৈরিতার মধ্যেই এই বাজেট বৃদ্ধির ঘোষণা এল। জাপান নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার যেকোনো উদ্যোগ নিলেই বেইজিং তার বিরোধিতা করে আসছে।
গত নভেম্বরে এই সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়, যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি মন্তব্য করেন, চীন যদি তাইওয়ান দখল করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়, তাহলে জাপান সম্ভবত সামরিকভাবে তাতে জড়িয়ে পড়বে।
তাকাইচির এই বক্তব্যে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
চীনা কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে টোকিওর সমালোচনা করে আসছেন এবং জাপানের যেকোনো সামরিক ঘোষণা পেলে তার বিরোধিতা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, জাপানের সাম্প্রতিক মহাকাশ প্রযুক্তি উন্নয়ন, যার কিছু অংশ যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় হচ্ছে, মহাকাশকে ‘অস্ত্রসজ্জিত ও সামরিকীকরণ করছে এবং সেখানে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ইন্ধন দিচ্ছে।’
জাপানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে টোকিও বেশ কয়েকটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে মহাকাশে পণ্যবাহী যান, জিপিএস সিস্টেম এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাং শিয়াওগাং গত রোববার বলেন, অতীতে জাপানি সমরবিদেরা যেভাবে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল এবং দেশটি বর্তমানে যেভাবে আক্রমণাত্মক মহাকাশ নীতি গ্রহণ করছে, তাতে আরও একটি পার্ল হারবার পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হওয়াটা অবাক করার মতো কিছু নয়।

গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। রোববার সকালেই ত্রাণ বিতরণের সময় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত মানুষকে গুলি করে মেরেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
০২ জুন ২০২৫
বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ তাঁর রায়ে বলেন, নাজিব রাজাক এই বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘উইচ হান্ট’ বলে যে দাবি করেছিলেন, তা অকাট্য প্রমাণের মুখে খারিজ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও ওয়ানএমডিবির উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের শক্তিশালী পজিশন ব্যবহার করে তিনি...
২ ঘণ্টা আগে
ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-সংশ্লিষ্ট এবং ডানপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব হামলার অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা বিস্তারিত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে