
‘মা কোথায়, আমার পা কোথায় গেল?’—তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি হানান আল-দাক্কি বারবার এই প্রশ্ন করছে তার বছরখানেক ছোট বোন মিসককে। হানান ও মিসক প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের সেখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলা হয়।
তাদের ফুপু ২৮ বছর বয়সী শেফা আল-দাক্কি তখন থেকেই তাদের পাশে আছেন। কিন্তু তিনি জানেন না, তাঁর দুই শিশু ভাতিজির এই প্রশ্নের জবাব কীভাবে দেবেন।
গত ২ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। সেদিন সকালে শাইমা আল-দাক্কি ভোরে উঠে তাঁর দুই মেয়ে—হানান এবং ২২ মাস বয়সী মিসককে পোলিও টিকা দিতে নিয়ে যান। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও এই টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পরদিন দুপুরে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়ার পর ইসরায়েল দায়ের এল-বালাহে অবস্থিত তাঁদের বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।
ইসরায়েলি বোমা হামলায় ২৫ বছর বয়সী শাইমা নিহত হন এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা আহত হন। আহতদের মধ্যে ছিলেন তাঁর স্বামী মোহাম্মদ আল-দাক্কি। বোমার আঘাতে দুই ছোট মেয়ের পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
হানান গুরুতর আহত হয় এবং একপর্যায়ে তার দুই পা-ই হারায়। একটি হাঁটুর ওপরে কেটে ফেলা হয় এবং অন্যটি হাঁটুর নিচে। শরীরজুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এমনকি মুখ ও খাদ্যনালিতেও। তার অন্ত্রের একটি অংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়। অন্যদিকে, মিসকের বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়।
তাদের বাবা মোহাম্মদ আল-দাক্কি (৩১) দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং বুকে আঘাত লেগেছিল। শেফা আল-দাক্কি বলেন, ‘চার মাস ধরে আমরা যেন একটি দুঃস্বপ্নে আটকা পড়েছি।’
ইসরায়েলি হামলায় ভাইয়ের পরিবার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে আছেন শেফা। তিনি জানান, ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই হানান অত্যন্ত ভঙ্গুর ও অস্থির হয়ে পড়েছে। তিনি হানানকে শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তিনি আরও জানান, এই দুই মেয়েই ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে আছে এবং সব সময়ই তাদের তাঁর গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে।
শেফা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে প্রায়ই নিজেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কখনো মেয়েদের জন্য দুঃখে, কখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন শুধু এটুকুই বলতে পারি যে তাদের মা জান্নাতে আছেন। কিন্তু তাদের জন্য ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে? সেটি তো আমি বলতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় হয়ে তারা যখন দেখবে যে তাদের বয়সী অন্য শিশুদের থেকে তারা আলাদা তখন তারা কেমন অনুভব করবে? হানান কীভাবে তার পছন্দের পোশাক পরবে? সে যখন আমার কাছে তার পছন্দের জামা বা জুতো চাইবে তখন আমি তাকে কী জবাব দেব?’ দাক্কি পরিবারের এই সদস্য আরও বলেন, ‘হানানের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন। কারণ, সে তার বোনের চেয়ে অনেক বেশি বোঝে এবং তার আঘাতগুলোও ছিল অনেক গুরুতর।’
হাসপাতালটির কর্মীরা এতটাই ব্যস্ত এবং সেখানে এত বেশি হতাহত মানুষ আসছে যে সরঞ্জামবিহীন পরিবেশে কাজ করা চিকিৎসাকর্মীদের পক্ষে হানান বা মিসকের মতো অনেককেই তাঁরা মানসিক সমর্থনটুকুও দিতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তিন সন্তানের জননী শেফা পালা করে তাঁর এই ভাতিজির দেখাশোনা করেন। তিনি শাইমার মা অর্থাৎ হানানের নানি, হানান-মিসকের দাদি এবং ২৯ বছর বয়সী চাচা আহমেদ ও বাবা মোহাম্মদ পালাক্রমে এই দুই শিশুর দেখভাল করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হানানের পরিবারের অন্য প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা প্রায়ই তাদের জন্য হাসপাতালে বিভিন্ন ছোটখাটো উপহার আনেন। বাচ্চা দুটো প্রায়ই খেলনা চায়, কিন্তু চাইলেও তাদের সেই সাধ পূর্ণ হয় না। একে তো বাজার বলে কিছু নেই, তার ওপর আর্থিক টানাপোড়েন। ফলে পরিবার যা আনতে পারে, সেটাই নিয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

শেফা জানান, চাচা আহমেদ হানান ও মিসকের কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় ব্যক্তি। কারণ, সে তাদের সঙ্গে খেলেন এবং হাসপাতালের বাকি অংশ ঘুরে দেখার জন্য তাদের ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যায়। ঘুমের অভাবে লাল হয়ে থাকা অশ্রুসিক্ত চোখে শেফা বলেন, ‘আমাদের তো কেউই কোনো দিন তাদের মা-কে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না।’
শেফা বলেন, ‘আমি কখনোই একটি ঘটনা ভুলব না। আমি একবার আমারে মেয়ে হালাকে এনেছিলাম হাসপাতালে। হালা ও হানান সময় বয়সী। সে সময় হানান তাকিয়ে থাকত হালার পায়ের দিকে, তারপর নিজের কাটা পায়ের দিকে। যেন বিভ্রান্ত। এ ঘটনার আগে তারা সব সময় একসঙ্গে দৌড়াত ও খেলত। এখন তারা হাসপাতালের বিছানায় খেলে।’
যেহেতু হানান ও মিসক দ্রুত বেড়ে ওঠার পর্যায়ে আছে, তাই তাদের লম্বা হাড়গুলোর নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে যে সামান্য ফিজিওথেরাপি সম্ভব, তা তাদের খুব একটা সাহায্য করে না। হাসপাতালের সময়টুকু তাদের কাটে আঁকাআঁকি করে, দর্শনার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে বা সময় কাটানোর জন্য বড়দের মোবাইল ফোন নিয়ে খেলে।
শেফা জানান, যখন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয় তখন থেকেই শাইমা তাঁর মেয়েদের জন্য আতঙ্কে ছিলেন। তিনি খেতে পারতেন না, ঘুমাতে পারতেন না, মেয়েদের জন্য খাবার আর ফর্মুলা খুঁজে পাওয়ার চিন্তায় তাঁর অনেক ওজন কমে গিয়েছিল। তিনি সব সময় তার মেয়েদের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন এবং তারা যা চাইত—তা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
শেফা বলেন, ছোট্ট হানান সাজতে খুব পছন্দ করত, সে পোশাক আর জুতোর প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। শাইমা তাদের ভীষণ ভালোবাসতেন। যখন গাজায় পোলিও টিকা দেওয়া শুরু হয় এবং ইসরায়েল এই ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, তখন শাইমা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে তার মেয়েরা অন্তত সেই সুরক্ষা পাবে। শাইমা তাঁর বোন ও শ্বশুরবাড়ির লোকদেরও একই কাজ করার উৎসাহ দিয়েছেন।

হানানের ফুপু বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের ক্ষতির ব্যাপারে ভয় পেতাম। কিন্তু কী লাভ? পোলিও থেকে সুরক্ষা পাবে, তারপর একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের পা হারাবে? এর মানে কী?’
হানান ও মিসকের যে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, তা গাজায় সম্ভব নয়। কারণ, ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই তাদের নাম গাজা ছেড়ে চিকিৎসার জন্য যাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তালিকার জন্য নাম সংগ্রহ করে। কিন্তু ইসরায়েল অনুমোদন না দিলে কেউই গাজা বের হতে পারে না। এখনো এই দুই শিশুকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শেফা বলেন, ‘আমরা তিন মাসের বেশি অপেক্ষা করছি। তারা তো ছোট মেয়ে, যাদের ভীষণভাবে কৃত্রিম অঙ্গের প্রয়োজন। তাদের মানসিক অবস্থাও খারাপ হচ্ছে।’
গাজাতে কেবল কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়া গেলেই হবে না। তাদের সম্পূর্ণ মূল্যায়ন এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তারপর কৃত্রিম অঙ্গের কথা ভাবা যেতে পারে। হানান ও মিসক যেহেতু এখনো বড় হচ্ছে, তাদের বয়স অনুযায়ী হাড়ের বৃদ্ধি বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করবে—যার ফলে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভবত কয়েকটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
শেফা যা জানেন তা হলো, ‘এই ছোট মেয়েদের জীবন আর কখনো আগের মতো হবে না।’ তিনি বলেন, ‘হানান জুতা পরতে চায় এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে কেন সে পরতে পারে না...কেন সে পার্কে গিয়ে খেলতে পারে না। আমার কাছে কোনো উত্তর নেই।’
আল জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

‘মা কোথায়, আমার পা কোথায় গেল?’—তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি হানান আল-দাক্কি বারবার এই প্রশ্ন করছে তার বছরখানেক ছোট বোন মিসককে। হানান ও মিসক প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের সেখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলা হয়।
তাদের ফুপু ২৮ বছর বয়সী শেফা আল-দাক্কি তখন থেকেই তাদের পাশে আছেন। কিন্তু তিনি জানেন না, তাঁর দুই শিশু ভাতিজির এই প্রশ্নের জবাব কীভাবে দেবেন।
গত ২ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। সেদিন সকালে শাইমা আল-দাক্কি ভোরে উঠে তাঁর দুই মেয়ে—হানান এবং ২২ মাস বয়সী মিসককে পোলিও টিকা দিতে নিয়ে যান। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেও এই টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পরদিন দুপুরে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়ার পর ইসরায়েল দায়ের এল-বালাহে অবস্থিত তাঁদের বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।
ইসরায়েলি বোমা হামলায় ২৫ বছর বয়সী শাইমা নিহত হন এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা আহত হন। আহতদের মধ্যে ছিলেন তাঁর স্বামী মোহাম্মদ আল-দাক্কি। বোমার আঘাতে দুই ছোট মেয়ের পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
হানান গুরুতর আহত হয় এবং একপর্যায়ে তার দুই পা-ই হারায়। একটি হাঁটুর ওপরে কেটে ফেলা হয় এবং অন্যটি হাঁটুর নিচে। শরীরজুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এমনকি মুখ ও খাদ্যনালিতেও। তার অন্ত্রের একটি অংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়। অন্যদিকে, মিসকের বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়।
তাদের বাবা মোহাম্মদ আল-দাক্কি (৩১) দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং বুকে আঘাত লেগেছিল। শেফা আল-দাক্কি বলেন, ‘চার মাস ধরে আমরা যেন একটি দুঃস্বপ্নে আটকা পড়েছি।’
ইসরায়েলি হামলায় ভাইয়ের পরিবার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে আছেন শেফা। তিনি জানান, ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই হানান অত্যন্ত ভঙ্গুর ও অস্থির হয়ে পড়েছে। তিনি হানানকে শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তিনি আরও জানান, এই দুই মেয়েই ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যে আছে এবং সব সময়ই তাদের তাঁর গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে।
শেফা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে প্রায়ই নিজেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কখনো মেয়েদের জন্য দুঃখে, কখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন শুধু এটুকুই বলতে পারি যে তাদের মা জান্নাতে আছেন। কিন্তু তাদের জন্য ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে? সেটি তো আমি বলতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় হয়ে তারা যখন দেখবে যে তাদের বয়সী অন্য শিশুদের থেকে তারা আলাদা তখন তারা কেমন অনুভব করবে? হানান কীভাবে তার পছন্দের পোশাক পরবে? সে যখন আমার কাছে তার পছন্দের জামা বা জুতো চাইবে তখন আমি তাকে কী জবাব দেব?’ দাক্কি পরিবারের এই সদস্য আরও বলেন, ‘হানানের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন। কারণ, সে তার বোনের চেয়ে অনেক বেশি বোঝে এবং তার আঘাতগুলোও ছিল অনেক গুরুতর।’
হাসপাতালটির কর্মীরা এতটাই ব্যস্ত এবং সেখানে এত বেশি হতাহত মানুষ আসছে যে সরঞ্জামবিহীন পরিবেশে কাজ করা চিকিৎসাকর্মীদের পক্ষে হানান বা মিসকের মতো অনেককেই তাঁরা মানসিক সমর্থনটুকুও দিতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তিন সন্তানের জননী শেফা পালা করে তাঁর এই ভাতিজির দেখাশোনা করেন। তিনি শাইমার মা অর্থাৎ হানানের নানি, হানান-মিসকের দাদি এবং ২৯ বছর বয়সী চাচা আহমেদ ও বাবা মোহাম্মদ পালাক্রমে এই দুই শিশুর দেখভাল করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হানানের পরিবারের অন্য প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা প্রায়ই তাদের জন্য হাসপাতালে বিভিন্ন ছোটখাটো উপহার আনেন। বাচ্চা দুটো প্রায়ই খেলনা চায়, কিন্তু চাইলেও তাদের সেই সাধ পূর্ণ হয় না। একে তো বাজার বলে কিছু নেই, তার ওপর আর্থিক টানাপোড়েন। ফলে পরিবার যা আনতে পারে, সেটাই নিয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

শেফা জানান, চাচা আহমেদ হানান ও মিসকের কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় ব্যক্তি। কারণ, সে তাদের সঙ্গে খেলেন এবং হাসপাতালের বাকি অংশ ঘুরে দেখার জন্য তাদের ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যায়। ঘুমের অভাবে লাল হয়ে থাকা অশ্রুসিক্ত চোখে শেফা বলেন, ‘আমাদের তো কেউই কোনো দিন তাদের মা-কে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না।’
শেফা বলেন, ‘আমি কখনোই একটি ঘটনা ভুলব না। আমি একবার আমারে মেয়ে হালাকে এনেছিলাম হাসপাতালে। হালা ও হানান সময় বয়সী। সে সময় হানান তাকিয়ে থাকত হালার পায়ের দিকে, তারপর নিজের কাটা পায়ের দিকে। যেন বিভ্রান্ত। এ ঘটনার আগে তারা সব সময় একসঙ্গে দৌড়াত ও খেলত। এখন তারা হাসপাতালের বিছানায় খেলে।’
যেহেতু হানান ও মিসক দ্রুত বেড়ে ওঠার পর্যায়ে আছে, তাই তাদের লম্বা হাড়গুলোর নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে যে সামান্য ফিজিওথেরাপি সম্ভব, তা তাদের খুব একটা সাহায্য করে না। হাসপাতালের সময়টুকু তাদের কাটে আঁকাআঁকি করে, দর্শনার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে বা সময় কাটানোর জন্য বড়দের মোবাইল ফোন নিয়ে খেলে।
শেফা জানান, যখন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয় তখন থেকেই শাইমা তাঁর মেয়েদের জন্য আতঙ্কে ছিলেন। তিনি খেতে পারতেন না, ঘুমাতে পারতেন না, মেয়েদের জন্য খাবার আর ফর্মুলা খুঁজে পাওয়ার চিন্তায় তাঁর অনেক ওজন কমে গিয়েছিল। তিনি সব সময় তার মেয়েদের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন এবং তারা যা চাইত—তা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
শেফা বলেন, ছোট্ট হানান সাজতে খুব পছন্দ করত, সে পোশাক আর জুতোর প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। শাইমা তাদের ভীষণ ভালোবাসতেন। যখন গাজায় পোলিও টিকা দেওয়া শুরু হয় এবং ইসরায়েল এই ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, তখন শাইমা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে তার মেয়েরা অন্তত সেই সুরক্ষা পাবে। শাইমা তাঁর বোন ও শ্বশুরবাড়ির লোকদেরও একই কাজ করার উৎসাহ দিয়েছেন।

হানানের ফুপু বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের ক্ষতির ব্যাপারে ভয় পেতাম। কিন্তু কী লাভ? পোলিও থেকে সুরক্ষা পাবে, তারপর একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের পা হারাবে? এর মানে কী?’
হানান ও মিসকের যে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, তা গাজায় সম্ভব নয়। কারণ, ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই তাদের নাম গাজা ছেড়ে চিকিৎসার জন্য যাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তালিকার জন্য নাম সংগ্রহ করে। কিন্তু ইসরায়েল অনুমোদন না দিলে কেউই গাজা বের হতে পারে না। এখনো এই দুই শিশুকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শেফা বলেন, ‘আমরা তিন মাসের বেশি অপেক্ষা করছি। তারা তো ছোট মেয়ে, যাদের ভীষণভাবে কৃত্রিম অঙ্গের প্রয়োজন। তাদের মানসিক অবস্থাও খারাপ হচ্ছে।’
গাজাতে কেবল কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়া গেলেই হবে না। তাদের সম্পূর্ণ মূল্যায়ন এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, তারপর কৃত্রিম অঙ্গের কথা ভাবা যেতে পারে। হানান ও মিসক যেহেতু এখনো বড় হচ্ছে, তাদের বয়স অনুযায়ী হাড়ের বৃদ্ধি বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করবে—যার ফলে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভবত কয়েকটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
শেফা যা জানেন তা হলো, ‘এই ছোট মেয়েদের জীবন আর কখনো আগের মতো হবে না।’ তিনি বলেন, ‘হানান জুতা পরতে চায় এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে কেন সে পরতে পারে না...কেন সে পার্কে গিয়ে খেলতে পারে না। আমার কাছে কোনো উত্তর নেই।’
আল জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

‘মা কোথায়, আমার পা কোথায় গেল?’—তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি হানান আল-দাক্কি বারবার এই প্রশ্ন করছে তার বছরখানেক ছোট বোন মিসককে। হানান ও মিসক প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের সেখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলা হয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

‘মা কোথায়, আমার পা কোথায় গেল?’—তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি হানান আল-দাক্কি বারবার এই প্রশ্ন করছে তার বছরখানেক ছোট বোন মিসককে। হানান ও মিসক প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের সেখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলা হয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

‘মা কোথায়, আমার পা কোথায় গেল?’—তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি হানান আল-দাক্কি বারবার এই প্রশ্ন করছে তার বছরখানেক ছোট বোন মিসককে। হানান ও মিসক প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের সেখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলা হয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

‘মা কোথায়, আমার পা কোথায় গেল?’—তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি হানান আল-দাক্কি বারবার এই প্রশ্ন করছে তার বছরখানেক ছোট বোন মিসককে। হানান ও মিসক প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের সেখানে আনা হয়েছিল। এরপর তাদের দুজনেরই পা কেটে ফেলা হয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
২ ঘণ্টা আগে