Ajker Patrika

আল-আকসায় ইসরায়েলি পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

আল-আকসায় ইসরায়েলি পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

আল-আকসায় ইসরায়েলি পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষ হয়। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জাতীয় দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে রাজধানী জেরুজালেমের আল-আকসায় পতাকা মিছিল বের করে শত শত ইসরায়েলি। এর আগেই আল-আকসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। মিছিল শুরুর আগে আল-আকসায় ফিলিস্তিনিদের তালাবদ্ধ করে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনিরা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে, পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছুড়ে জবাব দেয়। ইসরায়েলি পতাকা হাতে মিছিলকারীদের অধিকাংশই ছিল যুবক। তাঁরা ফিলিস্তিনি আন্দোলনকারীদের দেখে টিটকারি করছিল, হাততালি দিচ্ছিল এবং ইসরায়েলি পতাকা হাতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করছিল। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কমপক্ষে ১৮ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফারদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদেরকেও গ্রেপ্তারের করার হুমকি দেওয়া হয়। ইসরায়েলি পতাকা নিয়ে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে উগ্র-ডানপন্থী ইহুদিদের প্রবেশের এই ঘটনা নতুন করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ উসকে দিতে পারে। নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে। 

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড এবং এর পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।’ 

উল্লেখ্য, জাতীয় দিবস উপলক্ষে আল-আকসায় পতাকা মিছিল করে ইসরায়েল। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের এই দিনে পূর্ব জেরুজালেম দখলে নেয়। সেটি উদযাপনের উদ্দেশ্যেই এই পতাকা মিছিল। উগ্র ডানপন্থী ইহুদিরা ওল্ড সিটির মুসলিম কোয়ার্টারের সরু রাস্তায় ইসরায়েলি পতাকা হাতে প্রতি বছর এ ধরনের সমাবেশ করে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউরোপের নেতাদের দুর্বল আখ্যা ট্রাম্পের—ইউক্রেনকে সমর্থন কমানোর ইঙ্গিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় নেতারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ইউরোপ শুধু কথা বলে কিন্তু বাস্তব ফল আনতে পারে না।

ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিচ্ছে যতক্ষণ না তারা ভেঙে পড়ে।

এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লন্ডন জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ বাড়ান এবং তাঁকে চুক্তিতে আসতে বলেন। এই চুক্তিতে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো ভূমি ছাড়বে না। শিগগিরই ইউরোপের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উপস্থাপন করবেন।

জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ মিলে যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব দিক নিয়ে কাজ করছে এবং এই পরিকল্পনা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, মতাদর্শগত বিভাজন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে দুর্বল করছে। তাঁর মতে, অনেক ইউরোপীয় নেতা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হবে তা জানেন না এবং অতিরিক্ত ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার’ মধ্যে আটকে আছেন।

ট্রাম্পের এই সমালোচনা ঠিক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সদ্য প্রকাশ করেছে ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। রাশিয়া এই কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মন্তব্য করেছেন, কৌশলটির কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য অংশগুলো ইউরোপ প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর মতে, ইউরোপের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব ইউরোপেরই।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ কোটি ডলারের সরকারি বাড়িতে উঠছেন মামদানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গ্রেসি ম্যানশন ১৭৯৯ সালে নির্মিত, ১৯৪০-এর দশক থেকে এটি নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেসি ম্যানশন ১৭৯৯ সালে নির্মিত, ১৯৪০-এর দশক থেকে এটি নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।

মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’

ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।

অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।

প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতৃত্বের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: আইএসপিআর (পাকিস্তান)
রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতৃত্বের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: আইএসপিআর (পাকিস্তান)

পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় জাতি—এ কথা উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) গার্ড অব অনারের পর সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, তবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি বা চ্যালেঞ্জ বরদাশত করা হবে না।

চলতি বছরের ৭ মে ভারত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান চালায়। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘জঙ্গি অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে।

এই অভিযানের পর দুই দেশের মধ্যে চার দিনের তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১০ মে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। পাকিস্তান এ সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেয়। তবে ভারত বলে, এখানে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা ছিল না।

ফিল্ড মার্শাল মুনির তাঁর ভাষণে পুনরায় বলেন, পাকিস্তান শান্তিকামী হলেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।

আফগানিস্তানকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে আসিম মুনির বলেন, কাবুলের তালেবান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তালেবানদের এখন বেছে নিতে হবে—ফিতনা আল-খাওয়ারিজ (টিটিপি) নাকি পাকিস্তান।

গত বছর পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এ ছাড়া বেলুচিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তারা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করে থাকে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, মূলত ভারতের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বোঝাতেই এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।

ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিফেন্স ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাকাঠামোর একটি মৌলিক পরিবর্তনের প্রতীক। তিনি বলেন, বর্ধিত ও পরিবর্তনশীল হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিন বাহিনীর সমন্বিত নেতৃত্বে বহুমাত্রিক সামরিক সক্ষমতা আরও উন্নত করা জরুরি। প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও প্রস্তুতি বজায় রাখবে আর সিডিএফ সদর দপ্তর তিন বাহিনীর যৌথ অভিযান সমন্বয় করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দু, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ ও তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

গত সপ্তাহে পাঁচ বছরের মেয়াদে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগসংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে পাকিস্তান সরকার। তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্বও একযোগে পালন করবেন।

সিডিএফ পদটি গঠিত হয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সংশোধনী বিল, ২০২৫-এর ভিত্তিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবনিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।

এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।

এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত