
মাত্র এগারো বছর বয়সেই উচ্ছল কিশোরী রোজা বারাকাতের জীবনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে, ভাবতেই দুচোখ অশ্রুতে ভরে ওঠে তার। যতবার মনে পড়ে সেই নৃশংস দিনগুলো, ততবার লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন রোজা। অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘এই মুখ আমি কীভাবে দেখাব?’
ইয়াজিদি কিশোরী রোজা। উত্তর ইরাকের সিনজার শহরে জন্ম তার। শহরটি ধর্মীয় ইয়াজিদি সংখ্যালঘুদের ছিটমহল হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে রোজার বয়স ছিল মাত্র এগারো, তখন একদিন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় রোজাকে। ২০১৪ সালের সেই দিনে শুধু রোজাকেই তুলে নিয়ে যায়নি আইএস বাহিনী, তুলে নিয়ে গিয়েছিল আরও কয়েক হাজার ইয়াজিদি নারীকে।
সিনজার শহর থেকে কিশোরী রোজাকে সিরিয়ার নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। শুধু একবার নয়, একাধিকবার বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করা হয় তাকে। শুরু হয় বন্দী জীবন, জিম্মি জীবন, ভয়াবহ নির্যাতনের জীবন।
সময় গড়াতে থাকে। কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে ওঠেন রোজা। বয়স হয়ে যায় আঠারো। কিন্তু নির্যাতনের সূর্য অস্তমিত হয় না তাঁর জীবন থেকে। আঠারো বছর বয়স হতে হতে কতবার যে তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে, তা আজও আঙুলে গুণে শেষ করতে পারেন না। এর মধ্যে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাঁর। এক সময় সেই ছেলেটিকেও হারিয়ে ফেলেন। আজও তাকে খুঁজে পাননি রোজা। জীবন থেকে কত কিছু হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে স্থানীয় কুর্দি উপভাষা কুরমাঞ্জি, যে ভাষায় তিনি এক সময় কথা বলতেন, সেই ভাষায় এখন খুব একটা কথা বলতে পারেন না। প্রায় ভুলে গেছেন মাতৃভাষা, কিন্তু ভোলেননি তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের দিনগুলো।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আইএস বাহিনী আপাত পরাজিত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আইএস যোদ্ধাদের। সেই সঙ্গে তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আটক শিবিরে। সে সময় কপালগুণে পালিয়ে যেতে সক্ষম হোন রোজা। কিন্তু পালিয়ে আর যাবেন কোথায়? বাড়িতে? বাড়ি যেন কোথায়? রোজা ভাবতে থাকেন, সেই সিনজার শহর কি এখনো তেমন আছে? মা–বাবা কি বেঁচে আছে? সেই ছোট্ট ছিমছাম বাড়িটা কি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে? রোজা ভেবে কূল পান না, তিনি বাড়িতে ফিরবেন কী করে, রাস্তা তো চিনেন না। যদিও বা একে ওকে জিজ্ঞেস করে রাস্তা চিনে নেওয়া যায়, কিন্তু এই মুখ তিনি নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে দেখাবেন কি করে! ডুকরে কেঁদে ওঠেন রোজা বারাকাত।
নানা পথ ঘুরে অবশেষে রোজার ঠাঁই হয় সিরিয়ার হাসাকেহ প্রদেশের বারজান গ্রামের তুজুর গোষ্ঠীর এক আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোজা বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও যারা আইএস শিবিরে বন্দী ছিল, তারা বছরের পর পর বছর ধরে আমাকে বলেছে যে আমি ফিরে গেলে আমাকে আমার সম্প্রদায় কখনোই গ্রহণ করবে না। আমি তাদের কথা বিশ্বাস করেছি।’
ইয়াজিদি ও সিরীয় কুর্দি কর্মকর্তারা বলেন, আইএস বাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের ইয়াজিদি সম্প্রদায় কীভাবে গ্রহণ করবে, তা নিয়ে সত্যিই মতভেদ রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার ইয়াজিদি সংগঠন ইয়াজিদি হাউসের কো-চেয়ার ফারুক তুজু বলেন, ‘১২ বছর বয়সে ধর্ষিত হওয়া শিশুটির কাছ থেকে আপনি কী আশা করেন? তারা এত বেশি আঘাত পেয়েছে, এত বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে যে, তারা এই পৃথিবীর ওপর থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এ পৃথিবীর কোথাও নেই তারা।’
সাক্ষাৎকারে রোজা নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা এক কথায় ভয়াবহ। তিনি বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমাকে যার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন আমার বাবার চেয়েও বয়সে বড় এক ব্যক্তি। তিনি আমাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। এরপর তিনি আমাকে বিক্রি করে দেন অন্য একজনের কাছে।’
এরপর এক শুভাকাঙ্ক্ষী রোজাকে পরামর্শ দেন, তিনি যদি ইসলামে ধর্মান্তরিত হোন এবং একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তাহলে এভাবে আর বিক্রি হতে হবে না। বিক্রি হওয়া এড়াতে রোজা ধর্মান্তরিত হোন এবং আইএস যোদ্ধাদের খাবার সরবরাহ করত এমন একজন লেবানিজকে বিয়ে করেন।
রোজা বলেন, ‘এই লেবানিজ ভদ্রলোক অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ছিলেন। তার সঙ্গে আমি আইএসের রাজধানী রাক্কা শহরে বাস করতাম। সে সময় ‘হুদ’ নামে একটি পুত্র সন্তান হয় আমাদের।’
২০১৯ সালের দিকে আইএসের শাসন যখন ভেঙে পড়ছিল, তখন রোজা তার স্বামীর সঙ্গে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেইর এল-জোরে পালিয়ে যান। সেখান থেকে আবার পালিয়ে যান বাঘৌজ শহরে। এই শহরটি আইএসের শেষ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক বাহিনী এক সময় বাঘৌজকে ঘিরে ফেলে এবং নারী ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
এই সুযোগ রোজা গ্রহণ করতে পারতেন এবং নিজেকে ইয়াজিদি পরিচয় দিয়ে নিরাপত্তা চাইতে পারতেন। কিন্তু তার পরিবর্তে, তিনি হুদকে আঁকড়ে আইএস যোদ্ধাদের অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গে শহর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সিদ্ধান্তই কাল হয় রোজার জীবনে। পালাতে গিয়ে তার স্বামী নিহত হয়। হারিয়ে ফেলেন সন্তান। সে আদৌ বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, জানেন না রোজা। বিশ্বাস করতে চান, তার সন্তান হুদ এখনো বেঁচে আছে এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও।
বাঘৌজ থেকে পালিয়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে আইএস যোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রীদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন রোজা বারাকাত। সেখানে একজন চোরাকারবারির সাহায্য নিয়ে তিনি দেইর এল-জোর শহরে চলে যান এবং সেখান থেকে তুরস্কে পালিয়ে যান। তুরস্কে একটি পোশাকের বাজারে কাজ জুটিয়ে নেন রোজা বারাকাত। কিন্তু গত মাসে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে ধরে ফেলে। নানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রোজাকে সিরিয়ার হাসাকেহ প্রদেশের বারজান গ্রামে একটি নিরাপদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রোজা এখনো সেখানেই আছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোজা বলেন, তিনি আর ইরাকের সিনজারে ফিরে যেতে চান না। তাঁর ধারণা, সিনজারে তাঁর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোজা বারাকাত বলছিলেন, ‘সেখানে ফিরে যাওয়ার কী আছে! আমার এখন নিজেকে সময় দেওয়া দরকার।’
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, আরব নিউজ, এবিসি নিউজ, নাইন নিউজ ডট কম ও ইয়াহু নিউজ

মাত্র এগারো বছর বয়সেই উচ্ছল কিশোরী রোজা বারাকাতের জীবনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে, ভাবতেই দুচোখ অশ্রুতে ভরে ওঠে তার। যতবার মনে পড়ে সেই নৃশংস দিনগুলো, ততবার লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন রোজা। অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘এই মুখ আমি কীভাবে দেখাব?’
ইয়াজিদি কিশোরী রোজা। উত্তর ইরাকের সিনজার শহরে জন্ম তার। শহরটি ধর্মীয় ইয়াজিদি সংখ্যালঘুদের ছিটমহল হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে রোজার বয়স ছিল মাত্র এগারো, তখন একদিন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় রোজাকে। ২০১৪ সালের সেই দিনে শুধু রোজাকেই তুলে নিয়ে যায়নি আইএস বাহিনী, তুলে নিয়ে গিয়েছিল আরও কয়েক হাজার ইয়াজিদি নারীকে।
সিনজার শহর থেকে কিশোরী রোজাকে সিরিয়ার নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। শুধু একবার নয়, একাধিকবার বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করা হয় তাকে। শুরু হয় বন্দী জীবন, জিম্মি জীবন, ভয়াবহ নির্যাতনের জীবন।
সময় গড়াতে থাকে। কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে ওঠেন রোজা। বয়স হয়ে যায় আঠারো। কিন্তু নির্যাতনের সূর্য অস্তমিত হয় না তাঁর জীবন থেকে। আঠারো বছর বয়স হতে হতে কতবার যে তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে, তা আজও আঙুলে গুণে শেষ করতে পারেন না। এর মধ্যে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাঁর। এক সময় সেই ছেলেটিকেও হারিয়ে ফেলেন। আজও তাকে খুঁজে পাননি রোজা। জীবন থেকে কত কিছু হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে স্থানীয় কুর্দি উপভাষা কুরমাঞ্জি, যে ভাষায় তিনি এক সময় কথা বলতেন, সেই ভাষায় এখন খুব একটা কথা বলতে পারেন না। প্রায় ভুলে গেছেন মাতৃভাষা, কিন্তু ভোলেননি তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের দিনগুলো।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে আইএস বাহিনী আপাত পরাজিত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আইএস যোদ্ধাদের। সেই সঙ্গে তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আটক শিবিরে। সে সময় কপালগুণে পালিয়ে যেতে সক্ষম হোন রোজা। কিন্তু পালিয়ে আর যাবেন কোথায়? বাড়িতে? বাড়ি যেন কোথায়? রোজা ভাবতে থাকেন, সেই সিনজার শহর কি এখনো তেমন আছে? মা–বাবা কি বেঁচে আছে? সেই ছোট্ট ছিমছাম বাড়িটা কি এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে? রোজা ভেবে কূল পান না, তিনি বাড়িতে ফিরবেন কী করে, রাস্তা তো চিনেন না। যদিও বা একে ওকে জিজ্ঞেস করে রাস্তা চিনে নেওয়া যায়, কিন্তু এই মুখ তিনি নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে দেখাবেন কি করে! ডুকরে কেঁদে ওঠেন রোজা বারাকাত।
নানা পথ ঘুরে অবশেষে রোজার ঠাঁই হয় সিরিয়ার হাসাকেহ প্রদেশের বারজান গ্রামের তুজুর গোষ্ঠীর এক আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোজা বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও যারা আইএস শিবিরে বন্দী ছিল, তারা বছরের পর পর বছর ধরে আমাকে বলেছে যে আমি ফিরে গেলে আমাকে আমার সম্প্রদায় কখনোই গ্রহণ করবে না। আমি তাদের কথা বিশ্বাস করেছি।’
ইয়াজিদি ও সিরীয় কুর্দি কর্মকর্তারা বলেন, আইএস বাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের ইয়াজিদি সম্প্রদায় কীভাবে গ্রহণ করবে, তা নিয়ে সত্যিই মতভেদ রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার ইয়াজিদি সংগঠন ইয়াজিদি হাউসের কো-চেয়ার ফারুক তুজু বলেন, ‘১২ বছর বয়সে ধর্ষিত হওয়া শিশুটির কাছ থেকে আপনি কী আশা করেন? তারা এত বেশি আঘাত পেয়েছে, এত বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে যে, তারা এই পৃথিবীর ওপর থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এ পৃথিবীর কোথাও নেই তারা।’
সাক্ষাৎকারে রোজা নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা এক কথায় ভয়াবহ। তিনি বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমাকে যার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল, তিনি ছিলেন আমার বাবার চেয়েও বয়সে বড় এক ব্যক্তি। তিনি আমাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। এরপর তিনি আমাকে বিক্রি করে দেন অন্য একজনের কাছে।’
এরপর এক শুভাকাঙ্ক্ষী রোজাকে পরামর্শ দেন, তিনি যদি ইসলামে ধর্মান্তরিত হোন এবং একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তাহলে এভাবে আর বিক্রি হতে হবে না। বিক্রি হওয়া এড়াতে রোজা ধর্মান্তরিত হোন এবং আইএস যোদ্ধাদের খাবার সরবরাহ করত এমন একজন লেবানিজকে বিয়ে করেন।
রোজা বলেন, ‘এই লেবানিজ ভদ্রলোক অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ছিলেন। তার সঙ্গে আমি আইএসের রাজধানী রাক্কা শহরে বাস করতাম। সে সময় ‘হুদ’ নামে একটি পুত্র সন্তান হয় আমাদের।’
২০১৯ সালের দিকে আইএসের শাসন যখন ভেঙে পড়ছিল, তখন রোজা তার স্বামীর সঙ্গে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেইর এল-জোরে পালিয়ে যান। সেখান থেকে আবার পালিয়ে যান বাঘৌজ শহরে। এই শহরটি আইএসের শেষ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক বাহিনী এক সময় বাঘৌজকে ঘিরে ফেলে এবং নারী ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
এই সুযোগ রোজা গ্রহণ করতে পারতেন এবং নিজেকে ইয়াজিদি পরিচয় দিয়ে নিরাপত্তা চাইতে পারতেন। কিন্তু তার পরিবর্তে, তিনি হুদকে আঁকড়ে আইএস যোদ্ধাদের অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গে শহর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সিদ্ধান্তই কাল হয় রোজার জীবনে। পালাতে গিয়ে তার স্বামী নিহত হয়। হারিয়ে ফেলেন সন্তান। সে আদৌ বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, জানেন না রোজা। বিশ্বাস করতে চান, তার সন্তান হুদ এখনো বেঁচে আছে এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও।
বাঘৌজ থেকে পালিয়ে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে আইএস যোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রীদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন রোজা বারাকাত। সেখানে একজন চোরাকারবারির সাহায্য নিয়ে তিনি দেইর এল-জোর শহরে চলে যান এবং সেখান থেকে তুরস্কে পালিয়ে যান। তুরস্কে একটি পোশাকের বাজারে কাজ জুটিয়ে নেন রোজা বারাকাত। কিন্তু গত মাসে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে ধরে ফেলে। নানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রোজাকে সিরিয়ার হাসাকেহ প্রদেশের বারজান গ্রামে একটি নিরাপদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রোজা এখনো সেখানেই আছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোজা বলেন, তিনি আর ইরাকের সিনজারে ফিরে যেতে চান না। তাঁর ধারণা, সিনজারে তাঁর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোজা বারাকাত বলছিলেন, ‘সেখানে ফিরে যাওয়ার কী আছে! আমার এখন নিজেকে সময় দেওয়া দরকার।’
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, আরব নিউজ, এবিসি নিউজ, নাইন নিউজ ডট কম ও ইয়াহু নিউজ

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মাত্র এগারো বছর বয়সেই উচ্ছল কিশোরী রোজা বারাকাতের জীবনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে, ভাবতেই দুচোখ অশ্রুতে ভরে ওঠে তার। যতবার মনে পড়ে সেই নৃশংস দিনগুলো, ততবার লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন রোজা। অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘এই মুখ আমি কীভাবে দেখাব?’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

মাত্র এগারো বছর বয়সেই উচ্ছল কিশোরী রোজা বারাকাতের জীবনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে, ভাবতেই দুচোখ অশ্রুতে ভরে ওঠে তার। যতবার মনে পড়ে সেই নৃশংস দিনগুলো, ততবার লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন রোজা। অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘এই মুখ আমি কীভাবে দেখাব?’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।
চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।
চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

মাত্র এগারো বছর বয়সেই উচ্ছল কিশোরী রোজা বারাকাতের জীবনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে, ভাবতেই দুচোখ অশ্রুতে ভরে ওঠে তার। যতবার মনে পড়ে সেই নৃশংস দিনগুলো, ততবার লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন রোজা। অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘এই মুখ আমি কীভাবে দেখাব?’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে...
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো পরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) গুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলছে, নতুন নিয়মগুলো ‘অতিরিক্তভাবে কঠোর’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রম জোরপূর্বক বন্ধ করে দিলে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি সেবায় প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনো ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে তাঁরা ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে এনজিওগুলো টেকসই এবং আগের মতো কাজ করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলোর ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না। মন্ত্রণালয়টি জানায়, জাতিসংঘের সংস্থা, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং মানবিক সংগঠনসহ ‘অনুমোদিত ও যাচাইকৃত চ্যানেল’ দিয়ে সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবি, সহায়তা সংস্থাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ হলো, তাদের কর্মীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো যা মানবিক কাঠামোয় ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ইসরায়েল।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অক্টোবর মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহে কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে পরের মাসেও প্রায় ১ লাখ মানুষ ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি ছিল।
তবে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাত দাবি করেছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে, তারা বর্তমান যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কোনো সহায়তা আনেনি। সংস্থাটি আরও জানায়, অতীতেও তাদের সম্মিলিত অবদান মোট সহায়তার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ ছিল।
ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশেরও কম নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে।
ওই নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে লাইসেন্স বাতিলের একাধিক ভিত্তি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করা
২. হলোকাস্ট বা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলা অস্বীকার করা
৩. শত্রু রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সমর্থন করা
৪. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধতা আরোপের প্রচারণা’ চালানো
৫. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো বা তাতে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করা
৬. বিদেশি বা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকে সমর্থন করা
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের সংস্থা এবং ২০০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করে বলেছিল, নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তাদের ভাষায়, ‘এই ব্যবস্থা অস্পষ্ট, খামখেয়ালি ও অত্যন্ত রাজনৈতিক মানদণ্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং এমন সব শর্ত আরোপ করছে, যা মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন না করে বা মানবিক নীতির মূল ভিত্তি ক্ষুণ্ন না করে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিমের মতে, বর্তমানে গাজায় অধিকাংশ ফিল্ড হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা বা সহায়তা, জরুরি আশ্রয় কার্যক্রম, পানি ও স্যানিটেশন সেবা, তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য পুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইন অপসারণ কার্যক্রম আইএনজিওগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত বা সমর্থিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি বলেন, ‘বার্তাটি স্পষ্ট: মানবিক সহায়তা স্বাগত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের জন্য মানবিক কাঠামোর অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে কেয়ার, মেডিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস।

গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে এমন ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার আওতায় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এসব সংস্থা তাদের কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো পরিচিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) গুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করা হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলছে, নতুন নিয়মগুলো ‘অতিরিক্তভাবে কঠোর’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য’।
এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রম জোরপূর্বক বন্ধ করে দিলে স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি সেবায় প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এখনো ‘বিপর্যয়কর’ উল্লেখ করে তাঁরা ইসরায়েল সরকারকে আহ্বান জানান, যাতে এনজিওগুলো টেকসই এবং আগের মতো কাজ করতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলোর ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে না। মন্ত্রণালয়টি জানায়, জাতিসংঘের সংস্থা, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং মানবিক সংগঠনসহ ‘অনুমোদিত ও যাচাইকৃত চ্যানেল’ দিয়ে সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবি, সহায়তা সংস্থাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের প্রধান কারণ হলো, তাদের কর্মীদের বিষয়ে সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো যা মানবিক কাঠামোয় ‘সন্ত্রাসী অপারেটিভদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ইসরায়েল।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, অক্টোবর মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহে কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে পরের মাসেও প্রায় ১ লাখ মানুষ ‘চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি ছিল।
তবে গাজার সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাত দাবি করেছে, যেসব সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করা হবে, তারা বর্তমান যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় কোনো সহায়তা আনেনি। সংস্থাটি আরও জানায়, অতীতেও তাদের সম্মিলিত অবদান মোট সহায়তার মাত্র প্রায় ১ শতাংশ ছিল।
ডায়াসপোরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ১৫ শতাংশেরও কম নতুন নিয়ন্ত্রক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে।
ওই নিয়ন্ত্রক কাঠামোতে লাইসেন্স বাতিলের একাধিক ভিত্তি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করা
২. হলোকাস্ট বা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো হামলা অস্বীকার করা
৩. শত্রু রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে সমর্থন করা
৪. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধতা আরোপের প্রচারণা’ চালানো
৫. ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানানো বা তাতে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার করা
৬. বিদেশি বা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকে সমর্থন করা
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের সংস্থা এবং ২০০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করে বলেছিল, নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তাদের ভাষায়, ‘এই ব্যবস্থা অস্পষ্ট, খামখেয়ালি ও অত্যন্ত রাজনৈতিক মানদণ্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং এমন সব শর্ত আরোপ করছে, যা মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন না করে বা মানবিক নীতির মূল ভিত্তি ক্ষুণ্ন না করে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিমের মতে, বর্তমানে গাজায় অধিকাংশ ফিল্ড হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা বা সহায়তা, জরুরি আশ্রয় কার্যক্রম, পানি ও স্যানিটেশন সেবা, তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য পুষ্টি স্থিতিশীলকরণ কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাইন অপসারণ কার্যক্রম আইএনজিওগুলোর মাধ্যমেই পরিচালিত বা সমর্থিত হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের ডায়াসপোরা বিষয়ক ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি বলেন, ‘বার্তাটি স্পষ্ট: মানবিক সহায়তা স্বাগত কিন্তু সন্ত্রাসবাদের জন্য মানবিক কাঠামোর অপব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।’
কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে এমন সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে কেয়ার, মেডিকো ইন্টারন্যাশনাল এবং মেডিক্যাল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ানস।

মাত্র এগারো বছর বয়সেই উচ্ছল কিশোরী রোজা বারাকাতের জীবনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে, ভাবতেই দুচোখ অশ্রুতে ভরে ওঠে তার। যতবার মনে পড়ে সেই নৃশংস দিনগুলো, ততবার লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন রোজা। অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘এই মুখ আমি কীভাবে দেখাব?’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগে