আজকের পত্রিকা ডেস্ক

.বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার ই-মেইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষার নীতিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ বিভিন্ন বিষয় এবং দেশটির ‘সংরক্ষণবাদ নীতির’ কারণে যে বিতর্ক চলছে, এই ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের অত্যাধুনিক নজরদারি সক্ষমতার কারণে নয়া দিল্লির উদ্বেগের ফলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে মোদির তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা ১০ লাখ ক্যামেরা চীনা সংস্থার তৈরি এবং এসব ক্যামেরার ভিডিও জমা হয় বিদেশি সার্ভারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে ভিডিওর তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী—চীনের হিকভিশন, শাওমি ও দাহুয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া এবং আমেরিকার মটোরোলা সলিউশনসের মতো সংস্থাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে সিসি ক্যামেরা বিক্রি করার আগে সরকারি পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে। এই নীতি ৯ এপ্রিলের পর থেকে তৈরি বা আমদানি করা সব ইন্টারনেট সংযুক্ত সিসিটিভি মডেলের জন্য প্রযোজ্য।
ভারতে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করা গুলশান রাই রয়টার্সকে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি সব সময়ই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক অবস্থানে বসে যে কেউ ইন্টারনেট-সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই সেগুলোকে অবশ্যই শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত হতে হবে।’
সরকারি কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল ভারতীয় কর্মকর্তারা হানওয়া, মটোরোলা, দাহুয়া, হানিওয়েল এবং শাওমিসহ ১৭টি বিদেশি ও দেশীয় নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, তারা নতুন বিধির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত নয় এবং সময়সীমা পেছানোর তদবির করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার জানায়, এই নীতি ‘একটি প্রকৃত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করছে’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটি জানিয়েছিল, সিসিটিভি সংক্রান্ত এই নিয়মের লক্ষ্য হলো—‘দেশের নজরদারি ব্যবস্থার গুণমান এবং সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনটি কয়েক ডজন নথি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ও ই-মেইলের রেকর্ড এবং ভারতের এই প্রযুক্তি নিরীক্ষার উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছয়জনের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।
ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা জানিয়েছেন, ভারতের অপর্যাপ্ত পরীক্ষার সক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা কারখানা পরিদর্শন এবং সংবেদনশীল সোর্স কোডের সরকারি যাচাই-বাছাই দেশটিতে সিসিটিভি ক্যামের বাজারজাতকরণের অনুমোদনে দেরি করিয়েছে। এর ফলে অনির্দিষ্ট পরিকাঠামো ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হানওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা অজয় দুবে ৯ এপ্রিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে এক ই-মেইলে জানান, এমনটা হলে ‘শিল্পক্ষেত্রের লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হবে, যা বাজারে কম্পন সৃষ্টি করবে।’
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩ এপ্রিল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, তারা আরও বেশি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বাড়াতে ভারতের শহর, অফিস এবং আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে লাখ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটিতে লাগানো।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক বরুণ গুপ্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত অগ্রগতি ভারতের নজরদারি ক্যামেরার বাজারকে গত বছরের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। গুপ্ত আরও জানান, চীনের হিকভিশন এবং দাহুয়া বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে আছে। অবশ্য ভারতের সিপি প্লাসের শেয়ার ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও যোগ করেন, প্রায় ৮০ শতাংশ সিসিটিভি যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।
হানওয়া, মটোরোলা সলিউশনস এবং ব্রিটেনের নর্ডেন কমিউনিকেশন এপ্রিলে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, ৬ হাজার ক্যামেরা মডেলের ১ শতাংশেরও কম ভারতের নতুন নিয়মের অধীনে অনুমোদিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২২ সালে হিকভিশন এবং দাহুয়ার সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল। ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়াও চীনের তৈরি ডিভাইসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পথে হাঁটছে ভারতও। ভারতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একইভাবে, সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ভারতকে ‘নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ডিভাইসগুলোতে কী ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন চিপগুলো যাচ্ছে। কারণ, চীন আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ।’
চীনের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকেও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা কাজে সহযোগিতা করতে হয়। রয়টার্স এ মাসে জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা কিছু চীনা সৌরবিদ্যুৎ ইনভার্টার পরীক্ষা করে তাতে গোপন যোগাযোগের সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছেন।
২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারত জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকসহ কয়েক ডজন চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। নিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে ভারত এমন দেশগুলোর জন্যও বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও কঠোর করেছে। গত বছর লেবাননে পেজারের সিরিজ বিস্ফোরণ প্রযুক্তি ডিভাইসের সম্ভাব্য অপব্যবহার এবং সিসিটিভি সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে জানান ওই শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা।
গত মাসে শাওমি জানায়, তারা ভারতে তাদের সরবরাহ করা সিসিটিভি ডিভাইস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, শাওমি এই মূল্যায়ন এগিয়ে নিতে পারবে না। কারণ, ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’ অনুযায়ী চীনে শাওমি যে দুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে দিয়ে তাদের পণ্য তৈরি করায় তাদের বিষয়ে দিল্লিকে আরও বেশি তথ্য দিতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ‘চীনা কোম্পানিগুলোকে কলঙ্কিত ও দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণের’ বিরোধিতা করে এবং আশা করে যে, ভারত চীনা সংস্থাগুলোর জন্য একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতে সিসিটিভি চাহিদার ২৭ শতাংশই সরকারি খাতের এবং বাকি ৭৩ শতাংশ করপোরেট ক্লায়েন্ট, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থা এবং বাড়ির জন্য। ভারতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিসিটিভি ক্যামেরায় টেম্পার-প্রুফ ঘের থাকতে হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ এবং এনক্রিপশন থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক দুটি কোম্পানি দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎপাদক সংস্থাগুলোকে সোর্স কোড পরীক্ষা করার সফটওয়্যার সরঞ্জাম পরিচালনা করতে হবে এবং সরকারি পরীক্ষাগারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন নিয়ম ভারতের পরীক্ষাগারগুলোকে উৎপাদক কোম্পানির কাছে সোর্স কোড চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিদেশে ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কারখানা পরিদর্শন এবং সাইবার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোও পরিদর্শন করার ক্ষমতা দেয়।
চীনা কোম্পানি ইনফিনোভার ভারতীয় শাখা গত মাসে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়, এ ধরনের ‘প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ ইনফিনোভার বিপণন কর্মকর্তা সুমিত চানানা ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলে বলেন, ‘সোর্স কোড শেয়ারিং, ফার্মওয়্যার আপগ্রেডের পরে পুনরায় পরীক্ষা এবং একাধিক কারখানা নিরীক্ষার মতো প্রত্যাশাগুলো অভ্যন্তরীণ সময়সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।’
একই দিনে তাইওয়ানভিত্তিক ভিভোটেকের ভারত শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব গুলাটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এমনটা হলে ‘চলমান সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’ তিনি এ মাসে রয়টার্সকে জানান, ভিভোটেক পণ্যের আবেদন জমা দিয়েছে এবং আশা করছে ‘শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।’
ভারতে নজরদারি সরঞ্জাম পরীক্ষাকারী সংস্থা হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ডিরেক্টরেট। এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। সংস্থাটির ১৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যা একসঙ্গে ২৮টি আবেদন পর্যালোচনা করতে পারে এবং প্রতি আবেদনে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত মডেল যাচাই করানো যেতে পারে।
সরকারি তথ্য বলছে, আজ ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তুতকারকের শত শত মডেল পরীক্ষার জন্য সংস্থাটিতে ৩৪২টি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টি নতুন। এর মধ্যে ৩৫ টির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে শুধু একটি বিদেশি সংস্থার। ভারতের সিপি প্লাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরাগুলোর ছাড়পত্র পেয়েছে তবে আরও বেশ কয়েকটি মডেল ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
দাহুয়া বলেছে, তারাও পরীক্ষার জন্য ডিভাইস জমা দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পণ্যগুলোর ‘ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখার অনুমতি দিতে।

.বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার ই-মেইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষার নীতিকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট শিল্পমহল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের সঙ্গে বিদেশি সংস্থাগুলোর ‘নিয়ন্ত্রণমূলক’ বিভিন্ন বিষয় এবং দেশটির ‘সংরক্ষণবাদ নীতির’ কারণে যে বিতর্ক চলছে, এই ঘটনা সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।
নীতি নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত এক শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের অত্যাধুনিক নজরদারি সক্ষমতার কারণে নয়া দিল্লির উদ্বেগের ফলে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে মোদির তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে থাকা ১০ লাখ ক্যামেরা চীনা সংস্থার তৈরি এবং এসব ক্যামেরার ভিডিও জমা হয় বিদেশি সার্ভারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এ ক্ষেত্রে ভিডিওর তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী—চীনের হিকভিশন, শাওমি ও দাহুয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া এবং আমেরিকার মটোরোলা সলিউশনসের মতো সংস্থাগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে সিসি ক্যামেরা বিক্রি করার আগে সরকারি পরীক্ষাগারে জমা দিতে হবে। এই নীতি ৯ এপ্রিলের পর থেকে তৈরি বা আমদানি করা সব ইন্টারনেট সংযুক্ত সিসিটিভি মডেলের জন্য প্রযোজ্য।
ভারতে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত সাইবার নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্ব পালন করা গুলশান রাই রয়টার্সকে বলেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি সব সময়ই থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক অবস্থানে বসে যে কেউ ইন্টারনেট-সংযুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই সেগুলোকে অবশ্যই শক্তিশালী এবং সুরক্ষিত হতে হবে।’
সরকারি কার্যবিবরণী অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল ভারতীয় কর্মকর্তারা হানওয়া, মটোরোলা, দাহুয়া, হানিওয়েল এবং শাওমিসহ ১৭টি বিদেশি ও দেশীয় নজরদারি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে অনেক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, তারা নতুন বিধির শর্তগুলো পূরণ করতে প্রস্তুত নয় এবং সময়সীমা পেছানোর তদবির করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার জানায়, এই নীতি ‘একটি প্রকৃত নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করছে’ এবং এটি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটি জানিয়েছিল, সিসিটিভি সংক্রান্ত এই নিয়মের লক্ষ্য হলো—‘দেশের নজরদারি ব্যবস্থার গুণমান এবং সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা।’
রয়টার্সের এই প্রতিবেদনটি কয়েক ডজন নথি পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তুতকারক এবং ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ও ই-মেইলের রেকর্ড এবং ভারতের এই প্রযুক্তি নিরীক্ষার উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত ছয়জনের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।
ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা জানিয়েছেন, ভারতের অপর্যাপ্ত পরীক্ষার সক্ষমতা, দীর্ঘ সময় ধরে চলা কারখানা পরিদর্শন এবং সংবেদনশীল সোর্স কোডের সরকারি যাচাই-বাছাই দেশটিতে সিসিটিভি ক্যামের বাজারজাতকরণের অনুমোদনে দেরি করিয়েছে। এর ফলে অনির্দিষ্ট পরিকাঠামো ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। হানওয়ার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকর্তা অজয় দুবে ৯ এপ্রিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে এক ই-মেইলে জানান, এমনটা হলে ‘শিল্পক্ষেত্রের লাখ লাখ ডলার ক্ষতি হবে, যা বাজারে কম্পন সৃষ্টি করবে।’
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩ এপ্রিল কর্মকর্তাদের জানিয়েছিল, তারা আরও বেশি পরীক্ষাগারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ বাড়াতে ভারতের শহর, অফিস এবং আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোতে লাখ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লিতে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে, যার বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটিতে লাগানো।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক বরুণ গুপ্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই দ্রুত অগ্রগতি ভারতের নজরদারি ক্যামেরার বাজারকে গত বছরের সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে। গুপ্ত আরও জানান, চীনের হিকভিশন এবং দাহুয়া বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে আছে। অবশ্য ভারতের সিপি প্লাসের শেয়ার ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও যোগ করেন, প্রায় ৮০ শতাংশ সিসিটিভি যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে।
হানওয়া, মটোরোলা সলিউশনস এবং ব্রিটেনের নর্ডেন কমিউনিকেশন এপ্রিলে নিজ নিজ কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, ৬ হাজার ক্যামেরা মডেলের ১ শতাংশেরও কম ভারতের নতুন নিয়মের অধীনে অনুমোদিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০২২ সালে হিকভিশন এবং দাহুয়ার সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছিল। ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়াও চীনের তৈরি ডিভাইসের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পথে হাঁটছে ভারতও। ভারতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একইভাবে, সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ভারতকে ‘নিশ্চিত হতে হবে যে, এই ডিভাইসগুলোতে কী ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন চিপগুলো যাচ্ছে। কারণ, চীন আমাদের উদ্বেগের একটি অংশ।’
চীনের নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোকেও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা কাজে সহযোগিতা করতে হয়। রয়টার্স এ মাসে জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞরা কিছু চীনা সৌরবিদ্যুৎ ইনভার্টার পরীক্ষা করে তাতে গোপন যোগাযোগের সরঞ্জাম খুঁজে পেয়েছেন।
২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারত জাতীয় নিরাপত্তার কারণে টিকটকসহ কয়েক ডজন চীনা মালিকানাধীন অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। নিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে ভারত এমন দেশগুলোর জন্যও বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও কঠোর করেছে। গত বছর লেবাননে পেজারের সিরিজ বিস্ফোরণ প্রযুক্তি ডিভাইসের সম্ভাব্য অপব্যবহার এবং সিসিটিভি সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ভারতীয় উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে বলে জানান ওই শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তা।
গত মাসে শাওমি জানায়, তারা ভারতে তাদের সরবরাহ করা সিসিটিভি ডিভাইস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, শাওমি এই মূল্যায়ন এগিয়ে নিতে পারবে না। কারণ, ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’ অনুযায়ী চীনে শাওমি যে দুটি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে দিয়ে তাদের পণ্য তৈরি করায় তাদের বিষয়ে দিল্লিকে আরও বেশি তথ্য দিতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ‘চীনা কোম্পানিগুলোকে কলঙ্কিত ও দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ধারণার সাধারণীকরণের’ বিরোধিতা করে এবং আশা করে যে, ভারত চীনা সংস্থাগুলোর জন্য একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
কাউন্টারপয়েন্টের মতে, ভারতে সিসিটিভি চাহিদার ২৭ শতাংশই সরকারি খাতের এবং বাকি ৭৩ শতাংশ করপোরেট ক্লায়েন্ট, শিল্প এবং অন্যান্য সংস্থা এবং বাড়ির জন্য। ভারতের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিসিটিভি ক্যামেরায় টেম্পার-প্রুফ ঘের থাকতে হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ এবং এনক্রিপশন থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক দুটি কোম্পানি দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উৎপাদক সংস্থাগুলোকে সোর্স কোড পরীক্ষা করার সফটওয়্যার সরঞ্জাম পরিচালনা করতে হবে এবং সরকারি পরীক্ষাগারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
নতুন নিয়ম ভারতের পরীক্ষাগারগুলোকে উৎপাদক কোম্পানির কাছে সোর্স কোড চাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, এটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিদেশে ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কারখানা পরিদর্শন এবং সাইবার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোও পরিদর্শন করার ক্ষমতা দেয়।
চীনা কোম্পানি ইনফিনোভার ভারতীয় শাখা গত মাসে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়, এ ধরনের ‘প্রয়োজনীয়তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।’ ইনফিনোভার বিপণন কর্মকর্তা সুমিত চানানা ১০ এপ্রিল এক ই-মেইলে বলেন, ‘সোর্স কোড শেয়ারিং, ফার্মওয়্যার আপগ্রেডের পরে পুনরায় পরীক্ষা এবং একাধিক কারখানা নিরীক্ষার মতো প্রত্যাশাগুলো অভ্যন্তরীণ সময়সীমাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।’
একই দিনে তাইওয়ানভিত্তিক ভিভোটেকের ভারত শাখার কর্মকর্তা সঞ্জীব গুলাটি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এমনটা হলে ‘চলমান সব প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।’ তিনি এ মাসে রয়টার্সকে জানান, ভিভোটেক পণ্যের আবেদন জমা দিয়েছে এবং আশা করছে ‘শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।’
ভারতে নজরদারি সরঞ্জাম পরীক্ষাকারী সংস্থা হলো স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি সার্টিফিকেশন ডিরেক্টরেট। এটি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। সংস্থাটির ১৫টি পরীক্ষাগার রয়েছে যা একসঙ্গে ২৮টি আবেদন পর্যালোচনা করতে পারে এবং প্রতি আবেদনে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত মডেল যাচাই করানো যেতে পারে।
সরকারি তথ্য বলছে, আজ ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রস্তুতকারকের শত শত মডেল পরীক্ষার জন্য সংস্থাটিতে ৩৪২টি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৭টি নতুন। এর মধ্যে ৩৫ টির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে শুধু একটি বিদেশি সংস্থার। ভারতের সিপি প্লাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরাগুলোর ছাড়পত্র পেয়েছে তবে আরও বেশ কয়েকটি মডেল ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে।
দাহুয়া বলেছে, তারাও পরীক্ষার জন্য ডিভাইস জমা দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পণ্যগুলোর ‘ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা’ বজায় রাখার অনুমতি দিতে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনও তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কিনা জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘন্টা আগে, নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার উপর তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনও তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সহ এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কিনা জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘন্টা আগে, নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার উপর তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১৩ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৭ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর বা সহযোগী হিসেবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুইন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে তাঁর মৃত্যু ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে কাজ করে, যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএলের সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিসরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা-সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সব সময় একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে তাঁর সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন, যাঁরা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তাঁর গোষ্ঠী তাঁদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এর পর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলো আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসেবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি এমনকি যারা হামাসের বিরোধী, আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তাঁর ভাগ্য ক্রমেই নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর বা সহযোগী হিসেবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুইন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে তাঁর মৃত্যু ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে কাজ করে, যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএলের সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিসরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা-সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সব সময় একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে তাঁর সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন, যাঁরা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তাঁর গোষ্ঠী তাঁদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এর পর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলো আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসেবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি এমনকি যারা হামাসের বিরোধী, আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তাঁর ভাগ্য ক্রমেই নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল।

বিশ্বজুড়ে নজরদারি সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সম্প্রতি ভারত সরকারের নতুন নিরাপত্তা বিধি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। নতুন নিয়মে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে তাদের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং সোর্স কোড ভারতের সরকারি পরীক্ষাগারে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। সরকারি নথি এবং সংস্থার...
২৮ মে ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১৩ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে