
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানে বিধানসভার ভোট। প্রচার এখন তুঙ্গে। এই শীতের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তবে বিজেপির গোরক্ষা রাজনীতিই সেখানে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিত্যনাথের সামনে।
মালিকবিহীন মুক্ত গরুর পাল নিয়ে উত্তর প্রদেশের মানুষ কতটা সন্ত্রস্ত, বিরক্ত সেটি কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করলেই বোঝা যাবে।
গত বছরের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় বাড়ির দাওয়ায় বসে চা পান করছিলেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা রাম রাজ (৫৫)। হঠাৎ এক পাগলা গরু তাঁকে আক্রমণ করে। নাতি-নাতনিরা সামান্য দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান এই কৃষক।
পুত্রবধূ অনিতা কুমারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটা মৃত্যু সেটি। আমার শাশুড়ি সেই দিন থেকে আর ঠিকমতো খাবারও খান না।’
উত্তর প্রদেশে এ ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করে। কিন্তু বিজেপির নতুন আইন করার আগে পর্যন্ত কৃষকেরা তাঁদের বৃদ্ধ অনুৎপাদনশীল গরু কসাইখানায় বিক্রি করতেন। শিব পূজন নামে এক কৃষক বলেন, ‘দুধ দেওয়া বন্ধ করলে বা হালচাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে আমরা সেই গরু বেচে দিতাম। কঠিন সময়ের জন্য আমাদের একটা ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল এটি।’
কিন্তু নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা হিসেবে গোহত্যা কঠোরভাবে দমন করেছে। উত্তর প্রদেশসহ ১৮টি রাজ্যে এখন গোহত্যা অবৈধ।
কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি কথিত অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও উত্তর প্রদেশে মাংসের বিশাল ব্যবসা। মহিষের মাংসের প্রধান রপ্তানিকারক রাজ্য এটি।
গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের অনেকেই মুসলিম বা দলিত। গত কয়েক বছরে তাঁরাই বহুবার প্রায়ই বিজেপি বা স্থানীয় ডানপন্থী উগ্র গোষ্ঠীর গোরক্ষা বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। ভয়ে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষকেরা এখন বুড়ো অনুৎপাদনশীল গরু মাঠে ঘাটে বা জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে।
এমনি এক কৃষক পূজন। তিনি তাঁর বুড়ো গরু পাশের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। পূজন বলেন, ‘এখন কোনো ক্রেতা নেই, কেউই গরু বিক্রি করতে পারবে না।’ অন্যরাও তাঁর মতোই বুড়ো গরু জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
এই ছুটা গবাদিপশুদের প্রায়ই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কৃষক ও স্থানীয়রা বলছেন, এই গরুগুলো সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে। এ কারণে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এমনই একটি গরু কৃষক রাম রাজের বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে।
পূজন নিজেই সম্প্রতি ছুটা গরুর পালের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। ফসলের খেত থেকে তাড়াতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে পালাতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছেন পূজন। সেই ব্যান্ডেজ করা হাত দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘পালের দুটি গরু আমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি জীবন হাতে দিয়ে দৌড় দিয়েছিলাম।’
পূজন নিজেও একজন হিন্দু ভক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন গরু পবিত্র। কিন্তু মনে করেন, সব গরু রক্ষা করতে হবে সরকারের এমন আদেশ হতাশাজনক। তাঁর মতো কৃষকেরা বলেন, ছুটা গরুর পাল ফসল নষ্ট করে, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটায় এবং কখনো কখনো মানুষ হত্যা করে।
এমন এক বিধবা পুনম দুবে। বলেন, ‘ছুটা গরুর কারণে আমার ছেলে এখন এতিম। কে দেখবে আমাদের?’ ভূপেন্দ্র দুবে (৩৬) ২০২০ সালে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের সময় চাকরি হারান। গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। একদিন স্থানীয় বাজারে ছেলের জন্য মিঠাই কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গরুর আক্রমণে প্রাণ হারান।
গরুর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে ২০১৯ সাল থেকে কোমায় ছিলেন ৮০ বছর বয়সী রাম কালী। তাঁর পরিবার বলছে, রাম কালী এখনো জানেন না গত বছর মহামারির শুরুর দিকে তাঁর একমাত্র ছেলে কোভিডে মারা গেছেন।
বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি জোরেশোরেই সামনে আনছে। যেখানে উত্তর প্রদেশ মূলত গ্রামভিত্তিক একটি রাজ্য। সেখানে কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক।
এ ব্যাপারে শাসক বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র সমীর সিংয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। তিনি বলেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকার ‘নতুন কৌশল তৈরি করছে’। সমীর বলেন, ‘এগুলোকে ছুটা গরু বলা উচিত নয়। কারণ, গরু হিন্দু সংস্কৃতিরই অংশ। আমরা কখনোই কিন্তু আমাদের মুরব্বিদের বৃদ্ধ হওয়ার পর মরার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দিই না। সেখানে আমরা কীভাবে গরুগুলোকে মরার জন্য রাস্তায় ছেড়ে দেব?’
সমীর সিং মূলত অনুৎপাদনশীল গরুগুলোকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার কথাই বোঝাচ্ছেন। আদিত্যনাথের সরকার আরও গো-আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার পরিচালিত হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বিশেষ অ্যালকোহল ট্যাক্সও আরোপ করা হয়েছে।
কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি অযোধ্যা জেলায় বিবিসি হিন্দি একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে। দেখা যায়, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি গরু রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক শত্রুঘ্ন তিওয়ারি বলেন, ‘এখানে ২০০টি গরু আছে। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা। ৭০০-১০০০ গরু এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
এদিকে প্রতিনিয়ত খেতখামারে ঢুকে পড়ছে ছুটা গরুর পাল। ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা পালা করে খেত পাহারা দিচ্ছেন। প্রচণ্ড শীত আর সাপের ভয় উপেক্ষা করে দল গঠন করে রাতভর পালা করে মাঠ টহল দেন তাঁরা।
কৃষক বিমলা কুমারী (৬৪) বলেন, ‘আমাদের গ্রামজুড়ে কয়েকটি দল আছে, তারা পালা করে পাহারা দিচ্ছে। আমরা রাতে পাহারা দিই, সকালে একটি নতুন দল এলে আমরা বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিই।’
দীনা নাথের মতো স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গরু নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানে তাঁরা বিরক্ত। এবার নির্বাচন বর্জনের কথাও ভাবছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দিয়ে কী লাভ!’

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানে বিধানসভার ভোট। প্রচার এখন তুঙ্গে। এই শীতের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তবে বিজেপির গোরক্ষা রাজনীতিই সেখানে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিত্যনাথের সামনে।
মালিকবিহীন মুক্ত গরুর পাল নিয়ে উত্তর প্রদেশের মানুষ কতটা সন্ত্রস্ত, বিরক্ত সেটি কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করলেই বোঝা যাবে।
গত বছরের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় বাড়ির দাওয়ায় বসে চা পান করছিলেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা রাম রাজ (৫৫)। হঠাৎ এক পাগলা গরু তাঁকে আক্রমণ করে। নাতি-নাতনিরা সামান্য দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান এই কৃষক।
পুত্রবধূ অনিতা কুমারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটা মৃত্যু সেটি। আমার শাশুড়ি সেই দিন থেকে আর ঠিকমতো খাবারও খান না।’
উত্তর প্রদেশে এ ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করে। কিন্তু বিজেপির নতুন আইন করার আগে পর্যন্ত কৃষকেরা তাঁদের বৃদ্ধ অনুৎপাদনশীল গরু কসাইখানায় বিক্রি করতেন। শিব পূজন নামে এক কৃষক বলেন, ‘দুধ দেওয়া বন্ধ করলে বা হালচাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে আমরা সেই গরু বেচে দিতাম। কঠিন সময়ের জন্য আমাদের একটা ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল এটি।’
কিন্তু নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা হিসেবে গোহত্যা কঠোরভাবে দমন করেছে। উত্তর প্রদেশসহ ১৮টি রাজ্যে এখন গোহত্যা অবৈধ।
কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি কথিত অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও উত্তর প্রদেশে মাংসের বিশাল ব্যবসা। মহিষের মাংসের প্রধান রপ্তানিকারক রাজ্য এটি।
গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের অনেকেই মুসলিম বা দলিত। গত কয়েক বছরে তাঁরাই বহুবার প্রায়ই বিজেপি বা স্থানীয় ডানপন্থী উগ্র গোষ্ঠীর গোরক্ষা বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। ভয়ে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষকেরা এখন বুড়ো অনুৎপাদনশীল গরু মাঠে ঘাটে বা জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে।
এমনি এক কৃষক পূজন। তিনি তাঁর বুড়ো গরু পাশের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। পূজন বলেন, ‘এখন কোনো ক্রেতা নেই, কেউই গরু বিক্রি করতে পারবে না।’ অন্যরাও তাঁর মতোই বুড়ো গরু জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
এই ছুটা গবাদিপশুদের প্রায়ই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কৃষক ও স্থানীয়রা বলছেন, এই গরুগুলো সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে। এ কারণে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এমনই একটি গরু কৃষক রাম রাজের বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে।
পূজন নিজেই সম্প্রতি ছুটা গরুর পালের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। ফসলের খেত থেকে তাড়াতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে পালাতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছেন পূজন। সেই ব্যান্ডেজ করা হাত দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘পালের দুটি গরু আমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি জীবন হাতে দিয়ে দৌড় দিয়েছিলাম।’
পূজন নিজেও একজন হিন্দু ভক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন গরু পবিত্র। কিন্তু মনে করেন, সব গরু রক্ষা করতে হবে সরকারের এমন আদেশ হতাশাজনক। তাঁর মতো কৃষকেরা বলেন, ছুটা গরুর পাল ফসল নষ্ট করে, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটায় এবং কখনো কখনো মানুষ হত্যা করে।
এমন এক বিধবা পুনম দুবে। বলেন, ‘ছুটা গরুর কারণে আমার ছেলে এখন এতিম। কে দেখবে আমাদের?’ ভূপেন্দ্র দুবে (৩৬) ২০২০ সালে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের সময় চাকরি হারান। গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। একদিন স্থানীয় বাজারে ছেলের জন্য মিঠাই কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গরুর আক্রমণে প্রাণ হারান।
গরুর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে ২০১৯ সাল থেকে কোমায় ছিলেন ৮০ বছর বয়সী রাম কালী। তাঁর পরিবার বলছে, রাম কালী এখনো জানেন না গত বছর মহামারির শুরুর দিকে তাঁর একমাত্র ছেলে কোভিডে মারা গেছেন।
বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি জোরেশোরেই সামনে আনছে। যেখানে উত্তর প্রদেশ মূলত গ্রামভিত্তিক একটি রাজ্য। সেখানে কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক।
এ ব্যাপারে শাসক বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র সমীর সিংয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। তিনি বলেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকার ‘নতুন কৌশল তৈরি করছে’। সমীর বলেন, ‘এগুলোকে ছুটা গরু বলা উচিত নয়। কারণ, গরু হিন্দু সংস্কৃতিরই অংশ। আমরা কখনোই কিন্তু আমাদের মুরব্বিদের বৃদ্ধ হওয়ার পর মরার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দিই না। সেখানে আমরা কীভাবে গরুগুলোকে মরার জন্য রাস্তায় ছেড়ে দেব?’
সমীর সিং মূলত অনুৎপাদনশীল গরুগুলোকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার কথাই বোঝাচ্ছেন। আদিত্যনাথের সরকার আরও গো-আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার পরিচালিত হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বিশেষ অ্যালকোহল ট্যাক্সও আরোপ করা হয়েছে।
কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি অযোধ্যা জেলায় বিবিসি হিন্দি একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে। দেখা যায়, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি গরু রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক শত্রুঘ্ন তিওয়ারি বলেন, ‘এখানে ২০০টি গরু আছে। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা। ৭০০-১০০০ গরু এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
এদিকে প্রতিনিয়ত খেতখামারে ঢুকে পড়ছে ছুটা গরুর পাল। ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা পালা করে খেত পাহারা দিচ্ছেন। প্রচণ্ড শীত আর সাপের ভয় উপেক্ষা করে দল গঠন করে রাতভর পালা করে মাঠ টহল দেন তাঁরা।
কৃষক বিমলা কুমারী (৬৪) বলেন, ‘আমাদের গ্রামজুড়ে কয়েকটি দল আছে, তারা পালা করে পাহারা দিচ্ছে। আমরা রাতে পাহারা দিই, সকালে একটি নতুন দল এলে আমরা বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিই।’
দীনা নাথের মতো স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গরু নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানে তাঁরা বিরক্ত। এবার নির্বাচন বর্জনের কথাও ভাবছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দিয়ে কী লাভ!’

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৭ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে