
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে ইঙ্গিত দিয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ৫০০ বছর আগে মুঘল শাসক বাবরের এক সেনাপতি অযোধ্যা ও সাম্ভালে যা করেছিলেন, সেগুলোই আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে। এসব ঘটনাবলি একই প্রকৃতির ও একই পরিকল্পনার অংশ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ভারতের জন্য অপ্রাসঙ্গিক বলে ভুল করলে চলবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম কথা পার্কে ৪৩ তম রামায়ণ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগী আদিত্যনাথ এই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘৫০০ বছর আগে বাবরের এক সেনাপতি অযোধ্যায় একটি কাজ করেছিলেন, সাম্ভালে একই ধরনের কাজ করেছিল, আর আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে—এই তিনটির প্রকৃতি এবং ডিএনএ একই।’
তবে মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি অযোধ্যা ও সাম্ভালে কী করেছিলেন সে বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ তিনি হাজির করেননি। সম্প্রতি সাম্ভালে একটি পুরোনো মসজিদ মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত হন।
এ ছাড়া, অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদও রাম মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয় এবং বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় একদল উগ্রপন্থী হিন্দু। পরে আদালতের নির্দেশে সেই জায়গা রাম মন্দির নির্মাণ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
ভারতের আইন অনুসারে, ১৯৪৭ সালের আগে তৈরি হওয়া কোনো ধর্মীয় স্থাপনা যেভাবে আছে সেখানেই সেভাবে থাকবে। তবে তারপরও বিষয়টি নিয়ে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছে। এমনকি দিল্লির বিখ্যাত নিজামুদ্দিন দরগাহও একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তরফ থেকে।
সমাজে বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তিগুলোর ব্যাপারে সতর্ক করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী উপাদান সক্রিয় আছে, যারা নিরলসভাবে ঐক্য ও সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা বিভেদ সৃষ্টি করতে, সংঘাত উসকে দিতে এবং সহিংসতা ছড়াতে চায়। যারা এই বিভেদ সৃষ্টি করে, তাদের অনেকেরই বিভিন্ন দেশে সম্পত্তি আছে এবং সংকটের সময় তারা পালিয়ে যাবে, অন্যদের কষ্ট ভোগ করতে রেখে যাবে।’
আদিত্যনাথ জনগণকে শ্রী রামচন্দ্রের ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। শ্রী রামের ঐতিহ্য আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সমাজে সম্প্রীতি তৈরি করেছে। অভ্যন্তরীণ বিভেদ ও সামাজিক ঘৃণা জাতিকে দুর্বল করেছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তিগুলো জাতিভিত্তিক রাজনীতি ব্যবহার করে সমাজের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে।’
আদিত্যনাথ অযোধ্যাকে যুগ যুগ ধরে মানবতা ও সভ্যতার জন্য একটি প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘অযোধ্যা হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবতার জন্য প্রজ্ঞা ও কল্যাণের আলোকবর্তিকা হয়ে আছে। এটি বিশ্বের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে, যেখানে ঘৃণা ও সংঘাত নেই। অযোধ্যা এখন একটি বৈশ্বিক আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে ইঙ্গিত দিয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ৫০০ বছর আগে মুঘল শাসক বাবরের এক সেনাপতি অযোধ্যা ও সাম্ভালে যা করেছিলেন, সেগুলোই আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে। এসব ঘটনাবলি একই প্রকৃতির ও একই পরিকল্পনার অংশ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে ভারতের জন্য অপ্রাসঙ্গিক বলে ভুল করলে চলবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম কথা পার্কে ৪৩ তম রামায়ণ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগী আদিত্যনাথ এই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘৫০০ বছর আগে বাবরের এক সেনাপতি অযোধ্যায় একটি কাজ করেছিলেন, সাম্ভালে একই ধরনের কাজ করেছিল, আর আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে—এই তিনটির প্রকৃতি এবং ডিএনএ একই।’
তবে মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি অযোধ্যা ও সাম্ভালে কী করেছিলেন সে বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ তিনি হাজির করেননি। সম্প্রতি সাম্ভালে একটি পুরোনো মসজিদ মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত হন।
এ ছাড়া, অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদও রাম মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয় এবং বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় একদল উগ্রপন্থী হিন্দু। পরে আদালতের নির্দেশে সেই জায়গা রাম মন্দির নির্মাণ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
ভারতের আইন অনুসারে, ১৯৪৭ সালের আগে তৈরি হওয়া কোনো ধর্মীয় স্থাপনা যেভাবে আছে সেখানেই সেভাবে থাকবে। তবে তারপরও বিষয়টি নিয়ে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছে। এমনকি দিল্লির বিখ্যাত নিজামুদ্দিন দরগাহও একটি মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তরফ থেকে।
সমাজে বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তিগুলোর ব্যাপারে সতর্ক করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারী উপাদান সক্রিয় আছে, যারা নিরলসভাবে ঐক্য ও সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা বিভেদ সৃষ্টি করতে, সংঘাত উসকে দিতে এবং সহিংসতা ছড়াতে চায়। যারা এই বিভেদ সৃষ্টি করে, তাদের অনেকেরই বিভিন্ন দেশে সম্পত্তি আছে এবং সংকটের সময় তারা পালিয়ে যাবে, অন্যদের কষ্ট ভোগ করতে রেখে যাবে।’
আদিত্যনাথ জনগণকে শ্রী রামচন্দ্রের ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। শ্রী রামের ঐতিহ্য আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সমাজে সম্প্রীতি তৈরি করেছে। অভ্যন্তরীণ বিভেদ ও সামাজিক ঘৃণা জাতিকে দুর্বল করেছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তিগুলো জাতিভিত্তিক রাজনীতি ব্যবহার করে সমাজের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে।’
আদিত্যনাথ অযোধ্যাকে যুগ যুগ ধরে মানবতা ও সভ্যতার জন্য একটি প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘অযোধ্যা হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবতার জন্য প্রজ্ঞা ও কল্যাণের আলোকবর্তিকা হয়ে আছে। এটি বিশ্বের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে, যেখানে ঘৃণা ও সংঘাত নেই। অযোধ্যা এখন একটি বৈশ্বিক আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।’

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৬ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৭ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে