
গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
১৩ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়। শীত শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই তাঁবু ভেঙে পড়ার ভয়ে ছিলেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টিতে তাঁবুর ভেতরে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি জমে যায়। ঠাণ্ডায় তার মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে প্লাস্টিকের ত্রিপল কিনে কাঠের খুঁটি দিয়ে তাঁবু শক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন সাবার। কিন্তু কয়েক দিন আগে গাজায় আঘাত হানা সর্বশেষ ঝড়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মিডল ইস্ট আইকে সাবার বলেন, “বৃষ্টির প্রথম রাত আমি নিজের হাতে তাঁবুটি ধরে রেখেছিলাম, যখন চারদিক থেকে বৃষ্টি ঢুকছিল।” তিনি জানান, “মনে হচ্ছিল যেন আমি কিছুই করিনি। বৃষ্টির প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁবুটি আমাদের ওপর ভেঙে পড়েছিল।” ভেতরের সবকিছু ভিজে যাওয়ায় তার মেয়েরা সারারাত কাঁপতে থাকে। সাবার বলেন, “আমাদের সব কাপড়, কম্বল এবং খাবার ভিজে গিয়েছিল। আমি জানতাম না কী করব বা আমার পরিবারকে কোথায় নিয়ে যাব।”
তার সবচেয়ে ছোট মেয়ে, মাত্র দুই বছর বয়সী, পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে ঠাণ্ডা তার জন্য আরও বিপজ্জনক। সাবার বলেন, “আমি তাকে ক্যাম্পের এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে সরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। সবকিছু প্লাবিত, এবং তার ফ্লু হয়েছে। আমি তার জন্য ওষুধও জোগাড় করতে পারছি না। আমি সেই দিন আসার আগে মরে যেতে চাইতাম, যেদিন আমি আমার মেয়েদের ঠাণ্ডায় কাঁপতে দেখব যখন আমি তাদের উষ্ণতা দিতে পারছি না।” যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “একটি যুদ্ধবিরতি কি এমন দেখতে হয়? আমরা আমাদের বাড়িতে থাকার পরিবর্তে ভঙ্গুর তাঁবুতে ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছি।”
এই দুর্ভোগ শুধু একটি পরিবারের নয়। ক্যাম্পজুড়ে বহু পরিবার একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। কয়েকটি তাঁবু দূরে থাকেন ৩৬ বছর বয়সী সানা আল-আয়ুবি। তার স্বামী, যিনি দুই পা হারিয়েছেন, এবং তাদের দুই সন্তান সারাহ ও মোহাম্মদকে নিয়ে তিনি একটি জীর্ণ তাঁবুতে থাকেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এই ক্ষতি হয়। তখন সানা গর্ভবতী ছিলেন এবং গুরুতর আহত হন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকেই পরিবারটি তাঁবুতেই আশ্রয় নিয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে অকেজো পয়ঃনিষ্কাশন কূপ উপচে পড়ে। সানা বলেন, “তিন দিন ধরে বৃষ্টি থামেনি। ওপর থেকে আমাদের ওপর জল পড়ছে, আর তাঁবুর নিচ থেকে পয়ঃনিষ্কাশন উঠে আসছে।” এক পর্যায়ে তাঁবুর মাঝখানের কাঠের খুঁটি ভেঙে পরিবারের ওপর পড়ে যায়। তিনি বলেন, “আমার স্বামী জলের মধ্যে হামাগুড়ি দিচ্ছিলেন। তার শরীর পুরোপুরি ভিজে গিয়েছিল। আমি একটি ঝাঁটা দিয়ে তাঁবুটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টি খুব তীব্র ছিল।” তাঁবু পানিতে ডুবে থাকায় তার স্বামী কৃত্রিম পা ব্যবহার করতে পারছেন না। সানা জানান, “আমাকে তাকে বাইরে নিয়ে যেতে হয়েছিল। আমরা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি। তার পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হচ্ছে কারণ সেগুলি এতক্ষণ ভেজা ছিল।”
পয়ঃনিষ্কাশনের পানি ঢুকে পড়ায় তাদের বেশিরভাগ বিছানা ও কাপড় ফেলে দিতে হয়েছে। তাঁবুর নিচের একটি পয়ঃনিষ্কাশন গর্ত ফেটে যাওয়ার পর গাজা পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ আসেনি বলে অভিযোগ তার। যুদ্ধের আগে সানা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নিজের বাড়ির নিচে একটি ছোট লার্নিং সেন্টার চালাতেন। এখন পুরো পরিবার ক্যাম্পে বিতরণ করা দাতব্য খাবারের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, “আমরা নতুন শুকনো জামাকাপড়, একটি তাঁবু বা ওষুধ কেনার সামর্থ্য রাখি না।”
উত্তর গাজা সিটির আল-কারামা এলাকায় ২৮ বছর বয়সী নেসমা হাসান তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে পরিবারের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির অবশিষ্ট অংশে থাকছেন। তার স্বামী আলী ২০২২ সালে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। যুদ্ধবিরতির এক মাস আগে তাদের চারতলা ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কেবল দুটি ছাদযুক্ত কক্ষ অবশিষ্ট থাকে। নেসমা বলেন, “আমরা শীতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা কাঠ, ত্রিপল এবং প্লাস্টিকের চাদর কিনেছিলাম। কিন্তু যখন বৃষ্টি শুরু হলো, বাতাস সবকিছু ছিঁড়ে নিয়ে গেল।” অবশিষ্ট কক্ষগুলোর প্রতিটি কোণ থেকেই পানি চুইয়ে পড়ছিল। তিনি বলেন, “আমরা সারারাত জল সরাচ্ছিলাম। আসবাবপত্র এবং তোষক ভিজে গিয়েছিল। বৃষ্টি এত ভারী ছিল যে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।”
বন্যা থেকে বাঁচতে নেসমা ও তার মেয়ে কক্ষের এক কোণে গুটিসুটি মেরে ছিলেন। নেসমা বলেন, “আমার মেয়ে তিন দিন ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছে। আমি তাকে জামাকাপড়ের স্তরে স্তরে মুড়িয়ে রাখি, টুপি এবং গ্লাভস পরাই, কিন্তু এখনও মনে হয় আমরা রাস্তায় ঘুমাচ্ছি।” তিনি জানান, বজ্রপাতের শব্দ, ঘরের ভেতরে বৃষ্টির ফোঁটা আর ধ্বংসস্তূপে বাতাসের শব্দে তার মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি বাইরে ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি তাঁবু স্থাপনের কথা ভাবছেন। নেসমা বলেন, “যুদ্ধের আগে আমি শীতকাল ভালোবাসতাম। এটি ছিল উষ্ণতা এবং পরিবারের সময়। এখন আমি কেবল এর শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকি, ভয়ে আছি যে বাড়ির বাকি অংশ আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে।”
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত তিন দিনে প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ভেঙে পড়ে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তারা ১৩টি আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় সাড়া দিয়েছে, যার বেশিরভাগই গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে। একই সঙ্গে শত শত প্লাবিত তাঁবু থেকে পানি সরানো এবং নিষ্কাশন খাল খুলে দেওয়ার কাজ করেছে তাদের দলগুলো।

প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়। শীত শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই তাঁবু ভেঙে পড়ার ভয়ে ছিলেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টিতে তাঁবুর ভেতরে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি জমে যায়। ঠাণ্ডায় তার মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে প্লাস্টিকের ত্রিপল কিনে কাঠের খুঁটি দিয়ে তাঁবু শক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন সাবার। কিন্তু কয়েক দিন আগে গাজায় আঘাত হানা সর্বশেষ ঝড়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মিডল ইস্ট আইকে সাবার বলেন, “বৃষ্টির প্রথম রাত আমি নিজের হাতে তাঁবুটি ধরে রেখেছিলাম, যখন চারদিক থেকে বৃষ্টি ঢুকছিল।” তিনি জানান, “মনে হচ্ছিল যেন আমি কিছুই করিনি। বৃষ্টির প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁবুটি আমাদের ওপর ভেঙে পড়েছিল।” ভেতরের সবকিছু ভিজে যাওয়ায় তার মেয়েরা সারারাত কাঁপতে থাকে। সাবার বলেন, “আমাদের সব কাপড়, কম্বল এবং খাবার ভিজে গিয়েছিল। আমি জানতাম না কী করব বা আমার পরিবারকে কোথায় নিয়ে যাব।”
তার সবচেয়ে ছোট মেয়ে, মাত্র দুই বছর বয়সী, পেটের ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে ঠাণ্ডা তার জন্য আরও বিপজ্জনক। সাবার বলেন, “আমি তাকে ক্যাম্পের এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে সরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। সবকিছু প্লাবিত, এবং তার ফ্লু হয়েছে। আমি তার জন্য ওষুধও জোগাড় করতে পারছি না। আমি সেই দিন আসার আগে মরে যেতে চাইতাম, যেদিন আমি আমার মেয়েদের ঠাণ্ডায় কাঁপতে দেখব যখন আমি তাদের উষ্ণতা দিতে পারছি না।” যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “একটি যুদ্ধবিরতি কি এমন দেখতে হয়? আমরা আমাদের বাড়িতে থাকার পরিবর্তে ভঙ্গুর তাঁবুতে ঠাণ্ডায় মারা যাচ্ছি।”
এই দুর্ভোগ শুধু একটি পরিবারের নয়। ক্যাম্পজুড়ে বহু পরিবার একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। কয়েকটি তাঁবু দূরে থাকেন ৩৬ বছর বয়সী সানা আল-আয়ুবি। তার স্বামী, যিনি দুই পা হারিয়েছেন, এবং তাদের দুই সন্তান সারাহ ও মোহাম্মদকে নিয়ে তিনি একটি জীর্ণ তাঁবুতে থাকেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম গাজা সিটির তেল আল-হাওয়ায় তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এই ক্ষতি হয়। তখন সানা গর্ভবতী ছিলেন এবং গুরুতর আহত হন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর থেকেই পরিবারটি তাঁবুতেই আশ্রয় নিয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে অকেজো পয়ঃনিষ্কাশন কূপ উপচে পড়ে। সানা বলেন, “তিন দিন ধরে বৃষ্টি থামেনি। ওপর থেকে আমাদের ওপর জল পড়ছে, আর তাঁবুর নিচ থেকে পয়ঃনিষ্কাশন উঠে আসছে।” এক পর্যায়ে তাঁবুর মাঝখানের কাঠের খুঁটি ভেঙে পরিবারের ওপর পড়ে যায়। তিনি বলেন, “আমার স্বামী জলের মধ্যে হামাগুড়ি দিচ্ছিলেন। তার শরীর পুরোপুরি ভিজে গিয়েছিল। আমি একটি ঝাঁটা দিয়ে তাঁবুটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টি খুব তীব্র ছিল।” তাঁবু পানিতে ডুবে থাকায় তার স্বামী কৃত্রিম পা ব্যবহার করতে পারছেন না। সানা জানান, “আমাকে তাকে বাইরে নিয়ে যেতে হয়েছিল। আমরা ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি। তার পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হচ্ছে কারণ সেগুলি এতক্ষণ ভেজা ছিল।”
পয়ঃনিষ্কাশনের পানি ঢুকে পড়ায় তাদের বেশিরভাগ বিছানা ও কাপড় ফেলে দিতে হয়েছে। তাঁবুর নিচের একটি পয়ঃনিষ্কাশন গর্ত ফেটে যাওয়ার পর গাজা পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ আসেনি বলে অভিযোগ তার। যুদ্ধের আগে সানা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নিজের বাড়ির নিচে একটি ছোট লার্নিং সেন্টার চালাতেন। এখন পুরো পরিবার ক্যাম্পে বিতরণ করা দাতব্য খাবারের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, “আমরা নতুন শুকনো জামাকাপড়, একটি তাঁবু বা ওষুধ কেনার সামর্থ্য রাখি না।”
উত্তর গাজা সিটির আল-কারামা এলাকায় ২৮ বছর বয়সী নেসমা হাসান তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে পরিবারের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির অবশিষ্ট অংশে থাকছেন। তার স্বামী আলী ২০২২ সালে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। যুদ্ধবিরতির এক মাস আগে তাদের চারতলা ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কেবল দুটি ছাদযুক্ত কক্ষ অবশিষ্ট থাকে। নেসমা বলেন, “আমরা শীতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা কাঠ, ত্রিপল এবং প্লাস্টিকের চাদর কিনেছিলাম। কিন্তু যখন বৃষ্টি শুরু হলো, বাতাস সবকিছু ছিঁড়ে নিয়ে গেল।” অবশিষ্ট কক্ষগুলোর প্রতিটি কোণ থেকেই পানি চুইয়ে পড়ছিল। তিনি বলেন, “আমরা সারারাত জল সরাচ্ছিলাম। আসবাবপত্র এবং তোষক ভিজে গিয়েছিল। বৃষ্টি এত ভারী ছিল যে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না।”
বন্যা থেকে বাঁচতে নেসমা ও তার মেয়ে কক্ষের এক কোণে গুটিসুটি মেরে ছিলেন। নেসমা বলেন, “আমার মেয়ে তিন দিন ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছে। আমি তাকে জামাকাপড়ের স্তরে স্তরে মুড়িয়ে রাখি, টুপি এবং গ্লাভস পরাই, কিন্তু এখনও মনে হয় আমরা রাস্তায় ঘুমাচ্ছি।” তিনি জানান, বজ্রপাতের শব্দ, ঘরের ভেতরে বৃষ্টির ফোঁটা আর ধ্বংসস্তূপে বাতাসের শব্দে তার মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি বাইরে ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি তাঁবু স্থাপনের কথা ভাবছেন। নেসমা বলেন, “যুদ্ধের আগে আমি শীতকাল ভালোবাসতাম। এটি ছিল উষ্ণতা এবং পরিবারের সময়। এখন আমি কেবল এর শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকি, ভয়ে আছি যে বাড়ির বাকি অংশ আমাদের ওপর ভেঙে পড়বে।”
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত তিন দিনে প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ভেঙে পড়ে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তারা ১৩টি আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়া বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় সাড়া দিয়েছে, যার বেশিরভাগই গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে। একই সঙ্গে শত শত প্লাবিত তাঁবু থেকে পানি সরানো এবং নিষ্কাশন খাল খুলে দেওয়ার কাজ করেছে তাদের দলগুলো।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন—অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহরের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র এই বন্ডাই বিচে গুলিবর্ষণের সময় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইহুদীদের হানুক্কা উৎসব পালনের জন্য আয়োজিত বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন হলেন ৫০ বছর বয়সী পিতা সাজিদ আকরাম, যিনি অফিসারদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যজন হলেন তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম, যিনি হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সময় সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৪৭ মিনিটে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জানায়, তারা বন্ডাই বিচে একটি ‘ক্রমবর্ধমান ঘটনা’র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তারা সতর্ক করে বলে, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইক নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা দুই বন্দুকধারী ভিড়ের দিকে গুলি চালাচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা একজন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হেরাল্ডকে বলেন, বন্দুকধারীরা নির্বিচারে শিশু এবং বয়স্কদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিছু ছবিতে লোকজনকে অন্যদের বুকের ওপর সিপিআর করতে দেখা যায়।
এই ঘটনার পর বিরোধী দলের নেতা সুসান লে বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা গভীর শোকে মূহ্যমান, ‘ঘৃণ্য সহিংসতা একটি আইকনিক অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রস্থলে আঘাত করেছে, যে জায়গাটিকে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি এবং ভালোবাসি, সেটি হলো বন্ডাই।’ তিনি বলেন, ‘এই হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা গুরুতর এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে সকল অস্ট্রেলিয়ানকে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই হামলাটি ঘটেছে যখন আমাদের ইহুদি সম্প্রদায় হানুক্কা বাই দ্য সি উদযাপনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। এটি ছিল শান্তি এবং ভবিষ্যতের আশার একটি উদযাপন, যা ঘৃণা দ্বারা ছিন্ন করা হলো।’
অস্ট্রেলিয়ান জিউয়িশ অ্যাসোসিয়েশন এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলবানিজ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে দেশের ইহুদিরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘আজ রাতে যা ঘটেছে তা একটি ট্র্যাজেডি, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনুমেয় ছিল। আলবানিজ সরকারকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ রাতে, অনেক ইহুদি ভাবছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে কিনা। আমাদের চিন্তা আমাদের সম্প্রদায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকলের সাথে রয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন—অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহরের অন্যতম বড় পর্যটন কেন্দ্র এই বন্ডাই বিচে গুলিবর্ষণের সময় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইহুদীদের হানুক্কা উৎসব পালনের জন্য আয়োজিত বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন হলেন ৫০ বছর বয়সী পিতা সাজিদ আকরাম, যিনি অফিসারদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। অন্যজন হলেন তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম, যিনি হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সময় সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৪৭ মিনিটে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে জানায়, তারা বন্ডাই বিচে একটি ‘ক্রমবর্ধমান ঘটনা’র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। তারা সতর্ক করে বলে, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইক নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কালো পোশাক পরা দুই বন্দুকধারী ভিড়ের দিকে গুলি চালাচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা একজন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হেরাল্ডকে বলেন, বন্দুকধারীরা নির্বিচারে শিশু এবং বয়স্কদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিছু ছবিতে লোকজনকে অন্যদের বুকের ওপর সিপিআর করতে দেখা যায়।
এই ঘটনার পর বিরোধী দলের নেতা সুসান লে বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা গভীর শোকে মূহ্যমান, ‘ঘৃণ্য সহিংসতা একটি আইকনিক অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়ের কেন্দ্রস্থলে আঘাত করেছে, যে জায়গাটিকে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে জানি এবং ভালোবাসি, সেটি হলো বন্ডাই।’ তিনি বলেন, ‘এই হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা গুরুতর এবং আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে সকল অস্ট্রেলিয়ানকে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই হামলাটি ঘটেছে যখন আমাদের ইহুদি সম্প্রদায় হানুক্কা বাই দ্য সি উদযাপনের জন্য একত্রিত হয়েছিল। এটি ছিল শান্তি এবং ভবিষ্যতের আশার একটি উদযাপন, যা ঘৃণা দ্বারা ছিন্ন করা হলো।’
অস্ট্রেলিয়ান জিউয়িশ অ্যাসোসিয়েশন এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলবানিজ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে দেশের ইহুদিরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘আজ রাতে যা ঘটেছে তা একটি ট্র্যাজেডি, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনুমেয় ছিল। আলবানিজ সরকারকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ রাতে, অনেক ইহুদি ভাবছেন যে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের কোনো ভবিষ্যৎ আছে কিনা। আমাদের চিন্তা আমাদের সম্প্রদায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকলের সাথে রয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ।’

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
১৩ মিনিট আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
১৩ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
প্রবল বৃষ্টি আর তীব্র বাতাসে গাজা উপত্যকার বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবন আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধ্য গাজার আল-ইয়ারমুক স্টেডিয়ামে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে স্ত্রী ও সাত মেয়েকে নিয়ে থাকেন সাবার দাওয়াস। বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই এই তাঁবুই তাদের একমাত্র আশ্রয়।
১৩ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এবং ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
১০ ঘণ্টা আগে