অনলাইন ডেস্ক
মাত্র ত্রিশ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। বিনিময়ে ইউক্রেনকে আবার সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কিয়েভ–ওয়াশিংটন।
আল–জাজিরা ও রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দেশ। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সম্মতিতে পরে বিরতির সময় আরও বাড়ানো যেতে পারে।
বিবৃতির পরপরই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘৩০ দিনের জন্য পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। শুধু আকাশপথে হামলার ক্ষেত্রে নয়, কৃষ্ণ সাগরসহ পুরো ফ্রন্টলাইনের জন্যই প্রযোজ্য এই বিরতি।’
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস বলেছেন, ‘আজকের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তাঁরা শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। এই যুদ্ধ স্থায়ীভাবে কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।’
বৈঠকে অগ্রগতির পর ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের ওপর যে স্থগিতাদেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গত সপ্তাহে ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। ওই বৈঠকে মূলত ইউক্রেনের বিরল খনিজ নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। নিরাপত্তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মূল্যবান খনিজ বিক্রি করতে রাজি ছিলেন জেলেনস্কি।
তবে, বৈঠকে দু’পক্ষের বাগ্বিতণ্ডায় ভেস্তে যায় আলোচনা। তবে, মঙ্গলবার জেদ্দা বৈঠকের পর ওয়াশিংটন–কিয়েভের প্রতিনিধিদের যৌথ বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, আবারও আলোচনার টেবিলে এসেছে ইউক্রেনের খনিজ ইস্যু। তাদের ভাষ্যমতে—যত দ্রুত সম্ভব বিরল খনিজ ইস্যুতে একটি বিস্তৃত চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই পক্ষ, যার বিনিময়ে নিশ্চিত হবে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা। তবে, খনিজের বিনিময়ে ইউক্রেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঠিক কী কী চেয়েছে সেসম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তারা যে সত্যিই শান্তি চায় তা প্রমাণ করেছে, এবার রাশিয়ার সিদ্ধান্ত জানার পালা। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করব। তাদের জানাব, অস্ত্র নামিয়ে রেখে আলোচনার টেবিলে বসতে ইউক্রেন প্রস্তুত। এখন বাকিটা তাদের ওপর। তারা যদি এই আলোচনায় ‘না’ বলে, তাহলে শান্তির পথে প্রকৃত বাধা কে তা স্পষ্ট হবে।
রাশিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেন শান্তির জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র সেটি জানে এবং রাশিয়াকে তা বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব তাদের। রাশিয়াকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এই সংঘাত জিইয়ে রাখতে চায়, নাকি শেষ করতে চায়।’
আলোচনার জন্য রাশিয়া সব সময়ই প্রস্তুত— এমন ভাষ্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তবে, ক্রিমিয়াসহ যেসব ভূখণ্ড এরই মধ্যে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অন্তর্গত হয়ে গেছে সেসবের নিয়ন্ত্রণ ছাড়বেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রুশ নিয়ন্ত্রিত চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে তাদের সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে বলেও শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে দেশটির এক–পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ফেলেছে রাশিয়া। এর আগে ২০১৪ সালেই ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে মস্কো।
এদিকে, শান্তি আলোচনার মধ্যেও লড়াই থেমে নেই। সৌদি আরবে বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মস্কো ও এর আশপাশে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। হামলার তীব্রতায় বন্ধ করে দিতে হয় মস্কোর চারটি বিমানবন্দর। এই হামলায় ৩৩৭টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।
মাত্র ত্রিশ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন। বিনিময়ে ইউক্রেনকে আবার সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কিয়েভ–ওয়াশিংটন।
আল–জাজিরা ও রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দেশ। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সম্মতিতে পরে বিরতির সময় আরও বাড়ানো যেতে পারে।
বিবৃতির পরপরই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘৩০ দিনের জন্য পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। শুধু আকাশপথে হামলার ক্ষেত্রে নয়, কৃষ্ণ সাগরসহ পুরো ফ্রন্টলাইনের জন্যই প্রযোজ্য এই বিরতি।’
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস বলেছেন, ‘আজকের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তাঁরা শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। এই যুদ্ধ স্থায়ীভাবে কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।’
বৈঠকে অগ্রগতির পর ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের ওপর যে স্থগিতাদেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গত সপ্তাহে ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। ওই বৈঠকে মূলত ইউক্রেনের বিরল খনিজ নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। নিরাপত্তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মূল্যবান খনিজ বিক্রি করতে রাজি ছিলেন জেলেনস্কি।
তবে, বৈঠকে দু’পক্ষের বাগ্বিতণ্ডায় ভেস্তে যায় আলোচনা। তবে, মঙ্গলবার জেদ্দা বৈঠকের পর ওয়াশিংটন–কিয়েভের প্রতিনিধিদের যৌথ বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, আবারও আলোচনার টেবিলে এসেছে ইউক্রেনের খনিজ ইস্যু। তাদের ভাষ্যমতে—যত দ্রুত সম্ভব বিরল খনিজ ইস্যুতে একটি বিস্তৃত চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই পক্ষ, যার বিনিময়ে নিশ্চিত হবে ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা। তবে, খনিজের বিনিময়ে ইউক্রেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঠিক কী কী চেয়েছে সেসম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তারা যে সত্যিই শান্তি চায় তা প্রমাণ করেছে, এবার রাশিয়ার সিদ্ধান্ত জানার পালা। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করব। তাদের জানাব, অস্ত্র নামিয়ে রেখে আলোচনার টেবিলে বসতে ইউক্রেন প্রস্তুত। এখন বাকিটা তাদের ওপর। তারা যদি এই আলোচনায় ‘না’ বলে, তাহলে শান্তির পথে প্রকৃত বাধা কে তা স্পষ্ট হবে।
রাশিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেন শান্তির জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র সেটি জানে এবং রাশিয়াকে তা বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব তাদের। রাশিয়াকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এই সংঘাত জিইয়ে রাখতে চায়, নাকি শেষ করতে চায়।’
আলোচনার জন্য রাশিয়া সব সময়ই প্রস্তুত— এমন ভাষ্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তবে, ক্রিমিয়াসহ যেসব ভূখণ্ড এরই মধ্যে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অন্তর্গত হয়ে গেছে সেসবের নিয়ন্ত্রণ ছাড়বেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রুশ নিয়ন্ত্রিত চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে তাদের সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে বলেও শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে দেশটির এক–পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের দখল নিয়ে ফেলেছে রাশিয়া। এর আগে ২০১৪ সালেই ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে মস্কো।
এদিকে, শান্তি আলোচনার মধ্যেও লড়াই থেমে নেই। সৌদি আরবে বৈঠক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মস্কো ও এর আশপাশে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। হামলার তীব্রতায় বন্ধ করে দিতে হয় মস্কোর চারটি বিমানবন্দর। এই হামলায় ৩৩৭টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা।
সরকার তাৎক্ষণিক, একতরফা ও আকস্মিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বাজেট ভাষণে তারা ২ শতাংশ কর বাতিল করেছে। এরপর অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ৬ শতাংশ ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স, যা সাধারণত ‘গুগল ট্যাক্স’ নামে পরিচিত, সেটিও তুলে দেওয়া হবে। এখন, ট্রাম্পকে তারা আর কী কী দেবেন?’
২৭ মিনিট আগেগত বুধবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ি এবং যানবাহনের যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প এবং বলেন, ‘এটি স্থায়ী সিদ্ধান্ত’। যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—মেক্সিকো, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও জার্মানির মতো ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ
১ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে হত্যার দুটি ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে পুরো রাজ্যেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে নিজেই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় লোক দলের (আরএলডি) নেতা জয়ন্ত সিং চৌধুরী বলেছেন, যদি লোকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়, তাহলে তাদের পাসপোর্ট এবং লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে এবং আদালত থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) ছাড়া নতুন পাসপোর্ট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আদালত কর্তৃক ব্যক্তিদের
৩ ঘণ্টা আগে