আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সংস্থা ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের ১০ম ইথিকাল ফ্যাশন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রায় ২২ হাজার টন পোশাক বর্জ্য খোলা মাঠে ফেলা হয়। এর অর্থ, প্রতি বছর প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ২৩ কেজি পোশাক ফেলে দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রতিবছর মাথাপিছু গড়ে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে ছিল। দেশটিতে প্রত্যক ব্যক্তি গড়ে ৫৬টি পোশাক কেনে। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৫৩টি, চীনে ৩০টি এবং যুক্তরাজ্য ৩৩ টির মতো।
ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো গ্রুপের ইভেন্ট ডিরেক্টর এবং গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর আয়োজক জুলি হোল্ট বলেছেন, ‘এই পদ্ধতিগত সমস্যাটি শিল্পের চলমান সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ দূষণ, গ্রিনওয়াশিং এবং কিছু বিক্রেতার জবাবদিহির অভাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ানরা প্রায় ৬০০ কিলোগ্রাম পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য ফেলে দেয়। এর মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। এটি একটি বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও তুলে ধরেছে।’
আফটার নামে পরিবেশ ও টেক্সটাইল খাত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আসন্ন গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো সেমিনার সিরিজের বক্তা নেহাল জৈনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ও টেক্সটাইল ভোক্তা। আমরা সমানে পোশাক ফেলে দিই। গড়ে পোশাকগুলো মাত্র সাতবার পরার পরেই বাতিল করা হয়।’
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আফটার’ অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেয়। সংস্থাটি সরকার, করপোরেট, স্কুল এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাতে এই বিষয়ে একটি সহজ বিকল্প তৈরি করা হয়। সম্প্রতি তারা নিউজিল্যান্ডেও তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে।
জৈন স্বীকার করেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের সংস্কৃতি থাকলেও, অব্যবহারযোগ্য, ক্ষতিগ্রস্ত, পুরোনো এবং একেবারেই শেষ অবস্থায় থাকা পোশাকের জন্য খুব কম বিকল্পই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে এই অবহেলিত ক্যাটাগরির ওপর মনোযোগ দিই। আমরা পুরোনো, বিক্রয় অযোগ্য এবং অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ করি এবং নিশ্চিত করি যে, এগুলো নৈতিকভাবে ও টেকসই পদ্ধতিতে আপসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করে কাঁচামাল—যেমন সুতোয় পরিণত করা হয়। যাতে এগুলো আবার সার্কুলার ইকোনমিতে প্রবেশ করতে পারে।’
হোল্ট উল্লেখ করেন, পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি হলেও, সাপ্লাই চেইনজুড়ে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ খুচরা সরবরাহ চেইনে সম্পূর্ণ ট্র্যাকিংয়ের চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন করলে পোশাকের শেষ ফাইবার পর্যন্ত বিক্রেতাদের জবাবদিহি করা যাবে এবং আরও টেকসই সোর্সিং উৎসাহিত হবে।’
জৈন বলেন, ভোক্তাদের মধ্যে আরও সচেতনতা পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘আজকের ভোক্তারা সত্যিই প্রশ্ন করছেন—পণ্যগুলো কীভাবে তৈরি হচ্ছে এবং পরে সেগুলো কী পরিণতি পাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এই উদ্বেগগুলো উপেক্ষা করা এখন আর যথেষ্ট নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি না যে দায়িত্ব কেবল একটি গোষ্ঠীর।’
নেহাল জৈন উৎপাদকদের টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও সেগুলোর চূড়ান্ত পরিণতির পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে শুধু বর্জ্য কমানোর জন্য পণ্য ডিজাইন করাই নয়, বরং বর্জ্য তৈরি হলে আফটার-এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করাও অন্তর্ভুক্ত। এটি ডিজাইন পর্যায় এবং শেষ ব্যবহারের পর্যায়–উভয় ক্ষেত্রেই লুপ বন্ধ করার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আপনার ব্যবসায় টেক্সটাইল বর্জ্য কোথা থেকে আসছে, তা ভালোভাবে দেখে শুরু করুন। তারপর প্রশ্ন করুন, যখন এই জিনিসগুলোর আর প্রয়োজন হয় না তখন সেগুলোর কী হয়? কোনো পুনরুদ্ধার সমাধান আছে কি?’
হোল্ট উপসংহারে বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের অসংখ্য স্বনামধন্য সরবরাহকারীকে এক ছাদের নিচে একত্রিত করা আমাদের খাতের সাফল্য এবং টেকসই—এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব থেকে আসা সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করা, যারা তাদের সাপ্লাই চেইন বোঝেন এবং নৈতিকভাবে পণ্য সংগ্রহ করেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য অপরিহার্য।’

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সংস্থা ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের ১০ম ইথিকাল ফ্যাশন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রায় ২২ হাজার টন পোশাক বর্জ্য খোলা মাঠে ফেলা হয়। এর অর্থ, প্রতি বছর প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ২৩ কেজি পোশাক ফেলে দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রতিবছর মাথাপিছু গড়ে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে ছিল। দেশটিতে প্রত্যক ব্যক্তি গড়ে ৫৬টি পোশাক কেনে। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৫৩টি, চীনে ৩০টি এবং যুক্তরাজ্য ৩৩ টির মতো।
ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো গ্রুপের ইভেন্ট ডিরেক্টর এবং গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর আয়োজক জুলি হোল্ট বলেছেন, ‘এই পদ্ধতিগত সমস্যাটি শিল্পের চলমান সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ দূষণ, গ্রিনওয়াশিং এবং কিছু বিক্রেতার জবাবদিহির অভাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ানরা প্রায় ৬০০ কিলোগ্রাম পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য ফেলে দেয়। এর মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। এটি একটি বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও তুলে ধরেছে।’
আফটার নামে পরিবেশ ও টেক্সটাইল খাত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আসন্ন গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো সেমিনার সিরিজের বক্তা নেহাল জৈনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ও টেক্সটাইল ভোক্তা। আমরা সমানে পোশাক ফেলে দিই। গড়ে পোশাকগুলো মাত্র সাতবার পরার পরেই বাতিল করা হয়।’
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আফটার’ অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেয়। সংস্থাটি সরকার, করপোরেট, স্কুল এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাতে এই বিষয়ে একটি সহজ বিকল্প তৈরি করা হয়। সম্প্রতি তারা নিউজিল্যান্ডেও তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে।
জৈন স্বীকার করেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের সংস্কৃতি থাকলেও, অব্যবহারযোগ্য, ক্ষতিগ্রস্ত, পুরোনো এবং একেবারেই শেষ অবস্থায় থাকা পোশাকের জন্য খুব কম বিকল্পই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে এই অবহেলিত ক্যাটাগরির ওপর মনোযোগ দিই। আমরা পুরোনো, বিক্রয় অযোগ্য এবং অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ করি এবং নিশ্চিত করি যে, এগুলো নৈতিকভাবে ও টেকসই পদ্ধতিতে আপসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করে কাঁচামাল—যেমন সুতোয় পরিণত করা হয়। যাতে এগুলো আবার সার্কুলার ইকোনমিতে প্রবেশ করতে পারে।’
হোল্ট উল্লেখ করেন, পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি হলেও, সাপ্লাই চেইনজুড়ে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ খুচরা সরবরাহ চেইনে সম্পূর্ণ ট্র্যাকিংয়ের চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন করলে পোশাকের শেষ ফাইবার পর্যন্ত বিক্রেতাদের জবাবদিহি করা যাবে এবং আরও টেকসই সোর্সিং উৎসাহিত হবে।’
জৈন বলেন, ভোক্তাদের মধ্যে আরও সচেতনতা পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘আজকের ভোক্তারা সত্যিই প্রশ্ন করছেন—পণ্যগুলো কীভাবে তৈরি হচ্ছে এবং পরে সেগুলো কী পরিণতি পাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এই উদ্বেগগুলো উপেক্ষা করা এখন আর যথেষ্ট নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি না যে দায়িত্ব কেবল একটি গোষ্ঠীর।’
নেহাল জৈন উৎপাদকদের টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও সেগুলোর চূড়ান্ত পরিণতির পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে শুধু বর্জ্য কমানোর জন্য পণ্য ডিজাইন করাই নয়, বরং বর্জ্য তৈরি হলে আফটার-এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করাও অন্তর্ভুক্ত। এটি ডিজাইন পর্যায় এবং শেষ ব্যবহারের পর্যায়–উভয় ক্ষেত্রেই লুপ বন্ধ করার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আপনার ব্যবসায় টেক্সটাইল বর্জ্য কোথা থেকে আসছে, তা ভালোভাবে দেখে শুরু করুন। তারপর প্রশ্ন করুন, যখন এই জিনিসগুলোর আর প্রয়োজন হয় না তখন সেগুলোর কী হয়? কোনো পুনরুদ্ধার সমাধান আছে কি?’
হোল্ট উপসংহারে বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের অসংখ্য স্বনামধন্য সরবরাহকারীকে এক ছাদের নিচে একত্রিত করা আমাদের খাতের সাফল্য এবং টেকসই—এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব থেকে আসা সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করা, যারা তাদের সাপ্লাই চেইন বোঝেন এবং নৈতিকভাবে পণ্য সংগ্রহ করেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য অপরিহার্য।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সংস্থা ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের ১০ম ইথিকাল ফ্যাশন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রায় ২২ হাজার টন পোশাক বর্জ্য খোলা মাঠে ফেলা হয়। এর অর্থ, প্রতি বছর প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ২৩ কেজি পোশাক ফেলে দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রতিবছর মাথাপিছু গড়ে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে ছিল। দেশটিতে প্রত্যক ব্যক্তি গড়ে ৫৬টি পোশাক কেনে। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৫৩টি, চীনে ৩০টি এবং যুক্তরাজ্য ৩৩ টির মতো।
ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো গ্রুপের ইভেন্ট ডিরেক্টর এবং গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর আয়োজক জুলি হোল্ট বলেছেন, ‘এই পদ্ধতিগত সমস্যাটি শিল্পের চলমান সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ দূষণ, গ্রিনওয়াশিং এবং কিছু বিক্রেতার জবাবদিহির অভাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ানরা প্রায় ৬০০ কিলোগ্রাম পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য ফেলে দেয়। এর মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। এটি একটি বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও তুলে ধরেছে।’
আফটার নামে পরিবেশ ও টেক্সটাইল খাত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আসন্ন গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো সেমিনার সিরিজের বক্তা নেহাল জৈনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ও টেক্সটাইল ভোক্তা। আমরা সমানে পোশাক ফেলে দিই। গড়ে পোশাকগুলো মাত্র সাতবার পরার পরেই বাতিল করা হয়।’
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আফটার’ অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেয়। সংস্থাটি সরকার, করপোরেট, স্কুল এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাতে এই বিষয়ে একটি সহজ বিকল্প তৈরি করা হয়। সম্প্রতি তারা নিউজিল্যান্ডেও তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে।
জৈন স্বীকার করেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের সংস্কৃতি থাকলেও, অব্যবহারযোগ্য, ক্ষতিগ্রস্ত, পুরোনো এবং একেবারেই শেষ অবস্থায় থাকা পোশাকের জন্য খুব কম বিকল্পই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে এই অবহেলিত ক্যাটাগরির ওপর মনোযোগ দিই। আমরা পুরোনো, বিক্রয় অযোগ্য এবং অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ করি এবং নিশ্চিত করি যে, এগুলো নৈতিকভাবে ও টেকসই পদ্ধতিতে আপসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করে কাঁচামাল—যেমন সুতোয় পরিণত করা হয়। যাতে এগুলো আবার সার্কুলার ইকোনমিতে প্রবেশ করতে পারে।’
হোল্ট উল্লেখ করেন, পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি হলেও, সাপ্লাই চেইনজুড়ে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ খুচরা সরবরাহ চেইনে সম্পূর্ণ ট্র্যাকিংয়ের চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন করলে পোশাকের শেষ ফাইবার পর্যন্ত বিক্রেতাদের জবাবদিহি করা যাবে এবং আরও টেকসই সোর্সিং উৎসাহিত হবে।’
জৈন বলেন, ভোক্তাদের মধ্যে আরও সচেতনতা পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘আজকের ভোক্তারা সত্যিই প্রশ্ন করছেন—পণ্যগুলো কীভাবে তৈরি হচ্ছে এবং পরে সেগুলো কী পরিণতি পাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এই উদ্বেগগুলো উপেক্ষা করা এখন আর যথেষ্ট নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি না যে দায়িত্ব কেবল একটি গোষ্ঠীর।’
নেহাল জৈন উৎপাদকদের টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও সেগুলোর চূড়ান্ত পরিণতির পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে শুধু বর্জ্য কমানোর জন্য পণ্য ডিজাইন করাই নয়, বরং বর্জ্য তৈরি হলে আফটার-এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করাও অন্তর্ভুক্ত। এটি ডিজাইন পর্যায় এবং শেষ ব্যবহারের পর্যায়–উভয় ক্ষেত্রেই লুপ বন্ধ করার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আপনার ব্যবসায় টেক্সটাইল বর্জ্য কোথা থেকে আসছে, তা ভালোভাবে দেখে শুরু করুন। তারপর প্রশ্ন করুন, যখন এই জিনিসগুলোর আর প্রয়োজন হয় না তখন সেগুলোর কী হয়? কোনো পুনরুদ্ধার সমাধান আছে কি?’
হোল্ট উপসংহারে বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের অসংখ্য স্বনামধন্য সরবরাহকারীকে এক ছাদের নিচে একত্রিত করা আমাদের খাতের সাফল্য এবং টেকসই—এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব থেকে আসা সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করা, যারা তাদের সাপ্লাই চেইন বোঝেন এবং নৈতিকভাবে পণ্য সংগ্রহ করেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য অপরিহার্য।’

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সংস্থা ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের ১০ম ইথিকাল ফ্যাশন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাপটিস্ট ওয়ার্ল্ড এইডের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রায় ২২ হাজার টন পোশাক বর্জ্য খোলা মাঠে ফেলা হয়। এর অর্থ, প্রতি বছর প্রত্যেক অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ২৩ কেজি পোশাক ফেলে দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রতিবছর মাথাপিছু গড়ে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে ছিল। দেশটিতে প্রত্যক ব্যক্তি গড়ে ৫৬টি পোশাক কেনে। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৫৩টি, চীনে ৩০টি এবং যুক্তরাজ্য ৩৩ টির মতো।
ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো গ্রুপের ইভেন্ট ডিরেক্টর এবং গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর আয়োজক জুলি হোল্ট বলেছেন, ‘এই পদ্ধতিগত সমস্যাটি শিল্পের চলমান সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ দূষণ, গ্রিনওয়াশিং এবং কিছু বিক্রেতার জবাবদিহির অভাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি ১০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ানরা প্রায় ৬০০ কিলোগ্রাম পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য ফেলে দেয়। এর মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। এটি একটি বড় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও তুলে ধরেছে।’
আফটার নামে পরিবেশ ও টেক্সটাইল খাত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও আসন্ন গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো সেমিনার সিরিজের বক্তা নেহাল জৈনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ও টেক্সটাইল ভোক্তা। আমরা সমানে পোশাক ফেলে দিই। গড়ে পোশাকগুলো মাত্র সাতবার পরার পরেই বাতিল করা হয়।’
২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আফটার’ অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেয়। সংস্থাটি সরকার, করপোরেট, স্কুল এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাতে এই বিষয়ে একটি সহজ বিকল্প তৈরি করা হয়। সম্প্রতি তারা নিউজিল্যান্ডেও তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে।
জৈন স্বীকার করেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাকের সংস্কৃতি থাকলেও, অব্যবহারযোগ্য, ক্ষতিগ্রস্ত, পুরোনো এবং একেবারেই শেষ অবস্থায় থাকা পোশাকের জন্য খুব কম বিকল্পই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে এই অবহেলিত ক্যাটাগরির ওপর মনোযোগ দিই। আমরা পুরোনো, বিক্রয় অযোগ্য এবং অব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য সংগ্রহ করি এবং নিশ্চিত করি যে, এগুলো নৈতিকভাবে ও টেকসই পদ্ধতিতে আপসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করে কাঁচামাল—যেমন সুতোয় পরিণত করা হয়। যাতে এগুলো আবার সার্কুলার ইকোনমিতে প্রবেশ করতে পারে।’
হোল্ট উল্লেখ করেন, পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু উন্নতি হলেও, সাপ্লাই চেইনজুড়ে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ খুচরা সরবরাহ চেইনে সম্পূর্ণ ট্র্যাকিংয়ের চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন করলে পোশাকের শেষ ফাইবার পর্যন্ত বিক্রেতাদের জবাবদিহি করা যাবে এবং আরও টেকসই সোর্সিং উৎসাহিত হবে।’
জৈন বলেন, ভোক্তাদের মধ্যে আরও সচেতনতা পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ‘আজকের ভোক্তারা সত্যিই প্রশ্ন করছেন—পণ্যগুলো কীভাবে তৈরি হচ্ছে এবং পরে সেগুলো কী পরিণতি পাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এই উদ্বেগগুলো উপেক্ষা করা এখন আর যথেষ্ট নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি না যে দায়িত্ব কেবল একটি গোষ্ঠীর।’
নেহাল জৈন উৎপাদকদের টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও সেগুলোর চূড়ান্ত পরিণতির পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে শুধু বর্জ্য কমানোর জন্য পণ্য ডিজাইন করাই নয়, বরং বর্জ্য তৈরি হলে আফটার-এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করাও অন্তর্ভুক্ত। এটি ডিজাইন পর্যায় এবং শেষ ব্যবহারের পর্যায়–উভয় ক্ষেত্রেই লুপ বন্ধ করার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আপনার ব্যবসায় টেক্সটাইল বর্জ্য কোথা থেকে আসছে, তা ভালোভাবে দেখে শুরু করুন। তারপর প্রশ্ন করুন, যখন এই জিনিসগুলোর আর প্রয়োজন হয় না তখন সেগুলোর কী হয়? কোনো পুনরুদ্ধার সমাধান আছে কি?’
হোল্ট উপসংহারে বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনের অসংখ্য স্বনামধন্য সরবরাহকারীকে এক ছাদের নিচে একত্রিত করা আমাদের খাতের সাফল্য এবং টেকসই—এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব থেকে আসা সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করা, যারা তাদের সাপ্লাই চেইন বোঝেন এবং নৈতিকভাবে পণ্য সংগ্রহ করেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য অপরিহার্য।’

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১৫ মিনিট আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
২ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৩ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৬ ঘণ্টা আগেহিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
তবে মেঘালয় পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুলিশের এই দাবি সঠিক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ওসমান হাদি হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামি অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে—এমন দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। ভারতের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রচার সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার নিরাপত্তামূলক আস্থায় ফাটল ধরাতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওসমান হাদি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মেঘালয়ে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে তাঁরা ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। ‘পুর্তি’ নামক এক স্থানীয় সহায়তাকারী এবং ‘সামী’ নামে এক ট্যাক্সি চালক তাঁদের মেঘালয়ের তুরা শহরে পৌঁছে দিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার এই দাবির বিষয়ে মেঘালয় পুলিশ সদর দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো তথ্যই আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও মাঠ পর্যায়ের ভেরিফিকেশনে ওই অভিযুক্তদের গারো হিলস বা মেঘালয়ের কোথাও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘পুর্তি’ বা ‘সামী’ নামক কোনো ব্যক্তিরও হদিস পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করার খবরটিও বানোয়াট।
মেঘালয় পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফ-ও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। বিএসএফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ও. পি. উপাধ্যায়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, হালুয়াঘাট সেক্টর দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভারতে প্রবেশের কোনো প্রমাণ বা ইন্টেলিজেন্স ইনপুট তাঁদের কাছে নেই। বিএসএফ অত্যন্ত কঠোর প্রটোকল মেনে সীমান্ত পাহারা দেয় এবং এমন কোনো অনুপ্রবেশ আমাদের নজরে আসেনি। তিনি এই ধরনের দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করেন, মেঘালয় একটি সংবেদনশীল সীমান্ত রাজ্য হওয়ার কারণে এখানে নিয়মিত আন্তসীমান্ত অপরাধ ও ছোটখাটো সংঘর্ষের মোকাবিলা করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমে যাচাই না করা তথ্য ছড়ালে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
অনুপ্রবেশের খবরটি নাকচ করা হলেও, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা একটি স্বাভাবিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভুল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
তবে মেঘালয় পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুলিশের এই দাবি সঠিক নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ওসমান হাদি হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামি অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে—এমন দাবি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। ভারতের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য প্রচার সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার নিরাপত্তামূলক আস্থায় ফাটল ধরাতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওসমান হাদি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মেঘালয়ে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে তাঁরা ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। ‘পুর্তি’ নামক এক স্থানীয় সহায়তাকারী এবং ‘সামী’ নামে এক ট্যাক্সি চালক তাঁদের মেঘালয়ের তুরা শহরে পৌঁছে দিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার এই দাবির বিষয়ে মেঘালয় পুলিশ সদর দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো তথ্যই আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও মাঠ পর্যায়ের ভেরিফিকেশনে ওই অভিযুক্তদের গারো হিলস বা মেঘালয়ের কোথাও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে উল্লিখিত ‘পুর্তি’ বা ‘সামী’ নামক কোনো ব্যক্তিরও হদিস পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করার খবরটিও বানোয়াট।
মেঘালয় পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফ-ও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। বিএসএফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ও. পি. উপাধ্যায়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, হালুয়াঘাট সেক্টর দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভারতে প্রবেশের কোনো প্রমাণ বা ইন্টেলিজেন্স ইনপুট তাঁদের কাছে নেই। বিএসএফ অত্যন্ত কঠোর প্রটোকল মেনে সীমান্ত পাহারা দেয় এবং এমন কোনো অনুপ্রবেশ আমাদের নজরে আসেনি। তিনি এই ধরনের দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করেন, মেঘালয় একটি সংবেদনশীল সীমান্ত রাজ্য হওয়ার কারণে এখানে নিয়মিত আন্তসীমান্ত অপরাধ ও ছোটখাটো সংঘর্ষের মোকাবিলা করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমে যাচাই না করা তথ্য ছড়ালে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
অনুপ্রবেশের খবরটি নাকচ করা হলেও, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে মেঘালয় পুলিশ ও বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা একটি স্বাভাবিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভুল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে না।

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সং
০৬ মে ২০২৫
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
২ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৩ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সং
০৬ মে ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১৫ মিনিট আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৩ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সং
০৬ মে ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১৫ মিনিট আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

ফাস্ট ফ্যাশনের বাজারে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। পাশাপাশি, দেশটির নাগরিকেরা প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পোশাক অপচয়ও করে। তারা প্রতিবছর গড়ে ২৩ কেজি পরিমাণ পোশাক ফেলে দেয়। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯২ হাজার টন টেক্সটাইল বর্জ্য তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্রিষ্টান দাতব্য সং
০৬ মে ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে।
১৫ মিনিট আগে
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
২ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
৩ ঘণ্টা আগে