আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি বিমান পরিবহন রেটিং সংস্থা স্কাইট্র্যাক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, এটি নিজেই একটি গন্তব্য। এখানে যাত্রীদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাতে তাঁরা বিমানবন্দরের সময়টিকেও ভ্রমণের অংশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন। এই বিমানবন্দরের ভেতরে রয়েছে বিশাল ১০ তলা জুয়েল শপিং মল। ২০২৪ সালে এখানে ৮ কোটি মানুষের আগমন ঘটেছিল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন (যার মধ্যে একটি প্রজাপতি কেন্দ্রও রয়েছে) ও ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম ঝরনা। স্পা, হোটেল, আর্ট প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ডাইনোসর থিম পার্ক।
স্কাইট্র্যাক্স এই বিমানবন্দরকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ডাইনিং, বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও জিতেছে।
সিএনএন বিজনেসের গত মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দর আগামী ছয় বছরে পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বর্তমান চারটি টার্মিনালের সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে পঞ্চম টার্মিনাল চালু করার কাজ চলছে।
স্কাইট্র্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ৫৬৫টি বিমানবন্দরের গ্রাহকদের ওপর করা জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থাপত্যশৈলী ও শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। এটি সেরা বিমানবন্দর শপিং ও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও লাভ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্থান পর্যন্ত দখল করেছে এশিয়ার বিমানবন্দরগুলো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টোকিওর হানেদা (বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত), এরপর যথাক্রমে সিউলের ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর স্টাফ হিসেবে পুরস্কৃত), নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টোকিওতে অবস্থিত) ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

শীর্ষ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে নয়টি ইউরোপের। সপ্তম স্থানে থাকা প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতেছে। ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি উদ্যাপন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করা রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর অষ্টম স্থানে রয়েছে। মিউনিখ, জুরিখ ও হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর যথাক্রমে নবম, দশম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। বিস্তৃত ইস্তাম্বুল শহরের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ১৪তম স্থানে রয়েছে। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে পরিবারবান্ধব বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
ভিয়েনা (১৫তম), কোপেনহেগেন (১৮তম) ও আমস্টারডাম শিফল (১৯তম) তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো কোনো পুরস্কার পায়নি।

আমেরিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৩তম) এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কেপ টাউন বিমানবন্দর শীর্ষ ২০-এ না থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা বিমানবন্দর ও আফ্রিকার সেরা বিমানবন্দর স্টাফ পরিষেবার পুরস্কার জিতেছে।
শীর্ষ ২০-এর বাকি বিমানবন্দরগুলো হলো দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১১তম), মেলবোর্ন (১৬তম), জাপানের চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৭তম, যা বিশ্বের সেরা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে) ও বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২০তম)।
তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ব্যাগেজ ডেলিভারির পুরস্কার জিতেছে, কোপেনহেগেন বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের পুরস্কার লাভ করেছে।

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ২০টি বিমানবন্দর—
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
২. হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
৪. ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫. নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৬. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৭. প্যারিস চার্লস ডি গল বিমানবন্দর
৮. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
৯. মিউনিখ বিমানবন্দর

১০. জুরিখ বিমানবন্দর
১১. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১২. হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর
১৩. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৪. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
১৫. ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৬. মেলবোর্ন বিমানবন্দর
১৭. চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৮. কোপেনহেগেন বিমানবন্দর
১৯. আমস্টারডাম শিফল বিমানবন্দর
২০. বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি বিমান পরিবহন রেটিং সংস্থা স্কাইট্র্যাক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, এটি নিজেই একটি গন্তব্য। এখানে যাত্রীদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাতে তাঁরা বিমানবন্দরের সময়টিকেও ভ্রমণের অংশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন। এই বিমানবন্দরের ভেতরে রয়েছে বিশাল ১০ তলা জুয়েল শপিং মল। ২০২৪ সালে এখানে ৮ কোটি মানুষের আগমন ঘটেছিল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন (যার মধ্যে একটি প্রজাপতি কেন্দ্রও রয়েছে) ও ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম ঝরনা। স্পা, হোটেল, আর্ট প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ডাইনোসর থিম পার্ক।
স্কাইট্র্যাক্স এই বিমানবন্দরকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ডাইনিং, বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও জিতেছে।
সিএনএন বিজনেসের গত মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দর আগামী ছয় বছরে পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বর্তমান চারটি টার্মিনালের সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে পঞ্চম টার্মিনাল চালু করার কাজ চলছে।
স্কাইট্র্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ৫৬৫টি বিমানবন্দরের গ্রাহকদের ওপর করা জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থাপত্যশৈলী ও শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। এটি সেরা বিমানবন্দর শপিং ও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও লাভ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্থান পর্যন্ত দখল করেছে এশিয়ার বিমানবন্দরগুলো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টোকিওর হানেদা (বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত), এরপর যথাক্রমে সিউলের ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর স্টাফ হিসেবে পুরস্কৃত), নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টোকিওতে অবস্থিত) ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

শীর্ষ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে নয়টি ইউরোপের। সপ্তম স্থানে থাকা প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতেছে। ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি উদ্যাপন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করা রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর অষ্টম স্থানে রয়েছে। মিউনিখ, জুরিখ ও হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর যথাক্রমে নবম, দশম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। বিস্তৃত ইস্তাম্বুল শহরের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ১৪তম স্থানে রয়েছে। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে পরিবারবান্ধব বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
ভিয়েনা (১৫তম), কোপেনহেগেন (১৮তম) ও আমস্টারডাম শিফল (১৯তম) তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো কোনো পুরস্কার পায়নি।

আমেরিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৩তম) এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কেপ টাউন বিমানবন্দর শীর্ষ ২০-এ না থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা বিমানবন্দর ও আফ্রিকার সেরা বিমানবন্দর স্টাফ পরিষেবার পুরস্কার জিতেছে।
শীর্ষ ২০-এর বাকি বিমানবন্দরগুলো হলো দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১১তম), মেলবোর্ন (১৬তম), জাপানের চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৭তম, যা বিশ্বের সেরা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে) ও বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২০তম)।
তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ব্যাগেজ ডেলিভারির পুরস্কার জিতেছে, কোপেনহেগেন বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের পুরস্কার লাভ করেছে।

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ২০টি বিমানবন্দর—
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
২. হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
৪. ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫. নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৬. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৭. প্যারিস চার্লস ডি গল বিমানবন্দর
৮. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
৯. মিউনিখ বিমানবন্দর

১০. জুরিখ বিমানবন্দর
১১. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১২. হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর
১৩. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৪. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
১৫. ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৬. মেলবোর্ন বিমানবন্দর
১৭. চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৮. কোপেনহেগেন বিমানবন্দর
১৯. আমস্টারডাম শিফল বিমানবন্দর
২০. বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি বিমান পরিবহন রেটিং সংস্থা স্কাইট্র্যাক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, এটি নিজেই একটি গন্তব্য। এখানে যাত্রীদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাতে তাঁরা বিমানবন্দরের সময়টিকেও ভ্রমণের অংশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন। এই বিমানবন্দরের ভেতরে রয়েছে বিশাল ১০ তলা জুয়েল শপিং মল। ২০২৪ সালে এখানে ৮ কোটি মানুষের আগমন ঘটেছিল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন (যার মধ্যে একটি প্রজাপতি কেন্দ্রও রয়েছে) ও ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম ঝরনা। স্পা, হোটেল, আর্ট প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ডাইনোসর থিম পার্ক।
স্কাইট্র্যাক্স এই বিমানবন্দরকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ডাইনিং, বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও জিতেছে।
সিএনএন বিজনেসের গত মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দর আগামী ছয় বছরে পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বর্তমান চারটি টার্মিনালের সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে পঞ্চম টার্মিনাল চালু করার কাজ চলছে।
স্কাইট্র্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ৫৬৫টি বিমানবন্দরের গ্রাহকদের ওপর করা জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থাপত্যশৈলী ও শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। এটি সেরা বিমানবন্দর শপিং ও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও লাভ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্থান পর্যন্ত দখল করেছে এশিয়ার বিমানবন্দরগুলো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টোকিওর হানেদা (বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত), এরপর যথাক্রমে সিউলের ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর স্টাফ হিসেবে পুরস্কৃত), নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টোকিওতে অবস্থিত) ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

শীর্ষ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে নয়টি ইউরোপের। সপ্তম স্থানে থাকা প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতেছে। ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি উদ্যাপন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করা রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর অষ্টম স্থানে রয়েছে। মিউনিখ, জুরিখ ও হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর যথাক্রমে নবম, দশম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। বিস্তৃত ইস্তাম্বুল শহরের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ১৪তম স্থানে রয়েছে। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে পরিবারবান্ধব বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
ভিয়েনা (১৫তম), কোপেনহেগেন (১৮তম) ও আমস্টারডাম শিফল (১৯তম) তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো কোনো পুরস্কার পায়নি।

আমেরিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৩তম) এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কেপ টাউন বিমানবন্দর শীর্ষ ২০-এ না থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা বিমানবন্দর ও আফ্রিকার সেরা বিমানবন্দর স্টাফ পরিষেবার পুরস্কার জিতেছে।
শীর্ষ ২০-এর বাকি বিমানবন্দরগুলো হলো দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১১তম), মেলবোর্ন (১৬তম), জাপানের চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৭তম, যা বিশ্বের সেরা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে) ও বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২০তম)।
তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ব্যাগেজ ডেলিভারির পুরস্কার জিতেছে, কোপেনহেগেন বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের পুরস্কার লাভ করেছে।

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ২০টি বিমানবন্দর—
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
২. হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
৪. ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫. নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৬. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৭. প্যারিস চার্লস ডি গল বিমানবন্দর
৮. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
৯. মিউনিখ বিমানবন্দর

১০. জুরিখ বিমানবন্দর
১১. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১২. হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর
১৩. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৪. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
১৫. ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৬. মেলবোর্ন বিমানবন্দর
১৭. চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৮. কোপেনহেগেন বিমানবন্দর
১৯. আমস্টারডাম শিফল বিমানবন্দর
২০. বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি বিমান পরিবহন রেটিং সংস্থা স্কাইট্র্যাক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর টানা ১৩ বারের মতো বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব অর্জন করেছে।
চাঙ্গি বিমানবন্দর শুধু একটি বিমানবন্দর নয়, এটি নিজেই একটি গন্তব্য। এখানে যাত্রীদের ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাতে তাঁরা বিমানবন্দরের সময়টিকেও ভ্রমণের অংশ হিসেবে উপভোগ করতে পারেন। এই বিমানবন্দরের ভেতরে রয়েছে বিশাল ১০ তলা জুয়েল শপিং মল। ২০২৪ সালে এখানে ৮ কোটি মানুষের আগমন ঘটেছিল। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একাধিক ইনডোর গার্ডেন (যার মধ্যে একটি প্রজাপতি কেন্দ্রও রয়েছে) ও ৪০ মিটার উঁচু রেইন ভর্টেক্স, যা বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম ঝরনা। স্পা, হোটেল, আর্ট প্রদর্শনী, একটি জাদুঘর, একটি সিনেমা হল ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি ডাইনোসর থিম পার্ক।
স্কাইট্র্যাক্স এই বিমানবন্দরকে একটি গ্যাস্ট্রোনমিক ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। ৯ এপ্রিল মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ডসে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ডাইনিং, বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ওয়াশরুম ও এশিয়ার সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও জিতেছে।
সিএনএন বিজনেসের গত মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঙ্গি বিমানবন্দর আগামী ছয় বছরে পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা উন্নত করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের বর্তমান চারটি টার্মিনালের সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে পঞ্চম টার্মিনাল চালু করার কাজ চলছে।
স্কাইট্র্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ৫৬৫টি বিমানবন্দরের গ্রাহকদের ওপর করা জরিপে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা বিমানবন্দর নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থাপত্যশৈলী ও শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। এটি সেরা বিমানবন্দর শপিং ও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা বিমানবন্দরের পুরস্কারও লাভ করেছে।
তালিকায় তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ স্থান পর্যন্ত দখল করেছে এশিয়ার বিমানবন্দরগুলো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টোকিওর হানেদা (বিশ্বের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন বিমানবন্দর হিসেবে নির্বাচিত), এরপর যথাক্রমে সিউলের ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর স্টাফ হিসেবে পুরস্কৃত), নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টোকিওতে অবস্থিত) ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

শীর্ষ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে নয়টি ইউরোপের। সপ্তম স্থানে থাকা প্যারিসের চার্লস ডি গল বিমানবন্দর টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের সেরা বিমানবন্দরের খেতাব জিতেছে। ক্যাথলিক চার্চের জুবিলি উদ্যাপন উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করা রোমের ফিউমিচিনো বিমানবন্দর অষ্টম স্থানে রয়েছে। মিউনিখ, জুরিখ ও হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর যথাক্রমে নবম, দশম ও দ্বাদশ স্থানে রয়েছে। বিস্তৃত ইস্তাম্বুল শহরের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ১৪তম স্থানে রয়েছে। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে পরিবারবান্ধব বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
ভিয়েনা (১৫তম), কোপেনহেগেন (১৮তম) ও আমস্টারডাম শিফল (১৯তম) তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডন হিথরো কোনো পুরস্কার পায়নি।

আমেরিকা মহাদেশ থেকে একমাত্র ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৩তম) এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কেপ টাউন বিমানবন্দর শীর্ষ ২০-এ না থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা বিমানবন্দর ও আফ্রিকার সেরা বিমানবন্দর স্টাফ পরিষেবার পুরস্কার জিতেছে।
শীর্ষ ২০-এর বাকি বিমানবন্দরগুলো হলো দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১১তম), মেলবোর্ন (১৬তম), জাপানের চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (১৭তম, যা বিশ্বের সেরা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে) ও বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২০তম)।
তাইওয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ব্যাগেজ ডেলিভারির পুরস্কার জিতেছে, কোপেনহেগেন বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ও হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের সেরা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের পুরস্কার লাভ করেছে।

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ২০টি বিমানবন্দর—
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
২. হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৩. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
৪. ইনচেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫. নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৬. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৭. প্যারিস চার্লস ডি গল বিমানবন্দর
৮. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
৯. মিউনিখ বিমানবন্দর

১০. জুরিখ বিমানবন্দর
১১. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১২. হেলসিঙ্কি-ভান্তা বিমানবন্দর
১৩. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৪. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
১৫. ভিয়েনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৬. মেলবোর্ন বিমানবন্দর
১৭. চুবু সেন্ট্রেইর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
১৮. কোপেনহেগেন বিমানবন্দর
১৯. আমস্টারডাম শিফল বিমানবন্দর
২০. বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’
পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’
চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।
যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।
এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’
পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’
চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।
যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।
এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় গণমাধমের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৩ বছরে অন্তত ১৪ বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ইসরায়েলের তৈরি ‘হেরন’ ড্রোন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১২টি ড্রোন হারিয়েছে ভারতীয় সেনারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানব-ত্রুটি ও ইঞ্জিনের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে রাজস্থানের জয়সলমীরে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করাতে হয় বিমানবাহিনীর একটি ‘হেরন’ ড্রোনকে।
এর আগে, গত এপ্রিলে জম্মুর সাতোয়ারি বিমানঘাঁটির একটি টাওয়ারে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় সেনাবাহিনীর পরিচালিত আর একটি ‘হেরন’। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নায়েক পদমর্যাদার সেনাকর্মী সুরিন্দর পাল। ২০১৭ সালে আবার গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে তিব্বতের দিকে চলে যায় একটি ড্রোন।
তবু সাবেক সেনাকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে ‘হেরন’-এর সাফল্যের গল্প। কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এই ড্রোনের সাফল্যের হার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন ‘এমকিউ-৯ রিপার’-এর সমতুল্য পারফরম্যান্স দিলেও, দাম তুলনায় অনেক কম। সে কারণেই স্থল ও বিমানবাহিনী পরে এ বার নৌসেনার বহরেও ‘হেরন’ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলয়ের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমে জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি রুপির চুক্তির মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ‘হেরন মার্ক টু’ কেনা হতে পারে। নতুন এই ড্রোন টানা প্রায় ৩০ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এবং প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিস্তীর্ণ এলাকার স্পষ্ট নজরদারি চালাতে পারে। এতে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘স্পাইক-এনএলওএস’ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত সেন্সর ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম থাকবে। ‘প্রজেক্ট চিতা’ নামের যৌথ উদ্যোগে ভবিষ্যতে ভারত এই ড্রোন তৈরির পরিকল্পনাও করছে।

আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় গণমাধমের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৩ বছরে অন্তত ১৪ বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ইসরায়েলের তৈরি ‘হেরন’ ড্রোন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১২টি ড্রোন হারিয়েছে ভারতীয় সেনারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানব-ত্রুটি ও ইঞ্জিনের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে রাজস্থানের জয়সলমীরে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করাতে হয় বিমানবাহিনীর একটি ‘হেরন’ ড্রোনকে।
এর আগে, গত এপ্রিলে জম্মুর সাতোয়ারি বিমানঘাঁটির একটি টাওয়ারে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় সেনাবাহিনীর পরিচালিত আর একটি ‘হেরন’। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নায়েক পদমর্যাদার সেনাকর্মী সুরিন্দর পাল। ২০১৭ সালে আবার গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে তিব্বতের দিকে চলে যায় একটি ড্রোন।
তবু সাবেক সেনাকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে ‘হেরন’-এর সাফল্যের গল্প। কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এই ড্রোনের সাফল্যের হার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন ‘এমকিউ-৯ রিপার’-এর সমতুল্য পারফরম্যান্স দিলেও, দাম তুলনায় অনেক কম। সে কারণেই স্থল ও বিমানবাহিনী পরে এ বার নৌসেনার বহরেও ‘হেরন’ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলয়ের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমে জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি রুপির চুক্তির মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ‘হেরন মার্ক টু’ কেনা হতে পারে। নতুন এই ড্রোন টানা প্রায় ৩০ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এবং প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিস্তীর্ণ এলাকার স্পষ্ট নজরদারি চালাতে পারে। এতে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘স্পাইক-এনএলওএস’ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত সেন্সর ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম থাকবে। ‘প্রজেক্ট চিতা’ নামের যৌথ উদ্যোগে ভবিষ্যতে ভারত এই ড্রোন তৈরির পরিকল্পনাও করছে।

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরিস বলেছেন, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে বিগত কয়েক বছর কোনো কথাই হয়নি। ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানে সু কির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাঁর হৃৎপিণ্ড, অস্থি আর মাড়ির সমস্যা নিয়ে কেবল বিক্ষিপ্ত, পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন।
এ মাসের শেষদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যে নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছে, বিদেশি সরকারগুলো সেটিকে অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আরিসও এমনটাই মনে করেন। তবে তিনি আরও মনে করেন, এতেই হয়তো তাঁর মায়ের দুর্দশা কিছুটা কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে।
টোকিওতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাঁর স্বাস্থ্যগত সমস্যা চলছেই। গত দুই বছরে কেউ তাঁকে দেখেনি। তাঁর আইনি দল দূরে থাক, পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। আমার যা মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, আমার মাকে নিয়ে (মিয়ানমারের জান্তা নেতা) মিন অং হ্লাইংয়ের নিজস্ব উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচনের আগে বা পরে সাধারণ মানুষকে শান্ত করতে যদি তিনি আমার মাকে মুক্তি দিতে চান কিংবা গৃহবন্দী করতে চান, তবে অন্তত সেটাই কিছু একটা হবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। জানা যায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বড় দিন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপলক্ষে বন্দী মুক্তি দেওয়ার পুরোনো অভ্যাস আছে।
২০১০ সালে একটি নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরই শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মুক্তি পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইয়াঙ্গুনের ইনায়া হ্রদের তীরে তাঁর ঔপনিবেশিক ধাঁচের পারিবারিক বাড়িতে বন্দী ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি মিয়ানমারের কার্যত নেত্রী হন। সেটি ছিল গত পঁচিশ বছরে প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট, যদিও তাঁর দেশের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর ভাবমূর্তি পরবর্তীকালে কালিমালিপ্ত হয়।
এদিকে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে চরম অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সু চি বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি আর নির্বাচন জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ২৭ বছরের সাজা খাটছেন; তিনি অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন।
আরিস জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস সু কি রাজধানী নেপিদোতেই বন্দী। দুই বছর আগে তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শেষ চিঠিতে গ্রীষ্ম ও শীতে তাঁর কামরা অসহ্য তাপমাত্রার কথা তিনি লিখেছিলেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে আরিস শঙ্কিত যে, মানুষ সম্ভবত মিয়ানমারের কথা ভুলে যাচ্ছে।
তিনি আসন্ন নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছেন। অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম নির্বাচন, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে। এই সুযোগে তিনি জাপানসহ বিদেশি সরকারগুলোকে জান্তার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাঁর মায়ের মুক্তির দাবি জানাতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরিস বলেছেন, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে বিগত কয়েক বছর কোনো কথাই হয়নি। ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানে সু কির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাঁর হৃৎপিণ্ড, অস্থি আর মাড়ির সমস্যা নিয়ে কেবল বিক্ষিপ্ত, পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন।
এ মাসের শেষদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যে নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছে, বিদেশি সরকারগুলো সেটিকে অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আরিসও এমনটাই মনে করেন। তবে তিনি আরও মনে করেন, এতেই হয়তো তাঁর মায়ের দুর্দশা কিছুটা কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে।
টোকিওতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাঁর স্বাস্থ্যগত সমস্যা চলছেই। গত দুই বছরে কেউ তাঁকে দেখেনি। তাঁর আইনি দল দূরে থাক, পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। আমার যা মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, আমার মাকে নিয়ে (মিয়ানমারের জান্তা নেতা) মিন অং হ্লাইংয়ের নিজস্ব উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচনের আগে বা পরে সাধারণ মানুষকে শান্ত করতে যদি তিনি আমার মাকে মুক্তি দিতে চান কিংবা গৃহবন্দী করতে চান, তবে অন্তত সেটাই কিছু একটা হবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। জানা যায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বড় দিন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপলক্ষে বন্দী মুক্তি দেওয়ার পুরোনো অভ্যাস আছে।
২০১০ সালে একটি নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরই শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মুক্তি পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইয়াঙ্গুনের ইনায়া হ্রদের তীরে তাঁর ঔপনিবেশিক ধাঁচের পারিবারিক বাড়িতে বন্দী ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি মিয়ানমারের কার্যত নেত্রী হন। সেটি ছিল গত পঁচিশ বছরে প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট, যদিও তাঁর দেশের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর ভাবমূর্তি পরবর্তীকালে কালিমালিপ্ত হয়।
এদিকে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে চরম অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সু চি বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি আর নির্বাচন জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ২৭ বছরের সাজা খাটছেন; তিনি অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন।
আরিস জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস সু কি রাজধানী নেপিদোতেই বন্দী। দুই বছর আগে তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শেষ চিঠিতে গ্রীষ্ম ও শীতে তাঁর কামরা অসহ্য তাপমাত্রার কথা তিনি লিখেছিলেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে আরিস শঙ্কিত যে, মানুষ সম্ভবত মিয়ানমারের কথা ভুলে যাচ্ছে।
তিনি আসন্ন নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছেন। অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম নির্বাচন, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে। এই সুযোগে তিনি জাপানসহ বিদেশি সরকারগুলোকে জান্তার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাঁর মায়ের মুক্তির দাবি জানাতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসব চলাকালে প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা হলেন ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম। সাজিদ আকরাম পেশায় ফলবিক্রেতা ও নাভিদ পড়া শেষে এখন কিছু করছিলেন না।
সাজিদ ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অন্যদিকে নাভিদকে আটক করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর হলেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুজন হামলাকারী ভিড়ের ওপর দীর্ঘনল বন্দুক ব্যবহার করে গুলি চালান। সাজিদ আকরামের নামে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স ছিল। হামলায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুজন পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষিণ উপকূলে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
নাভিদের মা ভেরেনা জানান, গুলির ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার সকালে ছেলে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ও আমাকে ফোন করে বলেছিল, মা, আমি একটু সাঁতার কেটেছি। স্কুবা ডাইভিং করেছি। আমরা এখন খেতে যাচ্ছি। আজ খুব গরম। বাড়িতেই থাকব।’
ভেরেনা আরও জানান, ছেলে তাঁকে বলেছিল, বাবার সঙ্গে জারভিস বে এলাকায় আছে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে ছেলেকে শনাক্ত করতে পারেননি ভেরেনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সহিংসতা বা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছেলের জড়িত থাকার কথা তিনি বিশ্বাস করেন না।
ভেরেনা বলেন, ‘ওর কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। ও বাইরে ঘোরাফেরা করে না। বন্ধুদের সঙ্গে মেশে না। মদ্যপান করে না, ধূমপান করে না, খারাপ জায়গায় যায় না। ও শুধু কাজে যায়, বাড়ি ফেরে, শরীরচর্চা করে, এই পর্যন্তই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কেউ এমন একজন ছেলেই চাইবে। আমার ছেলে খুব ভালো।’
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাভিদ আকরাম পেশায় একজন ইটশ্রমিক ছিলেন। তবে প্রায় দুই মাস আগে তাঁর কর্মস্থল দেউলিয়া হয়ে পড়ায় তিনি চাকরি হারান। এরপর থেকে নাভিদ নতুন কাজের খোঁজ করছিলেন বলে জানান তাঁর মা।
ভেরেনা আরও জানান, তাঁর ছেলে ক্যাব্রামাটা হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছে। তিনি বলেন, ‘নাভিদ খুব একটা মিশুক ছিল না এবং অনলাইনে বেশি সময় কাটাত বলেও মনে হয়নি। তাঁর শখের মধ্যে ছিল মাছ ধরা, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতার কাটা ও শরীরচর্চা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২২ সালের একটি পোস্টে নাভিদ আকরামকে ট্যাগ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, তিনি পশ্চিম সিডনির হেকেনবার্গে অবস্থিত আল-মুরাদ ইনস্টিটিউট থেকে কোরআন শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
২০০৪ সালে কেনা তিন কক্ষের একটি বাড়িতে বসবাস পরিবারটির। এর আগে ক্যাব্রামাটায় থাকত তারা। ওই বাড়িতে বাবা–মা, ২২ বছর বয়সী এক বোন ও ২০ বছর বয়সী এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন নাভিদ। তাঁর মা গৃহিণী।
গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পরিচিত সার্ফিং সৈকতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। দেশটির সমুদ্রপ্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রটিতে হঠাৎ এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ছিল ১০ বছরের এক কন্যাশিশু। সে একটি শিশু হাসপাতালে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি বয়সী নিহত ব্যক্তির বয়স ছিল ৮৭ বছর।
এ ঘটনায় আরও ৪২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসব চলাকালে প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হামলাকারী দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা হলেন ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম। সাজিদ আকরাম পেশায় ফলবিক্রেতা ও নাভিদ পড়া শেষে এখন কিছু করছিলেন না।
সাজিদ ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অন্যদিকে নাভিদকে আটক করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর হলেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দুজন হামলাকারী ভিড়ের ওপর দীর্ঘনল বন্দুক ব্যবহার করে গুলি চালান। সাজিদ আকরামের নামে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স ছিল। হামলায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুজন পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষিণ উপকূলে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক জানান, সাজিদ আকরাম ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখেন। ২০০১ সালে সেটি পার্টনার ভিসায় রূপান্তরিত হয়। এরপর থেকে রেসিডেন্ট রিটার্ন ভিসাতে দেশটিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
নাভিদের মা ভেরেনা জানান, গুলির ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার সকালে ছেলে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ও আমাকে ফোন করে বলেছিল, মা, আমি একটু সাঁতার কেটেছি। স্কুবা ডাইভিং করেছি। আমরা এখন খেতে যাচ্ছি। আজ খুব গরম। বাড়িতেই থাকব।’
ভেরেনা আরও জানান, ছেলে তাঁকে বলেছিল, বাবার সঙ্গে জারভিস বে এলাকায় আছে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে ছেলেকে শনাক্ত করতে পারেননি ভেরেনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সহিংসতা বা উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছেলের জড়িত থাকার কথা তিনি বিশ্বাস করেন না।
ভেরেনা বলেন, ‘ওর কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নেই। ও বাইরে ঘোরাফেরা করে না। বন্ধুদের সঙ্গে মেশে না। মদ্যপান করে না, ধূমপান করে না, খারাপ জায়গায় যায় না। ও শুধু কাজে যায়, বাড়ি ফেরে, শরীরচর্চা করে, এই পর্যন্তই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কেউ এমন একজন ছেলেই চাইবে। আমার ছেলে খুব ভালো।’
দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাভিদ আকরাম পেশায় একজন ইটশ্রমিক ছিলেন। তবে প্রায় দুই মাস আগে তাঁর কর্মস্থল দেউলিয়া হয়ে পড়ায় তিনি চাকরি হারান। এরপর থেকে নাভিদ নতুন কাজের খোঁজ করছিলেন বলে জানান তাঁর মা।
ভেরেনা আরও জানান, তাঁর ছেলে ক্যাব্রামাটা হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছে। তিনি বলেন, ‘নাভিদ খুব একটা মিশুক ছিল না এবং অনলাইনে বেশি সময় কাটাত বলেও মনে হয়নি। তাঁর শখের মধ্যে ছিল মাছ ধরা, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতার কাটা ও শরীরচর্চা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২২ সালের একটি পোস্টে নাভিদ আকরামকে ট্যাগ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, তিনি পশ্চিম সিডনির হেকেনবার্গে অবস্থিত আল-মুরাদ ইনস্টিটিউট থেকে কোরআন শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
২০০৪ সালে কেনা তিন কক্ষের একটি বাড়িতে বসবাস পরিবারটির। এর আগে ক্যাব্রামাটায় থাকত তারা। ওই বাড়িতে বাবা–মা, ২২ বছর বয়সী এক বোন ও ২০ বছর বয়সী এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন নাভিদ। তাঁর মা গৃহিণী।
গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পরিচিত সার্ফিং সৈকতে এই গুলির ঘটনা ঘটে। দেশটির সমুদ্রপ্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রটিতে হঠাৎ এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ছিল ১০ বছরের এক কন্যাশিশু। সে একটি শিশু হাসপাতালে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি বয়সী নিহত ব্যক্তির বয়স ছিল ৮৭ বছর।
এ ঘটনায় আরও ৪২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগে