
গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের পরপরই ভারত থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে হ্যানয়ে থেমেছিলেন বাইডেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম সম্পর্কের কৌশলগত মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। এবার সেই ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এই সফর যে হ্যানয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানো এবং ভিয়েতনাম-চীনের অম্ল-মধুর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ রাখছেন না বিশ্লেষকেরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনামে পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। বাইডেনের সফরের ঠিক তিন মাস পর হ্যানয়ে গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এর প্রায় ছয় বছর আগে ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছিলেন সি।
চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের পুরোনো সম্পর্ক থাকলেও দুই দেশের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বও শত বছরেরও বেশি পুরোনো। তবে সি চিনপিংয়ের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সি।
ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একটি পত্রিকায় লিখিত এক নিবন্ধে সি চিনপিং বলেছেন, ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ এশীয়দের হাতেই নির্ধারিত হবে, অন্য কারও হাতে নয়।’ এ থেকে ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, সি ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য দেখতে চান না। তিনি আরও লেখেন, ‘দুই দেশের মধ্যে একটি সাধারণ ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা হলে তার কৌশলগত গুরুত্ব হবে তাৎপর্যপূর্ণ।’ ওই নিবন্ধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে বিশ্বজুড়ে ‘হেজিমনি’ প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা থেকে দূরে থাকার ব্যাপারেও সতর্ক করেন।
ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যে মাত্রায় রয়েছে, চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক তার চেয়েও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় বেইজিং। এ লক্ষ্যে ভিয়েতনামের সঙ্গে ডজনখানেক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায় চীন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তোই তে চীনা রাষ্ট্রদূত শং বোয়ের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।
এসব চুক্তির মধ্যে ভিয়েতনামে রেল লিংক চালু, বিভিন্ন বৃত্তি দেওয়া, ভিয়েতনাম-চীন যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নতকরণ, ভিয়েতনামের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ চেইন সমন্বিত ও উন্নতকরণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে বেইজিং ভিয়েতনামকে চীনের ডিজিটাল সিল্ক রোডে যুক্ত হওয়ার জন্যও চাপ দিতে পারে। এই ডিজিটাল সিল্ক রুটের অধীনে ভিয়েতনামের সঙ্গে সাবমেরিন কেব্লের সংযোগ, ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করা হতে পারে।
এসবের বাইরে, সি চিনপিং ভিয়েতনামের সঙ্গে নিরাপত্তা, সংযোগ, সবুজ জ্বালানি ও বিভিন্ন বিরল মৃত্তিকা ধাতুসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করতে পারে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামকে চীনের পরপরই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরল খনিজের মজুতকারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের পরপরই ভারত থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে হ্যানয়ে থেমেছিলেন বাইডেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম সম্পর্কের কৌশলগত মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। এবার সেই ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এই সফর যে হ্যানয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানো এবং ভিয়েতনাম-চীনের অম্ল-মধুর সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ রাখছেন না বিশ্লেষকেরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনামে পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। বাইডেনের সফরের ঠিক তিন মাস পর হ্যানয়ে গেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এর প্রায় ছয় বছর আগে ভিয়েতনাম সফরে গিয়েছিলেন সি।
চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের পুরোনো সম্পর্ক থাকলেও দুই দেশের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বও শত বছরেরও বেশি পুরোনো। তবে সি চিনপিংয়ের এই সফরে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন সি।
ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একটি পত্রিকায় লিখিত এক নিবন্ধে সি চিনপিং বলেছেন, ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ এশীয়দের হাতেই নির্ধারিত হবে, অন্য কারও হাতে নয়।’ এ থেকে ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, সি ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য দেখতে চান না। তিনি আরও লেখেন, ‘দুই দেশের মধ্যে একটি সাধারণ ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা হলে তার কৌশলগত গুরুত্ব হবে তাৎপর্যপূর্ণ।’ ওই নিবন্ধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে বিশ্বজুড়ে ‘হেজিমনি’ প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা থেকে দূরে থাকার ব্যাপারেও সতর্ক করেন।
ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যে মাত্রায় রয়েছে, চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্ক তার চেয়েও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় বেইজিং। এ লক্ষ্যে ভিয়েতনামের সঙ্গে ডজনখানেক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায় চীন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তোই তে চীনা রাষ্ট্রদূত শং বোয়ের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।
এসব চুক্তির মধ্যে ভিয়েতনামে রেল লিংক চালু, বিভিন্ন বৃত্তি দেওয়া, ভিয়েতনাম-চীন যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নতকরণ, ভিয়েতনামের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ চেইন সমন্বিত ও উন্নতকরণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে বেইজিং ভিয়েতনামকে চীনের ডিজিটাল সিল্ক রোডে যুক্ত হওয়ার জন্যও চাপ দিতে পারে। এই ডিজিটাল সিল্ক রুটের অধীনে ভিয়েতনামের সঙ্গে সাবমেরিন কেব্লের সংযোগ, ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করা হতে পারে।
এসবের বাইরে, সি চিনপিং ভিয়েতনামের সঙ্গে নিরাপত্তা, সংযোগ, সবুজ জ্বালানি ও বিভিন্ন বিরল মৃত্তিকা ধাতুসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করতে পারে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামকে চীনের পরপরই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরল খনিজের মজুতকারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের পরপরই ভারত থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে হ্যানয়ে থেমেছিলেন বাইডেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম সম্পর্কের কৌশলগত মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। এবার সেই ভিয়েতনামে সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এই সফর যে হ্যানয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানো এবং ভিয়েতনাম-চীনের অম্ল-মধুর সম্পর্
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের পরপরই ভারত থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে হ্যানয়ে থেমেছিলেন বাইডেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম সম্পর্কের কৌশলগত মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। এবার সেই ভিয়েতনামে সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এই সফর যে হ্যানয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানো এবং ভিয়েতনাম-চীনের অম্ল-মধুর সম্পর্
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।
প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’
আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’
এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন। এই সাহসী উদ্যোগের ফলে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হনুক্কাহ অনুষ্ঠানে ওই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় অংশ নেওয়া দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অন্যজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।
প্রাণঘাতী ওই হামলার সংকটময় মুহূর্তটিতে শুধু একজন সাধারণ দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন না আহমেদ আল আহমেদ। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে এক হামলাকারীর সঙ্গে কুস্তি করতে এবং বন্দুক ছিনিয়ে নিতে দেখা যায়, যা মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আমিরাত-ভিত্তিক ‘দ্য ন্যাশনাল’ জানিয়েছে, সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চল থেকে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা এবং দুই কন্যাসন্তানের জনক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুতর আহত হন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যে কাজটি করেছেন, তার ফলেই বহু মানুষ আজ বেঁচে আছেন।’
আহমেদের বাবা-মা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর শরীরেও অন্তত দুটি গুলির ক্ষত রয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের পর তিনি সিডনির কোগারাহ এলাকার সেন্ট জর্জ হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
আহমেদের বাবা বলেন, ‘সে মানসিকভাবে ভালো আছে। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, সে মানুষ বাঁচাতে পেরেছে।’
এই সাহসী ভূমিকার জন্য আহমেদ আল আহমেদকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ভিডিওটিকে ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
এমনকি নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিও আহমেদকে ঘৃণার বিরুদ্ধে সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আহমেদের চিকিৎসা ও পরিবারের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি তহবিল তৈরি করেছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই তহবিলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার জমা পড়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের পরপরই ভারত থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে হ্যানয়ে থেমেছিলেন বাইডেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম সম্পর্কের কৌশলগত মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। এবার সেই ভিয়েতনামে সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এই সফর যে হ্যানয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানো এবং ভিয়েতনাম-চীনের অম্ল-মধুর সম্পর্
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের পরপরই ভারত থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে হ্যানয়ে থেমেছিলেন বাইডেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনাম সম্পর্কের কৌশলগত মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। এবার সেই ভিয়েতনামে সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এই সফর যে হ্যানয়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব কমানো এবং ভিয়েতনাম-চীনের অম্ল-মধুর সম্পর্
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমেদ আল আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—হামলার মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি নিরস্ত্র অবস্থায় এগিয়ে গিয়ে এক বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং শেষ...
৩ ঘণ্টা আগে